Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মৌলবাদ: চক্রান্ত রুখছেন রাজ্যের মুসলিমরাই
তন্ময় মল্লিক

‘কোটা’র বিরুদ্ধে আন্দোলনকে সামনে রেখেই বাংলাদেশে ঘটেছিল তথাকথিত ‘গণঅভ্যুত্থান’। কোটাপ্রথার বিলোপই যদি লক্ষ্য হতো, তাহলে ৫আগস্ট  আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটত। শেখ হাসিনা দেশত্যাগী হয়েছেন। কিন্তু দেশে শান্তি ফেরেনি। কারণ বাংলাদেশের মৌলবাদীরা শান্তি চাইছেন না। তাঁরা শুধু বাংলাদেশেই নয়, আমাদের দেশেও অশান্তির আগুন জ্বালাতে চাইছেন। বাংলাদেশে বসে গরম গরম উস্কানিমূলক ভাষণ দিয়ে বাজার গরম করতে চাইছেন। কিন্তু আমাদের রাজ্যের মুসলিম ধর্মগুরু থেকে রাজনৈতিক নেতা, কেউই প্ররোচনায় পা দিচ্ছেন না। উল্টে বুঝিয়ে দিচ্ছেন, তাঁদের কাছে ধর্ম, বর্ণ, ভাষা, রাজনৈতিক মত, সবকিছুর ঊর্ধ্বে হল দেশ। বাংলাকে এই শিক্ষাই দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ-নজরুল। 
বাংলাদেশে তাণ্ডবলীলা চালানোর পিছনে যে মৌলবাদীরা রয়েছেন, তাতে কোনও সংশয় নেই। তবে অনেকেই বলছেন, এর পিছনে আছে ইউনুস সরকারের মদত। কেন এই অভিযোগ? হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের প্রথম কারণ ছিল কোটা প্রথার বিলোপ। আন্দোলনকারীদের সেই দাবি মেনে নিয়েছিলেন হাসিনা। তাতেও আন্দোলন থামেনি। বলা হয়েছিল, ‘স্বৈরাচারী’ হাসিনা পদত্যাগ করলেই বাংলাদেশের মানুষের যাবতীয় দুঃখ, দুর্দশা ঘুচবে। বাংলা তখনই হবে ‘সোনার বাংলা’। 
হাসিনা দেশ ছাড়লেন। তৈরি হল তদারকি সরকার। সেই সরকারের সমন্বয়ক হলেন বাংলাদেশের তথাকথিত ‘তরুণতুর্কি’ ছাত্রনেতারা। আর সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হলেন মহম্মদ ইউনুস। নোবেলজয়ী এবং তাঁর সরকারকে ঘিরে আন্দোলনকারীদের আবেগ তখন আকাশ ছুঁয়েছে। ইউনুস সাহেবের গুণকীর্তনে মশগুল বাংলাদেশ। তাঁর পুরস্কার প্রাপ্তির লম্বা লিস্ট, আর ভালো করে গোঁফ না বেরনো সমন্বয়কদের ‘দীপ্ত পদচারণা’র লাইভ টেলিকাস্টের খণ্ডচিত্রে উপচে পড়ল সোশ্যাল মিডিয়ার পেজ। বাংলাদেশ তখন সোনার বাংলার স্বপ্নে বিভোর। 
তারপর দিন যত যাচ্ছে, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ তত ভালো করে বুঝতে পারছে, টকের জ্বালায় পালিয়ে গিয়ে তারা বাসাটা বেঁধেছে তেঁতুলতলায়। তদারকি সরকার গঠনের পর দিন যাচ্ছে, মাস যাচ্ছে, কিন্তু বাংলাদেশের হাল ফিরছে না। উন্নতি তো দূরের কথা, অবনতিই হচ্ছে দিন দিন। বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। যে চাকরির গাজর ঝুলিয়ে হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র-যুবদের খ্যাপানো হয়েছিল, তাতেই জল ঢেলে দিয়েছেন ইউনুস সাহেব। তাঁর কথায়, ‘চাকরি হল দাসত্ব। মানুষ হচ্ছে উদ্যোক্তা।’
মোহভঙ্গ হচ্ছে বাংলাদেশের ছাত্র-যুবর। শুরু হয়েছে তদারকি সরকারের সমালোচনা। পরিস্থিতি বদলাচ্ছে বুঝতে পেরে হাসিনাপন্থীরা তদারকি সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামলেন। অনেকেই বলতে লাগলেন, এর চেয়ে হাসিনাই ভালো ছিলেন। হাসিনাও কখনও ভিডিও, কখনও অডিও বার্তা দিয়ে আওয়ামি লিগের সদস্যদের চাঙ্গা করতে লাগলেন। তাতে সেদেশের হিন্দুরাও পেলেন অক্সিজেন। অত্যাচারের প্রতিবাদে পথে নামলেন হিন্দুরাও। দিকে দিকে শুরু হল প্রতিবাদ। সেই সব মিছিল আড়ে ও বহরে বাড়তে লাগল। পথেঘাটে শুরু হল দুই সরকারের তুল্যমূল্য বিচার। সেসব থেকে নজর ঘোরাতেই আঁটা হল বিভাজনের ফন্দি। শুরু হল হিন্দুদের উপর মৌলবাদীদের লাগামছাড়া অত্যাচার।
ইউনুস সাহেব খুব ভালো করেই জানেন, সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচারের ‘লাইসেন্স’টা দিলে এক ঢিলে দু’টি পাখি মরবে। কেউ সরকারের দিকে আঙুল তোলার সাহস পাবে না। আবার মৌলবাদীরাও মেতে থাকবে লুটপাট, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের লীলায়। আর যতদিন এই উত্তেজনা জিইয়ে রাখা যাবে ততদিন হাসিনাও দেশে ফেরার কথা ভাবতে পারবেন না। তাই গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের মুখ পুড়লেও ইউনুসের কুর্সি নিয়ে টানাটানি আপাতত বন্ধ। সেই সুযোগে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ ঘাড় থেকে নামিয়ে ফেলার কাজটাও তিনি নিশ্চিন্তে সেরে ফেলতে পারবেন।
ভারতবর্ষের উপর বাংলাদেশের নির্ভরতা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। ভারত ‘টিট ফর ট্যাট’ নীতি নিলে লড়াই তো দূরের কথা, বাংলাদেশ উঠে দাঁড়ানোর সুযোগটুকুও পাবে না। খাদ্য ও বিদ্যুতের সাপ্লাই লাইন বন্ধ করে দিলে সেদেশে যে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে, তা সামাল দেওয়ার ক্ষমতা নোবেলজয়ীর নেই। তা সত্ত্বেও ভারত এখনই সেই রাস্তায় যাচ্ছে না। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান চাইছে। ভারতবর্ষের এই সহিষ্ণুতাকে বাংলাদেশের মৌলবাদীরা ‘দুর্বলতা’ বলে ভুল করছে। তাই তাঁদের কেউ বাংলা, বিহার, ওড়িশা দখলের হুঙ্কার ছাড়ছেন, কেউ দিচ্ছেন আগরতলা অভিযানের ডাক। 
বাংলাদেশে নির্বাচন কবে হবে, তার ঠিক নেই। তবে, রাজনৈতিক জমি তৈরির কাজটা শুরু করে দিয়েছে বিএনপি। তারা রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করে যুদ্ধের হুমকি দিয়েছে। বাংলাদেশ সামরিক শক্তিতে কতটা পিছিয়ে আছে সেটা বোঝা যাচ্ছে, ভারতের মোকাবিলা করার জন্য নাগরিকদের বন্দুক চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়ার ঘোষণায়। বিএনপি নেতৃত্ব নাকি অ্যাকশনের জন্য প্রস্তত! তাই তারা কথা বলে সময় নষ্ট করতে চাইছে না। তবে সৌভাগ্যের বিষয় হল, বাংলাদেশের মৌলবাদীদের ও বিএনপি নেতৃত্বের হুঙ্কারকে এদেশের কেউই তেমন সিরিয়াসলি নিচ্ছেন না। বেশিরভাগ মানুষ হাসি মস্করা করেই উড়িয়ে দিচ্ছে। অবশ্য মৌলবাদীদের হুঙ্কারের যোগ্য জবাব দিচ্ছেন এ রা঩জ্যের মুসলিম ধর্মীয় গুরু ও রাজনৈতিক নেতারাই।
ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ, পাকিস্তান বা অন্য কোনও দেশ ভারত দখল তো দূরে থাক, ভারতের একমুঠো মাটিও যদি নিতে আসে তাহলে হাত কেটে দেব।’ ভরতপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর তো বাংলাদেশের মৌলবাদীদের হুঙ্কারকে ‘পাগলের প্রলাপ’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর কথায়, বাংলাদেশের মোকাবিলা করার জন্য ভারতবর্ষ বা বাংলার প্রয়োজন হবে না, মুর্শিদাবাদ জেলা একাই কাফি। এভাবেই রাজ্যের সমস্ত মুসলিম নেতা বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের কাছে দেশের স্বার্থ ও সার্বভৌমত্ব সবার আগে। আর তাতেই বাংলাদেশি মৌলবাদীদের ভারতে অশান্তি পাকানোর চক্রান্ত মাঠে মারা যাচ্ছে।
যে কোনও আন্দোলন বা বড় ঘটনার মূলত দু’রকমের প্রভাব থাকে। এক, আর্থ-সামাজিক। দুই, রাজনৈতিক। সাধারণভাবে সেই প্রভাব ভৌগোলিক সীমানার মধ্যেই আবদ্ধ থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির প্রভাব ভারতবর্ষেও পড়ছে। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও অসমে। তবে, সবচেয়ে বেশি বাংলায়। 
বছর খানেক পরেই এরাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। সন্দেশখালি, আর জি কর ইস্যু আগেই বিরোধীদের হাতছাড়া হয়েছে। তাই বাংলাদেশের ঘটনা বঙ্গ বিজেপির কাছে পড়ে পাওয়া আঠারো আনার সমান। বাংলাদেশে মৌলবাদীরা হিন্দুদের উপর অত্যাচার শুরু করতেই বঙ্গ বিজেপি মেরুকরণের রাজনীতি করতে নেমে পড়েছে। গরম গরম ভাষণ দিয়ে বিভাজনের রাস্তা প্রশস্ত করতে চাইছে। কিন্তু পারছে না। কারণ এটা রবীন্দ্রনাথ-নজরুলের মাটি। নজরুল ইসলাম লিখেছিলেন, ‘মোরা একই বৃন্তে দু’টি কুসুম হিন্দু- মুসলমান। মুসলিম তার নয়ন-মণি, হিন্দু তাহার প্রাণ’। তাই বিভেদ নয়, ঐক্যই আমাদের মূলমন্ত্র। আর রবীন্দ্রনাথ আমাদের সতর্ক করে বলেছিলেন, ‘ধর্মের বেশে মোহ যারে এসে ধরে/ অন্ধ সে জন মারে আর শুধু মরে।’ তাই আমরা সংঘাত পরিহার করে থাকি পাশাপাশি।
তাঁদের শিখিয়ে যাওয়া মানবতার গান আজও গেয়ে চলেছে বাংলা। তাই তো পশ্চিম মেদিনীপুরের পাথরা গ্রামের মন্দির সংরক্ষণের জন্য দিনপাত করে চলেছেন ইয়াসিন পাঠান। মুসলিম হয়েও প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরে ভগ্নপ্রায় মন্দিরগুলিকে রক্ষার ব্যবস্থা করেছেন। তাঁরই প্রচেষ্টায় এই গ্রামের প্রাচীন মন্দিরগুলির দায়িত্ব নিয়েছে ভারত সরকারের ভূ-তত্ত্ব বিভাগ।
এই বাংলার মাটিতে আজও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছেন আসানসোলের ইমাম ইমদাদুল্লাহ রশিদ। ২০১৮ সালের দাঙ্গায় তিনি ১৬ বছরের ছেলে সিবতুল্লাহকে হারিয়ে ছিলেন। আসানসোলের তখন অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। প্রিয় সন্তানকে হারিয়েও ইমদাদুল্লাহ সাহেব সেদিন শান্তিই চেয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘কোনও প্রতিহিংসা নয়। তাহলে আমি আসানসোল ছেড়ে চলে যাব।’ তাঁর কথা নতমস্তকে মেনে নিয়েছিল আসানসোল। ফিরেছিল শান্তি। তিনি আরও বলেছিলেন, ‘ইসলাম মানে শান্তি। আমরা শান্তিতে থাকলে কোনও অশুভ শক্তি কিছু করতে পারবে না।’
বাংলাদেশের বুকে দাঁড়িয়ে যে সমস্ত মৌলবাদী যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়ে অশান্তির আগুন জ্বালাতে চাইছেন তাঁদের একটা কথা বলতে চাই, আপনারা চেষ্টা চালিয়ে যান। কিন্তু হাজারো উস্কানি দিয়েও সফল হবেন না। কারণ আমাদের সঙ্গে আছেন ইয়াসিন পাঠান, ইমদাদুল্লাহরা। আপনাদের সমস্ত ঘৃণ্য চক্রান্ত ভেস্তে দেওয়ার জন্য তাঁরাই যথেষ্ট।
14th  December, 2024
এরপরেও বিজেপি গরিবের ভোট চাইবে?
তন্ময় মল্লিক

বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা দেওয়ামাত্র বিরোধীরা একযোগে সমালোচনা শুরু করে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ‘ছাব্বিশের ভোটের জন্য এসব করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাছের তেলে মাছ ভাজছেন। কারণ এটা সাধারণ মানুষের করের টাকা।’ বিরোধীরা একেবারে হক কথা বলছেন। বিশদ

জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে অথচ অপুষ্টি কমছে না
সমৃদ্ধ দত্ত

সরকার জনসংখ্যা নীতি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি যাতে কমে যায় সেই কঠোর নীতি কি নেওয়া দরকার? নাকি জনসংখ্যা নীতির প্রয়োজন নেই? এই জল্পনা এখন সরকারের অন্দরে অন্যতম প্রধান একটি বিতর্ক। সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু যে রাষ্ট্র আর কিছু বছরের মধ্যে নাকি তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে সেখানে এত শিশুমৃত্যু কেন? এত অপুষ্টি কেন?
বিশদ

20th  December, 2024
আল-কায়েদা জঙ্গি জোলানি এখন হিরো
মৃণালকান্তি দাস

প্রচণ্ড গরমের এক দুপুর। ইরাক আর সিরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে দু’টি পিকআপ ভ্যান। স্থানীয়রা জানত, এসব গাড়ি কাদের এবং কী উদ্দেশ্যে এখানে চলাচল করে। সিরিয়ার বাজার থেকে অস্ত্র কিনে এই রুট দিয়ে সেগুলি ইরাকে নিয়ে যায় আল-কায়েদা। বিশদ

19th  December, 2024
পাকিস্তান নয়, ভারতই পাশে থাকবে
হারাধন চৌধুরী

অনেক সংশয় কাটিয়ে সোমবার ঢাকাতেও পালিত হল ‘বিজয় দিবস’। এমনকী, কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ামের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেও যোগ দিল বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। ‌গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হয় এবং ৮ আগস্ট বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয় মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিশদ

18th  December, 2024
সিবিআইকে নিয়ে গদগদ হওয়ার কিছু আছে কি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

১) ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্ন। কল্যাণী এইমস এবং দিল্লির গঙ্গারামপুর হাসপাতালে পাঠানোর পরও কিন্তু খুঁত মিলল না। বিশদ

17th  December, 2024
প্রত্যাশিত ভারত মোদির ‘বিকশিত’ ভারত নয়
পি চিদম্বরম

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব—দু’জনেই শহুরে, সুশিক্ষিত ও মৃদুভাষী মানুষ। এস জয়শঙ্কর ফরেন সার্ভিসে একটি উল্লেখযোগ্য কর্মজীবন কাটিয়েছেন। সেখানে তাঁকে একজন উদারপন্থী ব্যক্তি হিসেবেই বিবেচনা করা হতো।
বিশদ

16th  December, 2024
এক দেশ এক নির্বাচন ও মমতার চ্যালেঞ্জ
হিমাংশু সিংহ

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছাব্বিশে, না তারও আড়াই বছর বাদে উনত্রিশের সম্মিলিত নির্বাচনে, তা ভবিষ্যৎ বলবে। কিন্তু ইতিমধ্যেই রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে জাতীয় ক্ষেত্রেও তাঁকে প্রধান মুখ করে লড়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে পাটনা থেকে মুম্বই, লখনউ থেকে দিল্লির প্রধান বিরোধী দলগুলির মধ্যে। বিশদ

15th  December, 2024
বিজেপি-সখ্যে আঞ্চলিক দলের ক্ষতি হচ্ছে
সমৃদ্ধ দত্ত

বিগত ১০ বছর ধরে দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের শাসক দল বিজেপির সঙ্গে যে আঞ্চলিক দলই সখ্য স্থাপন করেছে, তাদেরই চরম রাজনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। হয় তারা নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক হারিয়েছে অথবা সরকার থেকে পদচ্যুত হয়েছে। কিংবা নিজেদের রাজ্যে গুরুত্বহীন হয়ে গিয়েছে। বিশদ

13th  December, 2024
দেশে এবার ‘কৃষ্ণ বিপ্লব’ আসন্ন!
মৃণালকান্তি দাস

দেশের এক আইআইটি (ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি) অধিকর্তা দাবি করেছিলেন, তিনি নাকি মন্ত্রবলে ‘ভূত ছাড়াতে’ পারেন। বেশ কয়েক বছর আগে একটি পরিবারকে তিনি ‘অশুভ আত্মার কবল থেকে মুক্ত’ করেছিলেন বলে দাবি করেন প্রযুক্তিবিদ্যার ওই বিশেষজ্ঞ। বিশদ

12th  December, 2024
কাজ ও প্রচারের নিরিখে মোদি বনাম মনমোহন
সন্দীপন বিশ্বাস

আপনারে বড় বলে, বড় সেই নয়, / লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়। কোন বালক বয়সে পড়া ‘বড় কে’ নামের এই কবিতার লাইনটি আজও মানুষ ভুলে যাননি। অনেকে সেই কবির নামই জানেন না বা ভুলে গিয়েছেন, কিন্তু লাইন দু’টির মধ্যে যে ঘোর বাস্তবতা রয়েছে, সেটা আমরা মাঝে মাঝেই টের পাই। বিশদ

11th  December, 2024
হাতে টাকা নেই, সোনা বন্ধকই ভরসা ভারতের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের বাজারে সোনার দাম কত? প্রতি ১০ গ্রামে ৭৮ হাজার ৪০০ টাকার আশপাশে। চলতি মাসের হিসেব ধরলে একবারই এই দর নেমেছিল ৭১ হাজারে। আর গোটা বছরের গড়ও সেটাই। অথচ বছর দুয়েক আগেও অঙ্কটা এমন ছিল না। বিশদ

10th  December, 2024
মানবাধিকার দিবস: পূর্ববঙ্গের সাতকাহন
জিষ্ণু বসু

১৯৪৮ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘে যখন ১০ ডিসেম্বর তারিখটিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছিল, ঠিক তখন সারা পৃথিবীর মধ্যে সম্ভবত সবথেকে বেশি মানুষের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছিল পূর্ববঙ্গে। সম্পূর্ণ পূর্ববঙ্গ তখন সংখ্যালঘুদের রক্তে প্লাবিত। বিশদ

10th  December, 2024
একনজরে
সম্প্রতি শহরে তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিসের নতুন ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের এই সাফল্যকে সামনে এনে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র দাবি করলেন, বাংলায় পড়াশোনোর বহর বাড়ছে। সেই কারণেই মেধার বিস্তৃতি সম্ভব হচ্ছে। ...

শুক্রবার সকালে স্কুটারের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক যুবকের। মৃতের নাম মুজাফফর বিশ্বাস (৪২)। ঘটনাটি ঘটে দেগঙ্গার কামদেবকাটিতে। পুলিস রক্তাক্ত অবস্থায় স্কুটার চালককে উদ্ধার করে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলেও শেষরক্ষা হয়নি। ...

মাদক কারবার থেকে চোরাচালান। মানব পাচার থেকে জঙ্গি কার্যকলাপ। সবমিলিয়ে ক্রমশ স্পর্শকাতর নেপাল ও ভুটান সীমান্ত। এজন্যই ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি চলছে সংশ্লিষ্ট দুই সীমান্তে। একইসঙ্গে ...

শুক্রবার ভোরে কালীগঞ্জের বড়চাঁদঘর পঞ্চায়েতের তেজনগর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি মোবাইল দোকানে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। দোকানের শাটার ভেঙে দুষ্কৃতীরা লক্ষাধিক টাকার মোবাইল চুরি করে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮০১: শিক্ষাবিদ ও সমাজসংস্কারক প্রসন্নকুমার ঠাকুরের জন্ম
১৯১১: প্রতিষ্ঠিত হল সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ইন্ডিয়া
১৯৫৯: ক্রিকেটার কৃষ্ণমাচারী শ্রীকান্তের জন্ম
১৯৬৩: অভিনেতা গোবিন্দার জন্ম
১৯৯৮: নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে ‘দেশিকোত্তম’ দিল বিশ্বভারতী
২০১২: পরিচালক যীশু দাশগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.১৩ টাকা ৮৫.৮৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২৭ টাকা ১০৭.৯৮ টাকা
ইউরো ৮৬.৪২ টাকা ৮৯.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,০০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৬০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৭,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৭,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী ১৫/১৫, দিবা ১২/২২। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র ৫৯/৫৫ শেষ রাত্রি ৬/১৪। সূর্যোদয় ৬/১৬/১৭, সূর্যাস্ত ৪/৫৩/১১। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৭/৪২ গতে ৯/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৭ গতে ২/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৩/২৯ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৫৬ গতে ২/৪৩ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৩ গতে ২/১৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৩ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৬ গতে উদয়াবধি। 
৫ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী দিবা ১/৫৮। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/১৯, সূর্যাস্ত ৪/৫২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে ও ৭/৪৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে ও ১২/৫ গতে ২/৫৬ মধ্যে ও ৩/৮ গতে ৪/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ১/৪ গতে ২/৫০ মধ্যে। কালবেলা ৭/৩৮ মধ্যে ও ১২/৫৫ গতে ২/১৪ মধ্যে ও ৩/৩৩ গতে ৪/৫২ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩৩ মধ্যে ও ৪/৩৮ গতে ৬/২০ মধ্যে।
১৮ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
জার্মানিতে বড়দিনের বাজারে গাড়ি চালিয়ে তাণ্ডব: জখমদের মধ্যে রয়েছেন সাতজন ভারতীয়

11:29:00 PM

সন্ধ্যা থিয়েটারে পদপিষ্টের ঘটনা: আমার চরিত্রহনন করা হয়েছে, বললেন অল্লু অর্জুন
হায়দরাবাদের সন্ধ্যা থিয়েটারে ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’ সিনেমার প্রিমিয়ারে পদপিষ্টের ...বিশদ

11:10:07 PM

ব্রাজিলে ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ, হত ৩০

10:41:00 PM

রাজাহুলিতে বৃদ্ধ খুনের অভিযোগে আরও দু’জনকে মালদহের কালিয়াচক থেকে গ্রেপ্তার করল এনজেপি থানার পুলিস

10:20:00 PM

ঝাড়গ্রাম শহরে অজানা জন্তুর আক্রমণে গোরুর মৃত্যু, মিলেছে পায়ের ছাপ

10:03:00 PM

মোহালিতে নির্মীয়মান বিল্ডিং বিপর্যয়: উদ্ধারকাজে যোগ দিল ভারতীয় সেনা

09:50:00 PM