মাছ মানেই তার ঝাল ঝোল বা অম্বল নয়। বরং স্টিমড, গ্রিলড বা বেকড স্বাদও মাছে মানানসই। মাছের কয়েক পদ বিদেশি রেসিপি দিলেন মনীষা দত্ত।
কখনও আমিষ, কখনও নিরামিষ। কোনওটা দেশি, কোনওটা বা বিদেশি। খিচুড়িতে পাবেন নানারকম স্বাদ। ভিন্ন স্বাদের খিচুড়ির রেসিপি দিলেন সোমা রায়চৌধুরী।
শীতের আমেজ আর পিঠের স্বাদ যেন একে অপরের সঙ্গে মিলেমিশে একাকার। পিঠের ছ’ধরনের রেসিপি দিলেন দেবারতি রায়।
জে ডব্লু ম্যারিট হোটেলে সেই সুযোগই পাবেন। হিমেল হাওয়া গায়ে লাগিয়ে একটু ভিন্ন স্বাদে সন্ধেটা কাটাতে পারেন বার-বি-কউ আর সিজলারের সঙ্গে।
শীত মানেই বাহারি পায়েস। আজ তেমনই কয়েক পদ পায়েসের রেসিপি থাকছে যা স্বাদে অপরিচিত। রেসিপি দিলেন প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ব্রিটিশ আমলে দক্ষিণ ভারতের পশ্চিম প্রান্ত নর্দার্ন সিরকার হিসেবে চিহ্নিত ছিল। সেখানকার খাওয়াদাওয়ার বিশেষত্ব ও গুণের কদর করত গোটা দক্ষিণ ভারত। স্বাধীনতার পর বঙ্গোপসাগরের পশ্চিম দিকের এই অংশটির মাদ্রাজ নামে পরিচিত হয়ে ওঠে, বর্তমানে যা চেন্নাই নামে খ্যাত।
পাস্তা মানেই যে শুধু ইংলিশ স্টাইল খানা তা কিন্তু নয়। দেশি স্বাদেও তা রান্না করতে পারেন। পাস্তার দেশি ও বিদেশি কয়েকটি রেসিপি দিলেন মনীষা দত্ত।
করোনাকালে এমন স্যালাড বাড়িতেই বানাতে পারেন যা আপনার ইমিউনিটি বাড়াবে। পুষ্টিতে ভরপুর কিছু আমিষ ও নিরামিষ স্যালাডের রেসিপি দিলেন মণিকাঞ্চন দে।
নতুন বছর মানেই নিত্যনতুন খাওয়াদাওয়ার আনন্দ। শহর জুড়ে নানা রেস্তরাঁয় চলছে হরেক মেনুর আয়োজন। কোথায় কেমন খাবার পাবেন? খরচই বা কত? থাকছে তারই খোঁজখবর।
নতুন বছরকে স্বাগত জানান ফ্লুরিজের সঙ্গে। শুধু কেক বা কুকিজই নয়, বছরের শুরুতে নোনতা স্বাদে স্যুপও বানাতে পারেন। মিষ্টি-নোনতায় মোড়া নানা রেসিপি আপনাদের জন্য সাজিয়ে দিলেন এগজিকিউটিভ শেফ বিকাশ কুমার।
ক্রিসমাস লাঞ্চ মানেই রোস্টেড চিকেন অথবা টার্কি। ঘরোয়া উপায়ে এই ধরনের বিদেশি মেনু বাড়িতেই রাঁধার রেসিপি জানালেন শ্রাবণী রায়।
ক্রিসমাস মানেই বাঙালির ঘরে ঘরে বাহারি কেকের মেলা। এখন আবার তারই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পুডিং। বাড়িতে কেমন কেক ও পুডিং বানিয়ে তাক লাগাবেন সকলকে? রেসিপি দিলেন মণিকাঞ্চণ দে।
ক্রিসমাস ও নিউ ইয়ারকে স্বাগত জানাতে এখন বিভিন্ন হোটেল, রেস্তরাঁয় চলছে রকমারি অফার। আছে অনলাইন এবং হোম ডেলিভারির ব্যবস্থাও। তাই নিয়ে প্রতিবেদনে চৈতালি দত্ত।
কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ
ফুলকপির ডাঁটা, কাঁচাকলার খোসা সাধারণত আমরা ফেলেই দিই। কিন্তু এই ধরনের উপকরণ দিয়েও বানানো যায় সুস্বাদু নানা পদ। তেমনই কয়েকটি রান্নার রেসিপি দিলেন দেবারতি রায়।
ফুলকপির ডাঁটা চচ্চড়ি
উপকরণ: ফুলকপির ডাঁটা ১ কাপ (২টো ফুলকপি থেকে নেওয়া), বেগুন ১টা, আলু ১টা, বড়ি ৬-৭টা, শুকনো লঙ্কা ১টা, কাঁচালঙ্কা ৫টা, পাঁচফোড়ন চা চামচ, সর্ষে বাটা ২ টেবিল চামচ, হলুদগুঁড়ো চা চামচ, নুন, চিনি স্বাদমতো, সর্ষের তেল।
প্রণালী: প্রথমে ফুলকপির ডাঁটাগুলো পাতলা লম্বা করে কেটে নিন। আলু, বেগুন লম্বা করে কেটে নিন। কালো সর্ষে দু’টো কাঁচালঙ্কা ও সামান্য নুন দিয়ে বেটে নিন। কপির ডাঁটাগুলো একটু নুন জলে ভাপিয়ে নিন ও জল ঝরিয়ে রাখুন। কড়াইয়ে তেল গরম করে বড়ি ভেজে তুলে নিন। তাতে পাঁচফোড়ন ও শুকনো লঙ্কা দিন। এবার আলু, বেগুন ভেজে নিন। নুন, হলুদগুঁড়ো দিন। ভাপানো কপির ডাঁটা দিয়ে ভালো করে কষে নিন। অল্প পরিমাণে জল দিন। পরিমাণমতো চিনি ও কাঁচালঙ্কা দিন। এবার সর্ষে বাটা দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করে নিন ও আগে থেকে ভেজে রাখা বড়ি ভেঙে দিয়ে দিন। ভালোমতো গা মাখা মাখা হলে ওপর থেকে এক চামচ সর্ষের তেল ছড়িয়ে নামিয়ে গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন ।
কাঁচাকলার খোসার বড়া
উপকরণ: কাঁচাকলার খোসা ১ বাটি, চালবাটা বাটি, হলুদগুঁড়ো চা চামচ, লঙ্কাগুঁড়ো ছোট ১ চা চামচ, নুন স্বাদমতো, কাঁচালঙ্কা কুচি ৩টে, পোস্ত ৩ চা চামচ, তেল পরিমাণমতো।
প্রণালী: কাঁচাকলার খোসা সেদ্ধ করে নিয়ে থেঁতো করে নেবেন। তাতে আতপ চাল বাটা, লঙ্কা কুচি, হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, নুন দিয়ে ভালো করে মেখে নিন। এবার একটা থালায় পোস্তদানা ছড়িয়ে রেখে বড়াগুলো গড়ে নিন। কড়াইয়ে তেল গরম করে বড়াগুলো ভেজে নিন। গরম গরম পরিবেশন করুন সুস্বাদু কাঁচাকলার খোসার বড়া।
ওলকপির পাতার ডাল সম্বার
উপকরণ: ওলকপির পাতা ১ কাপ (কুচানো), অড়হর ডাল কাপ, পেঁয়াজ ১টা, শুকনো লঙ্কা ৩টে, কাঁচালঙ্কা ২টো, তেঁতুল ১টা বড় ফালি (মাঝারি পাতিলেবুর সম পরিমাণ), নারকেল কোরা ২ টেবিল চামচ, মেথি চা চামচ, নুন চিনি স্বাদমতো, তেল ১ টেবিল চামচ।
প্রণালী: ওলকপির পাতা কুচিয়ে ভাপিয়ে নিন। মেথি, শুকনো লঙ্কা, নারকেল কোরা শুকনো তাওয়ায় নাড়াচাড়া করে বেটে নিন। তেঁতুল পাঁচ মিনিট জলে ভিজিয়ে ক্বাথ বের করে নিন। অড়হর ডাল প্রেসারে ভালো করে সেদ্ধ করে নিন। নুন, হলুদগুঁড়ো, সামান্য চিনি, চেরা কাঁচালঙ্কা, ভাপানো ওলকপির পাতা, তেঁতুলের কাই, বাটামশলা সব দিয়ে দিন। অন্য প্যানে তেল গরম করে মেথি, শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ ভেজে ডালের ওপর ঢেলে গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন অত্যন্ত সুস্বাদু ওলকপির পাতার ডাল সম্বর।
লাউ বীজের ভর্তা
উপকরণ: লাউ বীজ ১ বাটি, পেঁয়াজ কুচি ১টা, রসুন কুচি ২ কোয়া, কাঁচালঙ্কা কুচি ৩টে, সর্ষের তেল পরিমাণ মতো, নুন স্বাদমতো, ধনেপাতা কুচি (ইচ্ছেমতো)
প্রণালী: লাউ বীজ ধুয়ে নিন। এবার কড়াইয়ে সর্ষের তেল দিয়ে বীজ ভেজে নিন। তাতে পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি, লঙ্কা কুচি, নুন, ইচ্ছে হলে ধনেপাতা কুচিও দিতে পারেন। এইসব ভালো করে ভেজে নিন। এবার পুরো মিশ্রণটা শিলপাটায় বা মিক্সিতে মিহি করে বেটে নিন। ওপর থেকে সর্ষের তেল ও আন্দাজ মতো দিয়ে মেখে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন লাউবীজের ভর্তা।
ফুলকপির ডাঁটা চচ্চড়ি
উপকরণ: ফুলকপির ডাঁটা ১ কাপ (২টো ফুলকপি থেকে নেওয়া), বেগুন ১টা, আলু ১টা, বড়ি ৬-৭টা, শুকনো লঙ্কা ১টা, কাঁচালঙ্কা ৫টা, পাঁচফোড়ন চা চামচ, সর্ষে বাটা ২ টেবিল চামচ, হলুদগুঁড়ো চা চামচ, নুন, চিনি স্বাদমতো, সর্ষের তেল।
প্রণালী: প্রথমে ফুলকপির ডাঁটাগুলো পাতলা লম্বা করে কেটে নিন। আলু, বেগুন লম্বা করে কেটে নিন। কালো সর্ষে দু’টো কাঁচালঙ্কা ও সামান্য নুন দিয়ে বেটে নিন। কপির ডাঁটাগুলো একটু নুন জলে ভাপিয়ে নিন ও জল ঝরিয়ে রাখুন। কড়াইয়ে তেল গরম করে বড়ি ভেজে তুলে নিন। তাতে পাঁচফোড়ন ও শুকনো লঙ্কা দিন। এবার আলু, বেগুন ভেজে নিন। নুন, হলুদগুঁড়ো দিন। ভাপানো কপির ডাঁটা দিয়ে ভালো করে কষে নিন। অল্প পরিমাণে জল দিন। পরিমাণমতো চিনি ও কাঁচালঙ্কা দিন। এবার সর্ষে বাটা দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করে নিন ও আগে থেকে ভেজে রাখা বড়ি ভেঙে দিয়ে দিন। ভালোমতো গা মাখা মাখা হলে ওপর থেকে এক চামচ সর্ষের তেল ছড়িয়ে নামিয়ে গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন ।
কাঁচাকলার খোসার বড়া
উপকরণ: কাঁচাকলার খোসা ১ বাটি, চালবাটা বাটি, হলুদগুঁড়ো চা চামচ, লঙ্কাগুঁড়ো ছোট ১ চা চামচ, নুন স্বাদমতো, কাঁচালঙ্কা কুচি ৩টে, পোস্ত ৩ চা চামচ, তেল পরিমাণমতো।
প্রণালী: কাঁচাকলার খোসা সেদ্ধ করে নিয়ে থেঁতো করে নেবেন। তাতে আতপ চাল বাটা, লঙ্কা কুচি, হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, নুন দিয়ে ভালো করে মেখে নিন। এবার একটা থালায় পোস্তদানা ছড়িয়ে রেখে বড়াগুলো গড়ে নিন। কড়াইয়ে তেল গরম করে বড়াগুলো ভেজে নিন। গরম গরম পরিবেশন করুন সুস্বাদু কাঁচাকলার খোসার বড়া।
ওলকপির পাতার ডাল সম্বার
উপকরণ: ওলকপির পাতা ১ কাপ (কুচানো), অড়হর ডাল কাপ, পেঁয়াজ ১টা, শুকনো লঙ্কা ৩টে, কাঁচালঙ্কা ২টো, তেঁতুল ১টা বড় ফালি (মাঝারি পাতিলেবুর সম পরিমাণ), নারকেল কোরা ২ টেবিল চামচ, মেথি চা চামচ, নুন চিনি স্বাদমতো, তেল ১ টেবিল চামচ।
প্রণালী: ওলকপির পাতা কুচিয়ে ভাপিয়ে নিন। মেথি, শুকনো লঙ্কা, নারকেল কোরা শুকনো তাওয়ায় নাড়াচাড়া করে বেটে নিন। তেঁতুল পাঁচ মিনিট জলে ভিজিয়ে ক্বাথ বের করে নিন। অড়হর ডাল প্রেসারে ভালো করে সেদ্ধ করে নিন। নুন, হলুদগুঁড়ো, সামান্য চিনি, চেরা কাঁচালঙ্কা, ভাপানো ওলকপির পাতা, তেঁতুলের কাই, বাটামশলা সব দিয়ে দিন। অন্য প্যানে তেল গরম করে মেথি, শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ ভেজে ডালের ওপর ঢেলে গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন অত্যন্ত সুস্বাদু ওলকপির পাতার ডাল সম্বর।
লাউ বীজের ভর্তা
উপকরণ: লাউ বীজ ১ বাটি, পেঁয়াজ কুচি ১টা, রসুন কুচি ২ কোয়া, কাঁচালঙ্কা কুচি ৩টে, সর্ষের তেল পরিমাণ মতো, নুন স্বাদমতো, ধনেপাতা কুচি (ইচ্ছেমতো)
প্রণালী: লাউ বীজ ধুয়ে নিন। এবার কড়াইয়ে সর্ষের তেল দিয়ে বীজ ভেজে নিন। তাতে পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি, লঙ্কা কুচি, নুন, ইচ্ছে হলে ধনেপাতা কুচিও দিতে পারেন। এইসব ভালো করে ভেজে নিন। এবার পুরো মিশ্রণটা শিলপাটায় বা মিক্সিতে মিহি করে বেটে নিন। ওপর থেকে সর্ষের তেল ও আন্দাজ মতো দিয়ে মেখে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন লাউবীজের ভর্তা।
