ব্যবসার গতি ও বেচাকেনার সঙ্গে লাভও বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। শত্রু সংখ্যা বাড়বে। ... বিশদ
রোদে হাঁটবেন না
একদম খুব সকালে না উঠে একটু বেলার দিকে হাঁটুন। কিন্তু শীতপ্রধান দেশে তা সম্ভব হলেও আমাদের দেশে তা সম্ভবব নয়। বরং রোদের মধ্যে হাঁটলে আখেরে শরীরের ক্ষতি। বেশি ঘাম হয়ে ইলেক্ট্রোলাইটসের ভারসাম্য বিগড়ে যেতে পারে। তাই রোদের মধ্যে হাঁটা একেবারেই এড়িয়ে চলুন। এর বদলে বিকালে কিংবা সন্ধ্যায় হাঁটুন। আর সকালে হাঁটতেই হলে রোদ ওঠার আগে বের হন। আর যদি কোনো কারণে রোদের মধ্যেই হাঁটতে হয়, অবশ্যই মাথা ঢাকুন। নাহলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।
হাঁটার আগে এক গ্লাস জল
সকালে হোক বা সন্ধ্যায়, গরমে হাঁটতে যাওয়ার আগে এক থেকে দেড় গ্লাস জল খান। তবে জল খেয়েই হাঁটতে বেরিয়ে পড়বেন না। জল খাওয়ার দশ মিনিট অপেক্ষা করুন। আর জল মানে কোনও ঠাণ্ডা পানীয় নয়। এমনকি ফ্রিজের ঠাণ্ডা জলও নয়। সাধারণ তাপমাত্রায় রাখা জল খান। এই জল খাওয়ার ফলে হাঁটার সময় ঘাম বেরোনোর ফলে শরীরে জলের মাত্রার যে ঘাটতি হয়, তা হবে না।
ঘরের মধ্যেই হাঁটুন
আমাদের অনেকের মধ্যেই ধারণা আছে যে রাস্তা বা মাঠে গিয়ে ঘাম ঝরিয়ে হাঁটতে না পারলে ঠিকমতো শরীরচর্চা হয় না। কিন্তু এটা একেবারেই ভ্রান্ত ধারণা। ঘরের মধ্যে কিংবা বারান্দায় হাঁটলে একই উপকার মিলবে। আসল কথা হল শরীরের অঙ্গ সঞ্চালন। গরমে বাইরে বেরোতে ইচ্ছা না হলে ফ্যান চালিয়ে ঘরের মধ্যে বা বারান্দায় হাঁটুন। কোনও সমস্যা নেই। ঘরে এসি থাকলে তা চালিয়ে ট্রেডমিল ওয়াকারেও হাঁটতে পারেন। তবে এসির তাপমাত্রা একেবারে কমিয়ে দেবেন না।
‘চেয়ারে বসে’ হাঁটুন
গরমে যাঁরা সহজে কাহিল হয়ে পড়েন বা যাঁরা বয়স্ক, তাঁরা চেয়ারে বসেও ‘হাঁটতে’ পারেন। শুনতে অদ্ভূত হলেও এটা সম্ভব। প্রথমে একটি হাতলহীন চেয়ারে বসুন। এরপর একবার ডান পা হাঁটার ভঙ্গিতে তুলে নামান, তারপর বাঁ পা তুলে নামান। একইসঙ্গে দু’হাতও হাঁটার সময় যে ভঙ্গিতে দোলে, সেভাবে দোলান। হাঁটার মতোই উপকার পাবেন।
উপকারে আসতে পারে প্রাণায়ম
গরমে হাঁটার সময় ক্লান্তিভাব কমাতে কাজে আসতে পারে প্রাণায়াম। হাঁটার আগে বা পরে নিজের ঠোঁটকে পাখির ঠোঁটের মত করুন। এরপর ধীরে ধীরে বাতাস টানুন। তারপর নাক দিয়ে সেই বাতাস ছাড়ুন। একে বলে শীতলী প্রাণায়ম। এছাড়া আছে ভ্রমণ প্রাণায়াম। প্রশ্বাস টানতে টানতে চার-পাঁচটি পদক্ষেপ ফেলুন। পরের চার-পাঁচটি পদক্ষেপে নিঃশ্বাস ছাড়ুন। এতে অল্প সময়ে শ্বাস নিতে কষ্ট হবে। কিন্তু না থেমে স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিন। এই প্রাণায়ম ১০ মিনিট করলে ১ ঘণ্টা হাঁটার উপকার পাবেন।