Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

এরপরেও বিজেপি গরিবের ভোট চাইবে?
তন্ময় মল্লিক

বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা দেওয়ামাত্র বিরোধীরা একযোগে সমালোচনা শুরু করে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ‘ছাব্বিশের ভোটের জন্য এসব করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাছের তেলে মাছ ভাজছেন। কারণ এটা সাধারণ মানুষের করের টাকা।’ বিরোধীরা একেবারে হক কথা বলছেন। আবাস প্রকল্পের টাকা রাজ্য সরকারের কোষাগার থেকেই দেওয়া হচ্ছে। এবং অবশ্যই তা জনগণের করের টাকা। তাহলে কি গরিব মানুষের বাড়ি তৈরির জন্য টাকা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ভুল করলেন? সেটা না করে কি জ্যোতি বসুর স্টাইলে শিল্পপতি ধরার নামে রুটিন করে বিদেশ-ভ্রমণ করাই উচিত ছিল, নাকি শিক্ষকের চাকরি প্রার্থীদের মতো গরিব মানুষগুলোকেও ‘রাজনীতির বোড়ে’ বানালে ভালো হতো? তবে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি হল, কোন সরকার বা মন্ত্রী তাঁর পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করে জনসেবা করেন? এমনকী, বাংলাকে ৩৪ বছর শাসনের রেকর্ড সুজন চক্রবর্তীদের জিম্মায় থাকলেও এমন নজির তাঁরা সৃষ্টি করতে পারেননি।
গ্রামীণ এলাকার গরিব মানুষের মাথার উপর পাকা ছাদ নির্মাণই হল আবাস প্রকল্প। কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক সহায়তায় গোটা দেশে গরিব গৃহহীন মানুষ পাকা বাড়ি পেয়ে থাকে। তিন বছর ধরে বাংলায় সেই প্রকল্পের টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার। প্রথমে প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে, এই অজুহাতে টাকা আটকে দিয়েছিল। এই প্রকল্পের ৪০ শতাংশ টাকা রাজ্য সরকার দিলেও গরিব মানুষের স্বার্থে কেন্দ্রের দাবি মেনে নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতেও টাকা দেয়নি। কেন্দ্রের নির্দেশ মেনে তৈরি হয়েছিল ১১ লক্ষের তালিকা। তারপরেও টাকা না মেলায় আন্দোলন মঞ্চেই কেন্দ্রীয় সরকারকে ‘ডেডলাইন’ বেঁধে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়েছিলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে গরিব মানুষের ঘর তৈরির টাকা কেন্দ্র  না দিলে দেবে রাজ্যই।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেদিন এই ঘোষণা করেছিলেন সেদিন অনেকেই ভেবেছিলেন, সবটাই ফাঁকা আওয়াজ। এই বিপুল পরিমাণ টাকা জোগাড় করা অসম্ভব। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিলেন, ইচ্ছা থাকলে কোনও কিছুই অসম্ভব নয়। আবাস তালিকায় থাকা ১১ লক্ষকে তো টাকা দিচ্ছেনই। তার সঙ্গে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত আরও ১ লক্ষ পরিবার পেতে চলেছে মাথার উপর পাকা ছাদ। কারণ তাঁরাও যে আশ্রয়হীন! মুখ্যমন্ত্রীর এই অভাবনীয় সিদ্ধান্তে গ্রামের বুকে জন্ম নিয়েছে এক নতুন স্লোগান, ‘যার নেই কোনও ক্ষমতা/ তার জন্য আছেন স্বয়ং মমতা’।
কথা দিলে কথা রাখেন মমতা। একুশের নির্বাচনের পর সেটা তিনি বিরোধীদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিলেন। নির্বাচনের আগে দেওয়া প্রতিটি প্রতিশ্রুতি অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছিলেন। আরও একবার প্রমাণ করলেন। শুধু ১২ লক্ষই নয়, তাঁর তালিকায় রয়েছে আরও ১৬ লক্ষ পরিবারের নাম। দু’দফায় আট লক্ষ করে দু’বারে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের টাকা দেওয়া হবে। টাকা দেওয়া হবে ছাব্বিশ সাল পর্যন্ত। ওই বছরই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। তাই ‘ছাব্বিশের ভূত’ বিরোধীদের তাড়া করে বেড়াচ্ছে। বিরোধীরাও বুঝতে পারছে, গরিবের বাড়ির ছাদ যত পাকা হবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ের তলার মাটি ততই মজবুত হবে। 
বিরোধীদের এই আশঙ্কা একেবারে অমূলক বলে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এ রাজ্যে সামগ্রিকভাবে শাসক দলের নেতাদের উপর সাধারণ মানুষ সন্তুষ্ট, এমন দাবি সম্ভবত অতি বড় তৃণমূল সমর্থকও করার সাহস পাবেন না। তা সত্ত্বেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা যে অটুট, প্রতিটি নির্বাচনে তার প্রমাণ মিলেছে। ২০১৯ সাল ছাড়া তৃণমূলের আমলে অ্যান্টি ইনকামবেন্সির কোনও প্রভাব ভোটে পড়েনি। তার কারণ অবশ্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালু করা একগুচ্ছ সামাজিক প্রকল্প। রাজ্যের অধিকাংশ মানুষ এখনও বিশ্বাস করে, ক্ষমতায় থাকার সুবাদে তৃণমূল দলটায় অনেক আগাছা জন্মালেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গরিব মানুষের জন্যই কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা দেওয়ায় সেই বিশ্বাসের ভিত আরও দৃঢ় হল।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা, প্রতিহিংসার রাজনীতির কারণেই বাংলার গরিব মানুষ বিজেপির দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে, আঁকড়ে ধরছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। একুশের নির্বাচনের পরাজয়ের বদলা নিতে বন্ধ করে দেয় ১০০ দিনের কাজ। তারপরই দুর্নীতি হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে আটকে দেয় আবাসের টাকা। তিন বছরে ৬৯টি কেন্দ্রীয় টিম পাঠিয়ে তদন্ত করার পরেও টাকা দেয়নি। তাতে লক্ষ লক্ষ গরিব মানুষ অসহায় অবস্থার মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছে। বিজেপি বাংলার অসহায় মানুষগুলোর মুখে হাসি ফোটানোর জন্য ২৪ হাজার কোটি টাকা দিতে না পারলেও ২০২৩-’২৪ সালে বন্ধু শিল্পপতিদের প্রায় পৌনে দু’লক্ষ কোটি টাকার ঋণ অনায়াসেই মকুব করে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাকে যত বঞ্চিত করবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছাব্বিশের লড়াইটা ততই সহজ হয়ে যাবে।
সিপিএমের মুখপত্র ‘গণশক্তি’ পত্রিকায় লেখা হয়েছে, আবাস তালিকার ১২ লক্ষের নাম ছাঁটল রাজ্য। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘২০২৬ সালে বিধানসভা ভোটের আগে অনুদান খাতে টাকা খরচকেই টার্গেট করেছে নবান্ন।’ এই সিপিএমের তাত্ত্বিক নেতারাই বাম আমলে দিতেন সাংবাদিকতার পাঠ। বলতেন, ‘গঠনমূলক সমালোচনা করুন। গ্লাসে অর্ধেকটা জল থাকলে আপনারা খালি অংশটাই তুলে ধরেন। জল যে আছে, সেটা বলেন না। মানুষের, সমাজের মঙ্গল চাইলে ভালো দিকটা তুলে ধরতে হয়।’ শূন্যে পৌঁছে সিপিএম সেই নীতিবাক্য বেমালুম 
ভুলে গিয়েছে। 
একথা ঠিক, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রকল্প ঘোষণা ও কর্মসূচির পিছনে থাকে সরকারে টিকে থাকার অথবা ক্ষমতায় ফেরার লক্ষ্য। বাংলার বাড়ি প্রকল্পের সমস্ত আর্থিক ব্যয়ভার নেওয়ার পিছনে শাসক দলের রাজনৈতিক ফায়দা অবশ্যই আছে। কিন্তু, কাজ করে ভোট নিলে অসুবিধে কোথায়? 
মানুষ তো সেই দলকেই ভোট দেয় যে জিতলে 
তাদের উপকার হয়। এই অঙ্ক কষার জন্য স্কুলে যাওয়ার দরকার হয় না। জীবনের পাঠাশালায় অভিজ্ঞতার আলোয় সেই শিক্ষা লাভ হয়। তারজন্যই একুশে সর্বশক্তি নিয়োগ করেও বিজেপি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতে পারেনি। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনেও বঙ্গ বিজেপি ঠেকাতে পারেনি তাদের রক্তক্ষরণ।
কেতুগ্রামের বিল্বেশ্বর পঞ্চায়েতের বারান্দা গ্রামের শ্যামল মাঝির অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের টাকা। মাটির দেওয়ালের উপর চাপানো কিছু খড়ই তাঁদের বাড়ি। দু’টি ঘরে এতদিন ছিল আটটি প্রাণীর বাস। এখন কমে সাত। খড়ের চাল বেয়ে বৃষ্টির জল যত না বাইরে যায়, তারচেয়েও বেশি পড়ে ভিতরে। এবারের অতিবৃষ্টিতে অবস্থা একটু বেশিই করুণ হয়েছিল। শ্যামলবাবুর বৃদ্ধা মা পুষ্পাদেবী নেতাদের দেখলেই বলতেন, ‘হ্যাঁ গো, আমার ব্যাটাটার একটা ইটের ঘর হবে না।’ শুধু এইটুকুই। কাউকে কোনওদিন দোষারোপ করেননি। নেতারা শুধু বলতেন, টাকা ঢুকবে। কিন্তু দিন যায়, মাস যায়, বছরও ঘোরে। বাড়ির টাকা আসে না। ‘ব্যাটার ইটের ঘর হবে না?’ এই প্রশ্ন এড়াতে নেতারা নিতান্ত বাধ্য না হলে শ্যামলবাবুর বাড়ির সামনে যেতেন না।
সেই পুষ্পাদেবীর ছেলের অ্যাকাউন্টে বুধবার ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের ৬০ হাজার টাকা ঢুকেছে। মাটির বাড়ি ভেঙে তৈরি হবে ইটের দেওয়াল। জীর্ণ খড়ের চালার জায়গায় তৈরি হবে ঢালাই ছাদ। আকাশে মেঘ করলে দুশ্চিন্তার কালো মেঘ আর মনে ভিড় করবে না। তবুও বাড়ির লোকজনের মনে আনন্দ নেই। কারণ সাতদিন আগেই পুষ্পাদেবী সকলকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন। শ্যামলবাবুর স্ত্রী বুধু মাঝি বলেন, শাশুড়ির খুব ইচ্ছা ছিল, বেটার একটা ইটের ঘর হোক। এবার সেই ঘর হবে। শাশুড়ির শ্রাদ্ধের কাজ মিটলেই ঘর তৈরির কাজে হাত দেব। মমতাদির কৃপায় স্বপ্নপূরণ হবে আমার শাশুড়িমায়ের।
রাজার নীতি রাজনীতি, নাকি নীতির রাজা, সেটা আজও বুঝে ওঠা সম্ভব হল না। রাজনীতির জাঁতাকলে পড়ে গরিব, খেটে খাওয়া মানুষগুলোর ছোট ছোট স্বপ্নগুলো প্রতিনিয়ত পেষাই হয়। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষ বুঝে গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন ততদিন পুষ্পাদেবীদের স্বপ্নগুলোকে পিষে মারার ক্ষমতা কারও নেই। বাস্তবের মাটিতে একদিন না একদিন মাথা তুলবেই।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে অথচ অপুষ্টি কমছে না
সমৃদ্ধ দত্ত

সরকার জনসংখ্যা নীতি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি যাতে কমে যায় সেই কঠোর নীতি কি নেওয়া দরকার? নাকি জনসংখ্যা নীতির প্রয়োজন নেই? এই জল্পনা এখন সরকারের অন্দরে অন্যতম প্রধান একটি বিতর্ক। সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু যে রাষ্ট্র আর কিছু বছরের মধ্যে নাকি তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে সেখানে এত শিশুমৃত্যু কেন? এত অপুষ্টি কেন?
বিশদ

20th  December, 2024
আল-কায়েদা জঙ্গি জোলানি এখন হিরো
মৃণালকান্তি দাস

প্রচণ্ড গরমের এক দুপুর। ইরাক আর সিরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে দু’টি পিকআপ ভ্যান। স্থানীয়রা জানত, এসব গাড়ি কাদের এবং কী উদ্দেশ্যে এখানে চলাচল করে। সিরিয়ার বাজার থেকে অস্ত্র কিনে এই রুট দিয়ে সেগুলি ইরাকে নিয়ে যায় আল-কায়েদা। বিশদ

19th  December, 2024
পাকিস্তান নয়, ভারতই পাশে থাকবে
হারাধন চৌধুরী

অনেক সংশয় কাটিয়ে সোমবার ঢাকাতেও পালিত হল ‘বিজয় দিবস’। এমনকী, কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ামের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেও যোগ দিল বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। ‌গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হয় এবং ৮ আগস্ট বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয় মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিশদ

18th  December, 2024
সিবিআইকে নিয়ে গদগদ হওয়ার কিছু আছে কি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

১) ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্ন। কল্যাণী এইমস এবং দিল্লির গঙ্গারামপুর হাসপাতালে পাঠানোর পরও কিন্তু খুঁত মিলল না। বিশদ

17th  December, 2024
প্রত্যাশিত ভারত মোদির ‘বিকশিত’ ভারত নয়
পি চিদম্বরম

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব—দু’জনেই শহুরে, সুশিক্ষিত ও মৃদুভাষী মানুষ। এস জয়শঙ্কর ফরেন সার্ভিসে একটি উল্লেখযোগ্য কর্মজীবন কাটিয়েছেন। সেখানে তাঁকে একজন উদারপন্থী ব্যক্তি হিসেবেই বিবেচনা করা হতো।
বিশদ

16th  December, 2024
এক দেশ এক নির্বাচন ও মমতার চ্যালেঞ্জ
হিমাংশু সিংহ

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছাব্বিশে, না তারও আড়াই বছর বাদে উনত্রিশের সম্মিলিত নির্বাচনে, তা ভবিষ্যৎ বলবে। কিন্তু ইতিমধ্যেই রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে জাতীয় ক্ষেত্রেও তাঁকে প্রধান মুখ করে লড়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে পাটনা থেকে মুম্বই, লখনউ থেকে দিল্লির প্রধান বিরোধী দলগুলির মধ্যে। বিশদ

15th  December, 2024
মৌলবাদ: চক্রান্ত রুখছেন রাজ্যের মুসলিমরাই
তন্ময় মল্লিক

‘কোটা’র বিরুদ্ধে আন্দোলনকে সামনে রেখেই বাংলাদেশে ঘটেছিল তথাকথিত ‘গণঅভ্যুত্থান’। কোটাপ্রথার বিলোপই যদি লক্ষ্য হতো, তাহলে ৫আগস্ট  আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটত। শেখ হাসিনা দেশত্যাগী হয়েছেন। কিন্তু দেশে শান্তি ফেরেনি। বিশদ

14th  December, 2024
বিজেপি-সখ্যে আঞ্চলিক দলের ক্ষতি হচ্ছে
সমৃদ্ধ দত্ত

বিগত ১০ বছর ধরে দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের শাসক দল বিজেপির সঙ্গে যে আঞ্চলিক দলই সখ্য স্থাপন করেছে, তাদেরই চরম রাজনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। হয় তারা নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক হারিয়েছে অথবা সরকার থেকে পদচ্যুত হয়েছে। কিংবা নিজেদের রাজ্যে গুরুত্বহীন হয়ে গিয়েছে। বিশদ

13th  December, 2024
দেশে এবার ‘কৃষ্ণ বিপ্লব’ আসন্ন!
মৃণালকান্তি দাস

দেশের এক আইআইটি (ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি) অধিকর্তা দাবি করেছিলেন, তিনি নাকি মন্ত্রবলে ‘ভূত ছাড়াতে’ পারেন। বেশ কয়েক বছর আগে একটি পরিবারকে তিনি ‘অশুভ আত্মার কবল থেকে মুক্ত’ করেছিলেন বলে দাবি করেন প্রযুক্তিবিদ্যার ওই বিশেষজ্ঞ। বিশদ

12th  December, 2024
কাজ ও প্রচারের নিরিখে মোদি বনাম মনমোহন
সন্দীপন বিশ্বাস

আপনারে বড় বলে, বড় সেই নয়, / লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়। কোন বালক বয়সে পড়া ‘বড় কে’ নামের এই কবিতার লাইনটি আজও মানুষ ভুলে যাননি। অনেকে সেই কবির নামই জানেন না বা ভুলে গিয়েছেন, কিন্তু লাইন দু’টির মধ্যে যে ঘোর বাস্তবতা রয়েছে, সেটা আমরা মাঝে মাঝেই টের পাই। বিশদ

11th  December, 2024
হাতে টাকা নেই, সোনা বন্ধকই ভরসা ভারতের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের বাজারে সোনার দাম কত? প্রতি ১০ গ্রামে ৭৮ হাজার ৪০০ টাকার আশপাশে। চলতি মাসের হিসেব ধরলে একবারই এই দর নেমেছিল ৭১ হাজারে। আর গোটা বছরের গড়ও সেটাই। অথচ বছর দুয়েক আগেও অঙ্কটা এমন ছিল না। বিশদ

10th  December, 2024
মানবাধিকার দিবস: পূর্ববঙ্গের সাতকাহন
জিষ্ণু বসু

১৯৪৮ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘে যখন ১০ ডিসেম্বর তারিখটিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছিল, ঠিক তখন সারা পৃথিবীর মধ্যে সম্ভবত সবথেকে বেশি মানুষের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছিল পূর্ববঙ্গে। সম্পূর্ণ পূর্ববঙ্গ তখন সংখ্যালঘুদের রক্তে প্লাবিত। বিশদ

10th  December, 2024
একনজরে
শুক্রবার ভোরে কালীগঞ্জের বড়চাঁদঘর পঞ্চায়েতের তেজনগর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি মোবাইল দোকানে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। দোকানের শাটার ভেঙে দুষ্কৃতীরা লক্ষাধিক টাকার মোবাইল চুরি করে ...

শুক্রবার সকালে স্কুটারের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক যুবকের। মৃতের নাম মুজাফফর বিশ্বাস (৪২)। ঘটনাটি ঘটে দেগঙ্গার কামদেবকাটিতে। পুলিস রক্তাক্ত অবস্থায় স্কুটার চালককে উদ্ধার করে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলেও শেষরক্ষা হয়নি। ...

শনিবার তেলেঙ্গানায় সন্তোষ ট্রফির মূল পর্বের গ্রুপ লিগে বাংলার প্রতিপক্ষ মণিপুর। সম্প্রতি ভারতীয় ফুটবলের সাপ্লাই লাইন এই রাজ্য। একাধিক ফুটবলার আইএসএলে বিভিন্ন দলের হয়ে মাঠ কাঁপাচ্ছেন। ...

মাদক কারবার থেকে চোরাচালান। মানব পাচার থেকে জঙ্গি কার্যকলাপ। সবমিলিয়ে ক্রমশ স্পর্শকাতর নেপাল ও ভুটান সীমান্ত। এজন্যই ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি চলছে সংশ্লিষ্ট দুই সীমান্তে। একইসঙ্গে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮০১: শিক্ষাবিদ ও সমাজসংস্কারক প্রসন্নকুমার ঠাকুরের জন্ম
১৯১১: প্রতিষ্ঠিত হল সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ইন্ডিয়া
১৯৫৯: ক্রিকেটার কৃষ্ণমাচারী শ্রীকান্তের জন্ম
১৯৬৩: অভিনেতা গোবিন্দার জন্ম
১৯৯৮: নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে ‘দেশিকোত্তম’ দিল বিশ্বভারতী
২০১২: পরিচালক যীশু দাশগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.১৩ টাকা ৮৫.৮৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২৭ টাকা ১০৭.৯৮ টাকা
ইউরো ৮৬.৪২ টাকা ৮৯.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,০০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৬০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৭,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৭,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী ১৫/১৫, দিবা ১২/২২। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র ৫৯/৫৫ শেষ রাত্রি ৬/১৪। সূর্যোদয় ৬/১৬/১৭, সূর্যাস্ত ৪/৫৩/১১। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৭/৪২ গতে ৯/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৭ গতে ২/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৩/২৯ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৫৬ গতে ২/৪৩ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৩ গতে ২/১৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৩ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৬ গতে উদয়াবধি। 
৫ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী দিবা ১/৫৮। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/১৯, সূর্যাস্ত ৪/৫২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে ও ৭/৪৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে ও ১২/৫ গতে ২/৫৬ মধ্যে ও ৩/৮ গতে ৪/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ১/৪ গতে ২/৫০ মধ্যে। কালবেলা ৭/৩৮ মধ্যে ও ১২/৫৫ গতে ২/১৪ মধ্যে ও ৩/৩৩ গতে ৪/৫২ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩৩ মধ্যে ও ৪/৩৮ গতে ৬/২০ মধ্যে।
১৮ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
জার্মানিতে বড়দিনের বাজারে গাড়ি চালিয়ে তাণ্ডব: জখমদের মধ্যে রয়েছেন সাতজন ভারতীয়

11:29:00 PM

সন্ধ্যা থিয়েটারে পদপিষ্টের ঘটনা: আমার চরিত্রহনন করা হয়েছে, বললেন অল্লু অর্জুন
হায়দরাবাদের সন্ধ্যা থিয়েটারে ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’ সিনেমার প্রিমিয়ারে পদপিষ্টের ...বিশদ

11:10:07 PM

ব্রাজিলে ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ, হত ৩০

10:41:00 PM

রাজাহুলিতে বৃদ্ধ খুনের অভিযোগে আরও দু’জনকে মালদহের কালিয়াচক থেকে গ্রেপ্তার করল এনজেপি থানার পুলিস

10:20:00 PM

ঝাড়গ্রাম শহরে অজানা জন্তুর আক্রমণে গোরুর মৃত্যু, মিলেছে পায়ের ছাপ

10:03:00 PM

মোহালিতে নির্মীয়মান বিল্ডিং বিপর্যয়: উদ্ধারকাজে যোগ দিল ভারতীয় সেনা

09:50:00 PM