Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

আমজনতার মহাকাশযাত্রা
উপাসনা দাশগুপ্ত

দিনটা শনিবার। বিকেল ৩টে ২২ মিনিট। কম্পিউটারে ইউটিউব খুলে স্পেস এক্সের লঞ্চ দেখছি। টানটান উত্তেজনা। লঞ্চ সফল হবে তো! মহাকাশ যাত্রায় এবার যেহেতু দু’জন মহাকাশচারী রয়েছেন, তাই ব্যাপারটা যেমন রোমাঞ্চকর, তেমনই খারাপ কিছু ঘটলে ভয়ানকও বটে। বিশেষ করে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর বিষয়টা এতদিন পর্যন্ত সেই দেশের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের হাত ধরেই হতো। এই অভিযানে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা থাকলেও, এই প্রথম মহাকাশেমানুষ পাঠানোর দায়িত্বে রয়েছে একটি বেসরকারি সংস্থা। তাই উত্তেজনা নয়, মনের মধ্যে ভয়টাই বারবার জাঁকিয়ে বসছিল। মনে পড়ে যাচ্ছিল ২০০৩ সালের সেই ঘটনা। একটা দুর্ঘটনা দেশের মহাকাশ গবেষণাকে কোথায় নিয়েচলে যেতে পারে, তার জলজ্যান্ত উদাহরণ কলম্বিয়া মহাকাশযান। পৃথিবীতে ফেরার পথে মাটি ছোঁয়ার আগেই আকাশেই ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল সেটি। যে সাতজন মহাকাশচারী মারা গিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে একজন ভারতের অত্যন্ত প্রিয় কল্পনা চাওলা। শোকের ছায়া নেমে এসেছিল পৃথিবীজুড়ে। এই দুর্ঘটনার পরই তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ ঘোষণা করে দেন, যত দ্রুত সম্ভব তাঁদের মহাকাশযান ‘স্পেস সাটল’কে বন্ধ করে দেওয়া হবে।২০১১ সালে চূড়ান্তভাবে প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ বন্ধ করতে সময় লাগলেও, ওই ঘটনার পর মার্কিন ভূখণ্ড থেকে সাম্প্রতিক ‘স্পেস এক্স’ অভিযানের আগে কাউকে মহাকাশে পাঠানো হয়নি। বদলে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে তাদের রকেটের মাধ্যমে মহাকাশে বিজ্ঞানী পাঠানো শুরু করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ফলে থমকে গিয়েছিলমার্কিন মাটি থেকে মহাকাশে পৌঁছনোর স্বপ্ন।স্পেস শাটল বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি নাসার আর্থিক অনুদানেও অনেক কাটছাঁট করে মার্কিন কংগ্রেস। তাই স্পেস এক্সকে ঘিরে ভয়, উত্তেজনার সঙ্গে স্বপ্নও অনেক ছিল। কিন্তু এই অভিযান সফল হওয়ায় এবার মহাকাশযাত্রার জন্য স্বপ্ন দেখা শুরু করতেই পারেন আমজনতা।
২০১১ সালে স্পেস শাটল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রথেকে বিজ্ঞানীদের আনা এবং এখান থেকে তাঁদের মহাকাশে পাঠানোর জন্য রাশিয়ার সহযোগিতা নেওয়া ছাড়া আমেরিকার কাছে কোনও বিকল্প ছিল না। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রাশিয়াও আমেরিকার থেকে বিপুল টাকা নেয় এই অভিযানগুলোতে। তবে স্পেস এক্সের সাফল্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে নয়া হাতিয়ার এনে দিল। কারণ, আর অন্য দেশের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না নাসাকে। অনেক কম খরচেই নিজেদের মহাকাশচারীদের যাতায়াত করাতে পারবে তারা।
নাসার আর্থিক টানাপোড়েনের মাঝেই বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা মহাকাশ নিয়ে নিজেদের আগ্রহ দেখাতে শুরু করেছিল। তার মধ্যেই স্পেস এক্সের উত্থান বেশ নজরকাড়া। আরও একাধিক কোম্পানি সেই দৌড়ে শামিল হওয়ার লড়াই চালাচ্ছে। তবে আমেরিকায় মহাকাশ গবেষণা বা ব্যবসায় বেসরকারি সংস্থার অন্তর্ভুক্তি এই প্রথম নয়। ১৯৫৭ সালে স্পুটনিক উৎক্ষেপণের পরপরই, বেসরকারি সংস্থার অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গকে সামনে রেখে মহাকাশ যাত্রার একটি আন্তর্জাতিক আইন ঠিক করার দাবি উঠতে শুরু করে। আলোচনার টেবিলে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রথম থেকেই দাবি তুলতে থাকে, মহাকাশে কাজ করার এক্তিয়ার একমাত্র দেশের সরকারি মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রেরই থাকবে। উল্টোদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বারবার বোঝাতে থাকে বেসরকারি সংস্থারও এই ক্ষেত্রে এগিয়ে আসাটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। শেষ পর্যন্ত দুই যুযুধান পক্ষ সিদ্ধান্ত নেয়, বেসরকারি সংস্থাও মহাকাশ যাত্রায় আসতে পারবে, তবে তার সমস্ত দায়-দায়িত্ব সেই সংস্থার দেশকেই বহন করতে হবে। এছাড়াও, মহাকাশে কোনও দেশের কৃত্রিম উপগ্রহ বেসরকারি সংস্থা প্রেরিত কৃত্রিম উপগ্রহের কারণে নষ্ট বা ধ্বংস হয়ে গেলে, সংস্থাটি যে দেশের সেই দেশকে দায়ভার গ্রহণ করতে হবে। ১৯৫৯ সাল থেকে শুরু হওয়া এই আলোচনা শেষ পর্যন্ত রূপ পায় ১৯৬৭ সালে। তৈরি হয়, আউটার স্পেস ট্রিটি বা বহির্বিশ্ব চুক্তি। অনেকেই একে মহাকাশ যাত্রার সংবিধান বলে আখ্যা দিয়ে থাকেন। যদিও পরবর্তী সময়ে এই চুক্তিতে বহু রদবদল করার কথা চলছে।
এরপর থেকে ধীর গতিতে হলেও মহাকাশ গবেষণা এবং যাত্রায় বেসরকারি সংস্থার অনুপ্রবেশ অব্যাহত ছিল। ২০০০ সালের পর তা গতি পায়। এই মুহূর্তে যে সংখ্যক বেসরকারি সংস্থা এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হয়ে আছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও তা প্রথমে ভাবেনি। তাই অনেক ক্ষেত্রেই আপত্তি উঠেছে। ঠিক যেমনটা জানিয়েছিলেন চাঁদে পদার্পণকারী প্রথম মানুষ নিল আর্মস্ট্রং। ২০১০ সালে মার্কিন কংগ্রেসে এক বক্তৃতার সময় বলেছিলেন, ‘মহাকাশ বাণিজ্যে লাভের মুখ দেখে অনেক বেসরকারি সংস্থা ঝাঁপিয়ে পড়ছে। এটা একেবারেই কাম্য নয়। মহাকাশ যাত্রা এবং গবেষণায় নাসারইএকমাত্র থাকা উচিত।’ তবে এখন বোধহয় অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। মহাকাশ যাত্রায় বেসরকারি সংস্থার প্রবেশ এখন আর কোনওভাবেই রোখা সম্ভব নয়। বিশেষ করে স্পেস এক্সের সাফল্য এবং আর্থিক সমৃদ্ধি আরও অনেক সংস্থাকে এই ব্যবসায় টেনে আনবে। তথ্য বলছে, ২০১৭ সালে গোটা বিশ্বে মহাকাশ অর্থনীতির মূল্য ছিল ৩৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যার মধ্যে মাত্র এক চতুর্থাংশ সরকারি অবদান, বাকি পুরোটাই বেসরকারি।
বর্তমানে মহাকাশ বাণিজ্যে সবথেকে এগিয়ে রয়েছে স্পেস এক্স। ২০০২ সালে যাত্রা শুরু করেছিল এই সংস্থা। প্রচারের আলোয় আসে শুধুমাত্র একটা বিজ্ঞাপনেই। স্পেস শাটল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ২০১২ সালে স্পেস এক্স বিজ্ঞাপন দিয়ে জানায়, তারা ৫৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচে মহাকাশে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে সক্ষম। সেই সময় বাণিজ্যিক উপগ্রহ উৎক্ষেপণে অগ্রণী সংস্থা ছিল এরিয়ান স্পেস। তারা ১৩৭ মিলিয়ন ডলার নিত মহাকাশে পাঠাতে। তার থেকে অনেক কম খরচে মহাকাশ যাওয়ার লোভনীয় অফার দিয়ে সকলকে তাক লাগিয়ে দেয় স্পেস এক্স। ‘এত কম খরচে স্পেস এক্সের রকেট মহাকাশে আদৌ মহাকাশে পৌঁছবে তো?’ এই প্রশ্ন উঠলেও, কয়েকজন স্পেস এক্সের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে দেয়। তাদের যাত্রাও শুরু হয়ে যায়। একের পর এক সাফল্য স্পেস এক্সের লোভনীয় বিজ্ঞাপনকে শক্তিশালী করে তোলে। সকলে জানতে পারে, স্পেস এক্স পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্রযুক্তিতে রকেট তৈরি করছে। তাই তারা এত কম খরচে উৎক্ষেপণ করতে পারছে। এরপর থেকে এরিয়ান স্পেস সহ বিভিন্ন দেশীয় উৎক্ষেপণ সংস্থাগুলি (রাশিয়া সহ) উৎক্ষেপণের খরচ কমাতে থাকে। তবে স্পেস এক্সের ধারেকাছে পৌঁছতে পারেনি কেউ। মহাকাশ যাত্রার বাণিজ্যকরণে স্পেস এক্সকে রীতিমতো পাল্লা দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল ইংল্যান্ডের ওয়ান ওয়েব।তবে কয়েকবছরের মধ্যেই তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শোনা যাচ্ছে একাধিক সংস্থা ওয়ান ওয়েবকে কিনে নিয়ে প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে। তবে তা আদৌ কতটা সফল হবে, তা সময়ই বলবে।
স্পেস এক্স আর একটা প্রকল্প হাতে নিয়েছে, নাম ‘স্টারলিঙ্ক’। যোগাযোগ ব্যবস্থায় আগামী কয়েকবছরে আরও বড় বিপ্লব ঘটাতে ৪০ হাজারের বেশি কৃত্রিম উপগ্রহকে মহাকাশে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে ৪০০ কৃত্রিম উপগ্রহ ইতিমধ্যে পাঠানো হয়ে গিয়েছে। যদিও এই পরিমাণ কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠালে সেখানকার অবস্থা কী হবে, তা নিয়ে বিশ্বজুড়েই এখন আলোচনা তুঙ্গে।
মহাকাশ যাত্রার দৌড়ে যেহেতু প্রথম থেকেই বেসরকারি সংস্থাগুলির পাশে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তাই সংস্থাগুলিও সর্বদা হাত তুলে আমেরিকাকে সমর্থন দিচ্ছে। সেই সমর্থনের জোরেই এবার আমেরিকার নজরে মহাকাশের বিভিন্ন গ্রহ, গ্রহাণুতে থাকা খনিজ সম্পদের বিপুল ভাণ্ডার। তা খনন করে পৃথিবীতে আনার প্রযুক্তি পৃথিবীর কোনও দেশের কাছে এখনও নেই। কিন্তু চেষ্টা চালাচ্ছে প্রতেক্যেই। তাই ২০১৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজের দেশে একটা আইন পাশ করে এরকম একাধিক সংস্থাকে এই কাজ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করে। ২০২০ সালের শুরুর দিকে আমেরিকায় এই সংক্রান্ত আরও একটা আইন পাশ হয়। তাতে বলা হয়েছে, বহির্বিশ্ব থেকে খনিজ বস্তু আনা সম্পূর্ণ আইনসিদ্ধ। এর পরপরই ইউরোপের ছোট্ট দেশ লুক্সেমবার্গ, ধনকুবের আরব আমিরশাহী সহ একাধিক দেশ এবিষয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। মুন এক্সপ্রেস, আইএস স্পেস, প্ল্যানেটারি রিসোর্স নামক একাধিক কোম্পানি যোগ দিয়েছে এই পরিকল্পনায়। এখানে বলে রাখা ভালো, এই কার্যকলাপ ‘আউটার স্পেস ট্রিটি’ অনুযায়ী কতটা সঠিক, তা নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। ফলে একাধিক দেশ নিজেদের মধ্যে আলোচনা শুরু করেছে।
মহাকাশ দৌড়ে বেসরকারি সংস্থাগুলির আরও একটা বিষয় নজরে এসেছে। তা হল কিউবস্যাট প্রকল্প। একটা কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠাতে বিভিন্ন কোম্পানি বা দেশকে দু’-তিন বছরেরও বেশি অপেক্ষা করতে হয়। রীতিমতো লাইন দিয়ে অপেক্ষা করা যাকে বলে। কারণ কৃত্রিম উপগ্রহ বানাতে কয়েকবছর সময় লেগে যায়। ‘প্ল্যানেট’ নামক একটি সংস্থা এই সমস্যার সমাধান করতে চাইছে। তাদের পরিকল্পনা, তারা একটা বড় কৃত্রিম উপগ্রহের ছোট সংস্করণ বানাবে। যা খুব কম সময়ে তৈরি সম্ভব। আর তা অনায়াসে অন্য কোনও দেশের বড় উপগ্রহের সঙ্গে পাঠিয়ে দেওয়া যাবে। ফলে বিশ্বের ছোট ছোট কোম্পানিগুলোও নিজেদের কাজের মতো করে কৃত্রিম উপগ্রহ তৈরি করে মহাকাশে পাঠাতে পারবে।
এছাড়া মহাকাশ ভ্রমণেরও একটা দিগন্ত খুলতে চলেছে আগামীদিনে। যেমন অনেকে দার্জিলিং, সিমলাঘুরতে যাচ্ছেন। আর্থিকভাবে আরও সবলরা বিদেশে ঘুরতে যাচ্ছেন। তার বদলে, তাঁরাই এবার মহাকাশে ঘুরতে যাবেন। তবে তা হবে মহাকাশের ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে। ফলে সাধারণ মহাকাশ মিশনের সঙ্গে এর সংঘাত হওয়ার কোনও রাস্তা নেই এবং তুলনামূলকভাবে সস্তাও বটে। কিন্তু সস্তা মানে কতটা, সেটা এখনই চর্চা করার সময় আসেনি। তবে ব্লু অরিজিন, ভার্জিন গ্যালাকটিকের মতো একাধিক বেসরকারি সংস্থা এই মহাকাশ ভ্রমণ প্রকল্পকে বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। তাই আগামীদিনে প্রতিযোগিতা আরও বাড়বে বলাই যায়। তাই অদূর ভবিষ্যতে না হলেও, একটা সময়ের পর এই কম খরচে মহাকাশ ভ্রমণের বিভিন্ন ‘অফার’ নিয়ে ঘুরবে সংস্থাগুলি।
এবার প্রশ্ন উঠছে, মহাকাশ নিয়ে যখন এত কিছু হচ্ছে তাহলে মঙ্গলগ্রহ বা চাঁদে ঘর-বাড়ি বানানোর কাজ এখনও কেন সফল হচ্ছে না? এর পিছনে দু’টি কারণ রয়েছে। প্রথমত কোনও দেশ বা কোম্পানির কাছে এই মুহূর্তে ভিন গ্রহে বসতি গড়ে তোলার প্রযুক্তি নেই। দ্বিতীয়ত, আউটার স্পেস ট্রিটি। ওই ট্রিটি অনুযায়ী, একটা দেশ বা কোম্পানি অথবা কেউ ব্যক্তিগতভাবে ভিন গ্রহে আধিপত্য খাটাতে পারবে না। তবে ‘মার্স-ওয়ান’-এর মতো ডাচ কোম্পানি এই কাজ করবে বলে অনেকদিন আগে বিজ্ঞাপন করেছিল। এমনকী এর আগেও বহু কোম্পানি চাঁদের জমি বিক্রি বা বাড়ি তৈরির ‘অফার’ও দিয়েছিল। তা কতটা আইনসম্মত, তা নিয়ে চর্চা চলতেই পারে। কিন্তু জানিয়ে রাখা ভালো, এগুলি একটাও আইনসম্মত নয়।
ভারতেও মহাকাশ নিয়ে বেসরকারি সংস্থার কার্যকলাপ শুরু হয়ে গিয়েছে। ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে স্পেস এক্সে করে ভারতের প্রথম সম্পূর্ণ বেসরকারি কৃত্রিম উপগ্রহ এক্সসিড স্যাট-১ পাঠায় স্যাটেলাইজ (তখন নাম ছিল এক্সসিড স্পেস) নামক একটি কোম্পানি। এরপরে ওই কোম্পানি আরও উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছে। ভারতও ইদানিংকালে বেসরকারি সংস্থাকে উৎসাহ দিচ্ছে। এদের কার্যকারিতাকে আরও উৎসাহিত করতেই ২০১৭ সালে তৈরি হওয়া ‘স্পেস অ্যাক্টিভিটিস বিল’-এর খসড়া ইতিমধ্যে ভারতের সংসদে পেশ হয়েছে। তবে তা এখনও পাশ হয়নি। তবে যেভাবে বিভিন্ন দেশের বেসরকারি কোম্পানি এই দৌড়ে নেমে পড়েছে, তাতে ভারতও যে খুব বেশিদিন হাত গুটিয়ে থাকবে না, তা বলাই যায়।
তবে সর্বশেষে আরও একবার বলতে চাই কলম্বিয়া মহাকাশযানের পরিণতির পুনরাবৃত্তি আমরা কেউ চাই না। তাই বেসরকারি সংস্থার মহাকাশ যাত্রা নতুন দিগন্ত যেমন খুলে দেবে, সেই সঙ্গেবিপদের সংকেত ভুললেও চলবে না। তাই প্রত্যেকটি দেশের সরকারকে এবিষয়ে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। তবেই সফল হবে মহাকাশে পৌঁছনোর জন্য আমআদমির স্বপ্ন।
লেখক পিএইচডি স্টুডেন্ট এবং রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট, ইনস্টিটিউট অব এয়ার অ্যান্ড স্পেস ল, ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটি এবং এরিন জে সি আর্সেনো ফেলো  
07th  June, 2020
খড়্গপুর প্ল্যাটফর্মে আর নেই সুশান্ত... 

সোহম কর: সুশান্ত সিং রাজপুতকে তখনও মানব নামেই বেশি চেনে খড়্গপুর... সৌজন্যে ‘পবিত্র রিস্তা’। সেই মানব টিকিট কালেক্টরের পোশাকে খড়্গপুর স্টেশনে। সবাই তো অবাক! তারপর বোঝা গেল, মহেন্দ্র সিং ধোনির বায়োপিকের শ্যুটিংয়ে এই মফস্সল শহরে এসেছেন সুশান্ত। 
বিশদ

05th  July, 2020
ভালো থেকো সুশ 

কৃতী শ্যানন: সুশ, জানতাম মেধাবী মন ছিল তোমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু, আর সবচেয়ে বড় শত্রুও... কিন্তু একটাই কথা ভেবে আমার ভেতরটা চুরমার হয়ে যাচ্ছে... এমন একটা মুহূর্ত তোমার জীবনে কীভাবে এল যে, বেঁচে থাকার বদলে মৃত্যুটাই সহজ বলে মনে হল! বারবার মনে হচ্ছে ‘ওই মুহূর্তে’ যদি তোমার পাশে কয়েকজন ভালো মানুষ থাকত... যদি তুমি তোমার ভালোবাসার লোকগুলোকে দূরে না সরিয়ে দিতে...  
বিশদ

05th  July, 2020
তোমাকে মিস করব 

শ্রদ্ধা কাপুর: যা ঘটেছে মেনে নিতে পারছি না। এক গভীর শূন্যতা... সুশান্ত! প্রিয় সুশ...! নম্রতা, বুদ্ধিমত্তা... জীবন সম্পর্কে অদম্য কৌতূহল। সবখানে খুঁজে নিত সুন্দরকে। সেটে ওর সঙ্গে দেখা হওয়ার অপেক্ষায় থাকতাম, ভাবতাম আজ না জানি নতুন কী চমক আছে!
বিশদ

05th  July, 2020
অচেনা তারা 

অন্বেষা দত্ত: আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। কখনও আলাপ হওয়ার সুযোগ হয়নি। সেই আক্ষেপটা আজীবন রয়েই যাবে। তবে সে কথা এখন থাক। আপনি এখন এ পৃথিবীর কেউ নন। কোনওদিন ছিলেন কি?  
বিশদ

05th  July, 2020
স্বামীজির শেষদিন
শংকর

স্বামীজি বলতেন, ‘শরীরটা কিছু নয়, কিন্তু এই শরীরের দ্বারাই তাঁকে লাভ করতে হবে।’ কর্মই ছিল তাঁর ঈশ্বরলাভের পথ। আর কর্মকাণ্ডের বারিধারায় মহাবিশ্বকে সজল করে আচমকা সেই শরীরই ত্যাগ করেছিলেন তিনি। ৪ জুলাই, ১৯০২... ফিরে দেখা স্বামী বিবেকানন্দের শেষের সেদিন।
বিশদ

28th  June, 2020
 নরেনের ঘুড়ি
সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়

 স্বামীজি যখন প্রথম দক্ষিণেশ্বরে শ্রীরামকৃষ্ণের কাছে এলেন, তার অনেক আগে থেকেই তিনি ইউরোপীয় দর্শনশাস্ত্র ঘাঁটাঘাঁটি শুরু করেছেন। উদ্দেশ্য— তিনি খুঁজছেন, এই পৃথিবী ও পৃথিবীর মানুষ এবং জীব জগৎ এল কোথা থেকে। এই জগতের স্রষ্টা কে! আরও কৌতূহল— সাধারণ মানুষ যে ভগবানের কথা বলে, সেই ভগবান কে? তাঁর দর্শন কি পাওয়া যায়! বিশদ

28th  June, 2020
নব নীলাচল মাহেশ 

এবার মন্দিরের ধ্যানঘরে মাসির বাড়ি তৈরি করে জগন্নাথদেবকে নিয়ে যাওয়া হবে। লিখেছেন গুঞ্জন ঘোষ।  বিশদ

21st  June, 2020
অনলাইনে ইসকনের রথোৎসব 

এই প্রথমবার কলকাতার রাজপথ পরিক্রমণ করবে না ইসকনের রথ। করোনার সংক্রমণের জন্য এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসকন কর্তৃপক্ষ। খবরে স্নেহাশিস সাউ।  
বিশদ

21st  June, 2020
জয় প্রভু জগন্নাথ 

তিনি জগন্নাথ। জগতের নাথ। জগতের শুভ অশুভ, দুঃখ সুখ, প্রলয় শান্তি, বিপর্যয় সৃষ্টি সব কিছুর নিয়ন্তা তিনি। তিনি চাইলে নিমেষে বদলে যায় জীবন। তাঁর ইচ্ছেতেই মহামারী শেষে ফিরে আসবে নতুন ভুবন। সেই বিশ্বাস আঁকড়ে ধরেই আসন্ন রথযাত্রার পুণ্যলগ্নে প্রভু জগন্নাথকে বন্দনার আয়োজন। 
বিশদ

21st  June, 2020
শত হেমন্ত সুরে

পথ হারাবেন বলেই হয়তো তিনি সুরের পথে নেমেছিলেন। কিন্তু তাঁর গায়কী ও সুরসৃষ্টিতে বাঙালি মাত্রই খুঁজে পান পথের সন্ধান— তিনি হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। আর দু’দিন পর অর্থাৎ ১৬ জুন তাঁর জন্মশতবর্ষ। সেই বিশেষ দিনটিকে স্মরণে রেখে আরবসাগরের পার থেকে সঙ্গীত জগতের এই দুরন্ত ঘূর্ণির স্মৃতিচারণা করলেন নায়ক বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং অভিনেত্রী তথা এই কিংবদন্তি শিল্পীর পুত্রবধূ মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। শুনলেন অয়নকুমার দত্ত।
বিশদ

14th  June, 2020
এক নজরে স্পেস এক্স 

মঙ্গলগ্রহে চাষাবাদ করার লক্ষ্য নিয়ে ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করেছিল পৃথিবীর প্রথম সবথেকে সফল বেসরকারি মহাকাশ সংস্থা। নাম ছিল ‘মার্স ওয়েসিস’। কিন্তু, একবছরের মধ্যেই সংস্থার প্রধান এলন মাস্ক বুঝতে পারেন এই কাজ করার সময় এখনও আসেনি।  
বিশদ

07th  June, 2020
 লক্ষ্য লাদাখ

  ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি...। দশকের পর দশক ধরে চলতে থাকা সীমান্ত টেনশন মাথাচাড়া দিয়েছে। ফের আগ্রাসী চীন। পিছু হটবে না ভারতও...। বিশদ

31st  May, 2020
লকডাউনের দিনগুলি
ডাঃ শ্যামল চক্রবর্তী

মুখ্যমন্ত্রী দাঁড়িয়ে আছেন গাইনি বাড়ির উল্টোদিকে কার্ডিওলজি বিল্ডিংয়ের সামনে। পাশে পুলিস কমিশনার। খবর পেয়ে দ্রুত ওখানে চলে এলেন হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট ও ডেপুটি সুপার। মিটার দেড়েক দূরত্ব, করজোড়ে মুখ্যমন্ত্রী... ‘খুব ভালো কাজ করছেন আপনারা।
বিশদ

24th  May, 2020
করোনা কক্ষের ডায়েরি
ডাঃ চন্দ্রাশিস চক্রবর্তী

 গত ১০০ বছরে পৃথিবী এরকম মহামারী দেখেনি। শহরের প্রায় সমস্ত বড় হাসপাতালে এখন করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তি। ফলে আউটডোর চলছে গুটিকয়েক রোগী নিয়ে, হাসপাতালের ক্যান্টিন বন্ধ, ভিতরের রাস্তাগুলো ফাঁকা, বাইরে গাড়ির লাইন নেই…।
বিশদ

24th  May, 2020
একনজরে
  নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: করোনা আবহের মধ্যেও প্রেসিডেন্সি জেলে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুই বন্দি লিগ্যাল ক্লিনিকের কাজ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। আইনি ভাষায় তাঁদেরকে বলা হয়, ‘প্যারা লিগ্যাল ভলেন্টিয়ার’ (পিএলভি)। ...

করাচি: বিশ্বকাপের মত টুর্নামেন্টে ভারতের বিপক্ষে একবারও জয়লাভ করতে পারেনি পাকিস্তান। এর কারণ তুলে ধরলেন পাক দলের প্রাক্তন তারকা বোলার ওয়াকার ইউনিস। কেন আইসিসির বৃহত্তম মঞ্চে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে তাঁর দেশ বারবার ব্যর্থ হয়, তা বিশ্লেষণ করতে গিয়ে প্রাক্তন তারকা পেসারটি ...

 নয়াদিল্লি: সংক্রমণের নিরিখে ইতিমধ্যেই চীন, স্পেন, ইতালি, রাশিয়াকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। মহামারী কবলিত বিশ্বের তৃতীয় দেশ হিসেবে উঠে এসেছে ভারত। প্রতিদিনই ২০ হাজারের বেশি মানুষ নতুন করে সংক্রামিত হচ্ছেন। ...

সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম: বুধবার গোপীবল্লভপুরে বিজেপির ছেড়ে বেশকিছু কর্মী সমর্থক তৃণমূলে যোগ দিলেন। শহরের একটি অতিথিশালায় এই দলবদলের অনুষ্ঠানে তৃণমূলে আসা কর্মীদের হাতে পতাকা তুলে দেন ছত্রধর মাহাত।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

মেষ: পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯২৫: অভিনেতা গুরু দত্তের জন্ম
১৯৩৮: অভিনেতা সঞ্জীব কুমারের জন্ম
১৯৫৬: মার্কিন অভিনেতা টম হ্যাংকসের জন্ম
১৯৬৯: ক্রিকেটার বেঙ্কটপতি রাজুর জন্ম
১৯৬৯: ভারতের জাতীয় পশু হল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.১৯ টাকা ৭৫.৯১ টাকা
পাউন্ড ৯২.৫৯ টাকা ৯৫.৯১ টাকা
ইউরো ৮৩.১৭ টাকা ৮৬.২৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৯,৭৬০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৭,২১০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৭,৯২০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৫০,৩৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৫০,৪৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৫ আষাঢ় ১৪২৭, ৯ জুলাই ২০২০, বৃহস্পতিবার, চতুর্থী ১২/৫৩ দিবা ১০/১২। শতভিষা ৫৫/১৭ রাত্রি ৩/৯৷ সূর্যোদয় ৫/২/১৯, সূর্যাস্ত ৬/২১/৭৷ অমৃতযোগ দিবা ৩/৪১ গতে অস্তাবধি, রাত্রি ৭/৪ গতে ৯/১২ মধ্যে পুনঃ ১২/৩ গতে ২/১১ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৬ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৩/১ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৪১ গতে ১/১ মধ্যে। 
২৪ আষাঢ় ১৪২৭, ৯ জুলাই ২০২০, বূহস্পতিবার, চতুর্থী দিবা ১০/১৩। শতভিষা নক্ষত্র রাত্রি ৩/৫৩। সূযোদয় ৫/২, সূর্যাস্ত ৬/২৩। অমৃতযোগ দিবা ৩/৪২ গতে ৬/২৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪ গতে ৯/১৩ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ২/১২ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৫/২ মধ্যে। কালবেলা ৩/৩ গতে ৬/২৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৪৩ গতে ১/২ মধ্যে। 
১৭ জেল্কদ 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হওয়ার সম্ভাবনা। বৃষ: চটজলদি কোনও সিদ্ধান্ত না ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৯২৫: অভিনেতা গুরু দত্তের জন্ম১৯৩৮: অভিনেতা সঞ্জীব কুমারের জন্ম১৯৫৬: মার্কিন ...বিশদ

07:03:20 PM

কাল রাত ১০টা থেকে ১৩ জুলাই ভোর ৫টা পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশে সম্পূর্ণ লকডাউন 

09:30:26 PM

করোনা:সংক্রমণ ও মৃত্যুতে ফের রেকর্ড বাংলায়

গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০৮৮ জন। পাশাপাশি ...বিশদ

08:08:36 PM

কাল আইসিএসই ও আইএসসি-র ফলপ্রকাশ 
আগামীকাল প্রকাশিত হচ্ছে চলতি বছরের আইসিএসই ও আইএসসি পরীক্ষার ফল। ...বিশদ

06:58:00 PM

কোচবিহারে ৫৪ কেজি গাঁজা সহ ধৃত ২ 

06:51:48 PM