Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

ক্লোস্টারমানের বাড়ি

ধ্রুব মুখোপাধ্যায়: বিশ্ববিদ্যালয়টা জার্মানির হাইডেলবার্গে। সকালের ফ্লাইটে ফ্রাঙ্কফুর্ট। আর ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে ট্রেনে করে হাইডেলবার্গ। মোটামুটি রাতের মধ্যে ইউনিভার্সিটি গেস্ট হাউসে পৌঁছে যাওয়া যাবে। তারপর বিশ্রাম নিয়ে পরপর তিনদিন আমার সেমিনার। থাকা-খাওয়া-যাতায়াত সমস্ত ব্যবস্থাপনাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। গুছিয়ে নিয়ে লেপমুড়ি দিয়ে শুয়েছিলাম। অমনি ফোনের আর্তনাদ। ওপাশ থেকে স্যার বললেন, ‘একবার আসতে হবে।’ হুট করে আমার জার্মানি যাওয়ার আগের রাতে প্রফেসর ব্যানার্জির ডাকে আমি বেশ অবাকই হয়েছিলাম। আসলে জার্মানি যাওয়ার কারণ, দিনক্ষণ সমস্তই স্যার জানেন। তাছাড়া মানুষটা দেশেই বা ফিরলেন কবে! প্রফেসর ব্যানার্জি এডিনবরার একটা কলেজের অধ্যক্ষ। সেইসঙ্গে ব্যস্ত থাকেন দেশ-দুনিয়ার অণুবিজ্ঞান বিষয়ক সেমিনার নিয়ে। সুযোগ পেলে দেশেও আসেন। ছুটি কাটিয়ে যান। আর তখনই ডাক পড়ে আমার। ভোর পর্যন্ত চলে অণুবিজ্ঞানের আলোচনা। সত্যি বলতে আমার গবেষণা, উৎসাহ, সাহায্য, বইপত্রের জোগান এমনকী আমার গাইডও প্রফেসর ব্যানার্জিই। স্যার ডাকলে ভালোই লাগে। কিন্তু এবারের ডাকটাতে অস্বস্তি হচ্ছিল। যদিও এড়াতে পারিনি। ডিসেম্বরের শুরু। চাদর জড়িয়ে বেরিয়েই পরলাম। রাস্তাঘাট শুনশান। কুকুর বিড়ালও এমন সেঁধিয়ে গিয়েছে যে, চোরছ্যাঁচড় তো দূর অন্য এলাকার স্বজাতি দেখলেও ভ্রুক্ষেপ নেই। ঘড়িতে রাত বারোটা। সাইকেলের চেনের ক্যাঁচক্যাঁচ আওয়াজটা বন্ধ করে আমি যখন স্যারের বাড়ির গেটের কাছে তখনই অন্যপাশ থেকে ডাক, ‘এই যে এখানে।’ চমকে গিয়েছিলাম। স্যার রাস্তায় কেন? যাইহোক, কাছে যেতেই উদগ্রীব হয়ে স্যার জিজ্ঞেস করলেন, ‘হাইডেলবার্গে ঢুকছ কখন?’
—জার্মানির সময়ে বিকেল পাঁচটা।
বলতেই স্যার ভয় পেয়ে বললেন, ‘বিকেল পাঁচটা!’ তবে আমি গুরুত্ব দিইনি। উল্টে স্বাভাবিক হয়েই বললাম, ‘এই ঠান্ডায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে আপনি? ঘরে বসলেই তো হয়!’
—আজ বাদে কাল জার্মানি যাচ্ছ, ওখানকার টেম্পারেচার জানো?
স্যারের কথাটা শুনে আমার বেশ বিরক্তই লাগল। রাতটা একটু ভালো করে ঘুমোতে চাইছিলাম। স্যার যেন মনের কথাটা বুঝতে পারলেন। আর সেজন্যই তাড়াহুড়ো করে ‘তোমাকে কিছু বলার আছে’ বলেই বলতে শুরু করলেন—
‘হাইডেলবার্গ ছাত্র-শিক্ষকে ভরপুর একটা শহর। পড়াশোনার জন্য বিখ্যাত। অনেকবার গিয়েছি। বিভিন্ন গেস্ট হাউস, ইয়ুথ হস্টেলে থেকেওছি। তা সেবারেও সেমিনার ছিল। এডিনবরা থেকে ফ্রাঙ্কফুর্টে পৌঁছলাম জার্মানির সময় দুপুর তিনটেতে। কিন্তু ট্রেনে করে হাইডেলবার্গে ঢুকতে একটু দেরি হয়ে গেল। হাইডেলবার্গে যখন পৌঁছলাম তখন সূর্য ডুবে গিয়েছে, তুষারপাত হচ্ছে ঝিরঝিরে। গাড়ি প্রস্তুতই ছিল। ড্রাইভারকে আমার কার্ড আর আমন্ত্রণপত্র দেখাতেই ভ্রু কুঁচকিয়ে বলল, ‘এখন যাবেন?’ প্রশ্নটাতে মাথাটা গরম হয়ে গিয়েছিল। এই তুষারপাতের বাজারে গেস্ট হাউসে যাব না তো কি রাস্তায় ঘুরব! তবে বলিনি কিছু। চুপচাপ চেপে বসেছিলাম গাড়িতে। গাড়িটা নেকার নদীর উপরের ওল্ড ব্রিজ দিয়ে ওল্ড সিটির দিকে অনেকটা এগিয়ে একটা শুনশান জায়গায় ঢুকতেই তুষারপাতটা বাড়ল। ভয়ভয় করছিল। আসলে টাকা-পয়সা নয়, দুশ্চিন্তা ছিল আমার গবেষণাপত্র নিয়ে। ওটা তখন সঙ্গে। ছাত্র-শিক্ষকে ভরা শহরে ছিনিয়ে কেউ নিজের নামে চালিয়ে দিলেই শেষ। তারপর ছাত্ররাও এখানে অবসরে গাড়িটারি চালিয়ে রোজগার করে। যাইহোক শেষ পর্যন্ত সেরকম কোনও বিপদ হয়নি। রাস্তাটা কিছুটা এগিয়ে মিশল একটা পাহাড়ের গায়ে। এদিকটাতে আমি কখনও আসিনি। ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করতে বলল, এদিকেই নাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের গেস্ট হাউস। তবে তারপরে কিছুটা সংশয় নিয়ে বলল,‘সন্ধের পর এখানে আর কেউ যাতায়াত করে না। আপনি যাচ্ছেন...!’ তবে আমি কথা বাড়াইওনি এবং বাড়াতেও দিইনি। ভাবলাম কাজে ফাঁকি দেবার মতলব আঁটছে। গাড়িতে বসেই পাহাড়ের গা বেয়ে পাকদণ্ডীর মতো রাস্তাটা ধরে উঠলাম অনেকটা উপরে। নীচে তখন ঝলমলে শহরের গায়ে আঁচড় কাটছে ঝুরঝুরে তুষার। চারপাশ নিঝুম। গা-ছমছমে পরিবেশ। যতই বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করি না কেন আদতে আমি তো গ্রামবাংলারই মানুষ! ভয় কিছুটা হচ্ছিল। তবে প্রশ্রয় দিইনি। অনেকটা উপরে উঠে ড্রাইভার যেখানে নামাল সেখানটা পাহাড়েরই কোল কেটে বানানো প্রশস্ত একটা জায়গা। সেখান থেকে রাস্তাটা সরু হয়ে উপরে উঠে গিয়েছে। গাড়ি থেকে নেমে উপরের দিকে তাকাতে গেস্ট হাউসটা চোখে পড়ল। মোটামুটি পায়ে হেঁটে ছোট হতে থাকা পাঁচটা পাক খেতে পারলেই গেস্ট হাউস। তুষারপাতটা তখন অঝোর ধারায়। হাঁটু ঢাকা পশমের জ্যাকেটের পকেটে হাত দুটো ভরে পা বাড়াতে আর দেরি করিনি। আলো আঁধারি, তুষারপাত সবকিছু মিলিয়ে বেশ রহস্যময় পরিবেশ। পাথর কেটে বসানো রাস্তার একটা পাক উপরে উঠতেই আবারও প্রশস্ত জায়গা। এক কোণে একটা বেঞ্চ আর তার পিছনে বোর্ড। বেঞ্চটার দিকে চোখ যেতেই একটা মানুষ। যবুথবু হয়ে বসে, মাথায় টুপি এবং মাথাটা নামানো। হয়তো উপরে উঠতে গিয়ে হাঁপিয়ে পড়েছেন। আমি গুরুত্ব দিইনি। ভেবেছিলাম, উপরে গিয়ে কাউকে পাঠাব। কিন্তু আরও একটা পাক খেতেই আবারও একই দৃশ্য। প্রশস্ত জায়গা, এক কোণে বেঞ্চি, বোর্ড এবং আবারও সেই মানুষ। একইভাবে বসে। চোখের ভুল ভেবে চোখ কচলে ভালো করে দেখলাম। কিন্তু না! উচিত আর অনুচিতের মাঝে তখন হাজার হাজার প্রশ্ন। সবশেষে জিজ্ঞেস করতে গিয়েও করলাম না। কী দরকার। দুটো ধাপে দুটো একই পোশাকের মানুষ থাকতেই পারে। কিন্তু ভিতরটা ছ্যাঁত করে উঠল তৃতীয় ধাপে। সেখানেও সেইই। মানুষটা যেন কিছু বলতে চায়। মেরুদণ্ড বেয়ে হিমশীতল হাওয়া বয়ে গেল। কোনওরকমে মন শান্ত করে চুপচাপ উপরে উঠতে থাকলাম। আর মাত্র দুটো পাক পেরলেই গেস্ট হাউস। কিন্তু চতুর্থ ধাপে আবারও...। আর পারলাম না। দৌড়াব ভাবলেও পা দুটো অসাড়। ঘামে ভিজে গিয়েছে শরীর। অগত্যা সামনে গেলাম। জিজ্ঞেস করলাম, ‘কিছু কি বলতে চাইছেন?’ তবে কিছু বললেন না। মৃত যেন। ওঁর শরীরে টোকা দেওয়ার চেষ্টা করলাম। কিন্তু ছুঁতেই পারলাম না। মানুষটা যেন অন্য কোনও মাত্রায়। সবশেষে আবারও বললাম, ‘আপনি কী কিছু বলতে চাইছেন?’ এবারে শরীরটা নড়ল। আমার হৃৎপিণ্ডের ধুকপুকানিটা তখন স্পষ্ট। টুপি পরা মাথাটা তুলছে। আমার চোখ স্থির। সবশেষে মুখটা পুরোপুরি তুলতেই ভিতরটা হালকা হয়ে গেল। বীভৎস বিকৃত একটা মুখ। মুখ থেকে কে যেন খাবলে মাংস তুলে হাড় বের করে দিয়েছে। আর কিছু মনে নেই। শরীরটা মুহূর্তের মধ্যে অসাড় হয়ে গিয়েছিল। পরে গেস্ট হাউসের লোকেরাই তুষারে ঢাকা আমার জ্ঞানহীন শরীরটাকে খুঁজে পেয়ে নিয়ে গিয়েছিল হাসপাতালে।’ 
ঘটনাটা শুনে বেশ ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম আমি। জিজ্ঞেস করেছিলাম, ‘কী বলতে চাইছিল লোকটা?’ তবে স্যার উত্তর দেননি। বলেছিলেন, ‘জানতে পেরেছিলাম গেস্ট হাউসটা ক্লোস্টারমান বলে একজনের বাড়ি ছিল। বেশ শখ করে পাহাড়ের উপরে একখানা বাড়ি বানিয়েছিলেন। একাই থাকতেন। কিন্তু কোনও এক শীতের সন্ধেতে হার্ট অ্যাটাকের যন্ত্রণাটা আর সামলাতে পারেননি। সেদিন নাকি ভয়ঙ্কর তুষারপাত শুরু হয়। রাস্তাঘাট বন্ধ। টেলিফোনে বারবার ডাকলেও অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছতে পারেনি। সবশেষে নিজেই নেমে আসার চেষ্টা করেছিলেন। পায়ে হাঁটা পাকদণ্ডীর চারটে পাক বেয়ে নীচে নামলেও কোনও লাভ হয়নি। নীচের বেঞ্চিতে বসা অবস্থাতেই ওঁর দেহ উদ্ধার হয়। সেই থেকেই মানুষটা রাতে কাওকে উঠতে দেখলেই বাধা দেন। আর তোমাকে ওঁরা যেখানে থাকতে দেবে, সেটাই এই গেস্ট হাউস। ক্লোস্টারমানের বাড়ি। সুতরাং তুমি যাও ঠিক আছে, তবে রাতে যেও না। আর পিছনের বোর্ডটাতে এই নিষেধাজ্ঞাটাই লেখা ছিল।’
এসব বলে স্যর আমার দুশ্চিন্তাটা বাড়িয়ে টুক করে ঢুকে গেলেন বাড়ির মধ্যে। আমি হতভাগা শীতের রাতে সাইকেল ঠেঙিয়ে বাড়ি ফিরলাম। তবে পরের দিন জার্মানি যাওয়ার সুযোগটা হাতছাড়া করিনি। কিন্তু জার্মানি যাওয়ার আগে স্যারকে ফোন করিনি। কারণ আগের দিন রাতে উনি যে গল্প শুনিয়েছেন, তাতে আর ওঁর ত্রিসীমানায় পা দিতে চাইনি। যদি আবার কিছুতে নিষেধ করে দেন।
কিন্তু হাইডেলবার্গ পৌঁছেই ভিতরটা হালকা হয়ে গিয়েছিল। শুনলাম, আমার সঙ্গে স্যারও আমন্ত্রিত ছিলেন সেই সেমিনার। এমনকী, আগের দিন পৌঁছেও গিয়েছিলেন। শুধু তাই-ই নয়, স্যার যখন রাতে ডেকে আমাকে কোস্টারমানের ঘটনাটি বলছেন, ততক্ষণে স্যারের বলা ঘটনাটি ঘটে গিয়েছে। স্যার তখন ওই পাকদণ্ডীর রাস্তাতেই সংজ্ঞাহীন! সব শুনে আমার মাথাতে কিছুই ঢুকছিল না। ভেবেছিলাম, ক্লোস্টারমানের মতোই স্যারও হয়তো আর নেই। গেস্ট হাউসের পরিবর্তে সোজা দৌড়েছিলাম হাসপাতালে। স্যার তখন গভীর কোমায়। তবে ডাক্তার আশ্বাস দিলেন, অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। ঘটনাটা নিয়ে তারপর আমি অনেক ভেবেছিলাম। কিন্তু কোনও কূলকিনারা করে উঠতে পারিনি। পরে স্যারের জ্ঞান ফিরতে যখন প্রথমেই আঁতকে উঠে বলেছিলেন, ‘সোমনাথ ওখানে যায়নি তো?’ তখন আমি বুঝেছিলাম। বুঝতে পারলাম, সংজ্ঞাহীন অবস্থাতেও স্যার প্রাণপণে চাইছিলেন যাতে এরকম দুর্ঘটনা ওঁর প্রিয় ছাত্রের সঙ্গে না ঘটে। আসলে স্যাররা তো এরকমই হন।
05th  January, 2025
তোমাদের বিবেকানন্দ

আজ স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন। অসম্ভব মানসিক দৃঢ়তায় তিনি জয় করেছেন যেকোনও প্রতিকূলতাকে। তাঁর জীবন ছাত্রছাত্রীদের কাছে শিক্ষণীয়। স্বামীজির জীবনের কিছু ঘটনা ছোট্ট বন্ধুদের জন্য তুলে ধরলেন সায়ন্তন মজুমদার।
বিশদ

12th  January, 2025
কাচের মোমদানি

ছোট্ট বন্ধুরা, চল আজ কাচের বোতল দিয়ে অন্য ধরনের একটা হাতের কাজ শিখি। ডিজাইনার বিদিশা বসু বললেন বাচ্চাদের ছোটখাট কাজের মধ্যে দিয়েই নানারকম জিনিস শেখানো যায়। তাই হাতের কাজ শেখার মাধ্যমে তারা অন্য অনেক কিছুই শিখতে পারে। বিশদ

12th  January, 2025
সময়ের গেরোয় নিউ ইয়ার

কিরিবাস ও আমেরিকান সামোয়ার মাঝের দূরত্ব প্রায় ৭৫০ কিলোমিটার। অথচ, প্রায় ২৫ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই দেশে বর্ষবরণের উৎসব হল! সেই রহস্যই উন্মোচন করলেন ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিশদ

12th  January, 2025
ফুসফুসের ছাঁকনি

আমরা বেঁচে থাকার জন্য বাতাস থেকে অক্সিজেন নিই। আর কার্বন ডাই অক্সাইড ছাড়ি। কিন্তু বাতাসে তো অক্সিজেন ছাড়াও আরও অনেক গ্যাস রয়েছে। এরমধ্যে নাইট্রোজেনই থাকে শতকরা ৭৮ ভাগ। আর অক্সিজেন শতকরা ২১ ভাগ। আর থাকে আর্গন, কার্বন ডাই অক্সাইড ও অন্যান্য গ্যাস।
বিশদ

05th  January, 2025
বিভ্রান্তিকর মানচিত্র

বিশ্বের মানচিত্রের সঙ্গে নিশ্চয়ই তোমাদের পরিচয় আছে? চোখ বন্ধ করলেই মনের মধ্যে ভেসে উঠবে বিভিন্ন দেশের ছবি। প্রত্যেকটির দেশে আকার-আয়তন ভিন্ন। এবার যদি বলা হয়, মানচিত্রে যা দেখানো হয়েছে সেটা পুরো সত্য নয়! শুনে অবাক হচ্ছ তো? কিন্তু এটাই সত্যি।
বিশদ

05th  January, 2025
বড়দিনে ঐক্যের বার্তা

দিন বড় হোক মিলেমিশে। এই ঐক্যের বার্তা ছড়িয়ে দিতে কলকাতার রুবি পার্ক পাবলিক স্কুল আয়োজন করেছিল বড়দিনের বিশেষ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটির পোশাকি নাম—‘জেনেসিস’। বড়দিনের ছুটি পড়ার আগে শীতের হিমেল পরশ গায়ে মেখে গোটা স্কুল সেজে উঠেছিল লাল রঙে।
বিশদ

05th  January, 2025
পৃথিবীর প্রাচীনতম ক্যালেন্ডার
সোমা চক্রবর্তী

পরিক্রমণের পথে আমরা পার করছি আরও একটি বছর। ২০২৪ শেষ হতে আর দু’দিন! ২০২৫ আগত। নতুন বছরে নতুন ক্যালেন্ডার, নতুন ডায়েরি ইতিমধ্যে আমাদের হাতে চলে এসেছে। ইংরেজি বছরের মতো বাংলা নববর্ষেও পঞ্জিকা, বাংলা ক্যালেন্ডার এগুলো আমরা সংগ্রহ করি। বিশদ

29th  December, 2024
বিচিত্র বর্ণমালা
অনির্বাণ রক্ষিত

ভাষা মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। ভাষা শিক্ষার মানসিক ক্ষমতা নিয়ে জন্মায় মানুষ। একবার ভাষার মূলসূত্রগুলি আয়ত্ত করে ফেলার পর অসংখ্য নতুন নতুন বাক্যের সৃষ্টি হয়। একটা দেশের সংস্কৃতি বা সেই দেশের চরিত্র হয়ে ওঠে তাদের ভাষা। বিশদ

29th  December, 2024
নামের খোঁজে
সাগর দাস

পঞ্চদশ শতকে ইতালিয়ান চিত্রশিল্পী লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি তাঁর নোট বইয়ে লিখেছিলেন, ‘বাতাসে কোনও একটা উপাদান আছে, যা মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আর এই উপাদানটি ছাড়া মোমবাতি জ্বলতে পারে না।’ কিন্তু সেই উপাদানটি যে কী, সেটি ভিঞ্চি বা অন্য কেউ বলতে পারেননি সে সময়। বিশদ

29th  December, 2024
মেরি ক্রিসমাস

‌আগামী বুধবার বড়দিন। প্রভু যিশুর জন্মদিন মানেই কেক, আলো, ক্রিসমাস ট্রি আর সান্তা ক্লজ। কেমনভাবে কাটবে বড়দিন জানাল সিঁথি আর বি টি বিদ্যাপীঠের পড়ুয়ারা।
বিশদ

22nd  December, 2024
হাতে তৈরি  রঙিন পর্দা

ছোট্ট বন্ধুরা, ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে তোমাদের হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী।
বিশদ

22nd  December, 2024
দাবার  কনিষ্ঠ সম্রাট

সালটা ২০১৩। চেন্নাইয়ের এক পাঁচতারা হোটেলে বসেছে বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের আসর। কিংবদন্তি বিশ্বনাথন আনন্দের মাথায় আরও একবার মুকুট ওঠার প্রহর গুনছে দেশবাসী। কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে ভারত থেকে খেতাব ছিনিয়ে নিয়ে গেলেন নরওয়ের ম্যাগনাস কার্লসেন।
বিশদ

22nd  December, 2024
বুমরাহের সিঁড়ি ভাঙার গল্প

আমেদাবাদের অতি সাধারণ পরিবারে জন্ম। ছোট বয়সেই হারান বাবাকে। অদম্য জেদ তাঁকে দিয়েছে ক্রিকেট বিশ্বে সেরা পেসারের তকমা! যশপ্রীত বুমরাহের লড়াইয়ের গল্প শোনালেন  সৌগত গঙ্গোপাধ্যায় বিশদ

15th  December, 2024
পরিত্যক্ত মহাকাশযানের সমাধিস্থল
উৎপল অধিকারী

সেই প্রাচীনকাল থেকে মানুষ অপার আগ্রহে মহাশূন্যের দিকে চেয়ে থাকে। পাখির মতো ওড়ার ইচ্ছা তার দীর্ঘদিনের। তারপর ধীরে ধীরে বিজ্ঞানকে হাতিয়ার করে মানুষ নানা যন্ত্রপাতি আবিষ্কার করেছে। এমনভাবে সে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে গিয়েছে। বিশদ

15th  December, 2024
একনজরে
সোমবার সকালে ১০৮ কলস জল দিয়ে সহস্রধারায় স্নান করলেন মদনমোহন। প্রাচীন রীতি মেনে মদনমোহনের পুষ্যাভিষেক অনুষ্ঠিত হল এদিন। পৌষ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে এই পুজো হয়।  ...


...

জমি নিয়ে দুই ভাইয়ের বিবাদেই বোমাবাজি হল। সোমবার রাতে লাভপুর থানার হাতিয়া পঞ্চায়েতের লাঘোসা গ্রামে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে লাভপুর থানার বিশাল পুলিসবাহিনী সেখানে পৌঁছয়। ভাইয়ের বাড়িতে বোমা মারার অভিযোগে আজগর আলি নামে এক ব্যক্তিকে তারা আটক করেছে। ...

নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে অনেকেই সংকল্প নেন। পিভি সিন্ধুও ব্যতিক্রম নন। প্রত্যাবর্তনে মুখিয়ে তারকা শাটলার। সম্ভ্রান্ত ব্যবসায়ী ভেঙ্কট দত্তা সাইয়ের সঙ্গে সদ্য গাঁটছড়া বেঁধেছেন। গ্ল্যামারের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সন্তানের তীক্ষ্ণ বাক্য ও উদ্ধত আচরণে মনঃকষ্টের যোগ। কর্ম নিয়ে জটিলতার অবসান। অর্থকড়ি দিক অনুকূল। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৬১- পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে আহমদ শাহ দুররানীর নেতৃত্বে আফগানরা মারাঠাদের পরাজিত করে
১৮১৪- ডেনমার্কের রাজা সুইডেনের রাজার হাতে নরওয়েকে ছেড়ে দেন
১৮৫৮- নেপোলিয়নের উপর ব্যর্থ হামলা চালানো হয়
১৮৯৯- প্রকাশিত হল উদ্বোধন পত্রিকা
১৯০৩- ঐতিহাসিক নীহাররঞ্জন রায়ের জন্ম
১৯০৫- অভিনেত্রী দুর্গা খোটের জন্ম
১৯২৬- সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবীর জন্ম
১৯৩৮- আজকের মকর সংক্রান্তির দিনে বেলুড়মঠের রামকৃষ্ণ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন হয়
১৯৬৯- মাদ্রাজ রাজ্যের নাম হল তামিলনাড়ু
১৯১৯ - বিশিষ্ট চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব তথা প্রথিতযশা উর্দ্দুভাষী কবি ও সাহিত্যিক কাইফি আজমির জন্ম
১৯২৪ - বিশিষ্ট অভিনেতা ও গায়ক সবিতাব্রত দত্তর জন্ম
১৯২৬-  সাহিত্যিক ও মানবাধিকার আন্দোলনকর্মী মহাশ্বেতা দেবীর জন্ম
১৯২৯ - বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার শ্যামল মিত্রের জন্ম
১৯৫৪ -স্বাধীনতা সংগ্রামী   বিপিনবিহারী গঙ্গোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৬৫- ব্যান্ডিট কুইন  ছবি খ্যাত অভিনেত্রী সীমা বিশ্বাসের জন্ম
১৯৭২ - অভিনেত্রী  অনুভা গুপ্তর মৃত্যু 
১৯৭৭- ভারতের কাররেস তারকা নারায়ণ কার্তিকেয়নের জন্ম 
২০০৫- শনি গ্রহের বৃহত্তম উপগ্রহ টাইটান হুইজেন্সের অবতরণ
২০০৮ - নাসার পাঠানো ম্যাসেন্জার নামের মহাকাশযান প্রথম বুধ গ্রহের অদেখা গোলার্ধের ছবি তুলতে সক্ষম হয়



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.০৬ টাকা ৮৬.৮০ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৮৯ টাকা ১০৭.৫৮ টাকা
ইউরো ৮৬.৮৫ টাকা ৯০.১৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
11th  January, 2025
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,২৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,৬৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৯৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,০৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
12th  January, 2025

দিন পঞ্জিকা

৩০ পৌষ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫। প্রতিপদ ৫২/২৮ রাত্রি ৩/২২। পুনবর্সু নক্ষত্র ৯/৪৫ দিবা ১০/১৭। সূর্যোদয় ৬/২৩/৮, সূর্যাস্ত ৫/৮/১৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৯ গতে ১১/২৪ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৭ গতে ৮/৪০ মধ্যে পুনঃ ৯/৩৩ গতে ১২/১২ মধ্যে পুনঃ ১/৫৮ গতে ৩/৪৩ মধ্যে পুনঃ ৫/৩০ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/৪৭ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৩ গতে ৯/৪ মধ্যে পুনঃ ১/৬ গতে ২/২৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৪৬ গতে ৮/২৬ মধ্যে। 
২৯ পৌষ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫। প্রতিপদ রাত্রি ৩/৪২। পুনবর্সু নক্ষত্র দিবা ১০/৫৫। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে ও ৭/৪৯ গতে ১১/২২ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৪ গতে ৮/৩৭ মধ্যে ও ৯/৩০ গতে ১২/১০ মধ্যে ও ১/৫৭ গতে ৩/৪৪ মধ্যে ও ৫/৩০ গতে ৬/২৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৬ গতে ৯/৬ মধ্যে ও ১/৭ গতে ও ২/২৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৪৮ গতে ৮/২৭ মধ্যে। 
১৩ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দিনহাটায় বাড়ির সামনেই খুন হলেন ২ জন
দিনহাটার ভেটাগুড়িতে নিজের বাড়ির সামনেই খুন হলেন দু’জন। আজ, মঙ্গলবার ...বিশদ

11:02:00 PM

চণ্ডীগড়ে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নায়েব সিং সাইনির বাসভবনে জরুরি মিটিং, উপস্থিত দলীয় বিধায়করা

10:55:00 PM

চেন্নাইয়ের একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল

10:48:00 PM

যশপুরে রাধাকৃষ্ণ মন্দিরে পুজো দিলেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেও সাঁই

10:36:00 PM

ভরসন্ধ্যায় রিষড়ায় যুবককে ছুরিকাঘাত, মৃত্যু

10:32:00 PM

খো খো বিশ্বকাপ ২০২৫: দিল্লিতে কোরিয়াকে হারাল ভারতীয় মহিলা দল

10:24:00 PM