Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

পঁচিশের প্রার্থনা
হারাধন চৌধুরী

বিদায় নিল আরও একটি বছর, ২০২৪। আজ, নতুন সালে পা রেখে আমরা বুঝে নিতে চাই—বিদায়ী বছরে কী পেয়েছি আর কী হারিয়েছি এবং আরও কী কী নিতে পারতাম তার ঝুলি থেকে কিন্তু নিতে পারিনি।
প্রথমেই মনে আসে তিনটি উল্লেখযোগ্য নাম—বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, রতন টাটা ও মনমোহন সিং। তাঁদের পরিচয় দেওয়ার প্রয়োজন নেই। গত পাঁচমাসের ভিতরে তাঁরা একে একে প্রয়াত হয়েছেন। রাজনীতি-প্রশাসন এবং শিল্প-বাণিজ্য জগৎ তাঁদের শূন্যতা বহুকাল অনুভব করবে। এছাড়া দেশজুড়ে ঘটে গিয়েছে অজস্র ঘটনা, দুর্ঘটনা। তাতে অসংখ্য সহনাগরিককে হারাতে হয়েছে আমাদের। বন্ধুত্ব বৃদ্ধির জায়গাতেও ২০২৪ সাল আমাদের হতাশ করেছে। ঐতিহাসিকভাবে একাধিক বন্ধু দেশ বিরূপ হয়েছে আমাদের প্রতি। এত এত ক্ষয়ক্ষতির সবটাই ‘গ্রহের ফের’ ছিল না, বেশিরভাগের জন্য আমাদের ভুল, অপরাগতা কিংবা ব্যর্থতাকেই দায়ী করা চলে। 
তবে প্রাপ্তির ভাঁড়ারও ছোট নয়। ভারতের বহু কৃতীসন্তান দেশে-বিদেশে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন। তাতে ভারতের সুনাম বৃদ্ধি হয়েছে অনেক। বিজ্ঞানের নানা ক্ষেত্রে ভারতের দুর্দান্ত অগ্রগতি চিহ্নিত হয়েছে। তার মধ্যে অবশ্যই রাখতে হবে মহাকাশ বিজ্ঞানকে। ইসরোর হাত ধরে মহাকাশ বিজ্ঞানে ভারত ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল ২০২৩-এ। চন্দ্রযান-৩-এর সফল অভিযানের মাধ্যমে চাঁদের কুমেরু অঞ্চলে ভারতই প্রথম পা রাখতে পেরেছে। একইসঙ্গে চাঁদের মাটিতে মহাকাশযান অবতরণকারী চতুর্থ দেশের (রাশিয়া, আমেরিকা ও চীনের পরেই) স্বীকৃতি পেয়েছি আমরা। এই সাফল্যকে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ২০২৪-এ ব্রতী ছিলেন ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। ইসরোর পাইপলাইন প্রজেক্টগুলির মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য নাম ‘গগনযান’। ২০১৮ সালে স্বাধীনতা দিবসে ‘গগনযান-২০২২’ প্রকল্প ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার প্রেক্ষিতে ইসরো জানিয়েছিল, তিনজন ভারতীয় মহাকাশচারীকে নিয়ে ২০২২ সালে শ্রীহরিকোটার উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে ওই মহাকাশযান ছাড়া হবে। ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪০০ কিমি উপরে পৃথিবীর কক্ষপথে মহাকাশচারীরা অবস্থান করবেন তিনদিন। অবশেষে সমুদ্র উপকূলের কোনও স্থানে তাঁদের নিরাপদ অবতরণের ব্যবস্থা করা হবে। প্রকল্পটি সফল হলে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীনের পর ভারতই নিজস্ব প্রযুক্তিতে মহাকাশে নভশ্চর প্রেরণকারী চতুর্থ দেশের স্বীকৃতি পাবে। কিন্তু প্রযুক্তি বিষয়ক অত্যন্ত কঠিন এই চ্যালেঞ্জে ভারত এখনও চূড়ান্তভাবে সফল হয়নি। নিষ্ঠাবান ভারতীয় বিজ্ঞানীরা তাঁদের সাধনায় অবিচল। আশা করা যায়, এই গর্বের প্রকল্পে ভারত ২০২৫-এ আরও অনেকটাই অগ্রসর হতে পারবে। 
পশ্চিমে পাকিস্তান, পুবে বাংলাদেশ। এছাড়া আশপাশে আছে আফগানিস্তান, মালদ্বীপ, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা ও নেপালের মতো নানা মাপের দেশ। বস্তুত এই প্রতিবেশী দেশগুলির কোনোটিতেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত নয়। সর্বক্ষণের গদির লড়াই এমন কদর্য হয়ে আছে যে দেশগুলির নাগরিকরা জানে না, পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে কার হুকুম তামিল করতে বাধ্য হবে তারা। কবে কার গলা কাটা যাবে, এই ভয় নিয়েই রাতে ঘুমোতে যায় অনেকে। এরকম এক ভয়াবহ পরিবেশ পরিস্থিতির মধ্যেও ২০২৪-এ আমরা দেশে নতুন নির্বাচিত সরকার পেয়েছি। নিশ্চয় আরও ভালো মানের সরকারের প্রত্যাশা অনেকের ছিল, কিন্তু যা পেয়েছি তাকে ছোট‍ করে দেখার সুযোগ নেই। 
নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এটা তৃতীয় এনডিএ সরকার। প্রথম দুটি সরকারে বিজেপি ছিল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ। তাদের গুরুঠাকুর হল আরএসএস। ওই হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের এজেন্ডা পূরণ করতে নেমেই গত এক দশকে মোদি সরকার অনেক কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছে। তার জন্য দেশকে যা মূল্য দিতে হয়েছে তা অপরিমেয়। বিশেষ করে নষ্ট হয়েছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং বেড়েছে ধনবৈষম্য ও রাজনৈতিক দুর্নীতি। অযোধ্যায় রামমন্দির আন্দোলন দিয়েই জাতীয় রাজনীতিতে প্রথম নজর কেড়েছিল বিজেপি। পরবর্তী ইতিহাস অনেক অশান্তির ও সুদীর্ঘ এবং তা সকলেরই জানা। গত ২২ জানুয়ারি রামলালার মূর্তিতে প্রাণপ্রতিষ্ঠাসহ অযোধ্যায় মন্দিরের উদ্বোধন করেন মোদি স্বয়ং। তার কয়েকমাসের মধ্যে অনুষ্ঠিত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এবং মোদিকে রামমন্দির কোনও ডিভিডেন্ড দেয়নি। উল্টে কেন্দ্রে শক্তিক্ষয় হয়েছে বিজেপির। ২০২৪-এ হ্যাটট্রিক করেও মন খারাপ মোদির, কেননা, এবার তাঁর সরকারের ভাগ্য সমর্পিত তেলুগু দেশম পার্টির চন্দ্রবাবু নাইডু এবং জনতা দল ইউনাইটেড সুপ্রিমো নীতীশ কুমারের হাতে। 
তবুও কি ক্ষান্ত হবে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা? ভারতের একজনও শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ যত্রতত্র মসজিদের নীচে হিন্দু মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেতে চায় না। এবার অন্তত বন্ধ হোক সম্ভল কাণ্ড। আর চাই না এখলাক, বিলকিস বা সিদ্দিক কাপ্পানের জীবনে নেমে আসা একটিও দুর্ভাগ্য। ভক্তি হল ভিতরের সত্য। তাহলে রামভক্তি প্রদর্শনের নামে যাকে তাকে পাকড়ে ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে বাধ্য করা হবে কেন? এতে যে ভগবান রামচন্দ্রকেই ছোট করছে মূর্খরা! কঠোর প্রশাসনের নামে বুলডোজ নীতি এবং এনকাউন্টাররাজেরও আশু অবসান কাম্য। পঁচিশে পৌঁছে গিয়েছেন—মোদিই প্রতিজ্ঞা করুন, চমক সৃষ্টির নেশা ছেড়ে তিনি সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক প্রশাসন উপহার দেবেন আমাদের। দল এবং সরকারের মাথা তিনি। মাথা ঠিক কাজ করলে বাকি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও স্বাভাবিক কাজ করবে বলেই ধরে নেওয়া যায়। 
মোদি ক্ষমতাসীন হয়েছেন সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে। সংবিধানে একনায়কতন্ত্রের কোনও স্বীকৃতি নেই। কিন্তু মোদি শুরু থেকেই নিজেকে একনায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে মরিয়া। আর তাঁর এই অন্যায় স্বপ্নের বলি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা। সিঙ্গল ইঞ্জিন, ডাবল ইঞ্জিন তত্ত্বের আমদানি এই অগণতান্ত্রিক চিন্তার সূত্রেই। মোদির এই তুঘলকিপনার সবচেয়ে বড় শিকারের নাম পশ্চিমবঙ্গ। ১০০ দিনের কাজ এবং গরিবের জন্য পাকাবাড়ি তৈরির প্রকল্পে বাংলার লক্ষ লক্ষ গরিব পরিবার টানা বঞ্চনার শিকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনদরদি সরকারকে বিপাকে ফেলতেই এই অন্যায় রাজনীতি। এমনকী, বাংলাকে টুকরো করার খেলাতেও মেতে রয়েছে বিজেপি এবং মোদি সরকার। তাদের এই বোধ কেন হচ্ছে না যে পশ্চিমঙ্গের অখণ্ডতার প্রশ্নে সবাই এককাট্টা? বিজেপি সত্যিই যদি এখানে রাজনীতি করতে চায় তবে বাংলার অখণ্ডতা মেনে নিয়েই তাকে তা করতে হবে। 
২০২৪-এই বাংলাদেশে পতন হয়েছে শেখ হাসিনা সরকারের। সেখানে বহাল এখন অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার। সব মিলিয়ে কয়েকমাস যাবৎ এক নারকীয় অস্থিরতা গ্রাস করেছে দেশটিকে। পঁচিশের অ্যতম প্রার্থনা বাংলাদেশে গণতন্ত্র। নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চাই ওপার বাংলায়। আগামী নির্বাচনে ওদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলির সর্বতোঅংশগ্রহণ জরুরি। কোনও কৌশলে একটিও প্রধান রাজনৈতিক শক্তিকে এড়িয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান প্রহসন বলেই নিন্দিত হবে। এটি আর একান্ত বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়। এর সঙ্গে ভারতের, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গসহ দেশের সমগ্র পূর্বাঞ্চলের সম্পর্কটি প্রত্যক্ষ। কারণ বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় দেরি হলে সেখানে পাক মদতপুষ্ট উগ্র মুসলিম মৌলবাদী এবং স্বৈরতান্ত্রিক শক্তি অনেক বেশি বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। তাতে আরও বিপন্ন হতে পারে সে-দেশের হিন্দুসহ সমস্ত সংখ্যালঘু শ্রেণি। বাংলাদেশে ও পাকিস্তানে হিন্দুসহ সংখ্যালঘু জনতার বিপন্নতার কী প্রভাব বৃহৎ প্রতিবেশী ভারতের উপর পড়ে, তা আমরা জানি এবং এ এক ঐতিহাসিক সত্য। 
শান্তি ফিরুক সুন্দর মণিপুরে এবং সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চলে। শত্রু নয়, বন্ধুবৃদ্ধি হোক ভারতের, বিশেষ করে চারধারে প্রতিবেশী মহলে বা দক্ষিণ এশিয়ায়। নিছক সংখ্যায় বৃদ্ধি যে কাজের কাজ কিছু নয়, জনসংখ্যায় ‘বিশ্বকাপ’ পেয়েই মালুম হয়েছে আমাদের। অলিম্পিক, বিশ্বকাপ ফুটবল প্রভৃতি আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় এই বৃদ্ধি কোনও কাজে আসেনি। আমাদের আগামীর সাধনায় গুরুত্ব পাক বেকারত্ব, দারিদ্র্য ও বৈষম্য থেকে মুক্তি এবং মাথাপিছু আয় ও জিডিপি বৃদ্ধি। ক্ষুধা, সুখ, স্বচ্ছতা, মিডিয়ার স্বাধীনতা, গণতন্ত্রের মান প্রভৃতি প্রশ্নেও ধারাবাহিক লজ্জা দূর হয় যেন আমাদের। সব রাজ্যের এবং দেশের উন্নয়নের প্রশ্নে পার্টিগুলি যেন সংকীর্ণ দলাদলির ঊর্ধ্বে ওঠার বেনজির দৃষ্টান্ত রাখতে পারে এবার। অতল থেকে উঠে আসার ব্যাপারে দেশকে আরও সুন্দর দিশা দেখাতে পারে যেন আমাদের সকলের প্রিয় বাংলা। পঁচিশের একান্ত প্রার্থনা—সুন্দর বাংলার সঙ্গে অগ্রণী ভারত এবং প্রতিবেশ, সব মিলিয়ে এক বাসযোগ্য পৃথিবী।
01st  January, 2025
পরিবর্তনের বীজ বপন মনমোহনেরই হাতে
পি চিদম্বরম

গত ২৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার চলে গেলেন ডঃ মনমোহন সিং। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। ১৯৯১ সালের ২১ জুন তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। সেদিনই তাঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগের শুরু। তাঁর প্রয়াণের সঙ্গেই অবসান ঘটল আমাদের মধ্যে সেই সুসম্পর্কের।
বিশদ

বাংলাকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত বন্ধ হোক!
হিমাংশু সিংহ

‘দুনিয়ার হিন্দু এক হও...।’ বাংলাদেশ ইস্যুতে ফায়দা লুটতে আওয়াজ তুলছেন হতাশ দলবদলু নেতা। বঙ্গ বিজেপি’র যেরকম দিশাহারা অবস্থা, তাতে আর কী-বা করার আছে তাঁর। এই স্লোগান হিন্দু ধর্মের স্বার্থে না ঢাল তরোয়াল ছাড়া ভোট বৈতরণী পার করার বাধ্যবাধকতায়? বিশদ

05th  January, 2025
বিজেপির সদস্যতা অভিযান আসলে জুমলা
তন্ময় মল্লিক

আগে জামাকাপড় কেনাকাটার উপর বছরে একবারই ছাড় দেওয়া হতো। বাংলায় যার নাম ‘চৈত্র সেল’। বিক্রি না হওয়া মালপত্রের সদ্‌গতি করাই ছিল লক্ষ্য। বহু মানুষ চৈত্র সেলের অপেক্ষায় থাকত। কিন্তু এখন? মলে, বড় বড় দোকানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রায় সারা বছরই ‘অফার’ দেওয়া হয়। বিশদ

04th  January, 2025
নতুন বছরে বঙ্গীয় বাবুসমাজ আত্মসমীক্ষা করুক
সমৃদ্ধ দত্ত

বঙ্গীয় বাবুসমাজের সবথেকে বড় গর্ব হল, ‘আই নো অল’ মনোভাব। তাদের নিশ্চিত বিশ্বাস যে, তারা সব জানে। বাবুসমাজের প্রিয় শখ হল কারণে অকারণে অন্যদের অসম্মান ও অপমান করা। কারণ তাদের ধারণা অপমান করলেই জয়ী হওয়া যায়। বিশদ

03rd  January, 2025
বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার
মৃণালকান্তি দাস

হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার টের পেয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফখরুল সাহেব বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে কোনও মৌলবাদী শক্তির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নেই। বাংলাদেশের মানুষের শক্তির উপর আস্থা রাখি।’ বিশদ

02nd  January, 2025
লোকশিক্ষক রামকৃষ্ণ সদাই কল্পতরু
অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায়

একটু খোলামেলা জায়গায় রোগীকে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তার  সরকার। সেই মতো বাড়ি খোঁজা শুরু হল।  রামচন্দ্র দত্ত কাশীপুর নিবাসী মহিমাচরণ চক্রবর্তীর সাহায্যে খুঁজে পেলেন একটি বাগানবাড়ি। রানি কাত্যায়নীর জামাই গোপাল চন্দ্র ঘোষের বাড়ি। বিশদ

01st  January, 2025
জিএসটি জেনে কী হবে? পপকর্ন খান
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আপনি কি এর মধ্যে পপকর্ন খেয়েছেন? খেলেই কিন্তু হল না। বলতে হবে, কোথায় খেয়েছেন। বাড়িতে? নাকি সিনেমা হলে? মাল্টিপ্লেক্স বা সিনেমা হলে খেলে বলুন, কীভাবে কিনেছেন। টিকিটের সঙ্গে? নাকি ইন্টারভ্যালের সময় বেরিয়ে, আলাদাভাবে? বিশদ

31st  December, 2024
সংবিধান বদলের অন্যায্য উদ্যোগ

এবারের লোকসভা নির্বাচনের অব্যবহিত পরে আমার একটি অনুমানের কথা জানিয়েছিলাম যে, বিজেপির নেতৃত্বে এবারের কেন্দ্রীয় সরকারও তার আগের দু’দফার কায়দাতেই দেশ পরিচালনা করে যাবে। লোকসভায় বিজেপি এককভাবে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবার পায়নি।
বিশদ

30th  December, 2024
ইন্ডিয়া জোটের ‘মনমোহন’ কে হবেন?
হিমাংশু সিংহ

বছরের একেবারে শেষ অঙ্কে তাঁর মৃত্যুটাও কি আর একটা অ্যাকসিডেন্ট! হঠাৎ সব হিসেব উল্টে গেল। ভেবেছিলাম যে বছরটা শেষ হচ্ছে, এই বাংলায় তার লাভ-লোকসান ও নানা ঘটনার অভিঘাত নিয়ে লিখব। কিন্তু আচমকা একটা নবতিপর শান্ত স্থিতধী মানুষের মৃত্যু সব ওলটপালট করে দিল। বিশদ

29th  December, 2024
মনমোহনকে কোনওদিনই ছুঁতে পারবেন না মোদি
তন্ময় মল্লিক

গাফিলতি, উদাসীনতা, নাকি পরিকল্পনা? গোটা দেশে বিপুল পরিমাণ রেশন সামগ্রী নষ্টের বিষয়টি সামনে আসতেই এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। অনেকে মনে করছেন, একে গাফিলতি বা উদাসীনতা বলে ভাবা ভুল হবে, এটাও একটা পরিকল্পনা। নরেন্দ্র মোদির সরকারের আমলে সবই হয় প্ল্যান মাফিক। বিশদ

28th  December, 2024
স্বাগত ২০২৫, ভারতের সামনে শেষ সুযোগ
সমৃদ্ধ দত্ত

ভবিষ্যৎ পৃথিবীর সবথেকে বৃহৎ চাহিদা ও গুরুত্ব কী হতে চলেছে? সোলার এনার্জি এবং ইলেকট্রিক ভেহিকল। মোবাইল টেকনোলজির নতুন ডিমান্ড কী?  ব্যাটারির চার্জ।  যে মোবাইলের চার্জ যত বেশি, তার দাম তত বেশি হবে। এই সবকিছুর জন্য সবথেকে বেশি কোন বস্তুটির সাপ্লাই দরকার? বিশদ

27th  December, 2024
হলিউডে ড্রাগনের থাবা!
মৃণালকান্তি দাস

পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গ বেজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে পা রেখেছিলেন ২০০৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। সেদিন তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে একটি বিশাল ঘড়ি লাগানো হয়েছিল। ঘড়ির কাঁটা চালু হয়েছিল ১ হাজার ৪১৭ দিন গণনার জন্য। লক্ষ্য ২০০৮-এর গ্রীষ্মকালীন ওলিম্পিক্স। 
বিশদ

26th  December, 2024
একনজরে
এদেশে কোনও পণ্যের গুণমান নির্ধারণ এবং তা যাচাইয়ের অধিকার রয়েছে কেন্দ্রীয় ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রকের আওতাধীন ব্যুরো অব ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস বা বিআইএস-এর। ...

গত দুই মরশুমে মোহন বাগানের যাবতীয় সাফল্যের অন্যতম কাণ্ডারি তিনি। তবে চলতি আইএসএলে একেবারেই ছন্দে নেই দিমিত্রি পেত্রাতোস। তার উপর থাবা বসিয়েছে চোট। গত দু’টি ...

প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা প্রকল্পটিকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আরও কার্যকরী করে তুলতে ৮২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ...

প্রতিযোগিতার ইঁদুর দৌড়ে প্রবাদপ্রতিম লেখকদের ছাপিয়ে গেল রকমারি কেরিয়ার গাইডেন্স বই। রবিবার উত্তর দিনাজপুর জেলা বইমেলার শেষদিনে বই বিক্রির এমনই তথ্য উঠে এল জেলা গ্রন্থাগার দপ্তর সূত্রে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্ম নিয়ে স্থানান্তর গমনে সাফল্যের যোগ। কর্মে স্থানগত বা সংস্থাগত পরিবর্তন অসম্ভব নয়। পারিবারিক ক্ষেত্রে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭০৬: মার্কিন লেখক, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, ও কূটনীতিবিদ বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের জন্ম
১৮৩৮: হাতে কলমে টেলিগ্রাফের কার্যকারিতা প্রদর্শন করেন স্যামুয়েল মোর্স
১৮৫২: দৃষ্টিহীনদের শিক্ষা পদ্ধতির প্রবর্তক লুই ব্রেইলের মৃত্যু
১৮৮৪: বংশগতির প্রবক্তা গ্রেগর মেন্ডেলের মৃত্যু
১৯২৯: কলকাতায় এলেন মাদার টেরিজা
১৯৫৯: প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার কপিল দেবের জন্ম
১৯৬২: অভিনেত্রী বিন্দিয়া গোস্বামীর জন্ম
১৯৬৬: সঙ্গীত পরিচালক তথা শিল্পী এ আর রহমানের জন্ম
১৯৭১: অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদারের জন্ম
১৯৭১: জাদুসম্রাট সিনিয়র পিসি সরকারের মৃত্যু
১৯৮০: বিশিষ্ট গীতিকার, সুরকার তথা সঙ্গীতজ্ঞ দীলিপকুমার রায়ের মৃত্যু
১৯৮৪: সঙ্গীতশিল্পী তথা মঞ্চাভিনেত্রী আঙুর বালার মৃত্যু
২০১৭: অভিনেতা ওম পুরির মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.৯৩ টাকা ৮৬.৬৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৭২ টাকা ১০৮.৪৪ টাকা
ইউরো ৮৬.৮১ টাকা ৯০.১৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
05th  January, 2025
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
05th  January, 2025

দিন পঞ্জিকা

দৃকসিদ্ধ: ২২ পৌষ, ১৪৩১, সোমবার, ৬ জানুয়ারি ২০২৫। সপ্তমী ৩০/৫ রাত্রি ৬/২৪। উত্তর ভাদ্রপদ নক্ষত্র ৩১/৫৩ রাত্রি ৭/৭। সূর্যোদয় ৬/২২/১১, সূর্যাস্ত ৫/২/৪৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৯/১২ গতে ১২/২১ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪২ গতে ১১/১৫ মধ্যে পুনঃ ২/৪৮ গতে ৩/৪১ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪২ গতে ৯/২ মধ্যে পুনঃ ২/২৩ গতে ৩/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৩ গতে ১১/৪২ মধ্যে। 
২১ পৌষ, ১৪৩১, সোমবার, ৬ জানুয়ারি ২০২৫। সপ্তমী রাত্রি ৬/৪৩। উত্তর ভাদ্রপদ নক্ষত্র রাত্রি ৭/৫৬। সূর্যোদয় ৬/২৪, সূর্যাস্ত ৫/৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫০ মধ্যে ও ১০/৪৩ গতে ১২/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৩ গতে ৮/৪২ মধ্যে ও ১১/২১ গতে ২/৫২ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪৪ গতে ৯/৪ মধ্যে ও ২/২৩ গতে ৩/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৩ গতে ১১/৪৪ মধ্যে। 
৫ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
লিবেরাল পার্টির নেতার পদ থেকে পদত্যাগ করলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো

10:32:00 PM

আগামী ৮-৯ জানুয়ারি অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশাতে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

10:31:00 PM

তামিলনাড়ুতে এইচএমপিভি ভাইরাসে আক্রান্ত দুই

10:08:00 PM

কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেবেন বলে জানিয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো

09:42:00 PM

হাওড়ায় বাড়িতে ডাকাতি
হাওড়ায় দুঃসাহসিক ডাকাতি। গতকাল, রবিবার বিকেলে হাওড়ার বোটানিক্যাল গার্ডেন থানা ...বিশদ

09:35:03 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গলকে ৩-২ গোলে হারাল মুম্বই সিটি

09:31:00 PM