ব্যবসার গতি ও বেচাকেনার সঙ্গে লাভও বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। শত্রু সংখ্যা বাড়বে। ... বিশদ
হার্টের সমস্যার ভিন্ন ভিন্ন কারণ ও পর্যায় থাকে। তাছাড়া, কোনও রোগী ডাবের জল খেতে পারবেন কি না, সেবিষয়ে আলোচনায় জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কোনও ওষুধ খাচ্ছেন কি না বা খেলে কী ওষুধ খাচ্ছেন, তাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা আসার আগে ডাবের জলের উপাদান নিয়ে একটু কথা বলে নেওয়া জরুরি। ডাবের সিংহভাগ অংশ হল জল। এর মধ্যে যে ইলেক্ট্রোলাইটটিকে নিয়ে আমরা আলোচনা করব সেটা হল—পটাশিয়াম।
উচ্চ রক্তচাপ থাকলে?
বহু মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন—এই সমস্যার জন্য পটাশিয়াম ভালো। এক্ষেত্রে ডাবের জল খাওয়ার মধ্যে তেমন কোনও বাধা নেই। তবে এই একই উপাদান অন্য কোনও শাক-সবজি, ফলমূল থেকেও পাওয়া যেতে পারে। খরচও তুলনামূলক কম। এছাড়া, এই উপাদানগুলিতে আমরা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ভিটামিন, ফাইবারও পাই। বিশেষ করে ফাইবার ডাবের জলে প্রায় মেলেই না।
অন্য ওষুধ খেলে?
এখানে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে যে, রোগী কী এমন কোনও ওষুধ খান, যেটি শরীরে পটাশিয়ামকে ধরে রাখে? উত্তর যদি ‘হ্যাঁ’ হয়, তাহলে ডাবের জল খেলে এই উপাদানের মাত্রা বেড়ে গিয়ে সমস্যা তৈরি হতে পারে। আবার যদি শরীরে পটাশিয়াম কম থাকে, তাহলে ডাবের জল উপকারই করবে।
একই রোগীর কিডনি ও হার্টের সমস্যা থাকলে?
অনেকক্ষেত্রে দেখা যায়, রোগীর একইসঙ্গে কিডনি ও হার্টের অসুখ রয়েছে। এক্ষেত্রেও কিন্তু বাড়তি সতর্কতা জরুরি। সাধারণত দেখা যায়, কিডনির রোগে পটাশিয়াম শরীরে বাড়তে থাকে। কারণ, তা প্রস্রাবের সঙ্গে শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে পারছে না। এই সমস্যায় ডাবের জলের পটাশিয়ামও বেশ ক্ষতিকর। আমরা এই নিয়ে রোগীদের সবসময় সতর্ক করে দিই।
হার্ট ফেলিওর-এর সমস্যা থাকলে
অনেকে হার্ট ফেলিওরের সমস্যায় ভোগেন। এর অনেক কারণ থাকে। তবে মূলত হার্ট ভালোভাবে পাম্প করতে না পারায় শরীরে যথেষ্ট পরিমাণ রক্ত পৌঁছতে পারে না। এই সময় শরীরের জলের পরিমাণও বেড়ে যায়। যেসমস্ত রোগীর হার্ট ফেলিওর অত্যন্ত জটিল আকার ধারণ করেছে, তাঁদের ক্ষেত্রে জল খাওয়ার পরিমাণও বেঁধে দিতে হয়। তার উপর ডাব খেলে জলের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। আবার হার্ট ফেলিওরের রোগীকে এমন কিছু ওষুধ দিতে হয়, যা পটাশিয়ামকে শরীর থেকে বেরতে দেয় না। এ ধরনের রোগীকেও বাড়তি সতর্ক করে দিতে হয়। আধ গ্লাস খেলেন, অসুবিধা নেই। কিন্তু, জল পিপাসা পেলেই ডাবের জল খেয়ে আরও বড় বিপদ ডেকে আনবেন না।
ডায়ারিয়ার চিকিৎসায়?
কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, শরীর থেকে ফ্লুইড বা তরল অংশের সঙ্গে সোডিয়াম-পটাশিয়াম বেড়িয়ে যাচ্ছে। তখন ডাবের জল খাওয়া যেতে পারে। তবে এটিকে ডায়েরিয়ার চিকিত্সা হিসেবে না নেওয়াই ভালো। এজন্য ওআরএস কিন্তু অনেক বেশি কার্যকরী।