Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মানবাধিকার দিবস: পূর্ববঙ্গের সাতকাহন
জিষ্ণু বসু

১৯৪৮ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘে যখন ১০ ডিসেম্বর তারিখটিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছিল, ঠিক তখন সারা পৃথিবীর মধ্যে সম্ভবত সবথেকে বেশি মানুষের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছিল পূর্ববঙ্গে। সম্পূর্ণ পূর্ববঙ্গ তখন সংখ্যালঘুদের রক্তে প্লাবিত। ঢাকা, সিলেট, বরিশাল, রাজশাহির কোনও জেলাই সেদিন রেহাই পায়নি। 
সময় যত এগিয়েছে অত্যাচারের মাত্রাও বেড়েছে তত। কোনও সাময়িক উত্তেজনা নয়, সেটা ছিল একটা পরিকল্পিত ‘এথনিক ক্লিনসিং’—পূর্ব পাকিস্তান থেকে বিতাড়িত করা হবে প্রতিটি হিন্দু, বৌদ্ধ আর খ্রিস্টানকে। 
১৯৪৯ সালের আগস্ট মাসে সিলেটের বিয়ানি বাজার আর বড়লেখায় মৌলবাদীদের সঙ্গে পুলিস আর আনসাররাও গণহত্যায় যোগ দেয়। পাকিস্তানি পুলিস সে-বছর বরিশালের ভাণ্ডারিয়াতে হিন্দু মহিলাদের গণধর্ষণ শুরু করে বলে অভিযোগ উঠেছিল। ফাদার টমাস ক্যাট্টোনিও রাজশাহি থেকে জানালেন,  মৌলবাদী আর পাকিস্তানি পুলিস যৌথভাবে সাঁওতাল মেয়েদের গণধর্ষণ করছে।
১০ ডিসেম্বর তারিখেই রাজশাহির পুঁটিয়া রাজবাড়ি মৌলবাদীরা দখল করে নিয়েছিল। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস ঘোষণার সেদিন ছিল বর্ষপূর্তি! তার ঠিক দশদিন পরে বাগেরহাটের মোল্লাহাট থানার কালশিরা গ্রামে পুলিস এক কমিউনিস্ট নেতার বাড়িতে ঢুকে তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণ করতে প্রবৃত্ত হয়। ভদ্রমহিলার চিৎকারে স্থানীয় হিন্দুরা একত্র হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরদিন পুলিস সুপারিনটেন্ডেন্ট এক বিশাল বাহিনী নিয়ে কালশিরা গ্রাম আর তার সংলগ্ন এলাকায় নির্বিচারে হিন্দুহত্যা করে। বাঘ শিকার করে যাওয়ার পরে হায়না আসে—জঙ্গলের এটাই নিয়ম। পুলিস চলে যাওয়ার পরে সেখানে হিন্দুদের সম্পত্তি অবাধেই লুট হয়।
পূর্ব পাকিস্তানের পুলিস প্রশাসনের এইরকম ভূমিকার মধ্যেই ১৯৫০ সালের ৮ এপ্রিল নতুন দিল্লিতে নেহরু লিয়াকত চুক্তি হল। দুই দেশের সংখ্যালঘুদের জান-মাল রক্ষা করার দায়িত্ব নিল ভারত আর পাকিস্তান সরকার। সেদিন ভারতের তত্ত্বাবধায়ক সরকারে পূর্ববঙ্গের বাস্তব পরিস্থিতি সবচেয়ে ভালো জানতেন ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। তিনি পূর্ববঙ্গের হিন্দুদের পাকিস্তান সরকারের দয়ার উপর ছেড়ে দিতে ঘোর আপত্তি করেছিলেন। তাঁর আপত্তিতে কর্ণপাত না করায় তিনি নেহরুজির মন্ত্রিসভা ছেড়ে বেরিয়ে এলেন।
মূলত এই চুক্তির উপরে ভরসা করেই ভারত ১৯৫১ সালের জেনেভা শরণার্থী কনভেনশনে সদস্য দেশ হিসেবে অংশ নিল না। ১৯৫১ সালের জেনেভা কনভেনশন আর ১৯৬৭ সালের উরুগুয়ে প্রোটোকল মেনে সারা পৃথিবীর উদ্বাস্তু কল্যাণের ব্যবস্থা করে রাষ্ট্রসঙ্ঘের ইউনাইটেড নেশনস হাই কমিশন ফর রিফিউজিস (ইউএনএইচসিআর)। তাই ইউএনএইচসিআর-এর হিসেবে, পূর্ব পাকিস্তান বা বাংলাদেশের একজন উদ্বাস্তুও ভারতে নেই! অথচ সরকারি হিসেবেই ১৯৫১ সালে পূর্ব পাকিস্তানে শতকরা ২৪ ভাগ হিন্দু ছিলেন, অত্যাচারিত হয়ে বিতাড়িত হতে হতে আজ সেই সংখ্যা নেমে এসেছে ৮ শতাংশে। কোনও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মঞ্চে এত বড় নরমেধ যজ্ঞের আলোচনা হল না, হিসেব থাকল না!
হঠাৎ করে মিথ্যে গুজব ছড়িয়ে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা করা ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। এই পর্যায়ে চূড়ান্ত অনাচার হয়েছিল ১৯৬৪ সালে। ভারতের কাশ্মীরে ‘হজরতবাল’ মসজিদ থেকে পবিত্র কেশরাজি চুরি গিয়েছে, এমন গুজব ছড়িয়ে  পাকিস্তানের সরকারি মদতে হিন্দুনিধন করা হয়। পাক প্রেসিডেন্ট আয়ুব খান ঢাকা বিমানবন্দর থেকে ইসলামাবাদ যাওয়ার আগে উস্কানি দিয়ে যান। তারপরেই ৩ জানুয়ারি পাকিস্তান কনভেনশন মুসলিম লিগ ‘কাশ্মীর দিবস’ ঘোষণা করে। খুলনা, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, সিলেট থেকে ময়মনসিংহ সর্বত্র  নিদারুণ অত্যাচার চলে। ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দির আক্রান্ত হয়।
দেশভাগের পরে এদেশে ভূমিসংস্কার হলেও পাকিস্তানে প্রায় কিছুই হয়নি। রাজশাহিতে কৃষক আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন ইলা মিত্র। ১৯৫০ সালে ইলা মিত্রকে গ্রেপ্তার করার পরে তাঁর যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা হয়। পূর্ব পাকিস্তানের জেলে তাঁকে যে অত্যাচার করা হয়েছিল, মহিলা বন্দিনির্যাতনের নিরিখে মানবসভ্যতার ইতিহাসে সেই কাহিনি বিরাট কলঙ্ক হয়েই থাকবে। ১৯৫৪ সালে অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে প্যারোলে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে আনা হয়। তিনি আর কখনও নিজের দেশে ফিরতে পারেননি।
আজ মানবাধিকার দিবসে মানবসভ্যতার ইতিহাসের এক অন্ধকারময় অধ্যায়ের কথা স্মরণ করা প্রয়োজন। সেটি মুক্তিযুদ্ধের ঠিক আগে পাকিস্তানের খান সেনাদের অত্যাচার। সেইসময় ঢাকায় আমেরিকার কনসাল জেনারেল ছিলেন আর্চার কেন্ট ব্লাড। তিনি তাঁর প্রতিদিনের বীভৎস অভিজ্ঞতা ‘ব্লাড টেলিগ্রাম’ হিসেবে মার্কিন মুলুকে পাঠিয়েছিলেন। পৃথিবীতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সেটি একটি প্রমাণ্য দলিল। অপারেশন সার্চলাইটের মতো নৃশংস অভিযান দেখে শিউরে উঠেছিল বিশ্ববাসী। পাকিস্তানের খানসেনা প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছিল। মহিলা ধর্ষণ করা হয়েছিল আনুমানিক ৪ লক্ষ। ১ কোটি বাঙালি সেদেশ থেকে পালিয়ে ভারতের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেন। এই হতভাগ্যদের বেশিরভাগই বাঙালি হিন্দু। পাকিস্তানে ফতোয়া জারি করে হিন্দুর সম্পত্তি ও মহিলাদের ‘গনিমতের বস্তু’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। জামাত কর্মীরা পূর্ব পাকিস্তানে ‘শান্তি কমিটি’ গঠন করে। এরা রাজাকার বাহিনী, আল বদর বাহিনী এবং আল শামস বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তানের সেনাদের নরসংহারে সহযোগিতা  করে।
১৯৭১ সালের ২০ মে খুলনা জেলার ডুমুরিয়ায় চুকনগর সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে আসতে চাওয়া ১২ হাজার হিন্দু নরনারীকে হত্যা করা হয় একদিনে! ১৯৪২ সালের আগস্ট,  সেপ্টেম্বর আর অক্টোবর মাসে নাৎসি বাহিনী একদিনে গড়ে ১৫ হাজার ইহুদিকে হত্যা করেছিল। সম্ভবত তারপরেই স্থান পাবে চুকনগরের ওই নৃশংসতা।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরেও সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার বন্ধ হয়নি।  হিন্দুদের সম্পত্তি হস্তগত করার কালাকানুন ছিল শত্রুসম্পত্তি আইন। স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালে তা পরিবর্তিত হয়ে হয়েছিল ‘অর্পিত সম্পত্তি আইন’। বাংলাদেশের প্রতিটি শহরে দেখা যাবে বাঙালি হিন্দুর সম্পত্তি দখল করে বসে আছেন কোনও নেতা। চোদ্দো পুরুষের বসতবাড়ি ছেড়ে বহু হিন্দু বাঙালি কোনও আশ্রমে বা কোনও ভাড়া বাড়ির ছোট্ট ঘরে দিন কাটাচ্ছেন, এমন ঘটনা বাংলাদেশের সর্বত্র। কারণ তিনি বাড়ির দাবি করতে গেলে অস্ত্রের সামনে তাঁকে সই করতে বাধ্য করা হবে। আর কোনও এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে জমি বা বাড়ির ‘মালিক’ দেখিয়ে ‘খাঁড়া দলিল’ বানিয়ে নেওয়ার নজিরও আছে হাজার হাজার।
১৯৮৮ সালে ‘ইসলামি রাষ্ট্র’ ঘোষণার পর থেকে সে-দেশের সংখ্যালঘু মানুষের মানবাধিকার আবার লঙ্ঘিত হতে থাকে। হিন্দু, বৌদ্ধ আর খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ঐক্যও এই অমানবিক নির্যাতনের হাত থেকে বাঙালিকে বাঁচাতে পারেনি।
এই নিত্যদিনের অত্যাচার সহ্য করেও কিছু 
সংখ্যালঘু নাগরিক ওই দেশে থেকে গিয়েছিলেন। কিন্তু সংখ্যাগুরুর অত্যাচার মাঝেমধ্যেই অসহ্য হয়ে উঠেছে সেখানে। ২০০১ সালে যখন বাংলাদেশে বিএনপি আর জামাতের নেতৃত্বে চার দলের সরকার এসেছিল, তখন আবার অবর্ণনীয় অত্যাচার নেমে আসে।
সে-বছর চট্টগ্রামের নাজিরহাট কলেজের অধ্যক্ষ গোপালকৃষ্ণ মুহুরিকে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়। সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ১২ বছরের একটি মেয়েকে সারারাত ধরে ১২-১৪ জন ক্রমান্বয়ে ধর্ষণ করেছিল তার মায়েরই সামনে! অদ্ভুত ব্যাপার হল, কলকাতায় কোনও ‘প্রগতিশীল’ দল বা সংগঠন এই মানবাধিকারের শ্রাদ্ধ দিবসে কোনও প্রতিবাদ মিছিল বের করেননি। আজও যখন ইসকনের নিরাপরাধ সন্ন্যাসীকে শাস্তি দেওয়ার প্রহসন হচ্ছে তখনও তাঁদের কণ্ঠরুদ্ধ।
আসলে, বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের একশ্রেণির শিক্ষিত মানুষের জন্যই এই ভয়ানক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ধারাবাহিক ঘটনা আন্তর্জাতিক স্তরে উঠে আসেনি। উদ্বাস্তু জীবনের কষ্ট নিয়ে উপন্যাস লেখা হয়েছে, ছায়াছবি হয়েছে কিন্তু কেন যে মানুষগুলো উদ্বাস্তু হলেন, তা বলা হল না।
স্টিফেন স্পিলবার্গের ‘শিন্ডেলার্স লিস্ট’ বহু মুসলিম দেশে নিষিদ্ধ হয়েছিল, কিন্তু হলিউডের এই প্রবাদপ্রতিম ইহুদি পরিচালক ভাবেননি যে, তাঁর আসন টলে যাবে। বার্লিনে বা পৃথিবীর  অন্য কোথাও কোনও হলোকাস্ট মিউজিয়াম উদ্বোধন করতে কোনও নোবেলজয়ী ইহুদির সাম্প্রদায়িকতা বলে মনে হয়নি।
কাশ্মীরের পণ্ডিতদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা আন্তর্জাতিক মঞ্চে বলতে কখনও কোনও প্রথিতযশা কাশ্মীরের মানুষ ইতস্তত করেননি।
১৯৪৬ সালে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিন নোয়াখালিতে নির্বিচারে হিন্দুনিধন শুরু হয়েছিল। ছুটে গিয়েছিলেন গান্ধীজি। সেই মানবাধিকার নিধন সমানে চলেছে। 
এই উপমহাদেশে পূর্ববঙ্গের বাঙালি হিন্দুর নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার বেদনাবিধুর কাহিনি কোথাও প্রদর্শিত হল না। অথচ এই বাংলারই কবি বলেছিলেন, যে অন্যায় করে আর যে সহ্য করে তারা উভয়েই ঘৃণার পাত্র। 
লেখক কলকাতায় সাহা ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার ফিজিক্স-এ কর্মরত। মতামত ব্যক্তিগত
10th  December, 2024
এরপরেও বিজেপি গরিবের ভোট চাইবে?
তন্ময় মল্লিক

বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা দেওয়ামাত্র বিরোধীরা একযোগে সমালোচনা শুরু করে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ‘ছাব্বিশের ভোটের জন্য এসব করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাছের তেলে মাছ ভাজছেন। কারণ এটা সাধারণ মানুষের করের টাকা।’ বিরোধীরা একেবারে হক কথা বলছেন। বিশদ

জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে অথচ অপুষ্টি কমছে না
সমৃদ্ধ দত্ত

সরকার জনসংখ্যা নীতি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি যাতে কমে যায় সেই কঠোর নীতি কি নেওয়া দরকার? নাকি জনসংখ্যা নীতির প্রয়োজন নেই? এই জল্পনা এখন সরকারের অন্দরে অন্যতম প্রধান একটি বিতর্ক। সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু যে রাষ্ট্র আর কিছু বছরের মধ্যে নাকি তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে সেখানে এত শিশুমৃত্যু কেন? এত অপুষ্টি কেন?
বিশদ

20th  December, 2024
আল-কায়েদা জঙ্গি জোলানি এখন হিরো
মৃণালকান্তি দাস

প্রচণ্ড গরমের এক দুপুর। ইরাক আর সিরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে দু’টি পিকআপ ভ্যান। স্থানীয়রা জানত, এসব গাড়ি কাদের এবং কী উদ্দেশ্যে এখানে চলাচল করে। সিরিয়ার বাজার থেকে অস্ত্র কিনে এই রুট দিয়ে সেগুলি ইরাকে নিয়ে যায় আল-কায়েদা। বিশদ

19th  December, 2024
পাকিস্তান নয়, ভারতই পাশে থাকবে
হারাধন চৌধুরী

অনেক সংশয় কাটিয়ে সোমবার ঢাকাতেও পালিত হল ‘বিজয় দিবস’। এমনকী, কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ামের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেও যোগ দিল বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। ‌গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হয় এবং ৮ আগস্ট বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয় মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিশদ

18th  December, 2024
সিবিআইকে নিয়ে গদগদ হওয়ার কিছু আছে কি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

১) ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্ন। কল্যাণী এইমস এবং দিল্লির গঙ্গারামপুর হাসপাতালে পাঠানোর পরও কিন্তু খুঁত মিলল না। বিশদ

17th  December, 2024
প্রত্যাশিত ভারত মোদির ‘বিকশিত’ ভারত নয়
পি চিদম্বরম

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব—দু’জনেই শহুরে, সুশিক্ষিত ও মৃদুভাষী মানুষ। এস জয়শঙ্কর ফরেন সার্ভিসে একটি উল্লেখযোগ্য কর্মজীবন কাটিয়েছেন। সেখানে তাঁকে একজন উদারপন্থী ব্যক্তি হিসেবেই বিবেচনা করা হতো।
বিশদ

16th  December, 2024
এক দেশ এক নির্বাচন ও মমতার চ্যালেঞ্জ
হিমাংশু সিংহ

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছাব্বিশে, না তারও আড়াই বছর বাদে উনত্রিশের সম্মিলিত নির্বাচনে, তা ভবিষ্যৎ বলবে। কিন্তু ইতিমধ্যেই রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে জাতীয় ক্ষেত্রেও তাঁকে প্রধান মুখ করে লড়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে পাটনা থেকে মুম্বই, লখনউ থেকে দিল্লির প্রধান বিরোধী দলগুলির মধ্যে। বিশদ

15th  December, 2024
মৌলবাদ: চক্রান্ত রুখছেন রাজ্যের মুসলিমরাই
তন্ময় মল্লিক

‘কোটা’র বিরুদ্ধে আন্দোলনকে সামনে রেখেই বাংলাদেশে ঘটেছিল তথাকথিত ‘গণঅভ্যুত্থান’। কোটাপ্রথার বিলোপই যদি লক্ষ্য হতো, তাহলে ৫আগস্ট  আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটত। শেখ হাসিনা দেশত্যাগী হয়েছেন। কিন্তু দেশে শান্তি ফেরেনি। বিশদ

14th  December, 2024
বিজেপি-সখ্যে আঞ্চলিক দলের ক্ষতি হচ্ছে
সমৃদ্ধ দত্ত

বিগত ১০ বছর ধরে দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের শাসক দল বিজেপির সঙ্গে যে আঞ্চলিক দলই সখ্য স্থাপন করেছে, তাদেরই চরম রাজনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। হয় তারা নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক হারিয়েছে অথবা সরকার থেকে পদচ্যুত হয়েছে। কিংবা নিজেদের রাজ্যে গুরুত্বহীন হয়ে গিয়েছে। বিশদ

13th  December, 2024
দেশে এবার ‘কৃষ্ণ বিপ্লব’ আসন্ন!
মৃণালকান্তি দাস

দেশের এক আইআইটি (ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি) অধিকর্তা দাবি করেছিলেন, তিনি নাকি মন্ত্রবলে ‘ভূত ছাড়াতে’ পারেন। বেশ কয়েক বছর আগে একটি পরিবারকে তিনি ‘অশুভ আত্মার কবল থেকে মুক্ত’ করেছিলেন বলে দাবি করেন প্রযুক্তিবিদ্যার ওই বিশেষজ্ঞ। বিশদ

12th  December, 2024
কাজ ও প্রচারের নিরিখে মোদি বনাম মনমোহন
সন্দীপন বিশ্বাস

আপনারে বড় বলে, বড় সেই নয়, / লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়। কোন বালক বয়সে পড়া ‘বড় কে’ নামের এই কবিতার লাইনটি আজও মানুষ ভুলে যাননি। অনেকে সেই কবির নামই জানেন না বা ভুলে গিয়েছেন, কিন্তু লাইন দু’টির মধ্যে যে ঘোর বাস্তবতা রয়েছে, সেটা আমরা মাঝে মাঝেই টের পাই। বিশদ

11th  December, 2024
হাতে টাকা নেই, সোনা বন্ধকই ভরসা ভারতের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের বাজারে সোনার দাম কত? প্রতি ১০ গ্রামে ৭৮ হাজার ৪০০ টাকার আশপাশে। চলতি মাসের হিসেব ধরলে একবারই এই দর নেমেছিল ৭১ হাজারে। আর গোটা বছরের গড়ও সেটাই। অথচ বছর দুয়েক আগেও অঙ্কটা এমন ছিল না। বিশদ

10th  December, 2024
একনজরে
শুক্রবার ভোরে কালীগঞ্জের বড়চাঁদঘর পঞ্চায়েতের তেজনগর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি মোবাইল দোকানে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। দোকানের শাটার ভেঙে দুষ্কৃতীরা লক্ষাধিক টাকার মোবাইল চুরি করে ...

সম্প্রতি শহরে তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিসের নতুন ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের এই সাফল্যকে সামনে এনে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র দাবি করলেন, বাংলায় পড়াশোনোর বহর বাড়ছে। সেই কারণেই মেধার বিস্তৃতি সম্ভব হচ্ছে। ...

মাদক কারবার থেকে চোরাচালান। মানব পাচার থেকে জঙ্গি কার্যকলাপ। সবমিলিয়ে ক্রমশ স্পর্শকাতর নেপাল ও ভুটান সীমান্ত। এজন্যই ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি চলছে সংশ্লিষ্ট দুই সীমান্তে। একইসঙ্গে ...

শুক্রবার সকালে স্কুটারের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক যুবকের। মৃতের নাম মুজাফফর বিশ্বাস (৪২)। ঘটনাটি ঘটে দেগঙ্গার কামদেবকাটিতে। পুলিস রক্তাক্ত অবস্থায় স্কুটার চালককে উদ্ধার করে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলেও শেষরক্ষা হয়নি। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮০১: শিক্ষাবিদ ও সমাজসংস্কারক প্রসন্নকুমার ঠাকুরের জন্ম
১৯১১: প্রতিষ্ঠিত হল সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ইন্ডিয়া
১৯৫৯: ক্রিকেটার কৃষ্ণমাচারী শ্রীকান্তের জন্ম
১৯৬৩: অভিনেতা গোবিন্দার জন্ম
১৯৯৮: নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে ‘দেশিকোত্তম’ দিল বিশ্বভারতী
২০১২: পরিচালক যীশু দাশগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.১৩ টাকা ৮৫.৮৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২৭ টাকা ১০৭.৯৮ টাকা
ইউরো ৮৬.৪২ টাকা ৮৯.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,০০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৬০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৭,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৭,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী ১৫/১৫, দিবা ১২/২২। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র ৫৯/৫৫ শেষ রাত্রি ৬/১৪। সূর্যোদয় ৬/১৬/১৭, সূর্যাস্ত ৪/৫৩/১১। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৭/৪২ গতে ৯/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৭ গতে ২/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৩/২৯ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৫৬ গতে ২/৪৩ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৩ গতে ২/১৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৩ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৬ গতে উদয়াবধি। 
৫ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী দিবা ১/৫৮। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/১৯, সূর্যাস্ত ৪/৫২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে ও ৭/৪৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে ও ১২/৫ গতে ২/৫৬ মধ্যে ও ৩/৮ গতে ৪/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ১/৪ গতে ২/৫০ মধ্যে। কালবেলা ৭/৩৮ মধ্যে ও ১২/৫৫ গতে ২/১৪ মধ্যে ও ৩/৩৩ গতে ৪/৫২ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩৩ মধ্যে ও ৪/৩৮ গতে ৬/২০ মধ্যে।
১৮ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
জার্মানিতে বড়দিনের বাজারে গাড়ি চালিয়ে তাণ্ডব: জখমদের মধ্যে রয়েছেন সাতজন ভারতীয়

11:29:00 PM

সন্ধ্যা থিয়েটারে পদপিষ্টের ঘটনা: আমার চরিত্রহনন করা হয়েছে, বললেন অল্লু অর্জুন
হায়দরাবাদের সন্ধ্যা থিয়েটারে ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’ সিনেমার প্রিমিয়ারে পদপিষ্টের ...বিশদ

11:10:07 PM

ব্রাজিলে ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ, হত ৩০

10:41:00 PM

রাজাহুলিতে বৃদ্ধ খুনের অভিযোগে আরও দু’জনকে মালদহের কালিয়াচক থেকে গ্রেপ্তার করল এনজেপি থানার পুলিস

10:20:00 PM

ঝাড়গ্রাম শহরে অজানা জন্তুর আক্রমণে গোরুর মৃত্যু, মিলেছে পায়ের ছাপ

10:03:00 PM

মোহালিতে নির্মীয়মান বিল্ডিং বিপর্যয়: উদ্ধারকাজে যোগ দিল ভারতীয় সেনা

09:50:00 PM