Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বাংলাকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত বন্ধ হোক!
হিমাংশু সিংহ

‘দুনিয়ার হিন্দু এক হও...।’ বাংলাদেশ ইস্যুতে ফায়দা লুটতে আওয়াজ তুলছেন হতাশ দলবদলু নেতা। বঙ্গ বিজেপি’র যেরকম দিশাহারা অবস্থা, তাতে আর কী-বা করার আছে তাঁর। এই স্লোগান হিন্দু ধর্মের স্বার্থে না ঢাল তরোয়াল ছাড়া ভোট বৈতরণী পার করার বাধ্যবাধকতায়? জঙ্গি অনুপ্রবেশকে হাতিয়ার করে এপারের পরিবেশকে অশান্ত করার চেষ্টা চলছে। বিএসএফ দেখেও কিছু দেখছে না, অভিযোগ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর উদ্বেগ সঙ্গত। সীমান্তের কাছেই জামাত-উল মুজাহিদিন বাংলাদেশ এবং আনসারুল্লা বাংলা টিম যে সক্রিয়, তা সবারই জানা।
বিগত একুশ ও চব্বিশ সালে বাংলার মানুষের মন জেতার কৌশল ব্যর্থ হওয়ার পর এবং চলতি সদস্য সংগ্রহ অভিযানের শোচনীয় পরিণতি খতিয়ে দেখার পরই আবার অস্তিত্বরক্ষার তাগিদে হিন্দুত্বের মুখিয়া সাজার প্রাণান্তকর চেষ্টা! বারবার সময় বাড়িয়েও সদস্য সংগ্রহ অভিযান টার্গেটের ধারেকাছেও পৌঁছতে পারেনি গেরুয়া শিবির। আজ রবিবার পর্যন্ত সময়সীমা বাড়িয়েও ফল হয়নি বিশেষ। বার্ধক্যের ভারে নুইয়ে পড়া অতীত দিনের যে নায়ক দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে একমঞ্চে দাঁড়িয়ে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অসংসদীয় শব্দ ব্যবহার করেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার সৎ সাহস দেখাতে পারেনি দল। অগত্যা বিয়েবাড়িতে সদ্য বিবাহিত কনের হাতে সদস্যপত্র তুলে দিয়ে পোজ দিতে দেখা গিয়েছে অপর এক এমপিকে। এতেই বোঝা যায় এ রাজ্যে গেরুয়া সংগঠনের দৌড়। কিন্তু বাজারের যাবতীয় অ্যান্টিবায়োটিক ও স্টেরয়েড ব্যবহারের পর আর কি মেরুকরণের পুরনো ওষুধ কাজে দেবে? একদিন এ রাজ্যে বামপন্থীদের স্লোগান ছিল ‘দুনিয়ার মজদুর এক হও’। অতি ব্যবহারে এবং সাড়ে তিন দশকের ভণ্ডামি দেখে দেখে আজ তা একেবারে ক্লিশে। লাল দল আজ এতটাই অপ্রাসঙ্গিক যে জেলায় জেলায় সিপিএমের সম্মেলন চলছে, মানুষ ঘুরেও দেখছে না। সেই বাতিল বামপন্থীদের স্লোগান নকল করে কেউ যদি রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দের উদার হিন্দুত্বকে কলঙ্কিত করতে চায়, কেউ যদি উন্নয়নকে পিছনে ঠেলে বিভাজনকে বাংলার যুযুধান ভোট রাজনীতির অস্ত্র করতে চায়, তাহলে সেটা আবারও ব্যুমেরাং হতে বাধ্য। এ রাজ্যের শান্তিপ্রিয় মানুষ ওই ফাঁদে পা দিতে রাজি নন। কারণ নাগপুরের মেকি হিন্দুত্ব পরখ করা হয়ে গিয়েছে বাঙালির। চোদ্দ মাস পর পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোট। মধ্যিখানে প্রথমে দিল্লির নির্বাচন। বছর শেষে বিহারের ভোট। অতঃপর ছাব্বিশের এপ্রিল মে মাসে বাংলাকে উথালপাথাল করা নির্বাচন। সঙ্গী কেরল ও তামিলনাড়ুও। জাতীয় রাজনীতির পক্ষে প্রতিটি লড়াই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর কে না জানে, আপাতত শুরু হওয়া নতুন বছরের রাজনৈতিক কিস্‌সা আবর্তিত হবে ওই পথেই।  
আসলে বড় অশান্ত সময়ে শুরু হল নতুন বছর ২০২৫। পৃথিবীজুড়ে একাধিক যুদ্ধ, লোকক্ষয়। অর্থনৈতিক মন্দার নিঃশব্দ উঁকি। অশান্ত গাজা। 
বিধ্বস্ত ইউক্রেন। ক্ষতিগ্রস্ত সিরিয়া। এবং অবশ্যই এক আশ্চর্য সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক মানচিত্রে যুদ্ধ, অশান্তি, আর্থিক মন্দা কিছুই অপ্রত্যাশিত নয়। 
কিন্তু পড়শি দেশের মধ্যেই যুদ্ধ, হিন্দু নিপীড়ন, মন্দিরে আগুন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘিত হওয়ার ঘটনার প্রভাব এপার বাংলায় পড়তে বাধ্য। 
আদালত পর্যন্ত মূক ও বধিরের ভূমিকায়। ইউনুস সরকারের মুজিবুরের ভূমিকাকে অস্বীকার আসলে ভারত বিরোধিতারই উগ্র প্রকাশ। একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের ভূমিকাকে ভুলিয়ে দিতেই বাংলাদেশের এই তালিবান হয়ে ওঠা। তারই ফায়দা লুটতে পার্শ্ববর্তী পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রের শাসক ‘হিন্দু’ বিজেপি মরিয়া হয়ে উঠেছে দেখেই মনে কু ডাকছে। এবং যদি সেই কাজে সীমান্তের পাহারাদার বিএসএফের মদত দেওয়ার অভিযোগ ওঠে, তাহলে বল঩তেই হবে পরিস্থিতি অত্যন্ত গম্ভীর। কারণ অভিযোগটা করা হয়েছে এই বাংলার জনপ্রিয়তম মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে।
সবাই জানে এ রাজ্যের সঙ্গেই বাংলাদেশের সীমান্ত প্রায় ২৩০০ কিলোমিটার বিস্তৃত। এটাই সর্বোচ্চ। এর একটা বড় অংশই নদীপথ। সেখানে কাঁটাতারের বাধা নেই। স্থলভাগেরও একটা বড় অংশ এখনও উন্মুক্ত। সীমান্তরক্ষীদের প্রহরাও অজ্ঞাত কারণে দুর্বল। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে যথাক্রমে অসম ও ত্রিপুরা। দু’টিই ডাবল ইঞ্জিন রাজ্য। সেই কারণে নাগপুরের চুঁইয়ে পড়া হতাশা শুধু পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে। যাতায়াতে কোনওদিনই তেমন কোনও বাধা নেই। একাত্তরের পর দু’দেশের সুসম্পর্ক এই আদানপ্রদান ও মেলামেশাকে আরও স্বতঃস্ফূর্ত ও নিরুপদ্রব করেছে। ফলে পদ্মাপারের অশান্তি এবং নৈরাজ্যের সবচেয়ে বড় প্রভাব যে পশ্চিমবঙ্গে পড়বে, তাতে আশ্চর্যের কিছু নেই। সেই সুবাদেই গত কয়েক মাসে এ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় যেভাবে একের পর এক বাংলাদেশি জঙ্গি মডিউলের (ধুলিয়ান ও জলঙ্গী) সন্ধান মিলেছে। শুধু মমতার সরকারকে দায়ী না করে, প্রতিটি ক্ষেত্রেই সীমান্ত প্রহরাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অনুপ্রবেশকারীরা কী করে এখানে ঘাঁটি গাড়ল, সেই প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। কেউ বলছে সব মিলিয়ে জঙ্গিদের ৪০টি স্লিপার সেল সক্রিয়। আবার কোনও কোনও মহল থেকে বলা হচ্ছে সংখ্যাটা আরও বেশি। বলাই বাহুল্য, সেই প্রশ্ন আজ রাজনৈতিক দলাদলি ও ক্ষমতা দখলের চেয়েও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বিএসএফের ব্যর্থতা কিংবা গাফিলতিকে অস্বীকার করা যায় কি? অসম, ত্রিপুরা সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের একটা বড় অংশ এবং পশ্চিমবঙ্গের মালদহ, কোচবিহার, মুর্শিদাবাদ এবং শিলিগুড়ি করিডর বা বিতর্কত চিকেন নেককে জঙ্গিদের ডেরা বানানোর আসল উদ্দেশ্য যদি ভয় দেখিয়ে হিন্দু ভোটকে এককাট্টা করা হয়, তাহলে বলতেই হবে এর চেয়ে লজ্জাজনক আর কিছুই হতে পারে না। প্রশাসনিক সভায় সেই চক্রান্তের ব্লু প্রিন্টই ফাঁস করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 
কিন্তু হলফ করে বলতে পারি, আবারও ভুল করছে বিজেপি। মেরুকরণ মানুষের মন জিততে পারে না। আর স্টেরয়েড রোজ রোজ ব্যবহার করা যায় না। সংগঠন শূন্য, গ্রহণযোগ্যতা  তলানিতে, মুখ নেই, নেই দল অন্তপ্রাণ কর্মীও। এমন একজন আগমার্কা বাঙালি নেতাও নেই যাঁর নামে কিংবা নেতৃত্বের ধারে ও ভারে জনসভায় লোক হয়। এই বাংলার মানুষের আবেগ, চাওয়া পাওয়া আন্দোলিত হয়। যিনি মুখোমুখি চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন মমতা দূর অস্ত, তৃণমূলের দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় শ্রেণির নেতা-নেত্রীদের। বঙ্গ বিজেপি’র এই শোচনীয় সাংগঠনিক অবস্থার মধ্যেই পৌষ সংক্রান্তি শেষ হলেই নাকি নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা হবে। সেই গেরুয়া পুত্রের জন্য অপেক্ষা নিশ্চয়ই থাকবে। কিন্তু তাঁকে মুখ করে ভোটে লড়ার সাহস কিংবা সামর্থ্য হবে কি? নাকি মোদি–অমিত শাহের আড়ালেই মুখ লুকোবে বাংলা দখলের আহ্লাদ! ভোট এলেই দেড় হাজার কিলোমিটার দূর থেকে উড়িয়ে এনে প্রধানমন্ত্রীকে এ রাজ্যে বিজেপির শতছিন্ন সংগঠনের নৌকো বাইতে বলা হয়। অলিতে-গলিতে প্রধানমন্ত্রীর সভা। তাতেও কাজ হচ্ছে না দেখে নেতা ভাঙিয়ে আনতে হয় অন্য দল থেকে। একুশে সেই খেলা জমলেও চব্বিশ থেকেই দল ভাঙায় ভাটা চলছে। ছাব্বিশের ভোটে দল ভাঙার ওষুধে কাজ হবে না বুঝতে পেরেই অগত্যা সাম্প্রদায়িক ইস্যুকে চাগিয়ে তোলার মরণপণ চেষ্টা। হিন্দু-মুসলিম বিভাজনের অভিঘাত আমাদের মতো গরিব দেশে বিরাট। কিন্তু ওটাই সব নয়। মানুষ কাজ চায়, চায় উন্নয়ন। যাবতীয় কেন্দ্রের টাকা দেওয়া বন্ধ করে হিন্দু বন্ধু সাজা এবারও মুখ থুবড়ে পড়তে বাধ্য। এভাবে ‘দুনিয়ার হিন্দু এক হও’ আওয়াজ তুলে পশ্চিমবঙ্গ জয়ের দুঃস্বপ্ন যাঁরা দেখছেন, একুশ ও চব্বিশ সালের মতো তাঁরা আবারও অকৃতকার্য হবে। বাংলার মানুষ যে কোনওরকম ধর্মীয় বিভাজন এবং সাম্প্রদায়িক অত্যাচারের বিরুদ্ধে। সহাবস্থান ও সৌভ্রাতৃত্বই এপারের হিন্দু ধর্মের ভিত্তি। নাগপুরের কট্টর সঙ্ঘ পরিবার রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ এবং চৈতন্যদেবের বাংলায় অন্য কোনও কৃষ্টি ও সংস্কৃতির আমদানি করতে চাইলে বারবার ব্যর্থ হওয়াই দেওয়াল লিখন। আরএসএসের একচোখা হিন্দুত্ব কোনওদিন আম বাঙালির হতে পারে না। 
05th  January, 2025
‘আবার তোরা মানুষ হ’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

অশ্বত্থতলার মোড়ে গেলে এখনও কি ওই নুড়িটা দেখতে পাওয়া যাবে? মাপ করবেন। শিবরাম চক্কোত্তি মহাশয় নিজেই শেষে মত বদল করেছিলেন, আর আমরা তো নেহাৎ ছারপোকা। মনে পড়ল? ওই যে লেখকের হোঁচট-সঙ্গী পাথরটি... উপড়ে একপাশে রেখেছিলেন লেখক। বিশদ

‘ভাইস চ্যান্সেলর’ হবেন ইউজিসির ‘ভাইসরয়’! 
পি চিদম্বরম

প্রকৃতপক্ষে সব সরকারেরই অধিক ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা থাকে। তাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ এবং কর্তৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য তারা নতুন নতুন আইন তৈরি করে। এর কারণ এটাই যে শাসকরা ভাবেন, দেশ এবং জনগণের জন্য কোনটা ভালো তা কেবল তাঁরাই জানেন।
বিশদ

13th  January, 2025
স্বামী বিবেকানন্দের হিন্দুত্বই একমাত্র মুক্তির পথ
হিমাংশু সিংহ

‘‘যখন নেতৃত্ব দিচ্ছ তখন সেবা করো, স্বার্থশূন্য হও।’’ এই উপদেশ তিনি দিয়েছিলেন স্বাধীনতার অর্ধশতক আগে। আজ যখন আমরা উন্নত ভারতের স্বপ্ন দেখি, সংবিধানের ৭৫ বছরে নানা বর্ণাঢ্য উৎসব করি, তখন তাঁর ওই ছোট্ট অথচ মহান উপদেশটা কি মনে রেখেছি? বিশদ

12th  January, 2025
গদি বাঁচাতেই যুদ্ধের জিগির, কিন্তু কতদিন?
তন্ময় মল্লিক

‘ভারত ওদের শত্রু এখন বন্ধু পাকিস্তান/ যারা একাত্তরে কেড়েছিল লাখো মা-বোনের সম্মান/ এই হানাদার আজ এই মাটিতে বেঁধেছে আবার ঘর/ ওই নরপশুদের বাবা-দাদা ছিল পাক সেনাদের চর।’ এই গানের রচিয়তা ভারতবর্ষের কোনও গীতিকার নন।
বিশদ

11th  January, 2025
হিন্দুত্ব প্রজেক্ট এবং ভারত-ব্র্যান্ডের ক্ষতি
সমৃদ্ধ দত্ত

দেওয়ালজুড়ে সাজানো হয়েছিল লাল রঙের লাভ সাইন আকৃতির বেলুন। শিশু ও বালক বালিকার দল নিজেদের মতো করে এঁকেছিল যিশুর ছবি। সকলেই পরেছিল সান্টাক্লজের লাল সাদা পোশাক। দিদিমণি এবং বাচ্চারা মিলে গা‌ই঩ছিল ক্রিসমাস ক্যারল। বিশদ

10th  January, 2025
রাশিয়ার মসনদে পুতিনের ২৫ বছর
মৃণালকান্তি দাস

সময়টা ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর। রাশিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন হঠাৎ তাঁর পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে তিনি বলেন, ‘নতুন রাজনীতিবিদ, নতুন মুখ আর বুদ্ধিদীপ্ত, প্রাণচঞ্চল ও শক্তিশালী নতুন ব্যক্তিদের নেতৃত্বে রাশিয়াকে নতুন শতকে পা রাখতে হবে।’ বিশদ

09th  January, 2025
মোদির পর কে? নিঃশব্দ যুদ্ধ অমিত ও যোগীর
সন্দীপন বিশ্বাস

ডি এল রায়ের ‘সাজাহান’ নাটকে ঔরংজীব যখন ভাইদের হত্যা করে সিংহাসন দখল করলেন, তখনই তাঁর সেই প্রাপ্তির মধ্যেও জেগে উঠল ভয়ঙ্কর এক আতঙ্ক। ঘুমের মধ্যেও যেন তিনি আঁৎকে ওঠেন। বলেন, ‘কে তোমরা? জ্যোতির্ময়ী ধূমশিখার মতো মাঝে মাঝে আমার জাগ্রত তন্দ্রায় এসে দেখা দিয়ে যাও। বিশদ

08th  January, 2025
বিশ্বাসের পূর্ণকুম্ভে পরীক্ষা হিন্দুত্ব রাজনীতির
শান্তনু দত্তগুপ্ত

চারদিকে শুধুই আখড়া। ছোট, বড়, মাঝারি... পাশ দিয়ে হেঁটে চলে যাওয়া যাবে না। থমকে দাঁড়াতেই হবে। শৈব, বৈষ্ণব, শাক্ত... কিছুতেই যে আলাদা করা যায় না! ওই তো কানে আসছে ভজন। আর একটু এগোলে রামচরিতমানস পাঠ শোনা যাবে। আর ভেসে আসবে বেদগান। বিশদ

07th  January, 2025
পরিবর্তনের বীজ বপন মনমোহনেরই হাতে
পি চিদম্বরম

গত ২৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার চলে গেলেন ডঃ মনমোহন সিং। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। ১৯৯১ সালের ২১ জুন তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। সেদিনই তাঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগের শুরু। তাঁর প্রয়াণের সঙ্গেই অবসান ঘটল আমাদের মধ্যে সেই সুসম্পর্কের।
বিশদ

06th  January, 2025
বিজেপির সদস্যতা অভিযান আসলে জুমলা
তন্ময় মল্লিক

আগে জামাকাপড় কেনাকাটার উপর বছরে একবারই ছাড় দেওয়া হতো। বাংলায় যার নাম ‘চৈত্র সেল’। বিক্রি না হওয়া মালপত্রের সদ্‌গতি করাই ছিল লক্ষ্য। বহু মানুষ চৈত্র সেলের অপেক্ষায় থাকত। কিন্তু এখন? মলে, বড় বড় দোকানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রায় সারা বছরই ‘অফার’ দেওয়া হয়। বিশদ

04th  January, 2025
নতুন বছরে বঙ্গীয় বাবুসমাজ আত্মসমীক্ষা করুক
সমৃদ্ধ দত্ত

বঙ্গীয় বাবুসমাজের সবথেকে বড় গর্ব হল, ‘আই নো অল’ মনোভাব। তাদের নিশ্চিত বিশ্বাস যে, তারা সব জানে। বাবুসমাজের প্রিয় শখ হল কারণে অকারণে অন্যদের অসম্মান ও অপমান করা। কারণ তাদের ধারণা অপমান করলেই জয়ী হওয়া যায়। বিশদ

03rd  January, 2025
বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার
মৃণালকান্তি দাস

হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার টের পেয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফখরুল সাহেব বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে কোনও মৌলবাদী শক্তির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নেই। বাংলাদেশের মানুষের শক্তির উপর আস্থা রাখি।’ বিশদ

02nd  January, 2025
একনজরে
অ্যাডামাস ইউনির্ভাসিটির স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনোলজির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে হয়ে গেল ছ’দিনের বিশেষ কর্মশালা। ৬ থেকে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত এই কর্মশালা পুরোটাই অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ...

সাঁতরাগাছি ঝিল সংলগ্ন জমি রেলকে দখলদার মুক্ত করতেই হবে। সোমবার এমনটাই জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বহু আগেই সাঁতরাগাছি ঝিলের উত্তর দিকের জমি দখল করে বেশ কয়েকটি দোকান গড়ে ওঠে। ...


...

সোমবার সকালে ১০৮ কলস জল দিয়ে সহস্রধারায় স্নান করলেন মদনমোহন। প্রাচীন রীতি মেনে মদনমোহনের পুষ্যাভিষেক অনুষ্ঠিত হল এদিন। পৌষ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে এই পুজো হয়।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সন্তানের তীক্ষ্ণ বাক্য ও উদ্ধত আচরণে মনঃকষ্টের যোগ। কর্ম নিয়ে জটিলতার অবসান। অর্থকড়ি দিক অনুকূল। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৬১- পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে আহমদ শাহ দুররানীর নেতৃত্বে আফগানরা মারাঠাদের পরাজিত করে
১৮১৪- ডেনমার্কের রাজা সুইডেনের রাজার হাতে নরওয়েকে ছেড়ে দেন
১৮৫৮- নেপোলিয়নের উপর ব্যর্থ হামলা চালানো হয়
১৮৯৯- প্রকাশিত হল উদ্বোধন পত্রিকা
১৯০৩- ঐতিহাসিক নীহাররঞ্জন রায়ের জন্ম
১৯০৫- অভিনেত্রী দুর্গা খোটের জন্ম
১৯২৬- সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবীর জন্ম
১৯৩৮- আজকের মকর সংক্রান্তির দিনে বেলুড়মঠের রামকৃষ্ণ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন হয়
১৯৬৯- মাদ্রাজ রাজ্যের নাম হল তামিলনাড়ু
১৯১৯ - বিশিষ্ট চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব তথা প্রথিতযশা উর্দ্দুভাষী কবি ও সাহিত্যিক কাইফি আজমির জন্ম
১৯২৪ - বিশিষ্ট অভিনেতা ও গায়ক সবিতাব্রত দত্তর জন্ম
১৯২৬-  সাহিত্যিক ও মানবাধিকার আন্দোলনকর্মী মহাশ্বেতা দেবীর জন্ম
১৯২৯ - বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার শ্যামল মিত্রের জন্ম
১৯৫৪ -স্বাধীনতা সংগ্রামী   বিপিনবিহারী গঙ্গোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৬৫- ব্যান্ডিট কুইন  ছবি খ্যাত অভিনেত্রী সীমা বিশ্বাসের জন্ম
১৯৭২ - অভিনেত্রী  অনুভা গুপ্তর মৃত্যু 
১৯৭৭- ভারতের কাররেস তারকা নারায়ণ কার্তিকেয়নের জন্ম 
২০০৫- শনি গ্রহের বৃহত্তম উপগ্রহ টাইটান হুইজেন্সের অবতরণ
২০০৮ - নাসার পাঠানো ম্যাসেন্জার নামের মহাকাশযান প্রথম বুধ গ্রহের অদেখা গোলার্ধের ছবি তুলতে সক্ষম হয়



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.০৬ টাকা ৮৬.৮০ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৮৯ টাকা ১০৭.৫৮ টাকা
ইউরো ৮৬.৮৫ টাকা ৯০.১৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
11th  January, 2025
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,২৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,৬৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৯৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,০৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
12th  January, 2025

দিন পঞ্জিকা

৩০ পৌষ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫। প্রতিপদ ৫২/২৮ রাত্রি ৩/২২। পুনবর্সু নক্ষত্র ৯/৪৫ দিবা ১০/১৭। সূর্যোদয় ৬/২৩/৮, সূর্যাস্ত ৫/৮/১৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৯ গতে ১১/২৪ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৭ গতে ৮/৪০ মধ্যে পুনঃ ৯/৩৩ গতে ১২/১২ মধ্যে পুনঃ ১/৫৮ গতে ৩/৪৩ মধ্যে পুনঃ ৫/৩০ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/৪৭ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৩ গতে ৯/৪ মধ্যে পুনঃ ১/৬ গতে ২/২৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৪৬ গতে ৮/২৬ মধ্যে। 
২৯ পৌষ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫। প্রতিপদ রাত্রি ৩/৪২। পুনবর্সু নক্ষত্র দিবা ১০/৫৫। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে ও ৭/৪৯ গতে ১১/২২ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৪ গতে ৮/৩৭ মধ্যে ও ৯/৩০ গতে ১২/১০ মধ্যে ও ১/৫৭ গতে ৩/৪৪ মধ্যে ও ৫/৩০ গতে ৬/২৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৬ গতে ৯/৬ মধ্যে ও ১/৭ গতে ও ২/২৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৪৮ গতে ৮/২৭ মধ্যে। 
১৩ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দিনহাটায় বাড়ির সামনেই খুন হলেন ২ জন
দিনহাটার ভেটাগুড়িতে নিজের বাড়ির সামনেই খুন হলেন দু’জন। আজ, মঙ্গলবার ...বিশদ

11:02:00 PM

চণ্ডীগড়ে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নায়েব সিং সাইনির বাসভবনে জরুরি মিটিং, উপস্থিত দলীয় বিধায়করা

10:55:00 PM

চেন্নাইয়ের একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল

10:48:00 PM

যশপুরে রাধাকৃষ্ণ মন্দিরে পুজো দিলেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেও সাঁই

10:36:00 PM

ভরসন্ধ্যায় রিষড়ায় যুবককে ছুরিকাঘাত, মৃত্যু

10:32:00 PM

খো খো বিশ্বকাপ ২০২৫: দিল্লিতে কোরিয়াকে হারাল ভারতীয় মহিলা দল

10:24:00 PM