সামাজিক কল্যাণকর্মে সামাজিক স্বীকৃতি আর সন্মান। গৃহ পরিবেশে চাপ। আর্থক প্রগতি বজায় থাকবে। ... বিশদ
ইডি তদন্তে নেমে জেনেছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রথম থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের। পার্থর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছাড়াও শিক্ষাদপ্তরের একাধিক আধিকারিকের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক ছিল। তিনি এসএসসি দপ্তরে নিয়মিত যেতেন। পরীক্ষার সূচি থেকে শুরু করে কী ধরনের প্রশ্ন হবে, এই নিয়ে তাঁদের সঙ্গে বসে ঠিক করতেন কাকু। সেখানে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীও হাজির থাকতেন। তদন্তকারীরা এও জানতে পারছেন, চূড়ান্ত প্রশ্ন তৈরি হওয়ার পর তার একটি কপি তিনি নিয়ে আসতেন। তার ফটোকপি করে দিয়ে দিতেন এজেন্টদের কাছে। তদন্তে প্রকাশ, তাঁর প্রার্থীরা পরীক্ষায় বসায় তাঁদের ওএমআর শিটের বারকোড সংগ্রহ করতেন সুজয়বাবু। এরপর সেগুলি পাঠিয়ে দিতেন এসএসসি অফিসে। সেইমতো মূল্যায়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার কাছে তাঁর নির্দেশ যেত, সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের নামে একই বারকোডে ওএমআর শিট তৈরি করে ফিল আপ করে দিতে। একইসঙ্গে সরিয়ে ফেলা হতো সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের জমা পড়া আসল ওএমআর শিট। ইডি জেনেছে, সুজয়বাবুর বাড়িতে মাসে চারবার করে হাজির হতেন কুন্তল ও শান্তনু। সঙ্গে থাকত প্রার্থী তালিকা। গভীর রাত পর্যন্ত এই নিয়ে বৈঠক চলত তাঁদের মধ্যে। তদন্তকারীরা জেনেছেন, কাকু রেট বেঁধে দিয়েছিলেন। টেটের জন্য প্রার্থীপিছু নেওয়া হতো আট থেকে দশ লক্ষ টাকা। নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশের জন্য রেট ছিল বারো থেকে পনেরো লক্ষ টাকা। সেইমতো প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করতেন কুন্তল ও শান্তনু। অভিযোগ তা পৌঁছে যেত সুজয় ভদ্রের বাড়িতে। এরইসঙ্গে কুন্তল ও শান্তনুর সঙ্গে বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক-লেনদেনের নথিও পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তা ঘেঁটে তাঁরা দেখেছেন, টাকা সুজয়ের অ্যাকাউন্টে আসার পর আবার তা চলে গিয়েছে কুন্তল বা শান্তনুর অ্যাকাউন্টে। কেন তা আবার ফিরে গেল তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।