পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
• ঐক্য, ঐতিহ্য ও ক্রীড়ার মহোৎসব ‘মিলন উৎসব ২০২৪’ আয়োজন করেছিল জর্জ টেলিগ্রাফ স্পোর্টস ক্লাব। এই অনুষ্ঠানে প্রকাশিত হল কিংবদন্তি ফুটবল প্রশাসক প্রদ্যুৎ দত্তের জীবনী গ্রন্থ ‘ফুটবলের কাঞ্চনজঙ্ঘা’ এই সংকলনটিতে প্রদ্যুৎ দত্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কলম ধরেছেন তাঁর পারিবারিক মানুষজন, ক্রীড়া, রাজনীতি, সাংবাদিক-সহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব। প্রশাসকের অনুপ্রেরণামূলক সিদ্ধান্ত, তাঁর দূরদৃষ্টি ও নেতৃত্ব বঙ্গ তথা ভারতের ফুটবলে যে উন্নয়নসাধন করেছে, তা-ই প্রকাশ পেয়েছে এই লেখনীগুলিতে। প্রতি বছরের মতো এবছরও ময়দানের ক্লাবতাঁবুতে আয়োজিত হয় এই উৎসব। প্রদ্যুৎ দত্তের জীবন ও ময়দানে তাঁর অবদানের কথা স্মরণ করেই এই উৎসব উৎসর্গিকৃত হয় তাঁর নামে। প্রদ্যুৎ দত্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জর্জ টেলিগ্রাফের ক্লাবতাঁবুতে সেদিন হাজির ছিলেন প্রায় সকল ময়দানপ্রেমী। আয়োজনের মূলে ছিলেন প্রদ্যুৎ দত্তের বড় ছেলে এবং আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত। প্রয়াত প্রশাসকের জীবন অবলম্বনে তৈরি একটি তথ্যচিত্রও মুক্তি পায় সেখানে। বই প্রকাশের আগে এই বিশেষ তথ্যচিত্রটি প্রদর্শিত হয়। এই প্রসঙ্গে অনির্বাণবাবু বলেন, ‘ছোট থেকেই আমার রোলমডেল আমার বাবা। ৩০ বছর পরেও বুঝি, বাবা কতটা দক্ষ প্রশাসক ছিলেন। তাঁর বহু সিদ্ধান্ত ও ভাবনা ভারতীয় ফুটবলকে সঠিক দিশা দেখিয়েছে। বাবা ছিলেন অত্যন্ত দূরদৃষ্ট প্রশাসক ও সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো ক্ষমতা ছিল তাঁর। এমন একজন ব্যক্তিত্বের সন্তান হতে পেরে আমি খুবই গর্বিত।’ কাকার পথ অনুসরণ করে ফুটবল প্রশাসনে আসেন সুব্রত দত্ত। প্রদ্যুৎ দত্তই ময়দানের এই সফল ফুটবল প্রশাসকের মেন্টর ছিলেন। এই মিলন উৎসবে ক্রীড়া এবং রাজনৈতিক মহলের বহু ব্যক্তিত্বের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। উপস্থিত ছিলেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক মদন মিত্র সহ ক্রিকেট এবং ফুটবলের নানা প্রসাশক, ক্লাব কর্তা, প্রাক্তন খেলোয়াড়রা।
‘বৃন্দার-মানকর’-এ সূচিশিল্পের বাদশাহী রূপকথা
• দক্ষিণ কলকাতার সাদার্ন অ্যাভিনিউয়ের ঘোষবাড়ি সেজে উঠেছে মানকরের শিল্পীদের হাতের কাজে। প্রদর্শনী আয়োজনে টিম ‘বৃন্দার’। বর্ধমানের মানকর গ্রামের মুসলমান শিল্পীদের জীবনযাত্রার মানোয়ন্নয়ন, নানা প্রশিক্ষণ, নানারকমের সহায়তা প্রকল্পে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে শময়িতা মঠ। সেখানে তীব্র দারিদ্র্য যেমন আছে, তেমনই রয়েছে প্রবল পর্দাপ্রথার অনুশাসন। তবে এই বিত্তহীন, ভূমিহীন মুসলমান শিল্পীদের একমাত্র সম্বল তাঁদের হাতের সেলাই। সূচ ও উলের সঙ্গে যেন তাঁদের আজীবনের সখ্য। সূচিশিল্পের মাধ্যমেই তাদের আর্থিক স্বনির্ভরতার ব্যবস্থা করতে ব্রতী হয় শময়িতা মঠ। তবে এই শিল্পকে নাগরিক চাহিদা অনুযায়ী বিক্রয়যোগ্য পণ্যে পরিণত করার পথে শময়িতা মঠের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় উর্মি হাজরার সংস্থা বৃন্দার। যা বুটিক ও বস্ত্রবিপণি হিসেবে সমাদৃত। এই মানকরের শিল্পীদের গত ছ’মাস ধরে প্রশিক্ষণ দিয়ে, নকশাভাবনায় অভিনবত্ব এনে এক প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে বৃন্দার। সুতোর বদলে উল ব্যবহার করে সেলাই করেন মানকরের শিল্পীরা। বৃন্দার শুধু উলের রঙের ক্ষেত্রে অতুলনীয় জোয়ার নিয়ে এল। চড়া, উচ্চকিত রঙের বদলে নরম, নয়নসুখকর রং এল নকশায়। সেসব নকশা নিয়েই কলকাতায় শুরু হয়েছে ‘বৃন্দার–মানকর’-এর নতুন উপস্থাপনা সূচিশিল্পের বাদশাহী রূপকথা। গোলপার্কের কাছে ১১, কেয়াতলা লেনের ঘোষবাড়িতে প্রদর্শনীটি চলবে আজ, ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সময় বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা। ।
দমদমে এবার আনন্দমেলা
• উৎসবের দিনগুলো মুখরিত করে তুলতে এবারেও সেন্ট্রাল জেলের মাঠের উল্টো দিকে কেএলএস হিন্দি স্কুলের গলিতে ডিসেম্বরের ২৩, ২৪, ২৫ এই তিন দিন চলবে যাত্রিক ক্লাবের আনন্দমেলা। মেলা জুড়ে থাকবে বিভিন্ন জিনিসের স্টল ও খাদ্যসামগ্রী। তার মধ্যে পাবেন আধুনিক নকশার শাড়ি, নানা ধরনের পোশাক, ঘর সাজানোর জিনিস ইত্যাদি।
কল্যাণ জুয়েলার্স-এ এক্সক্লুসিভ নকশা
• ক্রিসমাস উপলক্ষ্যে কল্যাণ জুয়েলার্সে মিলবে এক্সক্লুসিভ নকশার জুয়েলারি। উৎসবের আনন্দের সঙ্গে আভিজাত্যের মিশেলে তৈরি এই নকশা গ্রাহকদের মন জয় করবে বলেই সংস্থার আশা। হীরকখচিত ব্রেসলেট, আংটি, পেনডেন্ট, দুল ইত্যাদি সেজে উঠেছে আধুনিক নকশায়। প্রিয় মানুষকে উপহার দেওয়ার জন্যও এই ধরনের অলঙ্কার বেছে নিতে পারেন। ইদানীং অনেকেই হাল্কা, কম ওজনের নিত্য পরার গয়না খোঁজেন। তাঁদের জন্য এই ধরনের হীরের গয়না খুবই উপযোগী। দু’টি ছোট প্রজাপতির নকশার হীরে দিয়ে তৈরি ব্রেসলেট হোক বা সলিটেয়ার রিং অফিসযাত্রী থেকে গৃহবধূ সকলের হাতেই সমান শোভা বাড়াবে। আংটিতে পছন্দ করতে পারেন ত্রিভুজাকৃতি হীরের নকশাও। ছোট্ট, স্লিক পেনডেন্ট দেওয়া নেকপিসও রোজ পরার জন্য খুবই ভালো বিকল্প হতে পারে বলে দাবি সংস্থার। আধুনিক মহিলাদের পছন্দ ও রুচি মেনে তৈরি এই অলঙ্কারগুলি মিলবে কল্যাণ জুয়েলার্সের সবক’টি শোরুমে।
অ্যাকাডেমিতে
একক প্রদর্শনী
• অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টসের নিউ সাউথ গ্যালারি বি সেজে উঠছে শিল্পী সুমন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঁকা ছবিতে। বিশিষ্ট শিল্পী প্রিয়প্রসাদ গুপ্তর সুযোগ্য ছাত্র সুমন্ত মোগল ও রাজপুর মিনিয়েচার নিয়ে কাজ শিখেছেন একাগ্র চিত্তে। এরপর মিশর, তিব্বত ও অজন্তার শিল্পশৈলীও তাঁকে আকর্ষণ করে। সেই ঘরানাতেও কাজ শেখেন তিনি। চাকরিসূত্রে আর্থিক সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মী হলেও সুমন্তর শখ ছবি আঁকা। পেশাদার শিল্পীর মতোই তিনি ছবিকে নিয়েছেন নিজস্ব যাপন হিসেবে। তাঁরই ছবির একক প্রদর্শনী ‘অর্ঘ্য’ শুরু হবে আগামী ২৪ ডিসেম্বর, সন্ধে ৬টায়। উদ্বোধন করবেন স্থপতি বিমল কুণ্ডু ও চিত্রশিল্পী তপন মিত্র। চলবে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সময় বেলা ১২টা থেকে রাত ৮টা।