Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

আজও রহস্য: স্পেডলিনস ক্যাসেলের ভূত
সমুদ্র বসু

আন্নান নদীর দক্ষিণ তীরে আজও ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে যে দুর্গ সেট হল স্পেডলিনস টাওয়ার। এটি একসময়ে ছিল  ডামফ্রিসশায়ার কাউন্টি, আজকের দিনে স্কটল্যান্ডের লকারবি-এর অংশ। ভূত মানে যেমন অশরীরী তেমনই ভূত মানে অতীত। আর অতীতের এই দুর্গ যেমন ইতিহাসের দলিল, তেমনই এরসঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কিছু অলৌকিক অধ্যায়। যা সেই স্থানের আকর্ষণ আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে তোলে। তেমনই এই স্পেডলিনস টাওয়ার।
১৪৫০ সাল নাগাদ নির্মিত হয়েছিল এই টাওয়ার। যদিও উপরের তলার আর অন্যান্য কিছু অংশের কাজ শুরু হয় ১৬০৫ নাগাদ। রাজা দ্বিতীয় চার্লসের রাজত্বকালে এই প্রাসাদ-দুর্গ ছিল অ্যাপলগার্ণের ব্যারোনেট স্যর আলেকজান্ডার জার্ডিনের অধিকারে। জমিদারদের সঙ্গে প্রজাদের দ্বন্দ্ব চিরকালের। ব্যতিক্রম ছিল না জার্ডিনের ক্ষেত্রেও। মিলহাউসব্রিজ গ্রামের জেমস ‘ডান্টি’ পোর্টিয়াস ছিল স্পেডলিনস টাওয়ারের ব্রেড অর্থাৎ পাউরুটি সরবরাহকারী। এলাকায় জেমস এমনিতেই খিটখিটে হিসেবে পরিচিত ছিল। তাই লোকজন তাঁকে ডান্টি বলে ডাকত। প্রাচীন ইংরেজিতে ‘ডান্টি’ শব্দের অর্থ ছিল ‘আর্গুমেন্ট’ অর্থাৎ তর্ক। যাইহোক একবার কোনও কারণে ডান্টি পোর্টিয়াস আর আলেকজান্ডার জার্ডিনের মধ্যে ঝামেলার সূত্রপাত হয়। শোনা যায়, পোর্টিয়াস  নিজেরই ময়দা কলে আগুন লাগিয়ে দেন। এতে ক্ষুব্ধ হন জার্ডিন। খবর পাওয়ামাত্রই পোর্টিয়াসকে পেয়াদা পাঠিয়ে বন্দি করার আদেশ দিলেন তিনি। দুর্ঘটনা সম্পর্কে বিশেষ খোঁজখবর না নিয়েই পোর্টিয়াসকে দুর্গের মাটির নীচের অন্ধকার কারাগারে আটকে রাখা হয়। মূলত সেটি ছিল মদের পিপে রাখার ভাঁড়ার। সেখানেই তালাবদ্ধ অবস্থায় রাখা হয় পোর্টিয়াসকে। আর তার চাবি আলেকজান্ডার জার্ডিন নিজের জিম্মায় রাখেন। শুধুমাত্র দু’বেলা তাঁকে জল আর খাবার দিয়ে আসা হয় সময়ে সময়ে। অন্যদিকে পোর্টিয়াসকে কী সাজা দেওয়া যায় তা নিয়ে ভাবনায় জার্ডিন। নিজের হলেও ময়দা কলে আগুন লাগানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু আইনকে নিজের হাতে তুলে নিয়ে জার্ডিন ঠিক করলেন পোর্টিয়াসকে আরও দিনকয়েক আটকে রেখে শায়েস্তা করবেন। আর তারপর যখন সে প্রাণভিক্ষা চাইবে তখন তাঁকে বেশ কয়েক ঘা চাবুক মেরে মুক্তি দেবেন।
কিন্তু বাস্তবে ঘটল অন্যরকম। হঠাৎই জমিদারি সংক্রান্ত জরুরি দরকারে জার্ডিনকে যেতে হল স্কটল্যান্ডে। এদিকে পোর্টিয়াস আটকে রইল ওই অন্ধকারে। কিছুদিন পর যখন জার্ডিন এডিনবরায়, তখন তাঁর মনে পড়ল পোর্টিয়াসের কথা। আর আতঙ্কিত হয়ে উঠলেন জার্ডিন। কারণ প্রাসাদ থেকে বেরোনোর সময় সব ক’টা ঘরের এমনকী মাটির নীচের ওই ভাঁড়ারের চাবিও ভুল করে তিনি নিজের সঙ্গে এনেছেন। চাবির অন্য জোড়াও প্রাসাদে নেই। অর্থাৎ অনাহারে তেষ্টায় ওখানে কষ্ট পাচ্ছে বেচারা পোর্টিয়াস। তাঁর অবিবেচনার ফল ভোগ করতে হচ্ছে অন্যজনকে। এই খবর যদি রাজার কানে যায় তার ফলাফল কী হবে ভেবেই শিউরে উঠলেন জার্ডিন। মানসম্মান, জমিদারির সঙ্গে নিজের প্রাণটাও না যায়। 
নিজের কাজ শেষ হতে তখনও বাকি। তাই অবিলম্বে জার্ডিন নিজের বিশ্বস্ত এক লোকের হাতে ওই ঘরের চাবি ফেরত পাঠালেন ক্যাসেলে। কিন্তু সেই চাবি  আসার আগেই খাদ্য আর জলের অভাবে মাটির নীচেই প্রাণ দিয়ে ভুলের মাশুল দিয়েছেন পোর্টিয়াস। জার্ডিনের বিশ্বস্ত লোক পোর্টিয়াস মারা গেছে দেখে নিজের কর্তব্য স্থির করে ফেলল। পাইক বরকন্দাজদের সঙ্গে মিলে রাতারাতি পোর্টিয়াসদের মৃতদেহ স্থানীয় গির্জার সমাধিক্ষেত্রে কবর দিল। সেই সঙ্গে অর্থের বিনিময়ে গির্জার পাদ্রিদের হাত করে নিল সে। ক’দিন পর জার্ডিন প্রাসাদে ফিরে পোর্টিয়াসের মৃত্যু সংবাদ শুনে গুম হয়ে রইলেন। আবার যখন জানতে পারলেন যে, দুর্ঘটনার আসল কারণ বিশেষ কেউ জানে না তখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন। যারা জানত সত্যটা তাঁদেরও টাকার বিনিময়ে নিজের দিকে টেনে নিলেন।
ব্যাপারটা পুরোপুরি মিটতে না মিটতেই দেখা দিল অন্য সমস্যা। অশরীরী পোর্টিয়াস আস্তানা গাড়ল মাটির নীচের সেই ভাঁড়ারে। সেখানে ঘুলঘুলি থেকে নাকি তাঁর আর্তনাদ কানে আসে সারাক্ষণ। সেই আর্তনাদ খিদে তেষ্টার। নতুন এই আতঙ্কে ত্রস্ত হয়ে রইল প্রাসাদের সবাই। ঘুম উড়ে গেলে জার্ডিনের।
এদিকে ভূত দেখার জন্য, বলা ভালো শোনার জন্য প্রাসাদের আশপাশে ভিড় জমায় অল্পবয়সিরা। ভাঁড়ারের পিছনের পোড়ো জমি থেকে ভূতের আর্তনাদ তাঁদের নতুন নিষ্ঠুর বিনোদন। অনেকে আবার ভূতের প্রতি দয়াপরবশ হয়ে বাসি পাউরুটি  ঘুলঘুলি দিয়ে দেয় ভূতের উদ্দেশে। ভিতর থেকে আসে শুকনো পাউরুটি চিবোনোর আওয়াজ। এভাবেই চলতে থাকে।
একটা সময় ভূতের আর্তনাদে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন জার্ডিন। তারপর বুঝতে পারেন, ভূতকে সন্তুষ্ট  না করলে মুক্তি নেই। তাই তিনি প্রাসাদের সবাইকে আদেশ দেন, শুকনো পাউরুটি এনে ওই গুদাম বোঝাই করতে। ঘুলঘুলি দিয়ে দেওয়া টুকরো পাউরুটি পোর্টিয়াসের ভূত খেল বটে, কিন্তু তাতে সে শান্ত হল না।  খিদের সঙ্গে তাঁর চিৎকার আগের চেয়ে কয়েকগুণ বেড়ে গেল। আরও মাসখানেক চলল এইভাবে। এমনকী প্রজারা এসে তাঁর কাছে ধর্না দিল বিহিত চেয়ে। সবাই অতিষ্ঠ ভূতের চিৎকারে। ভূতকে তুষ্ট না করতে পেরে জার্ডিন এবার শরণাপন্ন হলেন গির্জার পাদ্রির। গির্জার বড় পাদ্রি সব শুনে হেসে বললেন, ‘এ আর এমন কী কাজ আপনি বিদেশে থাকতে ওই বাসি মৃতদেহের সৎকারের মন্ত্রও আমিই পড়েছি। মন্ত্র পড়ে আমি ওকে লোহিত সাগরের ওপারে পাঠাব।’ জার্ডিন পাদ্রিকে বললেন, বরং কম খরচে কোনও উপায় বাতলাতে। ভূত প্রাসাদের ভাঁড়ার ছেড়ে বেরলেই হবে। সেই শুনে পাদ্রি একটা ছোট চৌকো বাক্স বের করলেন তাঁর আলখাল্লার ভেতর থেকে। সেটা জার্ডিনের হাতে দিয়ে বললেন, ‘এর ভিতর একখানা ছোট বাইবেল আছে, যা ১৬৩৪ সালে ছাপানো হয়েছিল। এই খুদে বাইবেলের এক বিশেষ ক্ষমতা আছে। এই বই যেখানে থাকে তার হাজার গজের ভেতর কোনও ভূতপ্রেত ঘেঁষতে পারবে না।’ বড় পাদ্রির দেওয়া সেই  বাইবেলখানা শোওয়ার ঘরে রাখলেন জার্ডিন। আর সেদিন থেকেই বন্ধ হল পোর্টিয়াসের ভূতের উপদ্রব। অবশেষে স্বস্তি পেলেন জার্ডিন।
যদিও পরকালে গিয়েও আগের মতো নাছোড়বান্দা ছিল পোর্টিয়াস। একবার পাদ্রির দেওয়া সেই ছোট্ট বাইবেল খানা ছিঁড়ে যাওয়ায় সেটা বাঁধাই করতে দেওয়া হয় এডিনবরার এক দপ্তরীর কাছে। বাইবেলের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে পোর্টিয়াসের ভূত আবার ফিরে আসে প্রাসাদে। রাতের অন্ধকারে সস্ত্রীক ঘুমন্ত জার্ডিনকে খাটসুদ্ধু উল্টে দেয় সে। বিপদ বুঝে তড়িঘড়ি জার্ডিন সেই রক্ষাকবচ বাইবেলখানা ফেরত নিয়ে আসেন। আবার পোর্টিয়াসও পগারপার। জার্ডিন বেঁচে থাকতে আর প্রাসাদ মুখো হয়নি সে। জার্ডিন মারা যাওয়ার বহু বছর পর ১৮৮৪ সালে তাঁর বংশধররা স্পেডলিনস টাওয়ার বিক্রি করে দেয়। তারপর হাতবদল হলেও সেই রক্ষাকবচ খুদে বাইবেলখানি আজও সযত্নে রয়েছে সেখানে।
তারপর কেটে গেছে কয়েকযুগ, সময়ের সঙ্গে পাল্টেছে অনেককিছুই। সেদিনের ওই দুর্গ-প্রাসাদ আজ পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণের জায়গা। সুদীর্ঘ মাঠ, বাগান, হ্রদ নিয়ে এই চত্বর দেখার মতো। আর আন্নান নদী তো আছেই। প্রাসাদের ওক কাঠের মূল প্রবেশদ্বার পেরলেই মনে হবে মধ্যযুগীয় স্বপ্নরাজ্য। যাকে ঘিরে রয়েছে ইতিহাস আর কয়েক শতাব্দী ব্যাপী কাহিনি। তবে ৮০ ফুট এই চারতলা প্রাসাদের মধ্যে রয়েছে অতিথি সেবার সম্পূর্ণ বন্দোবস্ত। ইতিহাসকে অনুভব করা আর সুন্দর সময় কাটানোর আদর্শ ঠিকানা এই হলিডে হোম। আছে ছোট্ট অনুষ্ঠানের বন্দোবস্ত, নানা আমোদপ্রমোদ, আছে অনেক কিছুই। আর আছে সবচেয়ে পুরনো বাসিন্দা ‘ডান্টি’ পোর্টিয়াস। যদিও সে একদম নিরুপদ্রব আর শান্তভাবে জীবনযাপন করে নিজের ঘরেই। সুতরাং এমন জীবন্ত ইতিহাস অনুভব করতে হলে যেতেই হবে স্পেডলিনস দুর্গে।
23rd  June, 2024
ছোট গল্প: একাকিনী
আইভি চট্টোপাধ্যায়

ওই আবার। দরজাটা খুলল মনে হচ্ছে না? খুব আস্তে আস্তে খুলেছে দরজা। যাতে সুকৃতির কানে না আসে আওয়াজটা। কালও এ সময় হয়েছিল আওয়াজটা। এই ভোরের দিকে,  যখন চারদিক ঘুমে অচেতন,  সেই সময়টাই বেছে নিয়েছে। বিশদ

23rd  June, 2024
গুপ্ত রাজধানী: মির্জা গালিবের হাভেলি
সমৃদ্ধ দত্ত

আম তো কমবেশি একইরকম দেখতে! তা আবার এত মন দিয়ে দেখার কী আছে। অধিক ফলবতী গাছের কাছে গিয়ে নুইয়ে পড়া আম ধরে ধরে মির্জা কী দেখছে? বিস্মিত হলেন সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর। একটু আগে তিনি বেরিয়েছেন বৈকালিক ভ্রমণে। বেশিদূর নয়। বিশদ

23rd  June, 2024
একটি প্রেমের গল্প
শুদ্ধসত্ত্ব ঘোষ

—তুমি তো দেখছি বাসনটাও মাজতে পার না ভালো করে! হাসতে হাসতে ইংরেজিতে বলেছিল ক্যাথারিন। ইতালির মেয়ে। কলকাতায় এসেছিল গবেষণা করতে কালীপুজো নিয়ে। বিশদ

16th  June, 2024
গুপ্ত রাজধানী: ফিরোজ শাহ কোটলা দুর্গ
সমৃদ্ধ দত্ত

তিমুর ই বেগের মধ্যে সৃষ্টি ছিল না। তার পূর্ববর্তী আরও অনেক শাসকদের মতোই তার আনন্দ ছিল ধ্বংসে। ধ্বংস মানেই লুটপাট। লুট মানেই পাহাড়সমান সম্পদ। যত সম্পদ, তত বড় হবে সেনাবাহিনী। যত বড় হবে সেনাবাহিনী, ততই বেড়ে চলবে সাম্রাজ্য। বিশদ

16th  June, 2024
অতীতের আয়না: গ্রীষ্মকালের পথচলা
অমিতাভ পুরকায়স্থ

উনিশ শতকের কলকাতাবাসী অনেক সস্তায় চাল খেয়েছেন ঠিকই। কিন্তু গ্রীষ্মের ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে মেট্রোর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় ভ্রমণ? উঁহু, সেটা তাদের ভাগ্যে জোটেনি। বিশদ

16th  June, 2024
চাবুক
কাকলি ঘোষ

ছেলেটাকে নিয়ে আর পারে না রঞ্জা। রোজ কিছু না কিছু অশান্তি বাড়িতে ডেকে নিয়ে আসে। এত বোঝায়! মাঝে মাঝে রাগও দেখায়। তবুও ছেলের সেই একই চাল। কী যে করে একে নিয়ে? এক এক সময় তো ডাক ছেড়ে কাঁদতে ইচ্ছে করে ওর। বিশদ

09th  June, 2024
গুপ্ত রাজধানী: মজনু কা টিলা
সমৃদ্ধ দত্ত

জাহাঙ্গির: হিন্দুদের আরাধ্য পরমেশ্বর আর ইসলামের সর্বশক্তিমান ঈশ্বর আল্লাহের মধ্যে পার্থক্য কী? বুঝিয়ে বলুন।  বিশদ

09th  June, 2024
আজও রহস্য: মৃত্যুর রাস্তা
সমুদ্র বসু

বৈচিত্র্যময় ভারতবর্ষের বিচিত্র সব জায়গা। যাদের প্রত্যেকের রয়েছে নিজস্ব  কিংবদন্তি। সত্যি মিথ্যার বিতর্ক সরিয়ে রাখলে এই কিংবদন্তি যে জায়গার আকর্ষণ বৃদ্ধি করে তা নিয়ে সন্দেহ নেই। আর সেই সব কিংবদন্তি যদি রহস্য ও অলৌকিক সম্পর্কিত হয় তাহলে কৌতূহলীর অভাব হয় না। বিশদ

09th  June, 2024
প্রেশার
মহুয়া সমাদ্দার

বাসে বসে প্রথমেই শিপ্রাদিকে ফোন করল মিত্রা। গতকাল থেকে ভীষণ ব্যস্ততায় আর ফোন করা হয়ে ওঠেনি তার। শিপ্রাদি ফোন ধরতেই মিত্রা বলল, ‘দিদি, আমি বাসে আছি। বাসস্ট্যান্ডে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়েছিলাম। আর মিনিট পনেরো-কুড়ি লাগবে।’ একটু ভয়ে ভয়েই বলল। বিশদ

26th  May, 2024
গুপ্ত রাজধানী: মখদম সাহিবের তাবিজ রহস্য
সমৃদ্ধ দত্ত

সেই তাবিজটা কোথায়? ওই তাবিজ যদি ইব্রাহিম লোধি পরে থাকতেন, তাহলে কি এত সহজে সমরখন্দ, ফরঘনা, তৈমুর লং আর চেঙ্গিজ খানের সম্মিলিত এক শক্তিশালী পেডিগ্রি থাকলেও জহিরউদ্দিন মহম্মদ বাবরের হাজার দশেক সেনার কাছে লোধি পরাস্ত হতেন? বিশদ

26th  May, 2024
অতীতের আয়না: তপ্ত দিনে তৃপ্তির স্নান
অমিতাভ পুরকায়স্থ

চৈত্রের শেষ থেকেই  ট্রেনে-বাসে, হাটে-বাজারে বা সমাজ মাধ্যমের দেওয়ালে উঠে আসে প্রতিদিন গরমের রেকর্ড ভাঙার আলোচনা। চল্লিশ ডিগ্রি পেরিয়েও আরও একটু উচ্চতা ছোঁয়ার জন্য যেন সকাল থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেন সূয্যি মামা। বিশদ

26th  May, 2024
মহাপাপ
প্রদীপ আচার্য

 

দরদর করে ঘামছিলেন বিজন। প্রায় অন্ধকার ঘরে একা বসে আছেন তিনি। তাঁর মাথাটা নুইয়ে আছে। চিবুক ঠেকে আছে বুকে। চেয়ারে ওভাবে ভেঙেচুরে বসে বসেই একটা ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন তিনি। অপমানিত, লাঞ্ছিত আর কলঙ্কিত বিজনের সামনে এখন এই একটাই মুক্তির পথ খোলা। বিশদ

19th  May, 2024
আজও রহস্য আকাশবাণীর অশরীরী
সমুদ্র বসু

রহস্য, ভৌতিক-অলৌকিক চিরকালই মানুষের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। বিশ্বাস-অবিশ্বাস, সত্যি-মিথ্যার দ্বন্দ্ব সত্ত্বেও এর কৌতূহল অনস্বীকার্য। আজকে আমরা জানব খাস কলকাতায় অবস্থিত তেমনই এক জায়গার কথা, অতীত  হয়েও যা বর্তমান। বিশদ

12th  May, 2024
অসমাপ্ত
সায়ন্তনী বসু চৌধুরী

মাতৃসঙ্ঘ ক্লাবের সামনে পৌঁছে মার্জিত ও অভ্যস্ত কণ্ঠে ক্যাব ড্রাইভার বলল, ‘লোকেশন এসে গিয়েছে ম্যাডাম।’  বিশদ

12th  May, 2024
একনজরে
আগামী ২৭ জুন বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে পিএফ দপ্তরের ‘নিধি আপকে নিকট’ কর্মসূচি, জানিয়েছে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (ইপিএফও)। ...

তাঁর আমলে তৈরি উদ্যান, মুক্তমঞ্চ পরিকল্পনামাফিক নষ্ট করছে ইংলিশবাজার পুরসভার বর্তমান বোর্ড। পুরসভার বিরুদ্ধে বুধবার এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন তৃণমূলেরই বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ। চাঁচলের বিধায়ক নীহারবাবু দীর্ঘদিন ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান ও প্রশাসকের দায়িত্ব সামলেছেন। ...

দু’টি জায়গার মধ্যে দূরত্ব মেরেকেটে ৫০০ থেকে ৭০০ মিটার। কিন্তু জায়গা দু’টি একই বিধানসভার মধ্যে নয়। ফলে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় হাসপাতাল স্থানান্তর হলে বদলে যাচ্ছে বিধানসভাভিত্তিক অবস্থান। আর তা নিয়েই বেনজির দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে দক্ষিণ দমদম পুরসভার ...

অবশেষে অস্ট্রেলিয়ায় ফিরলেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। প্রায় ১৪ বছর পর। বিমানবন্দরে নামতেই তাঁকে জড়িয়ে ধরেন স্ত্রী স্টেলা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯০৮: হেলেন কেলারের জন্ম
১৯৩৯: সুরকার রাহুল দেব বর্মনের জন্ম
১৯৬৪: অ্যাথলিট পি টি ঊষার জন্ম
১৯৮১: চলচ্চিত্রের শিল্প নির্দেশক বংশীচন্দ্র গুপ্তর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৩ টাকা ৮৪.৩৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২২ টাকা ১০৭.৬৮ টাকা
ইউরো ৮৭.৮৯ টাকা ৯১.০১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,০০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৩৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৭,২৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৭,৩৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১২ আষাঢ়, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০২৪। ষষ্ঠী ৩৪/১৫ সন্ধ্যা ৬/৪০। শতভিষা নক্ষত্র ১৬/৩৮ দিবা ১১/৩৭। সূর্যোদয় ৪/৫৮/১৯, সূর্যাস্ত ৬/২০/৫১। অমৃতযোগ দিবা ৩/৪০ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/৩ গতে ৯/১১ মধ্যে পুনঃ ১২/১ গতে ২/৯ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৫/৫২ মধ্যে পুনঃ ৯/২৬ গতে ১১/১২ মধ্যে। বারবেলা ৩/০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৪০ গতে ১২/৫৯ মধ্যে। 
১২ আষাঢ়, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০২৪। ষষ্ঠী রাত্রি ৬/৩১। শতভিষা নক্ষত্র দিবা ১/৫৭। সূর্যোদয় ৪/৫৭, সৃর্যাস্ত ৬/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৩/৪২ গতে ৬/২৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪ গতে ৯/১ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ২/১২ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৪/৫৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৫৬ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১১/১৬ মধ্যে। কালবেলা ৩/২ গতে ৬/২৪ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৪০ গতে ১/০ মধ্যে।  
২০ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
টি-২০ বিশ্বকাপ সেমি ফাইনাল: ইংল্যান্ডকে ১৭২ রানের টার্গেট দিল ভারত

12:07:02 AM

টি-২০ বিশ্বকাপ সেমি ফাইনাল: ১০ রানে আউট অক্ষর, ভারত ১৭০/৭ (১৯.৫ ওভার), বিপক্ষ ইংল্যান্ড

12:03:49 AM

টি-২০ বিশ্বকাপ সেমি ফাইনাল: ০ রানে আউট দুবে, ভারত ১৪৬/৬ (১৭.৫ ওভার), বিপক্ষ ইংল্যান্ড

11:52:40 PM

টি-২০ বিশ্বকাপ সেমি ফাইনাল: ২৩ রানে আউট হার্দিক, ভারত ১৪৬/৫ (১৭.৪ ওভার), বিপক্ষ ইংল্যান্ড

11:50:48 PM

টি-২০ বিশ্বকাপ সেমি ফাইনাল: ভারত ১৩২/৪ (১৭ ওভার), বিপক্ষ ইংল্যান্ড

11:48:10 PM

টি-২০ বিশ্বকাপ সেমি ফাইনাল: বৃষ্টির জেরে বন্ধ ম্যাচ, ভারত ৬৫/২ (৮ ওভার), বিপক্ষ ইংল্যান্ড

10:01:26 PM