কর্ম নিয়ে স্থানান্তর গমনে সাফল্যের যোগ। কর্মে স্থানগত বা সংস্থাগত পরিবর্তন অসম্ভব নয়। পারিবারিক ক্ষেত্রে ... বিশদ
কোথায় যায়?
নাসারন্ধ্র ও মুখ দিয়ে শ্বাস নিই আমরা। নাকের মধ্যে অক্সিজেন আলাদা করার কোনও ব্যবস্থা নেই। আর গ্যাস গন্ধহীন। তাই ফুসফুসে কী গেল, তা সেখানে বোঝার উপায় নেই। নাক ও মুখ দিয়ে নেওয়া বাতাস শ্বাসনালী হয়ে ব্রঙ্কিয়াল টিউবে পৌঁছয়। সেখান থেকে যায় ফুসফুসে। তারপর ফুসফুসের অ্যালভিওলাসে। অ্যালভিওলাস হচ্ছে বায়ুকোষ বা বায়ুথলি। এই বায়ুথলিগুলো মৌচাকের মতো থাকে। এগুলোর আবরণী এতই পাতলা যে, এর ভেতর দিয়ে সহজেই বায়ু আদান-প্রদান হয়। অ্যালভিওলাসেই গ্যাস থেকে অক্সিজেন আলাদা হওয়ার কাজ হয়। তাহলে বুঝতেই পারছ, ফুসফুসই ছাঁকনির কাজ করে। অ্যালভিওলাসে পৌঁছনোর পর অক্সিজেন ব্যাপন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রক্তে মিশে যায়। মনে রাখা দরকার, সব গ্যাস কিন্তু আমাদের শরীরের কোনও কাজে লাগে না। রক্তে থাকে লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা ও অনুচক্রিকা। অক্সিজেন শুধু লোহিত রক্তকণিকার সঙ্গে বিক্রিয়া ঘটায়। লোহিত রক্তকণিকায় হিমোগ্লোবিন নামে একটা রঞ্জক থাকে। এই হিমোগ্লোবিনই দেহকোষে রক্তের মাধ্যমে অক্সিজেন পৌঁছে দেয়। সেখানে বিক্রিয়ার মাধ্যমে শক্তি উৎপাদন হয়। শরীর সেই শক্তি প্রয়োজন অনুসারে কাজে লাগায়, এই প্রক্রিয়ায় দেহকোষে কার্বন ডাই অক্সাইডও তৈরি হয়। সেটি আবার ব্যাপন প্রক্রিয়ায় রক্তে ফিরে আসে। এবার রক্তে কার্বন ডাই অক্সাইড ঘুরতে ঘুরতে আবার সেই অ্যালভিওলাসে এসে ঢুকে পড়ে। তারপর ফুসফুস হয়ে শ্বাস ত্যাগের মাধ্যমে বাইরে বেরিয়ে আসে। আর হ্যাঁ, সমগ্র প্রক্রিয়ায় খুব সামান্য পরিমাণ নাইট্রোজেনও রক্তে মিশে যায়। কিন্তু তা নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকে। শরীরের কোনও ক্ষতি করে না। পরে নিঃশ্বাসের সঙ্গে ওই গ্যাসও বাইরে বেরিয়ে যায়। শ্বাস গ্রহণ ও ছাড়ার মধ্যে সময়ের ব্যবধান অত্যন্ত কম। এরমধ্যেই এত কিছু কাণ্ড ঘটে যায়।
আর আগেই জেনেছ, বাতাসের সঙ্গে ধুলোবালিও মিশে থাকে। নাসারন্ধ্র দিয়ে প্রবেশের পথে এই ধুলোবালি ছাঁকারও ব্যবস্থা রয়েছে।