Bartaman Patrika
শরীর ও স্বাস্থ্য
 

রাশ টানুন সন্তানের টেনশনে

ছোট থেকেই তৈরি হয় স্বভাব। কীভাবে শুরু থেকেই টেনশন, মেজাজ, রাগ আয়ত্তে রাখা সম্ভব? জানাচ্ছেন মনোরোগ চিকিৎসক ডাঃ রীমা মুখোপাধ্যায়।

সবে হাঁটতে শিখেছে ঋজুল। মা, বাবা অফিসে বেরিয়ে গেলে ঠাকুরমার কাছে থাকে। সঙ্গে সাহায্যকারী পেশাদার আয়াও রয়েছেন। কোনও কিছু অপছন্দ হলেই হাতের জিনিস ছুড়ে ফেলার অভ্যেস তৈরি হয়েছে ঋজুলের। সে কোনও খেলনা হোক অথবা টিভির রিমোট। এই অভ্যেস দেখে ঠাকুরমা বলেন, ঋজুলের নাকি তার দাদুর মতো মেজাজ হয়েছে। বেশ গর্ব করে বলেন, এ বংশের সকলেই মেজাজি। 
পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া রাইয়ের নাকি খুব রাগ। তা রেগে গেলে মেয়ে করে কী? রাইয়ের মা এক নিমন্ত্রণ বাড়িতে গিয়ে গল্প করছিলেন, রেগে গেলে মেয়ে নাকি প্রথমে চিৎকার করে। তারপর কেঁদে ফেলে। তাকে তখন শান্ত  করে কার সাধ্য! 
রাই বা ঋজুলের মতো মেজাজি, রাগী বাচ্চাদের পেশাসূত্রে প্রায়শই সামলান মনোবিদ ডাঃ রীমা মুখোপাধ্যায়। সামলান এই ধরনের সন্তানের বাবা, মায়েদেরও। কিন্তু এত ছোট বয়সে রাগ, মেজাজ হয় কীভাবে? এসব থেকে বাচ্চাদেরও কি টেনশন হয়? বাবা, মা সন্তানের রাগের কারণ অনুসন্ধান কীভাবে করবেন? কীভাবেই বা সেই সমস্যার সমাধান সম্ভব? 

বড়রা রোল মডেল
যে কোনও সমস্যার সমাধানে প্রথম কাজ হল কারণ অনুসন্ধান। এক্ষেত্রেও বাচ্চার মেজাজের কারণ অনুসন্ধান করার কথা আমি প্রথম বলব। নানা কারণে বাচ্চার মেজাজ হতে পারে। প্রথম হল বাড়ির পরিবেশ। বাড়ির সদস্যরা যদি নানা কারণে টেনশন করেন, মেজাজ দেখান, চিৎকার করেন, তাহলে বাচ্চা সেটাই শেখে। ধীরে ধীরে সেটাই রপ্ত করে। বাচ্চা কেন মেজাজ দেখাচ্ছে, জিনিস ছুড়ে ফেলছে, মারধর করছে জানতে হলে তার মূল কারণটা বুঝতে হবে। জানতে হবে বাড়ির কেউ যখন টেনশন করেন, তখন এমন আচরণ করেন কি না। এসব ক্ষেত্রে আমরা বলি, বাড়ির সেই মানুষটিরও সাহায্য দরকার। তাঁর টেনশন বাড়ির পরিবেশ নষ্ট করছে কি না, সেটা মাথায় রাখা দরকার। বড়রাই তো রোল মডেল।

শান্তিপূর্ণ পরিবেশ
একটা বাচ্চা যদি ছোট থেকে দেখা যায়, মোটামুটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ পেয়ে বড় হচ্ছে, তার কিন্তু মেজাজ কম হবে। তারপরও কোনও কারণে সে রেগে যেতে পারে অথবা কাঁদতে পারে। কান্নারও অনেক রকমফের আছে। অনেক সময় বাচ্চা এমনভাবে কাঁদে, তাতে অন্যরাও বিরক্ত হন। এই কান্নারও কারণ অনুসন্ধান করতে হবে। এখানে মায়েদের ভূমিকাই বেশি। বাচ্চার কোন কান্নার কী কারণ, তা তাঁরা বলতে পারেন। ছোট ছোট জিনিস পর্যবেক্ষণ করে মায়েদের এই বোঝার ক্ষমতাটা তৈরি হয়। কোন কান্নাটা রাগের, কোনটা খিদের সেটা মায়েরা বুঝতে পারেন। হয়তো অন্য কারও কোনও আচরণ বাচ্চার পছন্দ হয়নি, সেজন্য কাঁদছে। হয়তো কেউ জোর গলায় কিছু বলছেন। অথবা সেদিন হয়তো দেখা গেল বাইরে খুব আওয়াজ হচ্ছে। ফলে বাড়ির পরিবেশ শান্তিপূর্ণ হলেও বাইরের কোনও কারণে বাচ্চার মেজাজ তৈরি হতে পারে।

ভুল অনুমান
আমরা অনুমান করি, বাচ্চারা কিছু বোঝে না। ‘ওইটুকু বাচ্চা কী বুঝবে’, এটা আমরা প্রায়শই বলি। এটা ভুল ধারণা। আজকাল নিউক্লিয়ার পরিবারে বাচ্চার সঙ্গে শুধুমাত্র বাবা, মা থাকেন। তাঁদের মধ্যে যখন অশান্তি হয় তার প্রভাব বাচ্চার উপর পরে। রাগের মুহূর্তে বাবা, মা খেয়াল করছেন না তাঁদের চিৎকার বাচ্চার অসুবিধের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এমনকী গলার স্বর শুনেও বাচ্চার মেজাজ তৈরি হতে পারে। হয়তো বাচ্চাটাকে নিয়েই কিছু বলা হচ্ছে। যে স্বরে ওর সামনে আলোচনা হচ্ছে, তাতে বাচ্চার কোথাও একটা অস্বস্তি তৈরি হচ্ছে। ধীরে ধীরে সেটাই রাগের, মেজাজ হারিয়ে ফেলার কারণ হতে পারে। আগে যৌথ পরিবারেও অনেক চিৎকার হতো। আবার কিছু লোক থাকত, যারা বাচ্চাটাকে ওই অশান্তির জায়গা থেকে সরিয়ে নিয়ে যেত। বাচ্চাটা হয়তো ঠাকুরমার ঘরে গিয়ে বসে থাকত। অথবা কাকা বাচ্চাটিকে নিয়ে পাড়ায় বেড়াতে চলে যেতেন। এভাবে মনোযোগ অন্যদিকে ঘোরানো যেত। এখন বাচ্চার পালিয়ে যাওয়ার জায়গা নেই। সেটা ওকে টেনশনে ফেলছে। বাবা, মায়ের চিৎকার দেখে ছোট থেকেই বাচ্চাটি নিজেও চিৎকার করতে শিখছে। ফলে পরিবেশ, চারপাশের মানুষ কী বলছেন, বাচ্চার জন্য সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। 

দেখার বিপদ
অনেক সময় বড়দের সুবিধের জন্য বাচ্চাদের হাতে মোবাইল ধরিয়ে দেওয়া হয়। আগে টিভি চালিয়ে দেওয়া হতো। সন্তান মোবাইলে কী দেখছে, সেটাও সবসময় ভালো করে খেয়াল করা হয় না। সে হয়তো হিংসাত্মক কিছু দেখছে। এমন কোনও অনুষ্ঠান দেখছে যেখানে চিৎকার আছে, কোনও ভয়ের জিনিস আছে, যেটা দেখে বাচ্চাটি উত্তেজিত হয়ে পড়ছে। বাবা, মা সেটা শনাক্ত করতে পারছেন না। কোন জিনিসটা বাচ্চাকে ট্রিগার করছে, সেটা বুঝতে না পারার কারণে সমস্যাটিকে সমাধানের দিকে নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না। ফলে আপনার সন্তান কী দেখছে, তা নজরে না রাখলে বিপদ বাড়বে।

ধৈর্যের অভাব
বাবা, মাকে অসীম ধৈর্যশীল হতে হবে। বাস্তব ক্ষেত্রে অনেক সময়ই সেটা সম্ভব হয় না। হয়তো আপনার বাচ্চা কোনও দোষ করেছে। তাকে নিয়মানুবর্তী করা দরকার। কিন্তু কীভাবে তাকে আমরা নিয়মানুবর্তী করছি? বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাবা, মায়েরা বলেন সারা দিন কাজের শেষে বাড়ি ফিরে তাঁরা ধৈর্য হারিয়ে ফেলে বাচ্চার উপর চিৎকার করে ফেলছেন। খুব ছোট কারণে অনেক বেশি রাগ দেখিয়ে ফেলছেন। এতে বাচ্চার টেনশন বাড়ছে। বাচ্চা শিখছে, ছোট জিনিসে সেও চিৎকার করতে পারে। ধরুন, আপনার ছেলে বা মেয়ে স্কুলের পরীক্ষায় হয়তো কম নম্বর পেয়েছে। অথবা শিক্ষক বলেছেন, ক্লাসে সে বেশি কথা বলে। এগুলো সামান্য জিনিস। কিন্তু সেটা নিয়ে হুলুস্থুল কাণ্ড করা হয়। হয়তো বাবা মাকে ফোন করে বললেন, অথবা উল্টোটা। আসলে এখন তো বাড়িতে একটা করেই বাচ্চা। সামান্য জিনিসে কড়া প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। শিক্ষকরাও খুব সহজে বাবা, মাকে ফোনে যোগাযোগ করতে পারেন। সহজে অভিযোগ জানাতে পারেন। অনেক বাবা, মা আবার প্রতিদিন স্কুলের রুটিন শুনতেও চান। ফলে অনেক সময় তুচ্ছ কারণে বাচ্চাকে অতিরিক্ত মাত্রায় বকুনি দেওয়া হয়। সেটাও বাচ্চাকে টেনশনে ফেলতে পারে। 

গ্রহণযোগ্যতার অভাব
এবার আরও একটু খতিয়ে দেখা যাক। এই ঘটনা কারও বাড়িতে ঘটলে, সেটা কিন্তু বড় সমস্যার কারণ হতে পারে। বর্তমানে সন্তান জন্মানোর পর থেকেই তার উপর প্রচুর চাহিদা তৈরি হয়। যে কোনও কারণেই সে চাহিদা পূরণ নাও হতে পারে। বাচ্চার চেহারা, রং, ওজন, চোখ, নাকের গঠন, তার অর্জিত সাফল্য— যে কোনও দিক থেকে সেই চাহিদা তৈরি হতে পারে। সন্তানের কোনও কিছু যদি আমার মনের মতো না হয়, আমি যদি ভাবি, আমি তো এরকম চেয়েছিলাম, তা তো পেলাম না। এর থেকে বড় ক্ষতি আর কিছুতে নেই। বাবা, মায়ের এধরনের আচরণ বাচ্চাটাকে ছোট থেকে বুঝিয়ে দেয়, যেটা ওঁরা চেয়েছিলেন, সে সেটা নয়। এতে খুব ছোট থেকে ও ভাববে আমি তো গ্রহণযোগ্যই নই। অনেক বাচ্চা আমাকে বলে ‘বাবা, মা আমাকে ভালোবাসে না।’ কেন ভালোবাসে না? বাচ্চাদের বোঝানোর সেই ভাষাটা নেই। ওরা বলতে পারে না, আমি যেরকম, সেরকমটা নিয়ে আমার বাবা, মা খুশি নয়। আমাকে বাবা, মা  অন্যদের সঙ্গে তুলনা করছে। এই দুঃখটাই ধীরে ধীরে রাগের কারণ হয়ে উঠতে পারে। ভবিষ্যতে তা ব্যবহারিক সমস্যারও কারণ হতে পারে।

স্কুলের ভূমিকা
স্কুলেও আপনার সন্তানের একই সমস্যা হতে পারে। কেউ হয়তো তাকে ‘বুলি’ করছে। ‘টিজ’ করছে, খ্যাপাচ্ছে। কেউ মারধোর করেছে। সেটার উপর হয়তো যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। এতে তো ওদের কষ্ট হয়। বাচ্চারা খুব অনুভূতিপ্রবণ। ওদের বোঝাতে হবে, এগুলো তো হবেই। প্রত্যেকটা বাচ্চার জীবনে এগুলো হয়। হওয়াটা অন্যায় নয়। আসলে বাচ্চাটা সহানুভূতি ছাড়া কিছুই চাইছে না। হয়তো মা বলল, ‘তোমাকে এমন করেছে, এমন হলে তো কষ্ট পাওয়ারই কথা। তোমাকে কেউ মারলে তোমার দুঃখ পাওয়ার কথা, রাগ তো হওয়ারই কথা।’ অর্থাৎ আমরা তার কষ্টটা বোঝার চেষ্টা করছি। গুরুত্ব দিচ্ছি।  যদি আমরা বলি, ‘তুমি উল্টে একটা থাপ্পড় মারলে না কেন?’ এতে বাচ্চার মনে হবে, আমার সমস্যা নিয়ে যদি কথা বলি, তাহলে উল্টে আমাকে আরও কথা শুনতে হবে। আমার দুঃখটা তো কমল না। সেটা আরও বেড়ে গেল। অনেক বাবা, মা বলেন, বাচ্চা বাড়িতে কিছুই বলতে চায় না। কেন বলতে চায় না? কারণ সেটা বলতে গেলে যে প্রতিক্রিয়া হবে, ও সেটা চায় না। ও যে প্রতিক্রিয়া আশা করছে, সেটা ও পাচ্ছে না। ফলে ও তো বলবে না। এর ফলে ধীরে ধীরে বাচ্চারা মিথ্যে বলতে শুরু করে। সত্যি বললে তারা বকুনি খায়। ভাবে, মিথ্যে বললে ধরা পড়বে না। সেটা থেকে আবার একটা রাগ, টেনশনের পরিস্থিতি তৈরি হয়। 

মিথ্যে বলার অভ্যেস
বাচ্চাদের মধ্যে কখনও কখনও বিভ্রান্তি তৈরি হয়। বাবা, মা শেখান ‘বিয়েবাড়ি গিয়েছিলি বলে স্কুলে যেতে পারিসনি, সেটা স্কুলে গিয়ে বলিস না।’ এই বাবা, মা-ই আবার বলেন, বাচ্চা তো কথায় কথায় মিথ্যে কথা বলে। ও এসব স্কুলে গিয়ে শিখছে। ফলে এই পরিস্থিতিতে বাচ্চা বিভ্রান্ত হতে পারে। আদতে ওর কী বলার, সেটা বুঝতে পারে না। 

ভাষার ব্যবহার
বাড়িতে সারাক্ষণ ঝগড়া কিন্তু সন্তানের জন্য একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। বাবা, মায়ের বিচ্ছেদও ওদের খুব ভাবিয়ে তোলে। কথায় কথায় যদি বাবা বা মায়ের কাছ থেকে বাচ্চা শোনে, ‘আমি এবার ডিভোর্স করে বেরিয়ে চলে যাব। বাড়িতে আর থাকব না।’ অথবা আরও ভয়ংকর কথা, ‘আমি এবার গলায় দড়ি দেব। রেললাইনে ঝাঁপ দেব।’ এসব বাচ্চাকে সাংঘাতিক সমস্যায় ফেলে। বাচ্চারা এগুলো বোঝাতেই পারে না। একদল বাবা, মা ধৈর্য হারিয়ে বলে ফেলেন, ‘তুই মরিস না কেন?’ এটা কিন্তু নতুন নয়। যুগে যুগে হয়ে আসছে। বাচ্চা যদি সারাক্ষণ নেগেটিভ কথা শুনে বড় হয়, তার মধ্যে রাগ তৈরি হতে বাধ্য। রাগ আবেগের একটা বহিঃপ্রকাশ। অনেক সময় দুঃখে, অভিমানেও রেগে যায়। সেটা বুঝতে হবে।

শিশুর রাগ, মেজাজ বা টেনশনের কারণ বুঝতে পারলে তার সমাধান বের করা সহজ। প্রাথমিকভাবে বাবা, মা অথবা পরিবারের সদস্যদের কেমন আচরণ হবে, তা নিয়ে এবার আলোচনা করব।
 প্রথমত বাচ্চারা কিছু বোঝে না, এটা ভাবা বন্ধ করতে হবে। আমার কাছে অনেক সময় বাচ্চাকে সঙ্গে নিয়ে মায়েরা আসেন। সেখানে মা রোগী। মা এসে বলছেন, ও তো কিছু বোঝে না। আমি বলি, তাও আপনি ওকে বাইরে বসান। অথবা আপনার সঙ্গে বাড়ির আর কেউ এলে বাচ্চাকে তার কাছে রেখে আসুন। ফলে নিজেদের ব্যবহার, পরিবেশের দিকে নজর রাখা ভীষণ জরুরি। আমরা ধরে নিচ্ছি বাচ্চা কিছু বোঝে না। সেটা ভুল। ওরা অনেক কিছুই বুঝতে পারে। অনেক কিছু না বুঝলেও অজান্তেই অনুসরণ করতে শুরু করে। ফলে ওদের একটা শান্ত, সুস্থ পরিবেশ দেওয়াটা ভীষণ দরকার।
 আমরা যে আচরণ করি, সেই ব্যবহার যখন বাচ্চা করছে, সেটা আমাদের পছন্দ হয় না। ফলে সমালোচনার চোখ দিয়ে নিজের দিকে তাকাতে হবে। বুঝতে হবে আমার থেকে বাচ্চা কোন খারাপ জিনিসটা শিখল। এমন কিছু খারাপ আচরণ কি আমি করছি, যেটা বাচ্চা পরোক্ষে আমার থেকেই রপ্ত করছে?
 আপনার সন্তান যখন স্কুল থেকে ফিরছে সে কত নম্বর পেল, কেন আরও বেশি নম্বর পেল না, বাকিরা কেন বেশি পেয়েছে, ও কেন পায়নি, এসব আলোচনা করবেন না। জিজ্ঞেস করুন, ওর দিনটা কেমন কেটেছে। সেখানে যদি ও বলে, ওকে কেউ ধাক্কা মেরেছে, ওর পায়ে আঁচড় কেটেছে, সেদিকে নজর দিন। বিনা বিচারে ওর সঙ্গে কথা বলুন। আমরা বড়রাও যখন একটা সমস্যার কথা কাউকে বলি, আমরা সহানুভূতি চাই। বোঝাপড়া চাই। আমরা কিন্তু সব সময় সমস্যার সমাধান চাই না। ফলে ওর প্রতি ‘কনসার্ন’ দেখান। সারাক্ষণ তুমি অতি ক্যাবলা, কিছুই পারো না, সেসব বলবেন না। যেখানে মনে হচ্ছে, গুরুতর সমস্যা, বুলিং বা অন্য কিছু সেখানে বাবা, মায়ের দায়িত্ব স্কুলে গিয়ে জানানো।
 আপনার বাচ্চার মধ্যে যদি হঠাৎ ব্যবহারিক পরিবর্তন আসে, তখন স্কুলে কী হচ্ছে খোঁজ নিন। নানারকম ভাবে নির্যাতনের শিকার হতে পারে বাচ্চারা। যদি শোনেন কেউ এমন কিছু করেছে, যাতে বাচ্চার অস্বস্তি হতে পারে, সেখানে স্কুলে গিয়ে রিপোর্ট করা বাবা, মায়ের দায়িত্ব। প্রতিটা জিনিস বাচ্চার উপর ছেড়ে দেবেন না।
 আপনার ব্যবহারে কিছু সামঞ্জস্য থাকা উচিত। শাসন করতে হবে। শাসন মানেই মারধোর নয়। স্থির, নম্রভাবেও শাসন করা যায়। বাচ্চা যদি রাগ দেখায়, অনেক সময় বায়না করে, তার জন্য রাগ দেখায়। আমাকে এটা না দিলে স্কুলে যাব না, খাব না, এগুলো এক ধরনের ইমোশনাল ব্ল্যাকমেল। যা বাচ্চারা শিখে যায়। সেগুলোতে উৎসাহ দিলে হবে না। বলতে হবে, আমি এটা কিনে দেব না। তাতে যদি তুমি স্কুলে অনুপস্থিত থাকো, শিক্ষক জানতে চান কী হয়েছিল? আমি সত্যি কথাই বলব। আমি বলব, তোমার কিছুই হয়নি। যে বায়নাগুলো রেগে গিয়ে করে বাচ্চারা, সেই আবদার মেটানো হলে তার ফল ভয়ঙ্কর হতে পারে। বাচ্চা শিখে যায়, আমার কিছু চাইতে গেলে একটু রাগ দেখব, তাহলেই পেয়ে যাব। অপ্রাপ্তি, হতাশা, টেনশন, রাগ, ক্ষোভ সব কিছু থেকে যে ফ্রাস্ট্রেশন তৈরি হয়, ও সেটা সহ্য করতে শিখবে না। ওর ব্যক্তিত্ব গঠন হবে না।
 আজকে আমার বাড়ির যে নিয়ম, আগামিকালও তা থাকা উচিত। যাতে বাচ্চার কাছে কথা, তখন যদি দেখি পড়তে বসছে না, তার জন্য একদিন হয়তো ভীষণ বকলাম। পরের দিন আমার মুড ভালো বলে পড়তে বসার সময়টা বাচ্চা টিভি দেখলে বা মোবাইল গেম খেললে আমি সেটা ওকে করতে দিলাম। এই আচরণ বদলাতে হবে। 
মডেল: সঙ্ঘমিতা রায়চৌধুরী ও আর্য রায়চৌধুরী
অনুলিখন: স্বরলিপি ভট্টাচার্য
08th  September, 2024
ডুয়াল পার্সোনালিটি হয় কেন

দ্বৈত সত্তা! কাদের থাকে, কেন হয়? এ থেকে বেরিয়ে আসার উপায়ই বা কী? জানালেন মনোবিদ ডঃ অমিত চক্রবর্তী। বিশদ

12th  September, 2024
হার্ট ও কোলেস্টেরলের সমস্যায় রোজ কটা ডিম খাবেন?

পরামর্শে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ আশিস মিত্র। বিশদ

12th  September, 2024
অন্ধত্বের চিকিৎসায় স্কুল উদ্বোধন

এই রাজ্যে প্রায় ১.৬৬ শতাংশ জনসংখ্যা অন্ধত্বে আক্রান্ত। এমতাবস্থায় এই রাজ্যে উদ্বোধন হল শঙ্কর নেত্রালয়া এলিট স্কুল অফ অপটোমেট্রি (এসএনইএসও)-এর। বিশদ

12th  September, 2024
আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে হোমিওপ্যাথিক ফোরাম

সম্প্রতি অভয়া হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নেমেছিল পশ্চিমবঙ্গ হোমিওপ্যাথিক ফোরাম। প্রায়৭০০ জনেরও বেশি চিকিৎসক মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের দলমত নির্বিশেষ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকরা  শিয়ালদহ থেকে মানিকতলা পর্যন্ত রাজপথ জুড়ে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদী মিছিলে হাঁটলেন। বিশদ

12th  September, 2024
বিশিষ্ট হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের জন্মদিন পালন

বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ জে এন কাঞ্জিলালের ১১৬ তম জন্মদিন পালিত হল কলকাতার বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল মিউজিয়ামে। বিশদ

12th  September, 2024
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়!

প্রতিটি সমস্যাই আসলে জীবনের শিক্ষা!’— একথা আমরা পড়েছি পাঠ্যবইয়ে। সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় সেকথা উপলব্ধি করেছেন নিজের জীবন দিয়ে। একদা চলচ্ছক্তিহীন মেয়েটি মেরুদণ্ড শক্ত করে উঠে দাঁড়িয়েছেন নিজের পায়ে। দাঁড় করিয়েছেন ব্যবসা। আরও এক লড়াকু মেয়ের সঙ্গে পরিচয় করালেন স্বরলিপি ভট্টাচার্য।  বিশদ

08th  September, 2024
পথ্যে অক্ষত যৌবন!

পরামর্শে নারায়ণা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের সিনিয়র ডায়েটিশিয়ান শতভিষা বসু।  বিশদ

08th  September, 2024
রাগের মিটার! 

স্ট্রেস ও টেনশন থেকে রাগ হলেও কেউ কেউ সেই পরিবেশে মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করতে পারেন। কেউ আবার অল্পেই মাথা গরম! আপনি ঠিক কোন দলে? রাগ, স্ট্রেস এগুলো আপনার মনকে কতটা নিয়ন্ত্রণ করে? আমরা দিলাম প্রশ্নমালা। নীচে থাকবে সম্ভাব্য কিছু উত্তর। সব উত্তরের জন্য নির্দিষ্ট কিছু মান আছে। মনে মনে সৎ থেকে মিলিয়ে নিন আপনার উত্তরের নম্বর কী হল। তারপর দেখে নিন আপনার রিপোর্ট কার্ড!
বিশদ

08th  September, 2024
হঠাত্‍ হার্ট অ্যাটাক, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে কী করবেন?
 

পরামর্শে মেডিকা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডাঃ ইন্দ্রনীল দাস। বিশদ

08th  September, 2024
জিমে না গিয়ে মেদ ঝরান, জেনে নিন সঠিক নিয়ম

পরামর্শে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যোগা ও ন্যাচারোপ্যাথি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ও যোগ বিশারদ তুষার শীল। বিশদ

05th  September, 2024
বঙ্গসাহিত্যের ডাক্তার ও ডাক্তারি

‘ডাক্তার মানে সে তো মানুষ নয়/আমাদের চোখে সে তো ভগবান।’ গায়ক নচিকেতার গানের এই কথায় বেশিরভাগ মানুষই বিশ্বাস করেন। তবে ডাক্তারের সমালোচনামূলক এই গানের বাকি কথাগুলির সমর্থকের সংখ্যাও নেহাত কম হবে না। বিশদ

05th  September, 2024
অপরাধী চিনতে ডিএনএ

অপরাধের জায়গায় অপরাধী ফেলে যায় তার কিছু না কিছু সূত্র। কোন কোন প্রযুক্তি ব্যবহার করে তদন্তকারীরা ধরে ফেলেন তাকে? জানালেন জিন গবেষক ডঃ অনির্বাণ মিত্র ও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। বিশদ

05th  September, 2024
সর্বোচ্চ কোন বয়সে করা যেতে পারে হাঁটু এবং কোমর প্রতিস্থাপন!

পরামর্শে রবীন্দ্রনাথ টেগোর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট অর্থোপেডিক এবং রোবোটিক সার্জেন ডাঃ সূর্যউদয় সিং। বিশদ

05th  September, 2024
পলিগ্রাফ ও নারকো টেস্টের খুঁটিনাটি

কে করল অপরাধ? দোষীকে খুঁজতে তদন্তকারী অফিসাররা প্রায়ই করেন এই দুই পরীক্ষা। কেমন করে হয় এই পরীক্ষাগুলি? বিস্তারিত জানালেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ জয়রঞ্জন রাম। বিশদ

29th  August, 2024
একনজরে
পুজোর বাকি আর মাত্র কয়েকটা দিন। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে চলছে প্যান্ডেল তৈরির কাজ। নাওয়া-খাওয়া ভুলে সকাল থেকেই পুজো উদ্যোক্তারা পড়ে আছেন পুজো প্রাঙ্গণে। কেউ ব্যস্ত প্যান্ডেল ...

শেষবার তিনি মাঠে নেমেছিলেন কোপা আমেরিকা ফাইনালে। খেতাবি লড়াইয়ে গোড়ালিতে চোট পেয়ে চোখের জলে মাঠ ছেড়েছিলেন লায়োনেল মেসি। তারপর কেটে গিয়েছে দু’মাস। চোট সারিয়ে মাঠে ...

আরজি কর কাণ্ডে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে ইতিমধ্যেই রাস্তায় নেমেছে বাম, অতিবাম, কংগ্রেস, বিজেপি সহ তামাম বিরোধী দল। ...

আবার হিট অ্যান্ড রানের ঘটনা বাণিজ্য নগরী মুম্বইয়ে। দ্রুতগতির গাড়ি পিষে দিল দুই বাইকযাত্রীকে। যার জেরে প্রাণ হারিয়েছেন বছর সতেরোর এক কিশোর। গুরুতর জখম তাঁর ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

আয় বৃদ্ধি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। কর্মস্থলে সাফল্য ও প্রশংসা লাভের সম্ভাবনা। শরীর-স্বাস্থ্য বুঝে চলুন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ওজোন স্তর রক্ষা দিবস
১৭৩৬ - পোলিশ ডাচ পদার্থবিদ তথা প্রকৌশলী ও থার্মোমিটার উদ্ভাবক ড্যানিয়েল গ্যাব্রিয়েল ফারেনহাইটের মৃত্যু
১৮১২ - মস্কো শহরে এক অগ্নিকাণ্ডে এক দিনে প্রায় তিন-চতুর্থাংশ শহর পুড়ে গিয়েছিল
১৯০৮- জেনারেল মোটরস কর্পোরেশনের প্রতিষ্ঠা
১৯১৬- ধ্রুপদী সংগীতশিল্পী এম এস শুভলক্ষ্মীর জন্ম
১৯৩১- হিজলি ক্যাম্পে বন্দিদের উপর গুলিতে হত দুই বিপ্লবী সন্তোষকুমার মিত্র এবং তারকেশ্বর সেনগুপ্ত
১৯৩২- নোবেলজয়ী স্কটিশ চিকিৎসক রোনাল্ড রসের মৃত্যু
১৯৪৫- রাজনীতিবিদ পি চিদাম্বরমের জন্ম
১৯৫৩- যুক্তরাষ্ট্রের রক্সি থিয়েটারে বিশ্বের প্রথম সিনেমাস্কোপ চলচ্চিত্র ‘দ্য রোব’ প্রদর্শিত
১৯৫৫- আন্তর্জাতিক কপিরাইট কনভেনশন চালু
১৯৮৭- বিশ্বের ২৭টি দেশ ভূ-পৃষ্ঠের বায়ু মন্ডলকে রক্ষা করার জন্য ক্লোরোফ্লোরো কার্বন গ্যাস ব্যবহারে বিধিনিষেধ প্রয়োগে চুক্তিবদ্ধ হয়



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.৮৪ টাকা
পাউন্ড ১০৮.৬৪ টাকা ১১২.১৯ টাকা
ইউরো ৯১.৫৩ টাকা ৯৪.৭৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
14th  September, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,৫৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৬,৫৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৬,৬৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
14th  September, 2024

দিন পঞ্জিকা

৩১ ভাদ্র, ১৪৩১, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। ত্রয়োদশী ২৪/২০ দিবা ৩/১১। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র ২৭/৪৫ দিবা ৪/৩৩। সূর্যোদয় ৫/২৭/৮, সূর্যাস্ত ৫/৩৫/৫৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ১০/১৮ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/২২ গতে ৮/৪৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৭ গতে ২/১৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৯ গতে ৪/৪৬ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৮ গতে ৮/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/৩৪ গতে ৪/৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৪ গতে ১১/৩২ মধ্যে। 
৩০ ভাদ্র, ১৪৩১, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। ত্রয়োদশী দিবা ১/১১। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র দিবা ৩/৫১। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৩৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ১০/১৯ গতে ১১/৪৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৯ গতে ৮/৪৯ মধ্যে ও ১১/১০ গতে ২/১৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/১৪ গতে ৪/৫৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫৮ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ২/৩৫ গতে ৪/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৪ গতে ১১/৩২ মধ্যে। 
১২ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
কলকাতার সিপিকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

11:59:00 PM

আগামী কাল, মঙ্গলবার কলকাতা পুলিসে রদবদল করা হবে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

11:58:00 PM

স্বাস্থ্য অধিকর্তা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

11:57:00 PM

অভয়ার উদ্দেশ্যে সমবেদনা জানিয়ে বৈঠক শুরু করি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

11:55:00 PM

আমরা উভয়পক্ষই খুশি, বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

11:55:00 PM

কিছু বিষয়ে সহমত কিন্তু কয়েকটি বিষয়ে মতানৈক্য হয়েছে, জানালেন জুনিয়র ডাক্তাররা

11:53:00 PM