পদার্থ ও রসায়নিক বিদ্যার অনুশীলনে বিশেষ উন্নতি।প্রায় সম্পূর্ণ কাজে বাধা আসতে পারে। বিকেল থেকে মানসিক ... বিশদ
মুখগহ্বরের ক্যান্সার বা ওরাল ক্যান্সার এখন মহামারীর আকার নিয়েছে। ভারতে যত মানুষ ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা যান তার একটা বৃহত্ সংখ্যক রোগীই ওরাল ক্যান্সারে আক্রান্ত। ক্যান্সার থেকে প্রাণ ছিনিয়ে নেওয়ার দৌড়ে লাং ক্যান্সারের পরেই স্থান রয়েছে ওরাল ক্যান্সারের।
ওরাল ক্যান্সারের কারণ
• বিভিন্ন ধরনের নেশায় আসক্ত হওয়াই ওরাল ক্যান্সারের পিছনে মূল কারণ। ধূমপান বা সিগারেট, বিড়ি খাওয়ার অভ্যেস থাকলে ওরাল ক্যান্সারের আশঙ্কা বাড়ে। আবার দোক্তা, গুটকার মতো চিবানোর তামাক সেবনের অভ্যেসও ডেকে আনতে পারে মুখগহ্বরের ক্যান্সার।
• মুখগহ্বরের অন্দের থাকা ভাঙা দাঁতও ক্যান্সারের মতো জটিলতা ডেকে আনতে পারে। কারণ গালে ভাঙা দাঁতের ঘষা লেগেও হতে পারে ক্যান্সার। কারণ ভাঙা দাঁতের ঘষা লেগে অনেকের গালে ঘা হয়। সেই ঘা-এর সঠিকভাবে চিকিত্সা না হলে দেখা দিতে পারে ক্যান্সার।
খেয়াল রাখুন
সঠিক সময়ে মুখগহ্বরের ক্যান্সার চিহ্নিত না করা গেলে, ও চিকিত্সা না করা হলে ওই ক্যান্সার মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।
কম বয়সি ছেলেমেয়েদের মধ্যে নেশা করার প্রবণতা দেখা যায়। ফলে কম বয়সি বহু ছেলে মেয়েকে মুখগহ্বরের ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে দেখা যাচ্ছে।
শুধু তামাক নয়, এমনকী সুপুরি খাওয়ার অভ্যেসেও ডেকে আনতে পারে ক্যান্সার। অন্তত বিভিন্ন দরনের স্টাডিতেও তার প্রমাণ মিলেছে।
তাহলে ক্যান্সার প্রতিরোধের উপায়গুলো কী কী
• ধূমপান, চিবানের তামাক সেবন দূরে রাখতে হবে।
• মুখের ভিতরে কোথাও কোনও ঘা কিংবা ব্যথা হলে তখনই পরামর্শ করতে হবে দন্ত চিকিত্সকের সঙ্গে।
আর শুধু পরামর্শই নয়। তিনি যে চিকিত্সা নিতে বলবেন, সেই চিকিত্সা সঙ্গে সঙ্গেই করাতে হবে কোনওরকম অবহেলা না করে।
চিন্তার কারণ
মুখগহ্বরের ক্যান্সার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অনেক পরে ধরা পড়ে। তার মূল কারণ হল আমরা মুখ দিয়ে খাবার খাই, কথা বলি অথচ মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য সম্পর্কে থাকি সম্পূর্ণ উদাসীন বা সেভাবে খেয়াল রাখি না।
হাতে পায়ে কিংবা শরীরের বিভিন্ন খোলা জায়গায় কোনও ঘা হলে তা দেখতে পাওয়া যায়। ফলে সেই সমস্যা নিতে আমরা বেশি ভাবি।
অথচ মুখের ভিতরে হওয়া ঘা বা সাদা দাগ তৈরি হলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে চিকিত্সকের কাছে দৌড়াই না। কারণ তা জনসমক্ষে আসে না। ফলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতেও দেরি হয় ও রোগ ধরা পড়েতেও দেরি হয়ে যায়। অথচ তত্ক্ষণাত্ চিকিত্সা করালে রোগীর প্রাণ বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
রোগ নির্ণায়ক পরীক্ষা
দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ রোগীকে পরীক্ষা করে যদি বোঝেন সমস্যা গুরুতর হওয়ার আশঙ্কা আছে, সেক্ষেত্রে তিনি নিশ্চিত হওয়ার জন্য বায়োপ্সি করাতে দিতে পারেন।
বায়োপ্সি রিপোর্টে ক্যান্সার ধরা পড়লে অপারেশন করাতে হতে পারে। এরপর প্রয়োজন অনুসারে রেডিয়েশন থেরাপি চলতে পারে। চলতে পারে কেমোথেরাপি। কিংবা রেডিয়েশন ও কেমোথেরাপি উভয়ই চলতে পারে।
রোগ প্রতিরোধ
• প্রতিদিন চুল আঁচড়ানো বা সাজগোজের সময় আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে মুখগহ্বরের অন্দরে আলো ফেলে দেখুন কোনও অস্বাভাবিক বিষয় নজরে আসছে কি না।
• প্রথমত যে কোনও ধরনের নেশার সামগ্রী থেকে দূরে থাকতে হবে।
• যে কোনও ধরনের তামাক সম্পূর্ণভাবে বর্জন করা দরকার। কারণ তামাকের ব্যবহার (ধূমপান) থেকে লাং ক্যান্সার, ব্লাডার ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
• বছরে ৬ মাস অন্তর দন্তরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে চেকআপ করান।