Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মোদিবিহীন জয়! স্ট্র্যাটেজি বদলাচ্ছে সঙ্ঘ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘রাজীব গান্ধী যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, রাজনীতির কোন অভিজ্ঞতাটা তাঁর ছিল? আমার ছেলে বা ভাইপো যদি রাজনীতিতে আসে, আমি আটকানোর কে? আর আটকাবই বা কেন? কিন্তু এখানে আমার একটাই শর্ত থাকবে—আমার সেনাপতিদের অসম্মান তারা করতে পারবে না।’ সালটা ১৯৯৫। বক্তা বালাসাহেব থ্যাকারে। ছেলে উদ্ধব এবং ভাইপো রাজ থ্যাকারেকে উদ্দেশ করেই যে তিনি এই কথা বলেছিলেন, তাতে কোনও সংশয় নেই। কিন্তু এই মন্তব্যের মধ্যে নজর করার মতো একটা অংশ আছে—সেনাপতি। শিবসেনা যে শুধু রাজার দল নয়, সেনাপতিরাও তাতে সমান গুরুত্ব পেয়ে থাকেন, সেটা বালাসাহেব স্পষ্ট করেছিলেন। কেমন সেই সেনাপতি? নামটা আজকের দিনে দাঁড়িয়ে একনাথ সিন্ধে হতেই পারে। গরিব ঘর থেকে উঠে আসা একজন সাধারণ মানুষ। পরিবারের সঙ্কটে পড়াশোনা ছেড়ে অটোরিকশ চালানো শুরু করেছিলেন। এমন একটা প্রেক্ষাপটে প্রবেশ তাঁর রাজনীতিতে। আর এখন? ‘আসল শিবসেনা’ তাঁরই। উদ্ধব থ্যাকারের নয়। কেন এমন হল? কীভাবে? গত লোকসভা ভোটেও তো সমীকরণ তাঁর পক্ষে ছিল না! এমনকী বিজেপিরও নয়। ৪৮টা আসনের মধ্যে মাত্র ১৭টা দখল করতে পেরেছিল এনডিএ। আর বিপুল সম্ভাবনা জাগিয়ে ৩০টি কেন্দ্রে জয় পেয়েছিল ইন্ডিয়া। রাজনীতির কারবারিরা ভেবেছিলেন, বালাসাহেব আবেগ ছেলে উদ্ধবের পক্ষে গিয়েছে। বিজেপির ‘অপারেশন লোটাস’ রাজনীতিকে ছুড়ে ফেলেছে মানুষ। তাহলে বিধানসভা ভোটে উল্টো ফল কেন? এই কয়েক মাসে কী ফারাক হয়েছে মহারাষ্ট্রে? তলিয়ে দেখলে একটিমাত্র পার্থক্য চোখে পড়বে—নরেন্দ্র মোদি। গত লোকসভা ভোটে নরেন্দ্র মোদি ছিলেন নির্বাচনী মুখ। বিজেপি বা এনডিএ জিতলে প্রধানমন্ত্রী হবেন তিনিই, এটা জানার জন্য আইনস্টাইন হওয়ার দরকার ছিল না। আর বিধানসভা নির্বাচনে? নরেন্দ্র মোদিকে সুকৌশলে সরিয়ে রেখেছিল সঙ্ঘ পরিবার। সামনে ছিলেন কারা? দেবেন্দ্র ফড়নবিশ, নীতিন গাদকারি, একনাথ সিন্ধে। আর ইস্যু? সম্পূর্ণ স্থানীয়। উগ্র হিন্দুত্ব ছিল, কিন্তু স্থানীয় মানুষের উন্নয়নের স্বার্থে প্রচারকে পিছনে ঠেলে দিয়ে নয়। ফল হাতেনাতে পেয়েছে বিজেপি। মহাজোট ‘ইন্ডিয়া’ ধোপে টিকতে পারেনি। সংখ্যাতত্ত্ব তাদের এমন জায়গায় নিয়ে গিয়েছে যে, মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার আসনে বসার মতো নম্বর কোনও দলের কাছে নেই। কংগ্রেস তো নয়ই, উদ্ধবের শিবিসেনা বা শারদ পাওয়ারের এনসিপিও এই অঙ্কে ফেল করেছে। আর সেইসঙ্গে মোদিবিহীন বিজেপির খড়কুটোর আগুনে হাওয়া লেগেছে জোরদার। নীতিন গাদকারি এমনিতেই মোদি বিরোধী শিবিরের বলে বাজারে তাঁর বদনাম আছে। তিনি প্রচার করলে মোদিপন্থীরা যে খুব উল্লসিত হয়ে থাকেন, এমনটা নয়। কিন্তু তাঁর প্রচারে যদি ফল ইতিবাচক হয়, তাহলে একটা বিষয়ই স্পষ্ট—মোদিপন্থী বলে প্রজাতিটি অবলুপ্ত হতে চলেছে। আরএসএস যে এই সারসত্যটা সবার আগে বুঝেছে, সেটাই বিজেপির সৌভাগ্য। ঠিক যে যে রাজ্যে মোদি ফর্মুলায় গেরুয়া শিবির অঙ্ক কষেছে, সেখানেই কিন্তু ভরাডুবি। এটা ঝাড়খণ্ড এবং সাম্প্রতিক উপ নির্বাচনগুলির ফলেও স্পষ্ট। উত্তরপ্রদেশে বিজেপির সাফল্যের নেপথ্যে যোগী আদিত্যনাথের আগ্রাসন ছিল। কিন্তু হিমন্ত বিশ্বশর্মার হিন্দুত্ববাদী প্রচার ঝাড়খণ্ডে কাজে আসেনি। বরং বিজেপির বিরুদ্ধে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে জেলে পাঠানোর ঔদ্ধত্য। বিরসা মুন্ডার রাজ্যের মানুষ বলেছে, মোদি জেলে পাঠিয়েছেন তাদের ভূমিপুত্রকে। আর তাই মোদির দল বা সৈনিক যে সেখানে হালে পানি পাবে না, সেটাও স্পষ্ট ছিল ভোটের হাওয়ায়। বিজেপি একটা রব তুলে ভোটের অভিমুখ ঘোরানোর চেষ্টা করেছিল ঠিকই, কিন্তু তা খুব একটা কাজে দেয়নি। এমনকী আদিবাসী ভোটব্যাঙ্ক দখলের চেষ্টাও বিফলে গিয়েছে। অথচ নরেন্দ্র মোদি নিজে এই রাজ্যের আদিবাসীদের উন্নয়নে কেন্দ্রীয় প্রকল্প তদারক করেছিলেন। পাঁচ বছরের প্রজেক্ট নিয়েছিলেন তিনি। ২০১৯ সালে হারার পর। এক্ষেত্রেও তাহলে কী ধরে নেওয়া যেতে পারে? হারের ফ্যাক্টর নরেন্দ্র মোদি? 
হাওয়া বদলাচ্ছে। একের পর এক ভোট তার প্রমাণ। ২০২১ সালে বাংলা থেকে মোদি নামক সূর্যের অস্তাচলে যাওয়ার যে সূচনা হয়েছিল, তা এখন পূর্ণ মাত্রায় গোধূলির পথে। তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী তিনি হয়েছেন। কিন্তু তাতে গরিমা নেই। বরং জোটের কাছে আত্মসমর্পণ রয়েছে। তিনি নিজেও সেটা জানেন। আর জানে সঙ্ঘ। তাই মোহন ভাগবত আবার অনেক বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠেছেন। প্রতিটা পদক্ষেপ বুঝে ফেলাটাই এখন তাঁর লক্ষ্য। তাই মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি পদ থেকে সরে যাননি জে পি নাড্ডা। সরানো হয়নি রাজ্য সভাপতিদেরও। প্রকাশ্যে একের পর এক ভোটের কথা বলা হলেও, অপেক্ষা চলছে সঠিক মুখের। আরএসএস জানে, এই কয়েকটি ভোট থেকেই আসল চিত্রটা সামনে আসবে। তারপর ঠিক হবে, বিজেপির সংগঠনের ব্যাটন যাবে কার হাতে। সংগঠন নিয়ে এখন যে মোদিজিকে খুব একটা মাথা গলাতে দেওয়া হচ্ছে না, এই খবর বিজেপির অন্দরেই ঘুরপাক খাচ্ছে। তা না হলে এমন গুরুত্বপূর্ণ ভোটের সময় তিনি বিদেশ সফরে চলে যেতেন না। বিজেপি সম্পূর্ণভাবে ক্যাডার নির্ভর পার্টি। প্রশাসনের থেকে অনেক বেশি গুরুত্ব তাদের কাছে রাজনীতির। তাহলে মরণ-বাঁচন লড়াইয়ে দলের মুখ নিজেই কীভাবে বিদেশি হাওয়া খেতে যেতে পারেন? হাওয়া বদল কি এখনও বোঝা যাচ্ছে না? প্রশাসন তিনি চালান, অসুবিধা নেই। কারণ, তাঁর একাগ্রতা এবং পরিশ্রম করার ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন সঙ্ঘের অন্দরেও নেই। ৫৫ ঘণ্টার বিদেশ সফরে গিয়ে ৪০টা বৈঠক করতে পারেন মোদিজি। এই অমানুষিক ক্ষমতা খুব বেশি রাজনীতিকের নেই। কিন্তু সংগঠন? এখানে সব স্ট্র্যাটেজিই সঙ্ঘের। আগ্রাসনই এই সমীকরণের শেষ কথা। কোথাও সফল হবে। কোথাও হবে না। ঠিক যেমন ‘কাটেঙ্গে ইয়া বাঁটেঙ্গে’ উত্তরপ্রদেশে সুফল এনেছে, ঝাড়খণ্ডে আনেনি। তাতে সঙ্ঘের কিছু আসে  যায় না। তারা জানে, শতবর্ষে পৌঁছে এজেন্ডার পূরণের আগে কিছু নেই। হিন্দুরাষ্ট্র, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, এক দেশ এক ভোট। তিনটি প্রায় অবাস্তব ভাবনাকেই তারা বাস্তব রূপ দিতে উঠেপড়ে লেগেছে। তার জন্য যদি প্রয়োজন হয়, সরকার এবং সংগঠনকে স্রেফ আলাদা করে দেওয়া হবে। এতে লাভ দু’টি। ১) নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তা ধাক্কা খেয়ে থাকলেও খুব একটা প্রভাব ভোটে পড়বে না। কারণ, তাঁকে মুখ হিসেবে খাড়া করে এগলেই সেই সম্ভাবনা প্রবল। কিন্তু তিনি যদি ভোট প্রচারের আলোতেই না থাকেন? মানুষ স্থানীয় নেতা এবং স্থানীয় ইস্যুর উপর ভিত্তি করে ভোট দেবে। মহারাষ্ট্রেও কিন্তু এবার বিজেপি কার্যত আঞ্চলিক পার্টির মতোই লড়েছে। জাতীয় ইস্যু বা নেতাদের সামনে আনা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু খুব বুঝেশুনে। জোটের মুখ হিসেবে থেকে গিয়েছেন একনাথ সিন্ধে ও দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। জয়ের পর কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, সেটা দেখে নেওয়া যাবে। আগে তো জয়! ২) বিরোধীদের বেসামাল হবে। কেন? কংগ্রেসের মতো জাতীয় স্তরের বিরোধী দলগুলির যাবতীয় আক্রমণ এবং প্রচারই নরেন্দ্র মোদিকে ঘিরে। গত ১০ বছরে তিনি আধিপত্যের যে মিথ তৈরি করেছেন, তাকে ঘিরেই আবর্তিত হচ্ছে কংগ্রেসের প্রচার। লোকসভা ভোট ছিল মোদির। তাই সেখানে কংগ্রেস দাঁত ফোটাতে পেরেছে। রাহুল গান্ধীরা ভেবেছেন, বিজেপির জমানা শেষ। মানুষ আবার কংগ্রেসকেই ভরসা করতে শুরু করেছে। বাস্তবে কি তাই? মহারাষ্ট্র বা ঝাড়খণ্ড কিন্তু সে কথা বলল না। এই ভোটপর্ব দেখাল, মানুষ আঞ্চলিক শক্তির উপরই বেশি ভরসা করছে। কংগ্রেসের উপর নয়। আরএসএস সেটা বুঝতে শুরু করেছে। কিন্তু কংগ্রেস নয়। বিধানসভা ভোটে যে গেরুয়া বাহিনীর স্ট্র্যাটেজি বদলে গিয়েছে, সেটা কংগ্রেস বুঝতেই পারেনি। কারণ, ওভার কনফিডেন্স। লোকসভার ফল তাদের মাথা ঘুরিয়ে দিয়েছে। তাই কংগ্রেসের আক্রমণ সবটাই ছিল মোদিজির বিরুদ্ধে। কিন্তু আসরে না থাকা একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কথা এবং প্রচারের টাকা খরচ পুরোটাই জলে গিয়েছে। এই ভোটের ফল আরও একবার দেখিয়ে দিয়েছে, সোনিয়া গান্ধী জমানার পরবর্তী কংগ্রেস সাবালক হওয়া তো দূর, এখনও হামাগুড়ি দেওয়ার পর্যায়েই রয়েছে। পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দিতে হয়, অবস্থা বুঝে কীভাবে প্ল্যান বি ব্যবহার করতে হয়, সেটাই শেখেনি তারা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমরা আগ্রাসী নেত্রী হিসেবে জানি। আর জি কর আন্দোলন কিন্তু একেবারে অচেনা মমতা হয়েই সামলেছেন তিনি। পাশে দাঁড়িয়েছেন আন্দোলনকারীদের। তাঁদের ন্যায্য দাবিকে সমর্থন জুগিয়েছেন। এটাই শাসকের এবং রাজনৈতিক দলের বিকল্প রণনীতি। আন্দোলনের নামে যারা রাজনীতির চাষ শুরু করেছিল, তারা উধাও হয়ে গিয়েছে। কংগ্রেস কিন্তু আটকে আছে সেই মোদি বিরোধিতায়। হাওয়া যে বদলাচ্ছে, সেটা তারা বুঝছে না। বা বোঝার মতো রাজনৈতিক ক্ষমতা তাদের নেই। 
ঝাড়খণ্ডের ফলাফলের ময়নাতদন্তের পর বিজেপির এক শীর্ষ নেতা বলছিলেন, ‘এখানে হারতে হয়েছে দুর্বল ইলেকশন ম্যানেজমেন্টের জন্য। এমন সব লোককে টিকিট দেওয়া হয়েছে, তারা একেবারেই জনপ্রিয় নয়। শুধু পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। ফল তো এমন হবেই!’ কার দিকে ইঙ্গিত করেছেন তিনি? নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর ঘনিষ্ঠরা নয় তো? হরিয়ানা ভোটের কথাও কিন্তু তিনি বলছিলেন। সেখানে প্রচারে মোদিজিকে খুব একটা দেখাই যায়নি। স্থানীয় ইস্যু সামনে রেখেই অপ্রত্যাশিত জয় পেয়েছিল বিজেপি। মহারাষ্ট্রের ফলের পর একটা বিষয় নিশ্চিত, ধীরে ধীরে এই ফর্মুলাতেই শিফ্ট করে যাবে তারা। আর কর্তৃত্বের দখল পুরোটাই তুলে নেবে সঙ্ঘ। সংগঠনের রাশ তো বটেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যতদিন আছেন... থাকুন। মেয়াদ না হোক, অবসর পর্যন্ত। 
26th  November, 2024
ভারত ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

ভারত নামক একটি রাষ্ট্র যার স্বাধীনতার বয়স ৭৭ বছর হয়ে গিয়েছে এবং সভ্যতার বয়স ৫ হাজার বছর। সে এখন কী নিয়ে চর্চা করছে? উত্তরপ্রদেশের সম্ভাল নামক একটি জনপদে জামা মসজিদের নীচে আসলে মন্দির ছিল কি না সেই সমীক্ষা করার উদ্যোগ নিয়েছে, সংঘর্ষ হয়েছে। বিশদ

দ্রুত মুখোশ খসে পড়ছে ইউনুস সরকারের
মৃণালকান্তি দাস 

চোখে সোনালি সানগ্লাস। পরনে সাদা পাঞ্জাবি। হাতে রকেট লঞ্চার। সংবাদপত্রে প্রকাশিত সেই ছবি দেখে আঁতকে উঠেছিল গোটা ভারত উপমহাসাগর। আঁতকে ওঠার যথেষ্ট কারণও ছিল। বিশদ

05th  December, 2024
জুতো উপহার এবং বাংলাদেশের পাকিস্তান প্রেম
হারাধন চৌধুরী

‘তখন ধীরে চামার-কুলপতি/ কহিল এসে ঈষৎ হেসে বৃদ্ধ,/ ‘বলিতে পারি করিলে অনুমতি/ সহজে যাহে মানস হবে সিদ্ধ।/ নিজের দুটি চরণ ঢাকো, তবে/ ধরণী আর ঢাকিতে নাহি হবে।’ 
—জুতা-আবিষ্কার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বিশদ

04th  December, 2024
এবার আজমির! ফল কিন্তু ভয়াবহ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ইদানীংকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিজ কী? মির্জাপুর? নাকি পঞ্চায়েত? এই সিজন ব্যাপারটা বেশ আকর্ষণীয়। আট-দশটা এপিসোড, টানটান উত্তেজনা, দর্শকের অ্যাড্রেনালিন ক্ষরণের উপাদান ছুঁয়ে খিদেটাকে জিইয়ে রাখা। প্রোডিউসার-ডিরেক্টররা জানেন, অপেক্ষা চলবে। পরের সিজনের জন্য।
বিশদ

03rd  December, 2024
মহাযুতির প্রচার: স্রেফ কৌশল, প্রাপ্তি শূন্য
পি চিদম্বরম

১৬ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখ ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এ প্রকাশিত আমার নিবন্ধের শিরোনাম ছিল ‘মহারাষ্ট্র ইজ দ্য প্রাইজ’। বিজেপি, শিবসেনা এবং এনসিপির জোট মহাযুতি নিশ্চিতভাবেই সেই পুরস্কার জিতে নিয়েছে। এই কথা স্বীকার করতে আমার কোনও দ্বিধা নেই। ২৮৮টি আসনের মধ্যে মহাযুতি ২৩০টিতে জয়ী হয়েছে।
বিশদ

02nd  December, 2024
মোদি কি ৫৩ বছর আগের ইন্দিরা হতে পারবেন?
হিমাংশু সিংহ

লৌহমানবী ইন্দিরা গান্ধী কড়া হাতে মোকাবিলা না করলে অর্ধশতাব্দী আগে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির জন্ম হতো কি না তার উত্তর আমাদের অজানা। সেই প্রশ্নের জবাব অধুনা কোনও ৫৬ ইঞ্চি ছাতির লোকদেখানো বীরপুঙ্গবও দিতে পারেন কি না, আপাতত তারই পরীক্ষা। বিশদ

01st  December, 2024
নেগেটিভ ভোটে কিস্তিমাতের দিন শেষ!
তন্ময় মল্লিক

যদি প্রশ্ন করা হয়, এ রাজ্যের সদ্য সমাপ্ত উপ নির্বাচনের ফল কী প্রমাণ করল? প্রায় সকলের বক্তব্য মোটামুটি এরকম হবে, আর জি কর কাণ্ড সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনও প্রভাবই ফেলেনি। বাংলাদেশের ধার করা ‘দফা এক দাবি এক’ স্লোগানে তেমন কেউ সাড়া দেননি। বিশদ

30th  November, 2024
মমতার স্ট্র্যাটেজির কাছে হেরে যাচ্ছে বিরোধীরা
সমৃদ্ধ দত্ত

৭৭ বছরের ইতিহাসে পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত দুবার দুটি আন্দোলনের সঙ্গে সরকার বদলে যাওয়ার সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। ১৯৫৯ সালে শুরু হয়েছিল খাদ্য আন্দোলন। কিন্তু তার প্রভাব পরবর্তী নির্বাচনে বিশেষ পড়েনি। সেই খাদ্য আন্দোলনেরই দ্বিতীয় পর্ব আছড়ে পড়েছিল ১৯৬৬ সালে। বিশদ

29th  November, 2024
কানাডা এখন আর এক পাকিস্তান!
মৃণালকান্তি দাস

কানাডার ব্রাম্পটন শহরের হিন্দু সভা মন্দিরটি রয়েছে এক ব্যস্ত সড়কের পাশে। এখানকার বহু বাড়ি এখনও দীপাবলির আলোকসজ্জায় সজ্জিত। মন্দিরের পার্কিং লটের উপর দাঁড়িয়ে ৫৫ ফুট উচ্চতার হনুমান মূর্তিটি সর্বক্ষণ পুণ্যার্থীদের দিকে তাকিয়ে। বিশদ

28th  November, 2024
গতির উদ্দামতায় বাজে ধ্বংসের গান
সন্দীপন বিশ্বাস

বদলে গিয়েছে তরুণের স্বপ্ন। বহু তরুণের দু’চোখজুড়ে এখন শুধুই উদ্দাম গতির স্বপ্নরেখা। সেই গতির মধ্যে এখন তাঁরা অনুভব করেন, স্পর্ধায় মাথা তোলার ঝুঁকি। একটা বাইক কোম্পানির ট্যাগলাইন ছিল, ‘হাম মে হ্যায় হিরো’। এই হিরো হওয়ার জন্য এখনকার যুবকরা মনে করেন, একটা বাইকই যথেষ্ট। বিশদ

27th  November, 2024
আমেরিকায় ট্রাম্পের উত্থানের প্রভাব ভারতে কেমন হবে?
পি চিদম্বরম

 

ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও পোটাস  (প্রেসিডেন্ট অফ দি ইউনাইটেড স্টেটস) নন। আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর দায়িত্বগ্রহণের প্রতীক্ষিত দিনটি এখনও সাত সপ্তাহ দূরে। তার মধ্যেই বিশ্বজুড়ে ‘টক অফ দ্য টাউন’ হল: ট্রাম্পের নয়া জমানার কোন প্রভাব পড়বে—বিশ্বে, আপনার দেশে, আপনার শহরে, আপনার চাকরিতে বা প্রায় সবকিছুতে।
বিশদ

25th  November, 2024
সমবায় আন্দোলনের বিশ্ব নেতৃত্বে ভারত
অমিত শাহ

শুধুমাত্র আর্থিকভাবে উচ্চাকাঙ্ক্ষীদের নয়, সেইসঙ্গে তাঁদের সুসংহত করে অর্থনীতির মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারেও সমবায় ক্ষেত্রের ভূমিকা রয়েছে। 
বিশদ

25th  November, 2024
একনজরে
সুখবীর সিং বাদলের উপর হামলার আগের দিনও অমৃতসরের স্বর্ণমন্দির চত্বরে ঘোরাফেরা করেছিলেন অভিযুক্ত খালিস্তানি জঙ্গি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে একথা জানিয়েছে পুলিস। বুধবার জঙ্গির ...

পশ্চিম হিমালয় এলাকায় যে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা তৈরি হচ্ছে তার পরোক্ষ প্রভাব পড়বে রাজ্যে। জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। শীতকালে ঝঞ্ঝা সৃষ্টি হলে উত্তুরে হাওয়া সাময়িকভাবে দুর্বল হয়ে যায়। তাতে তাপমাত্রা বাড়ে। ...

‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্প সহ মোদি সরকারের একাধিক নীতির ভূয়সী প্রশংসা করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। জানালেন, ভারতে বিনিয়োগ করা অত্যন্ত লাভজনক। তাই সেখানে উৎপাদন ...

অণ্ডাল থানার মধুজোর কোলিয়ারিতে পরিত্যক্ত আবাসনে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের উচ্ছেদের নোটিস দিল ইসিএল কর্তৃপক্ষ। ফলে প্রায় ৮০টি পরিবার বিপাকে পড়েছে। ওই পরিবারগুলি বৃহস্পতিবার দক্ষিণখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে পুনর্বাসনের দাবি করেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মসূত্রে বিদেশ যাত্রার প্রচেষ্টায় সফল হবেন। আয় খারাপ হবে না। বিদ্যা ও দাম্পত্য ক্ষেত্র শুভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস
বিশ্ব মাটি দিবস
১৩৬০: ফ্রান্সের মুদ্রা ফ্রাঁ চালু হয়
১৭৬৬: লন্ডনে প্রথম নিলাম ডাক শুরু হয়
১৮৫৪: রিভলবিং থিয়েটার চেয়ারের পেটেন্ট করেন অ্যারোন অ্যালেন
১৮৭৯: স্বয়ংক্রিয় টেলিফোন সুইচিং সিস্টেম প্রথম পেটেন্ট হয়
১৯০১: মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক, নির্দেশক ও কাহিনীকার ওয়াল্ট ডিজনির জন্ম
১৯১১: প্রবাদপ্রতিম গীতিকার ও কবি প্রণব রায়ের জন্ম
১৯১৩: বাঙালি চিত্রশিল্পী গোপাল ঘোষের জন্ম
১৯২৪: গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার জন্ম
১৯৩২: অভিনেত্রী নাদিরার জন্ম
১৯৩৫: কলকাতায় মেট্রো সিনেমা হল প্রতিষ্ঠা হয়
১৯৩৯: অভিনেত্রী বাসবী নন্দীর জন্ম
১৯৪০: সঙ্গীত শিল্পী গুলাম আলির জন্ম
১৯৪৩: জাপানী বোমারু বিমান কলকাতায় বোমা বর্ষণ করে
১৯৫০: বিপ্লবী, দার্শনিক ও আধ্যাত্মসাধক ঋষি অরবিন্দের প্রয়াণ
১৯৫১: শিল্পী ও লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু
১৯৬৯: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব-পাকিস্তানের নামকরণ করেন ‘‘বাংলাদেশ ”
১৯৮৫: ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ানের জন্ম
১৯৮৬:  ভারতের ভৌত রসায়ন বিজ্ঞানের পথিকৃৎ ড. নীলরতন ধরের মৃত্যু
১৯৯৩: বিশিষ্ট বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার  সত্য চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৯৯: যানজট এড়াতে ব্যাংককে আকাশ ট্রেন সার্ভিস চালু
১৯৯৯: মিস ওয়ার্ল্ড হলেন যুক্তামুখী
২০১৩: দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যু

05th  December, 2024


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৮৮ টাকা ৮৫.৬২ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৩৯ টাকা ১০৯.১২ টাকা
ইউরো ৮৭.২৫ টাকা ৯০.৬০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
05th  December, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৪০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৮০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৩৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৪৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
05th  December, 2024

দিন পঞ্জিকা

২০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪। পঞ্চমী ১৫/৩ দিবা ১২/৮। শ্রবণা নক্ষত্র ২৮/০ সন্ধ্যা ৫/১৯। সূর্যোদয় ৬/৭/২২, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৫৮। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ৭/৩৩ গতে ১/৪১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৯ গতে ২/৪০ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৪১ গতে ৯/১৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৫ গতে ৩/২৯ মধ্যে পুনঃ ৪/২২ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৪৭ গতে ১১/২৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৭ গতে ৯/৪৭ মধ্যে। 
২০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪। পঞ্চমী দিবা ১০/৪৭। শ্রবণা নক্ষত্র সন্ধ্যা ৪/৪৫। সূর্যোদয় ৬/৯, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে ও ৭/৪৬ গতে ৯/৫৩ মধ্যে ও ১২/০ গতে ২/৪৯ মধ্যে ও ৩/৩২ গতে ৪/৪৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫০ গতে ৯/২৫ মধ্যে ও ১২/৬ গতে ৩/৪০ মধ্যে ও ৪/৩৪ গতে ৬/৯ মধ্যে। বারবেলা ৮/৪৯ গতে ১১/২৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৯ গতে ৯/৪৯ মধ্যে। 
৩ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
হাওড়ায় বধূকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে 

11:15:00 PM

দিল্লি বিমান বন্দরে প্রচুর সোনা সহ আটক ১

10:29:00 PM

কর্ণাটকের তালিকোটি তালুকে সড়ক দুর্ঘটনা, মৃত ৫

10:23:00 PM

বারাণসীতে কালভৈরবের মন্দির পরিদর্শনে গেলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ

10:14:00 PM

পাঞ্জাবের কালিসান গ্রামে চাষের জমি থেকে ৫৯৯ গ্রাম হেরোইনের প্যাকেট উদ্ধার করল বিএসএফ

09:43:00 PM

পাটনার গান্ধী ময়দানে বইমেলার উদ্বোধন করলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার

09:33:00 PM