Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। পিআরএস লেজিসলেটিভ রিসার্চ রিপোর্ট অনুসারে, বিদায়ী লোকসভার সদস্যদের মধ্যে ৭৫ শতাংশ ন্যূনতম স্নাতক হলেও ১০ শতাংশের সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা মাধ্যমিক। বিজেপি এমপিদের মধ্যে পঞ্চম শ্রেণি উত্তীর্ণ ২ শতাংশ। কংগ্রেস এমপিদের শিক্ষাগত যোগ্যতা অবশ্য একটু বেশি। তবে বিজেপিকে হতাশ হওয়ার অবকাশ দেয়নি তেলুগু দেশম পার্টি। টিডিপি একজন নিরক্ষর ব্যক্তিকেও সংসদে পাঠিয়েছে।
এবারের লোকসভা কি এই হতাশা দূর করতে পারবে? প্রাথমিক খবরাখবর বলছে, ‘না’। পশ্চিমবঙ্গে প্রথম দফার প্রার্থীদের মধ্যে অর্ধেকেরই সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক। এক মহিলা প্রার্থী তো স্রেফ ‘সাক্ষর’! দু-পাঁচজন নিরক্ষর ব্যক্তিও সংসদে প্রবেশের খোয়াব দেখেন। ছবিটা পাল্টানো দরকার। কিন্তু এ কোনও জাদু নয়। উদ্যোগ কই? নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি শিক্ষাখাতে ব্যয়বরাদ্দ জিডিপির ৬ শতাংশ করতে বলেছে। কিন্তু সরকার বাহাদুরের দরাজ হাত দিয়ে এবছরও যে-বাজেট বরাদ্দ পেয়েছি আমরা তাও ৩ শতাংশের নীচে! অতএব, নয়া সংসদ ভবন আলো করে আমাদের যেসব জনপ্রতিনিধি বসবেন তাঁরা যে উচ্চশিক্ষিত এবং বিরাট বিবেক-বিচার-বুদ্ধি-সম্পন্ন হবেন, সেই‌ পরিবেশ আর রচিত হল কোথায়? পাঁচতলা উঁচু এবং ১৪৩১ জন এমপি বসার সুবিধাযুক্ত ভবনটি নির্মাণের খরচ হয়েছে মোটামুটি সাড়ে বারোশো কোটি টাকা। এই ‘প্লাটিনাম রেটেড গ্রিন বিল্ডিং’ নিঃসন্দেহে ভারতের গর্ব।
আর এখানেই প্রশ্ন, এটি গণতন্ত্রের জন্য গর্বের হতে পারল কতখানি? সুন্দর ভবন, অত্যন্ত আরামদায়ক বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে যাঁরা বসছেন তাঁদের সকলে কি লাখো লাখো মানুষের প্রতিনিধিত্ব করার যোগ্য? সংসদ ভবনে আলোচনার পরিকাঠামোটিও নিশ্চয় অনবদ্য! কিন্তু সেখানে নানা শ্রেণির মানুষের অজস্র সমস্যা এবং চাওয়া-পাওয়া নিয়ে যাঁরা আলোচনা করবেন, তাঁদের ক’জন বিষয়গুলি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল? ক’জন হোমওয়ার্ক করেন? ইতিবাচক উত্তর পাওয়ার আশা ক্ষীণ। শুধুমাত্র মানুষের ভোটে (সেটাও কিছু ক্ষেত্রে সন্দেহজনক) জেতার জোরেই গণতন্ত্রের সর্বোচ্চ মন্দিরে প্রবেশাধিকার পান তাঁরা। অতঃপর আমরা কী দেখি? কিছু সদস্য স্রেফ বাজে বকে সদনের সময় নষ্ট করেন কিংবা ওয়াকআউট করেন। কেউ কেউ করে বসেন বিতর্কিত মন্তব্য। কিছু সদস্য অসংসদীয় ভাষা ব্যবহারেও লজ্জিত নন।
মোদিযুগে আরও একটি প্রতিষ্ঠিত সত্য এই যে, সরকারও সংসদে সুষ্ঠু আলোচনা চায় না। নানা বিষয়ে জবাবদিহিতার বাধ্যবাধকতা এড়াতেই শাসক পক্ষের এই কৌশল। সব মিলিয়ে ভারতের সংসদীয় গণতন্ত্র কেবলই গাছের ডগায় জল ঢেলে চলেছে। অযোগ্য মালির হাতে একটি বাগিচার গাছগাছালির যে করুণ দশা হওয়ার কথা, মোদির হাতে ভারতের সংসদ ঠিক সেই দশাপ্রাপ্ত হয়েছে।
শিক্ষাচিত্র বলে দিচ্ছে, নির্বাচনে শিক্ষা নিয়ে শর্ত আরোপের সময় এখনও‌ আসেনি। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াও মানুষ ভদ্র সভ্য মার্জিত রুচি ও বিবেক সম্পন্ন হতে পারে। ইতিহাসে বহু দেখেছি, আমাদের পরিবারে, প্রতিবেশেও তাঁদের সংখ্যা ন্যূন নয়। অথচ আইনসভাগুলিই হতাশ করছে প্রতিবার।
বিদায়ী লোকসভা এবং রাজ্যসভার এমপিদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস (এডিআর) এবং ন্যাশনাল ইলেকশন ওয়াচ (নিউ) জানাচ্ছে, ৪০ শতাংশ এমপির বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল কেস বা ফৌজদারি মামলা রয়েছে। ২৫ শতাংশ ফৌজদারি অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর! সেগুলির মধ্যে আছে খুন, খুনের চেষ্টা, অপহরণ এবং মহিলাদের সঙ্গে অপরাধের মতো জঘন্য কারবারও! এঁদের মধ্যে অনেকে এবারও ভোটযুদ্ধে শামিল। উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে রয়েছেন স্পিকার ওম বিড়লা স্বয়ং। এই বিজেপি প্রার্থীও একটি ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত! মোদি মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য নীতিন গাদকারি এবারও লড়ছেন নাগপুর থেকে। উচ্চশিক্ষিত, আইনজ্ঞ নীতিনের নামে ফৌজদারি মামলার সংখ্যা ১০! এই দলে আছেন কংগ্রেসের এলিট প্রার্থী ডঃ শশী থারুরও—তাঁর নামে ক্রিমিনাল কেস নয় নয় করে ন’টি। তাঁকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন কংগ্রেসের অলিখিত শীর্ষনেতা রাহুল গান্ধী (একটি পকসো-সহ ফৌজদারি মামলা ১৮টি)! বঙ্গে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের প্রার্থীদের মধ্যে সর্বাধিক সংখ্যক ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর নামে মামলার সংখ্যা ১৬ এবং সেগুলি চলছে মোট ৮৪টি ধারায়! কংগ্রেসের তরুণ প্রার্থী আলি ইমরান রমজ ওরফে ভিক্টর অভিযুক্ত তিনটি ফৌজদারি মামলায়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ অধিকারীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার সংখ্যা ১৪। কোচবিহার আসনে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়ার বিরুদ্ধে ঝুলে আছে চারটি ফৌজদারি মামলা। বিজেপির মনোজ টিগ্গা এবং তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের প্রকাশচিক বরাইক—দু’জনেই ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত। মহিলারাই-বা কম যান কোথায়? বেঙ্গালুরু দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী সৌম্যা রেড্ডিও ছয়-ছয়টি ফৌজদারি মামলা নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। তবে এই তালিকা দীর্ঘ করে লাভ নেই। এর তল খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।
আক্ষেপ এটাই যে, ভোটারদের চুজি হওয়ার অবকাশ সামান্যই? সেক্ষেত্রে তো ‘নোটা’র বোতাম টিপেই ঘরে ফিরতে হয়! ধরেই নেওয়া হচ্ছে, এঁদের অনেকেই জিতছেন। নিষ্কলুষ এমপিরা কি ডুমুরের ফুল হয়েই থাকবেন? স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রার্থী তো চাওয়াই যায়। স্বচ্ছতার পাঠ নিতে পয়সা এবং প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন নেই। কিন্তু বহু প্রার্থী এবং তাঁদের সমর্থকদের কুভাষণ প্রচারের পরিবেশটাকে কলুষিত করে তুলছে। এর প্রভাব পরিবেশ দূষণের চেয়ে কম নয়। কিন্তু কোনও দল কি স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রার্থী দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে? অথচ ভোটের বিনিময়ে কম দামে ভালো মদ খাওয়াবার প্রতিশ্রুতি আমরা ইতিমধ্যেই দেখেছি! ‘স্পর্শকাতর’ বুথের সংখ্যা ক্রমার্ধমান। যেমন এবার বাংলায় প্রথম দফার ভোটের সব বুথই  ‘স্পর্শকাতর’ ছিল নির্বাচন কমিশনের খাতায়! এর পিছনে এই প্রার্থীচিত্র অনেকাংশেই দায়ী বইকি। এমন দিন হয়তো আসবে, কলঙ্কশূন্য প্রার্থী দেওয়ার দাবি জানাবে নাগরিক সমাজ। যেমন পরিবেশ রক্ষার দাবি জানিয়ে ‘ইস্তাহার’ প্রকাশ করেছে সবুজ মঞ্চ।‌
ফৌজদারি মামলাগুলি যেন কিছু প্রার্থীর কাছে ‘অলঙ্কার’! এত এত অভিযোগ এবং মামলা প্রসঙ্গে প্রশ্ন রেখে বহু প্রার্থীর কাছ থেকে তেমনই প্রতিক্রিয়া মেলে। তাহলে কি ধরে নিতে হবে, মারাত্মক অপরাধ করেও পার পাওয়ার সুযোগ আছে ভারতীয় আইনে—বিশেষ করে যখন ওয়াশিং মেশিন তত্ত্ব জাঁকিয়ে রাজ করছে! 
বিভিন্ন রাজনীতিকের ব্যক্তিগত মামলা নিয়ে আলোচনার পরিসর এটা নয়। তবুও প্রশ্ন, তাঁরা যে ধরনের ফৌজদারি মামলা নিত্য আহ্বান করেন তার সবগুলিই কি অনিবার্য? যে-দেশ সারা পৃথিবীকে সত্যাগ্রহ ও অসহযোগ আন্দোলনের চমৎকারী শিখিয়েছে সে-দেশের কাছে এগুলি অনেকাংশেই অবাঞ্ছিত। যেমন ধরুন থানা এবং হাসপাতাল প্রভৃতিতে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া। থানা ও হাসপাতাল কখনও কি বন্ধ করা উচিত? যেসব নেতার বাড়ি থেকে কাঁড়িকাঁড়ি টাকা কিংবা বোমা ও বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয় তাঁরা কি আদৌ রাজনীতিতে থাকার যোগ্য? হত্যা, গুপ্তহত্যা, বেআইনি নিয়োগ, বেআইনি নির্মাণ প্রভৃতিতে ইন্ধন কি সুস্থ রাজনীতির অংশ? রাষ্ট্রদ্রোহ এবং গরিবের প্রাপ্য খাদ্য, মজুরি প্রভৃতি চুরি, স্বজনপোষণ, যোগ্যতরকে বঞ্চনা, আদিবাসীদের জমি আত্মসাৎ, পাহাড়-জঙ্গল নির্বিচারে নির্মূলকরণ, সর্বোপরি দুর্বলের উপর অত্যাচারের অভিযোগও কম নেতার বিরুদ্ধে নেই।
আর হামেশা অভিযোগ ওঠে, ভোট-প্রচারে হামলা, প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলের এজেন্ট অপহরণ এবং ভোটে হারের বদলা নানা নৃশংস কায়দায় গ্রহণ। প্রার্থী-তালিকায় এমন-কিছু মানুষও তো ‘উজ্জ্বল’! অনেকের দাবি, রাজনীতিতে এসব স্বাভাবিক! তাহলে যাকে তাকে যেমন খুশি অভিযোগে বেঁধা যায়! দেশের আইন সেই অবকাশ রেখেছে তাহলে? আচ্ছা, ফৌজদারি আইনে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সরকারি চাকরি করতে পারবেন? তাতে বাধা থাকলে ফৌজদারি আইনে অভিযুক্ত নেতারা ভোটে জিতে এসে আইন প্রণয়নের অধিকারী হতে পারেন কোন যুক্তিতে? আইন তো সবার আগে তাঁদেরই মানার কথা। তাঁদের স্থান আইনের রক্ষাকর্তাদেরও উপরে। তাঁরাই এসব আইন তৈরি করেছেন সুস্থ সমাজ গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে। নিজেদের তৈরি আইনকে নিজেরাই বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছেন নাকি? একজন নেতা বা রাজনৈতিক কর্মীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ আনার ক্ষেত্রে আইনে লাগাম থাকবে না কেন? সেই অভিযোগ মিথ্যা বা ষড়যন্ত্রমূলক হলে অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা কেন নেবে না আদালত? তেমন অভিযোগকারী খোদ সরকারি প্রশাসন হলেও তাকে সমঝে দেওয়া হবে না কেন? ফৌজদারি অভিযোগ নিয়ে রাজনীতির কারবারিদের এই ডোন্ট কেয়ার অ্যাটিটিউড সমাজকে ধ্বংস করে দিতে পারে। একজনের মনে হতেই পারে, আইন আসলে দুর্বলকে শায়েস্তা করার জন্য, প্রভাবশালী অত্যাচারীকে রুখতে নয়। সারা জীবনে একটিও ফৌজদারি মামলায় ঝুলে গেলে, একজন ‘সাধারণ’ মানুষ পাড়ায় কিংবা অফিসে মুখ দেখাবেন কী করে ভেবে পান না। এজন্যই রাজনীতির কারবারিরা ‘অসাধারণ’! এরপর কি অপরাধ/দুর্নীতি/ফৌজদারি মামলাকে ‘হালাল’ ধরেই এগতে থাকবে সমাজ?
24th  April, 2024
আবার সেই ‘ইসলামোফোবিয়া’!
মৃণালকান্তি দাস

ভোটের মুখেই রাজস্থানে সংখ্যালঘু মোর্চার নেতা উসমান গণিকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি! উসমানের অপরাধ? একটি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘মুসলিম সমাজের নাম করে প্রধানমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন তা কাম্য নয়।’ 
বিশদ

এখন সঙ্ঘ পরিবারই বলছে, পুনর্মূষিকো ভব
সন্দীপন বিশ্বাস

বেজে উঠেছে পতনের বিপদ ঘণ্টা। তার শব্দ শুনতে পাচ্ছে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী। পতনের সেই শব্দে কাঁপছে গেরুয়া শিবির। সেখানে ‘গেল গেল’ রব উঠেছে। কিন্তু বিপদের গন্ধ পেয়েই কৌশল বদলে ফেলেছেন মোদিজি। পুরনো কৌশলকে আঁকড়ে ধরেই ডুবন্ত তরীকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। 
বিশদ

তৃতীয় দফায় তাল ঠুকছে সমীকরণ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আতাউর রহমান (নাম পরিবর্তিত) এখন বছরের বেশি সময়টাই থাকেন গুরুগ্রামে। যেদিকে চোখ যায়, আকাশের পথে পাড়ি দিচ্ছে একটার পর একটা বহুতল। বড় বড় সব প্রজেক্ট। আতাউর সেখানেই রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করেন। ঠিকাদার সংস্থাই কাজ পাইয়ে দেয়। বিশদ

30th  April, 2024
কংগ্রেসের ইস্তাহার মোদির হাতে মহিমান্বিত!
পি চিদম্বরম

সদিচ্ছা ও সহযোগিতার এক অভূতপূর্ব নিদর্শন রেখেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি দায়িত্ব নিয়ে কংগ্রেসের ইস্তাহারের পুনর্লিখন করেছেন। এবং, সেখানেই না থেমে তিনি তার সঙ্গে যোগ করেছেন তাঁর নিজস্ব ভাবনাচিন্তা এবং ধারণাগুলিকে।
বিশদ

29th  April, 2024
বিদ্বেষভাষণের কেন্দ্রে যখন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী
হিমাংশু সিংহ

বিশ্বকাপ ফুটবলে এমন বহুবার হয়েছে। কাপ যুদ্ধ শুরুর ছ’মাস আগে থেকে সবাই বলেছে, ব্রাজিলই এবার সেরা। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার এক নম্বর দাবিদার। একটু তফাতে আর্জেন্তিনা। কিন্তু টুর্নামেন্ট এগতেই দেখা গেল অঘটনের ফেরে আচমকাই সেরা বাজি ছিটকে গেল। বিশদ

28th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারই বদলে দেবে অঙ্ক
তন্ময় মল্লিক

কৃষ্ণনগর পালপাড়া এলাকায় জাতীয় সড়কের ধারে একটি হোটেলে সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করেন মধুবাবু। শরীরে ছাপোষার ছাপ স্পষ্ট। একেবারে সাদাসিধে মানুষ। কথায় কোনও মারপ্যাঁচ নেই। ভোটের হাওয়া কোন দিকে জিজ্ঞাসা করায় গড় গড় করে বলে গেলেন নিজের কথা, ‘আগে সিপিএম করতাম, এখন বিজেপি। বিশদ

27th  April, 2024
টেনশন? এতটা মরিয়া কেন মোদি? 
সমৃদ্ধ দত্ত

এতটা নার্ভাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোনওদিন লাগেনি। তিনি আসবেন দেখবেন জয় করবেন। তাঁর বক্তৃতা শুনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ভক্তরা অপেক্ষা করবে। মানুষ উদ্বাহু হয়ে জয়ধ্বনি দেবে প্রতিটি ঘোষণায়। মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবেন তিনি তাঁর জাদুভাষণে। তিনি বিশ্বগুরু। তিনি হিন্দুহৃদয় সম্রাট।
বিশদ

26th  April, 2024
‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

25th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
একনজরে
‘যা করেছি, ভুল করেছি।’ ভোটকেন্দ্রিক হিংসার ঘটনায় জড়িত লোকজনের মধ্যে ৮৬ শতাংশই আজও কতৃকর্মের জন্য অনুশোচনা বোধ করেন। তাঁদের মনে ক্ষত দগদগে হয়ে আছে আজও।  ...

আড়াই হাজার বছরেরও আগে এই পৃথিবীকে অহিংসার বাণী শুনিয়েছিলেন ভগবান মহাবীর। সোমবার তাঁর জন্মদিন পালিত হল ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের বাসভবনে। এই প্রথম ১০ ডাউনিং ...

এল ক্লাসিকোয় হারের ধাক্কা কাটিয়ে লা লিগায় জয়ে ফিরল বার্সেলোনা। সোমবার ঘরের মাঠে একটা সময় পিছিয়ে থেকেও ভ্যালেন্সিয়াকে ৪-২ ব্যবধানে হারাল জাভি ব্রিগেড। ...

চলতি সপ্তাহে কাঁচা চা পাতার দাম তলানিতে ঠেকেছে। ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন ক্ষুদ্র চা চাষিরা। গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত প্রায় তিনমাস বাগানে উৎপাদন বন্ধ ছিল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসার গতি ও বেচাকেনার সঙ্গে লাভও বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। শত্রু সংখ্যা বাড়বে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস/মে দিবস
১৮০১ - ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে বাংলা বিভাগ খোলা হয়
১৮৩৪ – যুক্তরাজ্য তার উপনিবেশগুলোতে দাসপ্রথা বাতিল করে
১৮৪০ – যুক্তরাজ্যে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে উল্টোপিঠে আঠাযুক্ত ডাকটিকিট চালু করে, যার নাম পেনি ব্ল্যাক
১৮৭৫ - কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হয়
১৮৮৪ – আট ঘণ্টা কর্মদিবস আদায়ের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রে প্রচারণা শুরু হয়
১৮৮৬ – যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে-মার্কেটে পুলিশ বিক্ষোভরত শ্রমিকদের উপর গুলি চালালে ব্যাপক প্রাণহানী হয়
১৮৯৭ - স্বামী বিবেকানন্দ রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন
১৯১৩ - বিখ্যাত শিশু পত্রিকা সন্দেশ প্রকাশিত হয়
১৯৩০ – আনুষ্ঠানিকভাবে বামন গ্রহ প্লুটো’র নামকরণ করা হয়
১৯৬০ – পশ্চিম ভারতের নতুন দুটি প্রদেশ হিসেবে গুজরাত ও মহারাষ্ট্রের জন্ম হয়
১৯১৯ – সঙ্গীতশিল্পী মান্না দের জন্ম
১৯৫১ – ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের ব্যাটস্ম্যান গর্ডন গ্রীনিজের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৬১ টাকা ৮৫.০৫ টাকা
পাউন্ড ১০২.২৬ টাকা ১০৬.৭৪ টাকা
ইউরো ৮৭.২৫ টাকা ৯১.৩০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,২৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮০,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮০,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৮ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ১ মে ২০২৪। সপ্তমী ১/৩৮ প্রাতঃ ৫/৪৭ পরে অষ্টমী ৫৭/১৫ রাত্রি ৪/২। শ্রবণা নক্ষত্র ৫৫/৮ রাত্রি ৩/১১। সূর্যোদয় ৫/৭/৫৮, সূর্যাস্ত ৫/৫৯/২৯। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫০ মধ্যে পুনঃ ৯/২৬ গতে ১১/৮ মধ্যে পুনঃ ৩/২৫ গতে ৫/৯ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪৩ গতে ৮/৫৮ মধ্যে পুনঃ ১/২৫ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/২৫ মধ্যে। রাত্রি ৮/৫৮ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৮/২১ গতে ৯/৫৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৪ গতে ১/১০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২১ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। 
১৮ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ১ মে ২০২৪। অষ্টমী রাত্রি ১২/৪৯। শ্রবণা নক্ষত্র রাত্রি ১২/২৩। সূর্যোদয় ৫/৯, সূর্যাস্ত ৬/১। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৪ মধ্যে ও ৯/২১ গতে ১১/৬ মধ্যে ও ৩/২৮ গতে ৫/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৯ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১/২১ গতে ৫/৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৪ গতে ৩/২৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/০ গতে ১০/২৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/২২ গতে ৯/৫৮ মধ্যে ও ১১/৩৫ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২২ গতে ৩/৪৫ মধ্যে। 
২১ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ছুটি
আজ ১ মে। ঐতিহাসিক আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। এই উপলক্ষে আজ, ...বিশদ

04:00:00 AM

আইপিএল: মুম্বইকে ৪ উইকেটে হারাল লখনউ 

30-04-2024 - 11:24:00 PM

আইপিএল: ৫ রানে আউট টার্নার, লখনউ ১২৩/৫ (১৭.১ ওভার), টার্গেট ১৪৫

30-04-2024 - 11:10:00 PM

আইপিএল: ৬২ রানে আউট স্টোইনিস, লখনউ ১১৫/৪ (১৪.৫ ওভার), টার্গেট ১৪৫

30-04-2024 - 11:05:35 PM

আইপিএল: ১৮ রানে আউট হুডা, লখনউ ৯৯/৩ (১৩.১ ওভার), টার্গেট ১৪৫

30-04-2024 - 10:57:18 PM

আইপিএল: ৩৯ বলে হাফসেঞ্চুরি স্টোইনিসের, লখনউ ১০১/৩ (১৩.৩ ওভার), টার্গেট ১৪৫

30-04-2024 - 10:48:34 PM