Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সিবিআইকে নিয়ে গদগদ হওয়ার কিছু আছে কি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

১) ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্ন। কল্যাণী এইমস এবং দিল্লির গঙ্গারামপুর হাসপাতালে পাঠানোর পরও কিন্তু খুঁত মিলল না।
২) ভিসেরা সংরক্ষণে গলদ। সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করানোর পরও কলকাতা পুলিসের বিরুদ্ধে উল্লেখ করার মতো কিছু পেল না সিবিআই।
৩) সেমিনার হল ঘটনাস্থল নাও হতে পারে। আর জি কর হাসপাতালের অন্য তলেও তদন্ত চলল। নিশ্চিত কি হল সিবিআই? চার্জশিট বা আদালতে ফরওয়ার্ডিংয়ে তার পাকাপোক্ত উল্লেখ মিলল না।
৪) পর্যাপ্ত নথি ও ফুটেজ দেয়নি কলকাতা পুলিস। নিম্ন আদালতে সিবিআই খোদ জানিয়েছিল, সব ক্যামেরা মিলিয়ে মোট ৯০০ ঘণ্টার ফুটেজ। খতিয়ে দেখতে সময় লাগছে। 
৫) ঘটনাস্থলে সঞ্জয় একা ছিল না। সত্যিই যদি একাধিক ব্যক্তি ধর্ষণ-খুনের সময় থেকে থাকে, তারা কোথায়? শতাধিক জেরা-জিজ্ঞাসাবাদের পরও তাদের খোঁজ মিলল না! এই ‘একাধিক’ লোকজন নিশ্চয়ই বাইরের লোক নয়। তাহলে কোনও না কোনও ক্যামেরায় ধরা পড়ত। সেক্ষেত্রে কি হাসপাতালের লোক? কারা তারা? চার্জশিটে নেই। 
৬) বৃহত্তর ষড়যন্ত্র এবং তথ্য-প্রমাণ লোপাট। অভয়া কাণ্ডে তদন্তে নামার পর এটাই ছিল সিবিআইয়ের অভিমুখ। সেই কারণে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয়কে হেফাজতে নিলেও আসল ঝোঁক তাদের ছিল হাসপাতালের প্রশাসনমুখী। থুড়ি, সন্দীপ ঘোষ-মুখী। এবং সেইসঙ্গে টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। এই দু’জনেই নাকি পুরো ষড়যন্ত্রের রচয়িতা। দীর্ঘ ফোনালাপ করেছেন তাঁরা নিজেদের মধ্যে। আর আর জি কর হাসপাতালের অধিকর্তা ঘোষবাবুর কথামতোই নাকি তথ্য-প্রমাণ লোপাট করা হয়েছে। তাঁদের গ্রেপ্তারও করে সিবিআই। কিন্তু ৯০ দিন পরও চার্জশিট জমা হল না এই দুই ‘অপরাধী’র বিরুদ্ধে। গোলমেলে ফোনালাপের যে তত্ত্ব খাড়া করা হয়েছিল, তার পক্ষে কোনও প্রমাণও দাখিল হয়নি। তাহলে কোন তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে এই দুই সরকারি আধিকারিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল? এতদিন তাঁদের হেফাজতে রেখে এবং জেরা চালিয়ে কী মিলল? প্রমাণ হাতে থাকলে চার্জশিট পেশ হল না কেন?
আর জি করে চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ-খুন নিয়ে সাড়ে চার মাস যাবৎ এতরকম সমীকরণ সাজিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবং সবশেষে বিষয়টা হয়ে দাঁড়িয়েছে আনকোরা উপন্যাসের প্লট। প্রচুর চরিত্র আমদানি হয়েছে। কিন্তু শেষে গিয়ে আর মেলানো যাচ্ছে না। পাঠক তো দূরঅস্ত, খেই হারিয়ে ফেলেছেন লেখকই। কলকাতা পুলিস মাত্র ২৪ ঘণ্টায় এই মামলার যে ফয়সালা করেছিল... হিল্লি-দিল্লি, নিম্ন-উচ্চ, চক্রান্ত-রহস্যের পর ওই গন্তব্যেই থামতে হচ্ছে সিবিআইকে। সঙ্গে রসদ মিলছে একঝাঁক প্রশ্নের। এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাই কি না সুপ্রিম কোর্টে জমা করা স্টেটাস রিপোর্টে এমন কিছু দাবি করেছিল, যাতে ‘বিচলিত’ হয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়! আইনজীবী তথা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা তদন্ত সংক্রান্ত কিছু বলতে গেলে থামিয়েও দিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, ‘তদন্তের অত্যন্ত স্পর্শকাতর কোনও বিষয় জনসমক্ষে বলবেন না।’ বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের দাবিতে তাঁর আরও মন্তব্য ছিল, ‘জেনেবুঝে বলছেন তো? যদি এমনটা হয়ে থাকে, তাহলে ফল ভয়াবহ।’
সেই বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের তত্ত্বই আপাতত সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলের জামিনের নির্দেশে লাট খাচ্ছে। ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে বিচার চলছে অভয়া মামলার। চার্জ গঠনের পর শুনানি, তারপর রায় ঘোষণা। ইঙ্গিত যা মিলছে, এই মামলায় রায় ঘোষণা করতে বেশি সময় নেবেন না বিচারক। হতে পারে ২৫ ডিসেম্বরের ছুটির আগেই। সেক্ষেত্রে সিবিআইয়ের পেশ করা চার্জশিটের ভিত্তিতে সঞ্জয় ছাড়া আর কেউ আদালতের সামনে নেই। তার বিরুদ্ধে কষে তথ্য-প্রমাণ গোছানো হয়েছে। তাতেও অবশ্য সিবিআইয়ের কৃতিত্ব আদৌ আছে কি না, প্রশ্ন ওঠাটা অমূলক নয়। এই কাজটাও কলকাতা পুলিস করে রেখেছিল। সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণ যা আছে, তাতে তার সাজা হওয়াটা মোটামুটি নিশ্চিত। কলকাতা পুলিসের সঙ্গে এক্ষেত্রে সিবিআইয়ের দাখিল করা নথির ফারাক কোথায়? পুলিস দাবি করেছিল, ধর্ষণ-খুন সঞ্জয় করেছে। সিবিআই যে চার্জশিট পেশ করেছে, তাতে সঞ্জয়ের ধর্ষণের অপরাধ নিয়ে ফাঁক রাখা হয়নি। কিন্তু খুনের ক্ষেত্রে অতটা নিশ্চয়তা দেখায়নি তারা। এক্ষেত্রে দু’টি পথ রয়েছে। প্রথমত, ধর্ষণ এবং খুন—দুই অপরাধেই সাজা হতে পারে সঞ্জয়ের। দ্বিতীয়ত, খুনের ব্যাপারে সাজা ঘোষণা ঝুলে থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে সিবিআই সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেওয়ার সুযোগ পাবে। এই সাফাই অবশ্য কেন্দ্রীয় অফিসাররাও দিচ্ছেন। তাঁদের দাবি, সেন্ট্রাল ল্যাব থেকে ডিজিটাল এভিডেন্স সংক্রান্ত প্রমাণ হাতে আসতে দেরি হয়েছে। তারপর আর চার্জশিট তৈরির সময় ছিল না। এতেই ৯০ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। কী সেই প্রমাণ? যতদূর খবর পাওয়া যাচ্ছে, সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে অভিজিৎ মণ্ডলের কথোপকথন। ডিলিট করে দেওয়া কল রেকর্ডিং উদ্ধার হয়েছে। তার থেকেই নাকি অনেক কিছু জানা যাচ্ছে। ভাবনার বিষয় হল, এরপরও কিন্তু সিবিআইয়ের অন্দরমহল থেকে শোনা যাচ্ছে, অভিজিতের বিরুদ্ধে কেস দাঁড়াবে না। এখানে কি প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক নয় যে, ফোনালাপের রেকর্ডিং থেকে তেমন কিছু পায়নি সিবিআই? এখানে একটা ছোট্ট তথ্য দিয়ে রাখা দরকার। সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে সিবিআই ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছে। আর অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাটের এবং এফআইআরে দেরির। টালা থানার প্রাক্তন ওসির বিরুদ্ধে এই দুটোই প্রমাণ করে উঠতে পারছে না কেন্দ্রীয় সংস্থা। আর সন্দীপ ঘোষ? ষড়যন্ত্র মানে কিন্তু ঘটনার পরের অঙ্ক নয়। পুরোটাই আগের। সেটা প্রমাণ করার মতো নথিও সিবিআইয়ের কাছে আছে তো? নাকি গোটা ব্যাপারটাই সেনসেশন?
গত সাড়ে চার মাসে দেশের কোনও রাজ্যে ধর্ষণ বা খুনের মতো অপরাধ বন্ধ হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকার আইন বদলে ধর্ষণে ফাঁসির সাজা রেকমেন্ড করেনি। সিবিআইয়ের হাতে থাকা ৭ হাজার মামলায় কারও শাস্তি হয়নি। হয়েছে বলতে শুধু রাজ্য-রাজনীতি এবং মেডিক্যাল কলেজ-হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো উন্নয়ন। দ্বিতীয়টা পাওনা হলেও প্রথমটা নয়। কারণ, রাজপথের রাজনীতি কখনও রাষ্ট্রের উন্নতির পক্ষে ইতিবাচক নয়। লক্ষ লক্ষ মানুষের রুজিরুটির সমস্যা দেখা দেয়, গরিব মানুষ চিকিৎসা পায় না, ব্যবসায়ীরা লগ্নি করতে চায় না...। সরকারের বিরুদ্ধে যদি ক্ষোভ থাকে এবং এই আন্দোলনে সরকারকে ফেলে দেওয়া যায়, তাহলে এমন রাজনীতির সারবত্তা বলে কিছু পাওয়া যেতে পারে। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে সেটাও হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তায় যে এতটুকু ফাটল ধরেনি, পরবর্তী ভোটগুলিতেই তার প্রমাণ মিলেছে। তার মানে এই আন্দোলন সর্বাত্মক ছিল না! সাধারণ মানুষ একটা বিষয় বুঝেছে, তাদের মতো এই ভদ্রমহিলাও অভয়া খুনের সর্বোচ্চ সাজা চেয়েছেন। কাজেকর্মে তার প্রমাণও দিয়েছেন তিনি। তাহলে সাধারণ মানুষকে সামনে রেখে শুরু হওয়া আন্দোলনে রাজনীতির ইন্ধন পড়েছে বললে কি খুব ভুল হবে? সিবিআইয়ের দাবি, সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট আসবে। দুটো কেসেই যেহেতু সাক্ষী এক, একসঙ্গে পেশ করলে বিচারে সমস্যা হতে পারে। তাই দেরি। এই যুক্তি কতটা গ্রহণযোগ্য, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এখানে তো আর লজেন্স বিলি হচ্ছে না যে, লাইন বেঁধে দাঁড়াতে হবে! আগে সঞ্জয় পেলে তারপর সন্দীপের নম্বর আসবে! মানুষ বিচার চায়। রাজনীতি নয়। ঢিলেমিও নয়। তদন্তকারী অফিসাররা হয়তো ভাবছেন, আগে সঞ্জয়ের সাজা ঘোষণা হয়ে যাক। তাতে জনতার রোষে খানিক প্রলেপ পড়বে। রাজ্যের একের পর এক অপরাধের ঘটনায় যেভাবে পুলিস দু’মাসের মধ্যে কেস ক্লোজ করে দিচ্ছে এবং দোষীদের সাজা হয়ে যাচ্ছে, তা সিবিআইয়ের উপর চাপ বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট। এ ব্যাপারে সাহায্য করতে পারে শুধু সঞ্জয়। সন্দীপদের জন্য তো সময় রয়েইছে। 
পাবলিক সেটা বুঝবে না। সিবিআইয়ের উপর ভরসা তারা করে বলেই নানা ক্ষেত্রে তাদের তদন্তভার দেওয়ার জন্য সওয়াল ওঠে। কিন্তু সেই ভরসার মর্যাদা কি এই তদন্তকারী সংস্থা রাখতে পারে? আদালত এখনও তাদের স্পষ্ট ভাষায় তুলোধোনা করে। বলে, আর কতদিন রাজনীতির বোড়ে হয়ে থাকবেন? সরকারের তোতাপাখি হয়ে থাকাটা তাদের কাজ নয়। রাজনীতি যতদিন তদন্তকে প্রভাবিত করবে, বাড়বে মামলার তালিকা। দীর্ঘ হবে বিচারের অপেক্ষা। ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সিবিআইয়ের হাতে এসেছে ২ হাজার ১৮৮টি কেস। প্রচারের আলোয় আসা ছাড়া বাড়তি কিছু করে উঠতে পারেনি তারা। আর তাদের হাতে থাকা কতগুলো হাইপ্রোফাইল মামলায় গত ২০ বছরে সাজা হয়েছে, সেটা তো শিশুও গুনে বের করে ফেলতে পারবে। 
আর জি কর কাণ্ড আরও একবার দেখাল, সিবিআইয়ের নামে গদগদ হওয়ার মতো কিছু নেই। তারা যে সর্বত্র নিরপেক্ষ তদন্ত করে না, দেশের 
শীর্ষ আদালতও তা বারবার বলেছে। আমরাই শুধু এখনও আশা করি, তারা ন্যায়বিচার দেবে। 
ক্ষমতায় আসার আগে নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ‘সিবিআই তো কংগ্রেস ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন হয়ে গিয়েছে।’ আজ তিনি সিবিআইকে নিয়ে কী বলবেন? এখন তো সঙ্গে জুড়েছে ইডিও। অসীম ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে। দুই এজেন্সি মিলে রাজনীতির ময়দানে একের পর এক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। বিরোধীদের কোমর ভেঙে দেওয়ার এক গোদা খেলা চলছে দেশজুড়ে। সাজা কিন্তু হচ্ছে না! দিনের শেষে পুরোটাই একটা সাজানো চিত্রনাট্য বলে ধন্দ লাগছে। 
আসলে ক্ষমতার কুর্সিতে বসলে শাসক ভুলে যায় যে, বিরোধী সব সময় সরকারের আয়না হয়। ‘অ্যাপল’ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জোবস বলেন, ‘আমরা প্রত্যেক মুহূর্তে একটা ডট বা বিন্দু তৈরি করে চলেছি। বর্তমান থেকে ভবিষ্যৎ—অগুনতি বিন্দু তৈরি হচ্ছে আমাদের পদক্ষেপে। কিন্তু সেই বিন্দুগুলি কী ছবি তৈরি করছে, তা আমাদের নজরে আসছে না। একমাত্র যদি আমরা অতীতের দিকে পিছন ফিরে তাকাই, তখনই চোখে পড়বে ছবিটা। আমরা বুঝব, সেটা গঠনমূলক হল কি না।’ বিরোধীরা কিন্তু ওই কাজটাই করে। শাসককে প্রকৃত ছবিটা দেখায়। শাসক যদি তার থেকে শিক্ষা নেয়, উন্নতি দেশের। না হলে সবটাই গ্রাস করবে অজ্ঞতা। আর হ্যাঁ, অপদার্থতাও। 
17th  December, 2024
এরপরেও বিজেপি গরিবের ভোট চাইবে?
তন্ময় মল্লিক

বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা দেওয়ামাত্র বিরোধীরা একযোগে সমালোচনা শুরু করে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ‘ছাব্বিশের ভোটের জন্য এসব করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাছের তেলে মাছ ভাজছেন। কারণ এটা সাধারণ মানুষের করের টাকা।’ বিরোধীরা একেবারে হক কথা বলছেন। বিশদ

জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে অথচ অপুষ্টি কমছে না
সমৃদ্ধ দত্ত

সরকার জনসংখ্যা নীতি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি যাতে কমে যায় সেই কঠোর নীতি কি নেওয়া দরকার? নাকি জনসংখ্যা নীতির প্রয়োজন নেই? এই জল্পনা এখন সরকারের অন্দরে অন্যতম প্রধান একটি বিতর্ক। সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু যে রাষ্ট্র আর কিছু বছরের মধ্যে নাকি তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে সেখানে এত শিশুমৃত্যু কেন? এত অপুষ্টি কেন?
বিশদ

20th  December, 2024
আল-কায়েদা জঙ্গি জোলানি এখন হিরো
মৃণালকান্তি দাস

প্রচণ্ড গরমের এক দুপুর। ইরাক আর সিরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে দু’টি পিকআপ ভ্যান। স্থানীয়রা জানত, এসব গাড়ি কাদের এবং কী উদ্দেশ্যে এখানে চলাচল করে। সিরিয়ার বাজার থেকে অস্ত্র কিনে এই রুট দিয়ে সেগুলি ইরাকে নিয়ে যায় আল-কায়েদা। বিশদ

19th  December, 2024
পাকিস্তান নয়, ভারতই পাশে থাকবে
হারাধন চৌধুরী

অনেক সংশয় কাটিয়ে সোমবার ঢাকাতেও পালিত হল ‘বিজয় দিবস’। এমনকী, কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ামের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেও যোগ দিল বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। ‌গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হয় এবং ৮ আগস্ট বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয় মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিশদ

18th  December, 2024
প্রত্যাশিত ভারত মোদির ‘বিকশিত’ ভারত নয়
পি চিদম্বরম

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব—দু’জনেই শহুরে, সুশিক্ষিত ও মৃদুভাষী মানুষ। এস জয়শঙ্কর ফরেন সার্ভিসে একটি উল্লেখযোগ্য কর্মজীবন কাটিয়েছেন। সেখানে তাঁকে একজন উদারপন্থী ব্যক্তি হিসেবেই বিবেচনা করা হতো।
বিশদ

16th  December, 2024
এক দেশ এক নির্বাচন ও মমতার চ্যালেঞ্জ
হিমাংশু সিংহ

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছাব্বিশে, না তারও আড়াই বছর বাদে উনত্রিশের সম্মিলিত নির্বাচনে, তা ভবিষ্যৎ বলবে। কিন্তু ইতিমধ্যেই রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে জাতীয় ক্ষেত্রেও তাঁকে প্রধান মুখ করে লড়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে পাটনা থেকে মুম্বই, লখনউ থেকে দিল্লির প্রধান বিরোধী দলগুলির মধ্যে। বিশদ

15th  December, 2024
মৌলবাদ: চক্রান্ত রুখছেন রাজ্যের মুসলিমরাই
তন্ময় মল্লিক

‘কোটা’র বিরুদ্ধে আন্দোলনকে সামনে রেখেই বাংলাদেশে ঘটেছিল তথাকথিত ‘গণঅভ্যুত্থান’। কোটাপ্রথার বিলোপই যদি লক্ষ্য হতো, তাহলে ৫আগস্ট  আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটত। শেখ হাসিনা দেশত্যাগী হয়েছেন। কিন্তু দেশে শান্তি ফেরেনি। বিশদ

14th  December, 2024
বিজেপি-সখ্যে আঞ্চলিক দলের ক্ষতি হচ্ছে
সমৃদ্ধ দত্ত

বিগত ১০ বছর ধরে দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের শাসক দল বিজেপির সঙ্গে যে আঞ্চলিক দলই সখ্য স্থাপন করেছে, তাদেরই চরম রাজনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। হয় তারা নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক হারিয়েছে অথবা সরকার থেকে পদচ্যুত হয়েছে। কিংবা নিজেদের রাজ্যে গুরুত্বহীন হয়ে গিয়েছে। বিশদ

13th  December, 2024
দেশে এবার ‘কৃষ্ণ বিপ্লব’ আসন্ন!
মৃণালকান্তি দাস

দেশের এক আইআইটি (ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি) অধিকর্তা দাবি করেছিলেন, তিনি নাকি মন্ত্রবলে ‘ভূত ছাড়াতে’ পারেন। বেশ কয়েক বছর আগে একটি পরিবারকে তিনি ‘অশুভ আত্মার কবল থেকে মুক্ত’ করেছিলেন বলে দাবি করেন প্রযুক্তিবিদ্যার ওই বিশেষজ্ঞ। বিশদ

12th  December, 2024
কাজ ও প্রচারের নিরিখে মোদি বনাম মনমোহন
সন্দীপন বিশ্বাস

আপনারে বড় বলে, বড় সেই নয়, / লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়। কোন বালক বয়সে পড়া ‘বড় কে’ নামের এই কবিতার লাইনটি আজও মানুষ ভুলে যাননি। অনেকে সেই কবির নামই জানেন না বা ভুলে গিয়েছেন, কিন্তু লাইন দু’টির মধ্যে যে ঘোর বাস্তবতা রয়েছে, সেটা আমরা মাঝে মাঝেই টের পাই। বিশদ

11th  December, 2024
হাতে টাকা নেই, সোনা বন্ধকই ভরসা ভারতের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের বাজারে সোনার দাম কত? প্রতি ১০ গ্রামে ৭৮ হাজার ৪০০ টাকার আশপাশে। চলতি মাসের হিসেব ধরলে একবারই এই দর নেমেছিল ৭১ হাজারে। আর গোটা বছরের গড়ও সেটাই। অথচ বছর দুয়েক আগেও অঙ্কটা এমন ছিল না। বিশদ

10th  December, 2024
মানবাধিকার দিবস: পূর্ববঙ্গের সাতকাহন
জিষ্ণু বসু

১৯৪৮ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘে যখন ১০ ডিসেম্বর তারিখটিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছিল, ঠিক তখন সারা পৃথিবীর মধ্যে সম্ভবত সবথেকে বেশি মানুষের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছিল পূর্ববঙ্গে। সম্পূর্ণ পূর্ববঙ্গ তখন সংখ্যালঘুদের রক্তে প্লাবিত। বিশদ

10th  December, 2024
একনজরে
শুক্রবার ভোরে কালীগঞ্জের বড়চাঁদঘর পঞ্চায়েতের তেজনগর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি মোবাইল দোকানে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। দোকানের শাটার ভেঙে দুষ্কৃতীরা লক্ষাধিক টাকার মোবাইল চুরি করে ...

শুক্রবার সকালে স্কুটারের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক যুবকের। মৃতের নাম মুজাফফর বিশ্বাস (৪২)। ঘটনাটি ঘটে দেগঙ্গার কামদেবকাটিতে। পুলিস রক্তাক্ত অবস্থায় স্কুটার চালককে উদ্ধার করে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলেও শেষরক্ষা হয়নি। ...

শনিবার তেলেঙ্গানায় সন্তোষ ট্রফির মূল পর্বের গ্রুপ লিগে বাংলার প্রতিপক্ষ মণিপুর। সম্প্রতি ভারতীয় ফুটবলের সাপ্লাই লাইন এই রাজ্য। একাধিক ফুটবলার আইএসএলে বিভিন্ন দলের হয়ে মাঠ কাঁপাচ্ছেন। ...

মাদক কারবার থেকে চোরাচালান। মানব পাচার থেকে জঙ্গি কার্যকলাপ। সবমিলিয়ে ক্রমশ স্পর্শকাতর নেপাল ও ভুটান সীমান্ত। এজন্যই ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি চলছে সংশ্লিষ্ট দুই সীমান্তে। একইসঙ্গে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮০১: শিক্ষাবিদ ও সমাজসংস্কারক প্রসন্নকুমার ঠাকুরের জন্ম
১৯১১: প্রতিষ্ঠিত হল সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ইন্ডিয়া
১৯৫৯: ক্রিকেটার কৃষ্ণমাচারী শ্রীকান্তের জন্ম
১৯৬৩: অভিনেতা গোবিন্দার জন্ম
১৯৯৮: নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে ‘দেশিকোত্তম’ দিল বিশ্বভারতী
২০১২: পরিচালক যীশু দাশগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.১৩ টাকা ৮৫.৮৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২৭ টাকা ১০৭.৯৮ টাকা
ইউরো ৮৬.৪২ টাকা ৮৯.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,০০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৬০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৭,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৭,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী ১৫/১৫, দিবা ১২/২২। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র ৫৯/৫৫ শেষ রাত্রি ৬/১৪। সূর্যোদয় ৬/১৬/১৭, সূর্যাস্ত ৪/৫৩/১১। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৭/৪২ গতে ৯/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৭ গতে ২/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৩/২৯ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৫৬ গতে ২/৪৩ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৩ গতে ২/১৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৩ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৬ গতে উদয়াবধি। 
৫ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী দিবা ১/৫৮। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/১৯, সূর্যাস্ত ৪/৫২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে ও ৭/৪৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে ও ১২/৫ গতে ২/৫৬ মধ্যে ও ৩/৮ গতে ৪/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ১/৪ গতে ২/৫০ মধ্যে। কালবেলা ৭/৩৮ মধ্যে ও ১২/৫৫ গতে ২/১৪ মধ্যে ও ৩/৩৩ গতে ৪/৫২ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩৩ মধ্যে ও ৪/৩৮ গতে ৬/২০ মধ্যে।
১৮ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
জার্মানিতে বড়দিনের বাজারে গাড়ি চালিয়ে তাণ্ডব: জখমদের মধ্যে রয়েছেন সাতজন ভারতীয়

11:29:00 PM

সন্ধ্যা থিয়েটারে পদপিষ্টের ঘটনা: আমার চরিত্রহনন করা হয়েছে, বললেন অল্লু অর্জুন
হায়দরাবাদের সন্ধ্যা থিয়েটারে ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’ সিনেমার প্রিমিয়ারে পদপিষ্টের ...বিশদ

11:10:07 PM

ব্রাজিলে ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ, হত ৩০

10:41:00 PM

রাজাহুলিতে বৃদ্ধ খুনের অভিযোগে আরও দু’জনকে মালদহের কালিয়াচক থেকে গ্রেপ্তার করল এনজেপি থানার পুলিস

10:20:00 PM

ঝাড়গ্রাম শহরে অজানা জন্তুর আক্রমণে গোরুর মৃত্যু, মিলেছে পায়ের ছাপ

10:03:00 PM

মোহালিতে নির্মীয়মান বিল্ডিং বিপর্যয়: উদ্ধারকাজে যোগ দিল ভারতীয় সেনা

09:50:00 PM