মেষ: পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
ছোট থেকেই শিবাঙ্গীর মনে একটা স্বপ্ন ছিল। অন্যের অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠার স্বপ্ন। তাঁকে দেখে যেন মেয়েরা কাজের তাগিদ খুঁজে পান, সেই চেষ্টাই তিনি করেছেন সবসময়। মাত্র ২৪ বছর বয়সেই নজির গড়েছেন তাই।
স্বপ্ন সফল করতে পেরে কেমন লাগছে? প্রশ্নের উত্তরে প্রথমে কিছুই বলতে পারছিলেন না। তারপর বললেন, ‘এই মনোভাব ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। এটা একটা অন্য ধরনের অনুভূতি। একই সঙ্গে একটা বড় দায়িত্বও বটে। আমার কর্মনৈপুণ্যের মাধ্যমে সেই দায়িত্বের মর্যাদা দিতে হবে।’
সব চ্যালেঞ্জ ছেড়ে হঠাৎ পাইলট হওয়ার শখ হল কেন? উত্তরে শিবাঙ্গী বলেন, যখন তিনি দশ বছরের বালিকা, তখন একবার মামাবাড়ি গিয়েছিলেন বেড়াতে। সেখানে এক হেলিকপ্টার চালককে দেখে আকাশে বিমান ওড়ানোর শখ হয়েছিল। পরে সিকিম মনিপাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনয়ারিং পাশ করে জয়পুরের মালব্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটে পড়ার সময় নৌবিভাগে যোগ দেওয়ার সুযোগ পান ক্যাম্পাস ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে।
শিবাঙ্গী বললেন, তাঁর দেখাদেখি যদি অন্য মেয়েরা এই ধরনের পেশা বেছে নেন, তাহলেই একমাত্র তিনি নিজেকে সম্পূর্ণ সফল মনে করবেন। নৌবাহিনীর এভিয়েশন বিভাগে তাঁর কাজ একটু ভিন্নধর্মী। সাধারণত এয়ারক্রাফট কেরিয়ার থেকেই নৌবাহিনীর বিমানগুলো ওড়ানো হয়। কিন্তু শিবাঙ্গী তাঁরবিমান ওড়াবেন সমুদ্রতট থেকে সরাসরি। তিনি যে ধরনের বিমান চালানোর দায়িত্ব পেয়েছেন, তা মূলত উদ্ধারকার্যে ব্যবহৃত হয়। একইসঙ্গে তাঁর বিমান সমুদ্রের ওপর টহল দেওয়ার কাজেও লাগানো হবে। সমুদ্র উপকূলে বা মাঝসমুদ্রে কোনও জাহাজের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলেই কন্ট্রোলরুমে জানাবেন শিবাঙ্গী। তারপর সেই তথ্যের ভিত্তিতে কাজ করবে ভারতীয়
নৌ বিভাগ।
শিবাঙ্গী আরও বললেন ‘আমার সব কাজে সাহস যুগিয়েছেন সহকর্মীরা। আমার প্রতি তাঁদের বিশ্বাস আর ভরসা এই কাজে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে আমাকে।’ শিবাঙ্গীর কথামতো, সব কাজের একটা পরিবেশ থাকে। ভারতীয় নৌসেনার জাহাজগুলো এখনও মহিলাদের উপযুক্ত নয়। আসলে বহুদিন পুরুষের একচ্ছত্র অধিকার ছিল এইসব জাহাজের ওপর। তখন সেনাবাহিনীতে মহিলাদের চাকরির কথা কেউ ভাবতেই পারত না। আজও অনেকেই সেই চিন্তাধারা নিয়েই চলতে চান। কিন্তু যুগবদলের সঙ্গে মেয়েরা এখন অনেক সাহসী। তাই ভাবনা বদলের সময় এসে গিয়েছে, বললেন শিবাঙ্গী।