Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

স্বাগত ২০২৫, ভারতের সামনে শেষ সুযোগ
সমৃদ্ধ দত্ত

ভবিষ্যৎ পৃথিবীর সবথেকে বৃহৎ চাহিদা ও গুরুত্ব কী হতে চলেছে? সোলার এনার্জি এবং ইলেকট্রিক ভেহিকল। মোবাইল টেকনোলজির নতুন ডিমান্ড কী?  ব্যাটারির চার্জ।  যে মোবাইলের চার্জ যত বেশি, তার দাম তত বেশি হবে। এই সবকিছুর জন্য সবথেকে বেশি কোন বস্তুটির সাপ্লাই দরকার? লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি। যাকে সংক্ষেপে বলা হয় লি-আয়ন। ভারতসহ গোটা বিশ্বে ক্রমবর্ধমান বিক্রির চাহিদা বাড়ছে কোন ভোগপণ্যটির? এয়ারকন্ডিশনিং মেশিন। কারণ বিশ্বজুড়ে তাপমাত্রা বাড়ছে। তাই আজকাল মধ্যবিত্ত ছাপিয়ে নিম্নবিত্তের অন্যতম উইশলিস্ট হল একটি এসি কেনা। 
এইসব তাবৎ চাহিদা মেটানোর জন্য যা কাঁচামাল দরকার, সেই খনিজ পদার্থগুলি কোথা থেকে আসে? পশ্চিম এশিয়া এবং আফ্রিকা থেকে। এবার  ভাবা যাক যে, পৃথিবীর কোন কোন দেশে সারা বছর ধরে যুদ্ধ, গৃহযুদ্ধ এবং দুর্ভিক্ষ অথবা সন্ত্রাস লেগেই থাকে? উত্তর হল, ঠিক ওই পশ্চিম এশিয়া এবং আফ্রিকার দেশগুলিতে। 
এই যে আমরা দেখতে পাই সিরিয়া থেকে লেবানন। ইয়েমেন থেকে সুদান। কঙ্গো অথবা নাইজিরিয়ায় বছরের পর বছর ধরে চলছে অস্থিরতা, এর প্রকৃত কারণ কি সুস্থ ও স্বাভাবিক কোনও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কায়েম করার লড়াই? একেবারেই নয়। আসল অথবা নকল যুদ্ধের আড়ালে একটি অন্য যুদ্ধ রয়েছে। সেটি হল আন্তর্জাতিক কর্পোরেট বহুজাতিকগুলির খনি দখলের প্রতিযোগিতা। যে কারণে এত গোপন যুদ্ধ, তাকে বলা হয় ক্রিটিকাল মিনারেলস। কী কী আছে এই তালিকায়? লিথিয়াম, ব্যাটারি নির্মাণের জন্য। প্ল্যাটিনাম, ফুয়েল সেলের জন্য। তামা ও বক্সাইট। এবং  অ্যালুমিনিয়াম। 
সোলার এনার্জি এবং ইলেকট্রিক ভেহিকলের জন্য কী কী দরকার? লিথিয়াম, নিকেল, কোবাল্ট, গ্রাফাইট, তামা, অ্যালুমিনিয়াম। ইলেকট্রিক ভেহিকল অর্থাৎ যে গাড়ি বিদ্যুতে চলে, সেই গাড়ির প্রযুক্তি কাঠামোয় সাধারণ গাড়ির তুলনায় ৬ গুন খনিজ পদার্থজাত কাঁচামাল প্রয়োজন হয়। তাই এইসব খনিজের চাহিদা আকাশছোঁয়া হচ্ছে। 
বিশ্বের ৬০ শতাংশ কোবাল্ট সাপ্লাই কে করেছে ২০১৯ সালে? কঙ্গো। চাহিদা কমে না। অথচ কঙ্গোর খাদ্যসঙ্কটও মেটে না। বিদ্রোহও কমে না। সিয়োরা লিওন এবং ভেনিজুয়েলায় অস্থিরতা কমে না। কারণ কী? কারণ এখানেই পাওয়া যায় চারটি দুর্মূল্য ধাতু। যাদের আজকাল নাম দেওয়া হয়েছে কনফ্লিক্ট মিনারেলস। কনফ্লিক্ট মিনারেলস তাদেরই বলা হয়, যাদের উৎপাদন হয় সেইসব দেশে, যেখানে সারাক্ষণ যুদ্ধ গৃহযুদ্ধ রাজনৈতিক অস্থিরতা বিদ্রোহ গণঅভ্যুত্থান লেগেই থাকে। সেইসব দেশের ওই অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে যে খনিজগুলি আন্তর্জাতিক কর্পোরেট নিয়ম করে সংগ্রহ করে, তাদের বলা হয় কনফ্লিক্ট মিনারেলস।
ট্যান্টালাম, টংস্টেন, টিন এবং সোনা। বিশ্বে সবথেকে বেশি কনফ্লিক্ট মিনারেলস এই চারটি। মোবাইল ফোনে প্রয়োজন হয় ট্যান্টালাম। গাড়ি তৈরিতে টিন। টংস্টেন ইলেকট্রিক বাল্ব এবং সোলারে। কঙ্গো আন্তর্জাতিক আদালতে কাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে অস্থিরতার সুযোগে খনিজ আত্মসাৎ করার? বিশ্বের সবথেকে মূল্যবান যে মোবাইল ব্র্যান্ড, সেই বিখ্যাত কোম্পানির বিরুদ্ধে। 
এই যে সোলার এনার্জি, ইলেকট্রিক ভেহিকল, মোবাইল নির্মাণের জন্য যা যা খনিজ দরকার হয় অথবা সামগ্রিকভাবে ক্রিটিকাল মিনারেলস সংগ্রহ ও সাপ্লাইয়ের সবথেকে বড় আন্তর্জাতিক সংস্থা কোন কোন দেশের। প্রথম তিন দেশ হল, কানাডা, আমেরিকা এবং চীন। চীনের সঙ্গে ভারত সর্বদাই কোথায় পিছিয়ে পড়ছে? আগাম পরিকল্পনায়। গত সপ্তাহে জাপান থেকে একটি সংবাদ এসেছে। হন্ডা, নিশান, মিৎসুবিসি এই তিন গাড়ি কোম্পানি সংযুক্ত হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ সব ব্র্যান্ড একটিই কোম্পানির আওতায় হবে। কারণ কী? কারণ চীন গাড়ি সাপ্লাইয়ে জাপানকে হারিয়ে দিচ্ছে। বিশেষ করে চীন আচমকা দুটি বিষয়ে আগ্রাসী হয়ে ঝাঁপিয়েছে। ইলেকট্রিক ভেহিকল এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। জাপান এই দুই ক্ষেত্রেই পিছিয়ে পড়ছে। সোলার এনার্জির জন্য যে খনিজ দরকার সেটায় সৌদি আরবের কোম্পানিগুলি এগিয়ে। চীন দ্রুত তাদের সঙ্গে চুক্তি করে ফেলেছে।
পশ্চিম এশিয়া ও আফ্রিকার যেখানে যেখানে যুদ্ধ, বিদ্রোহ, গৃহযুদ্ধ এবং অভ্যুত্থান চলে, অনাহার চলে, দুর্ভিক্ষ হয়, তার প্রত্যেকটির মাটির নীচে দুর্মূল্য ধাতু আছে। সেটা আত্মসাৎ করাই আন্তর্জাতিক কর্পোরেটের লক্ষ্য। ওদের সহকারী তাদের দেশ। আর তাই আন্তর্জাতিক স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী এই অস্থিরতা ও যুদ্ধ জিইয়ে রাখে। কিছুতেই শান্তি আনতে দেয় না। নয়তো যে দেশগুলিতে খাদ্য ও জীবিকাসঙ্কট প্রবল, সেখানে আধুনিক অস্ত্রের অবাধ সাপ্লাই বিদ্রোহী ও সন্ত্রাসবাদীদের হাতে আসে কীভাবে? কারা জোগায়? 
আসল যুদ্ধ, নকল যুদ্ধ, আসল শান্তি, নকল শান্তি, সবকিছুর পিছনে আসলে রয়েছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য স্বার্থ। চীন, কানাডা, আমেরিকা, সৌদি আরব, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া ঝাঁপিয়ে পড়েছে সেই কারণে লি-আয়ন এবং তাবৎ ক্রিটিকাল মিনারেলসের দখল নিতে। কারণ আগামী বিশ্বের সবথেকে চাহিদা এসবই। লি-আয়নের চাহিদা ৩৩ শতাংশ বেড়ে যাবে ২০৩০ সালে। ম্যাকিনসের সমীক্ষায় একথা বলা হয়েছে। তাই এই প্রতিযোগিতা। কারণ কার্বনহীন গ্রিন ক্লাইমেট আগামী দিনের অর্থনীতির চালিকাশক্তি হবে। অর্থাৎ দূষণহীন অর্থনীতি। আর সেই কারণেই ইলেকট্রিক ভেহিকল এবং সোলার এনার্জির ডিমান্ড বাড়ছে। তাই বাড়ছে খনিজ চাহিদা। 
এই যে এতক্ষণ যা যা আলোচনা করা হল, এর কারণ কী? কারণ হল একটি প্রশ্ন। এই যেখানে বিশ্ব বাণিজ্যের গতিপথ, সেখানে ভারত ২০২৪ সালে ঠিক কী কী করেছে? কিছুই না। ভারতের কোনও সংস্থা এসব বাণিজ্যে সামান্য পা রাখতেই পারেনি। ভারত সরকারের যারা নীতি নির্ধারক, তারা সবথেকে যা ভালোবাসে, তা হল, গালভরা বাণী দেওয়া। ভাষণ দেওয়া। বক্তৃতা দেওয়া। বিশ্ববাণিজ্যের ভবিষ্যৎ অভিমুখ, আধুনিক প্রযুক্তির পূর্বাভাস, সেটা আগাম আঁচ করে দ্রুত অন্য দেশগুলিকে পিছনে ফেলে কোনও একটি সেক্টরে এক নম্বর হওয়ার দৌড়ে শামিল হওয়ার চেষ্টা এবং ক্রমেই প্রধান উৎপাদক, সাপ্লাইকারী কিংবা ব্র্যান্ডভ্যালু নির্মাণ করা, এসব থেকে ভারত সরকার বহু দূরে। 
ভারত সরকার যে এসব পারবে না এবং ভারত যে এভাবেই  আন্তর্জাতিক এই দুর্দান্ত অর্থনৈতিক দাবাখেলায় ফর্মুলা ওয়ানের মতো রুদ্ধশ্বাস বাণিজ্যরেসের দর্শক হয়েই থেকে যাবে সেটা নিয়ে সন্দেহ নেই। কারণ, যে দেশে ২০২৪ সালেও কোন মসজিদের নীচে ৮০০ বছর আগে মন্দির ছিল, কে কোন মাংস খাবে, দেশের রাষ্ট্রভাষা কী হওয়া উচিত, স্কুলে স্কুলে হানা দিয়ে দেখা হবে শিশুদের মধ্যে রোহিঙ্গা মিশে নেই তো, বাবাসাহেব আম্বেদকরের বন্দনা করাকে ফ্যাশন আখ্যা দেওয়া, লবণ যুক্ত হলে পপকর্নে জিএসটি বেশি ইত্যাদি আশ্চর্য এবং অপরিণতমনস্ক রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক কালচার চাপিয়ে দেওয়া হয়, সেই দেশ নতুন পৃথিবীর সঙ্গে লড়বে কীভাবে? 
পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ প্রতিবেশী ভূমিখণ্ডে এখন ক্রমবর্ধমান ভাঙনের শব্দ। ইওরোপ থেকে আসছে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় অস্থিরতার বার্তা। সুপ্রাচীন পশ্চিম এশিয়া ধ্বংসপ্রায়। আমাদের দরকার আরও বেশি করে ঐক্য ও বুদ্ধির সংমিশ্রণে আরও শক্তিশালী হওয়া। অথচ ঠিক এই দুটিরই অভাব। ঐক্য ও বুদ্ধি। এরকম একটি নিশ্ছিদ্র সাংবিধানিক কাঠামো এবং গণতন্ত্রের ঐতিহ্য পৃথিবীর কোনও দেশের নেই।
আমাদের সূক্ষ্মভাবে ভাবা উচিত, ঠিক যে দেশগুলি পৃথিবীর ইতিহাসে সবথেকে প্রাচীন, শিক্ষিত এবং সভ্য ছিল, সেই দেশগুলিকেই টার্গেট করা হয়েছে চিরঅস্থির করে দেওয়ার জন্য। মিশর, সিরিয়া, লিবিয়া, ইরান, ইরাক, আফগানিস্তান, প্যালেস্টাইন, গ্রিস...। এইসব রাষ্ট্র সঙ্কটে। 
আন্তর্জাতিক চক্রান্তের পরবর্তী টার্গেট সিন্ধু সভ্যতার এই মহাপ্রাচীন ভারত নামক ভূমিখণ্ড যে হবে না এটা কে বলল? ভারতকে অস্থির করার গোপন পরিকল্পনা যে চলছে না সেটারই বা নিশ্চয়তা কী? সেটা প্রতিরোধ করার জন্য জাতি-ধর্ম-ভাষা নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভারতকে আবার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা ও বাণিজ্য কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার জন্য কী করা উচিত? ভারতের বিপুল জনসংখ্যা। বিরাট অংশ ইংলিশ স্পিকিং। গণতন্ত্র বজায় আছে। মহিলা ওয়ার্ক ফোর্স সবথেকে বেশি। আধুনিক প্রযুক্তিতে শিক্ষিত যুবসংখ্যা বিশ্বের সবথেকে বেশি। এতসব ইতিবাচক ফ্যাক্টর আর কোথাও নেই। 
২০২৫ সালে বাকি সব অপরিণতমনস্ক এবং অপ্র঩য়োজনীয় ইস্যু পরিত্যাগ করে রাষ্ট্র পরিচালকরা এটা কি ভাববেন? এই কিন্তু শেষ সুযোগ। এরপর আধুনিক পৃথিবী অনেক এগিয়ে যাবে! 
27th  December, 2024
পরিবর্তনের বীজ বপন মনমোহনেরই হাতে
পি চিদম্বরম

গত ২৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার চলে গেলেন ডঃ মনমোহন সিং। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। ১৯৯১ সালের ২১ জুন তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। সেদিনই তাঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগের শুরু। তাঁর প্রয়াণের সঙ্গেই অবসান ঘটল আমাদের মধ্যে সেই সুসম্পর্কের।
বিশদ

বাংলাকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত বন্ধ হোক!
হিমাংশু সিংহ

‘দুনিয়ার হিন্দু এক হও...।’ বাংলাদেশ ইস্যুতে ফায়দা লুটতে আওয়াজ তুলছেন হতাশ দলবদলু নেতা। বঙ্গ বিজেপি’র যেরকম দিশাহারা অবস্থা, তাতে আর কী-বা করার আছে তাঁর। এই স্লোগান হিন্দু ধর্মের স্বার্থে না ঢাল তরোয়াল ছাড়া ভোট বৈতরণী পার করার বাধ্যবাধকতায়? বিশদ

05th  January, 2025
বিজেপির সদস্যতা অভিযান আসলে জুমলা
তন্ময় মল্লিক

আগে জামাকাপড় কেনাকাটার উপর বছরে একবারই ছাড় দেওয়া হতো। বাংলায় যার নাম ‘চৈত্র সেল’। বিক্রি না হওয়া মালপত্রের সদ্‌গতি করাই ছিল লক্ষ্য। বহু মানুষ চৈত্র সেলের অপেক্ষায় থাকত। কিন্তু এখন? মলে, বড় বড় দোকানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রায় সারা বছরই ‘অফার’ দেওয়া হয়। বিশদ

04th  January, 2025
নতুন বছরে বঙ্গীয় বাবুসমাজ আত্মসমীক্ষা করুক
সমৃদ্ধ দত্ত

বঙ্গীয় বাবুসমাজের সবথেকে বড় গর্ব হল, ‘আই নো অল’ মনোভাব। তাদের নিশ্চিত বিশ্বাস যে, তারা সব জানে। বাবুসমাজের প্রিয় শখ হল কারণে অকারণে অন্যদের অসম্মান ও অপমান করা। কারণ তাদের ধারণা অপমান করলেই জয়ী হওয়া যায়। বিশদ

03rd  January, 2025
বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার
মৃণালকান্তি দাস

হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার টের পেয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফখরুল সাহেব বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে কোনও মৌলবাদী শক্তির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নেই। বাংলাদেশের মানুষের শক্তির উপর আস্থা রাখি।’ বিশদ

02nd  January, 2025
পঁচিশের প্রার্থনা
হারাধন চৌধুরী

বিদায় নিল আরও একটি বছর, ২০২৪। আজ, নতুন সালে পা রেখে আমরা বুঝে নিতে চাই—বিদায়ী বছরে কী পেয়েছি আর কী হারিয়েছি এবং আরও কী কী নিতে পারতাম তার ঝুলি থেকে কিন্তু নিতে পারিনি। বিশদ

01st  January, 2025
লোকশিক্ষক রামকৃষ্ণ সদাই কল্পতরু
অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায়

একটু খোলামেলা জায়গায় রোগীকে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তার  সরকার। সেই মতো বাড়ি খোঁজা শুরু হল।  রামচন্দ্র দত্ত কাশীপুর নিবাসী মহিমাচরণ চক্রবর্তীর সাহায্যে খুঁজে পেলেন একটি বাগানবাড়ি। রানি কাত্যায়নীর জামাই গোপাল চন্দ্র ঘোষের বাড়ি। বিশদ

01st  January, 2025
জিএসটি জেনে কী হবে? পপকর্ন খান
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আপনি কি এর মধ্যে পপকর্ন খেয়েছেন? খেলেই কিন্তু হল না। বলতে হবে, কোথায় খেয়েছেন। বাড়িতে? নাকি সিনেমা হলে? মাল্টিপ্লেক্স বা সিনেমা হলে খেলে বলুন, কীভাবে কিনেছেন। টিকিটের সঙ্গে? নাকি ইন্টারভ্যালের সময় বেরিয়ে, আলাদাভাবে? বিশদ

31st  December, 2024
সংবিধান বদলের অন্যায্য উদ্যোগ

এবারের লোকসভা নির্বাচনের অব্যবহিত পরে আমার একটি অনুমানের কথা জানিয়েছিলাম যে, বিজেপির নেতৃত্বে এবারের কেন্দ্রীয় সরকারও তার আগের দু’দফার কায়দাতেই দেশ পরিচালনা করে যাবে। লোকসভায় বিজেপি এককভাবে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবার পায়নি।
বিশদ

30th  December, 2024
ইন্ডিয়া জোটের ‘মনমোহন’ কে হবেন?
হিমাংশু সিংহ

বছরের একেবারে শেষ অঙ্কে তাঁর মৃত্যুটাও কি আর একটা অ্যাকসিডেন্ট! হঠাৎ সব হিসেব উল্টে গেল। ভেবেছিলাম যে বছরটা শেষ হচ্ছে, এই বাংলায় তার লাভ-লোকসান ও নানা ঘটনার অভিঘাত নিয়ে লিখব। কিন্তু আচমকা একটা নবতিপর শান্ত স্থিতধী মানুষের মৃত্যু সব ওলটপালট করে দিল। বিশদ

29th  December, 2024
মনমোহনকে কোনওদিনই ছুঁতে পারবেন না মোদি
তন্ময় মল্লিক

গাফিলতি, উদাসীনতা, নাকি পরিকল্পনা? গোটা দেশে বিপুল পরিমাণ রেশন সামগ্রী নষ্টের বিষয়টি সামনে আসতেই এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। অনেকে মনে করছেন, একে গাফিলতি বা উদাসীনতা বলে ভাবা ভুল হবে, এটাও একটা পরিকল্পনা। নরেন্দ্র মোদির সরকারের আমলে সবই হয় প্ল্যান মাফিক। বিশদ

28th  December, 2024
হলিউডে ড্রাগনের থাবা!
মৃণালকান্তি দাস

পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গ বেজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে পা রেখেছিলেন ২০০৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। সেদিন তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে একটি বিশাল ঘড়ি লাগানো হয়েছিল। ঘড়ির কাঁটা চালু হয়েছিল ১ হাজার ৪১৭ দিন গণনার জন্য। লক্ষ্য ২০০৮-এর গ্রীষ্মকালীন ওলিম্পিক্স। 
বিশদ

26th  December, 2024
একনজরে
গত দুই মরশুমে মোহন বাগানের যাবতীয় সাফল্যের অন্যতম কাণ্ডারি তিনি। তবে চলতি আইএসএলে একেবারেই ছন্দে নেই দিমিত্রি পেত্রাতোস। তার উপর থাবা বসিয়েছে চোট। গত দু’টি ...

প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা প্রকল্পটিকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আরও কার্যকরী করে তুলতে ৮২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ...

এদেশে কোনও পণ্যের গুণমান নির্ধারণ এবং তা যাচাইয়ের অধিকার রয়েছে কেন্দ্রীয় ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রকের আওতাধীন ব্যুরো অব ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস বা বিআইএস-এর। ...

নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণের অধিকারকে নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর সরকার। সেই লক্ষ্যে ডিজিটাল ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইন তৈরি করা হচ্ছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্ম নিয়ে স্থানান্তর গমনে সাফল্যের যোগ। কর্মে স্থানগত বা সংস্থাগত পরিবর্তন অসম্ভব নয়। পারিবারিক ক্ষেত্রে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭০৬: মার্কিন লেখক, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, ও কূটনীতিবিদ বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের জন্ম
১৮৩৮: হাতে কলমে টেলিগ্রাফের কার্যকারিতা প্রদর্শন করেন স্যামুয়েল মোর্স
১৮৫২: দৃষ্টিহীনদের শিক্ষা পদ্ধতির প্রবর্তক লুই ব্রেইলের মৃত্যু
১৮৮৪: বংশগতির প্রবক্তা গ্রেগর মেন্ডেলের মৃত্যু
১৯২৯: কলকাতায় এলেন মাদার টেরিজা
১৯৫৯: প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার কপিল দেবের জন্ম
১৯৬২: অভিনেত্রী বিন্দিয়া গোস্বামীর জন্ম
১৯৬৬: সঙ্গীত পরিচালক তথা শিল্পী এ আর রহমানের জন্ম
১৯৭১: অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদারের জন্ম
১৯৭১: জাদুসম্রাট সিনিয়র পিসি সরকারের মৃত্যু
১৯৮০: বিশিষ্ট গীতিকার, সুরকার তথা সঙ্গীতজ্ঞ দীলিপকুমার রায়ের মৃত্যু
১৯৮৪: সঙ্গীতশিল্পী তথা মঞ্চাভিনেত্রী আঙুর বালার মৃত্যু
২০১৭: অভিনেতা ওম পুরির মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.৯৩ টাকা ৮৬.৬৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৭২ টাকা ১০৮.৪৪ টাকা
ইউরো ৮৬.৮১ টাকা ৯০.১৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
05th  January, 2025
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
05th  January, 2025

দিন পঞ্জিকা

দৃকসিদ্ধ: ২২ পৌষ, ১৪৩১, সোমবার, ৬ জানুয়ারি ২০২৫। সপ্তমী ৩০/৫ রাত্রি ৬/২৪। উত্তর ভাদ্রপদ নক্ষত্র ৩১/৫৩ রাত্রি ৭/৭। সূর্যোদয় ৬/২২/১১, সূর্যাস্ত ৫/২/৪৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৯/১২ গতে ১২/২১ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪২ গতে ১১/১৫ মধ্যে পুনঃ ২/৪৮ গতে ৩/৪১ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪২ গতে ৯/২ মধ্যে পুনঃ ২/২৩ গতে ৩/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৩ গতে ১১/৪২ মধ্যে। 
২১ পৌষ, ১৪৩১, সোমবার, ৬ জানুয়ারি ২০২৫। সপ্তমী রাত্রি ৬/৪৩। উত্তর ভাদ্রপদ নক্ষত্র রাত্রি ৭/৫৬। সূর্যোদয় ৬/২৪, সূর্যাস্ত ৫/৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫০ মধ্যে ও ১০/৪৩ গতে ১২/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৩ গতে ৮/৪২ মধ্যে ও ১১/২১ গতে ২/৫২ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪৪ গতে ৯/৪ মধ্যে ও ২/২৩ গতে ৩/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৩ গতে ১১/৪৪ মধ্যে। 
৫ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
লিবেরাল পার্টির নেতার পদ থেকে পদত্যাগ করলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো

10:32:00 PM

আগামী ৮-৯ জানুয়ারি অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশাতে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

10:31:00 PM

তামিলনাড়ুতে এইচএমপিভি ভাইরাসে আক্রান্ত দুই

10:08:00 PM

কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেবেন বলে জানিয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো

09:42:00 PM

হাওড়ায় বাড়িতে ডাকাতি
হাওড়ায় দুঃসাহসিক ডাকাতি। গতকাল, রবিবার বিকেলে হাওড়ার বোটানিক্যাল গার্ডেন থানা ...বিশদ

09:35:03 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গলকে ৩-২ গোলে হারাল মুম্বই সিটি

09:31:00 PM