Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

এক দেশ এক নির্বাচন ও মমতার চ্যালেঞ্জ
হিমাংশু সিংহ

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছাব্বিশে, না তারও আড়াই বছর বাদে উনত্রিশের সম্মিলিত নির্বাচনে, তা ভবিষ্যৎ বলবে। কিন্তু ইতিমধ্যেই রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে জাতীয় ক্ষেত্রেও তাঁকে প্রধান মুখ করে লড়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে পাটনা থেকে মুম্বই, লখনউ থেকে দিল্লির প্রধান বিরোধী দলগুলির মধ্যে। কেন অধিকাংশ বিরোধী বাংলার নেত্রীকেই মানতে বাধ্য হচ্ছেন, তার কারণও অত্যন্ত সরল ও সাধারণ। দীর্ঘ তিন বছর টাকা আটকেও যাঁকে হারানো যায় না, উল্টে তাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের দ্যুতি ছড়িয়ে পড়ে দেশময়। রাজ্যে রাজ্যে অনুসরণ করতে বাধ্য হয় সরকার থেকে বিরোধী সব পক্ষই। 
এক দেশ এক নির্বাচনের ঢক্কানিনাদ বেজে গিয়েছে। মোদি-অমিত শাহের উদ্দেশ্য একটাই, বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোটকে এই কৌশলে টুকরো টুকরো করে ভেঙে দেওয়া। যদি সংবিধান সংশোধনের মতো জটিল প্রক্রিয়া সামলে তা উনত্রিশের সম্মিলিত সাধারণ নির্বাচনের আগে কার্যকর হয়, তাহলে দেশের ভোট রাজনীতিতে এক সম্পূর্ণ নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে। সেই আঘাতের মোকাবিলা বড় সহজ হবে না। পরস্পর বিরোধী স্বার্থের টানাপোড়েনে ফাটল চওড়া হতে বাধ্য। কংগ্রেস বাদে বিরোধীরা, বিশেষ করে আঞ্চলিক দলগুলি সেটা বিলক্ষণ বুঝতে পারছে বলেই রাহুল গান্ধীর বদলে কোনও শক্তিশালী অকংগ্রেসি মুখকে নেতৃত্বে বসাতে চাইছে। শক্তিশালী নেতৃত্ব দিতে পারদর্শী ব্যক্তিত্ব খোঁজার এই দেশব্যাপী অভিযানে বিরোধীদের সামনে একটাই লড়াকু মুখ—বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আপনি সমালোচনা করতে পারেন, শিক্ষিত বুদ্ধিজীবীরা তীক্ষ্ণ কটাক্ষ ছুড়ে দিতে পারেন, তাঁর বদনাম করতে দু’শো আষাঢ়ে গল্পের অবতারণা তাও চলতে পারে, কিন্তু বাস্তবের মাটিতে তাঁর বিকল্প মেলে না। আবারও প্রমাণ হয়, গোটা দেশে বিজেপির সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়ের জন্য সেরা ‘স্ট্রিট ফাইটার’ এখনও সব বিচারে একমাত্র তিনিই, বাংলার ‘অগ্নিকন্যা’। লালু, কেজরিওয়াল, শারদ পাওয়ার, অখিলেশ কার্যত বাধ্য হয়েই বারবার নিঃশর্তভাবে মমতাকেই ইন্ডিয়া জোটের ব্যাটন তুলে নেওয়ার আর্জি জানাচ্ছেন। মমতাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, চেয়ারের জন্য তিনি লালায়িত নন। কিন্তু একইসঙ্গে এটাও সত্যি, তেইশ সালের জুন মাসে গড়ে ওঠা ইন্ডিয়া জোটের প্রধান স্থপতি তিনিই। সেই কারণেই সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপির বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তোলা তাঁর একমাত্র অগ্রাধিকার। ১৬ মাস বাদে বাংলার বিধানসভা ভোট আপাতত পাখির চোখ হলেও তাঁর আসল লড়াই কেন্দ্রে বিজেপির চতুর্থবার ক্ষমতায় আসা রুখে দেওয়ার। তাই নেত্রীর কাছে লড়াইটা দু’তরফে। একদিকে বাংলায় ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটে জিতে ফিরে আসার, অন্যদিকে পরের লোকসভা নির্বাচনে গোটা দেশে তুল্যমূল্য গেরুয়া বিরোধী প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ করা। ইতিমধ্যেই দুই ময়দানেই খেলাটা কিন্তু শুরু হয়ে গিয়েছে।
সামনের বছর থেকে যে রাজ্যগুলিতে বিধানসভা ভোট তাদেরকে পুরো পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করার আগেই আবার লোকসভার সঙ্গে জনসমর্থন যাচাইয়ের পরীক্ষায় বসতে হবে। নতুন বছরের শুরুতেই দিল্লির নির্বাচন। সেখানে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ কিছুতেই কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে লড়তে রাজি নয়। কারণ শতাব্দী প্রাচীন দলটাকে একটা আসন ছাড়তে হলেও সেটাই ক্ষতি। দিল্লির পর বছরের শেষপর্বে বিহারের ভোট। সেখানেও ভাবগতিক দেখে মনে হচ্ছে, লালু এবং তাঁর দুই ছেলে একা লড়ার পক্ষেই রায় দেবেন। তারপর ছাব্বিশের শুরুতে পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু ও কেরল সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের ভোট। পশ্চিমবঙ্গে এই মুহূর্তে একা লড়লে অধিকাংশ আসনেই কংগ্রেসের জামানত জব্দ হওয়াই স্পষ্ট দেওয়াল লিখন। তাই তৃণমূলের পক্ষে এ রাজ্যে একটি আসন ছাড়াও বাহুল্য বইকি! এরাজ্যে কংগ্রেস বেঁচে আছে মালদহের একটা ছোট গনি সাম্রাজ্যে এবং মুর্শিদাবাদে। আর বামেরা উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্র আছেন শুধু সমাজ মাধ্যমের মেকি ‘বিপ্লব’ মঞ্চে। বাস্তবের মাটিতে আগাগোড়া শূন্যই!
এই পটভূমিতে এক দেশ এক নির্বাচন তামাম বিরোধী শিবিরকে আরও বড় অস্তিত্ব সঙ্কটে ফেলে দেবে আশঙ্কা করেই বাংলার নেত্রীকে সামনে থেকে লড়ার আহ্বান জানাচ্ছে, কংগ্রেস ও বামেরা বাদে অন্য সমস্ত বিরোধী দল। ছাব্বিশে বাংলায় উপর্যুপরি চারবার তৃণমূল সরকার গঠিত হলেও তার মেয়াদ মাত্র আড়াই বছরেই সীমিত হয়ে যেতে পারে। উনত্রিশে বিজেপি বনাম বিরোধীদের মহাভারতের নির্ণায়ক লড়াইয়ে মমতাকেই সামনে দাঁড়াতে হবে। অর্জুন এবং কৃষ্ণ, দুই ভূমিকাতেই। রাহুল গান্ধীর প্রতি অধিকাংশেরই বিশেষ আস্থা নেই। সারাদেশের ভোট পাটিগণিতেও কংগ্রেস আজ নিতান্তই ক্ষীণবল। তাই আগামী ২০২৯ সালে ৮২তম স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে ভারতের গণতন্ত্র ও সংবিধান অক্ষুণ্ণ থাকবে, না একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা হবে, তা অনেকাংশেই নির্ভর করবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কতটা আগ্রাসী লড়াই দিতে পারেন এবং ইন্ডিয়া জোটের তামাম শরিক তাঁর সঙ্গে কতটা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে এগতে পারে, সেই রসায়নের উপর। 
আগেই বলেছি, মুখে খরচ কমানো এবং সরকারি উন্নয়নের কাজে সময় বাড়ানোর কথা বললেও গেরুয়া শিবির বিশেষ করে সঙ্ঘ পরিবারের আসল উদ্দেশ্য, বিরোধী ঐক্যকে ভেঙে চুরমার করে দেওয়া। আরও নির্দিষ্ট করে বললে বিভিন্ন রাজ্যের রাজনৈতিক সমীকরণকে জাতীয় আঙ্গিকে অর্থহীন ও নিষ্ক্রিয় করে দিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে আঞ্চলিক দলগুলির দূরত্ব তৈরিই এই কৌশলের মূল মন্ত্র। কট্টর হিন্দুত্বর সঙ্গে ব্রিটিশদের ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’ অনুসরণ করে ইন্ডিয়া জোটকে ভেঙে দেওয়াই লক্ষ্য। আর নাগপুরের মাথারা তা করতে পারলে এই মুহূর্তের রাজনীতিতে দাঁড়িয়ে যে সহজে কেন্দ্রে সরকার বদল সম্ভব নয় তা বিলক্ষণ জানেন নরেন্দ্র মোদি। কারণ আঞ্চলিক দলগুলি খুব ভালো করলেও লোকসভায় ৪০টি আসন জিততেই হিমশিম খাবে। আর হীনবল কংগ্রেসকে থেমে যেতে হবে একশোর আগেই। আর যদি কংগ্রেসকে দেড়শো পেরতে হয় তাহলে মার খাবে আপ, শিবসেনা, তেলুগু দেশম, সমাজবাদী পার্টি, ওয়াইএসআর কংগ্রেস, ডিএমকে এবং অবশ্যই লালুর আরজেডি। ক্ষতি স্বীকার করতে হবে তৃণমূলকেও। এই অবস্থায় কংগ্রেসের পক্ষে আঞ্চলিক দলগুলির নেতৃত্ব দেওয়া প্রায় অসম্ভব। শুধু বাংলাই নয়, জাতীয় রাজনীতিতেও একমাত্র বিকল্প তৃণমূল কংগ্রেস এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
একুশের বিধানসভা ভোটের আগে বাংলার রাজনীতি আন্দোলিত হয়েছিল একটিমাত্র স্লোগানে—‘বাংলা নিজের মেয়েকে চায়, বহিরাগতদের বিদায় চায়’। আর মহারাষ্ট্রের সাম্প্রতিক ভোটের ফলে কংগ্রেসের শোচনীয় ভরাডুবির পর আওয়াজ উঠেছে, ‘ভারত নিজের মেয়েকেই চায়’। তৃণমূল নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগতদের পক্ষ থেকেও নয়, বাম ও কংগ্রেস বাদে ইন্ডিয়া জোটের একের পর এক শরিক ইন্ডিয়ার নেতৃত্বে মমতাকেই চাইছেন। এই তালিকায় আছেন শারদ পাওয়ার থেকে অরবিন্দ কেজরিওয়াল, লালুপ্রসাদ থেকে অখিলেশ যাদব, ওয়াইএসআর কংগ্রেস থেকে শিবু সোরেনের ছেলে হেমন্ত। মুখে না বললেও ডিএমকের পর্যন্ত এব্যাপারে সায় রয়েছে। সাহস যেমন সহজেই সংক্রামিত হয়, তেমনি মমতার প্রতি জাতীয় স্তরের বিরোধী নেতানেত্রীদের এই আস্থা ও সমর্থনই প্রমাণ করে আজও তিনি কতটা জনপ্রিয় এবং গ্রহণযোগ্য মুখ। মহারাষ্ট্র নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর সেই হাওয়ায় নিঃসন্দেহে দমকা বাতাস লেগেছে। প্রায় দু’বছর আগে ইন্ডিয়া জোটের জন্ম ইস্তক নেতৃত্ব নিয়ে কিছুতেই সহমত হতে পারছে না। কারণ নির্বাচনী আসরে বিশেষ করে উত্তর থেকে দক্ষিণ—অধিকাংশ রাজ্যেই বিধানসভার ভোটে রাহুল, সোনিয়ার কংগ্রেস ধারাবাহিকভাবে অকৃতকার্য। অনেক আশা জাগিয়েও শতাব্দী প্রাচীন দলটি মহারাষ্ট্র দখলে ব্যর্থ। ব্যর্থ হরিয়ানাতেও। সামনে দিল্লির নির্বাচন। সেখানেও ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম সদস্য আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও তাঁর সতীর্থরা কংগ্রেসকে পাশে চান না। 
দেশের শাসক দল বিজেপি সর্বশক্তি প্রয়োগ করেও বারেবারে তাকে রুখতে পারেনি। একুশ, চব্বিশের পর আগামী ছাব্বিশের নির্বাচনী লড়াইয়েও যাবতীয় ভোট পণ্ডিতের হিসেবকে ভুল প্রমাণ করবে। এক্সিট পোলের পূর্বাভাস মিথ্যে প্রমাণিত হয়েছে। বাংলার সেই মেয়েই এখনও বাংলায় ক্ষমতায়। বিজেপির লম্ফঝম্প থামাতে পারেন একমাত্র তিনিই। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ঝাঁপ, মন্ত্রীসান্ত্রিদের ডেলি প্যাসেঞ্জারিকে ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলে তিনি বছরের পর বছর একইরকম অপ্রতিরোধ্য।       
জাতীয় রাজনীতিতে বাংলার গুরুত্ব বৃদ্ধি কোনও অলৌকিক ঘটনা নয়। স্বাধীনতার আগে ও পরে দু’ক্ষেত্রেই তা দেখেছি আমরা। তবু সরকারে কিংবা নির্বাচিত সরকারের মুখ হিসেবে কোনও বাঙালিকে তেমনভাবে পাওয়া যায়নি কখনও। তাই ৭৫ বছরের স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে একজনও প্রধানমন্ত্রী পাওয়া হয়নি বাংলা থেকে। দলমত নির্বিশেষে এ আমাদের বড় আক্ষেপ। স্বাধীনতা আন্দোলনের পুরোভাগে ছিল বাঙালি। দেশের স্বার্থে তারা প্রাণ দিতে পিছপা হয়নি কখনও। যোগ্যতার অভাবও ছিল না তাদের। এই তালিকায় সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক বঙ্গের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। তাহলে এক আটপৌরে পরিবারের অসমসাহসী বাঙালি নেত্রীকে পিছন থেকে টেনে ধরার চেষ্টা কেন? যদি নিজের যোগ্যতায় মমতা দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী চেয়ারে বসতে পারেন তাতে এ রাজ্যে এত গাত্রদাহ কেন? বাঙালি চিরদিনই কি পরশ্রীকাতর কাঁকড়ার জাত হয়েই ইতিহাসে হারিয়ে যাবে? নেতাজি থেকে জ্যোতি বসু হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, একই নাটকের পুনরাবৃত্তি হবে যুগ যুগ ধরে!
15th  December, 2024
এরপরেও বিজেপি গরিবের ভোট চাইবে?
তন্ময় মল্লিক

বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা দেওয়ামাত্র বিরোধীরা একযোগে সমালোচনা শুরু করে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ‘ছাব্বিশের ভোটের জন্য এসব করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাছের তেলে মাছ ভাজছেন। কারণ এটা সাধারণ মানুষের করের টাকা।’ বিরোধীরা একেবারে হক কথা বলছেন। বিশদ

জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে অথচ অপুষ্টি কমছে না
সমৃদ্ধ দত্ত

সরকার জনসংখ্যা নীতি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি যাতে কমে যায় সেই কঠোর নীতি কি নেওয়া দরকার? নাকি জনসংখ্যা নীতির প্রয়োজন নেই? এই জল্পনা এখন সরকারের অন্দরে অন্যতম প্রধান একটি বিতর্ক। সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু যে রাষ্ট্র আর কিছু বছরের মধ্যে নাকি তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে সেখানে এত শিশুমৃত্যু কেন? এত অপুষ্টি কেন?
বিশদ

20th  December, 2024
আল-কায়েদা জঙ্গি জোলানি এখন হিরো
মৃণালকান্তি দাস

প্রচণ্ড গরমের এক দুপুর। ইরাক আর সিরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে দু’টি পিকআপ ভ্যান। স্থানীয়রা জানত, এসব গাড়ি কাদের এবং কী উদ্দেশ্যে এখানে চলাচল করে। সিরিয়ার বাজার থেকে অস্ত্র কিনে এই রুট দিয়ে সেগুলি ইরাকে নিয়ে যায় আল-কায়েদা। বিশদ

19th  December, 2024
পাকিস্তান নয়, ভারতই পাশে থাকবে
হারাধন চৌধুরী

অনেক সংশয় কাটিয়ে সোমবার ঢাকাতেও পালিত হল ‘বিজয় দিবস’। এমনকী, কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ামের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেও যোগ দিল বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। ‌গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হয় এবং ৮ আগস্ট বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয় মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিশদ

18th  December, 2024
সিবিআইকে নিয়ে গদগদ হওয়ার কিছু আছে কি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

১) ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্ন। কল্যাণী এইমস এবং দিল্লির গঙ্গারামপুর হাসপাতালে পাঠানোর পরও কিন্তু খুঁত মিলল না। বিশদ

17th  December, 2024
প্রত্যাশিত ভারত মোদির ‘বিকশিত’ ভারত নয়
পি চিদম্বরম

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব—দু’জনেই শহুরে, সুশিক্ষিত ও মৃদুভাষী মানুষ। এস জয়শঙ্কর ফরেন সার্ভিসে একটি উল্লেখযোগ্য কর্মজীবন কাটিয়েছেন। সেখানে তাঁকে একজন উদারপন্থী ব্যক্তি হিসেবেই বিবেচনা করা হতো।
বিশদ

16th  December, 2024
মৌলবাদ: চক্রান্ত রুখছেন রাজ্যের মুসলিমরাই
তন্ময় মল্লিক

‘কোটা’র বিরুদ্ধে আন্দোলনকে সামনে রেখেই বাংলাদেশে ঘটেছিল তথাকথিত ‘গণঅভ্যুত্থান’। কোটাপ্রথার বিলোপই যদি লক্ষ্য হতো, তাহলে ৫আগস্ট  আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটত। শেখ হাসিনা দেশত্যাগী হয়েছেন। কিন্তু দেশে শান্তি ফেরেনি। বিশদ

14th  December, 2024
বিজেপি-সখ্যে আঞ্চলিক দলের ক্ষতি হচ্ছে
সমৃদ্ধ দত্ত

বিগত ১০ বছর ধরে দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের শাসক দল বিজেপির সঙ্গে যে আঞ্চলিক দলই সখ্য স্থাপন করেছে, তাদেরই চরম রাজনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। হয় তারা নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক হারিয়েছে অথবা সরকার থেকে পদচ্যুত হয়েছে। কিংবা নিজেদের রাজ্যে গুরুত্বহীন হয়ে গিয়েছে। বিশদ

13th  December, 2024
দেশে এবার ‘কৃষ্ণ বিপ্লব’ আসন্ন!
মৃণালকান্তি দাস

দেশের এক আইআইটি (ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি) অধিকর্তা দাবি করেছিলেন, তিনি নাকি মন্ত্রবলে ‘ভূত ছাড়াতে’ পারেন। বেশ কয়েক বছর আগে একটি পরিবারকে তিনি ‘অশুভ আত্মার কবল থেকে মুক্ত’ করেছিলেন বলে দাবি করেন প্রযুক্তিবিদ্যার ওই বিশেষজ্ঞ। বিশদ

12th  December, 2024
কাজ ও প্রচারের নিরিখে মোদি বনাম মনমোহন
সন্দীপন বিশ্বাস

আপনারে বড় বলে, বড় সেই নয়, / লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়। কোন বালক বয়সে পড়া ‘বড় কে’ নামের এই কবিতার লাইনটি আজও মানুষ ভুলে যাননি। অনেকে সেই কবির নামই জানেন না বা ভুলে গিয়েছেন, কিন্তু লাইন দু’টির মধ্যে যে ঘোর বাস্তবতা রয়েছে, সেটা আমরা মাঝে মাঝেই টের পাই। বিশদ

11th  December, 2024
হাতে টাকা নেই, সোনা বন্ধকই ভরসা ভারতের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের বাজারে সোনার দাম কত? প্রতি ১০ গ্রামে ৭৮ হাজার ৪০০ টাকার আশপাশে। চলতি মাসের হিসেব ধরলে একবারই এই দর নেমেছিল ৭১ হাজারে। আর গোটা বছরের গড়ও সেটাই। অথচ বছর দুয়েক আগেও অঙ্কটা এমন ছিল না। বিশদ

10th  December, 2024
মানবাধিকার দিবস: পূর্ববঙ্গের সাতকাহন
জিষ্ণু বসু

১৯৪৮ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘে যখন ১০ ডিসেম্বর তারিখটিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছিল, ঠিক তখন সারা পৃথিবীর মধ্যে সম্ভবত সবথেকে বেশি মানুষের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছিল পূর্ববঙ্গে। সম্পূর্ণ পূর্ববঙ্গ তখন সংখ্যালঘুদের রক্তে প্লাবিত। বিশদ

10th  December, 2024
একনজরে
শুক্রবার ভোরে কালীগঞ্জের বড়চাঁদঘর পঞ্চায়েতের তেজনগর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি মোবাইল দোকানে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। দোকানের শাটার ভেঙে দুষ্কৃতীরা লক্ষাধিক টাকার মোবাইল চুরি করে ...

সম্প্রতি শহরে তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিসের নতুন ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের এই সাফল্যকে সামনে এনে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র দাবি করলেন, বাংলায় পড়াশোনোর বহর বাড়ছে। সেই কারণেই মেধার বিস্তৃতি সম্ভব হচ্ছে। ...

শনিবার তেলেঙ্গানায় সন্তোষ ট্রফির মূল পর্বের গ্রুপ লিগে বাংলার প্রতিপক্ষ মণিপুর। সম্প্রতি ভারতীয় ফুটবলের সাপ্লাই লাইন এই রাজ্য। একাধিক ফুটবলার আইএসএলে বিভিন্ন দলের হয়ে মাঠ কাঁপাচ্ছেন। ...

শুক্রবার সকালে স্কুটারের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক যুবকের। মৃতের নাম মুজাফফর বিশ্বাস (৪২)। ঘটনাটি ঘটে দেগঙ্গার কামদেবকাটিতে। পুলিস রক্তাক্ত অবস্থায় স্কুটার চালককে উদ্ধার করে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলেও শেষরক্ষা হয়নি। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮০১: শিক্ষাবিদ ও সমাজসংস্কারক প্রসন্নকুমার ঠাকুরের জন্ম
১৯১১: প্রতিষ্ঠিত হল সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ইন্ডিয়া
১৯৫৯: ক্রিকেটার কৃষ্ণমাচারী শ্রীকান্তের জন্ম
১৯৬৩: অভিনেতা গোবিন্দার জন্ম
১৯৯৮: নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে ‘দেশিকোত্তম’ দিল বিশ্বভারতী
২০১২: পরিচালক যীশু দাশগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.১৩ টাকা ৮৫.৮৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২৭ টাকা ১০৭.৯৮ টাকা
ইউরো ৮৬.৪২ টাকা ৮৯.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,০০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৬০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৭,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৭,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী ১৫/১৫, দিবা ১২/২২। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র ৫৯/৫৫ শেষ রাত্রি ৬/১৪। সূর্যোদয় ৬/১৬/১৭, সূর্যাস্ত ৪/৫৩/১১। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৭/৪২ গতে ৯/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৭ গতে ২/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৩/২৯ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৫৬ গতে ২/৪৩ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৩ গতে ২/১৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৩ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৬ গতে উদয়াবধি। 
৫ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী দিবা ১/৫৮। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/১৯, সূর্যাস্ত ৪/৫২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে ও ৭/৪৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে ও ১২/৫ গতে ২/৫৬ মধ্যে ও ৩/৮ গতে ৪/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ১/৪ গতে ২/৫০ মধ্যে। কালবেলা ৭/৩৮ মধ্যে ও ১২/৫৫ গতে ২/১৪ মধ্যে ও ৩/৩৩ গতে ৪/৫২ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩৩ মধ্যে ও ৪/৩৮ গতে ৬/২০ মধ্যে।
১৮ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
জার্মানিতে বড়দিনের বাজারে গাড়ি চালিয়ে তাণ্ডব: জখমদের মধ্যে রয়েছেন সাতজন ভারতীয়

11:29:00 PM

সন্ধ্যা থিয়েটারে পদপিষ্টের ঘটনা: আমার চরিত্রহনন করা হয়েছে, বললেন অল্লু অর্জুন
হায়দরাবাদের সন্ধ্যা থিয়েটারে ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’ সিনেমার প্রিমিয়ারে পদপিষ্টের ...বিশদ

11:10:07 PM

ব্রাজিলে ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ, হত ৩০

10:41:00 PM

রাজাহুলিতে বৃদ্ধ খুনের অভিযোগে আরও দু’জনকে মালদহের কালিয়াচক থেকে গ্রেপ্তার করল এনজেপি থানার পুলিস

10:20:00 PM

ঝাড়গ্রাম শহরে অজানা জন্তুর আক্রমণে গোরুর মৃত্যু, মিলেছে পায়ের ছাপ

10:03:00 PM

মোহালিতে নির্মীয়মান বিল্ডিং বিপর্যয়: উদ্ধারকাজে যোগ দিল ভারতীয় সেনা

09:50:00 PM