কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ
পরেশবাবু বলেন, জয়ী সেতুর নির্মাণ কাজ একেবারে শেষ পর্যায়ে। অ্যাপ্রোচ রোডের কিছু কাজ বাকি থাকলেও তা জানুয়ারি মাসের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। ফ্রেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী আসছেন। তিনি জয়ী সেতুর উদ্বোধন করবেন, এমনটাই খবর আমাদের কাছে আছে।
পূর্তদপ্তরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার রাজেশ সিন্হা বলেন, সেতুর কাজ সামান্য কিছু বাকি আছে। চলতি মাসের মধ্যে আমরা কাজ শেষ করে ফেলতে চাইছি। প্রসঙ্গত, কোচবিহার জেলার হলদিবাড়ি ব্লক ও মেখলিগঞ্জ ব্লককে তিস্তা নদী বিভক্ত করে রেখেছে। ওই দুই এলাকার মধ্যে সংযোগকারী সেতুর কাজের সূচনা ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। গত পাঁচবছরে তিস্তা নদীর উপর প্রায় তিনকিমি লম্বা সেতুটি তৈরি করা হয়। এ জন্য খরচ হয় প্রায় ৪১০ কোটি টাকা। মাঝে কয়েকবার সেতু তৈরির কাজ ঢিমেতাল চলার অভিযোগ উঠেছিল। পূর্তমন্ত্রী সহ কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল এ জন্য একাধিকবার এলাকায় এসে সেতুর কাজ খতিয়ে দেখে যায়। হলদিবাড়ির দিকে অ্যাপ্রোচ রোড নিয়ে সমস্যা না হলেও মেখলিগঞ্জে অ্যাপ্রোচ রোডের জমি নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। যেকারণে মেখলিগঞ্জের দিকে প্রায় চারকিমি অ্যাপ্রোচ রোডের কাজ শেষ করতেই অনেকটা সময় গড়িয়ে যায়।
এই সেতুটি চালু হলে হলদিবাড়ি ব্লকের সাধারণ মানুষ যেকোনও সরকারি কাজে সহজেই জেলা শহর কোচবিহারের যেতে পারবেন। এখন হলদিবাড়ির মানুষ জলপাইগুড়ি শহর দিয়ে ঘুরে কোচবিহারে যান। এ জন্য প্রায় ৭০ কিমি পথ পেরতে হয়। জয়ী সেতুর উদ্বোধন হলে এতে সময় ও যাতায়াতের খরচ অনেকটাই বাঁচবে। এদিকে সামনেই বিধানসভা ভোট। তারআগে জয়ী সেতুর উদ্বোধন হলে নির্বাচনেও এর সুফল তৃণমূল কংগ্রেস ঘরে তুলতে পারবে। কারণ স্বাধীনতার পর থেকে হলদিবাড়ির বাসিন্দারা তিস্তা নদীর উপর সেতু তৈরির দাবি জানিয়ে আসছিলেন। সেই দাবি পূরণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেতুর উদ্বোধনের খবরে খুশি মেখলিগঞ্জ মহকুমার লোকজন। মেখলিগঞ্জের বাসিন্দারা বলেন, এতে সরকারি কাজেই শুধু জেলা শহরে যাওয়া নয়, ব্যবসা বাণিজ্যের খাতিরেও সহজে কোচবিহার শহরে পৌঁছে যাওয়া যাবে। ফাইল চিত্র