সামাজিক কল্যাণকর্মে সামাজিক স্বীকৃতি আর সন্মান। গৃহ পরিবেশে চাপ। আর্থক প্রগতি বজায় থাকবে। ... বিশদ
বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত গুণ্ডারাই প্রশান্তকে খুন করেছে। যদিও ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহের দাবি, প্রশান্ত রায় বসুনিয়া সমাজবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ওই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কেউ যুক্ত নয়। অতিরিক্ত পুলিস সুপার কুমার সানি রাজ বলেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দুষ্কৃতীরা ধরা পড়বেই।
এদিকে ওই ঘটনার প্রতিবাদে ও দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে এদিন স্থানীয় শিমুলতলা এলাকায় দিনহাটা-কোচবিহার রাজ্য সড়ক অবরোধ করে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রশান্ত রায় বসুনিয়া এদিন তাঁর বাড়িতেই একটি ঘরে বসেছিলেন। দুপুর দেড়টা নাগাদ সদর দরজা দিয়ে জনা তিনেক দুষ্কৃতী বাড়িতে ঢোকে। মা সুমিত্রা রায় বসুনিয়া তখন রান্নাঘরে কাজ করছিলেন। প্রশান্তের ঘরে ঢুকেই কাছ থেকে মাথায়
গুলি করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। আচমকা গুলির আওয়াজে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হয়। দৌড়ে আসেন প্রতিবেশীরা। রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে মা দেখতে পান ছেলের রক্তাক্ত দেহ। পুলিস তড়িঘড়ি ওই বিজেপি নেতাকে উদ্ধার করে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতের মা বলেন, ঘরে ঢুকে দেখি দুষ্কৃতীরা আমার ছেলেকে গুলি করে মেরে ফেলল। তবে কে গুলি করেছে, আমি দেখতে পাইনি। খবর পেয়ে কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিস সুপার কুমার সানি রাজ সহ বিশাল পুলিস বাহিনী ঘটনাস্থলে যান।
এদিকে, দলের পদাধিকারীকে দিনদুপুরে বাড়িতে ঢুকে গুলি করে খুন করার খবর পেয়ে মৃতের বাড়িতে
ছুটে আসেন বিজেপির কোচবিহারের জেলা সভাপতি সুকুমার রায়, বিধায়ক মিহির গোস্বামী সহ অন্যান্যরা। মিহিরবাবু বলেন, একুশের নির্বাচনের পর গোটা
দিনহাটা জুড়ে বিজেপির নেতা কর্মীরা বাড়ি ছাড়া ছিলেন। মাত্র তিন দিন আগে প্রশান্ত বাড়িতে আসে। সেই খবর পেয়েই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বাড়িতে ঢুকে এভাবে খুন করে পালালো।