Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

হিন্দুত্ব প্রজেক্ট এবং ভারত-ব্র্যান্ডের ক্ষতি
সমৃদ্ধ দত্ত

দেওয়ালজুড়ে সাজানো হয়েছিল লাল রঙের লাভ সাইন আকৃতির বেলুন। শিশু ও বালক বালিকার দল নিজেদের মতো করে এঁকেছিল যিশুর ছবি। সকলেই পরেছিল সান্টাক্লজের লাল সাদা পোশাক। দিদিমণি এবং বাচ্চারা মিলে গা‌ই঩ছিল ক্রিসমাস ক্যারল। আমেদাবাদের বাপুনগরে সাউথ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের কিন্ডারগার্টেন বিভাগে এহেন এক উৎসব পরিবেশ ব্যাহত হল। কেন? কারণ আচমকা বিশ্ব হিন্দু পরিষদের একদল সদস্য স্কুলে ঢুকে প্রধান শিক্ষিকা এবং দিদিমণিদের ধমক, হুমকি দিয়ে বলল, এসব বিদেশি কালচার চলবে না। সব ডেকোরেশন খুলে ফেলতে হবে। বাচ্চারাও ভয় পেল। দিদিমণিরা তো বটেই। এরপর তাদের বাধ্য করা হয় সমস্ত দেওয়াল ফাঁকা করে দিতে। বাচ্চাদের আঁকা সব ছবি সরিয়ে ফেলা হয়। এই শেষ ওয়ার্নিং। আগামী বছর থেকে যেন এসব ক্রিসমাস পালন করতে না দেখি! এই হুঁশিয়ারি দিয়ে চলে যায় তারা। বিহ্বল এবং আতঙ্কিত দিদিমণি এবং বাচ্চারা সম্ভবত আগামী জীবনে আর কখনও এই আতঙ্ক ভুলবে না।
জোমাটো অথবা সুইগির ইউনিফর্ম আছে। সেইসব কোম্পানির নাম লেখা টি শার্ট পরেই ডেলিভারি পার্সনদের দেখা যায় শহরে শহরে বাইক অথবা স্কুটিতে চেপে অর্ডার করা খাবার পৌঁছে দেয় কাস্টমারের কাছে। ইন্দোরে ২৫ ডিসেম্বর অর্জুন কোম্পানির দেওয়া স্যান্টাক্লজের পোশাক ও টুপি পরে বাইকে চেপে খাবার ডেলিভারি করছিল একজন। হঠাৎ পথে তাকে আটকে দেওয়া হল। নামিয়ে প্রশ্ন করা হল, স্যান্টাক্লজের পোশাক পরেছো কেন? সে বলেছে, আজ ক্রিসমাস। কোম্পানির ক্রিসমাস ড্রাইভ চলছে। তাই..। হিন্দু জাগরণ মঞ্চের জেলা আহ্বায়ক সুমিত হারদিয়া তাঁকে বলেছে, এখনই খুলে ফেলতে হবে এই পোশাক। দিওয়ালির দিন যখন খাবার ডেলিভারি করিস, তখন কি রামচন্দ্র সেজে করিস? অর্জুন কাকুতি মিনতি করে বলে, স্যার আমি এই ড্রেস খুলে ফেললে কাজ হারাব। কারণ, আজ বলে দিয়েছে এটা পরেই খাবার ডেলিভারি করতে হবে। হিন্দু জাগরণ সেনা তাকে বলে, ওসব জানি না। তোর কাজ খাবার দেওয়া। এই পোশাক খুলতে হবে। অর্জুন বাধ্য হয় স্যান্টাক্লজের পোশাক খুলে ফেলতে।
ইস্ট খাসি হিলস জেলার মালিনং ভিলেজ চার্চের শান্ত আবহে আচমকা আকাশ সাগর ঢুকে পড়ল। এবং চার্চ অফ এফিমেনির অন্দরে যেখানে পাদ্রী  ও যাজকরা প্রার্থনা করেন ও বাইবেল পাঠ করেন, সেই অল্টারে দাঁড়িয়ে মা‌ই঩ক্রোফোন অন করে গাইতে শুরু করে রাম সিয়ারাম...সিয়ারাম জয় জয় রাম...। প্রার্থনা করতে আসা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষকে সে অল্টারে দাঁড়িয়ে ইশারা করে তার সঙ্গে গাইতে। জয় শ্রীরাম বলে সে তার কর্মসূচি সম্পন্ন করে।
এটা তো মেঘালয়ের প্রত্যন্ত কোনও জেলার একটি নির্জন চার্চের ঘটনা। হতেই পারে। মনে হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু লখনউয়ের হজরৎগঞ্জ তো নির্জন এবং প্রত্যন্ত কোনও স্থান নয়। কলকাতার যেমন ধর্মতলা, দিল্লির যেমন কনট প্লেস, বেঙ্গালুরুর যেমন এম জি রোড তেমনই লখনউয়ের হজরৎগঞ্জ। এহেন হজরৎগঞ্জের চার্চের সামনে জড়ো হয়ে লখনউয়ের এক বিরাট জনতা শ্রীকৃষ্ণ সংকীর্তন করতে শুরু করলেন ক্রিসমাসের রাতে। 
চার্চের প্রবেশপথ বন্ধ হয়ে গেল। আনন্দ ও উচ্ছ্বলতা দেখে মনে হয়েছিল জন্মাষ্টমীর রাত পালন করা হচ্ছে। ক্রিসমাস পালনের আবহ ঢেকে গিয়েছিল ওই উচ্চকিত হিন্দুত্ব ফেস্টিভ্যালে।
মধ্যপ্রদেশের দামো জেলা শহরে আয়োজিত করা হয়েছে স্বদেশি মেলার। আয়োজক স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ। গত নভেম্বর মাসে। যারা অংশগ্রহণ করে নিজেদের পণ্য বিক্রি করবে, তাদের স্টল ভাড়া দিতে হবে। যারা ভিনরাজ্য থেকে আসবে তাদের নিজেদের আসা, থাকা, খাওয়ার ব্যবস্থা নিজেদের করতে হবে। সেইমতো কাশ্মীরের কোনও বিক্রেতা ৩০ হাজার টাকা খরচ করে কার্পেট নিয়ে এসেছে এবং স্টল দিয়েছে। আগ্রার কোনও বিক্রেতা ৮ হাজার টাকা খরচ করে এসেছে এবং আগ্রার হস্তশিল্প নিয়ে বসবে বলে স্টল নিয়েছে। কিন্তু ১০ জন দোকানিকে বলা হল তোমরা স্টল ছেড়ে দিয়ে চলে যাও। এই মেলায় তোমাদের স্থান হবে না। বাছাই করা ওই ১০ জনই মুসলিম সম্প্রদায়ের। তারা বাইরে থেকে এসেছে। স্থানীয় আয়োজকদের সঙ্গে তো আর ঝগড়া করতে পারবে না। অতএব সকলেই মুখ বুজে ফিরে গিয়েছে স্বদেশি মেলা থেকে।
কুম্ভ মেলায় বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হবে। নাসের পাঠান নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘোষণা করল। সাংঘাতিক ঘটনা। এ তো দাঙ্গা বেঁধে যেতে পারে, এরকম ঘোষণায়! পুলিস তদন্তে নেমে ওই ফেসবুক অ্যাকাউন্টের মালিককে গ্রেপ্তার করে হতবাক। নাসের পাঠান নাম দিয়ে যে ওই হুমকি দিয়েছে, সে আসলে আয়ুশ জয়সওয়াল। হিন্দু তরুণ। 
এসব ঘটনা কীসের ইঙ্গিত করে? তার থেকে বড় প্রশ্ন হল, এসব থেকে হিন্দুত্ব কতটা উপকৃত হল? বরং এই ঘটনাগুলি থেকে স্পষ্ট, অর্থনীতি, জিডিপি, উন্নয়ন, বাজেট, ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন, মহিলা সংরক্ষণ বিল, জি টুয়েন্টি, চন্দ্রযান, ১০০ দিনের কাজ এসব নিত্যদিনের হাজারো সিরিয়াস ইস্যুর আড়ালে একটি সুনির্দিষ্ট প্রজেক্ট চলছে। প্রজেক্টের নাম হিন্দুরাষ্ট্র। না, আনুষ্ঠানিকভাবে হিন্দুরাষ্ট্র ঘোষণা করার প্রয়োজন নেই। কিন্তু লক্ষ করা যাচ্ছে, এমন একটি পরিস্থিতি এবং রাষ্ট্রীয় আবহ নির্মাণ করা হচ্ছে, যেটা কার্যত প্রমাণ করে দেয় যে, আদতে কিন্তু ভারত এখন হিন্দুরাষ্ট্রই। হিন্দুত্বই চালিকাশক্তি। সুতরাং মেজরিটির কথাই শেষ কথা।
নীতি নিয়ম বিধি এবং সামাজিক প্রথাকে নিয়ন্ত্রণ করবে ধর্মীয় মেজরিটি সংখ্যা। অন্যদের মেনে নিতে হবে। যা হওয়ার কথা ছিল পারস্পরিক সহাবস্থান, সেটি বদলে এখন করার চেষ্টা হচ্ছে একটি  বিভাজিত পরিবেশ নির্মাণের প্রকল্প। শাসক ও শাসিত। অর্থাৎ মেজরিটি শাসন করবে। মাইনরিটি মান্য করবে। ধর্ম, সমাজ, সংস্কৃতি, রাজনীতি। রাষ্ট্রের চারটি প্রধান স্তম্ভকে প্রভাবিত করবে সংখ্যাগুরু শ্রেণি। সেটা চিরকালই হয়ে এসেছে। কিন্তু আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পায়নি। এখন যেন সেই আনুষ্ঠানিক বিবৃতি অনেক বেশি প্রকট করার একটি প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। 
একজন হিন্দু কি অখুশি হয় হিন্দুত্বের বজ্রনির্ঘোষে? মোটেই নয়। মেজরিটেরিয়ান ডমিনেশনের অনুভূতি সর্বদা সব দেশেই সকল সম্প্রদায়ের কাছেই গোপন একটি তৃপ্তি। কিন্তু ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে যে উপায়ে সেটি প্রমাণ করার চেষ্টা চলছে, সেটি হিন্দুধর্মীয়দের কাছে বেশ কিছুটা লজ্জার। কারণ এসব ঘটনা থেকে দেশি-বিদেশি ভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের মনে হতেই পারে যে, হিন্দুরা এত ধর্মীয়ভাবে অসুরক্ষিত বোধ করে কেন? কে ক্রিসমাস পালন করল, কে নমাজ কবুল করল, কে বুদ্ধজয়ন্তীতে প্রার্থনা করল, সেটা হিন্দুধর্মকে আঘাত করবে কেন? হিন্দুধর্ম এতই ভঙ্গুর কে বলল? 
হিন্দু ধর্মের বয়স, ব্যাপ্তি, সভ্যতা, গভীরতা, অধ্যাত্মের সমুদ্র নিজেই এক মহাজগৎ! সেখানে অন্য কোনও ধর্ম পালিত হলে হিন্দুধর্ম ভয় পাবে কিংবা আশঙ্কা হবে ‘গেল গেল বলে’, এটা তো চূড়ান্ত ছেলেমানুষি এবং অশিক্ষার লক্ষণ। হিন্দুধর্ম স্বমহিমায় শ্রেষ্ঠ। তার কোনও প্রতিযোগিতায় নামার দরকারই নেই। সনাতন ধর্মচর্চার আরও উন্নতি করা হোক। সেটাই কাম্য। তাই বলে অন্য ধর্মকে কেন দমন পীড়নের দরকার বোঝা গেল না! 
প্রধানমন্ত্রী দিল্লিতে ক্যাথলিক বিশপস কনফারেন্সে যোগ দিয়ে শান্তি ও সমন্বয়ের বার্তা দিচ্ছেন। অথচ তারপরেও ক্রিসমাসে চার্চে হামলা হয়! রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের প্রধান ধমক দিয়ে বলেন, যত্রতত্র রামমন্দিরের মতো মন্দির মসজিদ ইস্যু তৈরি করা বরদাস্ত করা হবে না। এই দেশ সকলের। অথচ ঠিক বিপরীত কাজই করে সঙ্ঘ সদস্য সংগঠনগুলি রাজ্যে রাজ্যে। তাহলে কথাগুলো সত্যি? নাকি লোকদেখানো? আমাদের আড়ালে আসলে ঠিক কী খেলা চলছে? 
কারা চা‌ইছে এই দেশকে পাকিস্তানের মতো ধর্মোন্মাদী করে তুলতে? কারা চাইছে বাংলাদেশের মতো খাদের কিনারায় নিয়ে যেতে? কারা চাইছে শ্রীলঙ্কার মতো দেউলিয়া করে দিতে? এসব অস্থিরতাকে প্রশ্রয় দেওয়া আসলে কাদের প্রজেক্ট? 
সর্বোচ্চ জনসংখ্যা।। প্রাচীনতম গণতন্ত্র। সফলতম সংসদীয় সাধারণতন্ত্র। পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি। আজ পর্যন্ত সামরিক শাসনে না আসা। বিশ্বের বৃহত্তম বাজার। এবং ৭৮ বছর ধরে ধর্মনিরপেক্ষ! ‘ইন্ডিয়া দ্যাট ইজ ভারত’ নামক এই ব্র্যান্ডের তুলনা হয় নাকি? অথচ এই ব্র্যান্ড ধ্বংস করতে উদ্যত কোন আত্মঘাতীরা?
10th  January, 2025
‘আবার তোরা মানুষ হ’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

অশ্বত্থতলার মোড়ে গেলে এখনও কি ওই নুড়িটা দেখতে পাওয়া যাবে? মাপ করবেন। শিবরাম চক্কোত্তি মহাশয় নিজেই শেষে মত বদল করেছিলেন, আর আমরা তো নেহাৎ ছারপোকা। মনে পড়ল? ওই যে লেখকের হোঁচট-সঙ্গী পাথরটি... উপড়ে একপাশে রেখেছিলেন লেখক। বিশদ

‘ভাইস চ্যান্সেলর’ হবেন ইউজিসির ‘ভাইসরয়’! 
পি চিদম্বরম

প্রকৃতপক্ষে সব সরকারেরই অধিক ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা থাকে। তাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ এবং কর্তৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য তারা নতুন নতুন আইন তৈরি করে। এর কারণ এটাই যে শাসকরা ভাবেন, দেশ এবং জনগণের জন্য কোনটা ভালো তা কেবল তাঁরাই জানেন।
বিশদ

13th  January, 2025
স্বামী বিবেকানন্দের হিন্দুত্বই একমাত্র মুক্তির পথ
হিমাংশু সিংহ

‘‘যখন নেতৃত্ব দিচ্ছ তখন সেবা করো, স্বার্থশূন্য হও।’’ এই উপদেশ তিনি দিয়েছিলেন স্বাধীনতার অর্ধশতক আগে। আজ যখন আমরা উন্নত ভারতের স্বপ্ন দেখি, সংবিধানের ৭৫ বছরে নানা বর্ণাঢ্য উৎসব করি, তখন তাঁর ওই ছোট্ট অথচ মহান উপদেশটা কি মনে রেখেছি? বিশদ

12th  January, 2025
গদি বাঁচাতেই যুদ্ধের জিগির, কিন্তু কতদিন?
তন্ময় মল্লিক

‘ভারত ওদের শত্রু এখন বন্ধু পাকিস্তান/ যারা একাত্তরে কেড়েছিল লাখো মা-বোনের সম্মান/ এই হানাদার আজ এই মাটিতে বেঁধেছে আবার ঘর/ ওই নরপশুদের বাবা-দাদা ছিল পাক সেনাদের চর।’ এই গানের রচিয়তা ভারতবর্ষের কোনও গীতিকার নন।
বিশদ

11th  January, 2025
রাশিয়ার মসনদে পুতিনের ২৫ বছর
মৃণালকান্তি দাস

সময়টা ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর। রাশিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন হঠাৎ তাঁর পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে তিনি বলেন, ‘নতুন রাজনীতিবিদ, নতুন মুখ আর বুদ্ধিদীপ্ত, প্রাণচঞ্চল ও শক্তিশালী নতুন ব্যক্তিদের নেতৃত্বে রাশিয়াকে নতুন শতকে পা রাখতে হবে।’ বিশদ

09th  January, 2025
মোদির পর কে? নিঃশব্দ যুদ্ধ অমিত ও যোগীর
সন্দীপন বিশ্বাস

ডি এল রায়ের ‘সাজাহান’ নাটকে ঔরংজীব যখন ভাইদের হত্যা করে সিংহাসন দখল করলেন, তখনই তাঁর সেই প্রাপ্তির মধ্যেও জেগে উঠল ভয়ঙ্কর এক আতঙ্ক। ঘুমের মধ্যেও যেন তিনি আঁৎকে ওঠেন। বলেন, ‘কে তোমরা? জ্যোতির্ময়ী ধূমশিখার মতো মাঝে মাঝে আমার জাগ্রত তন্দ্রায় এসে দেখা দিয়ে যাও। বিশদ

08th  January, 2025
বিশ্বাসের পূর্ণকুম্ভে পরীক্ষা হিন্দুত্ব রাজনীতির
শান্তনু দত্তগুপ্ত

চারদিকে শুধুই আখড়া। ছোট, বড়, মাঝারি... পাশ দিয়ে হেঁটে চলে যাওয়া যাবে না। থমকে দাঁড়াতেই হবে। শৈব, বৈষ্ণব, শাক্ত... কিছুতেই যে আলাদা করা যায় না! ওই তো কানে আসছে ভজন। আর একটু এগোলে রামচরিতমানস পাঠ শোনা যাবে। আর ভেসে আসবে বেদগান। বিশদ

07th  January, 2025
পরিবর্তনের বীজ বপন মনমোহনেরই হাতে
পি চিদম্বরম

গত ২৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার চলে গেলেন ডঃ মনমোহন সিং। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। ১৯৯১ সালের ২১ জুন তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। সেদিনই তাঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগের শুরু। তাঁর প্রয়াণের সঙ্গেই অবসান ঘটল আমাদের মধ্যে সেই সুসম্পর্কের।
বিশদ

06th  January, 2025
বাংলাকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত বন্ধ হোক!
হিমাংশু সিংহ

‘দুনিয়ার হিন্দু এক হও...।’ বাংলাদেশ ইস্যুতে ফায়দা লুটতে আওয়াজ তুলছেন হতাশ দলবদলু নেতা। বঙ্গ বিজেপি’র যেরকম দিশাহারা অবস্থা, তাতে আর কী-বা করার আছে তাঁর। এই স্লোগান হিন্দু ধর্মের স্বার্থে না ঢাল তরোয়াল ছাড়া ভোট বৈতরণী পার করার বাধ্যবাধকতায়? বিশদ

05th  January, 2025
বিজেপির সদস্যতা অভিযান আসলে জুমলা
তন্ময় মল্লিক

আগে জামাকাপড় কেনাকাটার উপর বছরে একবারই ছাড় দেওয়া হতো। বাংলায় যার নাম ‘চৈত্র সেল’। বিক্রি না হওয়া মালপত্রের সদ্‌গতি করাই ছিল লক্ষ্য। বহু মানুষ চৈত্র সেলের অপেক্ষায় থাকত। কিন্তু এখন? মলে, বড় বড় দোকানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রায় সারা বছরই ‘অফার’ দেওয়া হয়। বিশদ

04th  January, 2025
নতুন বছরে বঙ্গীয় বাবুসমাজ আত্মসমীক্ষা করুক
সমৃদ্ধ দত্ত

বঙ্গীয় বাবুসমাজের সবথেকে বড় গর্ব হল, ‘আই নো অল’ মনোভাব। তাদের নিশ্চিত বিশ্বাস যে, তারা সব জানে। বাবুসমাজের প্রিয় শখ হল কারণে অকারণে অন্যদের অসম্মান ও অপমান করা। কারণ তাদের ধারণা অপমান করলেই জয়ী হওয়া যায়। বিশদ

03rd  January, 2025
বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার
মৃণালকান্তি দাস

হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার টের পেয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফখরুল সাহেব বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে কোনও মৌলবাদী শক্তির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নেই। বাংলাদেশের মানুষের শক্তির উপর আস্থা রাখি।’ বিশদ

02nd  January, 2025
একনজরে
দাবানলের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত আমেরিকার লস এঞ্জেলস। লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। ভয়াবহ এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে এখনও পর্যন্ত ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ কমপক্ষে ১৬ জন। ঘরছাড়া দেড় লক্ষের বেশি মানুষ। ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১২ হাজারের বেশি বাড়ি। ...

সাঁতরাগাছি ঝিল সংলগ্ন জমি রেলকে দখলদার মুক্ত করতেই হবে। সোমবার এমনটাই জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বহু আগেই সাঁতরাগাছি ঝিলের উত্তর দিকের জমি দখল করে বেশ কয়েকটি দোকান গড়ে ওঠে। ...


...

সোমবার সকালে ১০৮ কলস জল দিয়ে সহস্রধারায় স্নান করলেন মদনমোহন। প্রাচীন রীতি মেনে মদনমোহনের পুষ্যাভিষেক অনুষ্ঠিত হল এদিন। পৌষ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে এই পুজো হয়।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সন্তানের তীক্ষ্ণ বাক্য ও উদ্ধত আচরণে মনঃকষ্টের যোগ। কর্ম নিয়ে জটিলতার অবসান। অর্থকড়ি দিক অনুকূল। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৬১- পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে আহমদ শাহ দুররানীর নেতৃত্বে আফগানরা মারাঠাদের পরাজিত করে
১৮১৪- ডেনমার্কের রাজা সুইডেনের রাজার হাতে নরওয়েকে ছেড়ে দেন
১৮৫৮- নেপোলিয়নের উপর ব্যর্থ হামলা চালানো হয়
১৮৯৯- প্রকাশিত হল উদ্বোধন পত্রিকা
১৯০৩- ঐতিহাসিক নীহাররঞ্জন রায়ের জন্ম
১৯০৫- অভিনেত্রী দুর্গা খোটের জন্ম
১৯২৬- সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবীর জন্ম
১৯৩৮- আজকের মকর সংক্রান্তির দিনে বেলুড়মঠের রামকৃষ্ণ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন হয়
১৯৬৯- মাদ্রাজ রাজ্যের নাম হল তামিলনাড়ু
১৯১৯ - বিশিষ্ট চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব তথা প্রথিতযশা উর্দ্দুভাষী কবি ও সাহিত্যিক কাইফি আজমির জন্ম
১৯২৪ - বিশিষ্ট অভিনেতা ও গায়ক সবিতাব্রত দত্তর জন্ম
১৯২৬-  সাহিত্যিক ও মানবাধিকার আন্দোলনকর্মী মহাশ্বেতা দেবীর জন্ম
১৯২৯ - বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার শ্যামল মিত্রের জন্ম
১৯৫৪ -স্বাধীনতা সংগ্রামী   বিপিনবিহারী গঙ্গোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৬৫- ব্যান্ডিট কুইন  ছবি খ্যাত অভিনেত্রী সীমা বিশ্বাসের জন্ম
১৯৭২ - অভিনেত্রী  অনুভা গুপ্তর মৃত্যু 
১৯৭৭- ভারতের কাররেস তারকা নারায়ণ কার্তিকেয়নের জন্ম 
২০০৫- শনি গ্রহের বৃহত্তম উপগ্রহ টাইটান হুইজেন্সের অবতরণ
২০০৮ - নাসার পাঠানো ম্যাসেন্জার নামের মহাকাশযান প্রথম বুধ গ্রহের অদেখা গোলার্ধের ছবি তুলতে সক্ষম হয়



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.০৬ টাকা ৮৬.৮০ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৮৯ টাকা ১০৭.৫৮ টাকা
ইউরো ৮৬.৮৫ টাকা ৯০.১৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
11th  January, 2025
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,২৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,৬৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৯৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,০৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
12th  January, 2025

দিন পঞ্জিকা

৩০ পৌষ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫। প্রতিপদ ৫২/২৮ রাত্রি ৩/২২। পুনবর্সু নক্ষত্র ৯/৪৫ দিবা ১০/১৭। সূর্যোদয় ৬/২৩/৮, সূর্যাস্ত ৫/৮/১৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৯ গতে ১১/২৪ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৭ গতে ৮/৪০ মধ্যে পুনঃ ৯/৩৩ গতে ১২/১২ মধ্যে পুনঃ ১/৫৮ গতে ৩/৪৩ মধ্যে পুনঃ ৫/৩০ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/৪৭ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৩ গতে ৯/৪ মধ্যে পুনঃ ১/৬ গতে ২/২৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৪৬ গতে ৮/২৬ মধ্যে। 
২৯ পৌষ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫। প্রতিপদ রাত্রি ৩/৪২। পুনবর্সু নক্ষত্র দিবা ১০/৫৫। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে ও ৭/৪৯ গতে ১১/২২ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৪ গতে ৮/৩৭ মধ্যে ও ৯/৩০ গতে ১২/১০ মধ্যে ও ১/৫৭ গতে ৩/৪৪ মধ্যে ও ৫/৩০ গতে ৬/২৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৬ গতে ৯/৬ মধ্যে ও ১/৭ গতে ও ২/২৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৪৮ গতে ৮/২৭ মধ্যে। 
১৩ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দিনহাটায় বাড়ির সামনেই খুন হলেন ২ জন
দিনহাটার ভেটাগুড়িতে নিজের বাড়ির সামনেই খুন হলেন দু’জন। আজ, মঙ্গলবার ...বিশদ

11:02:00 PM

চণ্ডীগড়ে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নায়েব সিং সাইনির বাসভবনে জরুরি মিটিং, উপস্থিত দলীয় বিধায়করা

10:55:00 PM

চেন্নাইয়ের একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল

10:48:00 PM

যশপুরে রাধাকৃষ্ণ মন্দিরে পুজো দিলেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেও সাঁই

10:36:00 PM

ভরসন্ধ্যায় রিষড়ায় যুবককে ছুরিকাঘাত, মৃত্যু

10:32:00 PM

খো খো বিশ্বকাপ ২০২৫: দিল্লিতে কোরিয়াকে হারাল ভারতীয় মহিলা দল

10:24:00 PM