কর্মসূত্রে বিদেশ যাত্রার প্রচেষ্টায় সফল হবেন। আয় খারাপ হবে না। বিদ্যা ও দাম্পত্য ক্ষেত্র শুভ। ... বিশদ
বুনিয়াদপুর পুরসভার বয়স ৭ বছর হতে চললেও কর্তৃপক্ষ নিজেদের অধীনে একজন চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ করতে পারেনি। বংশীহারি ব্লকে থাকা উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি বর্তমানে বুনিয়াদপুর শহরের মধ্যে থাকায় পুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রূপান্তর হয়েছে। উল্টোদিকে বুনিয়াদপুর পুরসভা ভবন চত্বরে তৈরি হয়ে পড়ে রয়েছে সেলিমাবাদ পুর সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র। এছাড়াও আলীগাড়া, থিনগুর এলাকায় নতুন পুর সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি হয়ে গেলেও উদ্বোধন করতে পারছে না পুরসভা। শহরবাসী অরূপ মহন্তের কথায়, বুনিয়াদপুর শহরে পুরসভা পরিচালিত কোনও হাসপাতাল নেই। এখনও শহরবাসীকে স্বাস্থ্য পরিষেবা নিতে বংশীহারি ব্লকে যেতে হয়। মাতৃসদন তৈরি তো দূরের কথা, সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র চালু করতে পারেনি। বাকি তিনটি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসক নেই। বড় সমস্যা হলে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে যেতে হয় বাসিন্দাদের।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের একটি সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রের জন্য নগরোন্নয়ন দপ্তর থেকে বরাদ্দ হয়েছিল প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা। শহরে নতুন তিনটি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভবনও তৈরি হয়ে গিয়েছে। নতুন কেন্দ্র চালু করতে স্থায়ী চিকিৎসক চেয়ে এবার পুরদপ্তরে দরবার করেছে পুরসভা। কেন্দ্রগুলিতে পরিষেবা চালু না হওয়ায় শহরবাসীকে বংশীহারি ব্লক হাসপাতালের উপরেই নির্ভর করতে হচ্ছে। পুরসভার প্রশাসক কমল সরকার বলেন, বুনিয়াদপুর শহরের তিনটি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি হয়ে পড়ে রয়েছে। কিন্তু চিকিৎসক ও নার্স পাইনি। পুরদপ্তরকে বিষয়টি জানিয়েছি। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককেও জানানো হয়েছে। শহরবাসীকে স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে দ্রুত কেন্দ্রগুলি চালু করে দিতে পারব আশা করছি। বাকি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে বাইরে থেকে চিকিৎসক এনে পরিষেবা দেওয়ার ভাবনা রয়েছে। বংশীহারি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক পুলকেশ সাহা বলেন, বুনিয়াদপুর শহরের বুকে আমাদের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে রূপান্তর হয়েছে। সেখানেই স্বাস্থ্য পরিষেবা দিচ্ছি। পুর সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিষয়ে আমাদের কিছু জানা নেই। স্বাস্থ্য পরিষেবা পুরসভাই দেখে।
(চিকিৎসকের অভাবে চালু হয়নি এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি।)