Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

স্বামী বিবেকানন্দের হিন্দুত্বই একমাত্র মুক্তির পথ
হিমাংশু সিংহ

‘‘যখন নেতৃত্ব দিচ্ছ তখন সেবা করো, স্বার্থশূন্য হও।’’ এই উপদেশ তিনি দিয়েছিলেন স্বাধীনতার অর্ধশতক আগে। আজ যখন আমরা উন্নত ভারতের স্বপ্ন দেখি, সংবিধানের ৭৫ বছরে নানা বর্ণাঢ্য উৎসব করি, তখন তাঁর ওই ছোট্ট অথচ মহান উপদেশটা কি মনে রেখেছি? আজ নেতা থেকে আমলা, সরকারি চাকুরে, পুলিস, কপট সাধুসন্ত অনেকে পদে পদে ক্ষমতাকে নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য ব্যবহার করছেন। কেউ বাদ নেই! আখের গোছানো, দখলদারি এবং ক্ষমতার উচ্চকিত আস্ফালনই এই সংসারের একমাত্র ধর্ম! তবু তিনি আছেন উৎসারিত আলো হয়েই। আজ ১২ জানুয়ারির উদ্দীপনাই তার জ্বলন্ত প্রমাণ।
স্বামী বিবেকানন্দের হিন্দুধর্ম কোনওদিন ক্ষমতা দখলের অস্ত্র ছিল না। হানাহানির মন্ত্র তিনি বিতরণ করেননি অকাতরে। তাই সহজেই বলতে পেরেছিলেন, “আমি যা বলব তা তোমাদের অবাক করবে।’’ পরের কথাগুলি সত্যি চমকে দেওয়ার মতোই, ‘‘গীতা পড়ার চেয়ে ফুটবল খেলে অনেক সহজে স্বর্গের কাছাকাছি যাওয়া যায়। তুমি শক্তিশালী হলে তবেই গীতার বাণী বুঝতে পারবে।’ তিনি গীতার মাহাত্ম্যকে অস্বীকার করেননি। কিন্তু সবসময় চেয়েছেন ভিতরের শক্তি জাগ্রত হোক। মন্দির নয়, গির্জা নয়, বাইবেল-কোরানও নয়, আত্মবল ও বিশ্বাসই ছিল তাঁর ধর্মের মূল কথা। যা আজকের নেতানেত্রী, সাধারণ মানুষ কেউ অনুসরণ করি না, ভক্তির নামে ভড়ং রপ্ত করি! ডিজে বাজিয়ে কীর্তন শুনি। বিশ্বাস বলতে একগুঁয়েমি বুঝি। মন্দিরে গিয়েও পরের অনিষ্ট চিন্তা করি। সেই কারণেই আজ শিক্ষিত, অশিক্ষিত, উকিল, ডাক্তার সবার নৈতিক চরিত্রের এমন অবনমন ঘটে গিয়েছে। ১২ জানুয়ারি ১৮৬৩ থেকে ৪ জুলাই ১৯০২। ৩৯ বছরের জীবনযাত্রায় বারবার তিনি আত্মশক্তি এবং নিজের উপর বিশ্বাসের কথাই বলেছেন। আমরা দুর্ভাগা জাতি, তাই তাঁকে মাত্র ৩৯ বছর বয়সে হারিয়েছি। আর এগারোদিন পর যে মহামানবের জন্মদিন সেই নেতাজি সুভাষের অন্তর্ধান ঘটেছে ১৯৪৮ সালে। ৫১ বছর বয়সে। দু’জনেই যদি পূর্ণজীবন কাটাতেন তাহলে আজ বাঙালির ইতিহাস নতুন করে লিখতে হতো! জাতীয় রাজনীতির গতিপথও অন্যখাতে প্রবাহিত হতো। তাঁর কাছে মন্দির নয়, মানুষ, সর্বোপরি দেশই ছিল প্রথম। তাই তিনি আহ্বান করেছিলেন, ‘‘হে বীর, সাহস অবলম্বন কর; সদৰ্পে বল—আমি ভারতবাসী, ভারতবাসী আমার ভাই। বল—মূর্খ ভারতবাসী, দরিদ্র ভারতবাসী, ব্রাহ্মণ ভারতবাসী, চণ্ডাল ভারতবাসী আমার ভাই।’’
১২৩ বছর আগে ইহলোক ত্যাগ করেন স্বামী বিবেকানন্দ। তারও প্রায় একদশক আগে শিকাগোয় প্রকৃত ধর্মের আত্মপ্রকাশ ঘটিয়েছিলেন। আধুনিক হিন্দুধর্মের অবতারণা করতে গিয়ে তিনি বারবার জয়গান গেয়েছেন ভারতীয়ত্বের। ভোট কেনার পোস্টার বয় নন, মানবিক এক সর্বজয়ী জেদি সন্ন্যাসী। তাই অহরহ তাঁর বাণী আজও এমন এক ধর্মের কথা বলে যার নিউক্লিয়াস জুড়ে শুধুই জীবে প্রেম। ঠাকুরের যেমন সর্বজনীন ‘যত মত তত পথ’। এত সহজ অথচ সরাসরি বুকে সজোরে ঢেউ তোলা আর কোনও বাক্য হাজার ধর্মের চৌহদ্দি চষে ফেললেও মিলবে না। তাঁর তেমনি ‘জীবে প্রেম করে যেই জন সেই জন সেবিছে ঈশ্বর’। এর চেয়ে উদার, সহজ অথচ অন্ধকারে ধ্রুবজ্যোতির মতো নির্দিষ্ট আর কিছু হতে পারে? 
ঘৃণা নয় ভ্রাতৃত্ব, অজ্ঞানতা নয়, বৈজ্ঞানিক চিন্তার স্বতঃস্ফূর্ত বিকাশ। সাম্প্রদায়িকতা নয়, বহুত্ববাদ, আরও নির্দিষ্ট করে বললে বিপরীতমুখী চিন্তার নিরাপদ সহাবস্থান। তিনি যে হিন্দু ধর্মের স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং আজীবন লালন করেছিলেন তা ভোট কেনার উপকরণ ছিল না। তাই মাত্র ৩০ বছর বয়সে শিকাগোর ধর্মসভায় উপস্থিত সকলকে চমকে দিয়েছিলেন একটিমাত্র সরল ও সহজ বাক্যে—‘সিস্টার্স অ্যান্ড ব্রাদার্স অব আমেরিকা।’ বিশ্বমঞ্চে হিন্দুধর্মের কোনও কঠিন তত্ত্বের অহঙ্কারী উচ্চারণ নয়, স্থিতধী অথচ জেদি এক যুবকের উজ্জ্বল অভিব্যক্তি। তিনি ধর্মের নামে ভাগাভাগির কথা বলেননি। আজকের পদ্মাপারের হিন্দু নির্যাতন কিংবা তেইশ বছর আগে গুজরাত দাঙ্গার অভিঘাত যখন আমাদের ধর্মকে সঙ্কীর্ণ বেড়াজালে বাঁধতে মরিয়া, তখন তাঁর আদর্শই হিন্দুত্বের উত্তরণের একমাত্র পথ।
গুরু শ্রীরামকৃষ্ণের মৃত্যুর অব্যবহিত পরে ১৮৮৭ সালের ১ মে বেলুড়ে যে রামকৃষ্ণ মিশনের প্রতিষ্ঠা, তা দক্ষ সংগঠক হিসেবে তাঁর আত্মপ্রকাশের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। পুঁজি শুধু সত্যকে আঁকড়ে থাকার অদম্য ইচ্ছা। কাশীপুর উদ্যানবাটি থেকে ‘রামকৃষ্ণ ফৌজ’-এর এই ১৩৬ বছরের ধারাবাহিক জয়যাত্রার সঙ্গে আজ গোটা দেশের আধ্যাত্মিক চেতনা জড়িয়ে গিয়েছে। ১৯৮৫ সাল থেকে ১২ জানুয়ারি ‘যুবদিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। যুবকদের উদ্দেশে তাঁর সরল ও সহজ উপদেশ, ‘‘যদি সত্যি মন থেকে কিছু করতে চাও তাহলে পথ পাবে, আর যদি না চাও তাহলে অজুহাত পাবে।’’ তাঁর উপদেশ, ‘‘জীবনে বড় হতে গেলে যে কোনও ব্যক্তির তিনটি জিনিস প্রয়োজন। এক শিক্ষা, দুই ইচ্ছাশক্তি, তিন বুদ্ধি।” ‘‘সাফল্য পেতে হলে নিজের উপর বিশ্বাস রাখো, তোমার দ্বারাই সব সম্ভব। সংকল্প নিয়ে এগিয়ে যাও, সাফল্য আসবেই। লক্ষ্য অর্জনের আগে থেমো না। যতক্ষণ বেঁচে রয়েছ শিখতে থাকো। কারণ অভিজ্ঞতা আর অনুভবই সবথেকে বড় শিক্ষক।” যুবসমাজের জন্য আর কে এমন পথের দিশা দিয়ে গিয়েছেন!
জন্ম থেকেই বিবেকানন্দ কখনও পরাজয় স্বীকার করেননি। পাশ্চাত্যের ষড়যন্ত্রীদের চরিত্রহননের চক্রান্তের বিরুদ্ধে তাঁকে কঠিন লড়াই করতে হয়েছিল। নিবেদিতাকে লিখেছিলেন, এই সংগ্রাম তাঁর আয়ু কুড়ি বছর কমিয়ে দিয়েছিল। তবু আপস করেননি। বিবেকানন্দ জন্মগত যোদ্ধা। কিন্তু এই যুদ্ধ কার জন্য? কীসের জন্য? ভোগসর্বস্ব উদ্ধত জড়বাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে সভ্যতাকে বাঁচানোর তাগিদে। সেই ছিল ‘ক্রুশবিদ্ধ’ বিবেকানন্দের একক সংগ্রাম। গুরু শ্রীরামকৃষ্ণ বলেছিলেন, ‘‘তুই যে বীর রে।’’ কারণ শ্রীরামকৃষ্ণকেও পরীক্ষা না করে তিনি গুরুর আসনে বসাতে রাজি হননি। আবার ঠাকুরও তাঁকে মা কালীর কাছে বর চাইতে পাঠিয়ে চরম পরীক্ষা নিয়েছিলেন। ম্যাসাচুসেটসের এক ছোট সভাগৃহে যখন মিশনারিরা যথেচ্ছ অপমান করে, ভয় দেখিয়ে হিন্দু সন্ন্যাসীকে জয় করার চিন্তা করেছিল, সেই রাত্রে বিবেকানন্দ হঠাৎ উঠে দাঁড়ালেন। তাঁর চোয়াল শক্ত। মিশনারিরা অনুভব করলেন ইনি তো অনন্ত শক্তির জীবন্ত প্রতিমূর্তি। কীসের জন্য এবং কার বিরুদ্ধে সর্বত্যাগী সন্ন্যাসীর যুদ্ধ? উত্তর সহজ, ধর্মের নামে চালাকি, বুজরুকি, ভিত্তিহীন প্রচারের বিরুদ্ধে। বিবেকানন্দর লড়াই ছিল আহাম্মকি ও ভণ্ডামির বিরুদ্ধে। এতে শত্রু বেড়েছিল, পথ কঠিন হয়েছিল। তবু তিনি পিছিয়ে যাননি। জানতেন সত্যই চিরজীবী। মেরি হেলকে লিখেছিলেন, ‘‘একমাত্র সত্যের সন্তানরাই চিরজীবী।’’ ভক্তদের উদ্বুব্ধ করতেন, ‘‘সত্যের জন্য সবকিছুই ত্যাগ করা চলে, কিন্তু কোনও কিছুর বিনিময়েই সত্যকে ত্যাগ করা চলে না।’’ 
ছেলেবেলায় বাবার বৈঠকখানায় সব কিসিমের গড়গড়ার নল মুখে নিয়ে জাত যায় কী করে, পরীক্ষা করতে চেয়েছিলেন। বাবা বিশ্বনাথ দত্তের বাবুর্চিটিও ছিলেন মুসলিম। হিন্দু-মুসলিমকে এক বৃন্তে মালা করে গেঁথে তোলার পাঠ সেই থেকেই। শ্রীরামকৃষ্ণও জানতেন, তাঁর প্রিয় শিষ্যের খাদ্যতালিকা থেকে মুরগি-পাঁঠা-মাছ বাদ যায় না কিছুই। জাতপাতের ভাগাভাগি ভেঙে দেওয়াই ছিল তাঁর উদ্দেশ্য। একবার এক শিষ্য নরেনের নামে নালিশ জানান শ্রীরামকৃষ্ণকে। জবাবে ঠাকুর বলেন, ‘‘‌খেয়েছে বেশ করেছে। তুই যদি হবিষ্যিও খাস, আর নরেন হোটেলে খায়, তাহলেও তুই কোনওদিন ওর সমান হতে পারবি না।’’‌ 
বিবেকানন্দ লিখেছিলেন, ‘‘প্রত্যেক সম্প্রদায় যেভাবে ঈশ্বরের আরাধনা করে, আমি তাহাদের প্রত্যেকের সঙ্গে বসে ঠিক সেইভাবেই তাঁহার আরাধনা করি। আমি মুসলমানদিগের মসজিদে যাইব, খ্রিস্টানদিগের গির্জায় প্রবেশ করিয়া ক্রুশবিদ্ধ ঈশার সম্মুখে নতজানু হইব, বৌদ্ধদের বিহারে প্রবেশ করিয়া তাঁহার ধর্মের শরণ লইব, এবং অরণ্যে গমন করিয়া সেইসব হিন্দুর পার্শ্বে ধ্যানে মগ্ন হইব।’’ স্বামীজি বলেছিলেন, ‘‘মানবজাতিকে সেই স্থানে লইয়া যাইতে চাই—যেখানে বেদও নাই, বাইবেলও নাই, কোরানও নাই, অথচ বেদ, বাইবেল ও কোরানের সমন্বয় দ্বারাই ইহা করিতে হইবে। মানবকে শিখাইতে হইবে যে, সকল ধর্ম ‘একই ধর্মে’র বিবিধ প্রকাশ মাত্র, যাহার যেটি উপযোগী সেটিকেই বাছিয়া লইতে পারে।’’ 
আর মন্দির প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘‘কোটি টাকা খরচা করে, কাশী-বৃন্দাবনের ঠাকুর ঘরের দরজা খুলছে আর পড়ছে। এই ঠাকুর কাপড় ছাড়ছেন তো ওই ঠাকুর ভাত খাচ্ছেন। আর এক ঠাকুর আঁটকুড়ির ব্যাটাদের গুষ্টির পিণ্ডি করছেন। এদিকে আসল জ্যান্ত ঠাকুর অন্ন বিনা, বস্ত্র বিনা মরছে।’’ বিবেকানন্দ বলছেন, ‘‘সো লং অ্যাজ ইভন আ সিঙ্গল ডগ ইন মাই কান্ট্রি হ্যাজ নো ফুড, মাই হোল রিলিজিয়ন উইল বি টু ফিড দেম।’’ এই স্বামীজির সঙ্গে বর্তমানে নির্বাচন পার করা ধর্মের স্বঘোষিত কেষ্টবিষ্টুদের দূরত্ব বিরাট। এই দেশে ভোট এলেই ধর্মের বাড়বাড়ন্ত হয়। ভাগাভাগি প্রাণ কেড়ে নেয়। গণতন্ত্রের মঞ্চে হয়তো এটাই অবশ্যম্ভাবী—কারণ যেখানে গণতন্ত্র মানে ভোট, আর ভোট মানে পাটিগণিতের খেলায় গদি দখল। তিনি বলেছেন, ‘‘চাইলে, তুমি নাস্তিক হও। কিন্তু কোনও কিছুকেই সন্দেহাতীতভাবে বিশ্বাস কোরো না।’’ তাঁর এই বক্তব্যের সবচেয়ে বড় প্রমাণ দক্ষিণেশ্বরে এ যুগের শ্রেষ্ঠ গুরু শ্রীরামকৃষ্ণকেও তিনি পরখ করতে ছাড়েননি। তাঁর কথায়, ‘‘জীবনে ঝুঁকি নিন। জিতলে নেতৃত্ব দিতে পারবেন। আর পরাজিত হলে গাইডের ভূমিকা নিতে পারবেন। আমি বিশ্বাস করি যে কেউ কিছু পাওয়ার উপযুক্ত হলে, জগতের কোন শক্তিই তাকে বঞ্চিত করতে পারে না।” তিনি বলে গিয়েছেন, ‘‘এমন কাজ করো যাতে তুমি হাসতে হাসতে মরবে, আর জগৎ তোমার জন্য কাঁদবে। সারাদিন চলার পথে যদি কোনও সমস্যার সম্মুখীন না হও, তাহলে বুঝবে তুমি ভুল পথে চলেছ।’’
মাত্র ৩৯ বছরের অসম্পূর্ণ জীবন। তবু তাঁর এই বিশাল কর্মকাণ্ড থেকে একটা প্রশ্নই বারে বারে আঘাত করে, তিনি কি শুধুই সন্ন্যাসী ছিলেন, না সমাজ সংস্কারক, পরিব্রাজক, দেশপ্রেমিক, দক্ষ সংগঠক, দূরদৃষ্টিসম্পন্ন মানবিক নেতা এবং প্রেমিক পুরুষ। ধূপের ধোঁয়া কিংবা ফুলের গন্ধের আতিশয্য নয়, তাঁর স্মরণ হোক কর্মযোগে।
12th  January, 2025
‘আবার তোরা মানুষ হ’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

অশ্বত্থতলার মোড়ে গেলে এখনও কি ওই নুড়িটা দেখতে পাওয়া যাবে? মাপ করবেন। শিবরাম চক্কোত্তি মহাশয় নিজেই শেষে মত বদল করেছিলেন, আর আমরা তো নেহাৎ ছারপোকা। মনে পড়ল? ওই যে লেখকের হোঁচট-সঙ্গী পাথরটি... উপড়ে একপাশে রেখেছিলেন লেখক। বিশদ

‘ভাইস চ্যান্সেলর’ হবেন ইউজিসির ‘ভাইসরয়’! 
পি চিদম্বরম

প্রকৃতপক্ষে সব সরকারেরই অধিক ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা থাকে। তাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ এবং কর্তৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য তারা নতুন নতুন আইন তৈরি করে। এর কারণ এটাই যে শাসকরা ভাবেন, দেশ এবং জনগণের জন্য কোনটা ভালো তা কেবল তাঁরাই জানেন।
বিশদ

13th  January, 2025
গদি বাঁচাতেই যুদ্ধের জিগির, কিন্তু কতদিন?
তন্ময় মল্লিক

‘ভারত ওদের শত্রু এখন বন্ধু পাকিস্তান/ যারা একাত্তরে কেড়েছিল লাখো মা-বোনের সম্মান/ এই হানাদার আজ এই মাটিতে বেঁধেছে আবার ঘর/ ওই নরপশুদের বাবা-দাদা ছিল পাক সেনাদের চর।’ এই গানের রচিয়তা ভারতবর্ষের কোনও গীতিকার নন।
বিশদ

11th  January, 2025
হিন্দুত্ব প্রজেক্ট এবং ভারত-ব্র্যান্ডের ক্ষতি
সমৃদ্ধ দত্ত

দেওয়ালজুড়ে সাজানো হয়েছিল লাল রঙের লাভ সাইন আকৃতির বেলুন। শিশু ও বালক বালিকার দল নিজেদের মতো করে এঁকেছিল যিশুর ছবি। সকলেই পরেছিল সান্টাক্লজের লাল সাদা পোশাক। দিদিমণি এবং বাচ্চারা মিলে গা‌ই঩ছিল ক্রিসমাস ক্যারল। বিশদ

10th  January, 2025
রাশিয়ার মসনদে পুতিনের ২৫ বছর
মৃণালকান্তি দাস

সময়টা ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর। রাশিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন হঠাৎ তাঁর পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে তিনি বলেন, ‘নতুন রাজনীতিবিদ, নতুন মুখ আর বুদ্ধিদীপ্ত, প্রাণচঞ্চল ও শক্তিশালী নতুন ব্যক্তিদের নেতৃত্বে রাশিয়াকে নতুন শতকে পা রাখতে হবে।’ বিশদ

09th  January, 2025
মোদির পর কে? নিঃশব্দ যুদ্ধ অমিত ও যোগীর
সন্দীপন বিশ্বাস

ডি এল রায়ের ‘সাজাহান’ নাটকে ঔরংজীব যখন ভাইদের হত্যা করে সিংহাসন দখল করলেন, তখনই তাঁর সেই প্রাপ্তির মধ্যেও জেগে উঠল ভয়ঙ্কর এক আতঙ্ক। ঘুমের মধ্যেও যেন তিনি আঁৎকে ওঠেন। বলেন, ‘কে তোমরা? জ্যোতির্ময়ী ধূমশিখার মতো মাঝে মাঝে আমার জাগ্রত তন্দ্রায় এসে দেখা দিয়ে যাও। বিশদ

08th  January, 2025
বিশ্বাসের পূর্ণকুম্ভে পরীক্ষা হিন্দুত্ব রাজনীতির
শান্তনু দত্তগুপ্ত

চারদিকে শুধুই আখড়া। ছোট, বড়, মাঝারি... পাশ দিয়ে হেঁটে চলে যাওয়া যাবে না। থমকে দাঁড়াতেই হবে। শৈব, বৈষ্ণব, শাক্ত... কিছুতেই যে আলাদা করা যায় না! ওই তো কানে আসছে ভজন। আর একটু এগোলে রামচরিতমানস পাঠ শোনা যাবে। আর ভেসে আসবে বেদগান। বিশদ

07th  January, 2025
পরিবর্তনের বীজ বপন মনমোহনেরই হাতে
পি চিদম্বরম

গত ২৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার চলে গেলেন ডঃ মনমোহন সিং। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। ১৯৯১ সালের ২১ জুন তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। সেদিনই তাঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগের শুরু। তাঁর প্রয়াণের সঙ্গেই অবসান ঘটল আমাদের মধ্যে সেই সুসম্পর্কের।
বিশদ

06th  January, 2025
বাংলাকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত বন্ধ হোক!
হিমাংশু সিংহ

‘দুনিয়ার হিন্দু এক হও...।’ বাংলাদেশ ইস্যুতে ফায়দা লুটতে আওয়াজ তুলছেন হতাশ দলবদলু নেতা। বঙ্গ বিজেপি’র যেরকম দিশাহারা অবস্থা, তাতে আর কী-বা করার আছে তাঁর। এই স্লোগান হিন্দু ধর্মের স্বার্থে না ঢাল তরোয়াল ছাড়া ভোট বৈতরণী পার করার বাধ্যবাধকতায়? বিশদ

05th  January, 2025
বিজেপির সদস্যতা অভিযান আসলে জুমলা
তন্ময় মল্লিক

আগে জামাকাপড় কেনাকাটার উপর বছরে একবারই ছাড় দেওয়া হতো। বাংলায় যার নাম ‘চৈত্র সেল’। বিক্রি না হওয়া মালপত্রের সদ্‌গতি করাই ছিল লক্ষ্য। বহু মানুষ চৈত্র সেলের অপেক্ষায় থাকত। কিন্তু এখন? মলে, বড় বড় দোকানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রায় সারা বছরই ‘অফার’ দেওয়া হয়। বিশদ

04th  January, 2025
নতুন বছরে বঙ্গীয় বাবুসমাজ আত্মসমীক্ষা করুক
সমৃদ্ধ দত্ত

বঙ্গীয় বাবুসমাজের সবথেকে বড় গর্ব হল, ‘আই নো অল’ মনোভাব। তাদের নিশ্চিত বিশ্বাস যে, তারা সব জানে। বাবুসমাজের প্রিয় শখ হল কারণে অকারণে অন্যদের অসম্মান ও অপমান করা। কারণ তাদের ধারণা অপমান করলেই জয়ী হওয়া যায়। বিশদ

03rd  January, 2025
বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার
মৃণালকান্তি দাস

হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার টের পেয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফখরুল সাহেব বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে কোনও মৌলবাদী শক্তির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নেই। বাংলাদেশের মানুষের শক্তির উপর আস্থা রাখি।’ বিশদ

02nd  January, 2025
একনজরে
নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে অনেকেই সংকল্প নেন। পিভি সিন্ধুও ব্যতিক্রম নন। প্রত্যাবর্তনে মুখিয়ে তারকা শাটলার। সম্ভ্রান্ত ব্যবসায়ী ভেঙ্কট দত্তা সাইয়ের সঙ্গে সদ্য গাঁটছড়া বেঁধেছেন। গ্ল্যামারের ...

সোমবার সকালে ১০৮ কলস জল দিয়ে সহস্রধারায় স্নান করলেন মদনমোহন। প্রাচীন রীতি মেনে মদনমোহনের পুষ্যাভিষেক অনুষ্ঠিত হল এদিন। পৌষ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে এই পুজো হয়।  ...

সাঁতরাগাছি ঝিল সংলগ্ন জমি রেলকে দখলদার মুক্ত করতেই হবে। সোমবার এমনটাই জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বহু আগেই সাঁতরাগাছি ঝিলের উত্তর দিকের জমি দখল করে বেশ কয়েকটি দোকান গড়ে ওঠে। ...


...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সন্তানের তীক্ষ্ণ বাক্য ও উদ্ধত আচরণে মনঃকষ্টের যোগ। কর্ম নিয়ে জটিলতার অবসান। অর্থকড়ি দিক অনুকূল। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৬১- পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে আহমদ শাহ দুররানীর নেতৃত্বে আফগানরা মারাঠাদের পরাজিত করে
১৮১৪- ডেনমার্কের রাজা সুইডেনের রাজার হাতে নরওয়েকে ছেড়ে দেন
১৮৫৮- নেপোলিয়নের উপর ব্যর্থ হামলা চালানো হয়
১৮৯৯- প্রকাশিত হল উদ্বোধন পত্রিকা
১৯০৩- ঐতিহাসিক নীহাররঞ্জন রায়ের জন্ম
১৯০৫- অভিনেত্রী দুর্গা খোটের জন্ম
১৯২৬- সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবীর জন্ম
১৯৩৮- আজকের মকর সংক্রান্তির দিনে বেলুড়মঠের রামকৃষ্ণ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন হয়
১৯৬৯- মাদ্রাজ রাজ্যের নাম হল তামিলনাড়ু
১৯১৯ - বিশিষ্ট চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব তথা প্রথিতযশা উর্দ্দুভাষী কবি ও সাহিত্যিক কাইফি আজমির জন্ম
১৯২৪ - বিশিষ্ট অভিনেতা ও গায়ক সবিতাব্রত দত্তর জন্ম
১৯২৬-  সাহিত্যিক ও মানবাধিকার আন্দোলনকর্মী মহাশ্বেতা দেবীর জন্ম
১৯২৯ - বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার শ্যামল মিত্রের জন্ম
১৯৫৪ -স্বাধীনতা সংগ্রামী   বিপিনবিহারী গঙ্গোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৬৫- ব্যান্ডিট কুইন  ছবি খ্যাত অভিনেত্রী সীমা বিশ্বাসের জন্ম
১৯৭২ - অভিনেত্রী  অনুভা গুপ্তর মৃত্যু 
১৯৭৭- ভারতের কাররেস তারকা নারায়ণ কার্তিকেয়নের জন্ম 
২০০৫- শনি গ্রহের বৃহত্তম উপগ্রহ টাইটান হুইজেন্সের অবতরণ
২০০৮ - নাসার পাঠানো ম্যাসেন্জার নামের মহাকাশযান প্রথম বুধ গ্রহের অদেখা গোলার্ধের ছবি তুলতে সক্ষম হয়



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.০৬ টাকা ৮৬.৮০ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৮৯ টাকা ১০৭.৫৮ টাকা
ইউরো ৮৬.৮৫ টাকা ৯০.১৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
11th  January, 2025
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,২৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,৬৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৯৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,০৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
12th  January, 2025

দিন পঞ্জিকা

৩০ পৌষ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫। প্রতিপদ ৫২/২৮ রাত্রি ৩/২২। পুনবর্সু নক্ষত্র ৯/৪৫ দিবা ১০/১৭। সূর্যোদয় ৬/২৩/৮, সূর্যাস্ত ৫/৮/১৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৯ গতে ১১/২৪ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৭ গতে ৮/৪০ মধ্যে পুনঃ ৯/৩৩ গতে ১২/১২ মধ্যে পুনঃ ১/৫৮ গতে ৩/৪৩ মধ্যে পুনঃ ৫/৩০ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/৪৭ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৩ গতে ৯/৪ মধ্যে পুনঃ ১/৬ গতে ২/২৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৪৬ গতে ৮/২৬ মধ্যে। 
২৯ পৌষ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫। প্রতিপদ রাত্রি ৩/৪২। পুনবর্সু নক্ষত্র দিবা ১০/৫৫। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে ও ৭/৪৯ গতে ১১/২২ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৪ গতে ৮/৩৭ মধ্যে ও ৯/৩০ গতে ১২/১০ মধ্যে ও ১/৫৭ গতে ৩/৪৪ মধ্যে ও ৫/৩০ গতে ৬/২৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৬ গতে ৯/৬ মধ্যে ও ১/৭ গতে ও ২/২৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৪৮ গতে ৮/২৭ মধ্যে। 
১৩ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দিনহাটায় বাড়ির সামনেই খুন হলেন ২ জন
দিনহাটার ভেটাগুড়িতে নিজের বাড়ির সামনেই খুন হলেন দু’জন। আজ, মঙ্গলবার ...বিশদ

11:02:00 PM

চণ্ডীগড়ে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নায়েব সিং সাইনির বাসভবনে জরুরি মিটিং, উপস্থিত দলীয় বিধায়করা

10:55:00 PM

চেন্নাইয়ের একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল

10:48:00 PM

যশপুরে রাধাকৃষ্ণ মন্দিরে পুজো দিলেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেও সাঁই

10:36:00 PM

ভরসন্ধ্যায় রিষড়ায় যুবককে ছুরিকাঘাত, মৃত্যু

10:32:00 PM

খো খো বিশ্বকাপ ২০২৫: দিল্লিতে কোরিয়াকে হারাল ভারতীয় মহিলা দল

10:24:00 PM