Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ভারত ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

ভারত নামক একটি রাষ্ট্র যার স্বাধীনতার বয়স ৭৭ বছর হয়ে গিয়েছে এবং সভ্যতার বয়স ৫ হাজার বছর। সে এখন কী নিয়ে চর্চা করছে? উত্তরপ্রদেশের সম্ভাল নামক একটি জনপদে জামা মসজিদের নীচে আসলে মন্দির ছিল কি না সেই সমীক্ষা করার উদ্যোগ নিয়েছে, সংঘর্ষ হয়েছে। চারজনের মৃত্যু। ভারতের পার্লামেন্টে এটি এখন অন্যতম ইস্যু। 
অসমের রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছে হোটেল, রেস্তরাঁয় তো বটেই, কোনও সামাজিক সমাবেশেও গোমাংস খাওয়া কিংবা পরিবেশন করা চলবে না। 
আজমির শরিফ দরগা আসলে মহাদেবের মন্দিরের উপর নির্মিত। এই মর্মে রাজস্থানের আদালতে জমা পড়েছে আবেদন। সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় রাজনীতি এই আবেদনের পক্ষে ও বিপক্ষে তর্ক করছে।
ভারত সরকারের অন্যতম চালিকাশক্তি যে সংগঠন, সেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের প্রধান আহ্বান করেছেন মহিলাদের অন্তত তিনটি করে সন্তান থাকা উচিত। কারণ হিসেবে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, ভারতের গড় ফার্টিলিটি হার যেভাবে কমছে, সেটা উদ্বেগজনক এবং ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধি হারও কমতে শুরু করেছে। তাই এখনই ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। 
ঠিক এই সময়ই আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আমরা কী দেখতে পাচ্ছি? আমেরিকার যে কোনও সংবাদমাধ্যমে চোখ রাখলে লক্ষ্য করা যাবে প্রধানতম চর্চা নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইমপোর্ট ট্যারিফ রেট কতটা বাড়াবেন? অন্য দেশ থেকে আমেরিকায় পণ্য রপ্তানি করতে হলে ওই চড়া ট্যাক্স দিতে হবে। চীনকে সবথেকে বেশি টার্গেট করেছেন তিনি। কেন? কারণ আমেরিকার অভ্যন্তরীণ ক্ষুদ্র মাঝারি বা বৃহৎ সব শিল্প সংস্থার উৎপাদন ও বিক্রি যাতে বাড়ে। 
ইতালির অন্যতম বৃহৎ ব্যাঙ্ক ইউনিক্রেডিট স্থির করেছে তারা জার্মানির বৃহত্তম আর্থিক সংস্থা কমার্জব্যাঙ্ককে কিনে নেবে। জার্মান সরকার সেটা ঠেকাতে মরিয়া। জার্মানির নাগরিকরাও ক্ষুব্ধ। কারণ এটা রাষ্ট্রীয় সম্মানের ব্যাপার। 
অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্ট সর্বসম্মতিক্রমে আইন এনেছে যে, ১৬ বছরের কম বয়সিদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। গুগল, মেটা, এক্স ইত্যাদি সংস্থা প্রবল চিন্তিত। কারণ তাদের ব্যবসা প্রবলভাবে ধাক্কা খাবে। ওই বয়সটাই অ্যাসপিরেশনাল বয়স। স্বপ্ন দেখার বয়স। তাই ওই বয়স হাতছাড়া করা চলবে না। এইসব সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা অস্ট্রেলিয়ান সরকারের কাছে সময় চেয়েছে। বলেছে, আমরা এই বয়সের ব্যাপারটা কীভাবে ম্যানেজ করা যায় সেই টেকনোলজি আনছি, সময় দিন। অস্ট্রেলিয়া রাজি নয়। 
আফ্রিকার সুদানের একটি উদ্বাস্তু ক্যাম্প রয়েছে এল ফাশহর নামক জনপদে। সেই উদ্বাস্তু ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া গৃহযুদ্ধে গৃহহীন ৫ লক্ষ মানুষের জন্য এই সপ্তাহ কিছুটা খুশির খবর এনেছে। কারণ এই ৫ লক্ষ মানুষ দীর্ঘ দিন ধরে প্রায় অনাহারে কাটাচ্ছে। যুদ্ধের কারণে রাষ্ট্রসঙ্ঘকে খাবার সাপ্লাই পর্যন্ত করতে দেওয়া হয়নি। অবশেষে সেই সাপ্লাই আসছে এই সপ্তাহে। বিগত ছয় মাস ধরে লাগাতার পশ্চিমী দেশগুলি এই নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘে আলোচনা করেছে। চাপ দিয়েছে। 
এই যে তথ্যগুলি আলোচিত হল, এখানে কী দেখা যাচ্ছে? দেখা যাচ্ছে, ভারতকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে এখনও পর্যন্ত কতটা অপরিণতমনস্ক এবং নির্বোধ করে রেখে দেওয়া হচ্ছে। ভারত পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ বলে গর্ব করছে। অথচ বাকি বৃহত্তম অর্থনীতির দেশগুলির অন্যতম চর্চার ইস্যু কী? আর আমরা প্রতিদিন কী নিয়ে আলোচনা করি। আমাদের রাজনীতিকরা কী নিয়ে বাগবিতণ্ডা করেন?
আজও ভারতের বৃহৎ ব্যর্থতা হল এখনও বিশ্বকে কোনও ভোগ্যপণ্যের এক নম্বর ব্র্যান্ড উপহার দিতে পারেনি ভারত তথা ভারতের কর্পোরেট মহল। ভারতের নাগরিক যুবসমাজ জারার জ্যাকেট কিংবা পোশাক পরলে নিজেকে স্মার্ট ও স্টেটাসসংবলিত মনে করে। জারা স্প্যানিশ ব্র্যান্ড। সেই যুবসমাজ আজও লি, লিভাইস জিন্স পরতে পছন্দ করে। আজও সবথেকে বেশি বিক্রি হয় ব্র্যান্ড হিসেবে রিবক, নাইকি, পুমা, অ্যাডিডাস এবং এয়ার জর্ডন। দেখা যায় যে, আমরা যখন যে বয়সে যে কোনও পণ্য কেনার স্বপ্ন পোষণ করি, সেটি অবধারিতভাবে বিদেশি কোনও ব্র্যান্ড। 
আজও ১৪০ কোটি দেশের স্বপ্ন পকেটে একটি অ্যাপল ফোন থাকা। ভারত আজও একটি মোবাইল ব্র্যান্ড বিশ্বকে দিতে পারল না। কোনও টেলিভিশন, কোনও প্যাড, কোনও লেদার প্রোডাক্ট, কোনও শীতের পোশাক, কোনও গরমের পোশাক কিছুই নেই। অর্থাৎ আমেরিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, বেজিং, স্কটল্যান্ড, মেলবোর্ন, প্যারিস, ব্রাজিলের নাগরিকরা ভারতের কোনও একটি ব্র্যান্ড ব্যবহার করার জন্য উদগ্রীব এবং সেই ব্র্যান্ড বিশ্বকে শাসন করছে, এরকম উদাহরণ নেই। 
তাহলে ভারত কীসের জন্য গর্ব করে? ভারত তো ক্রেতার দেশ? ১৪০ কোটির বাজার। ভারতকে সবাই শুধু বিক্রি করে চলেছে নিজেদের প্রোডাক্ট আর ব্র্যান্ড। যে কোনও দেশের তুলনায় বেশি ইংলিশ স্পিকিং। লেবার ফোর্স বেশি। কিন্তু মজুরি কম। অতএব আরও সুবিধা। এদের থেকে কাজ করিয়ে নাও প্রসেস থেকে সফটওয়্যার যে কোনও সংস্থায় অফশোর এমপ্লয়ি হিসেবে। এই দেশের কোম্পানিগুলিকে প্রজেক্ট দিয়ে দাও। এরা নিজেদের সস্তার কর্মীদের দিয়ে উচ্চ মানের কাজ করে দেবে। লাভ করব আমরা অর্থাৎ বহুজাতিক বিখ্যাত সংস্থা। আবার সেইসব কর্মীর কাছেই বিদেশের বিখ্যাত ব্র্যান্ডগুলি নিজেদের প্রোডাক্ট বিক্রি করে সেই কন্ট্রাক্টের জন্য খরচ হওয়া টাকা আবার নিজেদের দেশে নিয়ে যাবে। 
অন্যদিকে এইসব কোম্পানি যে দেশের, সেই দেশের সরকারগুলি এই ভারতকেই বিক্রি করে অস্ত্র, সোলার এনার্জির টেকনোলজি, মহাকাশ গবেষণা প্রক্রিয়া, যুদ্ধ সরঞ্জাম, টেলিকম প্রযুক্তি। সুতরাং, ভারত প্রত্যেকের কাছে সবথেকে বেশি সোনার ডিম দেওয়া হাঁস। লক্ষ করা যায় যে, কেউ ভারতের সঙ্গে কোনও শত্রুতা চায় না। আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ভারত রাশিয়া থেকে অস্ত্র কেনে। তেল কেনে। আমেরিকা ক্ষুব্ধ হয়। কিন্তু ভারতকে ধমক দিতে পারে না। সম্পর্ক ছিন্ন করতেও পারবে না। কারণ সরকার ও কর্পোরেট উভয় পক্ষের কাছে ভারত সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ক্রেতা। 
ভারত কিংবা গোটা দুনিয়া কোনও কোনও কোম্পানি ছাড়া ২৪ ঘণ্টা থাকতে পারবে না। শুধু শখের কারণে নয়, পেশাগতভাবেও এই সংস্থাগুলির উপর ভারত নির্ভরশীল। গুগল, আমাজন, মেটা, এক্স, ইউটিউব, এনভিডিয়া, মাইক্রোসফট। এর একটারও কোনও বিকল্প ভারত তৈরি করতে পারল না কেন? ভারত তো সফটওয়্যার কর্মীদের রাজধানী। 
ভারতের বৃহত্তম কর্পোরেট সংস্থাগুলির দৃষ্টিভঙ্গির প্রসারতা দেখা যায় না  কেন? বিদেশি সংস্থার মতোই দেশি সংস্থা হয়েও তারা ভারতীয় জনতাকে স্রেফ ক্রেতাই ভাবে। তাই যখন তখন টেলিকমের ট্যারিফ বাড়ায়। সুযোগ খোঁজে জনতার ট্যাক্সের টাকায় সরকার তাদের কর্পোরেট ট্যাক্স কখন মকুব করবে। 
জমি আদায় করা রাজ্য সরকারকে শিল্পায়নের টোপ দিয়ে কর্পোরেট কোম্পানির নবতম উদ্যোগ হল সুযোগ পেলেই রিয়াল এস্টেটে ঢুকে পড়া। সস্তায় জমি নিয়ে সেখানে স্যাটেলাইট টাউনশিপ কিংবা হাউজিং কমপ্লেক্স নির্মাণ করা। 
আমেরিকার জিডিপি কত? ২৮ লক্ষ কোটি ডলার। চীনের জিডিপি কত? ১৮ লক্ষ কোটি ডলার। ভারতের জিডিপি কত? সাড়ে ৩ লক্ষ কোটি ডলার। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর গালভরা সংলাপ এবং তাঁর শরীরী ভঙ্গি দেখলে বোঝা যায় যে, ভারত এদের থেকে কত পিছিয়ে আছে? তাঁর সরকার ও দলের আচার আচরণ এবং মনোভাব কিংবা চিন্তাভাবনার অগ্রাধিকার লক্ষ করলে একবারও মনে হয় না, আদৌ তাদের  মনে একটা গভীর শপথবাক্য আছে যে, এই  পর্যায়ে একদিন আমরাও পৌঁছবো? তারা ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন, মসজিদ, মন্দির, গোমাংস, ইডি, সিবিআই এসব নিয়েই বেশ আছেন! 
আমেরিকা এবং চীন সবথেকে বেশি জোর দিচ্ছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উপর। অভ্যন্তরীণ সেই শিল্পকেই এই দুই দেশ রাষ্ট্রীয় সহায়তা দিয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রমোট করে। ভারত কী করে? অথচ ভারতের অভ্যন্তরীণ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের শক্তি সববৃহৎ। 
রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ, হিন্দু মহাসভা, ভারতীয় জনসঙ্ঘ, ভারতীয় জনতা পার্টি। এদের সকলেরই প্রধান একটি স্বপ্ন এবং লক্ষ্য হল ভারত ও হিন্দুত্বের প্রাচীন ও অতীত গৌরবজনক অধ্যায়কে আবার ফিরিয়ে আনা। খুবই ভালো পরিকল্পনা। তবে শুধু‌ই ধর্মীয় কেন? ভারতীয় বাণিজ্যের স্বর্ণযুগ ফেরাতে সচেষ্ট হচ্ছেন না কেন?  নিশ্চয়ই মনে আছে, 
প্রাচীন পৃথিবীতে কোন দুটি রাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক ছিল সর্বোত্তম ও সর্ববৃহৎ? রোম এবং ভারত। এই দুই রাষ্ট্র ছিল বিশ্বের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার। ট্রেডিং পার্টনার। এমনকী সিল্ক, যা নাকি চীনের সর্বশ্রেষ্ঠ রপ্তানিপণ্য ছিল ইওরোপে, সেটাও ভারতে আগে পাঠানো হতো নৌকায়। গোলমরিচ, মশলা, হাতির দাঁত, বস্ত্র রপ্তানি করত ভারত। কতটা মূল্যবান ছিল ভারতের পণ্য? ভিসগোথ রাজা আলারিক যখন রোম দখল করে মুক্তিপণ চেয়েছিলেন ৪০৮ খ্রিস্টাব্দে, সেইসময় সেই মুক্তিপণের প্রধান দাবি ছিল দুটি, ৫ হাজার কেজি সোনা এবং ৩ হাজার কেজি ভারতীয় গোলমরিচ। সিন্ধু সভ্যতার আমল থেকেই ভারত উৎপাদন ও বাণি঩জ্যে উৎকর্ষ লাভ করতে শুরু করে। ২০২০ সালের বাজেটে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেছিলেন, সিন্ধু-সরস্বতী সভ্যতার উচ্চতা স্পর্শ করা আমাদের লক্ষ্য। 
আর আজ ভারতের রপ্তানি তলানিতে পৌঁছেছে। আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য ঘাটতি চরম আকার নিয়েছে। কারণ কী? কারণ দেশীয় উৎপাদনকে সবরকমভাবে সাহায্য করাকে সরকার মিশন হিসেবে নেয়নি। কোথায় কারা সর্বোৎকৃষ্ট কারিগর সেটা দেখা হয় না। দেখা হয়, কোথায় কোন দল ক্ষমতায় এবং কারা আমাদের ভোটার। আর তাই যে ভারত ছিল অতীত গৌরবকালে বিক্রেতা, আজ তারা নিছক ক্রেতা। রপ্তানির দেশ আজ আমদানির দেশ। দাতার দেশ আজ গ্রহীতার দেশ। আধুনিক চিন্তা, শিল্প, বাণিজ্য, গৌরব, সবদিকেই ভারতকে পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে কেন? 
দ্রুত মুখোশ খসে পড়ছে ইউনুস সরকারের
মৃণালকান্তি দাস 

চোখে সোনালি সানগ্লাস। পরনে সাদা পাঞ্জাবি। হাতে রকেট লঞ্চার। সংবাদপত্রে প্রকাশিত সেই ছবি দেখে আঁতকে উঠেছিল গোটা ভারত উপমহাসাগর। আঁতকে ওঠার যথেষ্ট কারণও ছিল। বিশদ

05th  December, 2024
জুতো উপহার এবং বাংলাদেশের পাকিস্তান প্রেম
হারাধন চৌধুরী

‘তখন ধীরে চামার-কুলপতি/ কহিল এসে ঈষৎ হেসে বৃদ্ধ,/ ‘বলিতে পারি করিলে অনুমতি/ সহজে যাহে মানস হবে সিদ্ধ।/ নিজের দুটি চরণ ঢাকো, তবে/ ধরণী আর ঢাকিতে নাহি হবে।’ 
—জুতা-আবিষ্কার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বিশদ

04th  December, 2024
এবার আজমির! ফল কিন্তু ভয়াবহ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ইদানীংকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিজ কী? মির্জাপুর? নাকি পঞ্চায়েত? এই সিজন ব্যাপারটা বেশ আকর্ষণীয়। আট-দশটা এপিসোড, টানটান উত্তেজনা, দর্শকের অ্যাড্রেনালিন ক্ষরণের উপাদান ছুঁয়ে খিদেটাকে জিইয়ে রাখা। প্রোডিউসার-ডিরেক্টররা জানেন, অপেক্ষা চলবে। পরের সিজনের জন্য।
বিশদ

03rd  December, 2024
মহাযুতির প্রচার: স্রেফ কৌশল, প্রাপ্তি শূন্য
পি চিদম্বরম

১৬ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখ ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এ প্রকাশিত আমার নিবন্ধের শিরোনাম ছিল ‘মহারাষ্ট্র ইজ দ্য প্রাইজ’। বিজেপি, শিবসেনা এবং এনসিপির জোট মহাযুতি নিশ্চিতভাবেই সেই পুরস্কার জিতে নিয়েছে। এই কথা স্বীকার করতে আমার কোনও দ্বিধা নেই। ২৮৮টি আসনের মধ্যে মহাযুতি ২৩০টিতে জয়ী হয়েছে।
বিশদ

02nd  December, 2024
মোদি কি ৫৩ বছর আগের ইন্দিরা হতে পারবেন?
হিমাংশু সিংহ

লৌহমানবী ইন্দিরা গান্ধী কড়া হাতে মোকাবিলা না করলে অর্ধশতাব্দী আগে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির জন্ম হতো কি না তার উত্তর আমাদের অজানা। সেই প্রশ্নের জবাব অধুনা কোনও ৫৬ ইঞ্চি ছাতির লোকদেখানো বীরপুঙ্গবও দিতে পারেন কি না, আপাতত তারই পরীক্ষা। বিশদ

01st  December, 2024
নেগেটিভ ভোটে কিস্তিমাতের দিন শেষ!
তন্ময় মল্লিক

যদি প্রশ্ন করা হয়, এ রাজ্যের সদ্য সমাপ্ত উপ নির্বাচনের ফল কী প্রমাণ করল? প্রায় সকলের বক্তব্য মোটামুটি এরকম হবে, আর জি কর কাণ্ড সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনও প্রভাবই ফেলেনি। বাংলাদেশের ধার করা ‘দফা এক দাবি এক’ স্লোগানে তেমন কেউ সাড়া দেননি। বিশদ

30th  November, 2024
মমতার স্ট্র্যাটেজির কাছে হেরে যাচ্ছে বিরোধীরা
সমৃদ্ধ দত্ত

৭৭ বছরের ইতিহাসে পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত দুবার দুটি আন্দোলনের সঙ্গে সরকার বদলে যাওয়ার সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। ১৯৫৯ সালে শুরু হয়েছিল খাদ্য আন্দোলন। কিন্তু তার প্রভাব পরবর্তী নির্বাচনে বিশেষ পড়েনি। সেই খাদ্য আন্দোলনেরই দ্বিতীয় পর্ব আছড়ে পড়েছিল ১৯৬৬ সালে। বিশদ

29th  November, 2024
কানাডা এখন আর এক পাকিস্তান!
মৃণালকান্তি দাস

কানাডার ব্রাম্পটন শহরের হিন্দু সভা মন্দিরটি রয়েছে এক ব্যস্ত সড়কের পাশে। এখানকার বহু বাড়ি এখনও দীপাবলির আলোকসজ্জায় সজ্জিত। মন্দিরের পার্কিং লটের উপর দাঁড়িয়ে ৫৫ ফুট উচ্চতার হনুমান মূর্তিটি সর্বক্ষণ পুণ্যার্থীদের দিকে তাকিয়ে। বিশদ

28th  November, 2024
গতির উদ্দামতায় বাজে ধ্বংসের গান
সন্দীপন বিশ্বাস

বদলে গিয়েছে তরুণের স্বপ্ন। বহু তরুণের দু’চোখজুড়ে এখন শুধুই উদ্দাম গতির স্বপ্নরেখা। সেই গতির মধ্যে এখন তাঁরা অনুভব করেন, স্পর্ধায় মাথা তোলার ঝুঁকি। একটা বাইক কোম্পানির ট্যাগলাইন ছিল, ‘হাম মে হ্যায় হিরো’। এই হিরো হওয়ার জন্য এখনকার যুবকরা মনে করেন, একটা বাইকই যথেষ্ট। বিশদ

27th  November, 2024
মোদিবিহীন জয়! স্ট্র্যাটেজি বদলাচ্ছে সঙ্ঘ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘রাজীব গান্ধী যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, রাজনীতির কোন অভিজ্ঞতাটা তাঁর ছিল? আমার ছেলে বা ভাইপো যদি রাজনীতিতে আসে, আমি আটকানোর কে? আর আটকাবই বা কেন? কিন্তু এখানে আমার একটাই শর্ত থাকবে—আমার সেনাপতিদের অসম্মান তারা করতে পারবে না।’ বিশদ

26th  November, 2024
আমেরিকায় ট্রাম্পের উত্থানের প্রভাব ভারতে কেমন হবে?
পি চিদম্বরম

 

ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও পোটাস  (প্রেসিডেন্ট অফ দি ইউনাইটেড স্টেটস) নন। আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর দায়িত্বগ্রহণের প্রতীক্ষিত দিনটি এখনও সাত সপ্তাহ দূরে। তার মধ্যেই বিশ্বজুড়ে ‘টক অফ দ্য টাউন’ হল: ট্রাম্পের নয়া জমানার কোন প্রভাব পড়বে—বিশ্বে, আপনার দেশে, আপনার শহরে, আপনার চাকরিতে বা প্রায় সবকিছুতে।
বিশদ

25th  November, 2024
সমবায় আন্দোলনের বিশ্ব নেতৃত্বে ভারত
অমিত শাহ

শুধুমাত্র আর্থিকভাবে উচ্চাকাঙ্ক্ষীদের নয়, সেইসঙ্গে তাঁদের সুসংহত করে অর্থনীতির মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারেও সমবায় ক্ষেত্রের ভূমিকা রয়েছে। 
বিশদ

25th  November, 2024
একনজরে
‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্প সহ মোদি সরকারের একাধিক নীতির ভূয়সী প্রশংসা করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। জানালেন, ভারতে বিনিয়োগ করা অত্যন্ত লাভজনক। তাই সেখানে উৎপাদন ...

গত বুধবার রাতে ডানকুনির রামকৃষ্ণপাড়া এলাকা থেকে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করেছে পুলিস। মৃতের নাম শুকুর আলি (৪০)। তাঁর বাড়ি চণ্ডীতলার কুমিরমোড়ায়। ...

পুরসভার চেক জালিয়াতির তদন্ত শেষ হতে না হতেই এবার নতুন চক্রের হদিশ বালুরঘাটে। বিডিও অফিসে পদ ফাঁকা রয়েছে,আজকের মধ্যেই অত্যন্ত গোপনে যোগাযোগ করতে হবে। এমন টোপ ...

সুখবীর সিং বাদলের উপর হামলার আগের দিনও অমৃতসরের স্বর্ণমন্দির চত্বরে ঘোরাফেরা করেছিলেন অভিযুক্ত খালিস্তানি জঙ্গি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে একথা জানিয়েছে পুলিস। বুধবার জঙ্গির ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মসূত্রে বিদেশ যাত্রার প্রচেষ্টায় সফল হবেন। আয় খারাপ হবে না। বিদ্যা ও দাম্পত্য ক্ষেত্র শুভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস
বিশ্ব মাটি দিবস
১৩৬০: ফ্রান্সের মুদ্রা ফ্রাঁ চালু হয়
১৭৬৬: লন্ডনে প্রথম নিলাম ডাক শুরু হয়
১৮৫৪: রিভলবিং থিয়েটার চেয়ারের পেটেন্ট করেন অ্যারোন অ্যালেন
১৮৭৯: স্বয়ংক্রিয় টেলিফোন সুইচিং সিস্টেম প্রথম পেটেন্ট হয়
১৯০১: মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক, নির্দেশক ও কাহিনীকার ওয়াল্ট ডিজনির জন্ম
১৯১১: প্রবাদপ্রতিম গীতিকার ও কবি প্রণব রায়ের জন্ম
১৯১৩: বাঙালি চিত্রশিল্পী গোপাল ঘোষের জন্ম
১৯২৪: গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার জন্ম
১৯৩২: অভিনেত্রী নাদিরার জন্ম
১৯৩৫: কলকাতায় মেট্রো সিনেমা হল প্রতিষ্ঠা হয়
১৯৩৯: অভিনেত্রী বাসবী নন্দীর জন্ম
১৯৪০: সঙ্গীত শিল্পী গুলাম আলির জন্ম
১৯৪৩: জাপানী বোমারু বিমান কলকাতায় বোমা বর্ষণ করে
১৯৫০: বিপ্লবী, দার্শনিক ও আধ্যাত্মসাধক ঋষি অরবিন্দের প্রয়াণ
১৯৫১: শিল্পী ও লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু
১৯৬৯: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব-পাকিস্তানের নামকরণ করেন ‘‘বাংলাদেশ ”
১৯৮৫: ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ানের জন্ম
১৯৮৬:  ভারতের ভৌত রসায়ন বিজ্ঞানের পথিকৃৎ ড. নীলরতন ধরের মৃত্যু
১৯৯৩: বিশিষ্ট বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার  সত্য চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৯৯: যানজট এড়াতে ব্যাংককে আকাশ ট্রেন সার্ভিস চালু
১৯৯৯: মিস ওয়ার্ল্ড হলেন যুক্তামুখী
২০১৩: দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যু

05th  December, 2024


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৮৮ টাকা ৮৫.৬২ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৩৯ টাকা ১০৯.১২ টাকা
ইউরো ৮৭.২৫ টাকা ৯০.৬০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
05th  December, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৪০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৮০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৩৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৪৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
05th  December, 2024

দিন পঞ্জিকা

২০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪। পঞ্চমী ১৫/৩ দিবা ১২/৮। শ্রবণা নক্ষত্র ২৮/০ সন্ধ্যা ৫/১৯। সূর্যোদয় ৬/৭/২২, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৫৮। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ৭/৩৩ গতে ১/৪১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৯ গতে ২/৪০ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৪১ গতে ৯/১৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৫ গতে ৩/২৯ মধ্যে পুনঃ ৪/২২ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৪৭ গতে ১১/২৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৭ গতে ৯/৪৭ মধ্যে। 
২০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪। পঞ্চমী দিবা ১০/৪৭। শ্রবণা নক্ষত্র সন্ধ্যা ৪/৪৫। সূর্যোদয় ৬/৯, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে ও ৭/৪৬ গতে ৯/৫৩ মধ্যে ও ১২/০ গতে ২/৪৯ মধ্যে ও ৩/৩২ গতে ৪/৪৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫০ গতে ৯/২৫ মধ্যে ও ১২/৬ গতে ৩/৪০ মধ্যে ও ৪/৩৪ গতে ৬/৯ মধ্যে। বারবেলা ৮/৪৯ গতে ১১/২৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৯ গতে ৯/৪৯ মধ্যে। 
৩ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
হাওড়ায় বধূকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে 

11:15:00 PM

দিল্লি বিমান বন্দরে প্রচুর সোনা সহ আটক ১

10:29:00 PM

কর্ণাটকের তালিকোটি তালুকে সড়ক দুর্ঘটনা, মৃত ৫

10:23:00 PM

বারাণসীতে কালভৈরবের মন্দির পরিদর্শনে গেলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ

10:14:00 PM

পাঞ্জাবের কালিসান গ্রামে চাষের জমি থেকে ৫৯৯ গ্রাম হেরোইনের প্যাকেট উদ্ধার করল বিএসএফ

09:43:00 PM

পাটনার গান্ধী ময়দানে বইমেলার উদ্বোধন করলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার

09:33:00 PM