Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

আজও তারা জ্বলে 
পর্ব-২৩

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ জহর রায়- দ্বাদশ কিস্তি। 


সুচিত্রা সেনের সঙ্গে তাঁদের পরিবারের মধুর সম্পর্কের নানা টুকরো স্মৃতি মনে পড়ে জহর-কন্যা কল্যাণী রায়ের। একদিনের ঘটনা। সুচিত্রা-কন্যা মুনমুনের তখন অ্যাপেনডিক্স অপারেশন হয়েছে। মুনমুন নার্সিংহোমে। এদিকে, জহর ফোন করে সুচিত্রাকে বলে দিয়েছেন যে, দিদিভাই, আজ বিকালে কমলা ও কল্যাণী তোমার বাড়ি যাবে। কল্যাণী বলছিলেন, আমরা পৌঁছনোর আগেই আন্টি বাড়ি ফিরে এসেছিলেন। বাহাদুর গিয়ে খবর দিয়েছিল যে, আমরা এসেছি। মা আসছেন খবর পেয়েই আন্টি দরজার আড়ালে লুকিয়ে পড়েছিলেন। দরজার সামনে যেতেই আড়াল থেকে বেরিয়ে এসে মাকে চমকে দিয়ে জড়িয়ে ধরেছিলেন। ওই রকম দোর্দণ্ডপ্রতাপ নায়িকা, যাঁর সঙ্গে সহকর্মীরাই সমঝে কথা বলতেন, তাঁর ওই রকম শিশুসুলভ আচরণ আমরা দেখেছি। গোটা বাড়ি আমাদের ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখিয়েছিলেন। মাকে বলতেন, তোমার ছেলেমেয়েগুলো কী মিষ্টি হয়েছে। আমরা প্রণাম করতে গেলেই বাধা দিয়ে বলতেন, অ্যাই, তোদের বাবা বুঝি এই রকম ঢিপ ঢিপ করে প্রণাম করতে শিখিয়েছে।
সুচিত্রা সেনের সঙ্গে জহর রায়ের অন্তরঙ্গতার আর এক সাক্ষী অভিনেতা ধীমান চক্রবর্তী। সেই ধীমান, যাঁকে ‘অনন্যা’ নাটকে জনৈক দর্শক ‘ভাল্লুকের বাচ্চা’ বলে অপমান করায় সংলাপ থামিয়ে গর্জে উঠেছিলেন জহর। এই নাটকটির নাম অবশ্য অন্য। ‘আমি মন্ত্রী হব’। উল্টোডাঙার কাছে থাকতেন মাস্টারমশাই সুনীল চক্রবর্তী। তাঁর লেখা পলিটিক্যাল স্যাটায়ার। সেই সময়কার রাজনৈতিক পটভূমি নিয়ে সাজানো। এক জ্যোতি বসু ছাড়া ডান-বাম কোনও তৎকালীন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বোধ হয় ছিলেন না যিনি ‘আমি মন্ত্রী হব’ দেখেননি। এই নাটকে জহর রায় তাঁর অভিনয়কে স্যাটায়ার কমেডির কোন স্তরে নিয়ে গিয়েছিলেন, তা যাঁরা নাটকটি দেখেছেন, তাঁরা জানেন বিলক্ষণ। শেষদৃশ্যে তাঁর অভিনয় দেখে দর্শকদের চোখে জল চলে আসত। এরকমই একদিন শো দেখতে এসেছিলেন সুচিত্রা সেন। ধীমানবাবু বলছেন, ‘আমার সঙ্গে থাকত জহরদার লাস্ট সিন। আমাদের গ্রিনরুম ছিল দোতলায়। সেদিনও আমরা নাটক শেষ করে সিঁড়ি দিয়ে উঠছি, দেখি সিঁড়ির কাছে দাঁড়িয়ে আছেন ম্যাডাম (সুচিত্রা সেন)। জহরদাকে জড়িয়ে ধরে তিনি অভিবাদন জানালেন, প্রশংসা করলেন। ওঁর মতো ব্যত্তিত্বময়ী অভিনেত্রী একজন কমেডিয়ানকে এভাবে অভিনন্দন জানাচ্ছেন, এটা ছিল কল্পনাতীত।’
রংমহলেই প্রথম অভিনীত হয় ‘নহবত’ নাটকটি। এই নাটকের মাধ্যমেই প্রথম অভিনয় জগতে পা রাখেন অভিনেত্রী আরতি ভট্টাচার্য। জামশেদপুর থেকে তাঁকে নিয়ে এসেছিলেন জহর রায়। আর এই নাটকেই জহরের সঙ্গে প্রথম পরিচয় হয় ধীমানের। স্মৃতি হাতড়ে বলছেন, ‘জহরদা কখনও থিয়েটার কামাই করা পছন্দ করতেন না। সত্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা নাটক, পরিচালকও তিনি। আমার সঙ্গে জহরদার সেই প্রথম অভিনয়। কিন্তু ওঁর সঙ্গে কোনও রিহার্সাল করার উপায় ছিল না। কারণ, জহরদা তখন কোনও একটা ছবির কাজে বাইরে গিয়েছিলেন। ফ্লাইট থেকে নেমে সোজা চলে এলেন রংমহলে। এদিকে, আমি তো জানি জহরদা স্ক্রিপ্ট ছাড়াও নানা কথা বলেন, অঙ্গভঙ্গি করেন। সত্যদা, হরিধনদা (বন্দ্যোপাধ্যায়) ভাবছেন শেষরক্ষা হবে কিনা! চরিত্রটা ছোট্ট হওয়ায় মোটামুটি উতরে গিয়েছিলাম সেই যাত্রা।’ তবে, আভ্যন্তরীণ কারণে ‘নহবত’ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীকালে দক্ষিণ কলকাতার তপন থিয়েটারে সাতের দশকে এই নাটক পুনরায় মঞ্চস্থ হয় এবং দীর্ঘ সাফল্যের সঙ্গে চলে।
‘অনন্যা’ নাটকের সেই দৃশ্যটার কথা এখনও উজ্জ্বল ধীমান চক্রবর্তীর মনে। বলছিলেন, নাটকে যাঁরা টর্চ জ্বেলে আসন দেখিয়ে দিতেন দর্শকদের, তাঁরা তিন-চারটি শো-এর পর সাধারণত নাটক শুরু হয়ে গেলে বাইরে বসেই আড্ডা দিতেন। কিন্তু ‘অনন্যা’র ওই দৃশ্যটার সময় যে যেখানে থাকুন না কেন হলে ফিরে এসে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতেন। কারণ জহরদা একেক দিন একেক কথা বলতেন। আর কোনদিন ঠিক কী হবে তা কেউ আন্দাজ করতে পারতেন না। নিজের মতো সংলাপ বলতেন জহরদা ঠিকই, কিন্তু ‘কিউ’টা সঠিক জায়গায় দিতেন। ফলে সহশিল্পী কোনও রকম অসুবিধায় পড়তেন না। উনি ইচ্ছে করে মজা করলে অবশ্য আলাদা।’
একমাত্রিক কমেডি নয়, নাট্যমঞ্চে জহর রায়ের বৈচিত্র্যপূর্ণ বহুমাত্রিক অভিনয় ছবির তুলনায় একটু বেশিই দেখা গিয়েছে। ছবির পাশাপাশি থিয়েটারের সঙ্গেও তাঁর ছিল আমৃত্যু সম্পর্ক। যেখানে তিনি শুধু একজন অভিনেতা ছিলেন না, তার সঙ্গে সাংগঠনিক ব্যক্তিত্ব, প্রযোজনা, পরিচালনা ও আরও অনেক দায়িত্ব একা হাতে সামলাতেন। ১৯৫৪ সালে বন্ধু অজিত চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে জহরের রংমহলে পদার্পণ। সেই থেকে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এই প্রেক্ষাগৃহের সঙ্গে সম্পর্কচ্যুত হননি কোনওদিন। ’৫৪ সালেই জিতেন বসু ও পি ভি মানসাটা এই প্রেক্ষাগৃহের কর্তৃত্ব নিলেন। পরিচালক হিসাবে এলেন দুই ভাই— নলিন ও হেমন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন করে রংমহলের শ্রীবৃদ্ধি হল। সে বছর ‘দূরভাষিণী’ নাটকে প্রথম পেশাদার মঞ্চে পা রাখলেন জহর। তারপর আর পিছন ফিরে তাকাননি। প্রায় সব নাটকেই চলল তাঁর কুশলী অভিনয়।
’৬২ সালে এই প্রেক্ষাগৃহ একটা অদ্ভুত সংকটের মধ্যে পড়ল। কর্তৃপক্ষ রংমহলকে সিনেমাহলে পরিণত করার চেষ্টা শুরু করল। তখন জহর রায়ের অন্যদিক উন্মোচিত হল। যাতে হলটি থিয়েটার হলই থাকে সেই বিষয়ে সাহায্য চাইতে নাট্যসম্রাজ্ঞী সরযূবালাদেবী ও বন্ধু অজিত চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে ডঃ প্রতাপচন্দ্র চন্দ্রের সহায়তায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের দ্বারস্থ হলেন জহর। অবশেষে দীর্ঘ আন্দোলনের জেরে ও বিধান রায়ের মধ্যস্থতায় স্থির হয়, রংমহলের পরিচালন ভার শিল্পীদের উপরই থাকবে। সেই মতো হলটি চালানোর যৌথ দায়িত্ব নেন সরযূবালাদেবী ও জহর রায়। তাঁদের নামে কলকাতা পুরসভা থেকে লাইসেন্স বের করা হয়। নাট্য পরিচালনার ভার থাকে বন্দ্যোপাধ্যায় ভাইদের উপরেই। রংমহল চালানোর দায়িত্ব জীবনের অন্তিম দিন পর্যন্ত সরযূবালাদেবীর সঙ্গে পালন করে গিয়েছিলেন জহর রায়।
সুশীল মুখোপাধ্যায় এক জায়গায় লিখেছেন, ১৯৬১ সালে তাঁর ‘অনর্থ’ নাটকে খলনায়কের চরিত্রে কী অভিনয়টাই না করেছিলেন জহর। গোড়ায় তিনি মঞ্চে প্রবেশ করলেই দর্শক হাসতে শুরু করত। পরে তারা বুঝে যায়, এ অন্য জহর। তৃতীয় দৃশ্যে ভিলেনি যখন চূড়ান্ত পর্যায় পৌঁছয়, তার সমতুল্য অভিনয় সে সময়ের মঞ্চে হয়নি।
টালিগঞ্জে সকলেই জানত কারও সঙ্গে ঝঞ্ঝাটে নেই জহর রায়। অথচ, রংমহল বন্ধ হতে বসায় সেই জহরই যখন রুখে দাঁড়ালেন, তখন সকলেই অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। বহু অভিনেতা-অভিনেত্রীকে রঙ্গমঞ্চে নিয়ে এসেছিলেন তিনি। নায়িকা আরতি ভট্টাচার্যের কথা তো আগেই বলা হয়েছে। ছ’য়ের দশকে জহরের হাত ধরে ‘মায়ামৃগ’ নাটকে অভিনয়ে আসেন বিশ্বজিৎ। পরবর্তীকালে নীহাররঞ্জন গুপ্তর লেখা ‘উল্কা’ নাটকটি জহরের পরিচালনায় বহুদিন মঞ্চস্থ হয়। এছাড়াও ‘বাবা বদল’, ‘সুবর্ণ গোলক’ সহ একাধিক নাটকে তাঁর অভিনয় অমর হয়ে আছে।
(ক্রমশ)
 সন্তানদের সঙ্গে জহর রায়।
অলঙ্করণ: বিশ্বনাথ ঘোষ
10th  May, 2020
স্বপ্নসঙ্গী 

উদয়চাঁদ বন্দ্যোপাধ্যায়: ট্রেনটা প্রায় আড়াই ঘণ্টা দেরি করে ঢুকল গোমো স্টেশনে। বাতানুকূল কামরা থেকে নেমে আসে তন্বী পিয়ালি। ভিড় এড়িয়ে, সঙ্গের চাকা লাগানো ব্যাগটা নিয়ে একটু সরে এসে, উদ্বিগ্ন চোখে দু’দিকে তাকায়। একটা সাধারণ পোশাক পরা যুবক পিয়ালির সামনে এসে বলে, আপনি মুখার্জি স্যারের ফরেস্ট বাংলোয় যাবেন তো?
পিয়ালি ভ্রু কুঁচকে বলে, কে তুমি?  বিশদ

31st  May, 2020
আজও তারা জ্বলে
তুলসী চক্রবর্তী

পথে চলতে চলতে বহু মানুষের সঙ্গে আলাপ হয়েছে তুলসীর। বহু পেশার মানুষ দেখেছেন। তাই যে কোনও চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে অভিজ্ঞতার ঝাঁপি উপুড় করে দিতেন। নিজের দেখা মানুষের ছাঁচে ফেলে গড়ে তুলতেন চরিত্রটি। তাই তাঁর অভিনয় ওরকম স্বাভাবিক মনে হতো।
বিশদ

31st  May, 2020
ভৈরবী মা
সঙ্গীতা দাশগুপ্ত রায়

 ‘নিজে রান্নাবান্না পারেন?’ ‘নাহ, একদম আনাড়ি,’ অর্জুন হাসে। ‘তবে তো এ ব্যবস্থাই বেশ। ওনার ফেরার কোনও ঠিক থাকে না। আপনাকে ন’টায় খেতে দেব তো? আর হ্যাঁ, কোনও অসুবিধা হলে বউদি বলে ডাক দেবেন ভাই।’ একটু আন্তরিকতা ছুঁইয়ে দিয়ে যান মহিলা। বিশদ

24th  May, 2020
আজও তারা জ্বলে
তুলসী চক্রবর্তী

‘ওরে, আমি হলাম গিয়ে হেঁশেলবাড়ির হলুদ। ঝালে-ঝোলে-অম্বলে সবেতেই আছি। হাসতে বললে হাসব, কাঁদতে বললে কাঁদব, নাচতে বললে নাচব, দু’কলি গান গেয়ে দিতে বললে তাও পারব। হলুদ যেমন সব ব্যঞ্জনেই লাগে তেমনই আর কী! কিন্তু হলুদের কি নিজস্ব কোনও স্বাদ আছে? তাই আমার এই অভিনয়কে আমি অভিনয় বলি না গো!
বিশদ

24th  May, 2020
অথৈ সাগর
পর্ব ২৫

চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। বিশদ

24th  May, 2020
আজও তারা জ্বলে 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ জহর রায়- শেষ কিস্তি। 
বিশদ

17th  May, 2020
অথৈ সাগর 
বারিদবরণ ঘোষ

চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। 
বিশদ

17th  May, 2020
ঠুলি 

শুচিস্মিতা দেব: বসন্তের সকাল। আলো-ছায়া মাখা গাছেদের কচি পাতায় সবুজাভা। দোতলার বারান্দা থেকে পাতার আড়ালে লুকিয়ে থাকা অবশিষ্ট দু’চার পিস করবীফুল, ডাল টেনে টেনে সফলভাবে পেড়ে ফেলে নিজের কৃতিত্বে বেশ ডগমগ হয়ে উঠলেন নীপা।  
বিশদ

17th  May, 2020
অথৈ সাগর 

চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। 
বিশদ

10th  May, 2020
সুখ চাই 
চিরঞ্জয় চক্রবর্তী 

সুমন আর ভারতীর বিয়ের আজ সাতান্ন বছর পূর্তি। যখন বিয়ে হয়েছিল সুমনের বয়স সাতাশ, ভারতী তেইশ। দেখতে দেখতে ভারতীর আশি, স্বামী-স্ত্রী দুজনেই দীর্ঘদিন সরকারি ভাষায় বরিষ্ঠ নাগরিক।  
বিশদ

10th  May, 2020
আজও তারা জ্বলে
পর্ব-২২ 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ জহর রায়- একাদশ কিস্তি। 
বিশদ

03rd  May, 2020
জিরাফের গলা 

রজত ঘোষ: দু’দিন হল পঞ্চায়েত ভোটের রেজাল্ট বেরিয়েছে। আজ একটু পরে তাই বিজয় মিছিল বের করবে বিজয়ী দল। টেবিলের মাঝখানে দিস্তাখানেক লিফলেট। তার ওপর একটা পেপার ওয়েট। রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে গণেশ এতক্ষণ আঙুলের কায়দায় পেপারওয়েটটাকে ঘোরাচ্ছিল।  
বিশদ

03rd  May, 2020
অথৈ সাগর 

চলতি বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। সেই উপলক্ষে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। 
বিশদ

03rd  May, 2020
মাছভাজা
শ্যামলী আচার্য

হিতেন্দ্রনাথ সান্যালের কথা শেষ হল না। হয় না। ওঁর সাতচল্লিশ বছরের প্রাচীন জীবনসঙ্গিনী আজ অবধি কোনও বাক্যে সমাপিকা ক্রিয়া ব্যবহার করতে দেননি। একজন সিনিয়র সিটিজেনের বুকে ব্যথার সামান্য আভাসও তাঁকে বিচলিত করল বলে মনে হল না।
বিশদ

26th  April, 2020
একনজরে
 রূপঞ্জনা দত্ত, লন্ডন, ৩ জুন: করোনায় মৃত্যু এবং আক্রান্তের নিরিখে ব্রিটেনে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন ব্ল্যাক অ্যান্ড এথনিক মাইনরিটি (বিএএম‌ই) গোষ্ঠীর মানুষ। এ ব্যাপারে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড (পিএইচ‌ই)। ...

নয়াদিল্লি, ৩ জুন: চোটের কারণে দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে হার্দিক পান্ডিয়া। ভারতী দলের এই তারকা অলরাউন্ডারটিকে শেষবার টিম ইন্ডিয়ার জার্সি পরে খেলতে দেখা গিয়েছিল ২০১৮ সালে। ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: করোনায় মৃত্যুহারে দেশে শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে গুজরাত। কেন্দ্রীয় সরকারের এই তথ্য সামনে আসার পর ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, এটা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচকদের জন্য যোগ্য জবাব। রবিবার রাজ্যে মোট কোভিড পরীক্ষা দু’লক্ষ পার করেছে। ...

সংবাদদাতা, মাথাভাঙা: কোচবিহার জেলার মাথাভাঙা মহকুমার নিশিগঞ্জের মাঘপালা সহ কোচবিহার-১ ব্লকের চান্দামারি এলাকায় ব্যাপক গাঁজা চাষ হয়। এখানকার গাঁজা চাষের কথা জেলা সহ রাজ্যের নজরেও রয়েছে। বিগত বছরগুলিতে হাজার হাজার বিঘা গাঁজা গাছ নষ্ট করেছে পুলিস। তারপরও এসব এলাকায় চাষ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীদের উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। ব্যবসাতে যুক্ত ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৩২: শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃতের রচনাকার মহেন্দ্রনাথ গুপ্তের (শ্রীম) মৃত্যু
১৯৩৬: অভিনেত্রী নূতনের জন্ম
১৯৫৯: শিল্পপতি অনিল আম্বানির জন্ম
১৯৭৪: অভিনেতা অহীন্দ্র চৌধুরির মৃত্যু
১৯৭৫ - মার্কিন অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলির জন্ম
১৯৮৫: জার্মান ফুটবলার লুকাস পোডোলোস্কির জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.২৯ টাকা ৭৬.০১ টাকা
পাউন্ড ৯২.৯৪ টাকা ৯৬.২৩ টাকা
ইউরো ৮২.৬৮ টাকা ৮৫.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,৮৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,৭৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪০,৩৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  March, 2020

দিন পঞ্জিকা

২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ৪ জুন ২০২০, বৃহস্পতিবার, ত্রয়োদশী ২/৫৮ প্রাতঃ ৬/৭ পরে চর্তুদশী ৫৫/৫২ রাত্রি ৩/১৬। বিশাখা নক্ষত্র ৩৪/১৩ রাত্রি ৬/৩৭। সূর্যোদয় ৪/৫৫/১৬, সূর্যাস্ত ৬/১৪/৯। অমৃতযোগ দিবা ৩/৩৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৫৭ গতে ৯/৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৬ গতে ২/৪ মধ্যে পুনঃ ৩/২৯ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/৫৪ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৫ গতে ১২/৫৫ মধ্যে।
২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ৪ জুন ২০২০, বৃহস্পতিবার, ত্রয়োদশী প্রাতঃ ৫/১ পরে চর্তুদশী রাত্রি ২/৫৩। বিশাখানক্ষত্র সন্ধ্যা ৬/২২। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১৬। অমৃতযোগ দিবা ৩/৪১ গতে ৬/১৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৫ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১২/০ গতে ২/৬ মধ্যে ও ৩/৩০ গতে ৪/৫৬ মধ্যে। কালবেলা ২/৫৬ গতে ৬/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৬ গতে ১২/৫৬ মধ্যে।
১১ শওয়াল

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বৃষ: শেয়ার-ফাটকায় বিনিয়োগ করা যেতে পারে। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৯৩২: শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃতের রচনাকার মহেন্দ্রনাথ গুপ্তের (শ্রীম) মৃত্যু১৯৩৬: অভিনেত্রী নূতনের ...বিশদ

07:03:20 PM

রাজ্যে করোনায় মৃত্যু ২৮৩
রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৬৮ জনের শরীরে মিলল করোনা ...বিশদ

07:02:37 PM

তামিলনাড়ুতে একদিনে করোনা আক্রান্ত ১,৩৭৩, মৃত ১২ 
তামিলনাড়ুতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১,৩৭৩ জন। মৃত্যু ...বিশদ

07:01:52 PM

কর্ণাটকে একদিনে করোনা আক্রান্ত ২৫৭, মৃত ৪ 
কর্ণাটকে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু ...বিশদ

06:51:26 PM

বাংলাদেশে একদিনে করোনা আক্রান্ত ২,৪২৩, মৃত ৩৫
গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ২,৪২৩ জন। ফলে ...বিশদ

06:04:57 PM