Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

’৪২-এর কলকাতা

‘ব্রিটিশ ভারত ছাড়ো...’ গান্ধীজির ডাকে ১৯৪২ সালের আগস্টে রাস্তায় নেমেছিল কলকাতাও। আম বাঙালির প্রতিবাদের সেই ইতিহাস ফিরে দেখলেন সৌম্যব্রত দাশগুপ্ত।

তুমুল শঙ্খধ্বনি...! চারদিক তোলপাড় করে রাজপথে মিছিল। ছুটে চলেছে উন্মত্ত জনতা। এই পথ হয়তো থামবে হাসপাতালে, মর্গে বা শ্মশানে। সব জেনেও ওরা ছুটে চলে।
১৯৪২ সালের গ্রীষ্মকাল, গান্ধীজিকে সহসা অপরিচিত মনে হয়। তাঁর চিরচেনা আপোষপন্থী গলায় অন্য সুর। কয়েক বছর আগে সুভাষচন্দ্রের দূরদর্শী ভবিষ্যদ্বাণীর সাফল্যে উদ্বেল গান্ধী। ক্রিপস মিশনের ব্যর্থতার ফলেই আন্দোলনে নামার প্রয়োজনীয়তাও অনুভব করলেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চার্চিল মনে প্রাণে চাইছিলেন ক্রিপস প্রস্তাব ব্যর্থ হোক। ২৩ মার্চ ক্রীপস্ ভারতে আসার আগেই, ১০ মার্চ ভাইসরয় লিনলিথগোকে লিখেছিলেন— আমাদের উদ্দেশ্য যে সৎ, তা প্রমাণ করবার জন্য ক্রিপস মিশন অপরিহার্য।... যদি ভারতীয় দলগুলোর দ্বারা ক্রিপস প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হয়,... জগতের সামনে আমাদের সাধুতা প্রমাণ করা যাবে।’ ক্রিপস প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হলে চার্চিল খুশি হয়ে জানালেন যে, লন্ডনে ফিরে এলে তিনি উষ্ণ অভ্যর্থনা পাবেন। ইতিমধ্যেই জাপানের কল্পিত আক্রমণের করতে আগ্রহী তিনি। ৮ জুন গান্ধীজি সোসালিস্ট নেতা ইউসুফ মেহের আলীকে বললেন, ‘আমি নিশ্চিত যে ব্রিটিশ শাসন কোনও অংশেই উৎকৃষ্ট নয়।’ মেহের আলী তাঁকে পরামর্শ দিলেন ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের। জওহরলাল বা প্যাটেলরা ব্রিটিশের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক বিদ্রোহের বিরোধী ছিলেন। কিন্তু চাপে পড়ে তাঁদের রাজি হতে হয়।
৭ আগস্ট, বোম্বাইতে বসল অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটির (এআইসিসি) অধিবেশন। কমিউনিস্ট সদস্যরা প্রথম থেকেই ব্রিটিশের বিরুদ্ধে আন্দোলনের তীব্র বিরোধী। গোপালাচারী, নেহরুদের বিরোধিতা সত্ত্বেও ৮ আগস্ট বিপুল সংখ্যাধিক্যে ভারত ছাড়ো প্রস্তাব গ্রহণ করা হল। ৯ আগস্ট সকালেই প্রায় সব প্রথম সারির নেতাই গ্রেপ্তার হলেন। গ্রেপ্তারির উদ্যোগের কথা আগে জেনে গিয়েছিলেন নেহরু, প্যাটেলরা। কিন্তু আত্মরক্ষার ন্যূনতম পন্থাটুকুও তাঁরা অবলম্বন করেননি।
কলকাতা! রাত্রির অন্ধকার নেমেছে শহরে। ঘরের ভেতর ঘুম নেই। মানুষের চোখে। অধীর আগ্রহে অপেক্ষা আকাশবাণীর জন্য। ‘আমি সুভাষচন্দ্র বলছি! ভারতের মহাসংগ্রামে যোগ দিন! এই আন্দোলন স্বাধীনতার অন্তিম সংগ্রাম।’ ইথার তরঙ্গে বিদ্রোহের বার্তা। উদ্বেল কলকাতা। নেতা নেই, এ যেন মানুষের বিদ্রোহ। মৃত্যুর মহোৎসবে প্রধান ঋত্বিক কলকাতার ছাত্র সমাজ। ওরাই তো ভাগ্যদেবীর যজ্ঞদেবীর নিত্য বলিদান।
১৩ আগস্ট কলকাতায় শুরু হল ছাত্র আন্দোলন। শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়, ভাবানীপুর, ওয়েলিংটন স্কোয়ার জুড়ে পড়ুয়াদের মিছিলের কলরব। এই কলকাতাকে চেনা যায় না। এই জঙ্গি মেজাজ আগে দেখা যায়নি। সকাল থেকেই প্রতিটি স্কুল-কলেজে ধর্মঘট। একটা বিরাট মিছিল শ্যামবাজার থেকে কর্নওয়ালিশ স্ট্রিট ধরে এগিয়ে আসছে। ‘ইংরেজ ভারত ছাড়’ ধ্বনিতে কম্পিত ধরণী। সভা হবে ওয়েলিংটন স্কোয়ারে। মিছিল এসে পৌঁছল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে। বেপরোয়া সাইরেন সহসা আর্তনাদের সুরে সাবধান হতে বলে। নিরস্ত্র ছাত্রদের উপর নেমে এল লাঠি, টিয়ার গ্যাস। দক্ষিণ কলকাতার হাজরা পার্ক থেকে শুরু হওয়া মিছিল পুলিসের সম্মুখীন হল ভবানীপুরে, যদুবাবুর বাজারের সামনে। ব্রিটিশ পুলিসের বেপরোয়া আক্রমণের মোকাবিলায় ছাত্ররা হাতে তুলে নিল ইট। মুহূর্তে ভবানীপুর রণক্ষেত্র। শ্রদ্ধানন্দ পার্ক থেকে একটি মিছিল ওয়েলিংটন স্কোয়ারের কাছে এলে সার্জেন্টরা তার উপর গুলি চালায়। রক্তাক্ত হল রাস্তা। বিকেল তিনটে নাগাদ মেডিক্যাল কলেজের সামনে সেখানকার ছাত্ররা একটি মিছিল বের করে। তাদের সঙ্গে কারমাইকেল মেডিকেল কলেজ, ক্যাম্বেল মেডিকেল স্কুলের ছাত্ররাও উপস্থিত। মিছিলের নেতৃত্বে ছাত্র ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট ইসমাইল ইব্রাহিম, জেনারেল সেক্রেটারি শিশিরকুমার বসু। হ্যারিসন রোড দিয়ে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ হয়ে মিছিল তখন মিশন রো-র পথে। মিশন রো আসতেই ঝাঁপিয়ে পড়ে অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান সার্জেন্ট এবং বন্দুকধারী গোর্খা পুলিস। তিন মিনিটের মধ্যে মিছিল ভেঙে ছারখার। শিশিরকুমার বসু, শচীন চৌধুরী, রবি বসু, কালিদাস বসু, কুলভূষণ সেনগুপ্ত আহত হলেন। সারা কলকাতায় ১৩ আগস্ট বেলা দুটো পর্যন্ত পুলিসের পাশবিক অত্যাচার অব্যাহত থাকে।
প্রতিবাদী একটি মিছিল ফলওয়ার্ড ব্লকের নেতাদের উদ্যোগে এগিয়ে চলে শ্যামবাজার থেকে কর্নওয়ালিস্ট স্ট্রিট দিয়ে। শ্রীমাণী বাজারের কাছে মিছিল আসতেই পুলিসের গুলি ছুটে এলো। লুটিয়ে পড়লেন ক্যালকাটা ট্রেনিং স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র বৈদ্যনাথ সেন। কলকাতার প্রথম শহিদ বৈদ্যনাথ। সিমলা-কাঁসারিপাড়া অঞ্চলের ছাত্রকর্মী কৃষ্ণ কুণ্ডু, বুলু বোস, লক্ষ্মী হাজরা সমর দে বিদ্যাসাগর কলেজের সামনে একটি ট্রামে আগুন লাগিয়ে দিলেন।
বৈদ্যনাথ সেনকে ছাত্ররা তুলে নিয়ে শোয়ালেন ২ নম্বর সরকার বাইলেনের রোয়াকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়। কলকাতা জুড়ে আগুন লেগে গেল। পরের দিন ১৪ আগস্ট বৈদ্যনাথ সেনের মৃতদেহ নিয়ে একটি মিছিল বের করার প্রস্তুতি নেওয়া হল শ্রীমানী বাজারের সামনে। পুলিস বাধা দিল। এবার ছাত্রদের সঙ্গে পুলিসের রাজপথে যুদ্ধ। কয়েক মুহূর্তে রণক্ষেত্র কর্নওয়ালিশ স্ট্রিট। পুলিসের গুলি লাগল বোনের বিয়ের জন্য বাজার করতে আসা দিলীপ কুমার ঘোষ নামে এক তরুণ ছাত্রের বুকে। সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু।
একই স্থানে পর পর দু’দিন, শহিদ হলেন দু’জন। ১৪ আগস্ট শুরু হয়ে গেল জনযুদ্ধ। কলকাতার সমস্ত অঞ্চলে দোকানপাট বন্ধ। বিডন স্ট্রিট, সেন্ট্রাল অ্যাভেনিউ, আপার সার্কুলার রোড, মেছুয়া বাজার থেকে নিমতলা ঘাট স্ট্রিট। পুলিসের সঙ্গে মানুষের লড়াই। আহত হয় ৬৫ জন। দলে দলে ছাত্ররা উপস্থিত ইট, সোডার বোতল, ফায়ার আলার্ম পোস্ট নিয়ে। বাগবাজার থেকে ঠেলা গাড়ি ভরে ইট আর সোডার বোতল জড়ো হল রাস্তায়। মধ্য কলকাতার গতি পথে গোপাল মুখার্জি, ভানু বসুরা জঙ্গি আন্দোলন চালাচ্ছেন। স্কটিশ চার্চ কলেজের সামনে থেকে আসা একটা ছাত্র মিছিল কর্নওয়ালিশ স্ট্রিটের সমস্ত ট্রাম লাইন বিধ্বস্ত করে। বন্ধ হল ট্রাম চলাচল। বাড়ির দুই পাশ থেকে জনগণের সমর্থন। পুলিসের উপর সমানে ইট ও সোডার বোতল বৃষ্টি। আগস্টের অগ্নিগর্ভ কলকাতার প্রধান শক্তি ছাত্র সমাজে। রক্তক্ষয়ী লড়াইতে তাঁদের সঙ্গী হলেন কলকাতার ক্লাবগুলি। দক্ষিণ কলকাতার কালচার ক্লাবের সদস্যরা মুদিয়ালী রোডে বোমা বানাতে শুরু করে। উত্তর কলকাতার সিমলা ব্যায়াম সমিতির কর্মকর্তা অমর বসুর নেতৃত্বে ক্লাব যোগ দিয়েছিল আন্দোলনে। রাজবল্লভ পাড়া ব্যায়াম সমিতি, বাগবাজারে পুয়োর ব্রাদার ক্লাব, বোসপাড়া অঞ্চলের তরুণ ব্যায়াম সমিতি, দেশবন্ধু পার্ক সংলগ্ন ব্যায়াম সমিতি আন্দোলনের পুরভাগে। হাতিবাগানের মিত্রা সিনেমার পাশের গলির মধ্যে ‘দেশ গৌরব ব্যায়াম সমিতি’-র যোগ দিল আন্দোলনে। কলকাতা জেগে উঠেছে বহু যুগের ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি মতো। মানুষের প্রাণে প্রাণে ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিস রিপোর্ট বলছে শহরের মধ্যবিত্ত বাড়ির মহিলাদের মধ্যে সুভাষচন্দ্রের বক্তৃতা শোনার আগ্রহবেশী। উত্তর কলকাতায় ছাত্রদের সঙ্গে পুলিসের যুদ্ধে আশপাশের বাড়ি থেকে কাপড়ে লঙ্কার গুঁড়ো বেঁধে ঝাঁকে ঝাঁকে ছুটে আসে পুলিসের দিকে। বউবাজার অঞ্চলের নবীনচাঁদ বড়াল স্ট্রিটে পতিতালয়ের মেয়েরা রুখে দাঁড়াল বিদেশি সৈন্যদের বিরুদ্ধে। তাদের অত্যাচারের কথা সুভাষচন্দ্র বসুকে বলে দেওয়ার ভয় দেখাল।
সরকারি রিপোর্টে যুগান্তর দলের নেতৃস্থানীয় কর্মী সুধীরকুমার ঘোষকে কলকাতার বোতল বোমা বিশেষজ্ঞ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। রাজাবাজার সায়েন্স কলেজের ড. সত্যেন্দ্রনাথ বসুর ছাত্র হর্ষনারায়ণ বসু নলিনী সরকার স্ট্রিটের মেসবাড়িতে বোমার কারখানা গড়ে তুলেছিলেন। কংগ্রেস সোস্যালিস্ট পার্টির কর্মী হরিপদ মজুমদার একটি হ্যান্ড গ্রেনেড বানানোর কারখানা গড়ে তোলেন। অম্বিকা মজুমদার ও অন্যান্য সোস্যালিস্ট পার্টির কর্মীরা ওয়েলিংটন স্কোয়ারে কাছে ইলেকট্রিক বাল্ব বোমা তৈরির কারখানা গড়ে তোলেন। আপার সার্কুলার রোডের ১২৩/১ নং বাড়ি তল্লাসি করে পুলিস পেল বোমার কারখানা। আন্দোলনচলাকালীন মির্জাপুর স্ট্রিটের ছাত্র কর্মীদের সঙ্গে জয়প্রকাশ নারায়ণ, ড. রামমনোহর লোহিয়া যোগাযোগ করে একটি গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে উৎসাহ দিলেন।
কলকাতার দখল নিতে পথে নামল ছাত্ররা। এক অদ্ভুত গেরিলা স্ট্রিট ফাইট। উত্তম কলকাতায় হেমন্ত বসু ও অমর বসুর নেতৃত্বে প্রতিটি রাস্তা আন্দোলনের প্রাণকেন্দ্র। বিদ্যাসাগর কলেজ ও পার্শ্ববর্তী স্কুলগুলোর দায়িত্ব নিলেন শশধর গাঙ্গুলি, সিটি কলেজ ও সেন্ট পলস কলেজের দায়িত্ব নিলেন চিত্ত দাস, সেন্ট জেভিয়ার্স ও আশুতোষ কলেজের দায়িত্ব রবি দাশগুপ্তের উপর, মণীন্দ্রচন্দ্র কলেজ ও উত্তর কলকাতার অন্যান্য স্কুলে নৃপেন মজুমদার। কলকাতার রাস্তা প্রতিদিন যুদ্ধক্ষেত্রের রূপ নিচ্ছিল। শহরের পরিস্থিতির কথা বলতে গিয়ে ১৬ আগস্ট এক রিপোর্টে সরকার বলল ‘কলকাতা যেন এক অসম লড়াই করছে।’ নেতাহীন আন্দোলনের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিল সাধারণ মানুষ।
১৫ আগস্ট থেকে কলকাতার অবস্থা আরও পাল্টে গেল। শহরের টেলিফোনের তার কেটে, ল্যাম্পপোস্ট তুলে ফেলে, ফায়ার অ্যালাম বক্স ভেঙে রাস্তায় রাস্তায় অবরোধ। উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতার ট্রাম চলাচল বন্ধ হল। পাড়ায় পাড়ায় স্ট্রিট ফাইটের প্রস্তুতি। চিৎপুর-কাশীপুর অঞ্চলের মিল শ্রমিকরা ইউরোপীয় কোম্পানির দখল করতে ঘেরাও শুরু করলেন। সাধারণ মানুষের লড়াইকে রুখতে ১৬ আগস্ট থেকে কলকাতার উপর নৃশংস অত্যাচার শুরু করল পুলিস। এল মিলিটারির গাড়ি। মেশিনগান চলল কলকাতায়। আগস্ট মাসের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যেই মৃতের সংখ্যা ছাড়ানো কুড়ি জন। আহতের সংখ্যা কয়েকশো। শহিদের তালিকায় সাধারণ মানুষের সংখ্যা রাজনৈতিক কর্মীদের থেকে বেশি ছিল। কলকাতার শহিদের তালিকায় ছিল সুরেন্দ্রনাথ গড়াই, অনাথ নাথ চক্রবর্তী, বলদেও সাহু, পাঁচুগোপাল সরকার, কালিদাস চক্রবর্তী, অমরেন্দ্রনাথ দাস, কানাইলাল মান্না, লক্ষ্মীনারায়ণ দত্ত, বৈদ্যনাথ সেন, শ্রীমতি দাসী, রঙ্গিলা কুরমী, জং বাহাদুর প্রভৃতি মানুষের তালিকায় বিভিন্ন শ্রেণীরও ক্ষেত্রের মানুষের নাম দেখা যায়। এযেন প্রাণের ডাকে পথে নামা। আগস্ট আন্দোলনের কলকাতায় এই সংগ্রাম কিছুটা ছিল প্রকাশ্য, তবে গোপন অন্তর্ঘাতমূলক কাজই এখানে প্রাধান্য পায়। জনগণের তীব্র ব্রিটিশবিরোধিতাই এই আন্দোলনের জন্য তাদের মানসিক প্রস্তুতির ভিত্তি রচনা করে। ইতিহাস ক্ষমতার কথা বলে, কিন্তু ক্ষমতার উত্থান-পতনের পিছনে থাকা হাজার হাজার মানুষ অন্ধকারেই থাকে। কলকাতার সাধারণ মানুষ সেদিন যে প্রতিবাদের ইতিহাস রচনা করেছিল, তা অনন্য। সুবোধ ঘোষের ‘তিলাঞ্জলী’, বিমল করের ‘দেওয়াল’ উপন্যাসে ধরা আছে সেদিনের তিলোত্তমার বিদ্রোহী রূপ। 
18th  August, 2024
মৃত্যুর মুখোমুখি

কারাগারের নিস্তব্ধতা চিরে ছুটে আসছে শব্দ। মুজফ্‌ফরপুর জেলের কোনায় কোনায় তখনও জমাট বাঁধা অন্ধকার। কনডেমড সেলের মেঝেয় চুঁইয়ে পড়েছে সামান্য আলোর রেখা। সেই আলোয় স্পষ্ট দূরের অন্ধকারে শক্ত কাঠের পাটাতনে দুলতে থাকা মরণ-রজ্জু। বিশদ

18th  August, 2024
বেগম, কন্যা ও রবীন্দ্রনাথ
সমৃদ্ধ দত্ত

‘ম্যাডাম, আমাদের সোর্স খুব কিন্তু কনফার্মড! খুব ডেলিকেটও। বাইরে এই খবরটা চলে গেলে সমস্যা হবে।’ বললেন আর এন কাও। রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (র)-এর প্রধান জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে। কী করা উচিত? ম্যাডাম হলেন প্রধানমন্ত্রী। ইন্দিরা গান্ধী চিন্তিত মুখে বললেন, ‘তাহলে আমাদের কোনও অফিসারকে এর মধ্যে ইনভলভ করার দরকার নেই। আপনি নিজেই যান।’ 
বিশদ

11th  August, 2024
পদ্মাপারে চীনের ফুটপ্রিন্ট

আমেরিকাকে ‘সবক’ শেখাতে শেখ হাসিনা জড়িয়ে ধরেছিলেন চীনকে। তাঁর শেষ চীন সফর—৮ জুলাই।বেজিংয়ের জন্য বাংলাদেশের দুয়ার হাট করে খুলে দিয়েছিলেন হাসিনা।
বিশদ

11th  August, 2024
অবন ঠাকুরের বাগানবাড়ি

কলকাতার খুব কাছেই কোন্নগরে গঙ্গার পশ্চিম তীরে ‘অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত বাগানবাড়ি’, যেন একটুকরো ছোট্ট শান্তিনিকেতন। ‘জোড়াসাঁকোর ধারে’ বইয়ে যে বাড়ির স্মৃতিচারণ করেছেন অবন ঠাকুর। সেই বাগান বাড়ি ঘুরে তার হারিয়ে যাওয়া ইতিহাসের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার বিশদ

04th  August, 2024
রং কই রং দাও? গুরুর আদেশ! রং তুলি নিয়ে বসলেন নন্দলাল। তারপর..? 
সুশোভন অধিকারী, প্রাক্তন কিউরেটর নন্দন, কলাভবন বিশ্বভারতী শান্তিনিকেতন 

শিল্পী অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনেক সত্ত্বা ছিল। তিনি যেমন কড়া শিক্ষক, তেমনই ছিলেন ছাত্র অন্তঃপ্রাণ। শিল্পের জন্যই তিনি নিবেদিত ছিলেন। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তাঁর কাকা-ভাইপোর সম্পর্ক। বয়সের ব্যবধান মাত্র ১০ বছর। কিন্তু, লেখায় রবীন্দ্রনাথ, আঁকায় অবন ঠাকুর, এ এক অদ্ভুত মেলবন্ধন। বিশদ

04th  August, 2024
উত্তমপুরুষ: সিঁড়ি থেকে নামার সময় মাথা ঘুরে পড়ে গেলেন উত্তমদা
রঞ্জিত মল্লিক

উত্তম কুমারের সঙ্গে আমার গোটা পাঁচেক ছবি করার সৌভাগ্য হয়েছিল। প্রথম ছবি ছিল ‘মৌচাক’। আর শেষ ছবি ‘ওগো বধু সুন্দরী’। প্রথমেই একটা কথা বলে রাখা ভালো, আমি এরকম সারা ভারতে দেখিনি। পৃথিবীতেও আর কোথাও আছে কিনা জানি না। বিশদ

28th  July, 2024
উত্তমপুরুষ: হাত নাড়তে নাড়তে ইডেনে নামলেন উত্তম জেঠু 
শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়

বাবার (শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়) সঙ্গে যখন উত্তম কুমার কাজ করছেন, আমি তখন খুবই ছোট। কাজেই উত্তম কুমার কী, কেন, সেই বিষয়ে আমার কোনও আগ্রহই ছিল না। বিশদ

28th  July, 2024
ট্রাম্প ফিভার!
মৃণালকান্তি দাস

১৯৮১ সালের ৩০ মার্চ। আমি থেরাপিস্টের অফিসে বসে রয়েছি। একটু পরেই আমার শরীরে থেরাপি দেওয়া হবে। আচমকা এক সিক্রেট সার্ভিস এজেন্ট হুড়মুড় করে দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকলেন। প্রথমে আমি খুবই রেগে গিয়েছিলাম। আমি ভাবলাম, ‘লোকটা আর সময় পেল না! আমার থেরাপি সেশনে ফট করে ঢুকে পড়ল?’ বিশদ

21st  July, 2024
ট্রাম্প জিতলে হারবে আমেরিকা!

আমেরিকার রিপাবলিকান দলের নেতা রোনাল্ড রেগ্যান সম্পর্কে বাজারে একটি গল্প প্রচলিত আছে। রেগ্যান ছিলেন বি-মুভির সাধারণ এক অভিনেতা। বরাতজোরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর নাকি একদিন হোয়াইট হাউসে ঘুম থেকে উঠে স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘ন্যান্সি, আমি কি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়েছি, না ওই ভূমিকায় অভিনয় করছি?’ বিশদ

21st  July, 2024
অস্তরাগ
সোমনাথ বসু

সেই কবে মুকুল দত্ত লিখেছিলেন, ‘চোখের জলের হয় না কোনও রং, তবু কত রঙের ছবি আছে আঁকার...’। সত্যি, মনের কত ক্যানভাস ভিজেছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর।
বিশদ

14th  July, 2024
তারার জন্ম
সৌগত গঙ্গোপাধ্যায়

‘দিস টাইম ফর মরক্কো!’ — গানে গমগম করছে বার্সেলোনা শহর থেকে ৪০ কিমি দূরের রোকাফন্দা অঞ্চল। সেই সঙ্গে বাজির আওয়াজে কান পাতা দায়। অথচ, ২০২২ সালের ৬ ডিসেম্বরের সেই রাত স্পেনের কাছে অভিশপ্ত।
বিশদ

14th  July, 2024
জয় জগন্নাথ
সুমনা সাহা

রথ বললেই মনে যে ছবি ভেসে ওঠে, তা একটা ছাদ-খোলা ঘোড়ার গাড়ির মতো। তার উপরে বিমর্ষ মুখে বসে আছেন মধ্যম পাণ্ডব অর্জুন। কাঁধ থেকে খসে পড়েছে গাণ্ডীব। তাঁর সামনে সারথি রূপে শ্রীকৃষ্ণ। পার্থকে কৃষ্ণ শোনাচ্ছেন ‘উত্তিষ্ঠত জাগ্রত’ বাণী। বিশদ

07th  July, 2024
রথচক্র

রথের জন্য চাই নিম ও হাঁসি গাছের কাঠ। মন্দির কমিটি প্রথমে বনদপ্তরের কাছে খবর পাঠায়। তারপর জঙ্গলে প্রবেশ করেন পুরোহিতরা। পুজো করা হয় নির্দিষ্ট গাছগুলিকে। সেই পর্ব শেষে সোনার কুড়ুল জগন্নাথদেবের চরণে স্পর্শ করিয়ে গাছ কাটার শুরু। বিশদ

07th  July, 2024
মাসির বাড়ির অজানা কথা

পোশাকি নাম অর্ধাসিনী মাতা। তবে সর্বজনের কাছে তার পরিচিতি ‘মৌসি মা’ বা ‘মাসি মা’ বলে। রূপে অবিকল সুভদ্রা দেবী। পুরীর এই অর্ধাসিনী দেবী সম্পর্কে জগন্নাথদেবের মাসি। বিশদ

07th  July, 2024
একনজরে
কুসংস্কার-বিরোধী, যুক্তিবাদী চিকিৎসক নরেন্দ্র দাভোলকরের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার দেশজুড়ে ন্যাশনাল সায়েন্স টেম্পার ডে (এনএসটিডি) পালিত হল। এনএসটিডির সপ্তম বর্ষে জোর দেওয়া হয়েছে কলকাতা সায়েন্স টেম্পার ডিক্লারেশনের উপরে। ...

ইস্কো কারখানার সম্প্রসারণ নিয়ে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের জনশুনানিতে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কর্মসংস্থান না দেওয়া, এলাকার উন্নয়ন না করা সহ একাধিক অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন কারখানা সংলগ্ন এলাকার মানুষজন। ...

অনিয়মিত রেল চলাচল, বিভিন্ন রেল স্টেশনের উন্নতিকরণ সহ একাধিক দাবিতে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর রেল অবরোধের ডাক দিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া-জকপুর প্যাসেঞ্জার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। ...

রপ্তানি ক্ষেত্রে পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির খনিজ ও আকরিকের উপর নির্ভরশীলতা কাটিয়ে ওঠার পক্ষে সওয়াল করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। মঙ্গলবার শহরে সিআইআই আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, পূর্ব ভারতের উন্নয়নে কেন্দ্র আলাদা বাজেট বরাদ্দ করেছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পুজোপাঠে ও সাধুসঙ্গে মানসিক শান্তিলাভ। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর কর্মোন্নতি ও উপার্জন বৃদ্ধি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব বরিষ্ঠ নাগরিক দিবস
১৬১৩- বারো ভূঁইয়াদের অন্যতম ঈশা খাঁর মৃত্যু
১৯০৮ - ভারতীয় বাঙালি বিজ্ঞানী তথা কৃষিতে জৈব সার ব্যবহারের পথিকৃৎ পরমনাথ ভাদুড়ীর জন্ম
১৯১১- লিওনার্দো দা ভিঞ্চির  মোনালিসা ছবিটি লুভারস মিউজিয়াম থেকে চুরি হয়ে যায়
১৯৩১- গায়ক বিষ্ণু দিগম্বর পালুসকরের মৃত্যু
১৯৭২- বন সংরক্ষণ আইন চালু হল
১৯৭৮- ভিনু মানকড়ের মৃত্যু
১৯৭৮- অভিনেত্রী ভূমিকা চাওলার জন্ম
১৯৮৬- জামাইকার স্প্রিন্টার উসেইন বোল্টের জন্ম
১৯৯৫- ভারতের নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী সুব্রহ্মণ্যম চন্দ্রশেখরের মৃত্যু
২০০৬- বিশিষ্ট সানাইবাদক ওস্তাদ বিসমিল্লা খানের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৪ টাকা ৮৪.৭৮ টাকা
পাউন্ড ১০৭.১৪ টাকা ১১০.৬৮ টাকা
ইউরো ৯১.৩৫ টাকা ৯৪.৫৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭১,৯৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৩০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৫,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৫,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ ভাদ্র, ১৪৩১, বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০২৪। দ্বিতীয়া ২৯/৩০ অপরাহ্ন ৫/৭। পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্র ৪৮/৮ রাত্রি ১২/৩৪। সূর্যোদয় ৫/১৯/১৬, সূর্যাস্ত ৬/০/১৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/০ মধ্যে পুনঃ ৯/৩৩ গতে ১১/১৪ মধ্যে পুনঃ ৩/২৮ গতে ৫/৯ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪৫ গতে ৯/১ মধ্যে পুনঃ ১/৩৩ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৬ গতে ৩/২৮ মধ্যে। রাত্রি ৯/১ গতে ১০/৩১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৯ গতে ১০/৪ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৯ গতে ১/১৪ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৩০ গতে ৩/৫৫ মধ্যে। 
৪ ভাদ্র, ১৪৩১, বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০২৪। দ্বিতীয়া রাত্রি ৮/১৬। শতভিষা নক্ষত্র দিবা ৬/২৬ পরে পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/৫১। সূর্যোদয় ৫/১৮, সূর্যাস্ত ৬/৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ৯/৩০ গতে ১১/৮ মধ্যে ও ৩/১৩ গতে ৪/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৪৮ মধ্যে ও ১/৩০ গতে ৫/১৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৩৫ গতে ৩/১৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৪৮ গতে ১০/২২ মধ্যে। কালবেলা ৮/২৯ গতে ১০/৫ মধ্যে ও ১১/৪১ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৯ গতে ৩/৫৪ মধ্যে। 
১৬ শফর।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
২০৭ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স

01:57:35 PM

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নতুন সুপার হলে সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়

11:01:43 PM

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নতুন অধ্যক্ষ হলেন ডাঃ মানস বন্দ্যোপাধ্যায়

10:46:34 PM

আর জি কর কাণ্ড: আন্দোলনরত ডাক্তারি পড়ুয়াদের দাবি মেনে চার আধিকারিককে বদলি করল স্বাস্থ্য ভবন

10:41:39 PM

অন্ধ্রপ্রদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থায় বিস্ফোরণ: উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর

10:05:02 PM

অন্ধ্রপ্রদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থায় বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫

10:02:32 PM