কর্ম নিয়ে স্থানান্তর গমনে সাফল্যের যোগ। কর্মে স্থানগত বা সংস্থাগত পরিবর্তন অসম্ভব নয়। পারিবারিক ক্ষেত্রে ... বিশদ
পৃথিবীর আদি মানচিত্র তৈরি হয়েছিল অনেকদিন আগে। তখন বিভিন্ন দেশের অবস্থান সম্পর্কে সেভাবে কিছুই জানা ছিল না। অজানাকে জানতে গবেষণা চলছে দিনরাত। পুরোটাই ছিল চৌম্বকীয় কম্পাস আর ধ্রুবতারার উপর নির্ভরশীল। প্রথমে একটি সমান্তরাল কাগজের উপর আঁকা হল মানচিত্র। কোন দেশ কোথায় সেটা জানা গেল ঠিকই। কিন্তু আকার-আয়তন স্পষ্ট হল না। ১৫৬৯ সালে নতুন মানচিত্র তৈরি করলেন জেরারডাস মার্কেটার নামে এক ব্যক্তি। নিরক্ষরেখা ধরে বিভিন্ন দেশের আকার ঠিক করা হল। তার জেরেই তৈরি হল বিভ্রান্তি।
পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে রয়েছে এক একটি দেশ। কোনও জায়গায় রয়েছে পর্বতমালা। কোথাও আবার সমতলভূমি। সমান্তরাল কাগজের উপর তৈরি মানচিত্রে সেই তফাৎ ধরা পড়ল না। তাই বাস্তব আকার-আয়তনের সঙ্গে ফারাক থেকেই গেল।
উদাহরণ হিসেবে ধরা যাক গ্ৰিনল্যান্ডের কথা। মানচিত্রে যা দেখানো হয়েছে তার তুলনায় এই দেশটি অনেকটাই ছোট। তবে ম্যাপ দেখে তা বোঝা সম্ভব নয়। মানচিত্রে দেখলে এই দেশটিকে ভারতের তুলনায় অনেক বড় মনে হয়। বাস্তবে কিন্তু তা নয়। ভারতের আয়তন ৩২ লক্ষ ৮৭ হাজার ২৬৩ বর্গ কিলোমিটার। শুধু তাই নয়, চীনের আয়তন ৯৫ লক্ষ ৯৬ হাজার ৯৬১ বর্গ কিলোমিটার। আর গ্ৰিনল্যান্ডের আয়তন মাত্র ২১ লক্ষ ৬৬ হাজার ৮৬ বর্গ কিলোমিটার। তবে মানচিত্রে চীনের থেকেও গ্ৰিনল্যান্ডকে বড় দেখানো হয়েছে। কারণ চীন নিরক্ষরেখার কাছাকাছি রয়েছে। ভারতের এই পড়শি দেশের থেকে মানচিত্রে আকারে বড় কানাডা। অথচ বাস্তবের হিসেব বলছে, আয়তনে চীন অনেকটাই বড়। উত্তর মেরু থেকে দূরত্বের কারণে কানাডাকে বড় দেখানো হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর অস্ট্রেলিয়ার ক্ষেত্রেও একই সমস্যা। আয়তন বেশি হলেও মানচিত্রে আকারে বাইডেনের দেশের থেকে বড় অস্ট্রেলিয়া। তাই এরপর থেকে মানচিত্র দেখে কোনও দেশের আকার-আয়তনের বিচার করতে যেও না। যা দেখা যায়, তা সত্যি নাও হতে পারে!