পদার্থ ও রসায়নিক বিদ্যার অনুশীলনে বিশেষ উন্নতি।প্রায় সম্পূর্ণ কাজে বাধা আসতে পারে। বিকেল থেকে মানসিক ... বিশদ
স্টমাক ক্যান্সারের আলাদা করে বিশেষ কোনও লক্ষণের কথা বলা যায় না। তবে একাধিক উপসর্গ থাকে যেগুলি স্টমাক ক্যান্সারের দিকে নির্দেশ করে।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যদি কোনও ব্যক্তির খুব বেশি পেটে গ্যাস হওয়া, খিদে না পাওয়া, খাবার খাওয়ার পরেই পেটে ব্যথা হওয়া, চোয়া ঢেঁকুর ওঠা, পেট ভার লাগা, বার বার বদহজম হওয়া, খাবার খাওয়ার পরেই বমি হওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়া দরকার।
এমন সাধারণ লক্ষণ অনেক সময়েই ওষুধ খেলে সাময়িকভাবে কমেও যায়। সেক্ষেত্রে কেন একজন ব্যক্তি চিকিত্সকের কাছে যাবেন?
দিন কয়েক অন্তর খাবার খেলেই বমি, বমির সঙ্গে রক্ত পড়া, একটানা গ্যাসের সমস্যায় ভোগার মতো উপসর্গ কোনওভাবেই অবহেলা করার বিষয় না। তাছাড়া ওষুধ খাওয়ার পরেও অস্বস্তি কেটে যাওয়ার কথাও নয়। অতএব এমন ঘন ঘন ফিরে এলে কোনওভাবেই এড়িয়ে যাবেন না। বরং যত দ্রুত সম্ভব চিকিত্সকের পরামর্শ নিন। মনে রাখবেন, এন্ডোস্কোপি করালেই স্টমাক ক্যান্সার ধরা পড়ে যায়, সেখানে দেরি করার কোনও অর্থ হয় না। আবার এই লক্ষণগুলি হচ্ছে মানেই যে ক্যান্সার হয়েছে এমন নয়। তবে রোগ পরীক্ষায় অন্য অসুখ থাকলেও তা ধরা পড়ে যায়।
বাঙালির খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে কি স্টমাক ক্যান্সারের কোনও সম্পর্ক আছে?
বাঙালির যা খাদ্যাভ্যাস তার সঙ্গে স্টমাক ক্যান্সারের যোগ মেলেনি। তবে গ্যাস অম্বল হওয়ার পিছন একটা বড় কারণ হল হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি নামে একটি ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ। এই ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের সময়মতো চিকিত্সা না করা গেলে ও ১৫-২০ বছর পরে কারও কারও ক্ষেত্রে ওই ব্যাকটেরিয়া স্টমাক ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।
এই কারণেই কোনও ব্যক্তি বারংবার গ্যাস অম্বলের সমস্যার অভিযোগ করলে তাঁকে এন্ডোস্কোপি করতে বলা হয়। এন্ডোস্কোপি করে যদি দেখা যায়, ব্যাকটিরিয়াল ইনফেকশন আছে, তাহলে শুরু হয় চিকিত্সা। সময়োচিত চিকিত্সায় এই ব্যাকটেরিয়া নির্মূল হয়ে যায়।
স্টমাক ক্যান্সারের সঙ্গে বংশগতির কোনও সম্পর্ক আছে?
১০০ জন স্টমাক ক্যান্সারের রোগী থাকলে ১ শতাংশের সঙ্গে বংশগতির সম্পর্ক থাকতে পারে।
স্টমাক ক্যান্সারের স্ক্রিনিং টেস্ট কি কিছু আছে?
সেভাবে আলাদা করে কোনও স্ক্রিনিং টেস্ট নেই। তবে একটানা বমি, গ্যাস-অম্বল থাকলে চিকিত্সকের পরামর্শ মতো একটা এন্ডোস্কোপি করা যেতে পারে। এন্ডোস্কোপিতে একটা বায়োপ্সি করা হয়। তাতেই ধরা পড়ে অসুখ কোন পর্যায়ে আছে।
স্টমাক ক্যান্সারের চিকিত্সা কী?
যে কোনও স্টমাক ক্যান্সারের চিকিত্সাকে দুইভাগে ভাগ করা যায়। প্রথমত আমরা জানতে চেষ্টা করি ক্যান্সার ঠিক কোন পরিস্থিতিতে আছে বা কোন স্টেজ-এ আছে। সিটি স্ক্যান খুব ভালো পরীক্ষা।
আমরা মোটামুটি সকলেই জানি, ক্যান্সারের চারটি পর্যায় থাকে— প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ।
ক্যান্সার কোন স্টেজ-এ আছে তার উপরে নির্ভর করে চিকিত্সা কোনদিকে এগবে।
প্রথম থেকে তৃতীয় স্টেজ পর্যন্ত সাধারণত প্রথম চিকিত্সাই হল সার্জারি। সঙ্গে কেমোথেরাপি।
অসুখ কি সেরে যায়?
প্রথম থেকে তৃতীয় পর্যায়ের মধ্যে রোগ ধরা পড়লে চিকিত্সার মাধ্যমে ক্যান্সার নির্মূল করার সম্ভাবনা থাকে।
স্টেজ ফোর ক্যান্সারের চিকিত্সা কীভাবে হয়?
আগে দেখতে হয়, ঠিক কোন কোন শারীরিক উপসর্গে রোগী ভুগছেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কোনও কোনও ক্ষেত্রে দেখা যায় রোগী সঠিকভাবে খাবার খেতে পারছেন না, সেক্ষেত্রে খাবার পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটা রাস্তা তৈরি করার দরকার পড়ে। ওজন খুব কমে গেলে তার জন্য নিতে হয় ব্যবস্থা। শারীরিক সমস্যাগুলি আয়ত্তে এলে তারপর কেমোথেরাপি দিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনার চেষ্টা করা যায়। তাই স্টমাক ক্যান্সারের সময়োচিত চিকিত্সা করান।