Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

উমা থেকে দুর্গা

বিভূতিভূষণের সেই দুর্গা বইয়ের পাতা থেকে উঠে এল সত্যজিতের ছবিতে। সারা জীবনে একটি ছবিতে অভিনয় করে ইতিহাস হয়ে আছেন। কিন্তু নতুন প্রজন্ম মনে রাখেনি তাঁকে। ১৮ নভেম্বর নিঃশব্দে চলে গেলেন তিনি। ‘পথের পাঁচালী’-র দুর্গা, উমা দাশগুপ্তকে নিয়ে লিখেছেন সুখেন বিশ্বাস।

‘ছবি তুলবেন না প্লিজ!’
প্রথম সাক্ষাতেই এমন শর্ত দিয়েছিলেন ‘পথের পাঁচালী’-র দুর্গা, উমা দাশগুপ্ত। নাছোড়বান্দা হয়ে একাধিকবার অনুরোধ করায় শেষে নিমরাজি হন। বলেছিলেন, ‘আসলে দর্শকরা পথের পাঁচালীর দুর্গার ছবিই ভালোবাসে, আমার ছবি নয়। আমি তো উমা সেন।’ কথাগুলি অনেকটা সুচিত্রা সেনের মতোই শোনাল। আসলে শেষের কয়েকটি বছর একাকী, নিভৃতে কাটিয়েছেন উমা। কারও সঙ্গে বিশেষ দেখা করেননি।
৯৫, সাদার্ন অ্যাভিনিউ। এই আবাসনে একসময় থাকতেন উমা দাশগুপ্ত (সেন)। কতবার গিয়েছি ওঁর ফ্ল্যাটে। মুখোমুখি বসেছি, কথা বলেছি। প্রতিবারই মনে হয়েছে, এই সেই দুর্গা—যে অপুকে সঙ্গে নিয়ে সাদা কাশবনের মধ্যে দিয়ে ছুটে গিয়েছিল রেলগাড়ি দেখতে! সাদাকালো সেই ছবিটা আজও ভাস্বর আম বাঙালির মনে। ‘পথের পাঁচালী সিনেমার ৫০ বছরে আমার মনে হয়েছিল অপু-দুর্গার আবেদন যুগ-যুগ ধরে অম্লান।’—২০০৫ সালে টেলিফোনে জানিয়েছিলেন উমা।
বাবা পল্টু দাশগুপ্ত মোহন বাগানে ফুটবল খেলতেন। উপার্জন ছিল সামান্যই। তবু ছবিতে অভিনয় করার জন্য একটি টাকাও পারিশ্রমিক নেননি উমা। বাবার কড়া নিষেধ ছিল। বদলে সত্যজিৎ রায় দিয়েছিলেন একসেট রবীন্দ্র রচনাবলী। সঙ্গে আরও কিছু উপহার, প্রশংসা আর ভালোবাসা। উমার অভিনয়ে হাতেখড়ি নাটকে, স্কুলবেলায়। তা বলে মোহন বাগানের নামী ফুটবলার পল্টু দাশগুপ্তের মেয়ে সেলুলয়েডে অভিনয় করবে! প্রথমে মেনে নিতে পারেননি অভিভাবকরা। তাই অনুমতিও দেননি। পরে মত বদলান বেশ কয়েকটি কারণে। প্রথমত, উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর পৌত্র, সুকুমার রায়ের পুত্রের প্রথম কাজ। দ্বিতীয়ত, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গল্প।
শ্যুটিং পর্বেই সত্যজিৎ রায় উপলব্ধি করেছিলেন, এই মেয়ের অভিনয় প্রতিভা সহজাত। দুর্গার নিষ্পাপ দৃষ্টি, কোমল মুখে সুখ-দুঃখ মিশ্রিত অভিব্যক্তি ছুঁয়ে যায় দর্শকহৃদয়। ‘পথের পাঁচালী’-র যখন শ্যুটিং শুরু হয়, তখন উমা কলকাতার বেলতলা গার্লস হাইস্কুলে ক্লাস এইটের ছাত্রী। ছবিটি মুক্তির সময় অবশ্য তিনি স্কুল ফাইনাল দিয়েছেন। পড়াশোনা শেষে বেছে নেন শিক্ষকতার পেশা, যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রাথমিক বিভাগে। ২০০০ সালে অবসরের পর আমৃত্যু ডুবে ছিলেন সাহিত্যচর্চায়। বিশেষ করে কবিতা, প্রবন্ধ, ছোটগল্প রচনায়।
‘পথের পাঁচালী’ ছবিটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলেও উমা বিশেষ কোনও সরকারি স্বীকৃতি পাননি। কিন্তু বিদেশি পত্রপত্রিকা তাঁকে নিয়ে ছিল উচ্ছ্বসিত। এও লেখা হয়েছিল— ‘Seventeen US magazine have listed Uma Das Gupta the 13 year old handsome Durga of the film as one of the teenagers of the year.’ এর কৃতিত্ব যে পুরোটাই সত্যজিৎ রায়ের, সেকথা উমা নিজে স্বীকার করেছেন। 
উমার মৃত্যুর খবরে তাই হতবাক করে তোলে সত্যজিৎ-পুত্র সন্দীপ রায়কে। ডুব দিয়েছিলেন স্মৃতিতে, ‘পথের পাঁচালী-র যে দু’জন শিল্পী বেঁচে ছিলেন, তাঁদের মধ্যে আর একজনই রইলেন। এক এক করে সবাই চলে যাচ্ছেন। ওঁর সঙ্গে শেষ কবে দেখা হয়েছে, ঠিক মনে নেই। শুধু খবর পাচ্ছিলাম, মাঝে মাঝে ওঁর শরীরটা খারাপ যাচ্ছে। তাছাড়া উনি সকলের থেকে দূরে থাকতেই ভালোবাসতেন।’ কথায় কথায় সত্যজিৎ রায়ের প্রসঙ্গও উঠে আসে সন্দীপের গলায়—‘পথের পাঁচালী শ্যুটিংয়ের সময় আমার বয়স ছিল দু’বছর। পরে বাবা বলেছিল, ওর সঙ্গে কাজ করে খুবই আনন্দ পেয়েছি। আমাকে বিশেষ কিছু বলতেই হয়নি। উমা সবই নিজের থেকেই করেছে। খুবই বুদ্ধিমতী মেয়ে। সব ঠিকঠাকভাবে, সাবলীলভাবে করেছে। আমার ভীষণ পছন্দের একজন।’
উমা দাশগুপ্তের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছিলেন অভিনেতা চিরঞ্জিৎ। দু’জনে একই আবাসনে থাকতেন। চিরঞ্জিৎ ফিফ্থ ফ্লোর আর উমা নাইন্‌থ ফ্লোরে। স্মৃতিচারণে কিছুটা নস্টালজিক চিরঞ্জিৎ, ‘আগে একবার তিনি ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেবারে ফিরে এসেছিলেন। এবার আর লড়তে পারলেন না। ওঁর সঙ্গে সঙ্গে একটা যুগ চলে গেল। একই আবাসনে থাকার সুবাদে মাঝেমধ্যে দেখা হতো। কখনও লিফ্টে, কখনও বা আবাসনের দুর্গাপুজোয়। মুখে একটা মিষ্টি হাসি থাকত সবসময়। একবার দুর্গাপুজোয় আমার সঙ্গে ধুনুচি নাচও নেচেছিলেন। দেবী দুর্গার সামনে দুর্গার নাচ!’ চিরঞ্জিতের স্মৃতির পাতাতেও উমা আদ্যন্ত প্রচারবিমুখ একজন মানুষ। ‘পথের পাঁচালী’-তে দুর্গাকে তিনি যতবার দেখেছেন, একই আবাসনে থেকেও ততবার দেখা পাননি উমার। জানালেন, দুর্গার কিছু ফটোগ্রাফ আজীবন আগলে রেখেছিলেন। ফ্ল্যাটের ভিতরে ঢুকলে তবেই দেখা যেতে সেগুলি। অভিনেতার মুখে শোনা গেল আরও গল্প—‘শুনেছি ‘পথের পাঁচালী’ রিলিজের পর উনি বাবার সঙ্গে একবার বিয়েবাড়ি বা কোথাও একটা গিয়েছিলেন। সেখানে সবাই পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিলেন—‘এই দুর্গা, উনি ওঁর বাবা।’ তখন ওঁর বাবা বলে ওঠেন, ‘আসলে হইচে না। আমি কই, সেটা হইচে আমি পল্টু দাশগুপ্ত। ও আমার মেয়ে।’ মানে উল্টোদিক থেকে বলতে হবে। মেয়ের পরিচয়ে বাবা পরিচিত হতে চাইতেন না। বোঝা যায়, কতটা রক্ষণশীল ছিলেন তাঁরা। তাই মেয়েকে আর কোনও ছবিতে অভিনয় করতে দেননি।’
২০২১ সাল ছিল সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষ। বিশ্ব সিনেমায় এখনও এক থেকে দশের মধ্যে গণ্য হয় তাঁর প্রথম সৃষ্টি ‘পথের পাঁচালী’। কিন্তু ছবি মুক্তির পর মুম্বই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই ভ্রূ কুঁচকেছিলেন। বিশেষ করে সাংসদ অভিনেত্রী নার্গিস দত্ত। রাজ্যসভায় বলা তাঁর কথাগুলি ছিল অনেকটা এইরকম—দেশের দারিদ্র বিক্রি করে বিদেশ থেকে পয়সা আনা হচ্ছে। বিদেশে এই ছবির প্রদর্শন এখনই বন্ধ হওয়া উচিত। দারিদ্রের এমন করুণ রূপ বিদেশিদের না দেখালেও চলে ইত্যাদি। উমার পাল্টা যুক্তি ছিল, ‘এই ছবিতে দারিদ্রই শেষ কথা নয়। প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হয়ে, সংগ্রাম করে মানুষের বেঁচে থাকার ছবি ‘পথের পাঁচালী’। মানিকদা ছবি করার সময় প্রকৃতির সঙ্গে মানবজীবনের রূঢ় বাস্তবতাকে মিলিয়ে দিয়েছেন। ছবিতে অপু-দুর্গার খুনশুটি, এ যেন স্নেহ-ভালোবাসায় ভাইবোনের চিরন্তন বন্ধন। ছবিতে আমি আর সুবীর অপু-দুর্গার চরিত্রে অভিনয় করলেও আসল কাজটা করেছিলেন মানিকদাই। এ কথা নির্দ্বিধায় বলতে পারি, মানিকদা ওয়াজ আ মাস্টার অব ইন্ডিয়ান ফিল্মস।’
সহকারী আশিস বর্মনের মাধ্যমে উমার খোঁজ পান সত্যজিৎ রায়। বিজয়া রায় ‘আমাদের কথা’ বইয়ে লিখেছেন, ‘আমি ওকে সাজাতে সাজাতে বুঝতে পারলাম, এত ভালো দুর্গা আর পাওয়া যাবে না। বড় সুন্দর চোখ, নাক আর ঠোঁট। তাছাড়া চেহারাও বেশ বুদ্ধিদীপ্ত। ঠিকমতো সাজিয়ে যখন বসবার ঘরে নিয়ে গেলাম, মানিক হাততালি দিয়ে বলে উঠলেন, ‘এই তো দুর্গা’!’ ‘পথের পাঁচালী’ উপন্যাসের প্রথম খসড়ায় কিন্তু দুর্গা ছিল না। ছিল শুধুই অপু। একদিন ভাগলপুরে একটি মেয়েকে দেখতে পেয়ে বিভূতিভূষণের মনে হয়েছিল এই মেয়েকে উপন্যাসে না আনলে চলবে না। ‘পথের পাঁচালী’ আবার নতুন করে লিখলেন তিনি। বিভূতিভূষণের সেই দুর্গা বইয়ের পাতা থেকে উঠে আসে সিনেমার পর্দায়, উমার হাত ধরে।
সারাজীবনে একটিমাত্র ছবিতেই অভিনয় করেছেন উমা। সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাই। ডি. সিকার ‘বাইসাইকেল থিভস’-এর কিশোর ব্রুনো চরিত্রে এনজোর মতো ‘পথের পাঁচালী’-র সুবীর ও উমা বিখ্যাত হয়ে আছেন কার্যত একটি ছবিতে অভিনয় করেই। কথা প্রসঙ্গে সুবীর বলেছিলেন, ‘আমি সকলের মাঝে অপু হয়েই বেঁচে থাকতে চাই।’ সেভাবে উমাও দুর্গার ইমেজটা ধরে রাখতে চেয়েছেন আজীবন। ক্যামেরায় নিজের ছবি তুলতে দেননি। শেষ বয়সেও সেই জেদ বজায় ছিল।
একবার নানান কথার ফাঁকে উমা বলেছিলেন, ‘আজ পর্যন্ত যতবার ‘পথের পাঁচালী’ দেখেছি, ততবারই বিস্ময়ে মুগ্ধ হয়েছি। কলকাতায় থাকাকালীন কাগজে পড়েছিলাম সেই নিশ্চিন্দিপুর, সোনাডাঙার মাঠ দেখানো হচ্ছে নিউ ইয়র্কের ফিফথ অ্যাভিনিউতে। ডিসকাউন্টে বিক্রি করা হচ্ছে সিনেমার টিকিট। আসলে কিশোরী মনের মনস্তত্ত্ব পরিস্ফুটনে দুর্গা চিরন্তন। রানুর মতো তারও একদিন বিয়ে হবে। তাই তো সে ছুটে গিয়ে আর পাঁচটা মেয়ের মতো আয়নায় নিজের মুখ দেখেছে। টিপ পড়েছে কপালে, কাজল দিয়েছে চোখে, পুণ্যিপুকুর ব্রত পালন করেছে। কিন্তু কালবৈশাখী তাকে ডাক দিয়েছে প্রকৃতির সঙ্গে মিশে যাওয়ার। তাই ব্রতের ঘট ফেলে ভাইকে সঙ্গে নিয়ে দৌড়ে গিয়েছে আম কুড়োতে।’
কথা বলতে বলতে উমা বারবার স্মরণ করতেন সত্যজিৎ-বিজয়া রায়কে। প্রথম প্রথম ঘন ঘন যোগাযোগ থাকলেও বিয়ের পর সাংসারিক ব্যস্ততার কারণে রায়বাড়ির সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ কমে এসেছিল। ‘পথের পাঁচালী’ ছবির খুঁটিনাটি ছিল তাঁর মুখস্থ। নিজেই বলতেন, ‘টুনুর পুতির মালা চুরি যাওয়ার দৃশ্যে মানিকদা করুণাদিকে বলে দিয়েছিলেন, আমি ব্যথা পাব একথা না ভেবে তিনি যেন আমার চুল ধরে টেনে-হিঁচড়ে দরজার বাইরে বের করে দেন। ভাবুন তো সেই দৃশ্যটা একবার! প্রচণ্ড যন্ত্রণায় চুলের নীচে ঘাড়ের শিরাগুলো ফুলে গিয়েছিল। খুব ব্যথা পেয়েছিলাম। মারের শব্দে অপুর চোখের পাতা আচমকা নড়ে উঠেছিল।’
বৃষ্টিতে ভেজার দৃশ্য শ্যুটিংয়ের সময় ক্যামেরায় চোখ রেখে সত্যজিৎ দেখেছিলেন, অপু-দুর্গা ঠকঠক করে কাঁপছে। দুর্গা বিড়বিড় করে বলছে, ‘নেবুর পাতা করমচা, হে বৃষ্টি ধরে যা।’ শটের পর দুধের সঙ্গে ব্র্যান্ডি খাইয়েছিলেন দু’জনকে, শরীর গরম করাতে। সেই সব দিন উজ্জ্বল ছিল উমার মনে, কথায়—‘দিনের পর দিন বৃষ্টির আশায় আমরা প্লাস্টিকের শিটের নীচে বসে গল্পগুজব করতাম। কখনও বা মেঘের দিকে তাকিয়ে থাকতাম। অপুকে জড়িয়ে ধরে বৃষ্টিতে ভেজার সময়ে প্রাক-জ্বরের সিকোয়েন্সে কিছুতেই হাঁচি হচ্ছিল না। শেষে মানিকদার পরামর্শে বংশীবাবু আমার নাকে নস্যি দিয়ে হাঁচিয়ে ছিলেন।’ আর দুর্গার অশ্রুসজল মুখ? কিছুক্ষণ একটু আনমনা হয়ে থেকে উমা জবাব দিয়েছিলেন, ‘ইন্দির ঠাকুরুনের মৃত্যুর পর তার দাওয়ায় বসে দুর্গার নীরব কান্না—সেটাকে কিছুতেই ফোটাতে পারছিলাম না। সেই খামতি পরিচালক শুধরে দিয়েছিলেন নিজের মুন্সিয়ানায়। দুর্গার অশ্রুসজল মুখ আলো-আঁধারিতে ক্যামেরায় ধরে তৈরি করেছিলেন শোকের আবহ।’
মনোজ মিত্রের মতো উমা দাশগুপ্তকে নিয়েও একাধিকবার মৃত্যুর গুজব রটেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। হঠাৎই একদিন ফেসবুকে ভেসে উঠেছিল ওঁর মৃত্যুর খবর। ফোন করেছিলাম সেই পোস্টদাতা চলচ্চিত্র সাংবাদিককে। বলেছিলেন, ‘জেনুইন খবর। বিশ্বস্ত, নির্ভরযোগ্য সূত্রে পাওয়া।’ একটুও দেরি না করে মোবাইলে ধরলাম উমাকে। যথারীতি স্নেহমাখা গলায় জিজ্ঞাসা, ‘মৃত্যুর খবর?’ আমার ইতস্তত করা গলা বুঝতে পেরে নিজেই বললেন, ‘দুর্গারা চিরদিনই অবহেলিত। ছবিতেও অপুকে ঘিরে বাবা-মায়ের নানান স্বপ্ন দেখা গেছে। দুর্গা নয়, হরিহর বা সর্বজয়ার কাছে অপুরই আদর ছিল বেশি। জীবনে কিছুই না পাওয়ার বেদনায় দুর্গারা যেন আজও মর্মাহত। পড়াশোনাতে অপুর অধিকার, দুর্গার নয়। রেলগাড়ি দেখাতে অপুরই অধিকার, দুর্গার নয়। দুর্গার অধিকার শুধু রাঙি গাইয়ের বাছুর খোঁজায়, পুণ্যিপুকুরে ব্রত পালনে, অপুষ্টিজনিত রোগে, শেষে অকালমৃত্যুতে।’
মনে পড়ে গেল, কয়েক বছর আগে ‘পথের পাঁচালী’-র অপুর বলা কথাগুলি, ‘পথের পাঁচালীর প্রিমিয়ার শো-তে দিদির মৃত্যুর দৃশ্য দেখে কেঁদে ফেলেছিলাম।’ এখন কি সত্যি সত্যিই অপু কাঁদছেন, স্বজন হারানোর ব্যথায়? কারণ দুর্গার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল নিজের দিদির মতোই। শ্যুটিংয়ের বাইরেও চলত দিদি-ভাইয়ের খুনশুটি। সেই দুর্গার চলে যাওয়াতে স্বজন হারানোর মতোই দুঃখ পেয়েছেন সুবীরবাবু। দিদিকে হারিয়ে ভালো নেই তিনি। তার মধ্যেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন—‘বাঙালির এক সময়ের নস্টালজিয়া, সিনেমার অপু-দুর্গাকে ক’জন মনে রেখেছে? নতুন প্রজন্ম দুর্গার খোঁজ রাখেনি। কোনও টিভি চ্যানেলে, খবরের শিরোনামে কোথাও তেমনভাবে ঠাঁই পেল না দিদির মৃত্যুসংবাদ।’
‘পথের পাঁচালী’ ছবিতে বৃষ্টি ভিজে জ্বর হয়ে দুর্গার অকালমৃত্যু হয়। ছবির শেষে সত্যজিৎ দেখিয়েছেন, ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতে মা-বাবার সঙ্গে গরুর গাড়ি করে কাশীর উদ্দেশে রওনা দিচ্ছে অপু। বিভূতিভূষণের লেখায় আছে, নিশ্চিন্দিপুর থেকে ট্রেনে কাশী যাওয়ার পথে মাঝেরপাড়ায় ডিসট্যান্স সিগন্যালখানা মনে করিয়ে দেবে অযত্ন অবহেলায় মরে যাওয়া পাড়াগেঁয়ে মেয়ে দুর্গার কথা। তাঁর আর্তি, ‘অপু, সেরে উঠলে আমায় একদিন রেলগাড়ী দেখাবি?’ ছবিতে সর্বজয়া চুল বেঁধে দেওয়ার পরপরই দুর্গাকে জিজ্ঞাসা করেছে অপু, ‘একদিন (রেলগাড়ি দেখতে) যাবি?’ রেলগাড়ি দেখা হয়নি তার। তার আগেই নিশ্চিন্দিপুর, সোনাডাঙার মাঠ, সকলকে ছেড়ে চলে গেছে দুর্গা।
সুবীরের ইচ্ছা ছিল দিদিকে শেষবার স্বচক্ষে দেখার। শারীরিক অসুস্থতার কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। সন্ধ্যা থেকে অন্তিমযাত্রা দেখব বলে বসেছিলেন টিভির সামনে। এখনও আক্ষেপ করেন, ‘আশ্চর্য লাগল, একটা টিভি চ্যানেলও দেখাল না। নানারকম খুন-খারাপির খবরের মাঝখানে কেউ জানাল না একবারও, দুর্গা নেই!’
 লেখক কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক
 ছবি সৌজন্য: অনির্বাণ দে ও জয়দীপ দে
01st  December, 2024
সাধারণতন্ত্র  ৭৫

একমাস আগে, ২৫ জুন জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। ২২ জুলাই পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সামনে বসে থাকা বিরোধীদের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘আপনারা এতকাল আমাকে আক্রমণ করে বলতেন আমি নাকি ডিক্টেটর। স্বৈরাচারী। অথচ আমি মোটেই স্বৈরাচারী ছিলাম না।’ একটু থেমে তাকালেন  সকলের দিকে।
বিশদ

26th  January, 2025
মেহফিল-এ ডোভার লেন
সায়নদীপ ঘোষ

পাঁচের দশকের একদম শুরুর দিকের কথা। সিংহি পার্কের বিজয়া সম্মিলনি। নাটক, আধুনিক গান আর শাস্ত্রীয় সঙ্গীত মিলিয়ে তিনদিনের জমজমাট অনুষ্ঠান। দেখা গেল, শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রতি পাড়ার মানুষদের আগ্রহ সবথেকে বেশি। সই দেখে পাড়ার যুবকরা ঠিক করলেন, শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের বার্ষিক অনুষ্ঠান করতে হবে। বিশদ

19th  January, 2025
‘না’ বলার সুযোগ ছিল না
পণ্ডিত অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়

আটের দশকের কথা। ডোভার লেনে বাজাবেন উস্তাদ জাকির হুসেন। কিন্তু কোনও কারণে আসতে পারেননি উনি। এদিকে অনুষ্ঠানের মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি। তিন ঘণ্টা আগে বাড়িতে হাজির উদ্যোক্তারা। ‘না’ বলার কোনও সুযোগ ছিল না। গাড়ি করে নিয়ে গেলেন। বিশদ

19th  January, 2025
দার্জিলিংয়ে স্বামীজি

স্বাস্থ্য উদ্ধারের জন্য চারবার দার্জিলিং গিয়েছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। আতিথ্য নিয়েছিলেন মহেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বলেন ভিলা’য়, বর্ধমানরাজের প্রাসাদ ‘চন্দ্রকুঠী’তে। সেই ‘বলেন ভিলা’ আজ নিশ্চিহ্ন। কেমন আছে ‘চন্দ্রকুঠী’? খোঁজ নিলেন অনিরুদ্ধ সরকার  
বিশদ

12th  January, 2025
শীতের সার্কাস
কৌশিক মজুমদার

আমাদের দক্ষিণবঙ্গে শীত আসে দেরিতে, যায় তাড়াতাড়ি। জয়নগর থেকে মোয়া আসা শুরু হয়েছে। স্বর্ণচূড় ধানের খই দিয়ে তৈরি, উপরে একফালি বাদামি কিশমিশ। রোদের রং সোনা হয়েছে। সকালের রোদ বাড়তে বাড়তে পা ছুঁলেই মিষ্টি এক উত্তাপ। বিশদ

05th  January, 2025
বছর শেষে কোন পথে দেশ
সমৃদ্ধ দত্ত

‘তালা খুলে দাও!’ প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে বললেন অরুণ নেহরু। ১৯৮৬ সালের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ। শাহবানু মামলা নিয়ে হিন্দুরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। খোদ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা ও গুপ্তচর সংস্থাগুলি তেমনই রিপোর্ট দিচ্ছে। রাজীব গান্ধী উদ্বিগ্ন। তিনি বুঝতে পারছেন, ক্রমেই রাজনীতির মধ্যে হিন্দুত্ব প্রবেশ করছে। বিশদ

29th  December, 2024
আকাশ ছোঁয়ার শতবর্ষ

কলকাতা বিমানবন্দরের ১০০ বছর! গড়ের মাঠের এয়ারফিল্ড থেকে দমদমার মাঠে বিমানবন্দর গড়ে ওঠার কাহিনি রূপকথার মতো। সেই অজানা ইতিহাসের খোঁজে অনিরুদ্ধ সরকার
বিশদ

22nd  December, 2024
অজানা আতঙ্ক ডিজিটাল অ্যারেস্ট
সৌম্য নিয়োগী

পুলিস নেই, হাতকড়া নেই, গারদ নেই... স্রেফ ইন্টারনেট যুক্ত কম্পিউটার বা ট্যাবলেট নিদেনপক্ষে একটা স্মার্টফোন থাকলেই ব্যস— ইউ আর আন্ডার অ্যারেস্ট থুড়ি ডিজিটাল বিশদ

15th  December, 2024
আজমিরের দরবারে
সমৃদ্ধ দত্ত

 

আজমির দরগায় কি মহাদেবের মন্দির ছিল? আচমকা এমন এক প্রশ্ন ঘিরে তোলপাড় দেশ। যুক্তি, পাল্টা যুক্তির মধ্যেই ইতিহাসের পাতায় চোখ বোলাল ‘বর্তমান’ বিশদ

08th  December, 2024
পাগল হাওয়া
দেবজ্যোতি মিশ্র

কবি, গীতিকার, সুরকার, সঙ্গীতকার... কোনও বিশেষণই তাঁর জন্য যথেষ্ট নয়। তিনি সলিল চৌধুরী। শতাব্দী পেরিয়েও বাঙালি জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে তাঁর গান। জন্মশতবর্ষের সূচনায় ‘গুরুবন্দনা’য় কলম ধরলেন দেবজ্যোতি মিশ্র বিশদ

24th  November, 2024
হারানো বইয়ের খোঁজে

সন্দীপদা, মানে ‘কলকাতা লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্রের’ স্থাপক এবং লিটল ম্যাগাজিন সংগ্রাহক সন্দীপ দত্ত চলে গেছেন প্রায় দেড় বছর হল। বছর চারেক আগে খোলামেলা এক আড্ডায় সন্দীপদা বলেছিলেন, “৭২এ স্কটিশে বাংলা অনার্স পড়ার সময় আমি মাঝেমাঝেই ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে যেতাম। মে মাসের একটা ঘটনা। … দেখলাম বহু পত্রিকা একজায়গায় জড়ো করা আছে।
বিশদ

17th  November, 2024
ট্রাম্পের আমেরিকা
মৃণালকান্তি দাস

‘ইফ হি উইনস’, এই শিরোনামেই টাইম ম্যাগাজিন গত মে মাসে সংখ্যা প্রকাশ করেছিল। সেই সংখ্যায় সাংবাদিক এরিক কোর্টেলেসা জানিয়ে দিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে বহুযোজন এগিয়ে গিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশদ

10th  November, 2024
ভাইজানের বিপদ
সমৃদ্ধ দত্ত

এই গ্রুপটাকে সবাই একটু ভয় পায়। কলেজের মধ্যে এই চারজন সর্বদাই একসঙ্গে থাকে। পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটির ক্যান্টিনে চলে আসে দুপুর গড়াতেই। আর সেখানেই তাদের ঘোরাফেরা সবথেকে বেশি। হুড খোলা একটা মাহিন্দ্রা জিপ চালায় যে, তার আসল নাম বলকারান ব্রার। বিশদ

03rd  November, 2024
কাজীর কালীবন্দনা
সায়ন্তন মজুমদার

ভয়ে হোক বা ভক্তিতে, মা কালীর মধ্যে কিন্তু একটা ব্যাপার আছে। যে কারণে কেরেস্তানি কবিয়াল অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি সাহেবের লেখা পদেও ‘শ্যামা সর্বনাশী’কে পাওয়া যায়, শোনা যায় ‘জয় কালীর ডঙ্কা’। আবার ত্রিপুরার নারায়ণপুরের মৃজা হুসেন আলিকে জয় কালীর নামে যমকেও তাচ্ছিল্য করতে দেখি। বিশদ

27th  October, 2024
একনজরে
বাঁদরের ধাক্কায় ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হল দশম শ্রেণির ছাত্রীর। বিহারের সিওয়ান জেলার ঘটনা। মৃত কিশোরীর নাম প্রিয়া কুমারী।  ...

শিকল দিয়ে হাত-পা বাঁধা। বিমানে নেই জলের ব্যবস্থা। চলছিল না এসি। শুক্রবার এই অবস্থাতেই আমেরিকা থেকে দেশে ফেরত পাঠানো হল ব্রাজিলীয় অনুপ্রবেশকারীরা। ট্রাম্প প্রশাসনের এই নির্মম ব্যবহারের ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ...

এক মাসেরও বেশি সময় ধরে কোচবিহারে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব যেভাবে চলছে তাতে দলের নিচুতলার কর্মীরা বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছেন। রবীন্দ্রভবনে দলের বর্ধিত সভায় বর্ষীয়ান নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়কে না ডাকার অভিযোগ দিয়ে দলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছিল। ...

তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে  নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ‘জেলবন্দি’ পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে পিজি থেকে কোনও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হোক। তাঁর কৌঁসুলি বিপ্লব গোস্বামী এই ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

দীর্ঘদিনের আটকে থাকা  কর্মে সফলতা। ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগের প্রচেষ্টায় সফলতা। ভ্রমণ যোগ আছে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫৫৬: দ্বিতীয় মোঘল সম্রাট হুমায়ুনের মৃত্যু
১৮৩১: ঈশ্বরগুপ্তের সম্পাদনায় প্রথম বাংলা সাপ্তাহিক সংবাদ প্রভাকর প্রকাশিত
১৮৩৫: কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা
১৮৬৫: স্বাধীনতা সংগ্রামী পাঞ্জাব কেশরী লালা লাজপত রাইয়ের জন্ম
১৮৮২: কলকাতা-বোম্বাই টেলিফোন (দুরালাপনি) চালু হয়। কলকাতার প্রথম এক্সচেন্জ সেন্ট্রাল এক্সচেন্জ উদ্বোধন করেন ই বারিং
১৮৯৮: ভারতের মাটিতে পা রাখলেন ভগিনী নিবেদিতা
১৯১১: বিশিষ্ট নট ও নাট্যকার মহেন্দ্র গুপ্তর জন্ম
১৯২৫: সুরকার তথা সঙ্গীত পরিচালক নচিকেতা ঘোষের জন্ম
১৯২৫: বিজ্ঞানী রাজা রামান্নার জন্ম
১৯৩০: সঙ্গীতশিল্পী যশরাজের জন্ম
১৯৩৩: বলিউড অভিনেতা মনমোহনের জন্ম
১৯৩৭: সঙ্গীতশিল্পী সুমন কল্যাণপুরের জন্ম
১৯৮৬: অভিনেত্রী শ্রুতি হাসানের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৫৩ টাকা ৮৭.২৭ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৭৫ টাকা ১০৯.৪৯ টাকা
ইউরো ৮৮.৭৯ টাকা ৯২.১৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮০,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮০,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৬,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,০৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,১৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৪ মাঘ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি ২০২৫। চতুর্দ্দশী ৩৩/২০ রাত্রি ৭/৩৭। পূর্বষাঢ়া নক্ষত্র ৬/৩৫ দিবা ৮/৫৯। সূর্যোদয় ৬/২১/৯, সূর্যাস্ত ৫/১৮/৭। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩২ গতে ১০/৪৪ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৬ গতে ২/২৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৭ গতে ৪/৩৫ মধ্যে। রাত্রি ৬/১১ মধ্যে পুনঃ ৮/৪৮ গতে ১১/২৪ মধ্যে পুনঃ ২/০ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৩ গতে ৯/৫ মধ্যে পুনঃ ১/১২ গতে ২/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৫৬ গতে ৮/৩৪ মধ্যে।  
১৪ মাঘ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি ২০২৫। চতুর্দ্দশী রাত্রি ৭/৩১। পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্র দিবা ৯/১। সূর্যোদয় ৬/২৪, সূর্যাস্ত ৫/১৭। অমৃতযোগ দিবা ৮/২৫ গতে ১০/৪১ মধ্যে ও ১২/৫৭ গতে ২/২৮ মধ্যে ও ৩/১৩ গতে ৪/৪৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২০ মধ্যে ও ৮/৫২ গতে ১১/২৪ মধ্যে ও ১/৫৬ গতে ৩/৩৭ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৬ গতে ৯/৭ মধ্যে ও ১/১২ গতে ২/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৫৬ গতে ৮/৩৪ মধ্যে।  
২৭ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
তৃতীয় টি২০: ভারতের বিরুদ্ধে ২৬ রানে জয়ী ইংল্যান্ড

11:39:25 PM

তৃতীয় টি২০: ২ রানে আউট জুরেল, ভারত ১৪০/৯ (১৯.১ ওভার), টার্গেট ১৭২

10:24:00 PM

তৃতীয় টি২০: ৭ রানে আউট সামি, ভারত ১৪০/৮ (১৯ ওভার), টার্গেট ১৭২

10:23:00 PM

তৃতীয় টি২০: ৪০ রানে আউট হার্দিক, ভারত ১৩১/৭ (১৮.১ ওভার), টার্গেট ১৭২

10:19:00 PM

তৃতীয় টি২০: ৬ রানে আউট ওয়াশিংটন, ভারত ৮৫/৫ (১২.১ ওভার), টার্গেট ১৭২

09:48:00 PM

মুম্বইতে মাদকসহ পাকড়াও উগান্ডার ৩ নাগরিক

09:45:00 PM