Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

অবন ঠাকুরের বাগানবাড়ি

কলকাতার খুব কাছেই কোন্নগরে গঙ্গার পশ্চিম তীরে ‘অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত বাগানবাড়ি’, যেন একটুকরো ছোট্ট শান্তিনিকেতন। ‘জোড়াসাঁকোর ধারে’ বইয়ে যে বাড়ির স্মৃতিচারণ করেছেন অবন ঠাকুর। সেই বাগান বাড়ি ঘুরে তার হারিয়ে যাওয়া ইতিহাসের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার

‘তখন গরমি কালটা অনেকেই গঙ্গার ধারে বাগানবাড়িতে গিয়ে কাটাতেন। কোন্নগরের বাগানে বাবামশায় যাবেন, ঠিক হল। মা পিসিমা সবাই যাবেন; সঙ্গে যাব আমি আর সমরদা। দাদা থাকবেন বাড়িতে; বড় হয়েছেন, স্কুলে যান রোজ, বাগানে গেলে পড়াশুনোর ক্ষতি হবে। আমার আনন্দ দেখে কে। কাল সকালবেলায় যাব, কিন্তু রাত পোহায় না। ঘুমোব কি! সারারাত ধরে ভাবছি, কখন ভোর হয়।’ উৎসাহের অন্ত ছিল না অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। আসলে হুগলি নদী তীরবর্তী এই বাগানবাড়িটি ছিল প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের কেনা অজস্র জমিদারির মধ্যে একটি অংশ। উত্তরাধিকার সূত্রে তা পান দ্বারকানাথের মধ্যমপুত্র গিরীন্দ্রনাথ। পরে তা পান পুত্র গুণেন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই সুবাদে ছোটবেলায় বাবার সঙ্গে মাঝেমধ্যেই এই বাড়িতে ছুটি কাটাতে আসতেন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেখানে যেমন ছিল ‘বাবামশাই’ গুণেন্দ্রনাথের কড়া শাসন, তেমনই মিলত প্রিয় ‘রবিকা’র সঙ্গে অঢেল মজা করার সুযোগও।
এই বাগানবাড়িতে যাওয়ার প্রসঙ্গে ‘জোড়াসাঁকোর ধারে’ বইয়ে তিনি লিখছেন, ‘এখন কোন্নগরে তো যাওয়া হবে—কত দেরি করেছিল সেদিন সকালটা আসতে। যেমন রামলালের ডাক ‘ওঠো’, অমনি তড়িঘড়ি বিছানা থেকে লাফিয়ে পড়ে তাড়াতাড়ি হাতমুখ ধুয়ে ইজের কামিজ বদলে তৈরি হয়ে নিলুম। লোকজন আগেই চলে গেছে বাগানে। এবার আমরা যাব। সাদা জুড়িঘোড়া জোতা মস্ত ফিটন দাঁড়াল দেউড়িতে ভোর পাঁচটায়। আমরা উঠলুম তাতে। বাবামশায় বসলেন পিছনের সিটে, আমাদের বসিয়ে দিলেন সামনেরটায়। দুপাশে বসলেন আরও দুজন, পাছে আমরা পড়ে যাই। সেকালের গাড়িগুলির দু-পাশ থাকত খোলা—একটুতেই পড়ে যাবার সম্ভাবনা। মা পিসিমা আগেই রওনা হয়েছেন বন্ধ আপিসগাড়িতে।’
এই যাত্রাপথেই প্রথমবার হাওড়া ব্রিজ দেখেছিলেন অবন ঠাকুর। তাঁর প্রতিক্রিয়া ছিল—‘হাওড়ার পুল দেখি সেই প্রথম, আমি তো ভয়ে মরি।’ হাওড়া ব্রিজ অতিক্রম করে তাঁদের ফিটন গাড়ি এগোয়। মাঝরাস্তায় ঘোড়া বদল করে অবশেষে তাঁরা পৌঁছলেন কোন্নগরের বাগানবাড়িতে। অবন ঠাকুরের কথায়, ‘তখন মোটরগাড়ি ছিল না যে এক ঘণ্টায় পৌছে দেবে শহর থেকে বাগানে।’
লেখার মধ্য দিয়েই যেন ছবি আঁকতে পারতেন অবন ঠাকুরের। কোন্নগরের বাগানবাড়িতে প্রবেশের ঠিক পূর্ব মুহূর্তের বর্ণনায় রয়েছে সেই ছোঁয়া—‘কোতরঙের ইঁটখোলা—সেখানে পাহাড়ের মতো ইঁটের পাজায় আগুন ধরিয়েছে, তা থেকে ধোঁয়া উঠছে আস্তে আস্তে আকাশে। তার পরই কোন্নগরের বাগান আমাদের। দু-থাক ঢালুর উপরে সাদা ছোট্ট বাড়িখানি।’
সেসব কবেকার কথা। ছোট্ট বাগানবাড়িখানির রঙ আজও একই। বইয়ের বর্ণনার সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গঙ্গার হাওয়ায় সামান্য একটু নোনা ধরেছে অবশ্য। বাড়ির ভিতরে অবন ঠাকুরের আঁকা বিভিন্ন ছবির রেপ্লিকা। বাড়ির সামনের রাস্তা সুন্দরভাবে সাজানো। ‘জোড়াসাঁকোর ধারে’ বইয়ের বিভিন্ন অংশকে উক্তি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। আপনি সেগুলি পড়লে ফিরে যাবেন সে-সময়ে। 
বাগানবাড়ির মধ্যস্থলে অবন ঠাকুরের মূর্তি। আর বাগান জুড়ে অজস্র গাছ। বেশ কিছু দুষ্প্রাপ্য গাছও রয়েছে। বিষধর সাপের উৎপাতের জন্য জায়গায় জায়গায় রয়েছে বিশেষ  সতর্কবার্তা। এই মূল বাড়িটি ছাড়াও প্রবেশপথে রয়েছে একটি প্রাচীন বাড়ি। যা মূলত ‘অফিসঘর’। অফিসঘর ছাড়াও রয়েছে গ্রন্থাগার, রন্ধনশালা সহ বেশ কয়েকটি ঘর। এই বাড়িটি অতীতে ছিল ‘সার্ভেন্ট কোয়ার্টার’। এখানেই থাকত ঠাকুরবাড়ির ফিটন গাড়ি এবং পালকি। একটি পালকি এখনও সযত্নে রক্ষিত। 
কোন্নগরের বাগানবাড়ি জুড়ে ছিল গাছ আর গাছ। আজও সেই পরিবেশ বজায় রয়েছে। হাজারো পাখির কলতান। আম গাছে ধরেছে আম। বাগানের কাঁঠাল গাছে দেখা গেল কাঁঠাল ধরেছে। অবন ঠাকুরের আমলের সেই গাছ আজও সযত্নে রক্ষিত। এই কাঁঠাল গাছ ঘিরে অবন ঠাকুরের কত স্মৃতি। তিনি লিখছেন-  “উত্তর দিকে মস্ত ছাতার মতো নিচু একটি কাঁঠালগাছ।রাত্রে যখন বিছানায় যেতুম তখনও চলত আমার কল্পনা। নানারকম কল্পনায় ডুবে থাকত মন; স্পষ্ট যেন দেখতে পেতুম সব চোখের সামনে। খড়খড়ির সামনে ছিল কাঁঠালগাছ। জ্যোৎস্না রাত্তির, চাদের আলোয় কাঁঠালতলায় ছায়া পড়েছে ঘন অন্ধকার।”
এই কাঁঠালতলায় কাঠবেড়ালির বিয়ে নিয়ে একটি কল্পনার দৃশ্যকল্প এঁকেছেন অবন ঠাকুর। উনার কথাতেই শোনা যাক- “দিনের বেলায় চাটুজ্যে মশায় বলেছিলেন, আজ রাত্তিরে কাঁঠালতলায় কাঠবেড়ালির বিয়ে হবে। রাত জেগে দেখছি চেয়ে, কাঁঠালতলায় যেন সত্যি কাঠবেড়ালির বিয়ে হচ্ছে, খুদে খুদে আলোর মশাল জ্বালিয়ে এল তাদের বরযাত্রী বরকে নিয়ে, মহা হৈ-চৈ, বাদ্যভাণ্ড, দৌড়োদৌড়ি, হুলুস্থুলু ব্যাপার। সব দেখছি কল্পনায়। কাঁঠালতলায় যে জোনাকি পোকা জ্বলছে তা তখন জ্ঞান নেই।” এই কাঁঠালগাছের তলায় চৌকি পেতে গুনেন্দ্রনাথ গল্পের আসর বসাতেন। 
অবন ঠাকুরের বেশ আনন্দেই দিন কাটত কোন্নগরে। দুপুরবেলা বাগানের কুলগাছ থেকে রেশমি গুটি জোগাড় করতেন। প্রজাপতির পায়ে সুতো বেঁধে ঘুড়ির মত ওড়াতেন।এক নাপিত পোষা কাঠবেড়ালির ছানা এনে দিত। কেউ বা খালি বাবুইয়ের বাসা জোগাড় করে এনে দিত। বহুরূপী এসে নাচ দেখাত। শুধু মজা করেই দিন কাটত না ছোট্ট অবন ঠাকুরের, রীতিমতো পড়াশোনা করতে হত। ঠিক যেভাবে রবি ঠাকুরকে হিমালয়ে নিয়ে গেলেও পিতা দেবেন্দ্রনাথ ছোট্ট রবিকে পড়াতেন।
গোকুলবাবু ছিলেন বাগানবাড়ির গৃহশিক্ষক। বাংলার ইতিহাস মুখস্থ করাতেন। অবন ঠাকুরকে পড়তে হত সিরাজের কাহিনি। গৃহশিক্ষকদের পড়ানোতেই বিষয়টা মিটে যেত এমনটা নয়। গুনেন্দ্রনাথের সামনে ভাইবোনদের সবাইকে পরীক্ষা দিতে হত। আর সেই পরীক্ষায় একবার প্রথম হয়েছিলেন অবনীন্দ্রনাথ। আর ‘ফার্স্ট প্রাইজ’ হিসেবে পেয়েছিলেন ‘বিলিতি অর্গ্যান বাজনা’। এই বাড়িতেই প্রথম গান শিখেছিলেন অবন ঠাকুর। আর সেই গানের কাহিনিটিও বেশ মজার। ‘ব্লাকইয়র’ নামে এক সাহেব ছিলেন কোন্নগরে। তিনি রোজ ঘোড়ায় চড়ে বেড়াতে বের হতেন। আর বেড়িয়ে ফিরবার সময় এক গয়লার বাড়ি গিয়ে গয়লানীর কাছে এক পোয়া করে দুধ খেতেন। আর তা দেখে স্থানীয় পাড়ার লোকে তার নামে গান বেঁধেছিল। গানের সুরটি ছিল এরকম- “হায় রে সাহেব বেলাকর/ আমি গাই দেব তুই বাছুর ধর।” এই গানই সেসময় গাইতেন ছোট্ট অবন ঠাকুর। 
অবন ঠাকুরের ছবি আঁকায় হাতে খড়ি হয়েছিল এই বাগান বাড়িতেই।সেই প্রথম ছবি আঁকার কাহিনি তাঁর লেখা থেকেই জেনে নিই - “সেই সেবার কোন্নগরে আমি কুঁড়েঘর আঁকতে শিখি। তখন একটু আধটু পেনসিল নিয়ে নাড়াচাড়া করি, এটা ওটা দাগি। বাগান থেকে দেখা যেত কয়েকটি কুঁড়েঘর। কুঁড়েঘরের চালটা যে গোল হয়ে নেমে এসেছে, তা তখনই লক্ষ্য করি। এর আগে আঁকতুম কুঁড়েঘর—বিলিতি ড্রইং-বইএ যেমন কুঁড়েঘর আঁকে। দাদাদের কাছে শিখেছিলুম এক সময়ে। বাংলাদেশের কুঁড়েঘর কেমন তা সেইবারই জানলুম, আর এ পর্যন্ত ভুল হল না।”
বাগান বাড়ির ঠিক সামনেই গঙ্গা। আজও একই ভাবে তা দেখা যায়। সুন্দর বাঁধানো ঘাট। গঙ্গার ওপাশে ঠাকুরদেরই আরেকটি বাগানবাড়ি, ‘পানিরহাটি বাগানবাড়ি’ বা ‘পেনেটির বাগানবাড়ি’। যেখানে মাঝেমধ্যে থাকতেন জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর। হাজির হতেন অবন ঠাকুরের প্রিয় ‘রবিকা’, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। অবন ঠাকুরেও যাতায়াত ছিল ওই বাড়িতে।
পিতা গুনেন্দ্রনাথ সাঁতরে গঙ্গার এপার ওপার করতেন। পুত্র অবনীন্দ্রনাথকেও সাঁতার শেখানোর চেষ্টা করতেন পিতা। পিতার নির্দেশে চাকর-বাকরেরা গামছা পরিয়ে অবন ঠাকুরকে জলে ছুঁড়ে দিত। অবন ঠাকুর লিখছেন-”সাঁতার দেব কি, ভয়েই অস্থির। কোনো রকম করে আঁচড়ে পাঁচড়ে পারে উঠে পড়ি।”
গঙ্গার এপার আর ওপারের বাগানবাড়ির যোগসূত্রের একটি মজার কাহিনি রয়েছে। কাহিনির বর্ণনা দিচ্ছেন লেখক এভাবে- “গঙ্গার পশ্চিম পারে আমাদের কোন্নগরের বাগান, ওপারে পেনিটির বাগান, জ্যোতিকাকা মশায় সেখানে আছেন। কোনোদিন এপার থেকে বাবামশায়ের পানসি যায়, কোনোদিন বা ওপার থেকে জ্যোতিকাকামশায়ের পানসি আসে; এমনি যাওয়া আসা। বন্দুকের আওয়াজ করে সিগন্যালে কথা বলতেন তাঁরা।”
একবার যেমন কি হয়েছিল ছেলেকে সাহসী করে তোলার জন্য গুনেন্দ্রনাথ ছেলে অবনের কাঁধে বন্দুক রেখে ফায়ার করেছিলেন। অবন ঠাকুর লিখছেন, “একবার আমায় দাড় করিয়ে আমার কাঁধের উপর বন্দুক রেখে বাবামশায় বন্দুক ছোঁড়েন, পেনিটির বাগান থেকে ওপারে। জ্যোতিকাকামশায় বন্দুকের আওয়াজে তার সাড়া দেন।”
বাগান বাড়ির সামনেই প্রবাহিত গঙ্গার চমৎকার বর্ণনা দিচ্ছেন অবন ঠাকুর। লিখছেন- “আমরা বাগানবাড়ির বারান্দার সিঁড়ির ধাপে বসে থাকতুম গঙ্গার দিকে চেয়ে—সামনেই গঙ্গা। ঠিক ওপারটিতে একটি বাঁধানো ঘাট। চেয়ে থাকি সেই ঘাটের দিকে। লোকেরা চান করতে আসে; কখনও বা একটি দুটি মেয়ের মুখ দরজা খুলে উঁকি মারে, আবার মুখ সরিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। আর দেখি তর্‌তর্‌ করে গঙ্গা বয়ে চলেছে। নৌকো চলেছে পর পর—কোনোটা পাল তুলে, কোনোটা ধীরে, কোনোটা বা জোরে হু-হু করে।”
অবন ঠাকুর লেখার মধ্য দিয়ে ছবি আঁকেন। অবন ঠাকুর বাগানবাড়ি থেকে নিয়মিত গঙ্গা দেখতেন। আর তা দেখার ফলে ছোট্ট অবনের মন চলে যেত এক দূরের দেশে। তিনি এই বাগান বাড়ি থেকে গঙ্গার তিনখানি দৃশ্যকল্প আমাদের উপহার দিয়েছেন। 
যেমন প্রথমত, “যেদিন গঙ্গার উপরে মেঘ করত দেখতে দেখতে আধখানা গঙ্গা কালো হয়ে যেত, আধখানা গঙ্গা সাদা ধবধব করত; সে কি যে শোভা!” 
দ্বিতীয়ত, “গঙ্গার আর এক দৃশ্য, সে স্নানযাত্রার দিনে। দলের পর দল নৌকো বজরা, তাতে কত লোক গান গাইতে গাইতে, হল্লা করতে করতে চলেছে। ভিতরে ঝাড়লণ্ঠন জ্বলছে; তার আলো পড়েছে রাতের কালো জলে।” 
তৃতীয়ত,”যেদিন গঙ্গার উপরে মেঘ করত জেলেডিঙিগুলো সব তাড়াতাড়ি ঘাটে এসে লাগত ঝড় ওঠবার লক্ষণ দেখে। গঙ্গা হয়ে যেত খালি। যেন একখানা কালো সাদা কাপড় বিছানো রয়েছে। এই গঙ্গার দৃশ্য বড় চমৎকার লাগত।”
সেই গঙ্গার ঘাট আজ আর নেই। সামান্য বাঁধানো হয়েছে । আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে চারপাশ। লোহার মজবুত দরজা বসেছে, নিরাপত্তাজনিত কারণে যা তালাবন্ধ। গঙ্গার ওপারে পেনেটির বাগানবাড়ি দৃশ্যমান। ভাবছিলাম, ঠাকুরবাড়ির কায়দায় এপারে-ওপারে বন্দুক না-ই বা চলল কিন্তু যদি নৌকায় চড়ে ওপাশে যাওয়া যেত তো বেশ হত। হয়ত হবে কোনো দিন! 
এই বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের লোকের যাতায়াত ছিল।মাঝে মাঝে বড় জুড়িঘোড়া হাঁকিয়ে আসতেন উত্তরপাড়ার রাজা। গুণেন্দ্রনাথের একটি জুড়িগাড়ি ছিল। এছাড়া ছোটলাট সাহেবের মেমের একটি ছোট্ট টাট্টু ঘোড়ার গাড়ি ছিল। যা কিনেছিলেন গুনেন্দ্রনাথ। গাড়িটি তিনি কিনেছিলেন মেয়ে সুনয়নী ও বিনয়িনীর বেড়াতে বের হওয়ার জন্য। যদিও সেই গাড়িতে অবন ঠাকুরও চড়তেন। আর মাঝেমাঝে বের হতে বেড়াতে। একবার ছোট্ট অবন ঠাকুর বের হয়েছেন তাঁদের ছোট্ট জুড়ি গাড়ি চড়ে বেড়াতে। পথে দেখা উত্তরপাড়ার জমিদারের সাথে। তারপর - “উত্তরপাড়ার রাজার জুড়িগাড়ির সামনে আমার টাটুঘোড়া ভয়ে চোখ বুজে রাস্তার পাশে এসে দাঁড়ায়। জুড়িগাড়ির ভিতরে বসে বৃদ্ধ ডেকে জিজ্ঞেস করেন, ‘কার গাড়ি যায়? কার ছেলে এরা?’ চোখে ভালো দেখতে পেতেন না। সঙ্গে যারা থাকে তারা বলে দেয় পরিচয়। শুনে তিনি বলেন, ‘ও, আচ্ছা আচ্ছা, বেশ, এসেছ তা হলে এখানে। বোলো একদিন যাব আমি।’ তাঁর জুড়িঘোড়া টগবগ করতে করতে তীরের মতো পাশ কাটিয়ে চলে যায়—আমার ছোট্ট টাটুঘোড়া তার দাপটের পাশে খাটো হয়ে পড়ে।” লোকজন তখন মজা করে বলতে শুরু করে- “যেমন ছোট্ট বাবু তেমনি ছোট্ট গাড়ি।”
গুণেন্দ্রনাথ ঠাকুরের আকস্মিক মৃত্যুর পর বাগানবাড়ি ছেড়ে কলকাতায় চলে যান অবন ঠাকুর ও তাঁর পরিবার। বাগানবাড়িতে পড়ে থাকে তাঁদের পোষ্য কুকুর, ঘোড়া, বাঁদর, হরিণ সহ বিভিন্ন জীব। তারপর ঠাকুরবাড়ির যোগাযোগ কমে আসে এই বাড়ির সাথে। দেখতে দেখতে এই বাড়ি ভগ্নদশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। দ্বারকানাথ ঠাকুরের সাধের বাগানবাড়ি অবহেলায় জরাজীর্ণ হয়ে এককোনে পড়ে থাকে।
এই বাড়ির একেবারে পিছনের দিকে রয়েছে একটি মাজার এবং ক্রাইপার সাহেবের সুইমিংপুল।শুকিয়ে যাওয়া সেই সুইমিংপুল আজও দেখতে পাওয়া যায়। উইলিয়াম রিসডন ক্রাইপার সাহেবের হাত ধরে কোন্নগরে নগরায়ন শুরু হল। তিনি নিজে একটি কুঠী বানালেন। তাঁর হাত ধরে এ তল্লাটে কল-কারখানা গড়ে উঠতে শুরু করল । ইংরেজ বাবুদের আনাগোনা বৃদ্ধি পেল। সেই সুবাদে ঠাকুরদের এই বাগানবাড়ি চলে গেল ইংরেজদের দখলে। ইতিহাস বলছে ক্রাইপার সাহেব এই বাড়ি মেরামত করেন। তখন এই বাড়ির লোকমুখে নাম হয় ‘সাহেব কুঠী’। 
শোনা যায়, তারপর একদিন ইংরেজদের কাছেও এই বাড়ির গুরুত্ব কমে আসে। ইংরেজরা এই বাড়ি ছেড়ে চলে গেলে  দীর্ঘদিন এই বাড়ি লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যায়। তার বহু পরে এই বাগানবাড়ি হস্তান্তরিত হয় বাংলাদেশের বিখ্যাত জমিদার ভাগ্যকূল রায় পরিবারের হাতে। যাঁরা কুমোরটুলিতে একসময় জাঁকিয়ে বসেন এবং দুর্গাপুজোর প্রবর্তন করেন। এই রায়দের হাত থেকে বাগানবাড়ি কিনে নেন ব্যবসায়ী লাখোটিয়ারা। দীর্ঘসময় জরাজীর্ণ বাড়িটি ততদিনে কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। খোয়া গেছে অনেককিছু। পরে এই বাড়ি ঘিরে দেখা দেয় বেশ কিছু আইনি জটিলতা। পরে সেই জটিলতা কাটিয়ে বাড়িটি অবশেষে ‘হেরিটেজ’ মর্যাদা পায়। আর এই বাড়িকে নবরূপদানে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করে কোন্নগর পুরোসভা। পুরোসভার উদ্যোগে সেজে ওঠে অবন ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত বাগানবাড়ি, গঙ্গার তীরে একটুকরো শান্তিনিকেতন।
04th  August, 2024
’৪২-এর কলকাতা

‘ব্রিটিশ ভারত ছাড়ো...’ গান্ধীজির ডাকে ১৯৪২ সালের আগস্টে রাস্তায় নেমেছিল কলকাতাও। আম বাঙালির প্রতিবাদের সেই ইতিহাস ফিরে দেখলেন সৌম্যব্রত দাশগুপ্ত। বিশদ

18th  August, 2024
মৃত্যুর মুখোমুখি

কারাগারের নিস্তব্ধতা চিরে ছুটে আসছে শব্দ। মুজফ্‌ফরপুর জেলের কোনায় কোনায় তখনও জমাট বাঁধা অন্ধকার। কনডেমড সেলের মেঝেয় চুঁইয়ে পড়েছে সামান্য আলোর রেখা। সেই আলোয় স্পষ্ট দূরের অন্ধকারে শক্ত কাঠের পাটাতনে দুলতে থাকা মরণ-রজ্জু। বিশদ

18th  August, 2024
বেগম, কন্যা ও রবীন্দ্রনাথ
সমৃদ্ধ দত্ত

‘ম্যাডাম, আমাদের সোর্স খুব কিন্তু কনফার্মড! খুব ডেলিকেটও। বাইরে এই খবরটা চলে গেলে সমস্যা হবে।’ বললেন আর এন কাও। রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (র)-এর প্রধান জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে। কী করা উচিত? ম্যাডাম হলেন প্রধানমন্ত্রী। ইন্দিরা গান্ধী চিন্তিত মুখে বললেন, ‘তাহলে আমাদের কোনও অফিসারকে এর মধ্যে ইনভলভ করার দরকার নেই। আপনি নিজেই যান।’ 
বিশদ

11th  August, 2024
পদ্মাপারে চীনের ফুটপ্রিন্ট

আমেরিকাকে ‘সবক’ শেখাতে শেখ হাসিনা জড়িয়ে ধরেছিলেন চীনকে। তাঁর শেষ চীন সফর—৮ জুলাই।বেজিংয়ের জন্য বাংলাদেশের দুয়ার হাট করে খুলে দিয়েছিলেন হাসিনা।
বিশদ

11th  August, 2024
রং কই রং দাও? গুরুর আদেশ! রং তুলি নিয়ে বসলেন নন্দলাল। তারপর..? 
সুশোভন অধিকারী, প্রাক্তন কিউরেটর নন্দন, কলাভবন বিশ্বভারতী শান্তিনিকেতন 

শিল্পী অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনেক সত্ত্বা ছিল। তিনি যেমন কড়া শিক্ষক, তেমনই ছিলেন ছাত্র অন্তঃপ্রাণ। শিল্পের জন্যই তিনি নিবেদিত ছিলেন। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তাঁর কাকা-ভাইপোর সম্পর্ক। বয়সের ব্যবধান মাত্র ১০ বছর। কিন্তু, লেখায় রবীন্দ্রনাথ, আঁকায় অবন ঠাকুর, এ এক অদ্ভুত মেলবন্ধন। বিশদ

04th  August, 2024
উত্তমপুরুষ: সিঁড়ি থেকে নামার সময় মাথা ঘুরে পড়ে গেলেন উত্তমদা
রঞ্জিত মল্লিক

উত্তম কুমারের সঙ্গে আমার গোটা পাঁচেক ছবি করার সৌভাগ্য হয়েছিল। প্রথম ছবি ছিল ‘মৌচাক’। আর শেষ ছবি ‘ওগো বধু সুন্দরী’। প্রথমেই একটা কথা বলে রাখা ভালো, আমি এরকম সারা ভারতে দেখিনি। পৃথিবীতেও আর কোথাও আছে কিনা জানি না। বিশদ

28th  July, 2024
উত্তমপুরুষ: হাত নাড়তে নাড়তে ইডেনে নামলেন উত্তম জেঠু 
শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়

বাবার (শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়) সঙ্গে যখন উত্তম কুমার কাজ করছেন, আমি তখন খুবই ছোট। কাজেই উত্তম কুমার কী, কেন, সেই বিষয়ে আমার কোনও আগ্রহই ছিল না। বিশদ

28th  July, 2024
ট্রাম্প ফিভার!
মৃণালকান্তি দাস

১৯৮১ সালের ৩০ মার্চ। আমি থেরাপিস্টের অফিসে বসে রয়েছি। একটু পরেই আমার শরীরে থেরাপি দেওয়া হবে। আচমকা এক সিক্রেট সার্ভিস এজেন্ট হুড়মুড় করে দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকলেন। প্রথমে আমি খুবই রেগে গিয়েছিলাম। আমি ভাবলাম, ‘লোকটা আর সময় পেল না! আমার থেরাপি সেশনে ফট করে ঢুকে পড়ল?’ বিশদ

21st  July, 2024
ট্রাম্প জিতলে হারবে আমেরিকা!

আমেরিকার রিপাবলিকান দলের নেতা রোনাল্ড রেগ্যান সম্পর্কে বাজারে একটি গল্প প্রচলিত আছে। রেগ্যান ছিলেন বি-মুভির সাধারণ এক অভিনেতা। বরাতজোরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর নাকি একদিন হোয়াইট হাউসে ঘুম থেকে উঠে স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘ন্যান্সি, আমি কি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়েছি, না ওই ভূমিকায় অভিনয় করছি?’ বিশদ

21st  July, 2024
অস্তরাগ
সোমনাথ বসু

সেই কবে মুকুল দত্ত লিখেছিলেন, ‘চোখের জলের হয় না কোনও রং, তবু কত রঙের ছবি আছে আঁকার...’। সত্যি, মনের কত ক্যানভাস ভিজেছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর।
বিশদ

14th  July, 2024
তারার জন্ম
সৌগত গঙ্গোপাধ্যায়

‘দিস টাইম ফর মরক্কো!’ — গানে গমগম করছে বার্সেলোনা শহর থেকে ৪০ কিমি দূরের রোকাফন্দা অঞ্চল। সেই সঙ্গে বাজির আওয়াজে কান পাতা দায়। অথচ, ২০২২ সালের ৬ ডিসেম্বরের সেই রাত স্পেনের কাছে অভিশপ্ত।
বিশদ

14th  July, 2024
জয় জগন্নাথ
সুমনা সাহা

রথ বললেই মনে যে ছবি ভেসে ওঠে, তা একটা ছাদ-খোলা ঘোড়ার গাড়ির মতো। তার উপরে বিমর্ষ মুখে বসে আছেন মধ্যম পাণ্ডব অর্জুন। কাঁধ থেকে খসে পড়েছে গাণ্ডীব। তাঁর সামনে সারথি রূপে শ্রীকৃষ্ণ। পার্থকে কৃষ্ণ শোনাচ্ছেন ‘উত্তিষ্ঠত জাগ্রত’ বাণী। বিশদ

07th  July, 2024
রথচক্র

রথের জন্য চাই নিম ও হাঁসি গাছের কাঠ। মন্দির কমিটি প্রথমে বনদপ্তরের কাছে খবর পাঠায়। তারপর জঙ্গলে প্রবেশ করেন পুরোহিতরা। পুজো করা হয় নির্দিষ্ট গাছগুলিকে। সেই পর্ব শেষে সোনার কুড়ুল জগন্নাথদেবের চরণে স্পর্শ করিয়ে গাছ কাটার শুরু। বিশদ

07th  July, 2024
মাসির বাড়ির অজানা কথা

পোশাকি নাম অর্ধাসিনী মাতা। তবে সর্বজনের কাছে তার পরিচিতি ‘মৌসি মা’ বা ‘মাসি মা’ বলে। রূপে অবিকল সুভদ্রা দেবী। পুরীর এই অর্ধাসিনী দেবী সম্পর্কে জগন্নাথদেবের মাসি। বিশদ

07th  July, 2024
একনজরে
ইস্কো কারখানার সম্প্রসারণ নিয়ে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের জনশুনানিতে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কর্মসংস্থান না দেওয়া, এলাকার উন্নয়ন না করা সহ একাধিক অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন কারখানা সংলগ্ন এলাকার মানুষজন। ...

রপ্তানি ক্ষেত্রে পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির খনিজ ও আকরিকের উপর নির্ভরশীলতা কাটিয়ে ওঠার পক্ষে সওয়াল করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। মঙ্গলবার শহরে সিআইআই আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, পূর্ব ভারতের উন্নয়নে কেন্দ্র আলাদা বাজেট বরাদ্দ করেছে। ...

প্রতিবেশী মহিলার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে এক তৃণমূল নেতাকে ঘেরাও করল ক্ষুব্ধ জনতা। মেখলিগঞ্জ ব্লকের চৌরঙ্গি এলাকায় এই নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। তৃণমূলের চ্যাংরাবান্ধা অঞ্চল সভাপতি জছিরুদ্দিন মহম্মদ ওরফে খাটোকে গ্রামবাসীদের একাংশ ঘেরাও করে রাখেন। ...

অনিয়মিত রেল চলাচল, বিভিন্ন রেল স্টেশনের উন্নতিকরণ সহ একাধিক দাবিতে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর রেল অবরোধের ডাক দিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া-জকপুর প্যাসেঞ্জার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পুজোপাঠে ও সাধুসঙ্গে মানসিক শান্তিলাভ। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর কর্মোন্নতি ও উপার্জন বৃদ্ধি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব বরিষ্ঠ নাগরিক দিবস
১৬১৩- বারো ভূঁইয়াদের অন্যতম ঈশা খাঁর মৃত্যু
১৯০৮ - ভারতীয় বাঙালি বিজ্ঞানী তথা কৃষিতে জৈব সার ব্যবহারের পথিকৃৎ পরমনাথ ভাদুড়ীর জন্ম
১৯১১- লিওনার্দো দা ভিঞ্চির  মোনালিসা ছবিটি লুভারস মিউজিয়াম থেকে চুরি হয়ে যায়
১৯৩১- গায়ক বিষ্ণু দিগম্বর পালুসকরের মৃত্যু
১৯৭২- বন সংরক্ষণ আইন চালু হল
১৯৭৮- ভিনু মানকড়ের মৃত্যু
১৯৭৮- অভিনেত্রী ভূমিকা চাওলার জন্ম
১৯৮৬- জামাইকার স্প্রিন্টার উসেইন বোল্টের জন্ম
১৯৯৫- ভারতের নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী সুব্রহ্মণ্যম চন্দ্রশেখরের মৃত্যু
২০০৬- বিশিষ্ট সানাইবাদক ওস্তাদ বিসমিল্লা খানের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৪ টাকা ৮৪.৭৮ টাকা
পাউন্ড ১০৭.১৪ টাকা ১১০.৬৮ টাকা
ইউরো ৯১.৩৫ টাকা ৯৪.৫৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭১,৯৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৩০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৫,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৫,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ ভাদ্র, ১৪৩১, বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০২৪। দ্বিতীয়া ২৯/৩০ অপরাহ্ন ৫/৭। পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্র ৪৮/৮ রাত্রি ১২/৩৪। সূর্যোদয় ৫/১৯/১৬, সূর্যাস্ত ৬/০/১৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/০ মধ্যে পুনঃ ৯/৩৩ গতে ১১/১৪ মধ্যে পুনঃ ৩/২৮ গতে ৫/৯ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪৫ গতে ৯/১ মধ্যে পুনঃ ১/৩৩ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৬ গতে ৩/২৮ মধ্যে। রাত্রি ৯/১ গতে ১০/৩১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৯ গতে ১০/৪ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৯ গতে ১/১৪ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৩০ গতে ৩/৫৫ মধ্যে। 
৪ ভাদ্র, ১৪৩১, বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০২৪। দ্বিতীয়া রাত্রি ৮/১৬। শতভিষা নক্ষত্র দিবা ৬/২৬ পরে পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/৫১। সূর্যোদয় ৫/১৮, সূর্যাস্ত ৬/৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ৯/৩০ গতে ১১/৮ মধ্যে ও ৩/১৩ গতে ৪/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৪৮ মধ্যে ও ১/৩০ গতে ৫/১৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৩৫ গতে ৩/১৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৪৮ গতে ১০/২২ মধ্যে। কালবেলা ৮/২৯ গতে ১০/৫ মধ্যে ও ১১/৪১ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৯ গতে ৩/৫৪ মধ্যে। 
১৬ শফর।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
২০৭ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স

01:57:35 PM

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নতুন সুপার হলে সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়

11:01:43 PM

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নতুন অধ্যক্ষ হলেন ডাঃ মানস বন্দ্যোপাধ্যায়

10:46:34 PM

আর জি কর কাণ্ড: আন্দোলনরত ডাক্তারি পড়ুয়াদের দাবি মেনে চার আধিকারিককে বদলি করল স্বাস্থ্য ভবন

10:41:39 PM

অন্ধ্রপ্রদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থায় বিস্ফোরণ: উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর

10:05:02 PM

অন্ধ্রপ্রদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থায় বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫

10:02:32 PM