কর্মসূত্রে বিদেশ যাত্রার প্রচেষ্টায় সফল হবেন। আয় খারাপ হবে না। বিদ্যা ও দাম্পত্য ক্ষেত্র শুভ। ... বিশদ
কালনার এসডিপিও রাকেশ চৌধুরী বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে কেস রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। গ্রাম থেকে শহর সব এলাকায় আমাদের সব সময় টহলদারি ভ্যান ঘোরে। ডাকাতির খবর পাওয়ার পরই বিভিন্ন এলাকায় নাকা চেকিং করা হয়। দু’জন হুগলি জেলায় পাকড়াও হয়েছে। তারা ডাকাতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, হিজুলি গ্রামের শেষ প্রান্তে কালনা-পাণ্ডুয়া রোডের ধারে পেশায় চাষি ও শীতলপাটি ব্যবসায়ী সুভাষ ধর, গোপাল ধর ও সুনীল ধরদের দ্বিতল বাড়ি রয়েছে। বুধবার রাত ৮টা নাগাদ দু’টি বাইকে চারজন মুখ ঢাকা অবস্থায় এসে প্রথমে সুভাষবাবুর প্রতিবেশী চিনা মণ্ডলের বাড়িতে যায়। চিনা মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রীকে বন্দুক দেখিয়ে সোজা সুভাষ মণ্ডলের বাড়িতে হানা দেয়। সুভাষ মণ্ডলের বাড়িতে ঢুকে তাঁর স্ত্রী আরতিদেবীকে বন্দুক দেখিয়ে ঘরের এক জায়গায় বসে থাকতে বলে। এদিকে সুভাষবাবুর বাড়িতে অপরিচিত লোক ঢুকেছে এমনই খবর যায় স্থানীয় সিভিক ভলান্টিয়ার সুশীল সোরেনের কাছে। সিভিক ভলান্টিয়ার দ্রুত সুভাষবাবুর বাড়িতে আসতেই তাঁকে ঘরে ডেকে মাথায় পিস্তল দেখিয়ে চুপ করে বসিয়ে রাখে দুষ্কৃতীরা। এরপর বাড়ির অন্যান্য পুরুষ ও মহিলাদের একে একে ঘরে এনে ভোজালি, বোমা ও পিস্তল দেখিয়ে আলমারি ভেঙে সোনার গয়না ও টাকা লুট করতে থাকে। বাড়ির মহিলাদের কানের দুল, আংটি, গলার চেন কেড়ে নেয়। এরপর ঘরের দরজা বন্ধ করে বাইকে করে চম্পট দেয়।
সুভাষবাবু বলেন, ওরা চারজন বাইকে এসেছিল। বাড়িতে ঢুকে সকলকে পিস্তল, বোমা ও ভোজালি দেখিয়ে ঘরের একটি জায়গায় বসিয়ে প্রথমে মোবাইলগুলি কেড়ে নেয়। প্রায় আধ ঘণ্টা লুটপাট চালিয়ে তিন ঘর মিলিয়ে নগদ প্রায় ৮৫ হাজার টাকা ও পাঁচ-ছয় ভরি সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দেয়। আমাদের বাড়িতে মেয়ে জামাইয়ের কয়েকজন বন্ধু এসেছিল। দুষ্কৃতীরা তাদের হাতের আংটিও খুলে নেয়।
সুভাষবাবুর স্ত্রী আরতিদেবী বলেন, ওরা আমাদের একটি জায়গায় বসিয়ে রেখেছিল। সকলের মুখ ঢাকা ছিল। একজন হাতে বোমা ও ভোজালি নিয়ে আমাদের পাহার দিচ্ছিল। ছোট্ট নাতনি কান্নাকাটি করছিল দেখে ধমকাতে থাকে। তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ঘটনার কথা ভাবলেই গা শিউরে উঠছে।