Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

লোকশিক্ষক রামকৃষ্ণ সদাই কল্পতরু
অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায়

একটু খোলামেলা জায়গায় রোগীকে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তার  সরকার। সেই মতো বাড়ি খোঁজা শুরু হল।  রামচন্দ্র দত্ত কাশীপুর নিবাসী মহিমাচরণ চক্রবর্তীর সাহায্যে খুঁজে পেলেন একটি বাগানবাড়ি। রানি কাত্যায়নীর জামাই গোপাল চন্দ্র ঘোষের বাড়ি। মাসিক ভাড়া ৮০ টাকা।  পঞ্জিকা দেখে আগেই সবকিছু স্থির করা হল। শ্যামপুকুর থেকে শুক্রবার বেলা আড়াইটে নাগাদ ঘোড়ার গাড়ি করে কাশীপুরের  উদ্দেশে যাত্রা শুরু হল। শুক্লা পঞ্চমী তিথি, শুক্রবার ১১ ডিসেম্বর অসুস্থ শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তজন সহ কাশীপুরে ভাড়া বাড়িতে এসে উপস্থিত হলেন। প্রশস্ত বাগানের মাঝে ছোট্ট দোতলা বাড়ি, চারিদিকে নানা ফুল ফলের গাছ। সঙ্গে ছোট্ট দুটি পুকুর। শ্যামপুকুরের ঘিঞ্জি পরিবেশ ছেড়ে কাশীপুরের ভাড়া বাড়িতে এসে শ্রীরামকৃষ্ণ খুশি হলেন। শ্রীমা সারদা দেবী সঙ্গে সেবক লাটু, বুড়োগোপাল, কালীপ্রসাদ, নরেন্দ্রনাথ ও রামচন্দ্রও সেদিন রামকৃষ্ণের সঙ্গে এসে পৌঁছলেন কাশীপুরের বাটিতে।
গলরোগে আক্রান্ত শ্রীরামকৃষ্ণের চিকিৎসার জন্য তাঁকে প্রথমে দক্ষিণেশ্বর থেকে শ্যামপুকুরের ভাড়া বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। ৭০ দিন চিকিৎসা করেও তার আশানুরূপ উপকার না হওয়ায় ডঃ মহেন্দ্র সরকার রোগীকে শহরের ঘিঞ্জি পরিবেশ ছেড়ে খোলামেলা জায়গায় রাখার পরামর্শ দেন।  সেইমতো কাশীপুরের খোলামেলা পরিবেশে এসে এবং ডাক্তার মহেন্দ্র সরকার ও রাজেন্দ্র মিত্রের চিকিৎসায় প্রথম এক সপ্তাহের ভেতর অনেকটা ভালো বোধ করেন শ্রীরামকৃষ্ণ। তবে তারপরেই ধীরে ধীরে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তাঁর সেবার জন্য কাশীপুরে একে একে  উপস্থিত হলেন যুবকবৃন্দ। চলতে থাকল দিনরাত এককরে সেবা করা। কলকাতার শ্রীরামকৃষ্ণের অন্যান্য গৃহী ভক্তরাও নিয়মিত আসা-যাওয়া শুরু করেন। শ্রীরামকৃষ্ণের অদ্ভুত প্রেম আকর্ষণে ও তাঁর পূতসঙ্গ লাভের জন্য  তাঁরা কাশীপুরে উপস্থিত থাকেন। ছুটির দিনগুলিতে বাড়তে থাকে  ভক্তের সংখ্যা। অসুস্থতার মধ্যেও শ্রীরামকৃষ্ণের মুখনিঃসৃত কথা শোনার জন্য ভক্তদের ছিল নিত্য আনাগোনা। সকাল থেকেই নানা জন আসেন তাঁর  সান্নিধ্যে লাভ করে কৃপা প্রার্থনা করতে। 
ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে শ্রীরামকৃষ্ণের শারীরিক অসুস্থতা বৃদ্ধি পেলে তিনি বাড়ির নীচে নামতে পারেননি। তবু ভক্তদের আসার বিরাম নেই।  ইংরেজি নববর্ষের দিন সকাল থেকেই অনেক গৃহী ভক্ত উপস্থিত হলেন কাশীপুরে শ্রীরামকৃষ্ণের সান্নিধ্য লাভের আশায়। দুপুরে আহারের শেষে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে রোদ ঝলমলের দুপুরে শ্রীরামকৃষ্ণ নীচে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। ভক্তরা বাগানের চতুর্দিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে তখন গল্পে ব্যস্ত। ভাইপো রামলালের সঙ্গে দোতলা থেকে কাঠের সিঁড়ি দিয়ে নীচে নেমে এলেন শ্রীরামকৃষ্ণ। তখন বেলা তিনটে, দুপুরের রোদ্দুরে সামান্য হাঁটাহাঁটি করার জন্য তাঁর নেমে আসা। ‘সেই দিনকার রূপের কথা স্মরণ হলে আমরা এখনো আশ্চর্য হয়ে থাকি। তাঁর সর্ব শরীর বস্ত্রাবৃত এবং মস্তকে সবুজ বানাতের কান ঢাকা টুপি ছিল। কেবল মুখমণ্ডলের জ্যোতিতে দিগমণ্ডল আলোকিত হইয়াছিল’ সেদিন উপস্থিত রামচন্দ্র দত্ত তাঁর স্মৃতি কথায় এইরকম সচিত্র বর্ণনা দিয়েছেন। শ্রীরামকৃষ্ণকে রাস্তা দিয়ে আসতে দেখে গিরিশচন্দ্র ঘোষ জুতো খুলে সেখানেই  সাষ্টাঙ্গ প্রণাম করেন। ভক্ত গিরিশের কাণ্ড দেখে প্রসন্ন বদনে শ্রীরামকৃষ্ণ তাকে জিজ্ঞাসা করেন, তুমি যে সকলকে এত কথা বলে বেড়াও (নিজেকে দেখিয়ে), তুমি কি দেখেছ? কি বুঝেছো?
হাঁটু মুড়ে বসে জোরহাত করে গিরিশ বলতে থাকেন, ‘ব্যাস বাল্মীকি যার ইয়াত্তা  করতে পারেনি আমি তাঁর সম্বন্ধে বেশি কি আর বলতে পারি।’ ভক্ত গিরিশের মুখে এই সরল উপলব্ধির কথা শুনে শ্রীরামকৃষ্ণের মুখে ফুটে ওঠে এক অদ্ভুত হাসি। দিব্য হাসি মাখা সেই রূপ দেখে ভক্তরা বাগানের গাছ থেকে ফুল তুলে এনে তাঁর চরণে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান করেন। মুহূর্তে অসুস্থ  শ্রীরামকৃষ্ণের চোখে মুখে ফুটে ওঠে এক দিব্য কান্তি। সহাস্যে  তিনি বলে ওঠেন, ‘তোমাদের আজ কি বলিব, আশীর্বাদ করি তোমাদের চৈতন্য হোক।’
এক অপূর্ব দিব্য ভাবে আবিষ্ট শ্রীরামকৃষ্ণ এরপর উপস্থিত সকল গৃহী ভক্তকে স্পর্শ দিয়ে কৃপা আশীর্বাদ করতে থাকেন। তাঁর পূত স্পর্শের প্রভাবে উপস্থিত সকলের মনে এক অদ্ভুত ভাবান্তর অনুভব হতে থাকে। কোনও ভক্ত হাসতে থাকেন, কারও চোখ থেকে ক্রমাগত আনন্দের অশ্রু বিসর্জন হতে থাকে। উপস্থিত হরিশ মোস্তাফি চোখের জলে আনন্দে রামচন্দ্র দত্তকে বলে ওঠেন, ‘ভাইরে! আমার আনন্দ আর ধরে না।’ 
এই ভাবাবেশ কিছুটা সংবরণ করার পর উপস্থিত অক্ষয় কুমার সেন, নবগোপাল ঘোষ, উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়, রামলাল চট্টোপাধ্যায় উপেন্দ্রনাথ মজুমদার, অতুল কৃষ্ণ ঘোষ সহ অনেককে একে একে কৃপা করতে থাকেন। কৃপায় উচ্ছ্বসিত ভক্তরা চিৎকার করে বলতে থাকে, ‘তোরা কে কোথায় আছিস আয় প্রভু আজ কল্পতরু হয়েছেন।’ বেশ কিছু সময় ধরে শ্রীরামকৃষ্ণ দিব্য ভাব অবস্থায় ভক্তদেরকে অকাতরে কৃপা করতে থাকেন। ভক্তদের মনে থাকা বাসনা পূরণের আশীর্বাদ পেতে থাকে সকলে। এই দিন শ্রীরামকৃষ্ণ যেন তাঁর কৃপার ডালি উজার করে দিয়েছিলেন উপস্থিত সব গৃহী ভক্তদের মাঝে। ভক্তদের কাছে তিনি সেদিন হয়ে উঠেছিলেন শাস্ত্রে বর্ণিত কল্পতরুর জীবন্ত বিগ্রহ। রাত জেগে সেবা করার কারণে ত্যাগী ভক্তরা তখন অধিকাংশই ছিলেন বিশ্রামে। শ্রীরামকৃষ্ণ নীচে নেমে আসায় তাঁর বিছানার লেপতোষক রৌদ্রে দেওয়ার সময় দোতলা থেকেই  লাটু নজর করেন এই ঘটনা। 
দক্ষিণেশ্বরে থাকাকালীন শ্রীরামকৃষ্ণ একদিন বলেছিলেন, যাওয়ার আগে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিয়ে যাব। ইংরেজি নববর্ষের সূচনার দিনের গৃহী ভক্তদের অকাতরে কৃপা বিতরণকে শ্রীরামকৃষ্ণ পুঁথিকার অক্ষয় কুমার সেন এইভাবে উল্লেখ করেছেন,
প্রভুর প্রতিজ্ঞা ছিল শুন বিবরণ।/ হাটেতে ভাঙ্গিব হাঁড়ি যাইব যখন।।/ সেই হাঁড়ি-ভাঙ্গা রঙ্গ আজিকার দিনে।/ কীভাবে ভাঙ্গিলা হাঁড়ি শুন এক মনে।।
শ্রীরামকৃষ্ণ আধুনিক যুগের আধুনিকতম অবতার। তাঁর ব্যক্তিত্বের আকর্ষণে  ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত কলকাতার মানুষজন দলে দলে  জড়ো হয়েছিলেন। তৎকালীন ইংরেজ শাসনের রাজধানী কলকাতায়, শ্রীরামকৃষ্ণ নিজেকে মেলে ধরার জন্য তাই যেন ইংরেজি নতুন বছরের দিনটিকে বেছে নিয়েছিলেন। ভক্তদের কাছে এই দিনটিতেই তিনি হয়ে উঠেছিলেন কল্পতরু। রামকৃষ্ণের অবতার লীলায় আমরা দেখি বিভিন্ন জনকে বিভিন্ন সময় তিনি কৃপা করেছেন। তাই ভক্তদের কাছে তিনি ছিলেন নিত্য কল্পতরু। স্বামী শিবানন্দ বলতেন, ‘তিনি (রামকৃষ্ণ) সদাই তো কল্পতরু। জীবকে কৃপা করাই তাঁর একমাত্র কাজ ছিল। আমরা তো চোখের সামনে দেখেছি, তিনি নিত্যই কত জীবকে কত ভাবে কৃপা করতেন। হ্যাঁ কাশীপুর বাগানে এই দিনে তিনি একসঙ্গে অনেক ভক্তকে কৃপা করেছিলেন। সে হিসেবে এই দিনটির একটা বিশেষত্ব আছে। তিনি যে কৃপাসিন্ধু তা সেদিনকার ঘটনায় ভক্তরা বিশেষ করে বুঝতে পেরেছিলেন।’ ইংরেজি বছর শুরুর দিনটিতেই নতুন বছরের সূচনায় তাঁর এই কৃপাবিতরণে ধন্য অনেকেই পরবর্তীকালে তাঁদের অভিজ্ঞতা লিখে গিয়েছেন। দেবেন্দ্রনাথ মজুমদার লিখছেন, ‘বৈকাল বেলায় আপনি কল্পতরু হয়ে বসলেন।... আপনি যাচিয়া যাচিয়া সকলকে কৃপা করিতে লাগলেন। আর বক্ষ কাহারো মস্তক স্পর্শ করিলেন, কাহারো কানে কানে কি বললেন।’ ১৮৮৬ সালের পয়লা জানুয়ারি কাশীপুরে সেই সময় উপস্থিত ছিলেন প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন গৃহী ভক্ত। ওইদিন উপস্থিত বৈকুণ্ঠ সান্যাল পরবর্তীকালে স্মৃতিচারণ করে লিখেছেন, কল্পতরু তুল্য করুণা-বিতরণ দর্শনে অল্পবুদ্ধি বৈকণ্ঠ মুগ্ধ হইয়া ‘কে কোথায় আছিস আয়’ বলিয়া রব তুলিলে প্রভু তাহাকে নিরস্ত হইতে ইঙ্গিত করায়, যেন আরো কিছু পাওয়ার প্রত্যাশায় সম্মুখে দাঁড়াইলে স্মিত মুখে কহেন, ‘তোর তো আগেই সব হয়ে গেছে।’ রামকৃষ্ণ তাঁর সরল সুন্দর উপমা দিয়ে কল্পতরু কী তা ভক্তদের বুঝিয়েছিলেন। কল্পতরুর কাছে কী আর কীভাবে চাইতে হয় তাও আগে থেকে ভক্তদের কথার ছলে শিখিয়ে রেখেছিলেন লোকশিক্ষক রামকৃষ্ণ। কাশীপুরে সেই দিনের এই ঘটনাকে, তাঁর আত্মপ্রকাশের অভয় প্রদান বলে বর্ণনা করেছেন স্বামী সারদানন্দ। শ্রীরামকৃষ্ণ লীলাপ্রসঙ্গ বইটিতে তিনি রামকৃষ্ণের দুটি সত্তার কথা উল্লেখ করেছেন, ‘ঠাকুরের (শ্রীরামকৃষ্ণের) দুটি ভাব আছে। একটা মানুষ ভাব। অন্যটির দিব্য ভাব। মানুষ ভাবে তিনি সকলের উপর অত্যন্ত সহানুভূতিপূর্ণ। যারা তাঁর কাছে আসতো তাদের সকল দুঃখ দূর করতে সচেষ্ট।’ অসুস্থ অবস্থাতেও তাঁর এই দুটি ভাব বিদ্যমান ছিল। তাই তিনি সেদিন দিব্যভাবে বিভোর হয়ে জগৎবাসীকে অভয় প্রদান করেছিলেন। বলেছিলেন— ‘তোমাদের চৈতন্য হোক।’
01st  January, 2025
পরিবর্তনের বীজ বপন মনমোহনেরই হাতে
পি চিদম্বরম

গত ২৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার চলে গেলেন ডঃ মনমোহন সিং। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। ১৯৯১ সালের ২১ জুন তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। সেদিনই তাঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগের শুরু। তাঁর প্রয়াণের সঙ্গেই অবসান ঘটল আমাদের মধ্যে সেই সুসম্পর্কের।
বিশদ

বাংলাকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত বন্ধ হোক!
হিমাংশু সিংহ

‘দুনিয়ার হিন্দু এক হও...।’ বাংলাদেশ ইস্যুতে ফায়দা লুটতে আওয়াজ তুলছেন হতাশ দলবদলু নেতা। বঙ্গ বিজেপি’র যেরকম দিশাহারা অবস্থা, তাতে আর কী-বা করার আছে তাঁর। এই স্লোগান হিন্দু ধর্মের স্বার্থে না ঢাল তরোয়াল ছাড়া ভোট বৈতরণী পার করার বাধ্যবাধকতায়? বিশদ

05th  January, 2025
বিজেপির সদস্যতা অভিযান আসলে জুমলা
তন্ময় মল্লিক

আগে জামাকাপড় কেনাকাটার উপর বছরে একবারই ছাড় দেওয়া হতো। বাংলায় যার নাম ‘চৈত্র সেল’। বিক্রি না হওয়া মালপত্রের সদ্‌গতি করাই ছিল লক্ষ্য। বহু মানুষ চৈত্র সেলের অপেক্ষায় থাকত। কিন্তু এখন? মলে, বড় বড় দোকানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রায় সারা বছরই ‘অফার’ দেওয়া হয়। বিশদ

04th  January, 2025
নতুন বছরে বঙ্গীয় বাবুসমাজ আত্মসমীক্ষা করুক
সমৃদ্ধ দত্ত

বঙ্গীয় বাবুসমাজের সবথেকে বড় গর্ব হল, ‘আই নো অল’ মনোভাব। তাদের নিশ্চিত বিশ্বাস যে, তারা সব জানে। বাবুসমাজের প্রিয় শখ হল কারণে অকারণে অন্যদের অসম্মান ও অপমান করা। কারণ তাদের ধারণা অপমান করলেই জয়ী হওয়া যায়। বিশদ

03rd  January, 2025
বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার
মৃণালকান্তি দাস

হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার টের পেয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফখরুল সাহেব বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে কোনও মৌলবাদী শক্তির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নেই। বাংলাদেশের মানুষের শক্তির উপর আস্থা রাখি।’ বিশদ

02nd  January, 2025
পঁচিশের প্রার্থনা
হারাধন চৌধুরী

বিদায় নিল আরও একটি বছর, ২০২৪। আজ, নতুন সালে পা রেখে আমরা বুঝে নিতে চাই—বিদায়ী বছরে কী পেয়েছি আর কী হারিয়েছি এবং আরও কী কী নিতে পারতাম তার ঝুলি থেকে কিন্তু নিতে পারিনি। বিশদ

01st  January, 2025
জিএসটি জেনে কী হবে? পপকর্ন খান
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আপনি কি এর মধ্যে পপকর্ন খেয়েছেন? খেলেই কিন্তু হল না। বলতে হবে, কোথায় খেয়েছেন। বাড়িতে? নাকি সিনেমা হলে? মাল্টিপ্লেক্স বা সিনেমা হলে খেলে বলুন, কীভাবে কিনেছেন। টিকিটের সঙ্গে? নাকি ইন্টারভ্যালের সময় বেরিয়ে, আলাদাভাবে? বিশদ

31st  December, 2024
সংবিধান বদলের অন্যায্য উদ্যোগ

এবারের লোকসভা নির্বাচনের অব্যবহিত পরে আমার একটি অনুমানের কথা জানিয়েছিলাম যে, বিজেপির নেতৃত্বে এবারের কেন্দ্রীয় সরকারও তার আগের দু’দফার কায়দাতেই দেশ পরিচালনা করে যাবে। লোকসভায় বিজেপি এককভাবে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবার পায়নি।
বিশদ

30th  December, 2024
ইন্ডিয়া জোটের ‘মনমোহন’ কে হবেন?
হিমাংশু সিংহ

বছরের একেবারে শেষ অঙ্কে তাঁর মৃত্যুটাও কি আর একটা অ্যাকসিডেন্ট! হঠাৎ সব হিসেব উল্টে গেল। ভেবেছিলাম যে বছরটা শেষ হচ্ছে, এই বাংলায় তার লাভ-লোকসান ও নানা ঘটনার অভিঘাত নিয়ে লিখব। কিন্তু আচমকা একটা নবতিপর শান্ত স্থিতধী মানুষের মৃত্যু সব ওলটপালট করে দিল। বিশদ

29th  December, 2024
মনমোহনকে কোনওদিনই ছুঁতে পারবেন না মোদি
তন্ময় মল্লিক

গাফিলতি, উদাসীনতা, নাকি পরিকল্পনা? গোটা দেশে বিপুল পরিমাণ রেশন সামগ্রী নষ্টের বিষয়টি সামনে আসতেই এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। অনেকে মনে করছেন, একে গাফিলতি বা উদাসীনতা বলে ভাবা ভুল হবে, এটাও একটা পরিকল্পনা। নরেন্দ্র মোদির সরকারের আমলে সবই হয় প্ল্যান মাফিক। বিশদ

28th  December, 2024
স্বাগত ২০২৫, ভারতের সামনে শেষ সুযোগ
সমৃদ্ধ দত্ত

ভবিষ্যৎ পৃথিবীর সবথেকে বৃহৎ চাহিদা ও গুরুত্ব কী হতে চলেছে? সোলার এনার্জি এবং ইলেকট্রিক ভেহিকল। মোবাইল টেকনোলজির নতুন ডিমান্ড কী?  ব্যাটারির চার্জ।  যে মোবাইলের চার্জ যত বেশি, তার দাম তত বেশি হবে। এই সবকিছুর জন্য সবথেকে বেশি কোন বস্তুটির সাপ্লাই দরকার? বিশদ

27th  December, 2024
হলিউডে ড্রাগনের থাবা!
মৃণালকান্তি দাস

পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গ বেজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে পা রেখেছিলেন ২০০৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। সেদিন তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে একটি বিশাল ঘড়ি লাগানো হয়েছিল। ঘড়ির কাঁটা চালু হয়েছিল ১ হাজার ৪১৭ দিন গণনার জন্য। লক্ষ্য ২০০৮-এর গ্রীষ্মকালীন ওলিম্পিক্স। 
বিশদ

26th  December, 2024
একনজরে
এদেশে কোনও পণ্যের গুণমান নির্ধারণ এবং তা যাচাইয়ের অধিকার রয়েছে কেন্দ্রীয় ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রকের আওতাধীন ব্যুরো অব ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস বা বিআইএস-এর। ...

প্রতিযোগিতার ইঁদুর দৌড়ে প্রবাদপ্রতিম লেখকদের ছাপিয়ে গেল রকমারি কেরিয়ার গাইডেন্স বই। রবিবার উত্তর দিনাজপুর জেলা বইমেলার শেষদিনে বই বিক্রির এমনই তথ্য উঠে এল জেলা গ্রন্থাগার দপ্তর সূত্রে। ...

নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণের অধিকারকে নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর সরকার। সেই লক্ষ্যে ডিজিটাল ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইন তৈরি করা হচ্ছে। ...

ব্রেন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে অবশেষে প্রয়াত হলেন মুরারই-১ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য রমেশ রাজবংশী(৪০)। তাঁর বাড়ি মুরারই-১ ব্লকের গোঁড়শা পঞ্চায়েতের ডালিম্বা গ্রামে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্ম নিয়ে স্থানান্তর গমনে সাফল্যের যোগ। কর্মে স্থানগত বা সংস্থাগত পরিবর্তন অসম্ভব নয়। পারিবারিক ক্ষেত্রে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭০৬: মার্কিন লেখক, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, ও কূটনীতিবিদ বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের জন্ম
১৮৩৮: হাতে কলমে টেলিগ্রাফের কার্যকারিতা প্রদর্শন করেন স্যামুয়েল মোর্স
১৮৫২: দৃষ্টিহীনদের শিক্ষা পদ্ধতির প্রবর্তক লুই ব্রেইলের মৃত্যু
১৮৮৪: বংশগতির প্রবক্তা গ্রেগর মেন্ডেলের মৃত্যু
১৯২৯: কলকাতায় এলেন মাদার টেরিজা
১৯৫৯: প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার কপিল দেবের জন্ম
১৯৬২: অভিনেত্রী বিন্দিয়া গোস্বামীর জন্ম
১৯৬৬: সঙ্গীত পরিচালক তথা শিল্পী এ আর রহমানের জন্ম
১৯৭১: অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদারের জন্ম
১৯৭১: জাদুসম্রাট সিনিয়র পিসি সরকারের মৃত্যু
১৯৮০: বিশিষ্ট গীতিকার, সুরকার তথা সঙ্গীতজ্ঞ দীলিপকুমার রায়ের মৃত্যু
১৯৮৪: সঙ্গীতশিল্পী তথা মঞ্চাভিনেত্রী আঙুর বালার মৃত্যু
২০১৭: অভিনেতা ওম পুরির মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.৯৩ টাকা ৮৬.৬৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৭২ টাকা ১০৮.৪৪ টাকা
ইউরো ৮৬.৮১ টাকা ৯০.১৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
05th  January, 2025
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
05th  January, 2025

দিন পঞ্জিকা

দৃকসিদ্ধ: ২২ পৌষ, ১৪৩১, সোমবার, ৬ জানুয়ারি ২০২৫। সপ্তমী ৩০/৫ রাত্রি ৬/২৪। উত্তর ভাদ্রপদ নক্ষত্র ৩১/৫৩ রাত্রি ৭/৭। সূর্যোদয় ৬/২২/১১, সূর্যাস্ত ৫/২/৪৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৯/১২ গতে ১২/২১ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪২ গতে ১১/১৫ মধ্যে পুনঃ ২/৪৮ গতে ৩/৪১ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪২ গতে ৯/২ মধ্যে পুনঃ ২/২৩ গতে ৩/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৩ গতে ১১/৪২ মধ্যে। 
২১ পৌষ, ১৪৩১, সোমবার, ৬ জানুয়ারি ২০২৫। সপ্তমী রাত্রি ৬/৪৩। উত্তর ভাদ্রপদ নক্ষত্র রাত্রি ৭/৫৬। সূর্যোদয় ৬/২৪, সূর্যাস্ত ৫/৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫০ মধ্যে ও ১০/৪৩ গতে ১২/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৩ গতে ৮/৪২ মধ্যে ও ১১/২১ গতে ২/৫২ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪৪ গতে ৯/৪ মধ্যে ও ২/২৩ গতে ৩/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৩ গতে ১১/৪৪ মধ্যে। 
৫ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
লিবেরাল পার্টির নেতার পদ থেকে পদত্যাগ করলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো

10:32:00 PM

আগামী ৮-৯ জানুয়ারি অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশাতে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

10:31:00 PM

তামিলনাড়ুতে এইচএমপিভি ভাইরাসে আক্রান্ত দুই

10:08:00 PM

কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেবেন বলে জানিয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো

09:42:00 PM

হাওড়ায় বাড়িতে ডাকাতি
হাওড়ায় দুঃসাহসিক ডাকাতি। গতকাল, রবিবার বিকেলে হাওড়ার বোটানিক্যাল গার্ডেন থানা ...বিশদ

09:35:03 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গলকে ৩-২ গোলে হারাল মুম্বই সিটি

09:31:00 PM