সামাজিক কল্যাণকর্মে সামাজিক স্বীকৃতি আর সন্মান। গৃহ পরিবেশে চাপ। আর্থক প্রগতি বজায় থাকবে। ... বিশদ
জঙ্গিপুর পুলিস সুপার ভিজি সতীশ পাশুমার্থী বলেন, ‘উদ্ধার হওয়া মাদক হেরোইনের মতোই মনে হচ্ছে। পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, বৃহস্পতিবার রাতে ফরাক্কা বাজারের নেপাল শিব মন্দির সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালায় পুলিস। সন্দেহভাজন বিহারের তিন যুবককে পাকড়াও করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতেই মাদক পাচারের পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে যায়। তিনজনই অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছিল। কিন্তু তাঁদের কাছে কিছু পাওয়া যাচ্ছিল না।
পুলিস তাদেরকে থানায় নিয়ে গিয়ে তল্লাশি শুরু করে। ধৃতরা প্যান্ট খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ পুলিসের। তাদের অন্তর্বাসের ভিতর থেকে প্রচুর মাদক উদ্ধার হয়। কালিয়াচক থেকে মাদক কিনে পাচারের চেষ্টা করছিল ওই তিন যুবক। অটো করে নিউ ফরাক্কা আসে। তারপর ট্রেন ধরার আগেই পুলিস তাদের পাকড়াও করতে সক্ষম হয়। পুলিস জানিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে ধৃতরা স্বীকার করেছে, মালদহের কালিয়াচক থেকে মাদক আমদানি করেছে তারা। ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিস। এদিন তাদের বহরমপুরে মাদক সংক্রান্ত বিশেষ আদালতের তোলা হলে প্রত্যেককেই সাতদিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
ফরাক্কা থানার আইসি দেবব্রত চক্রবর্তী বলেন, ‘আগাম খবরের ভিত্তিতে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছিল। ধৃতদের কাছ থেকে প্রায় ২৭৬ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার হয়েছে। তিন যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আরও জেরা করে এই মাদক কারবারের পিছনে কারা কারা জড়িত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা এর আগেও একাধিকবার পুলিসের চোখে ধুলো দিতে মাদক পাচার করতে সক্ষম হয়েছে। তারা মালদহ থেকে হেরোইন বিহারে পাচার করত বলে জেরায় স্বীকার করেছে। বিহারে মদ বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারির পর থেকেই হেরোইনের প্রতি আসক্তি বাড়ছে যুব সমাজের। ধৃত পবনকুমার, আসিফরাও বিভিন্ন নেশায় আসক্ত বলে জানা গিয়েছে। মালদহ থেকে হেরোইন বিহারে নিয়ে গিয়ে তারা হেরোইন বিক্রি করে মোটা টাকা উপার্জন করত। বাজেয়াপ্ত হওয়া হেরোইনের বর্তমান বাজার দর প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা বলে পুলিস জানিয়েছে।