Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

আমির খসরু ও বসন্ত উৎসব
সমৃদ্ধ দত্ত

সুফি সাধক হজরত নিজামউদ্দিনের কাছে দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসে শান্তির খোঁজে। স্বস্তির সন্ধানে। নিবেদিত প্রাণ নিয়ে তাঁরা সকল দুঃখ-দুর্দশা, ক্ষোভ ক্রোধের আহুতি দিতে চায় এখানে। এই নিজামউদ্দিনের কাছে। তিনি তো সাধারণ সাধক নন। আজমির দরগার খাজা মইনউদ্দিন চিস্তি। তারপর  খাজা কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকি। যাঁর পরিচয় কুতব সাহিব। দিল্লির মেহরৌলিতে তাঁর পবিত্র দরগা। তারপর বাবা ফরিদ। পাকিস্তানের পাকপিত্তানে তাঁর দরগা। আর সেই পথ ধরেই এই ধরাধামে অবতীর্ণ হয়েছেন খাজা নিজামউদ্দিন আউলিয়া। যাঁর দরগা দিল্লির কেন্দ্রস্থলে। অতএব এটাই স্বাভাবিক যে, ইচ্ছাপূরণ অথবা হৃদয়কে শান্ত করার স্পর্শ পাওয়া যাবে তাঁর কাছেই। 
অথচ এহেন খাজা নিজামউদ্দিন সম্পূর্ণ নীরব হয়ে গিয়েছেন কেন? আজকাল তিনি কোনও কথা বলেন না। বললেও খুব কম। দশবার ডাকলে একবার সাড়া দেন। তাঁর দোয়া পেতে দরবারে আসছে রোজই কয়েকশো মানুষ। সুলতানের বার্তাবাহক এসে এসে ফিরে যাচ্ছে। কেন? কারণ মহাসাধক নিজামউদ্দিন আউলিয়ার প্রাণের থেকে প্রিয় ভাগ্নের মৃত্যু হয়েছে সদ্য। ওরকম এক তাজা ভালো মনের বালকের মৃত্যু যেন নিজামউদ্দিন আউলিয়ার বেঁচে থাকার ইচ্ছাই কেড়ে নিয়েছে। তিনি জানেন এবং বলেনও সকলকে যে, এই দুনিয়া কয়েকদিনের সরাইখানা। এখানে এসে তাই এমন কাজ করে যেতে হয়, এমন এক নিজের ভাবমূর্তি রেখে যেতে হয়, যাতে মৃত্যুর পর সকলেই এক ফোঁটা চোখের জল ফেলে। সক঩লেই তোমাকে মনে করে উচ্চারণ করে যে, হ্যাঁ, মানুষটা ভালো ছিল। ছিল সুভদ্র। তাই আজ যাকে অপমান করছ,  মনে রেখ কাল যখন তুমি থাকবে না, সে তোমাকে একজন অপমানকারী, উদ্ধত মানুষ হিসেবেই জানবে। ঈশ্বরে সমর্পিত কর সব দুঃখ। সব আনন্দ। তোমার হৃদয় যেন কোনও বিষাদ অনুভূতিকে ধারণ করে না রাখে।
এহেন সাধক নিজামউদ্দিনকে এরকম মনমরা দেখে তাঁর ভক্ত ও শিষ্যরা সকলেই প্রচণ্ড কষ্টে আছে। ১২৩৮ থেকে ১৩২৫ সাল পর্যন্ত জীবনকাল ছিল হজরত নিজামউদ্দিনের। তাঁর জীবনাবসানের পর সেই স্থানের নাম আজকের নিজামউদ্দিন আউলিয়ার দরগা। তিনি সকলের বেদনা দূর করেন কোমল কণ্ঠের বাণী শুনিয়ে। আর হজরত নিজামউদ্দিনের নিজের বেদনা বোধ কিংবা মন খারাপের সময়টায় কাকে দরকার হয় তাঁর। প্রিয়তম শিষ্য আমির খসরুর। এরকম গায়ক, এরকম কবি, এরকম ঈশ্বরদত্ত প্রতিভা আর এই অনুভূতি এই দুনিয়ায় কার কার আছে? 
সুলতানের দরবারে একবার করে রোজ যেতেই হয়। খিলজিদের সভাসদ তিনি। কিন্তু বাকি সময়টায় আমির খসরুর গানের চর্চা, লেখালেখি আর  ঈশ্বরভজনা চলে গুরুর দরবারেই। অর্থাৎ খাজা নিজামউদ্দিনের কাছে। সেই আমির খসরু চেষ্টা করছেন কয়েকদিন ধরে। তাও পারছেন না। তাকিউদ্দিন নুহ ছিল তাঁর বোনের সন্তান। সর্বদাই খাজাজির সঙ্গে সঙ্গেই থাকত। কয়েকদিনের অসুস্থতায় তাঁর মৃত্যু হল। আর নিজামউদ্দিন আউলিয়ার জীবনের সব রং যেন কেড়ে নিয়ে গেল সেই মৃত্যুদূত। 
আমির খসরুর আর মন নেই গানবাজনায়। তিনি তিনতারা বাদ্যযন্ত্রকে নিয়ে একটা স্বপ্ন দেখছেন। ভাবছেন এটাকে কীভাবে আরও তার যুক্ত করা সম্ভব। সব মিলিয়ে নানাবিধ সুর পাওয়া যাবে সেই নতুন যন্ত্র থেকে। সেটাই মাথার মধ্যে ঘুরছে তাঁর। কিন্তু স্বয়ং খাজাজি এরকম নিরাশার অন্ধকারে ডুবে গেলে তিনি কীভাবে জীবনে সুরের সন্ধানে ব্রতী হবেন? তাই আমির খসরু পথে পথে ঘুরছেন। ভাবছেন। কী করা যায়?
হঠাৎ দেখতে পেলেন একদল মেয়ে চলেছে। তাদের রঙিন পোশাক। আর প্রত্যেকের হাতে একটি করে ডালা। সরু সরু বেত দিয়ে তৈরি ঝুড়ি। সেই ঝুড়িতে সর্ষের ফুল। সঙ্গে গাঁদা। সেও হলুদ। এটা কীকরম হল? সকলের পরনে হলুদ রঙের পোশাক। আবার ফুলও সব হলুদ। এরা যে হিন্দু ঘরের নারী সেটা তো বোঝাই যাচ্ছে। আবার গুনগুন করে সকলে কিছু একটা গানও গাইছে। কানহা...মোহন... এসব শব্দ ভেসে আসছে। তার মানে কৃষ্ণের আরাধনা? 
জায়গাটা কোথায়? খাজা চিল্লা খানখার পাশের রাস্তায়। গুরুদ্বার দমদমা সাহিবের কাছে। যা হুমায়ুন টম্বের পিছনে। কিন্তু সেসব তো আর তখন ছিল না। গুরুদ্বার দমদমা সাহিব অথবা হুমায়ুন টম্ব  দিল্লিতে আসবে অনেক পরে। কিন্তু আমির খসরু যেখানে বসে এই মেয়েদের দেখলেন, সেই স্থান এই চত্বরেই ছিল বলে তিনি নিজেই লিখেছিলেন। 
আমির খসুরু তাদের কাছে দ্রুত গিয়ে প্রশ্ন করলেন, তোমরা কোথায় যাচ্ছ এভাবে? এর আগেও দেখেছি? 
মেয়েরা উত্তর দিল, মন্দিরে যাই আমরা। পুজো করতে। 
খসরু বলেন, আর এই ফুল?
তারা বলে, এই ফুল ছড়াই আমাদের দেবতার চরণে। তাঁর শরীরকে স্নান করানো হয় ফুলের স্পর্শে। 
খসরুর কাছে হজরত নিজামউদ্দিন একপ্রকার ঈশ্বরই। অতএব তিনি এক মুহূর্ত মেয়েদের কথা শুনে জানতে চাইলেন, এই যে তোমরা ফুল ছড়াও, এতে তোমাদের দেবতা খুশি হন?
মেয়েরা অবাক হয়ে বলে, নিশ্চয়ই। আমাদের ফুল ছড়ানোর ইচ্ছা তাহলে জাগ্রত হয় কেন? তিনিই নিশ্চয়ই আমাদের মনের মধ্যে এই ইচ্ছাটা প্রবেশ করিয়েছেন?
এই সাধারণ মেয়েদের মুখে এরকম গভীর জীবনদর্শনের কথা শুনে মোহিত হলেন আমির খসরু। তিনি দ্রুত ফিরলেন নিজের ঘরে। লিখলেন বসন্তকালের আগমনের বার্তাবাহী গান আর গীতিস্তবক। আর চলে গেলেন হজরতের দরগায়। তার আগে শিষ্যরা সকলে মিলে ঠিক করা হল, বসন্ত পঞ্চমীর দিন হবে এক অনুষ্ঠান। আনা হবে হলুদ ফুলের সম্ভার। সকলেই পরবে হলুদ রঙের পোশাক। আর হজরত নিজামউদ্দিনকে হলুদ ফুলের আসরে বরণ করে নিয়ে আমির খসরু শোনালেন, 
‘সকল বন ফুল রাহি সরসো
উমভা ফুটে তেসু ফুলে
কোয়েল বোলে দোয়ার দোয়ার
অর গোরি করত শৃঙ্গার...’
নিজামউদ্দিন আউলিয়ার মন থেকে এই রঙের উৎসব দেখে একটা পাথর নেমে গেল। তিনি উপলব্ধি করলেন প্রকৃতির এই আশ্চর্য রূপ রস গন্ধ আর রংকে। প্রকৃতি সাজিয়ে রেখেছে নিজেকে মানুষকে আনন্দ দেবে বলে। আমরা মানুষ ক্ষুদ্র স্বার্থে সেদিকে তাকিয়ে দেখছি না। 
সেই শুরু। সাড়ে সাতশো বছরের বেশি সময় ধরে দিল্লির বিখ্যাত নিজামউদ্দিন আউলিয়া দরগায় চলছে বসন্ত পঞ্চমীর এই উৎসব। যে উৎসবে হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ই সমানভাবে অংশ নেয়। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত চলে কাওয়ালি ও হিন্দবা সঙ্গীত। হিন্দবা সঙ্গীত আবার কী? 
কাওয়ালির আবিষ্কর্তা আমির খসরু ফারসি, উর্দুর পাশাপাশি বিশুদ্ধ হিন্দুস্তানি ভাষায় গীত রচনা করতেন। সেই গানকে তিনি আখ্যা দিতেন হিন্দবা। অর্থাৎ হিন্দুস্তানের নিজস্ব সঙ্গীত। 
নিজামউদ্দিন আউলিয়ার মনে জমে ওঠা হতাশার অন্ধকারকে দূর করেছিলেন আমির খসরু। অতএব তাঁর মনোবাসনা ছিল, আমার কবরের পাশেই যেন থাকে খসরুর খবর। আমরা পাশাপাশি 
থাকতে চাই। 
তাই হয়েছে। নিজামউদ্দিন দরগায় আমির খসরু শায়িত আছেন। আর প্রতি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বালানোর পর দরগায় শুরু হয় বিখ্যাত কাওয়ালি অনুষ্ঠান। ঠিক খসরুর 
সমাধির কাছেই! 
28th  July, 2024
রাত্রিটা ভালো নয়

এটাই শেষ ট্রেন ছিল। স্টেশন থেকে বাইরে বেরিয়ে পথিক দেখল, চারদিকটা খুব ফাঁকা লাগছে। শীতকাল বলেই কী? নইলে এত তাড়াতাড়ি তো রাস্তাঘাট এমন শুনশান হয় না। তার পক্ষে অবশ্য এটা ভালোই। ভিড় থাকলে রিকশ পাওয়া দুষ্কর। আবার বেশি ফাঁকা হলেও রিকশওয়ালাগুলো সব পিটটান দেয়।
বিশদ

15th  September, 2024
প্রাচ্যের স্কটল্যান্ড
শংকরলাল সরকার

কলকাতা থেকে ঘণ্টাখানেকের উড়ানে যখন গুয়াহাটি পৌঁছলাম তখন সন্ধ্যা হয় হয়। আগে থাকতে রাতের আশ্রয় ঠিক করেছিলাম পল্টন বাজারে। গিন্নি বলল, হিন্দুরা বিশ্বাস করে তীর্থস্থানে ধুলোপায়ে দেবদর্শন করতে হয়।  বিশদ

08th  September, 2024
সংসারের নানা দোষ কাটাবেন কীভাবে?

প্রাচীন মানুষরা নানা সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় জানতেন। সেইসব টোটকার প্রয়োগশক্তিতে সত্যিই শুভফল পাওয়া যায়। তাতে প্রার্থনার কথা যেমন আছে, তেমনই আছে কিছু সহজ পদ্ধতি। সংসারে সুখ-সমৃদ্ধি, অসুখ-বিসুখ, বাচ্চার নজর লাগা, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি, লেখাপড়ায় সাফল্য ইত্যাদি বিষয়ে এইসব টোটকা কাজে দেয়। এগুলি মূলত কুপিত গ্রহের শান্তি, দেবদেবীর স্তব কিংবা বিশেষ পুজোপাঠ। সংসারে ও ব্যবহারিক জীবনে এমন কিছু ছোটখাট ব্যাপার যা একটু অদলবদল করলে ভালো কাজ হয়। সেই সব উপায় বিভিন্ন শাস্ত্রও সমর্থন করে। তবে তার প্রয়োগবিধি অনেকেরই অজানা। সেকথাই জানালেন ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিশদ

08th  September, 2024
ফেরা
ছন্দা বিশ্বাস 

সোপান সিগারেটে লম্বা টান দিয়ে বলল, ‘তাহলে কী ঠিক করলি?’ পরমের হাতে সিগারেটটা অসহায়ভাবে পুড়ছিল। ওরা ফ্রাঙ্কফুর্ট স্টেশনে ঢোকার মুখে বাঁ-পাশে একটা স্মোকিং জোনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিল। কয়েকজন জার্মান যুবতী দ্রুত সিগারেট নিঃশেষ করে ভিতরে ঢুকে গেল।  বিশদ

08th  September, 2024
গগনবাবু ও প্যাংলা তাপস
রম্যাণী গোস্বামী

গগনবাবু একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির মোটামুটি উপরতলার কর্মী। যাদবপুরে নিজেদের ফ্ল্যাট। মাস গেলে ইএমআই বাদ দিলে মাঝারি ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স, কয়েকটা মিউচুয়াল ফান্ড, হৃষ্টপুষ্ট গিন্নি, ফ্যাশানেবল কলেজ পড়ুয়া কন্যা এবং একটি মাহিন্দ্রা কেইউভি— এই হল মোটামুটি তাঁর সম্পত্তির খতিয়ান। বিশদ

01st  September, 2024
গুপ্ত রাজধানী: হনুমান মহারাজজি
সমৃদ্ধ দত্ত

 

সেই গল্পটা তো আমাদের সকলেরই জানা। মহাশক্তিশালী ভীম হস্তিনাপুর যাওয়ার পথে একটি জঙ্গল পেরচ্ছিলেন। তাঁর শরীরে তো একশো হাতির শক্তি। সেকথা সর্বজনবিদিত। দ্বিতীয় পাণ্ডব নিজেও সেকথা জানেন। সোজা কথায় তাঁর নিজের বাহুবল নিয়ে যে গর্ব ছিল একথাও অবগত আমরা।  বিশদ

01st  September, 2024
ছেলের সঙ্গে দেখা
সন্দীপন বিশ্বাস

বুকটা ছ্যাঁৎ করে উঠল সুভদ্রার। ঝাপানডাঙা স্টেশনে সে বসে আছে। এখানে এসেছিল এক গুরুবোনের বাড়ি। ফিরে যাচ্ছে উত্তরপাড়ায়, নিজের ঘরে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে। এখনও কয়েকটা কাক ডাকছে। কেমন ক্লান্ত স্বর ওদের। স্টেশনের শেডের ওপর বসে কাকগুলো। বিশদ

25th  August, 2024
ঘাটশিলার বীরেশ
রাজেশ কুমার

ব্যাগ বোঁচকা আর এক কিলো পুঁটিমাছ নিয়ে সকাল সকাল পড়লাম এক অশান্তিতে। হয়েছেটা কী, দু’দিনের জন্য ঘুরতে এসেছিলাম ঘাটশিলা। ঠিক ঘুরতে না বলে শনির দশা কাটাতেই বলা ভালো। অনেক দিন বেড়াতে যাব, বেড়াতে যাব ভাবলেও যাওয়া হচ্ছিল না কোথাও। কিছু না কিছু বিপত্তি এসে হাজির হচ্ছিল ঠিক। বিশদ

18th  August, 2024
অভিশপ্ত কুলধারা

অলৌকিক তকমা স্থান-নামের সঙ্গে আলাদা মাত্রা যোগ করে। অলৌকিক ব্যাপার নিয়ে বিশ্বাসী অবিশ্বাসী দু’পক্ষেরই নিজস্ব দাবিদাওয়া আর মতামত অন্তহীন।
  বিশদ

11th  August, 2024
দিল্লি দরবার
সমৃদ্ধ দত্ত

এমন কিছু নতুনত্ব নয়। এরকম দরবার এবং উৎসব আগেও হয়েছে। একবার সেই ১৮৭৭ সালে। ভারতের শাসনভার নিজের হাতে তুলে নেওয়ার বেশ কয়েক বছর পর মহারানি ভিক্টোরিয়ার ‘বিশেষ অভিষেক’ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল।
বিশদ

11th  August, 2024
হেড অফিসের বড়বাবু

বার দশেক হোঁচট খেয়ে প্রায় পড়ে যেতে যেতে নিজেকে সামলে নিয়ে পার্থ এসে দাঁড়াল অফিসের গেটে। পার্থ বড়ুয়া। জুনিয়র অফিসার।
বিশদ

11th  August, 2024
ছোট গল্প: মাগুরমারি সাঁকো
সৌমিত্র চৌধুরী

বাঁকের মুখে স্টিয়ারিং ডান দিকে ঘুরাতেই চোখে পড়ল। একটা সাঁকো। মনে হচ্ছে বেশ পুরনো। দূর থেকে ব্রেকে আলতো করে পা ছোঁয়াল বিপুল। চাকা গড়িয়ে গড়িয়ে কিছুদূর এগল। পুলের কাছে আসতেই ব্রেকে আরও একটু চাপ দিয়ে থামিয়ে দিল। কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ল বিপুলের। বিশদ

04th  August, 2024
গুপ্ত রাজধানী: লালকেল্লা
সমৃদ্ধ দত্ত

জায়গাটা অনেকটাই কম। যেভাবে সাম্রাজ্য ছড়াচ্ছে আর হিন্দুস্তানের বাইরে থেকে আরও দলে দলে সমস্ত স্তরের মানুষ ভাগ্যান্বেষণে ক্রমাগত এসেই চলেছে, এরপর তো রাজধানীটাই ঩ঘিঞ্জি হয়ে যাবে। আরও বেশি খোলামেলা জায়গা দরকার। কোথায় নিয়ে যাওয়া যায় রাজধানী? বিশদ

04th  August, 2024
অতীতের আয়না: সাহেবদের হুঁকো বিলাস
অমিতাভ পুরকায়স্থ

মহিলা দিন কয়েক হয়েছে বিলেত থেকে এসেছেন এদেশে। এদেশীয় এক বিদুষী মেমসাহেবের সঙ্গে মহিলার বন্ধুত্ব হয়েছে। তার মতো খাঁটি ইংলিশ নন, তবে যথেষ্ট ঘনিষ্ঠতা হওয়ায় বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করার জন্য তার বাড়িতে এসে দেখেন শ্রীমতী হেয়ার-ড্রেসারের তত্ত্বাবধানে কবরী সজ্জায় ব্যস্ত। বিশদ

04th  August, 2024
একনজরে
টানা বৃষ্টির জেরে আসানসোল, দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের জনজীবন বিপর্যস্ত। পুজোর মাত্র কয়েক সপ্তাহ বাকি। রবিবারও ছুটির দিনে বৃষ্টিতে পুজোর বাজার দফারফা করে দিয়েছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া এদিন মানুষজন বাড়ি থেকে বের হননি। ঝড়-বৃষ্টির জেরে জিটি রোডের উপর একের পর এক গাছ ...

ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারস্থলের কাছেই চলল গুলি। রবিবার ফ্লোরিডা গল্ফ ক্লাবের বাইরে দুই ব্যক্তির মধ্যে গুলির লড়াই বাধে। জানা যাচ্ছে, ওই ঘটনার কিছুক্ষণ আগেই ট্রাম্প ক্লাব ...

পুজোর বাকি আর মাত্র কয়েকটা দিন। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে চলছে প্যান্ডেল তৈরির কাজ। নাওয়া-খাওয়া ভুলে সকাল থেকেই পুজো উদ্যোক্তারা পড়ে আছেন পুজো প্রাঙ্গণে। কেউ ব্যস্ত প্যান্ডেল ...

আরজি কর কাণ্ডে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে ইতিমধ্যেই রাস্তায় নেমেছে বাম, অতিবাম, কংগ্রেস, বিজেপি সহ তামাম বিরোধী দল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

আয় বৃদ্ধি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। কর্মস্থলে সাফল্য ও প্রশংসা লাভের সম্ভাবনা। শরীর-স্বাস্থ্য বুঝে চলুন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ওজোন স্তর রক্ষা দিবস
১৭৩৬ - পোলিশ ডাচ পদার্থবিদ তথা প্রকৌশলী ও থার্মোমিটার উদ্ভাবক ড্যানিয়েল গ্যাব্রিয়েল ফারেনহাইটের মৃত্যু
১৮১২ - মস্কো শহরে এক অগ্নিকাণ্ডে এক দিনে প্রায় তিন-চতুর্থাংশ শহর পুড়ে গিয়েছিল
১৯০৮- জেনারেল মোটরস কর্পোরেশনের প্রতিষ্ঠা
১৯১৬- ধ্রুপদী সংগীতশিল্পী এম এস শুভলক্ষ্মীর জন্ম
১৯৩১- হিজলি ক্যাম্পে বন্দিদের উপর গুলিতে হত দুই বিপ্লবী সন্তোষকুমার মিত্র এবং তারকেশ্বর সেনগুপ্ত
১৯৩২- নোবেলজয়ী স্কটিশ চিকিৎসক রোনাল্ড রসের মৃত্যু
১৯৪৫- রাজনীতিবিদ পি চিদাম্বরমের জন্ম
১৯৫৩- যুক্তরাষ্ট্রের রক্সি থিয়েটারে বিশ্বের প্রথম সিনেমাস্কোপ চলচ্চিত্র ‘দ্য রোব’ প্রদর্শিত
১৯৫৫- আন্তর্জাতিক কপিরাইট কনভেনশন চালু
১৯৮৭- বিশ্বের ২৭টি দেশ ভূ-পৃষ্ঠের বায়ু মন্ডলকে রক্ষা করার জন্য ক্লোরোফ্লোরো কার্বন গ্যাস ব্যবহারে বিধিনিষেধ প্রয়োগে চুক্তিবদ্ধ হয়



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১০ টাকা ৮৪.৮৪ টাকা
পাউন্ড ১০৮.৬৪ টাকা ১১২.১৯ টাকা
ইউরো ৯১.৫৩ টাকা ৯৪.৭৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
14th  September, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,৫৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৬,৫৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৬,৬৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
14th  September, 2024

দিন পঞ্জিকা

৩১ ভাদ্র, ১৪৩১, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। ত্রয়োদশী ২৪/২০ দিবা ৩/১১। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র ২৭/৪৫ দিবা ৪/৩৩। সূর্যোদয় ৫/২৭/৮, সূর্যাস্ত ৫/৩৫/৫৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ১০/১৮ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/২২ গতে ৮/৪৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৭ গতে ২/১৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৯ গতে ৪/৪৬ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৮ গতে ৮/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/৩৪ গতে ৪/৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৪ গতে ১১/৩২ মধ্যে। 
৩০ ভাদ্র, ১৪৩১, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। ত্রয়োদশী দিবা ১/১১। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র দিবা ৩/৫১। সূর্যোদয় ৫/১৬, সূর্যাস্ত ৫/৩৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ১০/১৯ গতে ১১/৪৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৯ গতে ৮/৪৯ মধ্যে ও ১১/১০ গতে ২/১৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/১৪ গতে ৪/৫৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫৮ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ২/৩৫ গতে ৪/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৪ গতে ১১/৩২ মধ্যে। 
১২ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
কলকাতার সিপিকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

11:59:00 PM

আগামী কাল, মঙ্গলবার কলকাতা পুলিসে রদবদল করা হবে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

11:58:00 PM

স্বাস্থ্য অধিকর্তা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

11:57:00 PM

অভয়ার উদ্দেশ্যে সমবেদনা জানিয়ে বৈঠক শুরু করি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

11:55:00 PM

আমরা উভয়পক্ষই খুশি, বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

11:55:00 PM

কিছু বিষয়ে সহমত কিন্তু কয়েকটি বিষয়ে মতানৈক্য হয়েছে, জানালেন জুনিয়র ডাক্তাররা

11:53:00 PM