ব্যবসা ও পেশায় ধনাগম ভাগ্য আজ অতি উত্তম। বেকারদের কর্ম লাভ হতে পারে। শরীর স্বাস্থ্য ... বিশদ
বাটিক শিল্পের প্রশিক্ষণ
উপকরণ: পেন্সিল, সুতির কাপড়, কাঁচি, খবরের কাগজ, প্লাস্টিক শিট, ফেব্রিক ডাই বা রং, জল, রং মেশানোর জন্য স্টারার বা উইস্ক, বাটিক ওয়্যাক্স, ইস্ত্রি, গ্লাভস, রং গোলা ও মোম গলানোর জন্য পাত্র।
পদ্ধতি: সুতির কাপড়ের উপর প্রথমে স্কেচ করে নিতে হবে। এবার বাটিক ওয়্যাক্স গলিয়ে নিয়ে সূক্ষ্ম কাঠি বা বাটিকের সুচ দিয়ে আঁকার আউট লাইনের উপর ভালো করে মোম বুলিয়ে দিতে হবে। এটাকে বলা হয় ‘রেজিস্ট’ অর্থাৎ এই মোম লাগানো অংশে রং ধরবে না। ইতিমধ্যে জল গরম করে তাতে ডাই বা রং গুলে নিন। রঙের ভেতর একটা মোটা পেন্টিং ব্রাশ চুবিয়ে তা দিয়ে সুতির কাপড়ে রং করে দিন। তুলিতে আঁকতে অভ্যস্ত না হলে মোম লাগানোর পর রঙে সরাসরি কাপড়টা চুবিয়ে নিতে পারেন। এরপর কাপড়টা শুকিয়ে নিন। মোমের অংশটা ঝেড়ে ফেলুন কাপড় থেকে দেখবেন সেই অংশ সাদা বা কাপড়ের রঙেরই রয়ে গিয়েছে। যদি ক্র্যাক বাটিক করতে চান তাহলে গোটা কাপড়ে পুরু করে বাটিক ওয়্যাক্স লাগিয়ে নিতে হবে। এরপর তা শুকিয়ে নিন। তারপর কাপড়টাকে হাত দিয়ে মুচড়ে নিন। মোমের গায়ে ফাটল ধরবে। এই অবস্থায় তা রঙে চুবিয়ে নিন। এরপর আবারও তা শুকোতে দিন। শুকিয়ে গেলে কাপড়টাকে খবরের কাগজের ভেতর রেখে তা ইস্তি করে নিন। তাতে মোম কাপড়ের গা থেকে ঝরে যাবে। ব্যস ক্র্যাক বাটিক রেডি।
রোজগারের উপায়
অনলাইন এবং অফলাইনে বেচতে পারেন।
অনলাইনের ক্ষেত্রে নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করুন। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করুন বিক্রির জন্য। স্পষ্ট ছবি তুলে তা সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করুন। সঙ্গে দাম ও জিনিস সম্বন্ধে কয়েক লাইন লিখে দেবেন।
প্রথমেই শাড়ি বানিয়ে ফেলতে যাবেন না। রুমাল, টপ, টেবিল ক্লথ, ওয়াল হ্যাংগিং-এর মতো ছোটখাট জিনিস দিয়ে ব্যবসা শুরু করুন।
নতুনত্ব খোঁজার চেষ্টা করবেন। সাউথ এশিয়ায় (ইন্দোনেশিয়া, কোরিয়া) বাটিকের কেমন নকশা প্রচলিত সেটা জানুন। সেই মতো নকশা বানান।
ক্রেতা কেমন নকশা চাইছে সেটাও সমীক্ষার মাধ্যমে জানুন। বিদেশি নকশার পাশাপাশি চাহিদা অনুযায়ী দেশি নকশাও রাখুন।
নকশায় নিজস্বতা বজায় রাখুন। তাতে আপনার বাটিক শিল্পে নতুনত্ব আসবে। ক্রেতা সবসময়ই নতুনত্ব চায়।
পাড়ার কিছু দোকানের সঙ্গে কথা বলুন। তাদের মাধ্যমে নিজের তৈরি জিনিস বিক্রি করতে শুরু করুন।
বাটিক শিল্প শিখিয়েও রোজগার করতে পারেন।
দাম খুব বিচার বিবেচনা করে ঠিক করুন। দোকানে যে দামে পাচ্ছেন তার চেয়ে পাঁচ টাকা পিস প্রতি কম রাখুন।
প্রথমে সুতির কাপড়ে বাটিক কাজ দিয়েই শুরু করুন। ক্রমশ সিল্ক বা তসরের দিকে যাবেন।
রং ও ফেব্রিক যেন ভালো হয়। ব্যবসায় একবার নাম খারাপ হলে তা চালানো মুশকিল।