Bartaman Patrika
আমরা মেয়েরা
 

দুর্গা দুর্গতিনাশিনী
চৈতন্যময় নন্দ

দুর্গ বা সংকট হতে যিনি সকলকে উদ্ধার করেন তিনিই দুর্গা। বাংলার মাতৃদুর্গা সারা ভারতে নানা মূর্তিতে অধিষ্ঠিতা, ভিন্ন ভিন্ন নামে পরিচিতা। পুরীধামে তিনি পূজিতা বিমলা নামে, গুজরাতে ‘অম্বা’ ‘হিঙ্গলা’ ও ‘রুদ্রাণী’ নামে, বিন্ধ্যচলে বিন্ধ্যাবাসিনী, কুরুক্ষেত্রে ভদ্রকালী, বৃন্দাবনে কাত্যায়নী, কামরূপে কামাখ্যা, জম্মুতে বৈষ্ণোদেবী, কন্যা কুমারিকায় কন্যাকুমারী, বারাণসীতে অন্নপূর্ণা, বিজয়ওয়াড়ায় কনকদুর্গা, বৈদ্যনাথে জয়দুর্গা, রাজস্থানে ভবানী আর হিমালয়ে নন্দা। দেশের গ্রামে-গঞ্জে, শহরে-বাজারে, পাহাড়ে-জঙ্গলে, পথে ঘাটে সর্বত্রই দেবীর অধিষ্ঠান। যত দুর্গামূর্তি পূজিতা হন তার মধ্যে চতুর্ভুজা, ষড়ভুজা, অষ্টভুজা, দশভুজা ও অষ্টাদশ ভুজা প্রভৃতি মূর্তি প্রসিদ্ধ।
ভারতবর্ষে যে চারটি প্রসিদ্ধ ধামের উল্লেখ আমরা পাই তার মধ্যে অন্যতম পুরীর জগন্নাথ ধাম। শ্রীশ্রীজগন্নাথদেবের মূল মন্দিরের দক্ষিণ পশ্চিমে রয়েছে দেবী বিমলার মন্দির। এটি একান্নপীঠের অন্যতম মহাপীঠ। আদ্যাশক্তি মহামায়া সতীদেবীর নাভিদেশ এখানে পতিত হয়েছিল। বিখ্যাত আদ্যাস্তোত্রেও দেবী বিমলা দৃপ্তকণ্ঠে বিঘোষিতা। ‘বিমলা পুরুষোত্তমে’। এই সর্বেশ্বরী পরমা জননী আরাধিতা চতুর্ভুজা মূর্তিতে। ত্রিশূল, খড়্গ, খর্পর ও রুদ্রাক্ষ মালা চার হাতে এই চার আয়ুধ। কষ্টি পাথরের দ্বারা নির্মিত দণ্ডায়মানা এই দেবী মূর্তির তিনটি চোখই সোনার।
শারদীয়া দুর্গাপুজোয় অধিষ্ঠিতা এই মহাদেবীর বিশেষ পুজো-অর্চনা চলে মহাসমারোহে। ষোলো দিন ধরে চলে দেবীর ষোড়শোপচারে আরাধনা। এক একদিনে আকর্ষণীয় বেশ। যেমন বগলা, হরচণ্ডী, নারায়ণী, জয়দুর্গা, বনদুর্গা, রাজরাজেশ্বরী প্রভৃতি মনোহারী সাজসজ্জা দেখা যায়। শারদ মহাষ্টমী ও মহানবমীর মধ্যরাত্রে সম্পাদিত রহস্য পুজোয় দু’টি করে মেষবলি ও আমিষভোগ দেবীকে নিবেদন করা হয়। জগন্নাথদেবের মন্দিরের সমস্ত দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরই শুরু হয় তান্ত্রিক পুজোর আচার অনুষ্ঠান। সে সময় কারও প্রবেশাধিকার থাকে না। ভোর হওয়ার আগেই এই পুজো সম্পন্ন করতে হয়। তান্ত্রিক পূজারী চলে যাওয়ার পর জগন্নাথ মন্দিরের দরজা উন্মুক্ত হয়।
বাঙালির দুর্গাপুজোর অনুষ্ঠান ‘নবরাত্রি’ হিসাবে দেশের অন্যত্র প্রচলিত। ন’রাত্রি ধরে অনুষ্ঠান বলে নামকরণ তাই ‘নবরাত্রি’। আগেই বলা হয়েছে গুজরাতে দেবীদুর্গা পূজিতা অম্বা, হিঙ্গলা ও রুদ্রাণী নামে। অর্বুদগিরি শৈলমালার ওপরে আসীন অম্বাদেবীর শ্বেতপাথরের নির্মিত সুউচ্চ দৃশ্য মন্দির। সামনে বিশাল প্রাঙ্গণ। পিছনে রমণীয় সরোবরে ভক্তরা স্নান সেরে দেবীর পুজো দিতে আসেন। নানা অলঙ্কারে শোভিতা অম্বাদেবীর অষ্টভুজা প্রতিমা। নবরাত্রে দেবীর মন্দিরের চৌহদ্দিতে হয় সুবিখ্যাত গরবা নাচ। চলে বিজয়া দশমী পর্যন্ত। দেবীসূক্ত, রাত্রিসূক্ত, শ্রীসূক্ত ও সপ্তশতী মহাস্তোত্র রোজ পঠিত হয়। এখানে নবরাত্রির বিশেষ অঙ্গ হিসেবে প্রতিদিন হলুদ, সিঁদুর আর চন্দনকে তেলে গুলে হয় তিলক বিনিময়। মহিলারা অংশ নেন নানাবিধ মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানে। কুমারী মেয়েরাও ব্রত পালন করেন প্রদীপ দানের মাধ্যমে। প্রতি সন্ধ্যায় দেবী মূর্তির সম্মুখে চলে নাম, গান আর প্রবচন।
চেন্নাই রাজ্যের বিজয়ওয়াড়া পবিত্র কৃষ্ণানদীর উপকণ্ঠে একটি জেলা শহর। মহাভারতে এই পুণ্য সলিলার মহিমা বিবৃত। স্কন্দ পুরাণে বর্ণিত আছে যে কৃষ্ণানদীতে স্নান করলে গঙ্গা স্নানের মতোই পুণ্য হয়। কৃষ্ণাঘাটের পাশেই ইন্দ্রকিলা পাহাড়ে এক মনোরম মন্দিরে কনকদুর্গার ভদ্রাসন। নানা অলঙ্কারে বিভূষিতা আগাগোড়া সোনার এই মূর্তি অপূর্ব লাবণ্যময়ী ও প্রসন্নময়ী। চতুর্ভুজা কনকদুর্গা এখানে বরাভয়প্রদা। কথিত আছে এটি একটি উপপীঠ। দেবীর লোম এখানে পতিত হয়েছিল। মহাদেবী এখানে অর্চিতা চণ্ডনায়িকারূপে। আর দেবীর ভৈরব হলেন চণ্ডেশ্বর। মন্দিরে পৌঁছানোর পথে পড়ে অজস্র দোকানপাট, পুজো সামগ্রী ও ফুল-ফলের কেনাবেচা। দুর্গা সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত এখানে মহাসমারোহের সঙ্গে দুর্গাপুজোর পর্ব সুসম্পন্ন হয়। অমিত প্রভাবতী সুদর্শনা কনকদুর্গার এই শারদোৎসবে শহরবাসীর নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও ভক্তি আজও সমভাবে অটুট। জনশ্রুতি যে, দেবী কনকদুর্গার নাসিকার নথ কৃষ্ণানদীর জল যেদিন স্পর্শ করবে ঠিক তখনই শুরু হবে মহাপ্রলয়ের দুর্বিপাক।
দ্বাপর যুগে দেবকীর অষ্টম গর্ভে ভগবান স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণরূপে কংসের কারাগার আলো করে আবির্ভূত হন। সেই রাতেই গোকুলে যশোদার গর্ভে মহামায়া নন্দ দুহিতারূপে জন্মগ্রহণ করেন। শ্রীকৃষ্ণের জন্মের পর মহাত্মা বসুদেব দৈব নির্দেশিত হয়ে তাঁকে নন্দালয়ে যশোদার কাছে রেখে কন্যাকে সেখান থেকে নিয়ে এসে কারাগারে ফেরেন। দুরাত্মা কংস দেবকীর অষ্টম গর্ভের সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার খবর পেয়ে কারাগারে এসে ক্রোধভরে সদ্যোজাত কন্যাটিকে যখন শিলাতলে ছুড়ে মারতে যান, তখন কন্যারূপিণী মহামায়া হাতছাড়া হয়ে কংসের মাথায় পদাঘাত করেন। সেই সময় এই শিশু এক অপরূপা অষ্টভুজা দেবীমূর্তি ধারণ করে আকাশ পথে উত্থিতা হন এবং কংসের প্রাণ সংহার সূচক দৈববাণী শোনান। তারপরে এই নন্দাদেবী বিন্ধ্যাচল নিবাসিনী হয়ে শুম্ভ ও নিশুম্ভ দুই প্রবল অসুরকে যুদ্ধে অচিরেই নিহত করেন। তাই নন্দাদেবীর সর্বাধিক প্রসিদ্ধ নাম ‘বিন্ধ্যবাসিনী’। এলাহাবাদ কিংবা বারাণসীর অনতিদূরে বিন্ধ্যাচল। এখানেই দেবী বিন্ধ্যবাসিনীর অধিষ্ঠান। গঙ্গার তীরে মন্দিরে কষ্টি পাথরের নির্মিত এই সর্বেশ্বরী সিংহবাহিনী পূজিতা অষ্টভুজা মূর্তিতে। প্রতি বছর নবরাত্রির দিনগুলিতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে পুণ্যার্থীরা এখানে আসেন দেবীর দুর্নিবার আকর্ষণে। শোনা যায় এই তান্ত্রিক পীঠে ছিল ভয়ঙ্কর সব আচার অনুষ্ঠান। মনস্কামনা সিদ্ধির জন্য দেবীর কাছে তখন একাধিক নরবলিও পড়ত!
রাষ্ট্ররূপিণী দুর্গতিনাশিনী দেবীদুর্গা ‘তুলজা ভবানী’ রূপে প্রকাশিতা। ছত্রপতি শিবাজি’র আরাধ্যা এই দেবীর উদ্দেশ্য ছিল অশুভ শক্তির দমনে এক মহান স্বরাজ্যের প্রতিষ্ঠা করা। মহারাষ্ট্রের শোলাপুর শহর থেকে চুয়াল্লিশ কিলোমিটার দূরে পাওয়া যাবে তুলজা ভবানীর মন্দির। এই অপরূপা দেবীর নামানুসারে এই জনপদের নাম তুলজাপুর। মারাঠা জাতির অন্যতম শক্তিপীঠ হিসাবে প্রাচীন এই মন্দিরের খুব প্রসিদ্ধি। গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠিত তিনফুট উচ্চতা বিশিষ্ট কষ্ঠি পাথরের অষ্টভুজা দেবী প্রতিমা। আলুলায়িতকেশী এই মহিষাসুরমর্দিনীর পরনে রক্তবস্ত্র ও অঙ্গে বহুমূল্য অলঙ্কার। ভবানীদেবীর আট হাতে যথাক্রমে ত্রিশূল, ছোরা, বাণ, চক্র, ধনুস, পানপাত্র ও অসি সজ্জিত। দেবীর দক্ষিণ পদতলে আসীন অসুররাজ মহিষাসুর আর পাশে বাহন পশুরাজ সিংহ। শিরোভাগে সূর্য আর চন্দ্র। এই দেবীর দৈনিক পুজোর আচার অনুষ্ঠানের মধ্যে অনেক বৈচিত্র ও বিশেষত্ব বিদ্যমান। দুর্গাপুজো এলেই এই দেবীতীর্থ আরও বেশি করে জেগে ওঠে। মহাষ্টমীতে ভবানী দুর্গার কাছে প্রচুর ছাগবলি প্রদান ও লাল ভোগলার তরকারি (মিষ্টি কুমড়ো) আর এক ব্যতিক্রমী আকর্ষণ। মন্দির প্রাঙ্গণে বসে বিরাট মেলা। লক্ষাধিক পুণ্যার্থীর সমাগমে ও দেবীর জয়গানে মুখরিত হয়ে ওঠে এই মাতৃতীর্থ। দেবী ভবানীর মাহাত্ম্য জনমানসে এত গভীরভাবে প্রসারিত যে, গ্রাম-শহর হতে সর্বস্তরের মানুষ শোভাযাত্রা করে তুলজা ভবানীর ছবি মাথায় করে বা পালকিতে নিয়ে এসে গান করতে করতে সমবেত হন দেবী মন্দিরে। অনেকের মতে দেবী সমীপে এই সংগঠিত শোভাযাত্রার প্রবর্তক হলেন সুবীর শিবাজি স্বয়ং। সমগ্র মারায়া জাতির মনে আজও বিশ্বাস রয়েছে, ছত্রপতি শিবাজির সংকল্প বাস্তবায়নে মা তুলজা ভবানী নিজে প্রকটিত একখানা তরোয়াল প্রদান করে মারাঠারাজকে শক্তি ও প্রেরণা সঞ্চার করেছিলেন। দেশ জয়ের কামনায় এই বীর ছত্রপতির অসি নৃত্য ভারত গঠনে দেশপ্রেমীদের প্রেরণাস্থল। 
মায়ের মূর্তি গড়েন কুমোরটুলির কন্যারা 

মাঝে মাত্র চারটে দিন। তারপরেই দুর্গাষষ্ঠী। কুমোরটুলির পোটো পাড়ায় এখন ব্যস্ততা অনেকটাই। কোনও প্রতিমার গায়ে রঙের শেষ প্রলেপ পড়ছে, কেউ বা শাড়ি গয়না পরে মণ্ডপের পথে রওনা দেওয়ার জন্য রেডি। চলুন আজ এমন কয়েকজন মৃৎশিল্পীর সঙ্গে আলাপ করা যাক, যাঁরা প্রথা ভেঙে প্রবেশ করেছিলেন এই পেশায়। হ্যাঁ, আমাদের গন্তব্য আজ কুমোরটুলির মহিলা মৃৎশিল্পীদের ওয়ার্কশপ।   বিশদ

পুজোয় দেবী ‘বাক্সবন্দিনী’ 

প্রবাসে এবছর পুজোটাই হারিয়ে গেল! ছেঁড়া তমসুক হাতে নিয়ে বাস্তুহারার মতো নিথর হয়ে রইল ‘চালের প্রতিমা’! আমাদের এই অবরুদ্ধ ‘কালের প্রতিমা’! লিখেছেন শুভঙ্কর মুখোপাধ্যায় 
বিশদ

10th  October, 2020
মেয়ের হাতে মাতৃবন্দনা 

দুর্গাপুজো নারীর শক্তি রূপের আরাধনা। তবু সেই পুজোর পৌরোহিত্যে মেয়েরাই বাদ! কেন? অনিতা মুখোপাধ্যায় ও নন্দিনী ভৌমিক, দুই মহিলা পুরোহিতের সঙ্গে কথা বলে উত্তর খুঁজলেন কমলিনী চক্রবর্তী। 
বিশদ

10th  October, 2020
এবার ভার্চুয়াল শারদোৎসব 

পুজোর দিনে নিজের দেশ, নিজের শহর থেকে দূরে থাকার যন্ত্রণা রয়েছে ঠিকই। তবু পরবাসেও আনন্দময়ীর সঙ্গ খুঁজে নিয়েছেন বিলেতবাসী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। লন্ডনের ব্রুনেল ইউনিভার্সিটির এই ফেলো জানালেন তাঁর পুজোর অভিজ্ঞতার কথা।
বিশদ

03rd  October, 2020
গানে মোর কোন ইন্দ্রধনু 

আগামী কাল ৯০ বছরে পা দিচ্ছেন কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় সুমন গুপ্ত।আগামী কাল আপনি ৮৯ পার করে ৯০-এ পড়ছেন। কেমন লাগছে?
বিশদ

03rd  October, 2020
ঢাকে বোল তোলেন মহিলারা

নিজে হাতে ঢাক বাজিয়ে এখন পুরুষদের পাশাপাশি নেচে উঠছেন মেয়েরাও। পুজো প্যান্ডেলে তাই মহিলা ঢাকিদের কদর বাড়ছে। মহিলাদের কাঁধে উঠছে শৌখিন ঢাক। লিখেছেন কমলিনী চক্রবর্তী।
বিশদ

26th  September, 2020
বাঁধাগতটা বদলানো দরকার

মেয়েদের প্রথা ভাঙা পেশা ঢাক শিল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে সিরিয়াল যমুনা ঢাকি। চরিত্রটিতে অভিনয়ের বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন শ্বেতা ভট্টাচার্য। বিশদ

26th  September, 2020
নারী-উন্নয়নই আমার লক্ষ্য: সুনীরা চামারিয়া 

ফিকি (এফএলও)-র চেয়ারপার্সন সুনীরা চামারিয়া জানালেন সমাজে মেয়েদের অবস্থার পরিবর্তন করাই তাঁর অন্যতম উদ্দেশ্য। কিন্তু কীভাবে? তাঁর সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনায় কমলিনী চক্রবর্তী।   বিশদ

19th  September, 2020
ব্যাঘ্রবাহিনীর কন্যা তিনি 

সিংহের ওপরে মা দুর্গাকে দেখেছেন তো অনেকেই। কিন্তু বাঘের ওপরে আসীন মা? উত্তর কলকাতার কুণ্ডুবাড়িতে গেলে দর্শন পাবেন ব্যাঘ্রবাহিনী দুর্গার। করোনা সংকটে এই বছর জাঁকজমক কিছুটা কম হলেও পুজো হচ্ছে। এবার তাঁদের শারদোৎসব ১২ বছরে পা দিচ্ছে। বাঘের সঙ্গে মা দুর্গার মেলবন্ধনের গল্পটা শোনালেন বাড়ির গিন্নি সুচন্দ্রা কুণ্ডু। লিখেছেন অন্বেষা দত্ত।  বিশদ

19th  September, 2020
 রন্ধনে লক্ষ্মীলাভ

ঘরে রেঁধে বেড়েই ক্ষান্ত দেননি তাঁরা। বরং নিজেদের হেঁশেল থেকেই শুরু করেছেন ব্যবসা। তেমনই কিছু ঘরোয়া রন্ধন ব্যবসায়ীর কথা শোনালেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

12th  September, 2020
 বাঙালির ঘরের মেয়ে দুর্গা

মহালয়ার শুভক্ষণ সমাগত। সপ্তাহ পার হলেই পিতৃপক্ষের শেষ, দেবীপক্ষের শুরু। লোকবিশ্বাসে দেবী আরাধনার সূচনা হয়ে যায় মহালয়ার দিন থেকেই । লিখেছেন পূর্বা সেনগুপ্ত। বিশদ

12th  September, 2020
 এখন মেয়েরা

 জনপ্রিয় ব্রিটিশ গায়িকা এলি গোল্ডিং সম্প্রতি তাঁর উপবাসের কথা প্রকাশ করেছেন। তিনি উপবাসের রুটিন শুরু করেছিলেন ১২ ঘণ্টা দিয়ে, সেটা বাড়াতে বাড়াতে এখন ৪০ ঘণ্টায় পৌঁছে গিয়েছে। ২ দিনের কাছাকাছি সময় তিনি কিচ্ছুটি খান না! কেবল জল আর অন্য কোনও পানীয় এই ৪০ ঘণ্টার উপবাসে তাঁর সঙ্গী। বিশদ

12th  September, 2020
মায়েদের ভালো রাখতে 

অন্তঃসত্ত্বা মায়েদের পুষ্টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মায়ের যথাযথ পুষ্টি না হলে সন্তানের বৃদ্ধিও ঠিকমতো হবে না। তাই এই অবস্থায় কী কী বিষয় খেয়াল রাখবেন, তা নিয়ে বিশদ জানালেন গাইনোকলজিস্ট অভিনিবেশ চট্টোপাধ্যায়।  বিশদ

05th  September, 2020
ছোটবেলা থেকেই গড়ে দিতে হবে মেয়েদের স্বাস্থ্য 

শৈশব থেকেই কন্যাসন্তানের ডায়েটে গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ সে-ই পরবর্তীতে সংসারের কর্ত্রী, ভাবী মা। তার স্বাস্থ্যের ভিত মজবুত হওয়া দরকার। লাইফস্টাইল ও ডায়েট কনসালট্যান্ট রূপশ্রী চক্রবর্তীর পরামর্শ শোনাচ্ছেন সোমা লাহিড়ী।  বিশদ

05th  September, 2020
একনজরে
শারজা: মরশুমের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে দুরন্ত হাফ সেঞ্চুরি করেছেন ক্রিস গেইল। লোকেশ রাহুলের সঙ্গে জুটি গড়ে পাঞ্জাবকে এনে দিয়েছেন স্বস্তির জয়। ৪৫ বলে ৫৩ রানের মূল্যবান ইনিংস খেলেন তিনি।  ...

লখনউ: হাতরাস গণধর্ষণ ও খুন কাণ্ডের তদন্তে নেমে অভিযুক্ত লবকুশ শিকারওয়ারের বাড়ি থেকে ‘রক্তমাখা’ পোশাক উদ্ধার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। যদিও পরিবারের দাবি, রক্ত নয় পোশাকটিতে লাল রঙ লেগে ছিল। অভিযুক্তের দাদা একটি ফ্যাক্টারিতে রংমিস্ত্রির কাজ করেন।   ...

সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: পারিবারিক বিবাদের জেরে বৃহস্পতিবার রাতে গায়ে আগুন দিয়েছিলেন স্বামী। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হন স্ত্রীও। ঘটনায় দু’জনেরই মৃত্যু হয়েছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত স্বামীর নাম নিত্য রাজবংশী (৩৫)। স্ত্রী গৌরী রাজবংশী (২৮)। বাড়ি গঙ্গারামপুর থানার বেলবাড়ি ...

নয়াদিল্লি: আফগানিস্তানের অশান্তির পিছনে হাত রয়েছে পাকিস্তানি জঙ্গিদের। এমনই অভিযোগ করলেন আফগানিস্তানের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক। গত সপ্তাহের শেষ থেকে হেলমন্দ প্রদেশে তালিবান জঙ্গিদের সঙ্গে আফগান বাহিনীর সংঘর্ষ চলছে। সেই সংঘর্ষে মদত দিচ্ছে পাক মদতপুষ্ট লস্কর-ই-তোইবা এবং জয়েশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিরা। এমনকী, নিরাপত্তা ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক দারিদ্র দূরীকরণ দিবস
১৮৯০: সাধক বাউল লালন ফকিরের মৃত্যু
১৯৫৫: অভিনেত্রী স্মিতা পাতিলের জন্ম
১৯৭০: ক্রিকেটার অনিল কুম্বলের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৬৪ টাকা ৭৪.৩৫ টাকা
পাউন্ড ৯৩.১২ টাকা ৯৬.৪৩ টাকা
ইউরো ৮৪.৪৪ টাকা ৮৭.৫৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫১,৫৯০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৮,৯৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৯,৬৮০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬১,৮৬০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬১,৯৬০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩১ আশ্বিন ১৪২৭, শনিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২০, প্রতিপদ ৩৮/৪৮ রাত্রি ৯/৯। চিত্রা নক্ষত্র ১৫/৩৪ দিবা ১১/৫২। সূর্যোদয় ৫/৩৭/৩৭, সূর্যাস্ত ৫/৬/৩৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/২৪ মধ্যে পুনঃ ৭/১০ গতে ৯/২৭ মধ্যে ১১/৪৫ গতে ২/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৩ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৩৮ গতে ২/১৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/১৮ গতে ৩/৭ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৯ গতে ২/১৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৪২ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৪১ মধ্যে পুনঃ ৪/৪ গতে উদয়াবধি। 
৩০ আশ্বিন ১৪২৭, শনিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২০, প্রতিপদ রাত্রি ১১/২৪। চিত্রা নক্ষত্র দিবা ২/১৮। সূর্যোদয় ৫/৩৮, সূর্যাস্ত ৫/৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৩১ মধ্যে ও ৭/১৬ গতে ৯/২৯ মধ্যে ও ১১/৪২ গতে ২/৪০ মধ্যে ৩/২৫ গতে ৫/৮ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৩৮ গতে ২/২১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/২১ গতে ৩/১২ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪ মধ্যে ও ১২/৪৯ গতে ২/১৫ মধ্যে ও ৩/৪২ গতে ৫/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৪২ মধ্যে ও ৪/৪ গতে ৫/৩৯ মধ্যে।  
মোসলেম: ২৯ শফর। 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। বৃষ: আর্থিক ক্ষেত্রে কিছুটা ...বিশদ

04:29:40 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
আন্তর্জাতিক দারিদ্র দূরীকরণ দিবস১৮৯০: সাধক বাউল লালন ফকিরের মৃত্যু১৯৫৫: অভিনেত্রী ...বিশদ

04:28:18 PM

আইপিএল: সিএসকের বিরুদ্ধে ৫ উইকেটে জয়ী দিল্লি ক্যাপিটালস 

11:21:10 PM

আইপিএল: দিল্লি ক্যাপিটালস ১২৯/৩ (১৫ ওভার) 

10:49:02 PM

আইপিএল: দিল্লি ক্যাপিটালস ৭৬/২ (১০ ওভার) 

10:22:23 PM

আইপিএল: দিল্লি ক্যাপিটালস ২৯/২ (৫ ওভার) 

09:57:03 PM