Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

মলিন মানুষ
সন্দীপন বিশ্বাস

সারা বাড়ি আনন্দে গমগম করছে। আত্মীয়-স্বজনদের ভিড়ে যেন উৎসবের হাট বসেছে। বাড়ির একমাত্র ছেলে শুভদীপের বিয়ে। বিয়ের দিন সবাই সেজেগুজে প্রস্তুত। এখনই বর বেরবে। দেরি হয়ে যাচ্ছে। বাবা তাড়া দিচ্ছে শুভদীপকে। ‘তাড়াতাড়ি বেরো। এতটা পথ যেতে হবে। সময়মতো পৌঁছতে না পারলে সমস্যা হয়ে যাবে।’ 
শুভদীপ মাথায় টোপর চাপিয়ে মায়ের সামনে এসে দাঁড়াল। প্রণাম করে বলল, ‘মা তোমার জন্য দাসী আনতে যাচ্ছি।’ মা ছেলেকে আশীর্বাদ করে বলল, ‘ওকথা বলতে নেই বাবা। এখন তো আর সেই যুগ নেই। এখন তুই তোর জীবনসঙ্গিনী নিয়ে আয়, যে আমাদের এই সংসারে সকলের মধ্যে একজন হয়ে থাকবে।’ 
শুভদীপ বলল, ‘মা, তুমি তো সংস্কারহীন একজন মানুষ। আমাকে সেভাবেই বড় করেছো। তবু আমার বিয়েতে তুমি যেতে পারলে না? সেই সংস্কারের মধ্যেই নিজেকে আটকে রাখলে!’
মলিন মুখে মা হেসে বললেন, ‘কিছু কিছু সংস্কার সংসারের পক্ষে মঙ্গল বাবা।’ শুভদীপের বুঝতে বাকি রইল না, মায়ের মন সংস্কার মুক্ত হওয়ায় সংসারের বা সমাজের নানা বাধার নিষ্পেষণ তাঁকে সহ্য করতে হয়। এসব বাধা মা অক্লেশে মেনে নিতে পারেন। কিন্তু পরবর্তীকালে ছেলের বিয়েতে যাওয়ার জন্য হয়তো বাবার থেকেই সবচেয়ে কটু কথাটা শুনতে হবে মাকে। সুতরাং সংস্কারহীন হওয়া সত্ত্বেও অশান্তি এড়াতে ছেলের বিয়েতে গেলেন না মা। 
বাঙালিদের জীবনে এ এক অবাক করা সংস্কার! মা ছেলেকে গর্ভে ধারণ করে, তাকে মানুষ করে। কিন্তু সেই সন্তানের জীবনের সবথেকে আনন্দের দিনে মা উপস্থিত থাকতে পারে না। এ এক অত্যন্ত নিষ্ঠুর প্রথা। মাতৃত্বের পক্ষে সবথেকে অবমাননাকর একটা কুসংস্কার। কিন্তু সন্তানের কল্যাণ কামনায় মাকে এই সংস্কার মানতেই হয়। কেন? সংস্কারের প্রথম শর্তটাই হল, ছেলের বিয়েতে মা উপস্থিত থাকলে নাকি ছেলের অমঙ্গল হয়। কী অন্ধ এবং মধ্যযুগীয় একটা রুচিহীন সংস্কার! আচ্ছা, মেয়ের বিয়েতে তাহলে মা উপস্থিত থাকলে কোনও দোষ থাকে না কেন?
আসলে আমাদের কুসংস্কারগুলো সবই অন্ধ। শিক্ষা বা যুক্তি দিয়ে তার বিচার চলে না। সেই মধ্যযুগীয় কুসংস্কার আজও আমাদের শিক্ষিত মনের অন্ধকার স্তর দিয়ে বয়ে চলেছে। এর পিছনে রয়েছে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের ভাবনা এবং ব্রাহ্মণ্যবাদের আধিপত্য।
আমাদের পঞ্জিকা অনুযায়ী মলমাস পালন করা হয়। বলা হয়, মলমাসে কোনও শুভ কাজ করতে নেই। তাতে দোষ লাগে। সম্ভবত সেই একই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সমাজে মেয়েদেরও কিছু কিছু শুভ কাজে তাদের ‘অশুচি’ বলে চিহ্নিত করে দেওয়া হয়। বিশেষ করে বিধবা এবং ঋতুমতী মহিলারাই বাঁধা পড়ে যান ভিত্তিহীন নিয়মতন্ত্রের নানা নিগড়ে। সংসারে থেকেও তাঁরা থাকেন মলিন মানুষ হয়েই।
রাখি পূর্ণিমার আগে থেকে কিশোরী শকুন্তলার খুব আনন্দ। ভাইয়ের হাতে রাখি বেঁধে দেবে। স্কুলের পয়সা জমিয়ে সে ভাইয়ের জন্য একটা সুন্দর গিফ্ট কিনে সেটা লুকিয়ে রেখেছে। ভাইকে সারপ্রাইজ দেবে। কিন্তু শকুন্তলা ভাইয়ের হাতে রাখি বেঁধে দিতে পারল না। মা বলল, ‘আর হবে না। শরীর খারাপ নিয়ে ভাইয়ের হাতে রাখি বাঁধার মতো শুভ কাজ করা যায় না।’ কিশোরী শকুন্তলা কথাটা শুনেই ভেঙে পড়ল। ভাসল চোখের জলে।
প্রতি মুহূর্তে এমনই অসংখ্য ‘অশুচি’ মেয়ে আমাদের সমাজে অপমানিত হচ্ছে। প্রাচীন যুগ থেকেই তা চলে আসছে। নারীকে এক পণ্য হিসাবে দেখা হতো। তাই মহাভারতে যুধিষ্ঠির দ্রৌপদীকে বাজি ধরতে পারেন। বাজিতে হেরে যাওয়ার পর রজঃস্বলা দ্রৌপদীকে সভার মাঝে অপমানিত করলেও বিদ্বজ্জনরা তার প্রতিবাদ করেননি। কেউ কেউ নারীত্বের এই অপমান উপভোগও করেছিলেন। সেই লাঞ্ছনার সময় মহাভারতের বীরগণ দ্রৌপদীকে ‘অশুচি’ ভাবেননি। বিভিন্ন শাস্ত্রকার, বেদভাষ্য, মনু মেয়েদের নানাভাবে পিছন থেকে টেনে ধরতে চেয়েছেন। আসলে সমস্ত নিয়মতন্ত্রের মধ্যে রয়েছে পুরুষের পেশিশক্তির প্রকাশ এবং আধিপত্যবাদের চেষ্টা। 
কেরলের কনকদুর্গা নামের মেয়েটা এক সময় সংবাদপত্রের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন। সাধারণ এই মেয়েটি দীর্ঘদিনের এক সংস্কার ও নারীত্বের অবমাননা দূর করতে প্রয়াসী হয়েছিলেন। কেরলের শবরীমালা মন্দিরে ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সি মেয়েদের প্রবেশ নিষেধ। সুপ্রিম কোর্ট মেয়েদের প্রবেশাধিকারের পক্ষে রায় দিলেও মন্দিরের পুরোহিত এবং অসংখ্য ভক্ত তা মেনে নিতে পারেননি। কিন্তু কনকদুর্গা এবং বিন্দু আম্মিনি পুলিসের প্রহরায় মন্দিরে প্রবেশ করেন। তাই নিয়ে রাজ্যে হইহই কাণ্ড। কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা হরতালের ডাক দিলেন। আর নিজের ঘরের দরজাই বন্ধ হয়ে গেল কনকদুর্গার সামনে। মন্দির থেকে বাড়ি ফিরে আসার পর রাগে তাঁর শাশুড়ি চ্যালাকাঠ দিয়ে মেরে কনকদুর্গার মাথা ফাটিয়ে দেয়।  
শুধু কি শবরীমালা? এমন অনেক মন্দির আছে ভারতজুড়ে। কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালোরে অন্নপ্পা স্বামীর মন্দিরেও মেয়েরা প্রবেশ করতে পারে না। কেরলের শ্রীপদ্মনাভস্বামী মন্দির কিংবা মহারাষ্ট্রে শিরডির কাছে শিংনাপুরের শনি মন্দিরের গর্ভগৃহেও মেয়েরা প্রবেশ করতে পারে না। এছাড়া হিমাচল প্রদেশের হামিরপুরের ধৌলাগিরি পাহাড়ে বাবা বালকনাথ মন্দির, রাজস্থানের পুষ্করের কার্তিকেয় মন্দির, অন্ধ্রপ্রদেশের ভবানী দীক্ষা মণ্ডপমে মেয়েরা অচ্ছ্যুৎ। বারবার মেয়েদের বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তুমি ঋতুমতী, তাই তুমি অপবিত্র। এর কোনও যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা নেই। অন্য সব মন্দিরে যদি মেয়েদের প্রবেশাধিকার থাকে, তবে এইসব মন্দিরেই বা থাকবে না কেন? 
মেয়েদের পৌরোহিত্য করার কোনও অধিকার ব্রাহ্মণরা দেননি। মেয়েরা বাড়ির পুজো করলেও পুরোহিত বৃত্তি গ্রহণ করায় অনেক বাধা ছিল। ‘ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মটি’ চলচ্চিত্রে শবরীর পুরোহিত হওয়ার লড়াই, বিয়ে দেওয়ার অধিকার আদায়ের লড়াই এক প্রতিবাদের মতো। সেই লড়াই আজ অনেকটাই যেন সফল হয়েছে। এখন বাস্তব জীবনে বহু মহিলা পৌরোহিত্য করছেন, বিয়ের আসরে মাঙ্গলিক মন্ত্রে দু’টি হৃদয়কে জোড়া দেওয়ার কাজ করছেন। 
বিধবারা এক সময় সমাজে নানা শুভ কাজে অপাংক্তেয় ছিলেন। গৌরীদানের পর অল্প বয়সে একটি মেয়ে বিধবা হলে তাকে কী অসহনীয় নিয়মের পীড়ন সহ্য করতে হতো, তা বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন কাহিনিতে আছে।
আদিকাল থেকেই দেখা যায়, পুরুষ যেহেতু শারীরিকভাবে বলবান, তাই সে চিরকাল নারীর ওপর প্রভুত্ব করে গিয়েছে। নারীকে সে কার্যত ক্রীতদাস হিসেবেই বিবেচনা করে এসেছে। মনুবাদী ন্যায়শাস্ত্র হল একটি ব্রাহ্মণ্যবাদী শাস্ত্র। এতে মেয়েদের সম্পর্কে যা বলা হয়েছে, তা এক কথায় চরম অপমানজনক। 
তাই একদল পুরুষ যখন বলে, ‘নারী হল নরকের দ্বার’, আবার অন্যদল বলে, ‘নারী তুমি অর্ধেক আকাশ।’ তখনই বোঝা যায়, আমাদের ভাবনায় কোনও সামঞ্জস্য এখনও আসেনি। তাই পদে পদে মেয়েদের নানা ধরনের জীবন-যন্ত্রণায় শামিল হতে হয়। আজ তো ভয়ঙ্করভাবে বেড়ে গিয়েছে অনার কিলিংয়ের ঘটনা।  
বাংলা রেনেসাঁ এবং পরবর্তী সময়ে রামমোহন, বিদ্যাসাগর, স্বামী বিবেকানন্দ, ভগিনী নিবেদিতা, লেডি অবলা বসু সহ বেশ কিছু মানুষ নারী জাগরণে সচেষ্ট হয়েছিলেন। তাঁরা বুঝেছিলেন সমস্ত বাধা পেরতে গেলে মেয়েদের শিক্ষার প্রয়োজন। হাঁচি, কাশি, টিকটিকির মধ্যে সংস্কারকে আটকে রাখলে বাঙালি কুয়োর ব্যাঙ হয়েই থাকবে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘স্ত্রীর পত্র’-এর মধ্য দিয়ে পুরুষতন্ত্রের খবরদারির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ঘোষিত হয়েছে। আশাপূর্ণা দেবীর ‘প্রথম প্রতিশ্রুতি’, ‘সুবর্ণলতা’ ও ‘বকুল কথা’ উপন্যাসে সত্যবতী, সুবর্ণলতা ও বকুল তিনটি চরিত্রই যেন সামাজিক কুসংস্কার, অন্যায় এবং কণ্ঠরোধের বিরুদ্ধে তুমুল প্রতিবাদ।     
বছর কুড়ি আগে মেদিনীপুরের সরবেড়িয়ার কাছে একটি গ্রামে আলাপ হয়েছিল লক্ষ্মী বাগদির সঙ্গে। খেতে কাজ করে। লক্ষ্মীকে গ্রামের মাতব্বররা ডাইনি অপবাদ দিয়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছিল। কারণ গ্রামে মুরগি মরে যাচ্ছিল। তখনও বার্ড ফ্লু’র নাম এভাবে ছড়ায়নি। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, লক্ষ্মী ডাইনির জন্যই মুরগি মরে যাচ্ছে। লক্ষ্মী পাঁচ হাজার টাকা দিতে পারেনি। প্রাণের ভয়ে গভীর রাতে মরদের হাত ধরে সে পালিয়ে এসেছিল সরবেড়িয়ায়। 
শুধু কি নারীরা? পুরুষরা অচ্ছুত থাকেনি! সূতপুত্র কর্ণের সঙ্গে অর্জুন দ্বন্দ্বযুদ্ধে অবতীর্ণ হননি। একলব্যের মতো এক দলিত শিক্ষার্থীকে দ্রোণাচার্য অস্ত্রশিক্ষা দিতে রাজি হননি। একলব্যের দক্ষতা ছিল অর্জুনের কাছেও ঈর্ষণীয়। তাই গুরুদক্ষিণার নামে দ্রোণাচার্য একলব্যের দক্ষতাকে শেষ করে দিয়েছিলেন।
তৃষ্ণার্ত সন্ন্যাসী আনন্দকে জল দিতে গিয়ে হাত কেঁপেছিল চণ্ডালকন্যা প্রকৃতির। সন্ন্যাসী শিখিয়েছিলেন, মানুষের স্পর্শে জল কখনও অশুচি হয় না। মানুষও কখনও অস্পৃশ্য হয় না। নতুন এক মানবিক সম্মানে সম্মানিত হয়েছিল প্রকৃতি। চণ্ডালিকার প্রকৃতি নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করেছিল।  
এই অচ্ছুত মানসিকতা ভেদ করার চেষ্টা করেছিলেন শ্রীচৈতন্য। ধর্ম আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। তিনি আদ্বিজ-চণ্ডালকে বুকে টেনে নিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে রেনেসাঁর মধ্য দিয়ে মানবিকতার আলোক বিচ্ছুরিত হলেও আমরা কিন্তু মধ্যযুগীয় ক্ষুদ্র সংস্কারের গণ্ডি ভেঙে পুরোপুরি বেরিয়ে আসতে পারিনি। 
08th  September, 2024
ট্রাম্পের আমেরিকা
মৃণালকান্তি দাস

‘ইফ হি উইনস’, এই শিরোনামেই টাইম ম্যাগাজিন গত মে মাসে সংখ্যা প্রকাশ করেছিল। সেই সংখ্যায় সাংবাদিক এরিক কোর্টেলেসা জানিয়ে দিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে বহুযোজন এগিয়ে গিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশদ

10th  November, 2024
ভাইজানের বিপদ
সমৃদ্ধ দত্ত

এই গ্রুপটাকে সবাই একটু ভয় পায়। কলেজের মধ্যে এই চারজন সর্বদাই একসঙ্গে থাকে। পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটির ক্যান্টিনে চলে আসে দুপুর গড়াতেই। আর সেখানেই তাদের ঘোরাফেরা সবথেকে বেশি। হুড খোলা একটা মাহিন্দ্রা জিপ চালায় যে, তার আসল নাম বলকারান ব্রার। বিশদ

03rd  November, 2024
কাজীর কালীবন্দনা
সায়ন্তন মজুমদার

ভয়ে হোক বা ভক্তিতে, মা কালীর মধ্যে কিন্তু একটা ব্যাপার আছে। যে কারণে কেরেস্তানি কবিয়াল অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি সাহেবের লেখা পদেও ‘শ্যামা সর্বনাশী’কে পাওয়া যায়, শোনা যায় ‘জয় কালীর ডঙ্কা’। আবার ত্রিপুরার নারায়ণপুরের মৃজা হুসেন আলিকে জয় কালীর নামে যমকেও তাচ্ছিল্য করতে দেখি। বিশদ

27th  October, 2024
শুভ বিজয়া
কৌশিক মজুমদার 

বিজয়ার থেকেই ধীরে ধীরে দিনগুলো, রাতগুলো কেমন অদ্ভুত ঝিমধরা ক্লান্ত লাগে। প্রতি মুহূর্তে মনে হয় যেন এবার আরও অনেক কিছু করার ছিল, জীবনপাত্র উছলিয়া ভরার ছিল। ভরা হল না।  বিশদ

20th  October, 2024
শ্রী শ্রী দুর্গা সহায়
সোমা চক্রবর্তী

১৯৮৬। তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। ছুটিতে দু’বেলা আর অন্যান্য দিন সন্ধ্যায় পড়তে বসা— এই ছিল রোজের রুটিন। পুজোর অপেক্ষায় থাকতাম সারা বছর। কারণ, আমাদের বাড়িতে নিয়ম ষষ্ঠী থেকে নবমী বই ছোঁয়া যাবে না। দশমীর দিন যাত্রা করে আবার পড়া শুরু। বিশদ

20th  October, 2024
নানা রঙের দশভুজা
দেবযানী বসু 

মহিষাসুরমর্দিনী দেবী দুর্গা! বেদ, পুরাণ, তন্ত্র, মহাকাব্য—সর্বত্র তাঁর মহিমার জয়গান। মতভেদও কম নেই। আর তা শুধু আবির্ভাব নয়, গাত্রবর্ণ নিয়েও। বেদ-পুরাণের বর্ণনায় দেবী গৌরবর্ণা, স্বর্ণবর্ণা, পীতবর্ণা, অতসীবর্ণা। বিশদ

06th  October, 2024
পুজোর টানে ফেরা
সুকান্ত ঘোষ

মহালয়ার ভোর। ঘুম থেকে উঠেই ঘরে চালিয়ে দিয়েছি ‘বীরেনবাবু স্পেশাল’। বেশ জোরে। খানিক পরেই দরজায় টোকা। খুলতেই দেখি, আমার ডানপাশের ঘরের জোসেফ ও বাঁ পাশের ঘর থেকে ফাউস্টো ঘুম ঘুম চোখে দাঁড়িয়ে। ঘরে ঢুকল দু’জনে। বিশদ

29th  September, 2024
কল্যাণীর বিভূতিভূষণ

মুরাতিপুর গ্রাম। তাঁর মামার বাড়ি। জন্মস্থানও। গ্রামটি আর নেই। সেখানেই গড়ে উঠেছে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১৩০ তম জন্মবার্ষিকীতে এমন অনেক অজানা কাহিনি লিখলেন সুখেন বিশ্বাস।
বিশদ

22nd  September, 2024
স্বপ্ন হলেও সত্যি
কলহার মুখোপাধ্যায়

মামা বলল, ‘আগে ভালো করে লাটাই ধরতে শেখ, তারপর ঘুড়ি ওড়াবি।’ বাবা বলল, ‘আগে ভালো করে সিট বেল্ট বাঁধতে শেখ, তারপর গাড়ির স্টিয়ারিং ধরবি।’   পাড়ার ন্যাপাদা বলল, ‘মাঠে ঠিকমতো দৌড়তে শেখ আগে, তারপর বলে পা দিবি
বিশদ

15th  September, 2024
ঘুড়ির পিছে ঘোরাঘুরি
রজত চক্রবর্তী

আরও আরও উপরে। আরও উপরে। ওই আমাদের বাড়ি ছোট হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ। বুল্টিদের বাড়ির ছাদ ছোট্ট হয়ে গিয়েছে। দড়িতে টাঙানো বুল্টির লাল জংলা ফ্রক আর দেখা যাচ্ছে না। করদের মাঠ, পুকুর, আম-জাম-পাকুড়-লিচুগাছেদের ভিড়, বাড়িগুলো সব ছোট ছোট, শুধু ছাদের পর ছাদ।
বিশদ

15th  September, 2024
মলমাস
রোহিণী ধর্মপাল 

জিন্স পরিহিতা রীতিমতো আধুনিকা বললেন, ‘ঠাকুরমশাই, গৃহপ্রবেশে কোনও ত্রুটি রাখতে চাই না। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ হলে আমাদের খুব সুবিধা হয়।’ অফিসের ফোন আসায় একটু দূরে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন সঙ্গী যুবক। এবার ফোনটা মিউট করে সুবেশ ছেলেটি বললেন, ‘তারপরেই আসলে আবার আমাদের অস্ট্রেলিয়া ফিরতে হবে তো! বিশদ

08th  September, 2024
যব ছোড় চলে...

আজ, ১ সেপ্টেম্বর নবাব ওয়াজেদ আলি শাহের মৃত্যুদিন। ১৩৭ বছর আগে নির্বাসিত নবাবের মৃত্যু ঘিরে আজও রয়েছে হাজারো প্রশ্ন। মেটিয়াবুরুজ ঘুরে সেই অতীতের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার।
বিশদ

01st  September, 2024
বর্ষামঙ্গল
শ্যামল চক্রবর্তী

কেশববাবু ছাতা কিনেছেন। প্রয়োজনে নয়, দুঃখে! হেড অফিসের ছোটবাবু কেশব দে রিটায়ার করার পর থেকেই দিনরাত স্ত্রীর গঞ্জনা শুনতে শুনতে, এক বর্ষার সকালে বেরিয়ে পড়েছেন। গণশার দোকানে পাউরুটি আর ঘুগনি দিয়ে ব্রেকফাস্ট সেরে মেট্রোগামী অটোতে চেপে বসলেন। বিশদ

25th  August, 2024
কেন মেঘ আসে...
কলহার মুখোপাধ্যায়

‘মেঘের পরে মেঘ জমেছে...’, তবে এই তো আর ক’দিন। এক কী দেড় মাস! তার মধ্যেই দুগ্গা চলে আসবে। তখন আকাশ ফুঁড়ে রোদ্দুর। মেঘগুলোর রং যাবে সব পাল্টে। আইসক্রিম আইসক্রিম মেঘ চড়ে বেড়াবে আকাশে। তখন মালতির একটু স্বস্তি। বিশদ

25th  August, 2024
একনজরে
আর জি কর কাণ্ডই প্রথম নয়। অতীতে কলকাতা পুলিসের ইতিহাসে সার্জেন্ট বাপি সেন খুনের মামলাতেও আর জি করের মতো প্রতিদিন শুনানি হয়েছিল। এমনটাই জানাচ্ছেন কলকাতা ...

আবাস যোজনার প্রকৃত উপভোক্তাদের তথ্য যাচাইয়ের কাজ শুরু করল পুলিস। তবে, গ্রামে মাঝেমধ্যে পুলিসের গাড়ি দেখে ভয়ে কাঁটা বাসিন্দারা। আবাস যোজনার তালিকা নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ উঠেছে। ...

সামেন কঠিন চ্যালেঞ্জ। হাতে সময় কম। ভুলত্রুটি শুধরে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের প্রস্তুতিতে নেমে পড়লেন ঋষভ পন্থ, মহম্মদ সিরাজ, যশস্বী জয়সওয়ালরা। নবনির্মিত অপটাস স্টেডিয়ামের নেটে ...

শুধু ‘তরুণের স্বপ্ন’ নয়, রাজ্য সরকারের অন্যান্য প্রকল্পগুলিকেও টার্গেট করেছিল মালদহের বৈষ্ণবনগর থেকে ধৃত হাসেম আলি। তার গ্যাং কৃষকবন্ধু, কন্যাশ্রী বা বার্ধক্য ভাতার মতো প্রকল্পের টাকা হাতিয়েছে কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিস। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উত্তম বিদ্যালাভের যোগ আছে। কাজকর্মে উন্নতি ও কাজে আনন্দলাভ। অর্থাগমের উত্তম যোগ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৪২: লন্ডনে রাজা প্রথম চার্লসের সঙ্গে সংসদের তুমুল বিতর্ক হয়
১৮০৫: ফরাসিরা ভিয়েনা দখল করে
১৮৩৫: মেক্সিকোর কাছ থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীনতা ঘোষণা করে টেক্সাস
১৮৬৪: গ্রিসের নতুন সংবিধান গৃহীত হয়
১৯০৭: পল কমু’র উদ্ভাবিত হেলিকপ্টার প্রথমবারের মতো আকাশে ওড়ে
১৯১৩: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির সংবাদ শান্তিনিকেতনে পৌঁছায়
১৯৪৭: রাশিয়া (তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন) অ্যাসল্ট রাইফেল একে-৪৭ চূড়ান্তভাবে তৈরি করে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিখাইল কালাশনিকভ এই উন্নত স্বয়ংক্রিয় রাইফেল তৈরি করেন বলে তাঁর নামানুসারে এর এর নাম দেয়া হয় আভটোমাট (স্বয়ংক্রিয়) কালাশনিকভ ১৯৪৭ বা সংক্ষেপে একে-৪৭
১৯৬৭: বিশিষ্ট অভিনেত্রী জুহি চাওলার জন্ম
১৯৮৯: আকস্মিক ধসে পশ্চিমবঙ্গের রানীগঞ্জের কয়লাখনির অভ্যন্তরে ৭১ শ্রমিক আটকে পড়েন। পরে বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় ক্যাপসুলের সাহায্যে ৬৫ জনকে জীবিতাবস্থায় উদ্ধার করা হলে এই উদ্ধার পদ্ধতি বিশ্বে বিস্ময়ের সৃষ্টি করে
২০০১: সত্যজিৎ রায়ের 'পথের পাঁচালী' ও 'অপরাজিতা' র সর্বজয়া খ্যাতা বিশিষ্ট অভিনেত্রী করুণা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
২০২১: আন্তর্জাতিক সর্বাধিক বিক্রিত বইয়ের লেখক উইলবার স্মিথের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৫৭ টাকা ৮৫.৩১ টাকা
পাউন্ড ১০৬.৬৭ টাকা ১১০.৪৩ টাকা
ইউরো ৮৮.২৪ টাকা ৯১.৬২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৫,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৫,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,১০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৭ কার্তিক, ১৪৩১, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪। দ্বাদশী ১৭/৫৫ দিবা ১/২। রেবতী নক্ষত্র ৫৩/১৮ রাত্রি ৩/১১। সূর্যোদয় ৫/৫১/৫৬, সূর্যাস্ত ৪/৪৯/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৫ মধ্যে পুনঃ ৭/১৯ গতে ৮/৩ মধ্যে পুনঃ ১০/১৫ গতে ১২/২৭ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪২ গতে ৬/৩৪ মধ্যে পুনঃ ৮/১৯ গতে ৩/১৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৩৫ গতে ৭/১৯ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ৩/২২ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩৭ গতে ৯/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১১/২১ গতে ১২/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৩৭ গতে ৪/১৫ মধ্যে। 
২৭ কার্তিক, ১৪৩১, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪। দ্বাদশী দিবা ৯/৫৭। রেবতী নক্ষত্র রাত্রি ১/৪৩। সূর্যোদয় ৫/৫৩, সূর্যাস্ত ৪/৫১। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫১ মধ্যে ও ৭/৩৪ গতে ৮/১৬ মধ্যে ও ১০/২৪ গতে ১২/৩২ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪১ গতে ৬/৩৪ মধ্যে ও ৮/২১ গতে ৩/২৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৫১ গতে ৭/৩৪ মধ্যে ও ১/১৫ গতে ৩/২২ মধ্যে। কালবেলা ৮/৩৭ গতে ১০/০ মধ্যে ও ১১/২২ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৩৭ গতে ৪/১৫ মধ্যে। 
১০ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
নৈহাটি বিধানসভা উপ নির্বাচন: জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে তুললেন প্রশ্ন

04:52:40 PM

তৃতীয় টি২০: ২১ রানে আউট রেজা, দঃ আফ্রিকা ৪৭/২ (৫.৩ ওভার), টার্গেট ২২০

11:29:00 PM

তৃতীয় টি২০: ২০ রানে আউট রায়ান, দঃ আফ্রিকা ২৭/১ (৩ ওভার), টার্গেট ২২০

11:19:00 PM

তৃতীয় টি২০: ফের শুরু হল ম্যাচ, দঃ আফ্রিকা ৭/০ (১ ওভার), টার্গেট ২২০

11:11:00 PM

উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে ব্রাউন সুগার তৈরির কাঁচামাল সহ ২ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করল মালদহ জেলা পুলিস

10:49:00 PM

তৃতীয় টি২০: মাঠে পোকার উৎপাতে সাময়িক ভাবে বন্ধ ভারত-দঃ আফ্রিকা ম্যাচ

10:45:00 PM