সামাজিক কল্যাণকর্মে সামাজিক স্বীকৃতি আর সন্মান। গৃহ পরিবেশে চাপ। আর্থক প্রগতি বজায় থাকবে। ... বিশদ
শুক্রবার বিকেল ঠিক ৪টা ২৫ মিনিট। নন্দকুমারে পদযাত্রা করছেন অভিষেক। যাত্রাপথের মধ্যেই দেখা যায়, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমারে সিপিএমের পার্টি অফিস। লাল বিল্ডিংয়ে লেখা, পি সুন্দরাইয়া ভবন, নন্দকুমার জোনাল কমিটি। ওই বিল্ডিংয়ের বারান্দায় ঠাসা ভিড়। এমনকী, বিল্ডিংয়ের ছাদের উপর দাঁড়িয়ে অভিষেককে দেখছেন তাঁরা। যাত্রাপথে তাঁদের নমস্কার জানিয়ে গেলেন অভিষেক। হাতও নাড়লেন। কিন্তু ওপার থেকে অর্থাৎ কমরেডদের কাছ থেকে পাল্টা সৌজন্য দেখা যায়নি।
এদিন নন্দকুমার, মহিষাদল, ময়না এলাকায় হেঁটে জনসংযোগ সারেন অভিষেক। প্রজ্ঞানানন্দ ভবনে সতীশ সামন্ত ও সুশীল ধাড়ার মূর্তিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন তিনি। দ্রোণাচার্য পুরস্কারে ভূষিত তপন পাণিগ্রাহীকে সম্মাননা জ্ঞাপন করলেন অভিষেক। স্বাধীনতা সংগ্রামী চিত্তরঞ্জন সামন্তকেও সম্মান জানান তিনি। এছাড়া সতীশ সামন্তের ভাইপো সুভাষ ও প্রকাশ সামন্তকেও সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয়।
ঘটল একই এক বিরল ঘটনা। রোড শো চলাকালে বিশেষভাবে সক্ষম এক বৃদ্ধা—ঝর্না মিশ্র হুইল চেয়ারেই অভিষেকের দিকে এগিয়ে আসেন। তাঁর গাছের জামরুল অভিষেকের হাতে তুলে দেন। অভিষেক বলেছেন, ‘শুধু আমার হাতে এই ফলগুলি তুলে দেবেন বলেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা তিনি অপেক্ষা করেছেন! এই উপহার আমার কাছে পরম আশীর্বাদ। উপহারটি পেয়ে আমার অন্তরাত্মা যে কতখানি তৃপ্ত হয়েছে, তা কথায় প্রকাশ করা দুঃসাধ্য। এই প্রাপ্তির মাঝেই তো লুকিয়ে রয়েছে জীবনের আসল মূলধন।’