কর্মসূত্রে বিদেশ যাত্রার প্রচেষ্টায় সফল হবেন। আয় খারাপ হবে না। বিদ্যা ও দাম্পত্য ক্ষেত্র শুভ। ... বিশদ
হাওড়া ডিভিশনে যে ১৫টি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন উন্নত করা হচ্ছে, তার মধ্যে অন্যতম নবদ্বীপ ধাম। গত ৬ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দিল্লি থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অন্যান্য স্টেশনগুলির সঙ্গে নবদ্বীপ ধাম স্টেশনের কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন। ইতিমধ্যেই কাজ পরিদর্শনে নবদ্বীপ ধাম স্টেশনে এসেছিলেন রেলের আধিকারিকরা। তাঁরা জানিয়েছিলেন, এই স্টেশনকে ঢেলে সাজানো হবে। স্টেশন বিল্ডিং থেকে শুরু করে স্টেশনের বাইরেও উন্নয়নমূলক কাজ হবে। রেলের জায়গা যাঁরা জবরদখল করে আছেন তাঁদের সরে যেতে হবে, ছিল এমনই নিদান। তাহলেই নাকি স্টেশনের যাতায়াতের প্রবেশ এবং বাইরের পথ আরও প্রশস্ত করা হবে।
পলতা ঘাট রোডের বাসিন্দা নিত্যযাত্রী চঞ্চল দেবনাথ বলেন, এক নম্বর প্ল্যাটফর্মের ওপর দিয়ে যেসব গাড়ি হাওড়া যায়, লুপ লাইন বলে সেইসব গাড়ি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না। আর এক নম্বর প্লাটফর্ম দিয়ে গাড়ি না নিয়ে যাওয়ার ফলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন প্রবীণ এবং প্রতিবন্ধী নাগরিকরা। তাঁদের ওভার ব্রিজ পার হয়ে আসতে হচ্ছে। স্থানীয় বোসেস রোডের বাসিন্দা সুবল দাস বলেন, রেল মাঝে মধ্যে উচ্ছেদ অভিযান করছে। কিন্তু কাজের কাজ তো কিছু হচ্ছে না। স্টেশন থেকে বেরিয়ে সংলগ্ন রোড ধরে মহিলারাও যাতায়াত করেন। অথচ রাস্তার দু’ ধারে রোড লাইট নেই। স্থানীয় টোটো চালক পবিত্র চক্রবর্তী বলেন, কিছু কিছু জায়গা ভাঙছে আর সেভাবেই রেখে দিচ্ছে। কাজ এগচ্ছেই না। বাইরের যাত্রীদেরও সমস্যা হচ্ছে। নবদ্বীপ ধাম স্টেশনের এই পরিস্থিতি দেখে অনেকেই স্টেশনে নামছেন না। তাঁরা বিষ্ণুপ্রিয়া হল্ট স্টেশনে গিয়ে নামছেন। যাত্রী সংখ্যা কমে গিয়েছে। ফলে টোটো চালকরা প্যাসেঞ্জার পাচ্ছেন না। পলিটেকনিক কলেজের ইঞ্জিনিয়ারিং দুই পড়ুয়া দিশা পাল, সায়নী চক্রবর্তী বলেন, প্রতিদিন আমরা নবদ্বীপ ধাম ষ্টেশন থেকে কালনা টিউশন পড়তে যাই। অনেকদিন ধরেই কাজ চলছে। কাজ তেমন এগচ্ছে না।
নবদ্বীপ ধাম স্টেশনের ম্যানেজার বিধানচন্দ্র রায় বলেন, অমৃত ভারত প্রকল্পে কাজ চলছেই। রেলের জায়গায় বেআইনি দখলদারদের জন্য স্টেশনের বাইরে কাজ করতে একটু সমস্যা হচ্ছে। তবে স্টেশনের মূল গেট থেকে বিবেকানন্দ স্টেডিয়াম পর্যন্ত দোকানগুলোকে নোটিস দেওয়া হয়েছে। যদি তাঁরা না উঠে যান, তবে আগামী ৭ ডিসেম্বর রেল নিজেই জবরদখলকারীদের সরিয়ে দেবে। পুরনো বুকিং অফিসটা না সরানো হলে স্টেশনের সামনে সৌন্দর্যায়নের কাজ করা যাচ্ছে না। এছাড়া কিছু বেদখল স্ট্রাকচারের জন্যও সমস্যা হচ্ছে। আরও নতুন লিফট ও এস্কালেটর করা হচ্ছে। নতুন প্রস্তাবও পাঠানো হয়েছে। এক, দুই এবং তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মে পুরোটা শেড দিয়ে ঢাকা হবে। চার নম্বর প্ল্যাটফর্মেও কিছুটা শেড দেওয়া হবে। - নিজস্ব চিত্র