বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
শীতের সকালে শহরের প্রান্তে একটি প্রেক্ষাগৃহে ‘কৃতি’র আয়োজনে শ্রীজাতর একক কবিতাপাঠের অনুষ্ঠান ‘অন্ধকার শ্রীজাত’তে কবি সেইদিনগুলোর কথা বলছিলেন। বাংলাদেশে যেতে পারেন না তিনি। এমনকী দেশের কিছু জায়গাতেও কবির প্রবেশ মৌলবাদীদের চোখ রাঙানির জন্য বন্ধ। অনুষ্ঠান শুরু করলেন তাঁর প্রিয় লেখক ফয়েজ আহমেদ ফয়েজের লেখা দিয়ে। তারপরেই চলে গেলেন নিজের বই ‘অন্ধকার লেখাগুচ্ছ’তে। এই বইয়ের কবিতাগুলো যেন, কোথাও গিয়ে এই সময়ের রাস্তার স্লোগান হয়ে যায়। কয়েকটি কবিতার পরে, তিনি এই সকালে আশ্রয় নিয়েছিলেন তাঁর লেখা আরও একটি বইয়ের, ‘কর্কটক্রান্তির দেশ’। এমন একটা সময়ে যাঁর কবিতা কবির সবচেয়ে প্রসঙ্গিক বলে মনে হয়েছে, সেই শঙ্খ ঘোষের বেশ কিছু কবিতা পড়েন শ্রীজাত। কবি শঙ্খ ঘোষের ‘লাইনেই ছিলাম বাবা’ বই থেকে ‘অধিকার’, ‘দুর্যোধন’, ‘চরিত্র’র মতো কবিতা পড়েন তিনি। সমগ্র অনুষ্ঠানে শ্রীজাতর কবিতা পাঠের সঙ্গে কি-বোর্ড বাজিয়েছিলেন সমৃদ্ধি।
দর্শকদের অনুমতি নিয়ে তিনি তাঁর ‘মুস্তাক হোসেনের দরবারী’ বইটি থেকেও বেশকিছু কবিতা পড়েন। আসলে এই কবিতাগুলো অনেক বেশি সরাসরি। কড়া বাস্তবের চিত্রকে ধারালো কলমের আঘাতে বিদ্ধ করেছেন কবি। ‘ধ্বংস’ বইটি থেকে ‘খড়কুটো গ্রাম’ কবিতাটি পড়ে শোনান। সবশেষে দর্শকদের অনুরোধে ফয়েজ আহমেদ ফয়েজের লেখা একটি গান গেয়ে শোনান তিনি। ‘যে দেশে পেটেই জ্বলে অধিকাংশ চিতা/ সে দেশে বিশ্বাস পণ্য, ধর্ম বিলাসিতা’, এইরকম উচ্চারণের মাধ্যমে গোটা অনুষ্ঠানে শ্রীজাতর পাঠ করা কবিতাগুলো যেন সময়ের এক জ্বলন্ত ইস্তেহার রচনা করেছে।