Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

কানাডা এখন আর এক পাকিস্তান!
মৃণালকান্তি দাস

কানাডার ব্রাম্পটন শহরের হিন্দু সভা মন্দিরটি রয়েছে এক ব্যস্ত সড়কের পাশে। এখানকার বহু বাড়ি এখনও দীপাবলির আলোকসজ্জায় সজ্জিত। মন্দিরের পার্কিং লটের উপর দাঁড়িয়ে ৫৫ ফুট উচ্চতার হনুমান মূর্তিটি সর্বক্ষণ পুণ্যার্থীদের দিকে তাকিয়ে। এখান থেকেই কয়েক মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত গুরুদ্বার দশমেশ দরবার নামে শিখ উপাসনালয়টির পাশেই দোকানের সারি। সেখানে শাড়ির দোকান থেকে শুরু করে ভারতীয় রেস্তরাঁ, কী নেই। এইসব দোকান আপনাকে ব্রাম্পটন শহরে ভারতীয়দের উপস্থিতি জানান দেয়।
এখন সেই হিন্দু মন্দিরের সামনে দিনভর নিরাপত্তা রক্ষীদের ব্যস্ত চাউনি। না দেখলে হয়তো আন্দাজই করতে পারবেন না, এই শান্ত আবাসিক এলাকাটি সম্প্রতি হয়ে উঠেছিল অগ্নিগর্ভ। ৩ নভেম্বর শিখ অ্যাক্টিভিস্ট ও জাতীয়তাবাদী বিরোধীদের মধ্যে হিংস্র সংঘর্ষে আগুন জ্বলে উঠেছিল টরেন্টোর ব্রাম্পটন শহর। কী ঘটেছিল সেদিন? ‘হিন্দু সভা মন্দিরে’ পুজো দিতে হাজির হয়েছিলেন বেশ কিছু ভক্ত। সেই সময় ওই মন্দিরের সামনে ভারতে ১৯৮৪ সালের শিখ-বিরোধী হিংসার প্রতিবাদে অবস্থানে বসেছিলেন খলিস্তানপন্থী কয়েকজন। তাঁদের হাতে ছিল খলিস্তানপন্থী সংগঠনের পতাকা, লাঠি। অভিযোগ, হিন্দু ভক্তরা মন্দিরে ঢোকার চেষ্টা করলে তাঁদের উপরে চড়াও হয় খলিস্তানপন্থী জনতা। মারধরের হাত থেকে মহিলা এবং শিশুরাও রেহাই পায়নি বলে অভিযোগ। ভিডিওতে দেখা যায়, একদল এলোপাথাড়ি ইট ছুড়ে মারছে, গাড়িতে লাথি মারছে এবং লাঠি বা পতাকার খুঁটির সাহায্যে একে অপরকে আঘাত করছে। এর মধ্যে কয়েকজনের হাতে ছিল ভারতীয় পতাকা এবং অন্যদের হাতে খালিস্তানের স্বাধীনতাকামীদের উজ্জ্বল হলুদ রংযুক্ত পতাকা।
মুখে যাই বলুন, শুরু থেকে আগুনে ঘি ঢেলেছিলেন কানাডার পুলিস ও জাস্টিন ট্রুডোর সরকার। গত ১৩ অক্টোবর কানাডা সরকারের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, খালিস্তানপন্থী হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে যাঁদের স্বার্থ জড়িত, সেই তালিকায় কানাডায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার সঞ্জয়কুমার ভার্মা রয়েছেন। এরপরেই সঞ্জয়-সহ কয়েকজন কূটনীতিককে দেশে ফেরত আনা হয়। পাশাপাশি, ভারতের বিদেশ মন্ত্রক ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করে বহিষ্কার করে কানাডার কয়েকজন কূটনীতিককে। কূটনৈতিক লড়াই এখানেই থেমে থাকেনি। সম্প্রতি মার্কিন সংবাদপত্র ওয়াশিংটন পোস্টে কানাডার মন্ত্রী ডেভিড মরিসনের মন্তব্য উদ্ধৃত করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। সেই প্রতিবেদন থেকেই জানা যায়, কানাডার মন্ত্রী ডেভিড মরিসন সংশ্লিষ্ট পার্লামেন্ট কমিটিকে জানিয়েছিলেন, নরেন্দ্র মোদি সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশে কানাডায় খালিস্তানিদের উপর হামলা এবং ভীতি প্রদর্শনের ঘটনা ঘটছে। যার প্রেক্ষিতে জাস্টিন ট্রুডো বলেছিলেন, ‘কানাডার সার্বভৌমত্বকে ভারত লঙ্ঘন করেছে। এটা তাদের বড় ভুল।’ ট্রুডো সরকারের এই অভিযোগকে, ‘রাজনৈতিক লাভের জন্য ভারতকে অপমান করার একটি ইচ্ছাকৃত অপপ্রচার’ বলে জানিয়েছিল সাউথ ব্লক। নয়াদিল্লির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও কানাডা সরকার নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ভারতের জড়িত থাকার কোনও প্রমাণ পেশ করেনি।
ভারতের অভিযোগ, ১৯৯৬ সালে হরদীপ সিং নিজ্জর পাসপোর্ট জালিয়াতি করে কানাডায় গিয়েছিলেন। সেই সময়ে ট্রাকচালক হিসেবে কাজ করতেন তিনি। পাকিস্তানে অস্ত্র ও বিস্ফোরক তৈরির প্রশিক্ষণও নিয়েছিলেন। পাঞ্জাবের জলন্ধরের বাসিন্দা নিজ্জর এরপরেই গুরনেক সিংয়ের ছত্রছায়ায় ক্রমশ আন্তর্জাতিক দুনিয়ার কুখ্যাত জগতে পরিচিতি তৈরি করেন। ১৯৮০ থেকে ’৯০-এর মধ্যে জঙ্গি সংগঠন খালিস্তান কমান্ডো ফোর্সের সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। ২০১২ সাল থেকে খালিস্তান টাইগার ফোর্সের প্রধান জগতার সিং তারার ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। জগতারের সূত্রেই নিজ্জরের পাক-যোগ গভীর হয়। পাকিস্তান থেকে ফিরে মাদক ও চোরাচালানে প্রাপ্ত অর্থ সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপে ব্যবহার করতে শুরু করেন। জগতারের সঙ্গে যুক্ত হয়েই পাঞ্জাবে নাশকতামূলক কার্যকলাপের ছক কষেছিলেন হরদীপ। কানাডায় নিজস্ব সংগঠন তৈরি করেন। ওই দলেরই সদস্য ছিলেন মনজিৎ সিং ধালিওয়াল, সর্বজিৎ সিং, অনুপবীর সিং, দর্শন সিংয়েরা। ২০১৫ সালে হরদীপের দলের এই সদস্যরা কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় অস্ত্র প্রশিক্ষণ নেন। ২০১৪ সালে হরিয়ানার সিরসায় ডেরা সাচ্চা সউদায় হামলার ছক কষেছিলেন। নিজে ভারতে ঢুকতে না পারায় তার সংগঠনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রাক্তন ডিজিপি মহম্মদ ইজহার আলমকে নিশানা করার জন্য। এহেন কট্টর খালিস্তানি নেতা নিজ্জরকে ২০২০ সালে ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলে ঘোষণা করেছিল ভারত। তিন বছর পর ২০২৩ সালের ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সারের একটি গুরুদ্বারের সামনে খুন হন নিজ্জর। এই হত্যাকাণ্ডে ভারতের ‘ভূমিকা’ রয়েছে বলে অভিযোগ তোলা শুরু করে কানাডার ট্রুডো সরকার।
ট্রুডোকে একটিই প্রশ্ন করার— বিভিন্ন রাজনৈতিক ‘লবি’র চাপে অপ্রমাণিত সংবাদের ভিত্তিতে এত বড় অভিযোগ কী করে তুলল কানাডা সরকার? বুঝতে কি অসুবিধা আছে যে, সাততাড়াতাড়ি কূটনৈতিক রীতিনীতি লঙ্ঘন করে এই আক্রমণাত্মক বার্তা আসলে নিজের দেশে খালিস্তানি ভাবাপন্ন ভারতীয় বংশোদ্ভূত অভিবাসী সমাজের রাজনৈতিক তাড়নার ফল? সরাসরি ভারতের কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে নিশানা করে যে কূটনৈতিক সীমারেখা লঙ্ঘন করেছিল কানাডা, তার ফলেই আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল ব্রাম্পটন শহরে। শিখস ফর জাস্টিস-এর (এসএফজে) নেতা ইন্দ্রজিৎ সিং গোসাল স্বীকার করেছিলেন, প্রতিবাদ ভারত সরকারের বিরুদ্ধে ছিল এবং হিন্দু ধর্মের বিরুদ্ধে নয়। ৩৫ বছরের ওই ব্যক্তি ব্রাম্পটনেরই বাসিন্দা। সংঘর্ষের ফুটেজ দেখে ঘটনার পাঁচদিন পর তাঁকেই গ্রেপ্তার করে কানাডা পুলিস। অভিযোগ, বিক্ষোভের উদ্যোক্তা এই ইন্দ্রজিৎ সিং গোসাল।
এও এক যুদ্ধ। কূটনৈতিক যুদ্ধ। এমন যুদ্ধ ভারত কোনও পশ্চিমি দেশের সঙ্গে সচরাচর লড়ে না। এই মুহূর্তে কানাডা-ভারত যে উত্তপ্ত দ্বৈরথে অবতীর্ণ, আজ নয়, প্রায় এক বছর ধরে তার বীজ ছড়ানো চলছিল। এখন ক্ষেত্র কেবল প্রস্তুত নয়— অতি উর্বর, তপ্তশিখানলে পুড়ে চলেছে দুই দেশের সম্পর্ক। ভারতের বিদেশ মন্ত্রক থেকে বার্তা গিয়েছে: এই অত্যন্ত অবাঞ্ছিত পরিস্থিতির দায় সর্বতোভাবে প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোকেই নিতে হবে। কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক গবেষক পরিতোষ কুমারের কথায়, ‘মোদি সরকারের কারণে বিশ্বব্যাপী হিন্দু জাতীয়তাবাদীরা আরও সাহসী হয়েছে। যা কানাডায় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্ণবৈষম্যের শিকার কিছু প্রবাসী জনগণ এই মতাদর্শের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন।’ 
আসলে কানাডা আর এক পাকিস্তান হয়ে উঠছে। বড় সংখ্যক শিখ জঙ্গি এখন কানাডা সরকারের আশ্রয়ে। সেখান থেকে অর্থ এবং আরও নানা ভাবে ভারতে খালিস্তানিদের মদত জুগিয়ে যাচ্ছে। বারবার ট্রুডো সরকারকে অনুরোধ করা সত্ত্বেও ওই জঙ্গিদের ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি। গণতান্ত্রিক দেশ কানাডায় যে কোনও ব্যক্তি তাঁর নিজের মত ও পথ প্রচার করতে পারেন। এমনকি অন্য রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেও হয়তো তা করতে পারেন। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নীতি লঙ্ঘন করে এই ধারাকে থামানো হয়তো সম্ভব নয়। কিন্তু তাই বলে শুধুমাত্র ভোটব্যাঙ্কের জন্য ভারত-বিরোধী অপপ্রচারে সরকারি স্বীকৃতির সিলমোহর দেওয়া যায়? ট্রুডোর মনে রাখা উচিত, তিনি কোনও ক্লাবের নেতা নন। একটি বৃহৎ, অতি গুরুত্বপূর্ণ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রধান তিনি— যিনি কথা বলছেন অন্য একটি বৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ, রাজনৈতিক স্বার্থে সে দেশের বিস্তীর্ণ অভিবাসী শিখ সমাজের সমর্থন আদায় করতে চান ট্রুডো। সেই সমাজের মধ্যে তীব্র ভাবে প্রবহমান খালিস্তানি প্রভাবকে উস্কানি দিতে চান। কিন্তু তাঁর ক্রমশ উচ্চগ্রামে যাওয়া ঝাঁঝালো ভারত-বিরোধী আক্রমণ এবং আমেরিকা-সহ নিরাপত্তা জোট ‘ফাইভ আইজ’কেও নিজের পক্ষে টানার কূটনৈতিক প্রয়াস কী ভাবে প্রতিহত করা যায়, তা নিয়ে উদ্বেগে সাউথ ব্লক। বাস্তবিক, পরিস্থিতি এখন যেমন, তাতে ভারত বলতেই পারে, অভিযোগ প্রমাণের মতো নথিপত্র না দেখাতে পারলে কানাডার আন্তর্জাতিক মঞ্চে জবাবদিহি করা উচিত।
আসলে কানাডায় নির্বাচন আগামী বছর। পাঞ্জাবের পরে কানাডাতেই সবচেয়ে বেশি শিখের বাস। যদিও সংখ্যায় তাঁরা কানাডার জনসংখ্যার মাত্র দুই শতাংশ, বা সাত লাখ সত্তর হাজারের কাছাকাছি। তবে দুই শতাংশ ভোটই কানাডার ঘরোয়া রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই অঙ্ক মাথায় রেখেই ট্রুডো অত্যন্ত বড় ঝুঁকি নিয়ে এক জুয়াখেলায় মেতেছেন। ট্রুডো জানেন, কানাডাবাসীর কাছে তাঁর আবেদন ক্রমাগত কমছে। বিগত দু’বছরে চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রীর পদ হারানোর বিপদও টের পেয়েছেন। কানাডার কিছু সংগঠন ট্রুডোকেই অভিযুক্ত করে বলেছেন, নাগরিকদের মধ্যে ক্রমশ কমে যাওয়া রেটিংয়ের থেকে নজর ঘোরানোর জন্যে তিনি কিছু ‘অপ্রমাণিত গোয়েন্দা তথ্য’ সর্বসমক্ষে এনেছেন। কানাডার প্রধান রাজনৈতিক বিরোধী নেতা পিয়ের পয়লেভ্রে যেমন বারবার বলছেন, ‘কানাডা ভেঙে গিয়েছে’। এই বার্তার প্রতি কানাডার মানুষের সমর্থন ক্রমশ বাড়ছে। পশ্চিমি দুনিয়ার বিশেষজ্ঞরাও একমত, জি-২০ দলের মধ্যে কানাডার প্রভাব দ্রুত কমছে।
ট্রুডো যতই চেঁচান না কেন, এই দুনিয়ায় এমন হত্যাকাণ্ড ক্রমশ স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। উদাহরণ— ইজরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হাতে একের পর এক ইরানের পারমাণবিক গবেষকদের হত্যা, কিংবা পাকিস্তানের মাটিতে নেমে আমেরিকার ওসামা বিন-লাদেন হত্যা। আলেকজান্ডার লিটভিনেকো-র মতো এক ভিন্নমত পোষণকারীকে বিদেশের মাটিতে হত্যা করেছে রাশিয়াও। হয়তো ভারতও এখন মোসাদ কিংবা সিআইএ-র মতো সন্দেহভাজন উগ্রপন্থীদের খতম করবার পদ্ধতি গ্রহণ করছে। অনেকেই বলবেন, এসবই আন্তর্জাতিক আইন বিরুদ্ধ কাজ! কিন্তু যে আন্তর্জাতিক আইন দুনিয়ার কোনও দেশই মানে না, সেই আইনের বই ভারতের মুখে ছুড়ে মারলে সাউথ ব্লক কি চুপ করে থাকবে? 
পশ্চিমি দুনিয়ার বহুদেশীয় গুপ্তচর-জোট ‘ফাইভ আইজ’ ভারতের বিরুদ্ধে যত ইচ্ছে প্রমাণ জড়ো করুক না কেন, বছরের পর বছর ধরে দুনিয়াজুড়ে সেই দেশগুলি যে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তারও তো ব্যাখ্যা চাইতে পারে নয়াদিল্লি। আন্তর্জাতিক আদালত তার জন্য তৈরি তো?
28th  November, 2024
ভারত ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

ভারত নামক একটি রাষ্ট্র যার স্বাধীনতার বয়স ৭৭ বছর হয়ে গিয়েছে এবং সভ্যতার বয়স ৫ হাজার বছর। সে এখন কী নিয়ে চর্চা করছে? উত্তরপ্রদেশের সম্ভাল নামক একটি জনপদে জামা মসজিদের নীচে আসলে মন্দির ছিল কি না সেই সমীক্ষা করার উদ্যোগ নিয়েছে, সংঘর্ষ হয়েছে। বিশদ

দ্রুত মুখোশ খসে পড়ছে ইউনুস সরকারের
মৃণালকান্তি দাস 

চোখে সোনালি সানগ্লাস। পরনে সাদা পাঞ্জাবি। হাতে রকেট লঞ্চার। সংবাদপত্রে প্রকাশিত সেই ছবি দেখে আঁতকে উঠেছিল গোটা ভারত উপমহাসাগর। আঁতকে ওঠার যথেষ্ট কারণও ছিল। বিশদ

05th  December, 2024
জুতো উপহার এবং বাংলাদেশের পাকিস্তান প্রেম
হারাধন চৌধুরী

‘তখন ধীরে চামার-কুলপতি/ কহিল এসে ঈষৎ হেসে বৃদ্ধ,/ ‘বলিতে পারি করিলে অনুমতি/ সহজে যাহে মানস হবে সিদ্ধ।/ নিজের দুটি চরণ ঢাকো, তবে/ ধরণী আর ঢাকিতে নাহি হবে।’ 
—জুতা-আবিষ্কার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বিশদ

04th  December, 2024
এবার আজমির! ফল কিন্তু ভয়াবহ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ইদানীংকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিজ কী? মির্জাপুর? নাকি পঞ্চায়েত? এই সিজন ব্যাপারটা বেশ আকর্ষণীয়। আট-দশটা এপিসোড, টানটান উত্তেজনা, দর্শকের অ্যাড্রেনালিন ক্ষরণের উপাদান ছুঁয়ে খিদেটাকে জিইয়ে রাখা। প্রোডিউসার-ডিরেক্টররা জানেন, অপেক্ষা চলবে। পরের সিজনের জন্য।
বিশদ

03rd  December, 2024
মহাযুতির প্রচার: স্রেফ কৌশল, প্রাপ্তি শূন্য
পি চিদম্বরম

১৬ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখ ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এ প্রকাশিত আমার নিবন্ধের শিরোনাম ছিল ‘মহারাষ্ট্র ইজ দ্য প্রাইজ’। বিজেপি, শিবসেনা এবং এনসিপির জোট মহাযুতি নিশ্চিতভাবেই সেই পুরস্কার জিতে নিয়েছে। এই কথা স্বীকার করতে আমার কোনও দ্বিধা নেই। ২৮৮টি আসনের মধ্যে মহাযুতি ২৩০টিতে জয়ী হয়েছে।
বিশদ

02nd  December, 2024
মোদি কি ৫৩ বছর আগের ইন্দিরা হতে পারবেন?
হিমাংশু সিংহ

লৌহমানবী ইন্দিরা গান্ধী কড়া হাতে মোকাবিলা না করলে অর্ধশতাব্দী আগে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির জন্ম হতো কি না তার উত্তর আমাদের অজানা। সেই প্রশ্নের জবাব অধুনা কোনও ৫৬ ইঞ্চি ছাতির লোকদেখানো বীরপুঙ্গবও দিতে পারেন কি না, আপাতত তারই পরীক্ষা। বিশদ

01st  December, 2024
নেগেটিভ ভোটে কিস্তিমাতের দিন শেষ!
তন্ময় মল্লিক

যদি প্রশ্ন করা হয়, এ রাজ্যের সদ্য সমাপ্ত উপ নির্বাচনের ফল কী প্রমাণ করল? প্রায় সকলের বক্তব্য মোটামুটি এরকম হবে, আর জি কর কাণ্ড সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনও প্রভাবই ফেলেনি। বাংলাদেশের ধার করা ‘দফা এক দাবি এক’ স্লোগানে তেমন কেউ সাড়া দেননি। বিশদ

30th  November, 2024
মমতার স্ট্র্যাটেজির কাছে হেরে যাচ্ছে বিরোধীরা
সমৃদ্ধ দত্ত

৭৭ বছরের ইতিহাসে পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত দুবার দুটি আন্দোলনের সঙ্গে সরকার বদলে যাওয়ার সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। ১৯৫৯ সালে শুরু হয়েছিল খাদ্য আন্দোলন। কিন্তু তার প্রভাব পরবর্তী নির্বাচনে বিশেষ পড়েনি। সেই খাদ্য আন্দোলনেরই দ্বিতীয় পর্ব আছড়ে পড়েছিল ১৯৬৬ সালে। বিশদ

29th  November, 2024
গতির উদ্দামতায় বাজে ধ্বংসের গান
সন্দীপন বিশ্বাস

বদলে গিয়েছে তরুণের স্বপ্ন। বহু তরুণের দু’চোখজুড়ে এখন শুধুই উদ্দাম গতির স্বপ্নরেখা। সেই গতির মধ্যে এখন তাঁরা অনুভব করেন, স্পর্ধায় মাথা তোলার ঝুঁকি। একটা বাইক কোম্পানির ট্যাগলাইন ছিল, ‘হাম মে হ্যায় হিরো’। এই হিরো হওয়ার জন্য এখনকার যুবকরা মনে করেন, একটা বাইকই যথেষ্ট। বিশদ

27th  November, 2024
মোদিবিহীন জয়! স্ট্র্যাটেজি বদলাচ্ছে সঙ্ঘ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘রাজীব গান্ধী যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, রাজনীতির কোন অভিজ্ঞতাটা তাঁর ছিল? আমার ছেলে বা ভাইপো যদি রাজনীতিতে আসে, আমি আটকানোর কে? আর আটকাবই বা কেন? কিন্তু এখানে আমার একটাই শর্ত থাকবে—আমার সেনাপতিদের অসম্মান তারা করতে পারবে না।’ বিশদ

26th  November, 2024
আমেরিকায় ট্রাম্পের উত্থানের প্রভাব ভারতে কেমন হবে?
পি চিদম্বরম

 

ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও পোটাস  (প্রেসিডেন্ট অফ দি ইউনাইটেড স্টেটস) নন। আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর দায়িত্বগ্রহণের প্রতীক্ষিত দিনটি এখনও সাত সপ্তাহ দূরে। তার মধ্যেই বিশ্বজুড়ে ‘টক অফ দ্য টাউন’ হল: ট্রাম্পের নয়া জমানার কোন প্রভাব পড়বে—বিশ্বে, আপনার দেশে, আপনার শহরে, আপনার চাকরিতে বা প্রায় সবকিছুতে।
বিশদ

25th  November, 2024
সমবায় আন্দোলনের বিশ্ব নেতৃত্বে ভারত
অমিত শাহ

শুধুমাত্র আর্থিকভাবে উচ্চাকাঙ্ক্ষীদের নয়, সেইসঙ্গে তাঁদের সুসংহত করে অর্থনীতির মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারেও সমবায় ক্ষেত্রের ভূমিকা রয়েছে। 
বিশদ

25th  November, 2024
একনজরে
অণ্ডাল থানার মধুজোর কোলিয়ারিতে পরিত্যক্ত আবাসনে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের উচ্ছেদের নোটিস দিল ইসিএল কর্তৃপক্ষ। ফলে প্রায় ৮০টি পরিবার বিপাকে পড়েছে। ওই পরিবারগুলি বৃহস্পতিবার দক্ষিণখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে পুনর্বাসনের দাবি করেন। ...

পুরসভার চেক জালিয়াতির তদন্ত শেষ হতে না হতেই এবার নতুন চক্রের হদিশ বালুরঘাটে। বিডিও অফিসে পদ ফাঁকা রয়েছে,আজকের মধ্যেই অত্যন্ত গোপনে যোগাযোগ করতে হবে। এমন টোপ ...

‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্প সহ মোদি সরকারের একাধিক নীতির ভূয়সী প্রশংসা করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। জানালেন, ভারতে বিনিয়োগ করা অত্যন্ত লাভজনক। তাই সেখানে উৎপাদন ...

বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা ম্যাচের আগে পইপই করে ছেলেদের বলেছিলেন, জিতেই মাঠ ছাড়তে হবে। কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার জন্য কোনও অঙ্কের অপেক্ষা করা যাবে না। কোচের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মসূত্রে বিদেশ যাত্রার প্রচেষ্টায় সফল হবেন। আয় খারাপ হবে না। বিদ্যা ও দাম্পত্য ক্ষেত্র শুভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস
বিশ্ব মাটি দিবস
১৩৬০: ফ্রান্সের মুদ্রা ফ্রাঁ চালু হয়
১৭৬৬: লন্ডনে প্রথম নিলাম ডাক শুরু হয়
১৮৫৪: রিভলবিং থিয়েটার চেয়ারের পেটেন্ট করেন অ্যারোন অ্যালেন
১৮৭৯: স্বয়ংক্রিয় টেলিফোন সুইচিং সিস্টেম প্রথম পেটেন্ট হয়
১৯০১: মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক, নির্দেশক ও কাহিনীকার ওয়াল্ট ডিজনির জন্ম
১৯১১: প্রবাদপ্রতিম গীতিকার ও কবি প্রণব রায়ের জন্ম
১৯১৩: বাঙালি চিত্রশিল্পী গোপাল ঘোষের জন্ম
১৯২৪: গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার জন্ম
১৯৩২: অভিনেত্রী নাদিরার জন্ম
১৯৩৫: কলকাতায় মেট্রো সিনেমা হল প্রতিষ্ঠা হয়
১৯৩৯: অভিনেত্রী বাসবী নন্দীর জন্ম
১৯৪০: সঙ্গীত শিল্পী গুলাম আলির জন্ম
১৯৪৩: জাপানী বোমারু বিমান কলকাতায় বোমা বর্ষণ করে
১৯৫০: বিপ্লবী, দার্শনিক ও আধ্যাত্মসাধক ঋষি অরবিন্দের প্রয়াণ
১৯৫১: শিল্পী ও লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু
১৯৬৯: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব-পাকিস্তানের নামকরণ করেন ‘‘বাংলাদেশ ”
১৯৮৫: ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ানের জন্ম
১৯৮৬:  ভারতের ভৌত রসায়ন বিজ্ঞানের পথিকৃৎ ড. নীলরতন ধরের মৃত্যু
১৯৯৩: বিশিষ্ট বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার  সত্য চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৯৯: যানজট এড়াতে ব্যাংককে আকাশ ট্রেন সার্ভিস চালু
১৯৯৯: মিস ওয়ার্ল্ড হলেন যুক্তামুখী
২০১৩: দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যু

05th  December, 2024


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৮৮ টাকা ৮৫.৬২ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৩৯ টাকা ১০৯.১২ টাকা
ইউরো ৮৭.২৫ টাকা ৯০.৬০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
05th  December, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৪০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৮০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৩৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৪৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
05th  December, 2024

দিন পঞ্জিকা

২০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪। পঞ্চমী ১৫/৩ দিবা ১২/৮। শ্রবণা নক্ষত্র ২৮/০ সন্ধ্যা ৫/১৯। সূর্যোদয় ৬/৭/২২, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৫৮। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ৭/৩৩ গতে ১/৪১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৯ গতে ২/৪০ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৪১ গতে ৯/১৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৫ গতে ৩/২৯ মধ্যে পুনঃ ৪/২২ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৪৭ গতে ১১/২৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৭ গতে ৯/৪৭ মধ্যে। 
২০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪। পঞ্চমী দিবা ১০/৪৭। শ্রবণা নক্ষত্র সন্ধ্যা ৪/৪৫। সূর্যোদয় ৬/৯, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে ও ৭/৪৬ গতে ৯/৫৩ মধ্যে ও ১২/০ গতে ২/৪৯ মধ্যে ও ৩/৩২ গতে ৪/৪৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫০ গতে ৯/২৫ মধ্যে ও ১২/৬ গতে ৩/৪০ মধ্যে ও ৪/৩৪ গতে ৬/৯ মধ্যে। বারবেলা ৮/৪৯ গতে ১১/২৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৯ গতে ৯/৪৯ মধ্যে। 
৩ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
হাওড়ায় বধূকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে 

11:15:00 PM

দিল্লি বিমান বন্দরে প্রচুর সোনা সহ আটক ১

10:29:00 PM

কর্ণাটকের তালিকোটি তালুকে সড়ক দুর্ঘটনা, মৃত ৫

10:23:00 PM

বারাণসীতে কালভৈরবের মন্দির পরিদর্শনে গেলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ

10:14:00 PM

পাঞ্জাবের কালিসান গ্রামে চাষের জমি থেকে ৫৯৯ গ্রাম হেরোইনের প্যাকেট উদ্ধার করল বিএসএফ

09:43:00 PM

পাটনার গান্ধী ময়দানে বইমেলার উদ্বোধন করলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার

09:33:00 PM