কর্মসূত্রে বিদেশ যাত্রার প্রচেষ্টায় সফল হবেন। আয় খারাপ হবে না। বিদ্যা ও দাম্পত্য ক্ষেত্র শুভ। ... বিশদ
অন্যদিকে নিম্ন আদালতে পার্থর জামিন সংক্রান্ত শুনানি চলাকালে বিচারক উষ্মা প্রকাশ করে ধৃতের কৌঁসুলির উদ্দেশে মন্তব্য করেন, কোন কোর্টে জামিনের শুনানি হবে, তা নির্ধারণ করার এক্তিয়ার আপনাকে কে দিল? আপনাকে কে অধিকার দিয়েছে, কোন বেঞ্চে মামলা হবে ঠিক করে দেবেন? কেন কোর্টের সময় নষ্ট করছেন? কোন আদালতে মামলার শুনানি হবে, তা ঠিক করবে আদালত। অন্যদিকে, এদিন ভার্চুয়াল শুনানি চলাকালে জেলমুক্ত হতে ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিচারকের কাছে কাতর আর্জি জানান। তিনি বলেন, আমি কিছু করিনি। আমাকে বাঁচান। আমাকে জামিন দিন। ট্রায়াল শুরু হচ্ছে না। আর কতদিন আটকে থাকব? তাঁর আইনজীবী বলেন, এই দুর্নীতি মামলায় তিনি যুক্ত নন। তাঁর কোনও ভূমিকা ছিল না। নিয়োগের বিষয় পুরো বিষয়টি দেখে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। উনি বয়স্ক মানুষ। যে কোনও শর্তে ওঁকে জামিন দেওয়া হোক। সিবিআইয়ের কৌঁসুলির অভিযোগ, ১৫২ জন যোগ্য চাকরি প্রার্থী নাম তালিকাভুক্ত করা হয়নি। অথচ বিভিন্ন এজেন্ট মারফত ৭৫২ জন অযোগ্য চাকরি প্রার্থীর তালিকা প্রস্তুত করা হয়ে ছিল। আর এই তালিকা অভিযুক্ত প্রাক্তন মন্ত্রী নিজে পাঠিয়ে ছিলেন। এই মুহূর্তে তথ্য-প্রমাণ খতিয়ে দেখার কাজ চলছে। সাক্ষীদের বয়ান নেওয়া হচ্ছে। তাই এখন জামিন পেলে মামলার তদন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এদিনও কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে জেল থেকে এনে হাজির করানো হয়নি। প্রেসিডেন্সি জেল থেকে রিপোর্ট আসে, তিনি অসুস্থ। তাঁকে সিবিআইয়ের ‘শ্যোন অ্যারেস্ট’ করা নিয়ে এদিনও কোনও জট খুলল না। এদিকে, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ সন্তু গঙ্গোপাধ্যায় ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে আদালত ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।