Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

প্রথম
সুন্দর  মুখোপাধ্যায়

বরানগরে জয় মিত্তির ঘাটের ঠিক পাশে যেখানে বালির ট্রাকগুলো দাঁড়ায়, তার আড়ালে একখানা একহারা গাছ গঙ্গার দিকে হেলে দাঁড়িয়ে। গাছের নীচে একটা ভাঙা তক্তাপোষ ফিট করে রেখেছে পাঁচু বোস। তাতে লেখা, ‘অনুমতি ছাড়া বসা নিষেধ। আদেশানুসারে।’
কার আদেশ তা লেখা নেই। কিন্তু সবাই জানে ওটা পাঁচু বোসের ভদ্রাসন।  লঞ্চঘাটের জেটিতে যাওয়ার কাঠের পুলের শেষপ্রান্তে এই তিন-চারখানা কাঠের তক্তা লাগানো ছিল, তাতে যাত্রী নিরাপত্তার কথা ভেবে এরকম সাবধানবাণী লেখা হয়েছিল। জেটি রিপেয়ারিংয়ের সময়ে তক্তাগুলো ঝেড়ে নিয়ে এসে নিজের ভদ্রাসন বানিয়েছে পাঁচু বোস।  একেবারে সাবধানবাণী সমেত। 
ক’দিন আগে বেপাড়ার এক প্রেমিক-প্রেমিকা জুটি তাতে বসে গভীর ও গম্ভীর প্রেমালাপে ব্যস্ত ছিল। ব্যাচেলার পাঁচু বোস জীবনে প্রেম করেনি। সে কিছুটা রাগে, খানিক লোভে তাদের বার্তালাপ শোনার জন্য গাছটার আড়ালে বিড়ি টানছিল।
সে শুনল প্রেমিকটি বলছে, ‘এখন কী আর সে ভূত আছে! বাজারে উৎকৃষ্ট পেতনিই নেই, তাই ভূতের ভিত খুব নড়বড়ে, আজ এখানে তো কাল অন্য জায়গায়!’
প্রেমিকা বলল, ‘তা বলে আমি কোনও অ্যাকশন নেব না, ভয়ে চুপ করে থাকব!’
প্রেমিক বলল,  ‘তোমাদের ছাদে মাঝ রাত্তিরে ধুপ ধুপ শব্দ হচ্ছে, যখন তখন দরজায় কড়া নাড়ছে, মানে এগুলো ক্যারেকটারলেস ভূত। না, ভূত ঠিক নয়, এরা হল অতৃপ্ত আতমা। বাড়িতে সুন্দরী কেউ থাকলে এর উপদ্রব বাড়ে।’
প্রেমিকা ভীষণ উদ্বেগ নিয়ে বলল, ‘ভূতই বটে তো? তুমি নয়তো? মা কিন্তু তোমায় সন্দেহ করছে। সেদিন বলছিল, পাশের বাড়ির ছেলেটার ডাবল রোল—ভূতের মতো দেখতে ওঁচাটে ছেলে...।’
ছেলেটা কেবল বলতে পারল, ‘যাঃ বাবা!’
প্রেমিকা ফিসফিস করে বলল, ‘শুধু ছাদে নয় গো, ভূতেরা এইসব নদী-টদীর ধারে গাছতলাতেও থাকে! ঘন ঘন বিড়ি টানে, অকারণে আড়ি পাতে...।’
পাঁচু বোস হাঁ। একেই কী বলে প্রেমালাপ! সে আর দাঁড়ায়নি। 
ওই তক্তাপোষের পাঁচজন অংশীদার। পাঁচু ছাড়া কালো মানিক, সাদা মানিক, সত্য মাস্টার এবং প্রায় আশি ছুঁই ছুঁই বেচা ঘোষ। পুরো সিনিয়র সিটিজেন ব্যাচ। তবে, সাদা মানিকের বিশ্বাস, সে এখনও সিনিয়র সিটিজেন হয়নি। তার অফিসিয়াল বয়স পিতৃদেবের অসাবধানতার কারণে দু’বছর বেড়ে গিয়েছে। স্কুলে ভর্তির দিন মা গিয়েছিল মন্দিরে পুজো দিতে। বাবা ঠাকুরমাকে জিজ্ঞেস করেছিল, ‘মানকেটা কবে যেন হয়েছিল?’
ঠাকুরমা একটুও না ভেবে জবাব দিয়েছিল, ‘ছিঃ ছিঃ, নিজের ছেলের জন্মদিন মনে নেই...একুশে শ্রাবণ।’
বাবা বিরক্ত হয়ে বলল, ‘ওঃ, সে তো ডেট হল। ইয়ার, মানে কোন বছর?’
ঠাকুরমা বলল, ‘এই তো সেদিন... যেবার তেরাত্রি টানা বৃষ্টি হল, আমাদের দোরের সামনে এক হাঁটু জল...।’
বাবা স্কুল যেতে যেতে রাস্তায় অন্তত তিনজনকে জিজ্ঞেস করেছিল ঠিক কোন বছরে বৃষ্টিটা হয়েছিল।  প্রথমজন দিনু মিত্তির বদ্ধ কালা। কী শুনেছিল কে জানে,  বলল, ‘তা সে বছর দশেক হবে।’ পাড়ার মুদির দোকানদার কার্তিক খানিক ভেবে জবাব দিল, ‘হ্যাঁ, হ্যাঁ, মনে পড়েছে... সেবারই নতুন ওজনদারিখানা কিনেছিলাম, তা প্রায় সাত বছর হল।’
এবং শেষ জন অঙ্কের কড়া মাস্টার রেবতীবাবু বললেন, ‘নাঃ, এরকম কোনও ঘটনা ঘটেইনি!’
বাবা বলল, ‘সে কী, মানকে জন্মায়নি!’
রেবতীবাবু একবার মানিকের দিকে তাকিয়ে নাকি বিড়বিড় করে বলেছিলেন, ‘তার মানে বৃষ্টি ও জন্মানোর প্রক্রিয়া দুটি অসমান ও অসমান্তরাল সরলরেখা, যে কোন টাইমে একে অপরকে ক্র্যাস করে...কে জানে হতেও পারে!’
বাবা স্কুলে কার্তিকমুদির বলে দেওয়া বয়সই লিখিয়ে এল। 
পরের সপ্তাহে মানিক হজমিগুলি কিনতে গিয়েছিল। কার্তিক বলল, ‘তোর বয়স সাত নয়, পাঁচ। ওজনদারির রসিদখানা খুঁজে পেয়েছি। বাবাকে বলে দিবি।’
মানিকও বাড়ি ফিরে সটান বলে বসল, ‘বাবা, আমার জন্মের রসিদ কার্তিককাকুর কাছে আছে।’ 
এখন দুপুর যাই যাই, ঘড়িতে সাড়ে তিনটে। মাঝগঙ্গায় বালি ভর্তি সারি সারি অন্তত গোটা পাঁচেক নৌকো নোঙর করা। একটু পরেই জোয়ার আসবে। নোঙর তুলে দিলেই জোয়ারের এক ধাক্কায় নৌকাগুলো ফ্রিতে চলে যাবে অনেকটা দূর। পাঁচু বোসও নিজের তক্তাপোষে বসে আছে, বাকি চারজন এলে গুলতানির যে ঢেউ উঠবে তাতে পাঁচ সিনিয়র সিটিজেনও এক ধাক্কায় পিছিয়ে যাবে নিজেদের যৌবনে। কেবল দরকার একখানা জুতের সাবজেক্ট। সেখানেও অনেক রেস্ট্রিকশন, যে কেউ একটা বিষয় উত্থাপন করলেই হবে না, হতে হবে অ্যাজ পার সিরিয়াল। এ আড্ডার এই নিয়ম। আজ বিষয় বলবে পাঁচু বোস। গতকাল বেচা ঘোষ বলেছিল, ‘যে যার যৌবনের হিরোইজমের গপ্পো বলুন।’
তারপর আর কাউকে কিছু বলতে দেওয়া হয়নি। ঘণ্টা খানেক টাইম ধরে তিনি নিজেই সাতচল্লিশের স্বাধীনতা, ছেষট্টির খাদ্য আন্দোলন, একাত্তরের নকশাল পিরিয়ড নিয়ে বলে গিয়েছেন। সবেতেই তিনি নাকি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছিলেন ফোরফ্রন্টে। কালো মানিক কেবল একবার প্রশ্ন করেছিল, ‘এখন তো আপনার আশি, মানে সাতচল্লিশে ছিলেন পাঁচ কী ছয়। মানে বেচাদা, আপনি  নিশ্চয়ই কারওর কোলে চেপে ফোরফ্রন্টে ছিলেন, কে সেই হিরো?’
সেদিন আড্ডার যেটুকু টাইম বেঁচেছিল তাতে বাকি কেবল সত্য মাস্টারই একমাত্র বলার সুযোগ পেয়েছিলেন। তিনি বললেন, ‘আমার যৌবনের সবচেয়ে হিরোগিরির ঘটনা ভাবলে এখনও গায়ে কাঁটা দেয়। সে বিবাহের পর পর, একবার তোমাদের বউদি পিত্রালয়ে গিয়েছে তো গিয়েছেই, ফেরার নাম নেই। আমি ট্রাঙ্ককল করে হুমকি দিলুম। তিন দিনের মধ্যে ফিরতে হবে, না হলে তোমার একদিন কী আমার একদিন...।’
পাঁচু বলল, ‘বাপ রে, বলতে পারলেন!  তারপর?’
সত্য মাস্টার বললেন, ‘তারপর আবার কী, ফিরে এল সুরসুর করে। তবে ওই তিনদিন খুব টেনশনে ছিলুম, যদি না ফেরে!’
সাদা মানিক ফুট কাটল, ‘সে বউদি নেহাত আপনাকে স্নেহ করেন তাই...’
আজ বিষয় নির্বাচনের দায়িত্ব পাঁচু বোসের, তাই সে ভদ্রাসনে ধ্যানস্থ। সবাই এসে গিয়েছে। ধ্যানস্থ পাঁচু চোখ খুললেই সাবজেক্ট পাওয়া যাবে। এ যেন এগজামিনেশন সেন্টার, ঘণ্টা বেজেছে, এবার কোশ্চেন পেপার দেওয়া হবে। 
পাঁচু বোস চোখ খুলে বলল, ‘পেয়েছি। যে যার নিজের প্রথম অভিজ্ঞতা বলুন। এনি ফিল্ডে। তবে সংক্ষেপে।’
কালো মানিক তাড়াহুড়ো করে বলে উঠল, ‘সে আমার প্রথম বিয়ে...।’
তাকে থামিয়ে পাঁচু বোস বলল, ‘প্রথম মানে, আপনার তো একখানাই বিয়ে!’
কালো মানিক মাথা নেড়ে বলল, ‘ওই হল...  বলতে চাইছি বিয়ের প্রথম অনুভূতি। আমার হাতের উপর ওর হাত রেখে পুরোহিত বলল বলুন, যদিদ্বং হৃদয়ং তব, তদস্তু..। আমি সংস্কৃতে পাঁচের বেশি কখনও পাইনি। ভাবলাম কী দরকার রিস্ক নিয়ে। মন্তরখানা বাংলায় বললাম, হৃদয় যদি দিই, তোমাকেই দেব।’
পুরোহিত বাকরুদ্ধ। পাশ থেকে কনে বিড়বিড় করে বলেছিল, ‘যদি মানে! দেখাচ্চি।’
এবার সত্য মাস্টার। তিনি খানিক ভেবে বললেন, ‘সে হল গিয়ে স্কুলে আমার প্রথম দিন।  ফার্স্ট পিরিয়ড। ক্লাস থ্রি। আমি চেয়ারে বসতেই লাস্ট বেঞ্চ থেকে একটি ছাত্র বলল, ছার,  পেচ্ছাপ করতে যাব—।
বললুম, এখন নয়, আগে রোল কল।
সে চুপ করে গেল, আমি নাম ডাকতে লাগলুম। রোল নম্বর পনেরো কী ষোলো পর্যন্ত ডেকেছি, ছেলেটি ফের বলে উঠল, খুব জোরে পেয়ে গেছে ছার—।
আমি ভাবলুম কড়া হতে হলে প্রথম দিনেই হওয়া দরকার। কড়া গলায় বললুম, চুপ করে বোস।
 পঁয়ত্রিশ জন ছাত্র, ছেলেটার রোল পঁয়ত্রিশ। মানে একেবারে অপদার্থ। দেখলুম আগের তিনদিন সে অ্যাবসেন্ট। বোঝাই যাচ্ছে, এই জন্যই তার বাথরুমের তাড়া। বললাম, গার্জেনের চিঠি এনেছিস?'
সে চুপ করে রইল। 
বললুম, তার মানে স্কুল পালিয়েছিলি?
সে মাথা চুলকোচ্ছে।  ভাবলুম প্রথম দিন, যাক গে, মাপ করে দিই। বললুম, কী যেন বলছিলি?
 —আজ্ঞে, পেচ্ছাপ...।
বললুম, ছিঃ, সর্বসমক্ষে পেচ্ছাব বলতে নেই। 
অন্য বেঞ্চ থেকে একজন বলে উঠল, কী বলতে হয় আমি জানি ছার, ওটা ইয়ে পেয়েচে বলতে হয়।
বললুম, না, বলবে ছোট বাইরে যাব। যাও—। 
ছেলেটি বলল,  দেরি হয়ে গেল ছার... ছোট বাইরে, ছোট করে ভেতরেই হয়ে গেল যে!’
এতক্ষণ সাদা মানিক বলার জন্য উসখুস করছিল। সুযোগ পেয়েই বলল, ‘স্কুলের ক্রিকেট টিমের হয়ে প্রথম ম্যাচেই হ্যাটট্রিক করেছিলুম।’
পাঁচু বোস জিজ্ঞেস করল, ‘তাই নাকি! পেশ না স্পিন বোলার ছিলেন আপনি?’
সাদা মানিক সবিস্তারে বলতে আরম্ভ করল একেবারে টস থেকে। দু’-চার মিনিট শুনে অধৈর্য সত্য মাস্টার অভ্যেস বশে বললেন, ‘হয়েচে, হয়েচে,  কেবল হ্যাটট্রিক সম্পর্কে যাহা জান বল।’  
 সাদা মানিক থমকে গিয়ে বলল, ‘অ, শুধু ওটুকু! 
তা বেশ। শুনুন... ফার্স্ট ম্যাচে পর পর তিন বলে তিনখানা ক্যাচ মিস করেছিলুম। ক্যাচ মিসের হ্যাটট্রিক। প্রথম দুটো মিস হবার পরে থার্ড ক্যাচখানা প্রায় ধরে ফেলেছিলুম, তারপর ভাবলুম ব্যাটে রান করেছি শূন্য, বল করতে জানি না। একটা হ্যাটট্রিক অন্তত থাক, তাই ওই ক্যাচখানাও ছেড়ে দিলুম।’
সে থামতেই আশি ছুঁই ছুঁই  বেচা ঘোষ এবার বললেন, ‘শোন বাপু, আমি যা বলব, সেটা কিন্তু পাঁচ কান করা যাবে না। একখানা গোপন ব্যাপার... জীবনে ফার্স্ট অ্যান্ড লাস্ট, এই একখানাই প্রেমপত্র পেয়েচি!’
কালো মানিক বলল, ‘বলেন কী! কে দিল? বেয়ান?’
বেচাবাবু বললেন, ‘ধুস! এ পাড়ার ওই নতুন ফ্ল্যাটবাড়ির একজন।’
সাদা মানিক বলল, ‘একেবারে ডায়েরেক্ট প্রেম নিবেদন করে লেখা?’
বেচা ঘোষ বললেন, ‘ভয়ে এ কাগজখানা বাড়িতেও রাখতে পারিনি, সঙ্গে নিয়ে ঘুরচি।’
তারপর পকেট থেকে একখানা কাগজ বের করে গলাখাঁকারি দিয়ে পড়তে শুরু করলেন— 
‘মাই ডিয়ার বেচাবাবু, আমি আপনার নাতি বিল্টুর বান্ধবী বুঁচির ঠাকুমা। অনেকদিন ধরে দূর থেকে ভাবি আপনার হাসিখানা কী সুন্দর। এত চমৎকার বাঁধানো দাঁত আমি দেখিনি। পান খেয়ে খেয়ে আমার দাঁতগুলো গেচে। আপনি কোথায় বাঁধিয়েচেন, একটু ঠিকানাটা দেবেন? আমি রোজ ভোর সাড়ে পাঁচটায় মনিং ওয়াকে বের হই। আপনিও যদি আসেন গঙ্গার ধারে বকুল গাছের নীচে দেখা করেন, ঠিকানাটা নিতাম। আর হ্যাঁ, দয়া করে দাঁতগুলো পরবেন না, পকেটে করে নিয়ে আসবেন। আমি একবার হাত দিয়ে পরখ করতুম। ভবদীয়, বুঁচির ঠাকুমা।’
বিকেল প্রায় শেষ। এবার লাস্ট ম্যান পাঁচু বোস। অথচ তার মুখে কোনও কথা নেই। সত্য মাস্টার অধৈর্য হয়ে বললেন, ‘কই পাঁচু কিছু বল, এবার উঠতে হবে যে—।’
পাঁচু বলল, ‘আমি ছিলুম রিকশ ইউনিয়নের দুঁদে নেতা।’
এতটুকু বলে সে থেমে গেল। 
বেচা ঘোষ বললেন, ‘তা তো ছিলেন, সে আমরা দেকেচি।’
পাঁচু বোস বলে চলল, ‘আপনারা জানেন আমি অকৃতদার। সেটা ঠিক আবার বেঠিকও। 
আমার প্রেম বিয়ে সব ওই রিকশর সঙ্গেই। রিকশ উঠে গিয়ে এখন টোটো হয়েচে। তাই আমি এখন বিধবা। এবং ইউনিয়নও বন্ধ। কর্মীরা কাজ হারায়, নেতা কখনও কাজ হারিয়েচে শুনেচেন! আমি হলুম ওয়ার্ল্ডে ফার্স্ট বেকার নেতা! এ অভিজ্ঞতা দুনিয়ায় কারওর নেই, তাই শেয়ার করালেও বুঝবেন না...।
যাক গে,  চলুন, সন্ধে হচ্চে।’ 
অলঙ্করণ : সোমনাথ পাল
05th  February, 2023
চিরশৈশব
সুমন মহান্তি

 

বিকেল হয়ে আসছে, আকাশে বিস্কুট রং, টিলার ওপারে সূর্য স্তিমিত হচ্ছে। ট্রেনের সাইড বার্থে বসে বাইরের দৃশ্য দেখছিলাম। প্রতিমুহূর্তে দৃশ্য বদলে যাচ্ছিল। কেন জানি না অবেলার দৃশ্য আমাকে আনমনা করে দেয় বারবার। বিশদ

28th  May, 2023
অযাচিত
সুদেষ্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়

 

বাসস্ট্যান্ডে লাবণ্য যে কতক্ষণ দাঁড়িয়ে আছে, ভালো লাগছে না। চটির ডগায় একটা পাথরকুচি নাড়াচাড়া করছে। বাসের পাত্তা নেই। অনেকদিন পর বেরিয়েছে ও। এখন লাবণ্যর একটা নতুন পরিচয় হয়েছে সমাজে। বিধবা! শব্দটাতেই কেমন একটা সাদাটে-ফ্যাকাশে ভাব। নিরামিষ গন্ধ। বিশদ

21st  May, 2023
বিন্নি ধানের খেত
হিমাদ্রিকিশোর দাশগুপ্ত

রাস্তার পাশে একটা সাইনবোর্ডের গায়ে ‘সুন্দরপুর’ নামটা দেখে সুমিতানন্দ ওরফে সুমিত বুঝতে পারলেন, তিনি তাঁর গন্তব্যে প্রায় পৌঁছে গিয়েছেন। সামনেই একটা প্রাইমারি স্কুল পড়বে। সেখানে তাঁর জ্ঞাতিভাই পলাশের অপেক্ষা করার কথা। সে-ই তাঁকে নিয়ে যাবে। বাড়ি। বিশদ

14th  May, 2023
প্রতিক্ষা
নির্মাল্য রায়

সল্টলেকের নার্সিংহোমের দোতলায় আইসিসিইউ-এর বাইরে বসে হঠাৎ হারিয়ে গিয়েছিল বছর পনেরো আগে। সংবিৎ ফিরল নার্সের বাজখাঁই গলার চিৎকারে, ‘মিস্টার সুখেন্দু চৌধুরীর বাড়ির লোক কে আছেন?’ ডাঃ অনির্বাণ সারেঙ্গীর চিকিৎসায় প্রায় দু’মাস হয়ে গেল এই নার্সিংহোমে ভর্তি সুখেন্দু। বিশদ

07th  May, 2023
মাটির প্রদীপ
সুব্রত দাস

কাঁকড়ার ঘিলু সিদ্ধ হয়েছে মেটে হাঁড়িতে, শুকনো পাতার জ্বালে। তাকে অতি যত্ন করে নুন লঙ্কা দিয়ে মেখেছে ফুলুদির সাত বছরের মেয়ে মিতালি। আজ দুপুরে সকলের পাতেই ভাত আর ওই ঘিলুমাখা। বিশদ

23rd  April, 2023
স্মৃতি-বিস্মৃতি
আড্ডার ঠিকানা কফি হাউস
সুদীপ্ত রায়চৌধুরী

সালটা ১৯৫১। এই সাতাশি বছরেও স্পষ্ট মনে আছে বুঝলে... তখন স্কটিশ চার্চ কলেজে আমার ফার্স্ট ইয়ার। প্রথমবার পা রাখলাম কফি হাউসে। এক বন্ধু নিয়ে গেল। সিঁড়ি বেয়ে পায়ে পায়ে দোতলা। দুই বন্ধু মিলে বসা হল একটি টেবিলে। অর্ডার দেওয়া হল—কোল্ড কফি উইথ ক্রিম। বিশদ

23rd  April, 2023
বকুল গন্ধে 
বন্যা এল
মীনাক্ষী সিংহ

‘এক দশকেরও অতীত কোনও স্মৃতি আপনার মনে আছে কি? পত্রশেষে প্রেরকের নাম কি আপনাকে অদূর অতীতের কোনও বকুল গন্ধের সুরভি মনে করায়?
একদিন চকিত চমকের মতো এসেছিলেন আমাদের দৌলত মঞ্জিলে। এটা নাকি ছিল আপনাদের পিতৃপুরুষের বাসভূমি। বিশদ

09th  April, 2023
বকুল গন্ধে 
বন্যা এল
মীনাক্ষী সিংহ

চিঠিটা হাতে নিয়ে অবাক হল মনোশ্রী। আজকাল ডাকযোগে চিঠি তো এক আশ্চর্য উপহার, কে পাঠাল এই এসএমএস আর হোয়াটসঅ্যাপের ডিজিটাল যুগে? খামের ওপর বাংলাদেশের ছাপ দেখে আবারও বিস্ময়! বিশদ

02nd  April, 2023
সখা হে
সোমজা দাস

খাওয়া দাওয়া সেরে সবে সিরিয়াল দেখতে বসেছিল বনানী। আর ঠিক তখনই মোবাইলটা বেজে উঠেছিল। অচেনা নম্বর, অপরিচিত কণ্ঠস্বর। টিভির পর্দা থেকে চোখ না সরিয়ে ফোনটা কানে ছুঁইয়েছিল বনানী অগাধ নির্লিপ্তি নিয়ে। ঝিমলি তখনও স্কুলে, অনন্ত কারখানায়। বিশদ

05th  March, 2023
বাবলা
আইভি চট্টোপাধ্যায়

‘অ বউদি, দেখো আবার চলে এসেছে।’ দরজা খুলেই চিত্‍কার করে মামিকে ডাকল ছবি মাসি। ‘আবার!’ ঘরের মধ্যে থেকেই চেঁচিয়ে উঠেছে মামি, ‘একদম ঢুকতে দিবি না।’ বিশদ

26th  February, 2023
সুগন্ধের মতো
নিয়তি রায়চৌধুরী

 

সতর্ক হল সৌম্য। কী সব ভাবছে সে। বোধহয় একেই বলে অবচেতন, নাহলে তো কালকের অফিস ফেরত বিকেলটাই এতক্ষণ ঘুরছিল মনে। মা বলেছিল, ফেরার পথে রুকুর জন্য একটা টিফিন-বক্স কিনে আনবি। আগেরটা পুরনো হয়ে গেছে। কফিশপ থেকে বেরিয়ে সেটা কিনতে গিয়ে কিঙ্কি বলল, দাঁড়াও আমি পছন্দ করে দিচ্ছি। বিশদ

19th  February, 2023
নাইট ক্রিম
মহুয়া সমাদ্দার

কথায় কথায় কথাটা বলেই ফেলল বিনায়ক। প্রথমে ভেবেছিল চুমকির জন্যে কোনও উপহার এনে সারপ্রাইজ দেবে তাকে। কিন্তু শেষরক্ষা করতে পারল না। পেট থেকে কথাটা নীচে পড়তেই লুফে নিল চুমকি। এটা অবশ্য জানাই ছিল বিনায়কের। এত সুন্দর ক্যাচ মিস করার মতো প্লেয়ার নয় সে। বিশদ

12th  February, 2023
মহানগরের ঘোড়ার গাড়ি
কলহার মুখোপাধ্যায়

‘অভিনেতা অক্ষয়কুমারের হাত দিয়েই বদলে গেল কলকাতার ঘোড়ার গাড়ির ইতিহাস...’ শুনেই হেঁয়ালির মতো লাগল। তবে প্রথমেই সত্য-মিথ্যা যাচাই না করে পুরোটা শোনার পর বোঝা গেল গল্পটা।
বিশদ

29th  January, 2023
স্কুলছুট
সায়ন্তনী বসু চৌধুরী

সকাল আটটা সাড়ে আটটা থেকেই আকাশে মেঘ জমছিল। বেলা বাড়তে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে শুরু হল টিপটিপ বৃষ্টি। চড়াইদিঘি স্কুলের পাশে এতক্ষণ ব্যাজার মুখে দাঁড়িয়েছিল সুখেন বাউড়ি।
বিশদ

29th  January, 2023
একনজরে
৫জি সুবিধাযুক্ত ‘এফ২৩’ মোবাইল নিয়ে এসেছে ওপো। ২৪ হাজার ৯৯৯ টাকার এই ফোনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক এর পাঁচ হাজার এমএএইচ ব্যাটারি এবং অতি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন চার্জিং ব্যবস্থা। সংস্থাটির দাবি, এই ফোনে মাত্র ১৮ মিনিটেই ৫০ শতাংশ চার্জ হয়ে যায়। ...

হাওড়া ময়দান এলাকায় নতুন শাখা খুলল লিলুয়া কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক। ভট্টনগর, লিলুয়া, বামনগছি, বেলগাছিয়ার পর এবার হাওড়ার প্রাণকেন্দ্রে নিজেদের শাখা তৈরি করল তারা। এটি লিলুয়া কো-অপারেটিভ ...

শুক্রবার সকালে শান্তিপুরে দাদার তালাবন্ধ বাড়ি থেকে মিলল ভাইয়ের রক্তাক্ত দেহ। মৃতের নাম উত্তম প্রামাণিক(২৭)। গলার নলি কাটা অবস্থায় বন্ধ ঘরে তাঁর দেহ পড়েছিল। মৃতের স্ত্রী মুক্তি প্রামাণিকের অভিযোগ, স্বামীকে বাড়িতে ডেকে তাঁর ভাশুর খুন করেছে। ...

থাইল্যান্ড ওপেনে দুরন্ত ফর্মে লক্ষ্য সেন। শুক্রবার ছেলেদের সিঙ্গলসে মালয়েশিয়ার লিয়ং জুন হাওকে স্ট্রেট গেমে হারিয়ে সেমি-ফাইনালে পৌঁছলেন তিনি। ভারতীয় শাটলারের পক্ষে ম্যাচের ফল ২১-১৯, ২১-১১। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সামাজিক কল্যাণকর্মে সামাজিক স্বীকৃতি আর সন্মান। গৃহ পরিবেশে চাপ। আর্থক প্রগতি বজায় থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব সাইকেল দিবস
১৭৮৯: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলায় লবণ উৎপাদন নিষিদ্ধ করে।
১৯০৮: স্বাধীনতা সংগ্রামী শহীদ বিপ্লবী গোপাল সেনগুপ্তর জন্ম
১৯১৫: ব্রিটিশ সরকার রবীন্দ্রনাথকে ‘নাইট’ উপাধিতে ভূষিত করে।
১৯১৯: টলিউডের বিশিষ্ট অভিনেত্রী ছায়া দেবীর (চট্টোপাধ্যায়) জন্ম
১৯২০: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসবিদ তথা গবেষক অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯২৪: রাজনীতিক এম করুণানিধির জন্ম
১৯৩৬: ভারতের সিভিলিয়ান রেডিওর নাম পরিবর্তন করে অল ইন্ডিয়া রেডিও নামকরণ।
১৯৪৬ : ভারতের জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক নেতারা ব্রিটিশ সরকার প্রস্তাবিত ভারত বিভাজন প্রস্তাব মেনে নেন।
১৯৪৭ : বৃটিশ সরকার ভারত বিভাগের পরিকল্পনা প্রকাশ করে।
১৯৫৩: মনোবিদ গিরীন্দ্রশেখর বসুর মৃত্যু
১৯৬১:  রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু
১৯৬৯: ভাষা বিজ্ঞানী মুহম্মদ আবদুল হাই ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত হন।
১৯৮৬: টেনিস তারকা রাফায়েল নাদালের জন্ম
২০১৩: অভিনেত্রী জিয়া খানের মৃত্যু
২০১৬: মার্কিন বক্সার মহম্মদ আলির মৃত্যু
২০২০: বলিউডের বিশিষ্ট গীতিকার আনোয়ার সাগরের মৃত্যু।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৬৮ টাকা ৮৩.৪২ টাকা
পাউন্ড ১০১.০০ টাকা ১০৪.৪৩ টাকা
ইউরো ৮৬.৭০ টাকা ৮৯.৮৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
02nd  June, 2023
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৬০,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬০,৯৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫৭,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭১,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭১,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
02nd  June, 2023

দিন পঞ্জিকা

১৮ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০, শুক্রবার, ২ জুন ২০২৩। ত্রয়োদশী ১৯/৪৩ দিবা ১২/৪৯। স্বাতী নক্ষত্র ৪/৫৩ দিবা ৬/৫৩। সূর্যোদয় ৪/৫৫/৩০, সূর্যাস্ত ৬/১৩/১৫। অমৃতযোগ দিবা ১২/০ গতে ২/৪০ মধ্যে। রাত্রি ৮/২২ মধ্যে পুনঃ ১২/৩৮ গতে ২/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৩/২৯ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/১৫ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৫৪ গতে ১০/১৪ মধ্যে। 
১৮ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০, শুক্রবার, ২ জুন ২০২৩। ত্রয়োদশী দিবা ১১/৩। স্বাতী নক্ষত্র প্রাতঃ ৫/২৭। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১৫। অমৃতযোগ দিবা ১২/৬ গতে ২/৪৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/২৯ মধ্যে ও ১২/৪২ গতে ২/৪৮ মধ্যে ও ৩/৩০ গতে ৪/৫৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৫ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৫৫ গতে ১০/১৬ মধ্যে। 
১২ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
মেট্রোয় ঝাঁপ যুগলের, বন্ধ পরিষেবা
ফের মেট্রোয় ঝাঁপ। এবার যুগলের। আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৩৪ ...বিশদ

07:26:00 PM

ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনা: মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৮৮

06:35:00 PM

অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস কাজ করল না কেন? প্রশ্ন অভিষেকের

04:39:07 PM

রেলমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

04:37:22 PM

এত মৃত্যুর দায় এড়াতে পারেন না প্রধানমন্ত্রী: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

04:34:27 PM

দু'দশকে এত বড় রেল দুর্ঘটনা ঘটেনি: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

04:30:59 PM