Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

পাকিস্তান নয়, ভারতই পাশে থাকবে
হারাধন চৌধুরী

অনেক সংশয় কাটিয়ে সোমবার ঢাকাতেও পালিত হল ‘বিজয় দিবস’। এমনকী, কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ামের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেও যোগ দিল বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। ‌গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হয় এবং ৮ আগস্ট বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয় মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। বাংলাদেশের নয়া জমানায় এটাই প্রথম বিজয় দিবস উদযাপন। কিন্তু এই অনুষ্ঠান ঘিরে ঘোর সংশয়ের কারণ সেদেশের নবীন নেতৃত্বের মতিগতি। আওয়ামি লিগ সরকারের বিরোধিতায় নামা উন্মত্ত লোকজনের টার্গেট হয়ে উঠেছিল শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবার। গণঅভ্যুত্থানের আঁচে ভস্মীভূত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর নামাঙ্কিত মিউজিয়ামও। টাকার নোট থেকে মুজিবের ছবির চিরবিদায় আসন্ন। যে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে আপামর বাঙালিকে তিনি একত্র এবং বিস্ময়কর তৎপরতায় উদ্বুদ্ধ করতে পেরেছিলেন, তাকে নতুন বাংলাদেশ বিদায় জানাচ্ছে। জাতীয় শোক দিবস (১৫ আগস্ট) সহ ৮টি ‘জাতীয় দিবস’ ইতিমধ্যেই ‘বাতিল’ ঘোষিত হয়েছে। কারণ হিসেবে দাবি করা হয়েছে, এগুলির ‘জাতীয় গুরুত্ব’ কিছু নেই, ‘ফ্যাসিস্ট’ শাসক দল আওয়ামি লিগ তার প্রচারের জন্যই এগুলি চালু করেছিল। বাংলাদেশের ইতিহাস এবার নতুন করে লেখা হবে। অথচ মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে (এমওডব্লিউ) এখনও পর্যন্ত যে ৪২৭টি গুরুত্বপূর্ণ নথি সংগৃহীত হয়েছে, তার মধ্যে একটি হল বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ। ইউনুস জমানায় ৮ বাতিলের ভিড়ে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে সেটিকেও! বাকি বাতিল দিবসগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুটি হল: ১৭ মার্চ (জাতির পিতার জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস) এবং ৪ নভেম্বর (জাতীয় সংবিধান দিবস)। বস্তুত ওপার বাংলার হালের মাতব্বররা মুজিবের ছায়াকেও ভয় পাচ্ছেন! স্বাধীনতার চেতনার স্মৃতি বহনকারী চিহ্নগুলিকে মুছে ফেলা হচ্ছে মূর্খের মতোই নির্বিচারে। ঢাকা, চাটগাঁর একদল উচ্চশিক্ষার প্রতিভূর নেতৃত্বে রবীন্দ্রনাথ বিরোধিতা চলছে কয়েক বছর যাবৎ। তাঁরা হয়তো শীঘ্রই সফল হবেন ‘হিন্দু’ (যদিও তিনি ব্রাহ্ম এবং হিন্দু ও ব্রাহ্ম ধর্মের তফাত সম্পর্কে অজ্ঞতার ফল) কবির লেখা জাতীয় সঙ্গীত বাদ দিতে। 
মনে পড়ে, ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট মুজিবহত্যার পর ক্ষমতা দখল করেন সেনানায়ক জিয়াউর রহমান। এরপর ৩০ মে, ১৯৮১ এক সামরিক অভ্যুত্থানে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হবার পর বেরিয়ে পড়ে আর এক সেনাকর্তা হোসাইন মহম্মদ এরশাদের দাঁত-নখ। রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তারের নির্বাচিত সরকারকে দ্রুত (২৪ মার্চ, ১৯৮২) হটিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন তিনিও। অল্পদিনেই বুঝেছিলেন, যে-মুকুট তিনি পরেছেন সেটি আসলে কাঁটার! তাই কাঁটা দিয়েই কাঁটা তোলার নীতি প্রয়োগ করেন এরশাদ: তাঁর শাসনের বিরুদ্ধে সংগঠিত জোরদার ছাত্র আন্দোলনের মোকাবিলা করতে ১৯৮৮ সালে সংবিধানের অষ্টম সংশোধনী এনে সবার ঘাড়ে চাপিয়ে দেন ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের যন্ত্রণা’। এরশাদের এই অপকীর্তির তীব্র বিরোধিতা করেছিল তখন দুই প্রধান বিরোধী দল আওয়ামি লিগ এবং বিএনপি। কিন্তু পরবর্তীকালে তারাও বুঝেছিল, অশিক্ষিত মানুষে ভরা একটা দেশে রাজনৈতিক ক্ষমতা হাসিল ও ধরে রাখার জন্য ইসলামি জিগিরের বিকল্প নেই। ফলে পরবর্তীকালে কুর্সি দখল করে খালেদা জিয়া এবং শেখ হাসিনার কেউই বঙ্গবন্ধুর ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ সংবিধান ফেরাতে উচ্চবাচ্য করেননি। ওয়াজ মাহফিলে দেখি এবং কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শ্রেণির ছাত্র-শিক্ষকেরও মনে এই ধারণা বদ্ধমূল হয়ে গিয়েছে যে, ৯০ শতাংশ মুসলমানের বাংলাদেশ কেবল তাদেরই। হিন্দুসহ অন্যরা ‘আশ্রিত’ কিংবা ‘দ্বিতীয় তৃতীয় শ্রেণির নাগরিক’ হিসেবে থাকতে হলে থাকবে আর না-পোষালে কেটে পড়বে ‘ইন্ডিয়া’য়! এই ধর্মীয় সংকীর্ণতা মান্যতা পেয়েছে শাসক দলের কিছু নেতা এবং প্রশাসনের একাংশের নীরবতায়। হাসিনা সরকারের পতনের পর হিন্দু, বৌদ্ধ, চাকমাসহ ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু শ্রেণির উপর লাগাতার নির্যাতনের নেপথ্য কাজ করছে এই ফ্যাসিবাদ। 
ভারত এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছে। আমাদের বিদেশ সচিব ঢাকা সফর করেও বার্তা দিয়েছেন। প্রতিবাদ ধ্বনিত হচ্ছে পশ্চিমি দুনিয়া থেকেও। কিন্তু দমেনি ইউনুস প্রশাসন। গুরুতর অভিযোগগুলিকে তারা এখনও ‘অসত্য’ এবং ‘কিছুটা রাজনৈতিক’ বলে চালাতে চাইছে। ধর্মীয় অন্যায়ের প্রতিবাদ যত জোরদার হচ্ছে, কিছু অর্বাচীন উগ্র মৌলবাদী মুসলিম লোক ওপার বাংলার মাটি থেকে ভারতের বিরুদ্ধে হুংকার ছাড়ছে। এমনকী সেভেন স্টারস (অসমসহ উত্তর-পূর্ব ভারতের সাতটি রাজ্য), কলকাতা এবং সিরাজের হৃত রাজ্য (সাবেক বাংলা-বিহার-ওড়িশা) দখলেরও হুমকি শোনানো হচ্ছে। আর এই অবাঞ্ছিত আবহেই সোমবার পালিত হল বিজয় দিবস। এটা কিছুটা যে বাধ্যবাধকতা থেকেই, মালুম হয় তাও। জিয়া এবং এরশাদও নিজেদের সামরিক সরকারের সর্বাঙ্গে গণতন্ত্রের নামাবলি পরাবার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন। এবারের বিজয় দিবস পালন কতটা মেকি তা ধরা পড়ে নেতৃত্বের ভূমিকায়। ইউনুসের ভাষণে মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সেনা বাহিনী এবং জনগণের অবদানের উল্লেখ নেই। উল্লেখ নেই চূড়ান্ত বিজয় হাসিল করার আগে ১৯৭১-এর ৬ ডিসেম্বর ভারত সরকারের তরফে প্রথম বাংলাদেশকে ‘স্বাধীন রাষ্ট্র’-এর স্বীকৃতি প্রদানের কথা। মুক্তিযুদ্ধে নিহত ভারতীয় সেনাদের স্মৃতির প্রতিও শ্রদ্ধা জানাননি ইউনুস। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলিতে মুক্তিযুদ্ধের মূল কারিগর বঙ্গবন্ধু এবং চার জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, মহম্মদ মনসুর আলি এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে স্মরণ করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ বাঙালি নরনারী শহিদ হন, ইজ্জত লুট হয় অগণিত মা-মেয়ের। বিজয় দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রাপ্য তাঁদেরও। ব্যতিক্রম ঘটল এবারই। একাত্তরে ইতিহাসের নৃশংসতম অপরাধের জন্য পাকিস্তান আজও‌ ক্ষমা চায়নি। সোমবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে ইউনুস সেই ‘ভ্রাতৃপ্রতিম’ পাকিস্তানের নাম পর্যন্ত মুখে নেননি। উল্টে, যে-প্রতিবেশীর সাহায্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতালাভ, সেই ভারতেরই তীব্র বিরোধিতার সুর প্রকট হল ইউনুস সাহেবের গলায়! দিল্লি থেকে ইউরোপের দেশগুলির ভিসা অফিস ঢাকায় সরানোর পক্ষে সওয়াল করেন তিনি বিজয় দিবসের ভাষণে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ইউরোপের যেসব দেশের ভিসার জন্য বাংলাদেশ দিল্লির উপর নির্ভরশীল, সেগুলি সরাতে হবে ঢাকায় অথবা ‘অন্যকোনও প্রতিবেশী দেশে (পড়ুন, পাকিস্তানে)’। ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতদের  কাছে এই আর্জি রেখেছেন ইউনুস। বিজয় দিবসের ভাষণে তিনি আরও মন্তব্য করেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে ‘ভুলবার্তা’ প্রচার চলছে। অভিযোগের তর্জনী যে ভারতেরই দিকে, তাতে সংশয় নেই। সোজা কথায়, ভারতের সঙ্গে দ্রুত দূরত্ব রচনার চেষ্টায় ইউনুস প্রশাসন, একইসঙ্গে পাকিস্তানের সঙ্গে দূরত্ব কমানোরই স্পষ্ট ইঙ্গিত।
সঙ্গে দোসর কিছু উচ্চ শিক্ষিত বুদ্ধিজীবী। যেমন ভারত-বিদ্বেষের সুর শোনা গেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রাক্তন অধ্যাপকের মুখে। হিন্দুত্ববাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ-পাকিস্তানকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন এই বুদ্ধিজীবী। বিজয় দিবসের প্রাক্কালে, ১৫ ডিসেম্বর ইসলামাবাদে পাকিস্তান ন্যাশনাল কাউন্সিল অব আর্টস অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্ক’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এক ভার্চুয়াল ভাষণে তিনি বলেন, হাসিনার পতনের পরই মূলত পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কের বরফ গলার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। অন্তর্বর্তী সরকার তৈরির পর থেকে দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের অগ্রগতি ঘটেছে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ঐতিহাসিক বন্ধনে আবদ্ধ! আমাদের মধ্যে উত্থান-পতন হয়েছে। কিন্তু আমরা সবসময় বুঝেছি যে, আমাদের একে অপরকে প্রয়োজন। এদিকে, পঞ্চগড়ে এক অনুষ্ঠানে বিএনপি কর্মীদের তরফে শপথ নেওয়া হল যে, ‘ভারতের আগ্রাসনবাদ এবং ভারতের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকব আমরা।’ মোদ্দা কথা, সবরকমে ভারতের সঙ্গে দূরত্ব রচনার চেষ্টায় আছে আজকের বাংলাদেশ। 
তবে এত অল্পে অভিজ্ঞ ভারতের হতাশ হওয়া চলে না। কারণ এইসব বাগাড়ম্বর কতটা সাধারণ মানুষের মনের কথা এবং তাঁদের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, তা নিয়ে সংশয় আছেই। বাংলাদেশের উগ্র মৌলবাদী মুসলিমরাও অচিরে ভুল বুঝবে। পেটে খেলে পিঠে সয়। ভারত একমাস নির্বাক দর্শক হয়ে থাকলে, হলফ করে বলা যায়, পেটে টান পড়বেই। খিদে পেটে ধর্মের কথাও (উগ্র মৌলবাদী কথাবার্তা) বেশিদিন সইতে পারা শক্ত। অর্বাচীনগুলোকে শুধরে যেতে শুভবুদ্ধিসম্পন্ন দেশবাসীই বাধ্য করবে শীঘ্রই। নিকটতম বৃহৎ প্রতিবেশী হিসেবে ভারত সেদিন সর্বোতভাবে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াবার দায়িত্ব অস্বীকার করতে পারবে না। তাই কিছু পাগলের প্রলাপকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার দরকার নেই। ভারত কখনও অন্য দেশের রাষ্ট্রব্যবস্থায় নাক গলায়নি, হস্তক্ষেপ করেনি তাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমতায়। তাই‌ তো ১৯৭১ সালে বিপুল বিজয়ের পরও বাংলাদেশকে ভারতভুক্ত করে নেওয়ার সুযোগ হেলায় উপেক্ষা করেছিল দিল্লি। অভ্যন্তরীণ হাজার প্ররোচনার বিপরীতে শিক্ষণীয় সংযমই দেখিয়েছিলেন ভারত নেত্রী ইন্দিরা গান্ধী। শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দেওয়ার ঘটনাটি কোনোভাবেই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপ নয়। ভারত এটা করেছে মানবিকতা ও  মানবাধিকারের জায়গা থেকে। শুধু শেখ হাসিনা নন, অতীতে বাংলাদেশের আরও অনেক গণতান্ত্রিক নেতা-কর্মীকে ভারত রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে। এটাই ভারতের কূটনৈতিক সৌজন্য। ভারতবাসী বাংলাদেশকেও স্বনির্ভর আত্মনির্ভর দেখতে চায়। অতএব চূড়ান্ত ব্যর্থ রাষ্ট্র পাকিস্তানের প্ররোচনায় সেখানে ভারত বিরোধিতার পথটি ভ্রান্ত। বরং দায়িত্বশীল প্রতিবেশী হিসেবে ভারতই বাংলাদেশকে এই ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করতে পারবে। একটি শান্তিকামী রাষ্ট্র হিসেবে ভারত সবসময়ই চায় উন্নত, প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক প্রতিবেশীদের। বাংলাদেশ অবশ্যই এই বন্ধনীতে রয়েছে। বাংলাদেশের মনে রাখা উচিত, ভারত তার পুবে তাকাও এবং প্রতিবেশীকে অগ্রাধিকারের নীতিতে অবিচল। 
18th  December, 2024
এরপরেও বিজেপি গরিবের ভোট চাইবে?
তন্ময় মল্লিক

বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা দেওয়ামাত্র বিরোধীরা একযোগে সমালোচনা শুরু করে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ‘ছাব্বিশের ভোটের জন্য এসব করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাছের তেলে মাছ ভাজছেন। কারণ এটা সাধারণ মানুষের করের টাকা।’ বিরোধীরা একেবারে হক কথা বলছেন। বিশদ

জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে অথচ অপুষ্টি কমছে না
সমৃদ্ধ দত্ত

সরকার জনসংখ্যা নীতি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি যাতে কমে যায় সেই কঠোর নীতি কি নেওয়া দরকার? নাকি জনসংখ্যা নীতির প্রয়োজন নেই? এই জল্পনা এখন সরকারের অন্দরে অন্যতম প্রধান একটি বিতর্ক। সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু যে রাষ্ট্র আর কিছু বছরের মধ্যে নাকি তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে সেখানে এত শিশুমৃত্যু কেন? এত অপুষ্টি কেন?
বিশদ

20th  December, 2024
আল-কায়েদা জঙ্গি জোলানি এখন হিরো
মৃণালকান্তি দাস

প্রচণ্ড গরমের এক দুপুর। ইরাক আর সিরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে দু’টি পিকআপ ভ্যান। স্থানীয়রা জানত, এসব গাড়ি কাদের এবং কী উদ্দেশ্যে এখানে চলাচল করে। সিরিয়ার বাজার থেকে অস্ত্র কিনে এই রুট দিয়ে সেগুলি ইরাকে নিয়ে যায় আল-কায়েদা। বিশদ

19th  December, 2024
সিবিআইকে নিয়ে গদগদ হওয়ার কিছু আছে কি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

১) ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্ন। কল্যাণী এইমস এবং দিল্লির গঙ্গারামপুর হাসপাতালে পাঠানোর পরও কিন্তু খুঁত মিলল না। বিশদ

17th  December, 2024
প্রত্যাশিত ভারত মোদির ‘বিকশিত’ ভারত নয়
পি চিদম্বরম

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব—দু’জনেই শহুরে, সুশিক্ষিত ও মৃদুভাষী মানুষ। এস জয়শঙ্কর ফরেন সার্ভিসে একটি উল্লেখযোগ্য কর্মজীবন কাটিয়েছেন। সেখানে তাঁকে একজন উদারপন্থী ব্যক্তি হিসেবেই বিবেচনা করা হতো।
বিশদ

16th  December, 2024
এক দেশ এক নির্বাচন ও মমতার চ্যালেঞ্জ
হিমাংশু সিংহ

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছাব্বিশে, না তারও আড়াই বছর বাদে উনত্রিশের সম্মিলিত নির্বাচনে, তা ভবিষ্যৎ বলবে। কিন্তু ইতিমধ্যেই রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে জাতীয় ক্ষেত্রেও তাঁকে প্রধান মুখ করে লড়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে পাটনা থেকে মুম্বই, লখনউ থেকে দিল্লির প্রধান বিরোধী দলগুলির মধ্যে। বিশদ

15th  December, 2024
মৌলবাদ: চক্রান্ত রুখছেন রাজ্যের মুসলিমরাই
তন্ময় মল্লিক

‘কোটা’র বিরুদ্ধে আন্দোলনকে সামনে রেখেই বাংলাদেশে ঘটেছিল তথাকথিত ‘গণঅভ্যুত্থান’। কোটাপ্রথার বিলোপই যদি লক্ষ্য হতো, তাহলে ৫আগস্ট  আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটত। শেখ হাসিনা দেশত্যাগী হয়েছেন। কিন্তু দেশে শান্তি ফেরেনি। বিশদ

14th  December, 2024
বিজেপি-সখ্যে আঞ্চলিক দলের ক্ষতি হচ্ছে
সমৃদ্ধ দত্ত

বিগত ১০ বছর ধরে দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের শাসক দল বিজেপির সঙ্গে যে আঞ্চলিক দলই সখ্য স্থাপন করেছে, তাদেরই চরম রাজনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। হয় তারা নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক হারিয়েছে অথবা সরকার থেকে পদচ্যুত হয়েছে। কিংবা নিজেদের রাজ্যে গুরুত্বহীন হয়ে গিয়েছে। বিশদ

13th  December, 2024
দেশে এবার ‘কৃষ্ণ বিপ্লব’ আসন্ন!
মৃণালকান্তি দাস

দেশের এক আইআইটি (ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি) অধিকর্তা দাবি করেছিলেন, তিনি নাকি মন্ত্রবলে ‘ভূত ছাড়াতে’ পারেন। বেশ কয়েক বছর আগে একটি পরিবারকে তিনি ‘অশুভ আত্মার কবল থেকে মুক্ত’ করেছিলেন বলে দাবি করেন প্রযুক্তিবিদ্যার ওই বিশেষজ্ঞ। বিশদ

12th  December, 2024
কাজ ও প্রচারের নিরিখে মোদি বনাম মনমোহন
সন্দীপন বিশ্বাস

আপনারে বড় বলে, বড় সেই নয়, / লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়। কোন বালক বয়সে পড়া ‘বড় কে’ নামের এই কবিতার লাইনটি আজও মানুষ ভুলে যাননি। অনেকে সেই কবির নামই জানেন না বা ভুলে গিয়েছেন, কিন্তু লাইন দু’টির মধ্যে যে ঘোর বাস্তবতা রয়েছে, সেটা আমরা মাঝে মাঝেই টের পাই। বিশদ

11th  December, 2024
হাতে টাকা নেই, সোনা বন্ধকই ভরসা ভারতের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের বাজারে সোনার দাম কত? প্রতি ১০ গ্রামে ৭৮ হাজার ৪০০ টাকার আশপাশে। চলতি মাসের হিসেব ধরলে একবারই এই দর নেমেছিল ৭১ হাজারে। আর গোটা বছরের গড়ও সেটাই। অথচ বছর দুয়েক আগেও অঙ্কটা এমন ছিল না। বিশদ

10th  December, 2024
মানবাধিকার দিবস: পূর্ববঙ্গের সাতকাহন
জিষ্ণু বসু

১৯৪৮ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘে যখন ১০ ডিসেম্বর তারিখটিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছিল, ঠিক তখন সারা পৃথিবীর মধ্যে সম্ভবত সবথেকে বেশি মানুষের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছিল পূর্ববঙ্গে। সম্পূর্ণ পূর্ববঙ্গ তখন সংখ্যালঘুদের রক্তে প্লাবিত। বিশদ

10th  December, 2024
একনজরে
শুক্রবার ভোরে কালীগঞ্জের বড়চাঁদঘর পঞ্চায়েতের তেজনগর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি মোবাইল দোকানে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। দোকানের শাটার ভেঙে দুষ্কৃতীরা লক্ষাধিক টাকার মোবাইল চুরি করে ...

ফের বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হল মণিপুরে। এবারও সেই ইম্ফল পূর্ব ও কাংপোকপি জেলা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার ইম্ফল পূর্ব জেলার নুংব্রাম এবং লাইরোক ভইেপেই গ্রামে তল্লাশি চালায় পুলিস ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর যৌথ দল। ...

শুক্রবার সকালে স্কুটারের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক যুবকের। মৃতের নাম মুজাফফর বিশ্বাস (৪২)। ঘটনাটি ঘটে দেগঙ্গার কামদেবকাটিতে। পুলিস রক্তাক্ত অবস্থায় স্কুটার চালককে উদ্ধার করে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলেও শেষরক্ষা হয়নি। ...

মাদক কারবার থেকে চোরাচালান। মানব পাচার থেকে জঙ্গি কার্যকলাপ। সবমিলিয়ে ক্রমশ স্পর্শকাতর নেপাল ও ভুটান সীমান্ত। এজন্যই ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি চলছে সংশ্লিষ্ট দুই সীমান্তে। একইসঙ্গে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮০১: শিক্ষাবিদ ও সমাজসংস্কারক প্রসন্নকুমার ঠাকুরের জন্ম
১৯১১: প্রতিষ্ঠিত হল সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ইন্ডিয়া
১৯৫৯: ক্রিকেটার কৃষ্ণমাচারী শ্রীকান্তের জন্ম
১৯৬৩: অভিনেতা গোবিন্দার জন্ম
১৯৯৮: নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে ‘দেশিকোত্তম’ দিল বিশ্বভারতী
২০১২: পরিচালক যীশু দাশগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.১৩ টাকা ৮৫.৮৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২৭ টাকা ১০৭.৯৮ টাকা
ইউরো ৮৬.৪২ টাকা ৮৯.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,০০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৬০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৭,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৭,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী ১৫/১৫, দিবা ১২/২২। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র ৫৯/৫৫ শেষ রাত্রি ৬/১৪। সূর্যোদয় ৬/১৬/১৭, সূর্যাস্ত ৪/৫৩/১১। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৭/৪২ গতে ৯/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৭ গতে ২/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৩/২৯ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৫৬ গতে ২/৪৩ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৩ গতে ২/১৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৩ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৬ গতে উদয়াবধি। 
৫ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী দিবা ১/৫৮। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/১৯, সূর্যাস্ত ৪/৫২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে ও ৭/৪৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে ও ১২/৫ গতে ২/৫৬ মধ্যে ও ৩/৮ গতে ৪/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ১/৪ গতে ২/৫০ মধ্যে। কালবেলা ৭/৩৮ মধ্যে ও ১২/৫৫ গতে ২/১৪ মধ্যে ও ৩/৩৩ গতে ৪/৫২ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩৩ মধ্যে ও ৪/৩৮ গতে ৬/২০ মধ্যে।
১৮ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
জার্মানিতে বড়দিনের বাজারে গাড়ি চালিয়ে তাণ্ডব: জখমদের মধ্যে রয়েছেন সাতজন ভারতীয়

11:29:00 PM

সন্ধ্যা থিয়েটারে পদপিষ্টের ঘটনা: আমার চরিত্রহনন করা হয়েছে, বললেন অল্লু অর্জুন
হায়দরাবাদের সন্ধ্যা থিয়েটারে ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’ সিনেমার প্রিমিয়ারে পদপিষ্টের ...বিশদ

11:10:07 PM

ব্রাজিলে ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ, হত ৩০

10:41:00 PM

রাজাহুলিতে বৃদ্ধ খুনের অভিযোগে আরও দু’জনকে মালদহের কালিয়াচক থেকে গ্রেপ্তার করল এনজেপি থানার পুলিস

10:20:00 PM

ঝাড়গ্রাম শহরে অজানা জন্তুর আক্রমণে গোরুর মৃত্যু, মিলেছে পায়ের ছাপ

10:03:00 PM

মোহালিতে নির্মীয়মান বিল্ডিং বিপর্যয়: উদ্ধারকাজে যোগ দিল ভারতীয় সেনা

09:50:00 PM