সৎসঙ্গ ও আধ্যাত্মিক ধর্মীয় গ্রন্থ পাঠে মানসিক তৃপ্তি। কাজকর্মের ক্ষেত্রে নতুন কোনও যোগাযোগ থেকে উপকৃত ... বিশদ
বছর শেষে উৎসবের সাজে বাঙালিয়ানার মিশ্রণ ঘটানোর পরামর্শ দিলেন অভিষেক। তাঁর কথায়, ‘আমার বড় হয়ে ওঠা শান্তিনিকেতনে। আমরা খ্রিস্ট উৎসব করতাম। সেখানে সাদা ধুতি, পাঞ্জাবি পরেই যেতাম। স্যুট, বুট পরে খ্রিস্ট উৎসবের উপাসনা গৃহে যাই না। সেই ভাবধারা বজায় রেখে কেউ সুন্দর লাল পাঞ্জাবি পরতে পারেন। সঙ্গে সাদা শাল নিতে পারেন। সাদা চুড়িদার পরতে পারেন। লাল হাইনেক পুলওভার পরতে পারেন মেয়েরা। সঙ্গে সাদা লিনেনের শাড়ি। সাদা লাল কাঁথার সঙ্গেও পুলওভার পরলে দারুণ লাগবে দেখতে। লাল লং কোটের সঙ্গে সাদা শাড়ি পরলেও ভালো লাগবে। আমাদের ঐতিহ্যও থাকল, ক্রিসমাস কোটটাও থাকল।’
ক্রিসমাস মানেই আনন্দ। চারদিকে উৎসবের আমেজ। আনন্দের রঙে পরিপূর্ণ। ফ্যাশনে ভারতীয় ঐতিহ্যবাহী কিছু প্রিন্ট ব্যবহার করার পরামর্শ দিলেন ফ্যাশন ডিজাইনার অনুশ্রী মালহোত্রা। পশ্চিমবঙ্গের নানা রকমের ব্লক প্রিন্ট রয়েছে। পোশাকে তার ছোঁয়া থাকতে পারে। অনুশ্রী বললেন, ‘চিরাচরিত লাল-সাদা থেকে বেরতে প্রিন্ট ব্যবহার করুন নানা রঙের। চেরি রেড, চেরি মেরুন ভালো লাগবে। বটল গ্রিন পরুন। স্ট্রাইপসের উপর কাজ করেছি। পোশাকে সবুজ এবং লাল নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করুন। লং জ্যাকেট, সঙ্গে স্কার্ফ। লং বুট পরতে পারেন। ইন্দো ওয়েস্টার্ন ব্যাপারটা স্টাইলিংয়ে আনতে হবে।’
অনুশ্রী জানালেন, শাড়ির স্টাইলিং এখন খুব অন্যরকমের হয়। ক্রিসমাস পার্টিতে ধোতি প্যান্ট স্টাইলে শাড়ি পরে সঙ্গে লং জ্যাকেট ক্যারি করুন। অনুশ্রী বললেন, ‘নানা ধরনের বেল্ট লুক বদলে দেয়। চামড়ার বেল্ট না পরে হ্যান্ড এমব্রয়ডারি করা বেল্ট পরুন। কড়ি, কাঁথা, পার্সি কাজের বেল্টের সঙ্গে একরঙের শাড়ি পরুন। সঙ্গে বুট। ব্লাউজের বদলে লং কোট পরুন। শাড়ির ড্রেপিং ভালো হলে লুকটা ড্রেসের মতোই মনে হবে।’
পুরুষরাও এখন ফ্যাশন সচেতন। অনুশ্রীর পরামর্শ, পুরুষরা নানা ধরনের স্কার্ফ ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া লং কোট ব্যবহার করতে পারেন। ‘স্ট্রেচেবল স্ট্রেট প্যান্ট, নিউট্রাল রঙের কুর্তা, ব্ল্যাক বুট, লং কোট পরুন। নিজেকে কীভাবে প্রেজেন্ট করছেন, সেটা গুরুত্বপূর্ণ’, বললেন অনুশ্রী।