Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বিদ্বেষভাষণের কেন্দ্রে যখন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী
হিমাংশু সিংহ

বিশ্বকাপ ফুটবলে এমন বহুবার হয়েছে। কাপ যুদ্ধ শুরুর ছ’মাস আগে থেকে সবাই বলেছে, ব্রাজিলই এবার সেরা। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার এক নম্বর দাবিদার। একটু তফাতে আর্জেন্তিনা। কিন্তু টুর্নামেন্ট এগতেই দেখা গেল অঘটনের ফেরে আচমকাই সেরা বাজি ছিটকে গেল। টিম ফাইনালেও গেল না। আবার জার্মানি প্রথম রাউন্ডে হার দিয়ে শুরু করে, মাঝে ড্র এবং শেষ দৌড়ে সবাইকে বোকা বানিয়ে কখন হাসতে হাসতে কাপ হাতে শীর্ষে। বর্ণাঢ্য ভিকট্রি স্ট্যান্ডে। ভারতের চলতি অষ্টাদশ সাধারণ নির্বাচনও কি তেমন কোনও অঘটনের অপেক্ষায়? দু’দশক আগের বাজপেয়ি জমানার রিপ্লে না মোদির আগ্রাসী বিভাজনের জয়, শেষ হাসি কে হাসবে? বড্ড আগেই হাইপটা তুলে ভোট মরশুমের মাঝপথে এখন পস্তাচ্ছে গেরুয়া শিবির। ‘আব কি বার ৪০০ পার’ আস্ফালন কিংবা ‘বিকশিত ভারত-২০৪৭’ শেষে না ব্যুমেরাং হয়! বরং দু’শোর আশপাশে থমকে যাওয়ার শঙ্কা থেকেই বিকাশ ও উন্নয়নকে ঘুম পাড়িয়ে সরাসরি মেরুকরণে শান দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। বলছেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে মা-বোনেদের মঙ্গলসূত্রটা পর্যন্ত কেড়ে নেবে। মুসলমানদের বেশি সন্তান উৎপাদন ও অনুপ্রবেশকারীদের সঙ্গে যোগ নিয়েও একপেশে অশালীন মন্তব্য করতেও ছাড়ছেন না। দশ বছর দেশ শাসন করা এবং আরও পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার স্বপ্ন দেখা মহামান্য প্রধানমন্ত্রীর মুখে ওই কদর্য ভাষা ঘৃণাভাষণ শোভা পায়?
হঠাৎ এই ভয় এবং তার জেরে প্রধানমন্ত্রীর ‘ন্যারেটিভ’ বদল ইতিমধ্যেই নির্বাচনী পণ্ডিতদের ভাবাচ্ছে। প্রথম দফার ভোটের পর গত রবিবার রাজস্থানের সভা থেকেই রাষ্ট্রনেতার মুখে যেন আর কোনও আগল নেই। নির্বাচন কমিশনও দেখেও কিছু দেখছে না, নীরব দর্শক। দায় এড়াতে শুধু নাড্ডাজির কৈফিয়ত তলব করেই দায়িত্ব এড়াচ্ছে। যিনি মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন গুজরাত দাঙ্গা হয়েছে এবং ‘হাম পাঁচ হামারে পচ্চিস’ স্লোগানই যাঁর রাজনৈতিক উত্থানের প্রধান অনুঘটক তাঁর কাছ থেকে এর বেশি আর কী আশা করা যায়। উত্তরপ্রদেশে ২২ জানুয়ারির রামমন্দির উদ্বোধনের রেশ কখন উধাও হয়ে গিয়েছে, তার ঠিক ঠিকানা নেই। উল্টে রাজপুত-জাঠ দ্বন্দ্ব পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে বিজেপিকে বেজায় অস্বস্তিতে ফেলেছে। ফুঁসছে গুজ্জররাও। এর রেশ ছড়াচ্ছে অন্যত্রও। হিন্দি বলয়ে যাদব, কুর্মি, ভূমিহার ভোটের সিংহভাগই যে বিজেপির দখলে থাকবে, তাও হলফ করে বলা যাচ্ছে না। বারবার গিয়েও মোদির পক্ষে দক্ষিণের দ্রাবিড় রাজনীতিতে দাঁত ফোটানো সম্ভব হয়নি। খবর আসছে, কংগ্রেসকে খতম করতে গিয়ে রাজ্যে রাজ্যে ফল হয়েছে উল্টো। ছোট ছোট দলগুলি অক্সিজেন পেয়ে গিয়েছে। গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, বিভিন্ন রাজ্যে আঞ্চলিক দলগুলি এবার ভালো ফল করতে চলেছে বিজেপির ভোট কেটে। সঙ্গে এই প্রচণ্ড গরম এবং আড়াই মাসের ক্লান্তিকর ভোটপর্ব। এতটা দীর্ঘ সময় কারও পক্ষে টেম্পো ধরে রাখা অত্যন্ত কঠিন। বাংলা, মহারাষ্ট্র, বিহার, ঝাড়খণ্ড, পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও দিল্লি এবং অবশ্যই দক্ষিণ ভারত থেকে বিজেপির গ্রাউন্ড রিপোর্ট ও সঙ্ঘের খতিয়ানও মোটেই আশানুরূপ নয়। তামিলনাড়ু, কেরলে এবারও শূন্য হাতেই থামতে হচ্ছে। কর্ণাটক, তেলেঙ্গানায় আসন কমবে। আসন কমতে পারে উত্তরপ্রদেশ, বিহার, রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশেও। মহারাষ্ট্রের রাজনীতি সম্পূর্ণ ঘেঁটে গিয়েছে গেরুয়া শক্তিরই খামখেয়ালিপনায়। জটিল জাতপাতের সমীকরণ এমন পর্যায়ে যে মহারাষ্ট্রের মানুষ এবার খুব বেশি আশীর্বাদ করবে না কোনও একটি দলকে। মারাঠা ভূমে বত্রিশভাজা ভোটভাগের সুফল কে শেষ পর্যন্ত ঘরে তুলবে, তার হদিশ কারও কাছেই নেই।
এই পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে ভোটারের নাড়ি টিপে বেড়াচ্ছেন একজনই, নরেন্দ্র মোদি। রাজ্যে রাজ্যে একবার নয়, একাধিকবার নামছে তাঁর ধুলো ওড়ানো বিমান, কপ্টার, অলিগলিতেও ছুটছে কনভয়। জনগণের মন পড়তে পারছেন কি? দল ও সরকারের দু’নম্বর মুখ অমিত শাহ দেরিতে হলেও প্রচারে নেমেছেন বটে, আসরে রাজনাথ, স্মৃতি ইরানি, অনুরাগ ঠাকুররাও আছেন, কিন্তু সূর্যের তেজের পাশে বাকি সবাই বড্ড ম্লান। তিনি কথা দিয়েছেন, সারা দেশে দেড়শোর উপর সভা করবেন। কিন্তু নতুন কথা কী বলবেন? একই কথার ক্লান্তিকর পুনরাবৃত্তিতে তাঁর মুখ, অবয়ব ক্রমেই ক্লিশে। দু’দফার ভোটের পর ইনটেলিজেন্স রিপোর্টেও তাঁর আত্মবিশ্বাস কোথাও যেন ধাক্কা খাচ্ছে। ভোট কম পড়ার কারণ নিয়েও নানা মুনির নানা মত। এক সমীক্ষার সঙ্গে অন্যের হিসেব মিলছে না। দু’দফায় মাত্র ১৯০ আসনে ভোট হয়েছে। আরও পাঁচ দফার মতদান বাকি। প্রথম দফায় ভোটের শতাংশ কমে যাওয়ায় উল্টে একটা ভয় চেপে বসেছে যেন। এটা ঠিক, আমরা কেউ ভবিষ্যৎদ্রষ্টা নই। আসলটা জানা যাবে ৪ জুন দুপুরেই। তার আগে শুধুই সম্ভাবনা আর আশঙ্কার দু’শো কাটাকুটি। কিন্তু মোদিজির কদর্য ভাষার সঙ্গে হঠাৎ বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বদলে যাওয়াতেই একটা অজানা ভয় দানা বাঁধছে যেন।
কিন্তু যিনি তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্নে বিভোর, যিনি স্বঘোষিত ‘বিশ্বগুরু’, বারে বারে বলেন, গত দশ বছরে নাকি বৈদেশিক রাজনীতির মানচিত্রে অতীত জমানার তুলনায় অনেক বেশি সমীহ আদায় করতে সক্ষম হয়েছে নতুন ভারত। সেই তথাকথিত ‘নয়া ভারতের রূপকার’ ভোটের স্বার্থে ঘোমটা খসিয়ে খুলে আম বিভাজনের বিষবৃক্ষ রোপণ করবেন, কে ভেবেছিল! এখানেই তিনি থামেননি। এরপরই সবাইকে চমকে দিয়ে বলেছেন, তাঁর এই আশঙ্কার কারণ মনমোহন সিংয়ের ১৮ বছর আগের একটি আপাত নিরীহ মন্তব্য এবং এবারের কংগ্রেস ইস্তাহারের একটি বাক্যবন্ধ। ইউপিএ জমানাতেও জাতীয় উন্নয়ন পর্ষদ (ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল) নামে একটি সংস্থা ছিল। মোদি জমানায় যোজনা কমিশনের (প্ল্যানিং কমিশন) মতোই তাও একপ্রকার বিলুপ্তই বলা চলে। তারই ৫২তম বার্ষিক সভায় ২০০৬ সালের ৯ ডিসেম্বর  মনমোহন বলেছিলেন, দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে সব গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়কে সমানভাবে শামিল করতে হবে। তাঁর অপরাধ ওইটুকুই। ইনক্লুসিভ গ্রোথের পক্ষে সওয়াল। কৃষক, শ্রমিক, সংখ্যালঘু, পিছড়ে বর্গ সবাইকে রাষ্ট্রের উন্নয়নে শামিল করার কথা বলতে গিয়ে শেষে বলেছেন একটি বাক্য। পিছিয়ে পড়াদের এগিয়ে নিয়ে যেতে দেশের সম্পদে মুসলমানদেরই প্রথম অধিকার। আগের অংশটি না বলে শুধু ওই একটি বাক্যকে তুলে এনে হিন্দু-মুসলিম কার্ড খেলা কোনও পোড়খাওয়া রাষ্ট্রনায়কের কাছে কি আশা করা যায়? মনমোহন কী বলেছিলেন সেদিন: ‘ The component plans for schedule castes and tribes will need to be revitalised. We will have to devise innovative plans to ensure that minorities, particularly muslim minority, are empowered to share equitably in the fruits of development. They must have the first claim on our resources.’ এই গোটা বক্তব্যে কোথাও হিন্দুদের ধনসম্পদ কেড়ে সংখ্যালঘুদের দেওয়ার কথা বলা আছে কি? নাকি মঙ্গলসূত্র ছিনিয়ে নেওয়ার প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে? বরং ঠিক উল্টোটাই। আদর্শ নেতার মতোই সংখ্যালঘুসহ সমাজের দুর্বলতর অংশের ক্ষমতায়নের অঙ্গীকার করা হয়েছে। এই গোটা বক্তব্যকে ধার করেই তো নরেন্দ্র মোদি আজ ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশের’ বুলি কপচাচ্ছেন। অস্বীকার করার উপায় নেই, মনমোহনজির একশো দিনের কাজই আজ গ্রামীণ ভারতের বেকারত্বের জ্বালা কিছুটা হলেও জুড়োতে সক্ষম হয়েছে।
আসলে বাস্তব কোনও সমস্যাকে না ছুঁয়ে আবারও শুধু একটা কৃত্রিম বাতাবরণ তৈরি করে কুর্সি দখলের কিছু ‘সাইড এফেক্ট’ তো থাকবেই। বিশেষ করে তিনি যখন ঠান্ডাঘরে বসে দেশ চালান না, ঘুরে ঘুরে ভাত কতটা সেদ্ধ হয়েছে নিজেই পরখ করে দেখেন। কিন্তু তিনি এও জানেন  ধর্ম, মন্দির এবং বিভাজনকে স্টেরয়েড হিসেবে ব্যবহার করলে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতি অনিবার্য। কোনও ওষুধ আর কাজ করবে না। তা থেকেই একটা অজানা ভয় মোদিজিকে তাড়া করছে। যদি না-হয়, যদি হিসেব উল্টে যায়, যদি রাজ্যপাট হাতছাড়া হয়, এমনই কু ডাকছে মন। আর তা ঢাকতেই সরাসরি হিন্দু-মুসলমান বিভাজনের রাজনীতির নিরাপদ ঘেরাটোপে আশ্রয় নিতে চাইছেন ভোটের ভরা মরশুমে। কী ভাষার শালীনতা, কী দৃষ্টিভঙ্গির স্বচ্ছতা—সবই আজ ব্রাত্য! এটাই দেশের চরম দুর্ভাগ্য। যিনি তৃতীয়বার দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতায় আসীন হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন, তাঁর পক্ষে এমন নিম্নরুচির শব্দ ও বিভাজনের খুল্লামখুল্লা বিষ ছড়ানো কি সভ্য নাগরিক সমাজ মেনে নিতে পারে? 
এবং, যে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে তিনি এই বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন, এক মুহূর্তের জন্য দীর্ঘ রাজনৈতিক কেরিয়ারে তাঁকে ‘জিব ছুট’ হয়ে কোনও অপশব্দ উচ্চারণ করতে দেখা যায়নি—শত্রু, মিত্র কারও সম্পর্কেই। মনমোহন সিংয়ের সমালোচনা করতে গিয়ে ‘দুর্বল’, সোনিয়া রাহুলের ‘তল্পিবাহক’, ‘মেরুদণ্ডহীন’, এমন অনেক অপশব্দ তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছে। এমনকী, তাঁর মন্ত্রিসভার অর্ডিন্যান্স পর্যন্ত তাঁর দলেরই শীর্ষ নেতা প্রকাশ্যে ছিঁড়ে দিয়েছেন বলেও বিতর্ক কম হয়নি। সেদিনও মার্কিন মুলুকে বসে তিনি নির্বিকার ঠান্ডা। সমালোচনা যতই হোক, কেউ বলতে পারবেন না যে ব্যক্তিগত স্তরে তিনি কখনও ভোটের স্বার্থে হিন্দু-মুসলমান বিভাজনের রাজনীতিকে ব্যবহার করেছেন, কিংবা দাঙ্গা বাধিয়ে হানাহানির ফসল ঘরে তুলেছেন, অথবা বুকের ছাতি ফোলানোর মিথ্যে প্রহসনে শামিল হয়েছেন! বলা বাহুল্য, এসব থেকে শতহস্ত দূরে ছিলেন বলেই বহু চেষ্টা করেও তাঁর সফেদ পাঞ্জাবিতে কাদা লেপতে আজও ব্যর্থ মোদির বিজেপি। বরং চারশো আসন জয়ের ‘খোয়াব’ মুখ থুবড়ে পড়তেই সচেতনভাবে তিনি ভয় দেখাচ্ছেন কুৎসিত ভাষায়। লজ্জার মাথা খেয়ে বলছেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে আপনার জমি, জায়গা, স্থাবর অস্থাবর তো বটেই সোনার মঙ্গলসূত্রটা পর্যন্ত বাঁচবে না। এক ধাক্কায় সব নিয়ে নেবে। কংগ্রেস সরকার সুচতুরভাবে তা কেড়ে নিয়ে নাকি যাদের বেশি সন্তান (ইঙ্গিতটা বুঝুন!), যাঁরা অনুপ্রবেশকারী (ঘুসপেটিও!) তাঁদের মধ্যে ভাগ করে দেবে। তাহলে কংগ্রেস শাসনের ৫৫ বছরে কত মঙ্গলসূত্র হিন্দুর ঘর থেকে মুসলমানের কাছে গিয়েছে, সেই হিসেবটা কি দেবেন গেরুয়া থিঙ্কট্যাঙ্করা?
এমন ভয়ঙ্কর মিথ্যেকে যিনি সত্যিতে পরিণত করতে পারেন, তাঁর সম্পর্কে সাবধান হোন। না-হলে সর্বনাশের আর দেরি নেই। গণতন্ত্র, সংবিধান, ধর্মনিরপেক্ষতা কিচ্ছু বাঁচবে না। অমৃতকাল শুধু বিদ্বেষ আর গরল বর্ষণেরই নির্মম সাক্ষী হয়ে থেকে যাবে।
28th  April, 2024
আবার সেই ‘ইসলামোফোবিয়া’!
মৃণালকান্তি দাস

ভোটের মুখেই রাজস্থানে সংখ্যালঘু মোর্চার নেতা উসমান গণিকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি! উসমানের অপরাধ? একটি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘মুসলিম সমাজের নাম করে প্রধানমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন তা কাম্য নয়।’ 
বিশদ

এখন সঙ্ঘ পরিবারই বলছে, পুনর্মূষিকো ভব
সন্দীপন বিশ্বাস

বেজে উঠেছে পতনের বিপদ ঘণ্টা। তার শব্দ শুনতে পাচ্ছে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী। পতনের সেই শব্দে কাঁপছে গেরুয়া শিবির। সেখানে ‘গেল গেল’ রব উঠেছে। কিন্তু বিপদের গন্ধ পেয়েই কৌশল বদলে ফেলেছেন মোদিজি। পুরনো কৌশলকে আঁকড়ে ধরেই ডুবন্ত তরীকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। 
বিশদ

তৃতীয় দফায় তাল ঠুকছে সমীকরণ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আতাউর রহমান (নাম পরিবর্তিত) এখন বছরের বেশি সময়টাই থাকেন গুরুগ্রামে। যেদিকে চোখ যায়, আকাশের পথে পাড়ি দিচ্ছে একটার পর একটা বহুতল। বড় বড় সব প্রজেক্ট। আতাউর সেখানেই রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করেন। ঠিকাদার সংস্থাই কাজ পাইয়ে দেয়। বিশদ

30th  April, 2024
কংগ্রেসের ইস্তাহার মোদির হাতে মহিমান্বিত!
পি চিদম্বরম

সদিচ্ছা ও সহযোগিতার এক অভূতপূর্ব নিদর্শন রেখেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি দায়িত্ব নিয়ে কংগ্রেসের ইস্তাহারের পুনর্লিখন করেছেন। এবং, সেখানেই না থেমে তিনি তার সঙ্গে যোগ করেছেন তাঁর নিজস্ব ভাবনাচিন্তা এবং ধারণাগুলিকে।
বিশদ

29th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারই বদলে দেবে অঙ্ক
তন্ময় মল্লিক

কৃষ্ণনগর পালপাড়া এলাকায় জাতীয় সড়কের ধারে একটি হোটেলে সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করেন মধুবাবু। শরীরে ছাপোষার ছাপ স্পষ্ট। একেবারে সাদাসিধে মানুষ। কথায় কোনও মারপ্যাঁচ নেই। ভোটের হাওয়া কোন দিকে জিজ্ঞাসা করায় গড় গড় করে বলে গেলেন নিজের কথা, ‘আগে সিপিএম করতাম, এখন বিজেপি। বিশদ

27th  April, 2024
টেনশন? এতটা মরিয়া কেন মোদি? 
সমৃদ্ধ দত্ত

এতটা নার্ভাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোনওদিন লাগেনি। তিনি আসবেন দেখবেন জয় করবেন। তাঁর বক্তৃতা শুনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ভক্তরা অপেক্ষা করবে। মানুষ উদ্বাহু হয়ে জয়ধ্বনি দেবে প্রতিটি ঘোষণায়। মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবেন তিনি তাঁর জাদুভাষণে। তিনি বিশ্বগুরু। তিনি হিন্দুহৃদয় সম্রাট।
বিশদ

26th  April, 2024
‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

25th  April, 2024
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
একনজরে
বোনের বিয়ের প্রীতিভেজে এসে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল পুরশুড়ার ধনপোতার বাসিন্দা উদয় ধারা (২৯)-র। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, তারকেশ্বর থানার অন্তর্গত ধল্যান এলাকায় সোমবার রাতে ...

এল ক্লাসিকোয় হারের ধাক্কা কাটিয়ে লা লিগায় জয়ে ফিরল বার্সেলোনা। সোমবার ঘরের মাঠে একটা সময় পিছিয়ে থেকেও ভ্যালেন্সিয়াকে ৪-২ ব্যবধানে হারাল জাভি ব্রিগেড। ...

চলতি সপ্তাহে কাঁচা চা পাতার দাম তলানিতে ঠেকেছে। ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন ক্ষুদ্র চা চাষিরা। গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত প্রায় তিনমাস বাগানে উৎপাদন বন্ধ ছিল। ...

‘যা করেছি, ভুল করেছি।’ ভোটকেন্দ্রিক হিংসার ঘটনায় জড়িত লোকজনের মধ্যে ৮৬ শতাংশই আজও কতৃকর্মের জন্য অনুশোচনা বোধ করেন। তাঁদের মনে ক্ষত দগদগে হয়ে আছে আজও।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসার গতি ও বেচাকেনার সঙ্গে লাভও বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। শত্রু সংখ্যা বাড়বে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস/মে দিবস
১৮০১ - ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে বাংলা বিভাগ খোলা হয়
১৮৩৪ – যুক্তরাজ্য তার উপনিবেশগুলোতে দাসপ্রথা বাতিল করে
১৮৪০ – যুক্তরাজ্যে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে উল্টোপিঠে আঠাযুক্ত ডাকটিকিট চালু করে, যার নাম পেনি ব্ল্যাক
১৮৭৫ - কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হয়
১৮৮৪ – আট ঘণ্টা কর্মদিবস আদায়ের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রে প্রচারণা শুরু হয়
১৮৮৬ – যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে-মার্কেটে পুলিশ বিক্ষোভরত শ্রমিকদের উপর গুলি চালালে ব্যাপক প্রাণহানী হয়
১৮৯৭ - স্বামী বিবেকানন্দ রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন
১৯১৩ - বিখ্যাত শিশু পত্রিকা সন্দেশ প্রকাশিত হয়
১৯৩০ – আনুষ্ঠানিকভাবে বামন গ্রহ প্লুটো’র নামকরণ করা হয়
১৯৬০ – পশ্চিম ভারতের নতুন দুটি প্রদেশ হিসেবে গুজরাত ও মহারাষ্ট্রের জন্ম হয়
১৯১৯ – সঙ্গীতশিল্পী মান্না দের জন্ম
১৯৫১ – ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের ব্যাটস্ম্যান গর্ডন গ্রীনিজের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৬১ টাকা ৮৫.০৫ টাকা
পাউন্ড ১০২.২৬ টাকা ১০৬.৭৪ টাকা
ইউরো ৮৭.২৫ টাকা ৯১.৩০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,২৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮০,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮০,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৮ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ১ মে ২০২৪। সপ্তমী ১/৩৮ প্রাতঃ ৫/৪৭ পরে অষ্টমী ৫৭/১৫ রাত্রি ৪/২। শ্রবণা নক্ষত্র ৫৫/৮ রাত্রি ৩/১১। সূর্যোদয় ৫/৭/৫৮, সূর্যাস্ত ৫/৫৯/২৯। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫০ মধ্যে পুনঃ ৯/২৬ গতে ১১/৮ মধ্যে পুনঃ ৩/২৫ গতে ৫/৯ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪৩ গতে ৮/৫৮ মধ্যে পুনঃ ১/২৫ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/২৫ মধ্যে। রাত্রি ৮/৫৮ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৮/২১ গতে ৯/৫৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৪ গতে ১/১০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২১ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। 
১৮ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ১ মে ২০২৪। অষ্টমী রাত্রি ১২/৪৯। শ্রবণা নক্ষত্র রাত্রি ১২/২৩। সূর্যোদয় ৫/৯, সূর্যাস্ত ৬/১। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৪ মধ্যে ও ৯/২১ গতে ১১/৬ মধ্যে ও ৩/২৮ গতে ৫/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৯ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১/২১ গতে ৫/৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৪ গতে ৩/২৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/০ গতে ১০/২৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/২২ গতে ৯/৫৮ মধ্যে ও ১১/৩৫ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২২ গতে ৩/৪৫ মধ্যে। 
২১ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ছুটি
আজ ১ মে। ঐতিহাসিক আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। এই উপলক্ষে আজ, ...বিশদ

04:00:00 AM

আইপিএল: মুম্বইকে ৪ উইকেটে হারাল লখনউ 

30-04-2024 - 11:24:00 PM

আইপিএল: ৫ রানে আউট টার্নার, লখনউ ১২৩/৫ (১৭.১ ওভার), টার্গেট ১৪৫

30-04-2024 - 11:10:00 PM

আইপিএল: ৬২ রানে আউট স্টোইনিস, লখনউ ১১৫/৪ (১৪.৫ ওভার), টার্গেট ১৪৫

30-04-2024 - 11:05:35 PM

আইপিএল: ১৮ রানে আউট হুডা, লখনউ ৯৯/৩ (১৩.১ ওভার), টার্গেট ১৪৫

30-04-2024 - 10:57:18 PM

আইপিএল: ৩৯ বলে হাফসেঞ্চুরি স্টোইনিসের, লখনউ ১০১/৩ (১৩.৩ ওভার), টার্গেট ১৪৫

30-04-2024 - 10:48:34 PM